এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অনুদানের অর্থনীতি

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ আগস্ট ২০২২ | ৩৫৩ বার পঠিত
  • সারা বিশ্বে মূলতঃ তিন ধরনের অর্থনীতি চালু আছে। পুঁজিবাদী অর্থনীতি, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি এবং মিশ্র অর্থনীতি। এই হিসেবে দেশগুলিকেও তিনভাগে ভাগ করা যায়। ধনতান্ত্রিক দেশ, সমাজতান্ত্রিক দেশ এবং সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের দেশ। প্রথম ভাগের দেশগুলো, যেখানে উন্মুক্ত অর্থনীতি, কোনো ধরনের সরকারী নিয়ন্ত্রণ নেই। কোনো সরকারী স্কুল নেই, সরকারী পরিবহন নেই, সরকারী স্বাস্থব্যবস্থা নেই, সরকারী পরিষেবা নেই। তেলের দাম, গ্যাসের দাম, জিনিসপত্রের দাম সরকার বেঁধে দেয়না। এককথায় বলতে গেলে ফেল কড়ি মাখো তেল। দ্বিতীয় ভাগের দেশগুলো, যেখানে সবকিছুই সরকারী নিয়ন্ত্রণাধীন, বেসরকারী কোনো কিছুই নেই। সবকিছুর দাম সরকার ঠিক করে দেয়। তৃতীয় ভাগের দেশগুলো, যেখানে সরকারী ক্ষেত্রের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রও বিদ্যমান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ন্ত্রণ আছে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ন্ত্রণ নেই। দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রেও সরকারী ধার্য মূল্য মেনে চলতে হয় অনেকক্ষেত্রে আবার বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কোনো ধার্য মূল্য থাকে না।

    সরকারী বাজেট ও সরকারী কোষাগারের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয় এই তৃতীয় ভাগের দেশগুলোতে। কারণ বেসরকারী পরিষেবা যেহেতু বিদ্যমান সেইহেতু সরকারী কোষাগারে সোজাসুজি টাকা ঢোকেনা অনেকক্ষেত্রেই। ফলে বিভিন্নক্ষেত্রে কর ধার্য করে সরকারী কোষাগারে টাকা ঢোকাতে হয় অর্থাৎ সরকারী আয় হয়। সরকারী ও বেসরকারী ক্ষেত্রের মধ্যে একটা তাল রেখে চলতে হয়। সরকারী আয় না বাড়লে ব্যয় করা মুশকিল হয়ে পড়ে। আবার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হলে টাকা ধার করতে হয় বাজার থেকে যা আবার ঘুরিয়ে সরকারী কোষাগারের ওপর চাপ বাড়ায়। ফলে এই সমস্ত দেশে বাজেট করতে অনেককিছু ভাবনা চিন্তা করতে হয়। তুলনায় প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগের দেশগুলোতে বাজেট করা অনেকটাই সুবিধাজনক। কারণ প্রথমক্ষেত্রে সরকারী ব্যয় খুব কম আর দ্বিতীয়ক্ষেত্রে পুরোটাই সরকারী। তৃতীয় ভাগের দেশগুলোতে যেহেতু সরকারী নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান সেইহেতু আয়, ব্যয়ের পাশাপাশি সরকারী সম্পদ, পরিষেবা, মেধা, মানবসম্পদ ইত্যাদির দিকেও নজর রাখতে হয় এবং সেইগুলির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হয়। আংশিক সরকারী নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থনীতির নোটেগাছটি নইলে দুদিনেই মুড়িয়ে যাবে।

    ভারতবর্ষের মতো উন্নয়নশীল দেশে সরকারী সম্পদ, সরকারী পরিষেবা, মানবসম্পদ, মেধা ইত্যাদি বৃদ্ধির দিকে নজর এতই কম যে আমাদের স্বাধীনতা পঁচাত্তর বছর পেরিয়ে গেলেও এইগুলোর খুব একটা যে উন্নতি হয়েছে তা বলা যায়না। এই পঁচাত্তর বছরে বেসরকারী সম্পদ সাড়ে সাতশো গুন (কমপক্ষে) বৃদ্ধি পেলেও সরকারী সম্পদ বৃদ্ধির পরিমান পঁচাত্তর গুন হবে কিনা সন্দেহ। সরকারী সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো সরকারী পরিকাঠামো, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে সময়ের চেয়ে অন্ততঃ ত্রিশ-চল্লিশ বছর এগিয়ে থাকাটাই বাঞ্চনীয়। কিন্তু আমাদের দেশে সরকারী পরিকাঠামো সময়ের সাথেই তাল মেলাতে পারেনা। আবার সরকারী সম্পদ এবং সরকারী পরিকাঠামোর সাথে কর্মসংস্থানের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, ফলে আমজনতাকে দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে আসার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয় এবং বাজারে অর্থের যোগানও কমে যায়। সরকারী পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকারের আয় যতটা না হয় তার চেয়ে পরিষেবা দেওয়ার খরচ বেশী হয়ে পরে, এটাই বাস্তব। সেইকারণে সরকারী পরিষেবার পরিসর ধীরে ধীরে কমিয়ে দিচ্ছে সরকার। সেই জায়গায় বেসরকারি বিনিয়োগ প্রবেশ করছে। আবার বেসরকারি কোম্পানিগুলো কিন্তু পরিষেবা থেকেও লাভের মুখ দেখে। সরকারী ক্ষেত্রে পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে ব্যয় হয়, বেসরকারি ক্ষেত্রে সেই খরচ অনেক কম হয় এবং বেসরকারি পরিষেবার খরচটাও সরকারী পরিষেবার খরচের চেয়ে বেশী হয়। সরকারী পরিষেবার ক্ষেত্রগুলোকে আধুনিকীকরণ করলে ব্যয় অনেকটাই কমে যায় কিন্তু ব্যয় বেশী এই অজুহাতে পরিষেবা ক্ষেত্রকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ফলে সরকারের আয়ের রাস্তাও সঙ্কুচিত হচ্ছে। পরিষেবা বাবদ যে অর্থ সরাসরি সরকারি কোষাগারে ঢোকার কথা তার বদলে কোম্পানিগুলো থেকে শুধুমাত্র কর বাবদ অর্থ সরকারী কোষাগারে ঢুকছে যার পরিমান অনেকটাই কম। আবার মানবসম্পদ আর মেধার সাথেও অর্থনীতির যোগসূত্র রয়েছে। একদিকে যেমন অর্থনীতি চাঙ্গা থাকলে তবেই দেশের মানবসম্পদ আর মেধা দেশের মধ্যে থাকবে নতুবা দেশের বাইরে চলে যাবে। অন্যদিকে দেশের মানবসম্পদ ও মেধা দেশের মধ্যে থাকলে একাধারে যেমন বৈদেশিক মুদ্রার আমদানি হবে তেমনি সরকারী ও বেসরকারি ক্ষেত্রের বিকাশ ও উন্নতি দ্রুততার সাথে হবে, যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি হলো সরকারী বাজেট দীর্ঘকাল ধরেই দেশের মানবসম্পদ ও মেধাকে সঠিক দিশা প্রদান করতে পারেনি, ফলে আমাদের মানবসম্পদ ও মেধাকে বিদেশমুখী হওয়াকে আমরা আটকাতে পারিনি আজ অব্দি।

    আমাদের বাজেটে নির্দিষ্ট আয়, ব্যয় আর বাজেট ঘাটতি দেখতে গিয়েই আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর নাভিশ্বাস উঠে যায়। ফলে অতিরিক্ত কিছু করতে বা তার পরিকল্পনা করতে পারা যায়না। এটাই বাস্তব। রাজ্যগুলোর অবস্থা আরও খারাপ, বহুকাল থেকেই রাজ্যগুলোর বাজেটে নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার অভাব যেমন স্পষ্ট তেমনি লাগামহীন বাজেট ঘাটতি। কেন্দ্রীয় সরকার তবু মাঝে মাঝে বাজেট ঘাটতিকে লাগাম দেওয়ার চেষ্টা করে, মাঝে মাঝে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা নির্দিষ্ট কিছু কারণে। রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে সেই চেষ্টা আমরা কোনোদিন দেখিনি। ফলে বেশীরভাগ রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রেই আমরা দেখতে পাই লাগামছাড়া ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াতে। এর থেকে বেড়িয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা আজ অব্দি দেখতে পাওয়া যায়নি। চার্বাক দর্শণের উপজীব্য অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়, "ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ, যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ"। বাজেটের যে নির্দিষ্ট খরচগুলো রয়েছে সেটাই করতে গিয়ে ঋণ করতে হয়। এরমধ্যেও রাজনীতি আছে - আমরা সেই ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি, কেন্দ্রের বঞ্চনা। সরকারে রাজনৈতিক দল পরিবর্তিত হলেও স্লোগানের পরিবর্তন হতে দেখলাম না। কেন্দ্র থেকে বলে টাকা পাওয়া যায়না, আমাদের রাজ্য থেকে যে করের টাকা কেন্দ্রীয় কোষাগারে জমা পড়ে সেই টাকা সময়মতো রাজ্য ফেরত পায়না। অথচ স্কুল, কলেজ, পৌরসভা, পৌরনিগম ইত্যাদির কর্মচারীদের (শিক্ষকসহ) সরকারী কর্মচারীর তকমা প্রদান করে রেখেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মাগগিভাতার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে, কিন্তু সেটা যারা রাজ্য সরকারী কর্মচারী হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নথিভুক্ত আছে তাদের ক্ষেত্রে। কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব অনুযায়ী স্কুল, কলেজ, পৌরসভা, পৌরনিগম ইত্যাদির কর্মচারীরা (শিক্ষকসহ) রাজ্য সরকারী কর্মচারী নয়। ফলে এদের মাগগিভাতা বাবদ যে টাকা হয় তা রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত বহন করতে হয়। অথচ আজ অব্দি রাজ্য সরকারের কোনো প্রচেষ্টা আমাদের চোখে পড়লো না যাতে করে এইসমস্ত কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য সরকারী কর্মচারী বলে নথিভুক্ত করানো যায়। এই কাজটি কোনো দুঃসাধ্য কিছু নয় এবং বাস্তব হলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট প্রস্তাব এসেছিল একটা সময়ে এই প্রেক্ষিতে, কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আজ অব্দি কোনো নির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করা হয়নি কেন্দ্র সরকারের কাছে। রাজনৈতিক দল বদলে যায় কিন্তু প্রত্যেক দলের চিন্তা ভাবনা একই। আসলে এই কর্মচারীদের রাজনৈতিক পরিসরে ব্যবহার করা হয়, যেটা সম্ভব হবে না এদের রাজ্য সরকারী কর্মচারীর তকমা থাকলে।

    বাজেটে আয়, কর্মসংস্থান ইত্যাদির জন্য কোনো পদক্ষেপ করা হয়না অথচ বিভিন্নখাতে অনুদানের ফিরিস্তির শেষ নেই। পুরোহিতকে ভাতা দাও, মৌলবীকে ভাতা দাও, ক্লাবকে পুজো করতে টাকা দাও, পুজোর সময়ে ক্লাবগুলোকে বিদ্যুতের বিলে ছাড় দাও, বিনা পয়সায় বা দুটাকা কেজি দরে চাল দাও রেশনে ইত্যাদি ইত্যাদি। ফলে প্রতি বছরে ব্যয়ের পরিমান বেড়েই চলেছে। অনুদানকেও দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেখানে অনুদান দিলে প্রান্তিক মানুষের উপকার হয়, দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠতে সাহায্য হয় সেখানে অনুদান দেওয়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবেই ধরা হয়। যেমন দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে বা সেই পরিবারের ছেলে-মেয়ের শিক্ষার জন্য বই-খাতা বা সাইকেলের জন্য বছরে অনুদান দেওয়া উচিৎ। প্রান্তিক কৃষক যাদের চাষ আবাদ করার জন্য ব্যাঙ্ক বা মহাজনের ঋণের ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের প্রদেয় সুদ অনুদান হিসেবে দেওয়া উচিৎ। কিন্তু যেখানে অনুদান কোনো প্রান্তিক মানুষের কাজে আসেনা সেই অনুদান বাহুল্য। কিন্তু এখানেও রাজনীতি লুকিয়ে আছে, যেখানে অনুদান দিলে আমার ভোটব্যাঙ্কের আয়তন ফুলেফেঁপে উঠবে সেখানেই অনুদান দেওয়া উচিৎ, অর্থশাস্ত্র যাই বলুক না কেন।

    অন্যদিকে রাজনৈতিক অনুদানের পিছনে যে ভয়ঙ্কর বিষধর সাপটি লুকিয়ে আছে সেটি হলো, মেরুদণ্ডের বক্রতা, মানবসম্পদ ও মেধার অবনমন। বিনা পরিশ্রমে এবং বিনা পয়সায় অনুদান পেতে পেতে মানুষগুলোর মেরুদন্ড বেঁকতে বেঁকতে কুণ্ডলীর আকার ধারণ করেছে। মানবসম্পদ আর মেধার অবনমন যা এরমধ্যেই হয়ে গেছে তাতে আগামী অন্ততঃ পঞ্চাশ বছর রাজ্যবাসীকে ভুগতে হবে। আশু প্রভাব, যেগুলো এরমধ্যেই দৃশ্যমান সেগুলো হলো:

    ১) শ্রমজীবী মানুষ পরিশ্রম বিমুখ হয়ে পড়ছে যার প্রভাবে রাজ্যের ও দেশের উৎপাদন ক্ষমতা কমছে। কৃষি এবং শিল্পে এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে।
    ২) কথাতেই আছে, there is no free lunch, কোনো না কোনো ভাবে বিনামূল্যের জিনিসের দাম মেটাতে হয়। জনপ্রতি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে (বর্তমানে রাজ্যের ঋণের অংশ হিসেবে জনপ্রতি ৬০০০০ টাকা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ যোগ করলে অঙ্কটা এক লক্ষের ওপরে যাবে)। সুতরাং দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাচ্ছে মানুষেরা প্রতি বছর। হিসেবটা ছিল কি করে দারিদ্র্যসীমার উপরে তুলে আনা যায় প্রান্তিক মানুষদের আর উল্টে গিয়ে হচ্ছে যারা দারিদ্র্যসীমার উপরে আছে বর্তমানে তারাও আসতে আসতে সীমার নীচে চলে যাচ্ছে। 
    ৩) কর্মবিমুখতার পাশাপাশি সমাজের একটা বড় অংশ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
    ৪) মানুষ অনুদানের অর্থ পেতে গিয়ে ভালো আর খারাপের পার্থক্য করতে পারছে না। ফলে সমাজে হানাহানি, খুনোখুনি, ধর্ষণ ইত্যাদি খারাপ কাজের বৃদ্ধি ঘটছে।
    ৫) রাজনৈতিক দল বা বলা ভালো শাসকদল যা বলছে নির্বিকার চিত্তে তা মেনে নিচ্ছে মানুষেরা। শিক্ষিত, অশিক্ষিত; শ্রমজীবী, বুদ্ধিজীবী সবাই একই গোত্রের। অশিক্ষিত, শ্রমজীবী বলে যারা পরিচিত তাদের জন্য অনুদান একরকম আর শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবীদের জন্য অনুদান আরেকরকম, পার্থক্য শুধু এইটুকুই।
    ৬) মানুষ বেকারত্বের জ্বালা, কর্মসংস্থানের চাহিদা ইত্যাদি ভুলে গেছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংঘঠিত করতে বিরুদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে। শাসনকাল দীর্ঘায়িত করার এ এক ধ্বংসাত্বক কৌশল।
    ৭) বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী বলে রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ। কোনো বড় প্রকল্প নেই, কোনো ভারী বা ক্ষুদ্র শিল্প নেই, নতুন রাস্তা বা বর্তমান রাস্তা চওড়া করা নেই, অর্ধেকের বেশী বাস রাস্তায় নামে না, সরকারী বাস সংস্থাগুলো উঠে যাওয়ার পথে ইত্যাদি ইত্যাদি। কলকাতার বিভিন্ন উড়ালপুলগুলোতে চওড়া ফাটল সকলের চোখে পড়লেও সরকারের চোখে পড়ছে না, কারণ সাড়ানোর পয়সা নেই। মন্ত্রীকে যার ফলে বলতে হচ্ছে ওটা এমন কিছু নয়। উন্নয়ন বলতে চতুর্দিক শুধু সাদা-নীল রং করে দেওয়া নয়।
    ৮) রাজ্য সরকারী পরিষেবা বলতে রাজ্যে এখন "অনুদান"ই একমাত্র জীবিত, বাকীসব অনেকদিন আগেই ইহলোক ত্যাগ করেছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন