এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  •  করোনা মহাশয় - তোমাকে সেলাম !

    মীনাক্ষী মিত্র (কণা) লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ আগস্ট ২০২২ | ৮২৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • এবারে "গুরুচণ্ডালি " তে যে লেখাটি আমি পাঠাচ্ছি, সেটি বেশ কিছুদিন আগেই পাঠানো যেত, কিন্তু 'করোনা ভাইরাস' মহাশয় একটু বাঁধ সাধলেন। তাঁরই কীর্তিকলাপের বিস্তারিত বিবরণ ই ছিল আমার লেখার বিষয় বস্তু। মনে হচ্ছে আমার প্রতি বিশেষ ভাবে প্রসন্ন হয়েই এবার তিনি আমার ই বাড়ির গৃহকর্তা এবং তাঁর অবিভাবক (attendant) টির ঘাড়ে চেপে বসলেন। বুঝতেই পারছেন, মাথায় উঠলো লেখা জোখা, অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা । মোটামুটি তাঁরা সুস্থ হওয়ার পর আবার লেখাটির কথা মাথায় এলো। 
                                                                                                                                                                                          লেখাটি শুরু করার আগে তাই এইটুকু ভূমিকা জুড়ে দিলাম ------

                   
                                 ২০১৯ এ সারা পৃথিবীতে 'করোনা ভাইরাস ' নামে যে অসুখটি দেখা দিল , তাতে 'লকডাউন' এর সময় ঘরের মধ্যে বন্দী  থেকে জীবন অসহ্য হয়ে উঠেছিল। নানা রকম নিয়ম মানতে মানতে দিন কাটছিলো । কারো সঙ্গে দেখা হচ্ছিলনা , কেউ কারো বাড়ি যেতে পারছিলনা । এই কারণে এই সময়ে ভার্চুয়ালি অনেক রকম ভাবে লোকেরা দেখাশুনো করতে শুরু করলো। ফোন এ কথা, ভিডিও কল এ পরস্পরকে দেখা, ল্যাপটপ এ সকলের সঙ্গে মেলা মেশা বেড়ে চললো। স্কুল এ, কলেজ এ শুরু হলো Online পড়াশুনো । সেটা একটা মজার ব্যাপার। ছাত্র ছাত্রীদের প্রত্যেকের একটা নিজস্ব ল্যাপটপ, নয়তো একটা বড় ফোন তো থাকতেই হবে। শিক্ষক দের নতুন করে technical ব্যাপার গুলো সব শিখতে হলো - প্রচুর খাটুনি বেড়ে গেলো। সংসারের মধ্যে থেকে এ সব করা যে কতটা কঠিন, তা চিন্তা করলেই অবাক লাগে। কলেজ বা স্কুল এর উঁচু ক্লাস এর ছেলেমেয়েদের বেলায় নয় কোনরকমে পড়াশুনোটা কিছুটা চলল , কিন্তু বাচ্ছাদের বেলায় পড়াশুনোটা প্রায় মাথায়ে উঠলো বলা চলে । বাবা মার মধ্যে কারোকে তো সমস্ত কাজ ফেলে বাচ্ছার সঙ্গে বসে ক্লাস attend করতে হবে , তা না হলে চ্যানেল বদলে আজকালকার মহাজ্ঞানী বাচ্ছা অনায়াসে নিজের মনের মতো ছবি বা cartoon দেখতে বসে যাবে । ওদিকে হয়তো শিক্ষক চেঁচিয়ে চলেছেন, অন্য দিকে বাচ্ছা নিজের মনে couch এ শুয়ে শুয়ে কলা খাচ্ছে। শিক্ষক বাচ্ছার নাম ডেকে ডেকে পড়া জিজ্ঞেস করছেন - ওদিকে ছাত্রের কোনো নজর ই  নেই, সে সারা ঘর ঘুরে ঘুরে নেচে বেড়াচ্ছে । দিনের পর দিন সকলে বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী থাকায় ছেলে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কটা স্বাবাভিক ভাবেই তিক্ত হতে থাকলো। এমন কি স্বামী স্ত্রী ও কাজে যেতে পারছেননা , ঘরে বসে office এর কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছেন - সঙ্গে তো সংসারের কাজ আছেই । এ অবস্থায়ে নিজেদের মধ্যেও অশান্তি বেড়ে চলল । বাড়ীতে কাজের লোক ঢুকতে পারবেনা - সারাদিন সমস্ত কাজ, বিশেষ করে বয়স্কদের পক্ষে সামলানো মোটেই সম্ভব নয়। ভাগাভাগি করে নিলেও, দিনের পর দিন ব্যাপারটা খুব সহজ নয় ।

