নাসিমা সুলতানা জন্ম: ১৫ই জানুয়ারি, ১৯৫৭, কুষ্টিয়া। ১৯৮২তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ। লেখালেখির শুরু স্কুল জীবনে। প্রথম মনস্ক আত্মপ্রকাশ ১৯৭৬ এ সমকাল পত্রিকার মাধ্যমে। "কবি নাসিমা সুলতানা মারা যান ১৯৯৭ সনে। আমৃত্যু ক্যান্সারের সাথে লড়েছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার কবিতাগ্রন্থ খুব সম্ভবত দুটি। এখন অবশ্য তার রচনাসমগ্র পাওয়া যায়। তিনি বেশকিছু গল্পও লিখেছিলেন।" ... ...
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে কিছুটা এমনই স্মৃতি আমাদের অনেকেরই। ...হেমন্তচর্চা: কিছু গান, কিছু স্মৃতি -- লিখেছেন শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরীআমাদের অনেকের বাড়িতেই টেপ রেকর্ডারে বেজে গেছে হেমন্তের গান, একের পর এক। কখনও ঘোরের মধ্যে শুনেছি, কখনও বহুদিন পর, কখনও কিছুদিনের তফাতে। কিছুটা আলো-আঁধারের গান গেয়েছেন হেমন্ত; কখনই শোকে সম্পূর্ণ নিমজ্জন নেই সেই কণ্ঠে, আবার আনন্দের পাল তরতরিয়ে ছুটেছে, এমনও নয়। একটি একটি করে গান গাইতে গাইতে তিনি এগিয়েছেন, জড়িয়ে গেছে আশেপাশে কত নাম তাঁর সঙ্গে। সলিল চৌধুরী, নচিকেতা ঘোষ বললেই এঁদের মানিকজোড় নামটি হেমন্তের; এমনকি মহানায়ক উত্তমকুমার বললেও হেমন্তই মহানায়কের কণ্ঠ। পুরোটা পড়ুন ... ...
কদিন হল অফিস বাসেই যাচ্ছি। অর্থে কুলাচ্ছে না। কত যোগান দেব ক্যাবের টাকা। যাক সেসব দুঃখ শুনিয়ে আর লাভ নেই। আজকে বাসে উঠে দেখলাম বেশ ফাঁকা। যদিও প্রতিদিন সকালে ফাঁকাই থাকে। কারণ, সিটের জন্য সকাল বেলা ভাইকে দৌড় করাই বাসস্ট্যান্ডে।
একটি নির্বাসন কথা#মৌসুমী_ঘোষ_দাস# নদীর এই দিকটাতে কোন লোকালয় নেই। ঘন জংগল, মাঝেমধ্যে দু-একটি ক্ষুদ্র পাতার কুটির রয়েছে । এই নিরালায় নির্জনে এই কুটিরগুলোতে স্বল্পসংখ্যক তপস্বীর বাস। নদীর এই ঘাটেই একটি নৌকো এসে ভিড়ল। নৌকা থেকে নেমে এলো এক অসামান্যা সুন্দরী নারী আর সুন্দর এক পুরুষ। সম্পর্কে তাঁরা দেবর বৌদি। দেবরটি অতি সন্তর্পণে এক হাঁটু কর্দম পেরিয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বৌদিকে এনে বসালো ঘাট থেকে সামান্য উঁচুতে অবস্থিত একটি ছায়াশীতল বৃক্ষের নিচে। নিজে দাঁড়িয়ে রইল শুষ্ক, বিষন্ন, বিচলিত মুখে। যেন কিছু একটা বলতে চায়, কিন্তু কিছুতেই বলতে পারছে না। দেবরের শুষ্ক বিষন্ন মুখ দেখে এবারে মেয়েটি ভারি চিন্তিত হল। সে ... ...
অর্ণব গোঁসাইকে গ্রেফতার (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যদিও আটক / detain লিখছে) করা হয়েছে। রিপাবলিক টিভিকে কার্টুন চ্যানেল ও অর্ণবকে রোগ - (বাংলা ও ইংরেজিতে) মনে করি। কিন্তু ২০১৮ সালে যে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের মামলায় অর্ণবকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তা আদালতে ক্লোজড হয়ে গিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, সেই মামলা নতুন করে শুরু করে অর্ণবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের সরকার অর্ণবের পক্ষের ছিল বা ভাইস ভার্সা। ২০১৯ সালে সরকার বদলায়। অর্ণবকে মুক্ত রাখা পূর্বতন সরকারের পক্ষে জরুরি ছিল এবং এই সরকারের সঙ্গে অর্ণবের মনোমালিন্য বেশ কিছুদিন ধরেই স্পষ্ট। স্পষ্ট যে সরকারের অঙ্গুলিহেলন দুবারই বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে। পুলিশের উপর সরকারের প্রভাব সুবিদিত। কিন্তু বিচারব্যবস্থার উপর ... ...
ডাক্তার পূর্ণেন্দু ঘোষ ও লালগঞ্জের স্মৃতি [ তার মৃত্যুদিনে (৪ঠা মে) একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ] রাঙাডাক্তার গ্রামের পথ দিয়ে ফিরে আসছেন। ভাঙড়ের বাগবাড়ীতে তাদের সংগ্রাম পর্যুদস্ত হয়েছে। মন তার ভারাক্রান্ত।
#সকালের_লড়াই_আর_চায়ের_কাপ _________________ আমার প্রতিটা সকালই প্রানোজ্জল থাকে। সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের মুখটা দেখার পর মনে হয় পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর জিনিসটা দেখালাম বোধহয়।আর যদি আমার থাকাকালীন মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় তো কথাই নেই।যতক্ষন থাকি আমার কোলে ঘুম জড়ানো চোখে মাথাটা গুঁজে থাকে। এই পাওয়াটা অনেক বড় আমার কাছে। ঠিক অমরত্ব পাওয়ার মতই। যাক এবার আসল কথায় আসি।আজকেও যথারীতি সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের ঘরে গিয়ে ওর মুখটা দেখে এসে চেয়ারে বসে চায়ে চুমুক দিলাম।দেখলাম “মন” একবার নক করল হাসিমুখে ।সকালের এই ঘুম থেকে ওঠা আর অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর মধ্যেকার সময়টা বড় অদ্ভুদ আমার কাছে। প্রতিদিন ... ...
এক বড় বসকে ছেলেটা খুবই ভোগাচ্ছে কদিন ধরে। বড় বস অর্থে, প্রত্যয়ের পরিচয় সে এই অফিসের একজন ডেলিভারি ম্যানেজার, যার দায়িত্বে অনেক ছোট ছোট দলে সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন কাজ করে । যাদের মধ্যে একজন এই ছেলেটা, শান্তনু । অর্থাৎ বুঝিয়ে বললে প্রত্যয় শান্তনুর ম্যানেজারের ম্যানেজার। যখন মিটিংরুমে সবাই গম্ভীর মুখে প্রত্যয়ের কথা শোনে, শান্তনু এককোণে চেয়ারে বসে ঝিমোয়। সবসময় তার মধ্যে একটা ঘুম ঘুম ভাব, একেবারেই সিরিয়াস না। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলেই অফিস ডুব দেয়। পরদিন ধরলে বলে, "বৃষ্টি পড়ছিল তো, তাই আসতে ইচ্ছে করেনি। বাড়িতে বসে বৃষ্টি দেখলাম, তেলেভাজা আর চা খেলাম।" ক্যান্টিনে শান্তনু তার টিমেরই অনিন্দিতার সঙ্গে ... ...
নদীটা আর বয় না তেমন করে; পলির পরত স্রোতকে টেনে রাখে
একটা ছবি দেখেই আপনি মহাকাশকে ভালোবেসে ফেললেন, অথচ আপনার একটা পৃথিবী ছিলোএকটা গৃহকোণ ছিলোএকটা বিড়ালএকটা ফিসবৌলে একটা হিরণ্ময় গোল্ডফিসএকটা শেফালি গাছ, হেমন্তরাতে যে গাছটা আপনার জন্য ফুল ফোটাতো এবং ভোরে শিশিরসিক্ত ফুলগুলো সব ঝরিয়ে দিতো অগুন্তি তারার মতো আপনার পায়ের কাছে। প্রিয় মানুষ, আপনি মাথা ঝুঁকিয়ে মাটিতে তাকালেই দেখতে পেতেন মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা তারার চেয়ে সুন্দর এবং সুগন্ধমাখা অপরূপ সৌন্দর্যের নান্দনিক পশরাপ্রিয় মানুষ, নিঃশব্দে নীরবে আপনাকে ভালোবাসতো একজন নারী, আপনি সেটা জানলেন না, তার চোখে চোখ রাখলেন না, পড়ে দেখলেন না তার অব্যক্ত অনুভূতিতে লুকিয়ে থাকা অক্ষরগুলো, অথচ একটা ছবি দেখেই আপনি মহাকাশকে ভালোবেসে ফেললেনএ-ই হয় বুঝলেন, আপন হতে পারার ... ...
---
একটা ছোটো বিষয় পরিষ্কার করা দরকার হতে পারে। আমি সিপিএম সমর্থক হিসেবে শ্রমজীবি ক্যান্টিন পরিচালনার কাজে জড়িয়ে আছি। গত লকডাউন থেকেই অনিয়মিত ভাবে এ কাজ পাড়ায় চালাচ্ছেন সিপিএম-এর সদস্য সমর্থকরা। তখন ছিলাম এখনও আছি। যা প্রয়োজন তার তুলনায় কিছুই করতে পারি নি এবং ব্যক্তিগত সামর্থ্যের শেষ সীমায় পৌঁছেছি, দুটি কথাই সত্যি। প্রথমটিই বেশি সত্যি, তবে নির্মম না, কারণ কিছু লোক শ্রমের মূল্য পান না তার চেয়ে নির্মম কিসু নাই। আমার রাজনৈতিক কাজকর্ম রাজনৈতিক ভাবে বামেরা কোণঠাসা হবার পরে আরো বেড়েছে। এতদ্বারা আমি মহান প্রমাণ হল না অবশ্যই। ... ...
স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতির যুগে একটা ইয়াং ছেলে যাকে সবাই দলছুট ভাবে, এমনকি ঘোর অ-সিপিআইকেও দেখেছি তার নাম উচ্চারণের সময় স্বর পাল্টে যায়, সে হঠাৎ করে একটা হাক্কা চাউমিন মার্কা দলে ঢুকে গেলো, তা মেনে নেওয়া উনিশশো ষাট থেকে আশি যাদের জন্ম, তাদের পক্ষে মনে হয় একটু কঠিনই।কিন্তু এটাও ঠিক যে আমাদের ছোটবেলা থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটা প্যাটার্নের মতো দেখতে পাচ্ছি। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা লালুপ্রসাদ যাদব, বা আমাদের ঘরের ছেলে ঋতব্রত, এরা ঐ প্যাটার্নের খুব ভালো উদাহরণ। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু। তারপরে ছাত্র রাজনীতি থেকে একটু মাঝবয়সের দিকে কিছুদিন ট্রেড ইউনিয়নটাও দুটো বা তিনটে টার্ম করে এলে আরো ভালো। রাজ্য সরকারের অফিসারদের যেমন ... ...
মূলত হিন্দি, (ইদানিং কিছু দক্ষিণীও) "বাণিজ্যিক" সিনেমা সম্পর্কে একটা কথা শুনি, "পয়সা উশুল"। ওগুলো দেখতে হলে নাকি নাক-কান-চোখ, স্বাভাবিক বুদ্ধি ইত্যাদি সব কিছুই বিসর্জন দিয়ে দেখতে হয়, তাতেই মোক্ষ, এনজয়মেন্টের চূড়ান্ত, অর্থাৎ কিনা পয়সা উশুল। তো, কথাটার এমনিই কোনো মানে নেই, কারণ, প্রথমত উপভোগের আবার বাণিজ্যিক-অবাণিজ্যিক কী? দর্শকের পরিপ্রেক্ষিতে, সব সিনেমাই বাণিজ্যিক, পয়সা দিয়েই দেখতে হয়। উপভোগ না করতে পারলে খামোখা লোকে দেখবেই বা কেন? লোকে তো পাগল না। তবে এর চেয়েও প্রলয়ঙ্কর হল, দ্বিতীয় পয়েন্টটা, অর্থাৎ চোখ-কান-বোজা। এর চেয়ে বেশি হাস্যকর কথা খুঁজে বার করা অসম্ভব। আজ অবধি এমন কথা শুনেছেন, যে, আপনি মাঠে ক্রিকেট দেখতে গেছেন, কাকে চার-ছক্কা ... ...
আঠারো বছর বাদে রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল। বিতর্কের মুখোমুখি হতে হবে জেনেও বলি, আঙ্গেলিকা মেরকেল একজন সৎ কমিউনিস্ট! হামবুর্গে জন্ম। বাবা-মা পূর্ব জার্মানি চলে যান। দীক্ষা কমিউনিজমে। সেই সাধাসিধে জীবন যাত্রা বজায় রেখেছেন। পূর্ব জার্মানির অবস্থা খুব ভালো ছিল না। বার্লিন দেয়াল পতনের পরে তাঁর প্রথম মন্তব্য ছিল আশা করছি এবার বাড়ির কাঁচের জানলা গুলো ঠিক হবে। বড়ো ঠাণ্ডা হাওয়া ঢোকে এই প্রাচীন জানলা দিয়ে। ... ...
“অধিবাসের কুলো মাথায় আমাদের পুত্রবধূ নেহা-র প্রবেশ যখন মন্দিরে দেবীর আমন্ত্রণের জন্য পূজারীর দ্বারা, উপলব্ধি করতে পারছিলাম - আমার দাদুভাই, ঠাম্মা, বাবা, মা, কাকুমণির আশীর্বাদ ঝরে পড়ছে ওনাদের বংশের নববধূর উপর অকাতরে।“ - লিখছেন সুপ্রিয় দেবরায়
কাটারির কোপ, নেমে আসা / এক অভিশাপ অতি
প্রথম দেখা তা প্রায় বছর আড়াই এর কিছু বেশীই হবে। স্বামীর চাকরিসূত্রে বদলির ফলে নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষজনের মধ্যে এসে পৌঁছলাম। সরকারী কোয়ার্টার। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকায় ঘরে একটা কেমন উদ্ভট গন্ধ আর আগের জায়গা ও পরিচিত জনেদের ছেড়ে আসার মন খারাপ নিয়ে ঘরের জানলাগুলো একে একে খুলতে শুরু করলাম। বর্ষা তখন মাঝপথে। জানলার বাইরে তখন ঘোলাটে মেঘলা আকাশ, আমার মনের আকাশেও তারই ছায়া। চারপাশে সবুজের সম্ভার। পিছনের অংশে বেশ জঙ্গলই বলা চলে। যতদূর চোখ যায় ততদূর ঘন সবুজ রঙা। দূরে কোনোও একলা অচেনা পাখির ডাক মন খারাপের মাত্রা আরোও বাড়িয়ে দিলেও বাস্তবে ফিরে আসতেই হল। আসবাবপত্র সমেত ট্রাক এসে পৌঁছেছে। চরম ব্যস্ততা। সারাদিন ব্যস্ততায় আর অন্যদিকে মন ... ...