                       
                            অন্যদিকে মজার ব্যাপারটা হলো ছোট রাস্তা, বড় রাস্তা সব ই খালি, যানবাহনের কোনো আওয়াজ নেই , মোটর এর কর্কশ হর্ণ শোনা যায়না - গাড়িগুলো গেলো কোথায়? রাস্তায় লোকজনও বড় একটা চলছেনা। চারিদিক নিস্তব্ধ , নিঝুম। একমাত্র পাখিরাই যেন বেশি সরব  হয়ে উঠেছে - তাদেরই একমাত্র Lockdown নেই । এই রকম অদ্ভূত অবস্থার সঙ্গে কাটাতে কাটাতে মানুষের মনের মধ্যে যেন সব গোলমাল হয়ে যেতে লাগলো । এ সমস্যাটা যে কি নিদারুন তা এখনকার এই অবস্থায় না পড়লে বোঝাই যেতনা । মনের ভারসাম্য রাখাই যেন কঠিন হয়ে পড়ল । 
           
                            যথেষ্ট পুরোনো আমলের লোক হলেও মহামারী, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গাহাঙ্গামা প্রভৃতির সঙ্গে পরিচয় আমার ছিলনা - আরও পুরোনো দিনের মানুষের কাছে গল্প শুনেছি মাত্র । তাছাড়া এগুলো ছিল আমাদের নিতান্তই দেশের মধ্যেকার ব্যাপার । কিন্তু আজকের এই জগৎজোড়া 'করোনা ভাইরাস ', তার জন্যে Lockdown - এ সব কথা পুরোনোদের কাছেও অজানা , সম্পূর্ণ নতুন খবর। এই নতুন জিনিসের সমাধান বড়ই অনিশ্চিত, একটা কথাই মনের মধ্যে খালি ঘোরাফেরা করে 'পথের শেষ কোথায় , কি আছে পথের শেষে?'

                            সমধানের কোনো লক্ষণ দেখছিনা বলে শেষ পর্যন্ত 'করোনা ভাইরাস ' মহাশয়কে অনুরোধ করে একটি চিঠিও লিখেছিলাম - যাতে তিনি আস্তে আস্তে অপ্রকট হয়ে আমাদের সকলকে মুক্তি দেন । চিঠিটা হল -

                            মাননীয় অতিথি 'করোনা ভাইরাস' মহাশয় সমীপেষু :-

                             তোমার ভুবনজোড়া আসনখানি 
                                        সবার হৃদয় থেকে তোলো এখনি ।
                             রাতের তারা দিনের রবি,
                             (এখন)  সবার কাছে একই  সবই।
                             বন্দী হয়ে ঘরের মাঝে,
                                        আর টেঁকা যে যাচ্ছেনা যে।
                             সারাদিন কাজ করে করে 
                                         আমরা এবার যাচ্ছি মরে ।
                             (রোজই) কতজনের জীবন শেষ 
                                         তোমার কোনো নেইকো ক্লেশ?

                              তুমি এবার দাও যে রেহাই 
                                        বিশ্বে সবার শান্তি যে চাই।।

                                                                                      নিবেদক 
                                                                                            গুণমুগ্ধ সকল বিশ্ববাসী ।
     

                            কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, মহাশয়ের ঠিকানাটা কী? সর্বসাধারণের কাছে তাই দু বছর আগে চিঠিটি পড়েছিলাম। কিন্তু কারো কাছ থেকেই 'মহাশয়ের' ঠিকানা পাইনি । আমি অগত্যা বিনা ঠিকানাতেই চিঠিটা Post করে দিয়েছিলাম - তাই উত্তরও আসেনি আজ পর্যন্ত।

                            এ তো গেলো দুবছর - আড়াই বছর আগেকার অবস্থা । এর মধ্যে মহাশয়ের যাবার তো ইচ্ছেই দেখা গেলনা, বরং আরও জমিয়ে বসলেন। এই সময় কত মানুষ চলে গেলেন, ঘরে ঘরে কত লোক তাদের আপনজনকে হারালেন - এসব কথা ভোলা যায়না। তবু নানা উপায় বের করে, দুতিনটি করে টীকা নিয়ে কিছুটা যখন সামলানো গেল, তখন সরকারও নিয়ম কানুন, বিধি নিষেধ কিছু কিছু শিথিল করে দিতে শুরু করলেন। এর কারণ মাসের পর মাস কাজে না বেরুতে পেরে বিশেষ বিশেষ শ্রেণীর মানুষের অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে প্রচন্ড ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু আমাদের দেশের তো গুনের শেষ নেই, বিশেষ করে আজকের মানুষেরা হৈ চৈ , হুল্লোড় , উল্লাস ছাড়া বাঁচতে পারেনা। বাজারে, Big Bazaar এর Mall এ সর্বত্র মানুষের ভীড় শুরু হয়ে গেলো। দিল্লীর Sarojini Nagar এর বা কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারের বিখ্যাত ভিড়ের ছবি কাগজে বেরিয়ে গেল । কোথাও কোনো নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা নেই- অধিকাংশ'র মুখে Mask নেই। যদিবা কারুর আছ, সেটা আছে থুতনির নিচে, প্রায় গলায় ঝোলানো। নানা জায়গার মন্দির খুলে গেলো - দলে দলে ভক্তদের ভীড় - Covid এর কথা কারও মাথায় রইলনা। শুধু কি তাই? লোকের এখন প্রচুর টাকা - পাহাড়ে, সমুদ্রের ধারে ঝাঁকে ঝাঁকে বেড়াতে  বেরিয়ে পড়ল - ভিড়ের মধ্যে যাওয়া মানা, সে সব কথা কে শুনছে? প্রত্যেকটি দর্শনীয় জায়গা কাতারে কাতারে মানুষে ভরে গেল। 

                           বাংলার গুন তো আর ও বেশি - যেখানে সেখানে মেলায় দলে দলে মানুষ আনন্দ করতে বেরিয়ে পড়ল। Vote , মিছিল, খুনখারাপি, আগুনে পুড়িয়ে মারা সবই পুরো মাত্রায় শুরু হয়ে গেল । হোলির সময়ে আবীর দিয়ে মুখ না রাঙিয়ে মানুষের রক্ত দিয়ে হোলি খেলল মানুষ। আমাদের পরিবারের এক বিশেষ বন্ধু, * প্রফেসর চৌধুরী, ঠিক ই বলেন "কি বিচিত্র এই দ্যাশ  , কোথায় আমাদের মনুষ্যত্ব - মানবত্ব , রাজনীতি কি সবার উপরে ?" তিনি আরও বলেন "মনে হচ্ছে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আবার Covid ফিরিয়ে দাও, আবার এই উন্মাদ  জাতিকে গৃহবন্দী অথবা কারাবন্দী করে রাখো, সেটাই তার যোগ্য স্থান" কতখানি দুঃখে মানুষ এমন কথা বলতে পারেন, ভাবুন! প্রফেসর চৌধুরীর এই কথাটাই আমাদের দেশের পক্ষে বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য। শুভ নববর্ষ চলে গেল, মানুষের কোনো সুবুদ্ধি ফিরলনা। কাগজ খুললে রোজই দেখছি Covid আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সারা দেশে আবার বেড়ে চলেছে। সারা পৃথিবীর অবস্থা ও ভালো কিছু নয়। দুবছর আগে আমার 'করোনা ভাইরাস' মহাশয় কে লেখা চিঠি তো পুরো পুরি ব্যর্থ হলো দেখছি। চাপে পড়ে কিছুদিন এর জন্যে তাঁর লীলাখেলা বন্ধ হলেও মাঝে মাঝেই ফিরে ফিরে আসছে। পৃথিবীকে তিনি বড়ই ভালবেসে ফেলেছেন, সারা জগতে চিরদিনের সঙ্গী হয়েই তিনি থাকবেন নাকি? মনের মধ্যে এই ভয়টাই ঘুরে ফিরে আসছে। প্রফেসর চৌধুরীর মত Covid কে পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে বলতে পারছিনা। ভগবান যদি তাঁকে পুরোদমে ফিরিয়ে আনতে পারেন তাহলে তিনি সম্পূর্ণ ভাবে তাকে বিতাড়িত করার ক্ষমতাও রাখেন। কোনটা করবেন, সেটা তাঁর উপরেই - "সকলই তোমারই ইচ্ছা"

    * আমাদের পরিবারের বন্ধুটির পরিচয় একটু দিতেই হবে। Prof. অমল চৌধুরী অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগে Assistant Director General হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এর ই সঙ্গে Physiology ও Biochemistry তে অধ্যাপনাও চালিয়ে যান বহুদিন ধরে। তবে তাঁর  জীবনের একটা দিকের পরিচয় তাঁর পক্ষে যথেষ্ট নয়। তাঁর অদ্ভুত রসবোধ সমস্ত মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে চিরকাল। সদা হাস্যময়, মিশুকে, আমুদে মানুষটির এই মন্তব্যগুলি মনে হয়ে আপনাদের মন কেও নাড়া দেবে। 

                                                  

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mayurakshi Mitra | 2401:4900:1f36:699d:f539:2223:45f6:68d3 | ২৮ আগস্ট ২০২২ ২০:৪৬511460
  • করোনা ke বেশ অন্যভাবে দেখা ...
  • মিতা বাসু | 122.161.72.181 | ২৯ আগস্ট ২০২২ ০৭:২৭511472
    • সবাই এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেলেও লেখাটি আপনার আমার  সকলের মনের কথার  প্রতিনিধিত্ব করছে।
  • Sudeshna Majumdar | 47.11.34.46 | ২৯ আগস্ট ২০২২ ০৭:৪৬511474
  • এই লেখাটিতে লেখিকা স্বতঃস্ফূর্ত হাস্যরসের সঙ্গে করোনার বিভীষিকা ও  রাজনীতির বিশৃঙ্খল দিকটি খুব সুন্দর  মিলিয়েছেন, তাই  লেখাটি  এতো সুখপাঠ্য হয়েছে 
  • ঝুমা বসু | 2409:4060:e86:2af4:f27d:8b6a:99a2:6627 | ২৯ আগস্ট ২০২২ ২২:১৪511507
  • বাস্তব কে নিয়ে লেখাটি সত্যি অসাধারণ হয়েছে 
  • Jahar Kanungo | ৩০ আগস্ট ২০২২ ১১:৫৩511513
  • খুব ভালো লাগলো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন