করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। গেলবারের মতন এইবছর বাড়িতে আটকে থাকার পরিস্থিতি নয়। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন তা পুনর্মূল্যায়ণের দরকার মনে করছেন নিশ্চয়ই। বিশেষতঃ চারদিক থেকে মাস্ক পরা নিয়ে এত সতর্কবার্তা আসছে, তাই আসুন, আমরা আরেকবার দেখে নিই- কী পরবেন, কেন পরবেন, কীভাবে পরবেন? ... ...
মন বলল কবিতা লেখো, / হাত টেনে নিল তুলোট কাগজ
মাছ খাইবা ইলিশি, চাকরি করিবা পোলিশি - এটি একটি ওড়িয়া ভাষায় প্রচলিত প্রবাদ। মানেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। আজকে বাঙালির রসনায় মাছের সেরা মাছ ইলিশ নিয়ে দু চার ক্থা। প্রথমেই বলি ছোটবেলার স্মৃতি। বাবাকে দেখতাম মাঝে মাঝে অফিস ফেরৎ হাতে ইলিশ ঝুলিয়ে ফিরতেন। তখন মনে হয় সান্ধ্যকালীন বাজারে গঙ্গার ঘাটে ইলিশ উঠত। বিক্রেতারা সুন্দর কায়দায় ইলিশের মুখে দড়ি দিয়ে ক্রেতাদের হাতে দিতেন। বেশ হাতে ঝুলিয়ে আনা যেত। এভাবে কখনো কখনো জোড়া ইলিশও আসতে দেখেছি। সেদিন বাড়িতে অবধারিতভাবে খিচুড়ি হতো। মার হাতের খিচুড়ি, সুরভী বা ঝর্নার গাওয়া ঘি আর ইলিশ মাছ ভাজা, বাইরে বৃষ্টি, এর পরে সিধে বেহেশত যাওয়াটাই ... ...
গল্প আমাকে ছেড়ে গেছে একেবারে, আঙুলগুলো শীতনিদ্রায় জড়োসড়ো যেনো, কলমের সাথে কয়েক আলোকবর্ষ দূরত্ব এখন, পেছনে তাকাই মাঝে মাঝে, অবাস্তব সব 'আমি'কে দেখি, দেখি মায়াবী মুহূর্তের মরীচিকা, দেখি মুছে যাওয়া মেঠো পথ, মাটির গন্ধ লাগে নাকে, নস্টালজিয়া, যদিও ঠুনকো কাঁচের মতো ভঙ্গুর সব, নতুন জীবনের সামান্য আঘাতে গুড়িয়ে যেতে সময় নেয় না মোটেই।পাপা, মেয়ের ডাক, মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে সম্ভবত, ক্যান ইউ হেল্প মি প্লিজ! ... ...
চিরশ্রী দেবনাথ হেমন্তের খাতা বেশ কয়েক বছর পর একজন কবি নোবেল প্রাইজ পেয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকালেই হেমন্ত খুঁজে পেল দুটো নতুন রকমের নক্সাকাটা প্রজাপতি, ঘাসের ডগায় দুলছে।এ তবে পৃথিবীর আনন্দ উৎসারণ। কোথাও নতুন কিছু সৃষ্টি হলে, আনন্দের কিছু হলে পৃথিবী উপহার দেয়। হয়তো যে উপহার পেয়েছে সে জানলই না, তার জন্য জমা হয়েছেশিশিরের চিঠি।টি ভির খবরে বার বার ভেসে এসেছে কবির নাম, যেন কোথাও অর্ন্তদহনের রেজাল্ট বেরিয়েছে। সেই কবি কেমন কবিতা লেখে তা জানে না হেমন্ত। হেমন্তও কবিতা লেখে। তার কবিতার ভাষা অনাধুনিক। বহু পুরনো শব্দ ব্যবহার করে পুরনো ঢং এ লেখা লাইন। এইসব লাইন বৃষ্টি থেকে পাওয়া, দুগ্ধলালিত, নরম পলির আলপথের মতো। চারপাশে মাঠ, দূরে ... ...
এই যে ভগবান, তুমি যা বলবে আমি ঠিক তার উল্টোটাই করবো।আমি কানে একেবারেই কম শুনি, একটু চিল্লিয়ে বললে ভাল হয়! -- কি? পাপ দেবে ? -- তা দাও দেওয়ার জন্যই তো তুমি! সকাল বিকাল কতো কি-ই তো চাইছি - শুনতে পাও না? তুমিও কি কালা? -- চাইলেই পাবে না ! -- ঢং ! তাহলে কি কাজে আসো তুমি ?-- বিশ্বের সৃষ্টি স্থিতি আর বিনাশ!-- বড় বড় ডায়ালগ আর জ্ঞানের ভাষনে তো বাজার গরম করে দিচ্ছো। ... ...
একফালি রোদে আর কতদিন চলে / প্রলয় কি সূর্যকে ছেড়ে কথা বলে?
এটা আসলেই মজার বিষয় এখনো কনফিউজড হওয়া যায়! কেন যেন তবু খুশি লাগছে না। খুশি লাগছে না। একটা জিনিস অন্য জিনিসগুলোকে ছুঁয়ে ফেলে, যেন কোন কম্পুটার ভাইরাস। কনফিউশান ভাইরাস। একটা ডাকাত বাজার করতে যাবার সময় টের পেতে পারে বাজারের কোনো দোকানে হয়তো এবার ডাকাতি হবে, যে ভালো মানুষ সে টের পাবে না। পাঁকা গোয়েন্দাও হয়তো টের পাবে কিন্তু তেমনটা কেবল হয়তো গল্পেই হয়।তাহলে জেনে লাভ কি? বুঝে লাভ কি? যখন যে অনুভব করে সেই অপরাধী। তাহলে নাম্ব হয়ে যাওয়াই ভালো। চুপচাপ টুপটাপ তব্দা - থামিয়ে দাও সব কিছু, স্টপ! ফিরে যাই একেবারে ছোটবেলায়। ... ...
আজ বঙ্গসম্মেলনে বঙ্গসঙ্গীত জমায়েতে শুনলাম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সংস্কৃত মন্ত্রপাঠ। সিনেমা করলেই কী জানি কেন, লোকের ধারণা হয় তারা সংস্কৃত থেকে ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস, সবই পারে। অতএব উনি স্যামবাজারের সসিবাবুর ধরণে দিব্যি সর্বভূতেsu শক্তিরূপেণ বলে অনেকবার খুব চিল্লামিল্লি করলেন। এছাড়া একটু নাচলেনও। শিল্পে সমঝদাররা কিছু দেখে বলেন বাহ, কিছু দেখে বলেন আহা, আর তার উপরে গেলে বলেন হায়। আমি এটায় হায় বললাম। নাচলেন কেনরো পার্বণ ছিল থিম। বাঙালির সঙ্গীত নিয়ে অনেক ভালো ভালো লম্বা লম্বা কথা শোনা গেল। সৌম্যজিৎ বললেন একমাত্র বাঙালির পক্ষেই সম্ভব থিয়েটার রোডের ... ...
কলিয়ারির কালো ইয়ারি ওয়ার্ধা নদীর ধারে ওয়ার্ধা ভ্যালি কোলফিল্ড প্রধানত ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিদর্ভ অঞ্চলের চন্দ্রপুর জেলায় অবস্থিত। এখানে অনেকগুলি ওপেন কাষ্ট কোল মাইনস (খুলি খাদান) গড়ে উঠেছে। এমন একটি খুলি খাদানে পরিচয় হয়েছিল কালু কাওয়ালের সঙ্গে এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে। ও মাইনসে তখন লোডিং মেসিন ওপারেটরের কাজ করত।প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার এবং কৃষ্ণবর্ণ। হেভি ওয়েট। শৌখিন। পোষাক জিনসের প্যান্ট, লাল টি সার্ট। মাথায় ঝাঁকড়া চুল। পিছনে চুল বাঁধা। হেলমেটের তলা দিয়ে চুল চার পাশে বেরিয়ে এসেছিল। হাতে স্টিলের বালা। চোখে সান গ্লাস। ... ...
সেকেন্ড বার্থমৌসুমী ঘোষ দাস (ছোটো গল্প) অন্ধকার ব্যালকনি থেকেই যূথিকা বুঝতে পারলেন অনির্বাণ আর রিয়া ফিরেছে অফিস থেকে। সারাদিনে এইসময়টাতেই যেন প্রাণ ফিরে আসে বাড়িটায়। যূথিকাও একটু শ্বাস নিয়ে বাঁচেন। তোড়া অবশ্য বিকেলেই ফেরে স্কুল থেকে। খুব শান্ত, কম কথা বলে। চেঞ্জ করে খাবার খেয়ে একটু ল্যাপটপ নাড়াচাড়া করেই স্টাডি রুমে ঢুকে যায় ... ...
ভালবাসি মা কে, বাবা কে, তারা আমার হৃদয়ে আছে, পাশেই আছে, সবসময়।ভালবাসি আমার পরিবার কে।ভালবাসি আমার বন্ধু, বান্ধবীদের, আমার বান্ধবীসম স্ত্রীকে।ভালবাসি নীল আকাশে সাদা মেঘ, সবুজ গাছ গাছালি, ছোট্ট নদী, যারা সমুদ্র এড়িয়ে চলে। ভালবাসি বৃষ্টির বড় ফোটাতে ভিজতে, অথবা দুপুর রোদে ছুটতে।ভালবাসি শব্দ, অথবা ভালবেসে নি:স্তব্ধতা কে আপন করে রাখতে।ভালবাসি ছোট বেলা, কফি হাউসের অশান্ত যৌবন, ফিরে তাকান বার্ধক্য, দখিনের জানলা ধরে।ভালবাসি একা একা নিজের মনে কথা বলা, গল্প বলা।ভালবাসি যা খুশি পড়তে, লিখতে।ভালবাসি সবার সঙ্গে মিছিলে পায়ে পা মেলাতে, প্রতিবাদে মুখর হতে।ভালবাসি তোমায়, ভালবাসি তোমাদের সবাইকে, এই পৃথিবীকে, সব মানুষ কে।ভালবাসা, তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা, তুমি আমার একান্ত আপন, ... ...
- ও পাথ্থরে আলতা জল দিছ বুঝি? দুধ ও দিবা - দুধ আলতা হওন লাগব তো? বউ আইস্যা পাও দিব ......... তোবড়ানো টিনের একটু কানা উঁচু থালার লাল রঙের জল আস্তে আস্তে ছুঁয়ে যাচ্ছে সুমতিবালার আঙ্গুল। মনে মনে সে কথা বলে যাচ্ছে - শব্দহীন। তার ঠোঁট সামান্য কাঁপছে। কাঁপছে তার হাত। আঙ্গুল গুলো ঠাণ্ডায় ভিজে যাওয়া কাগজের মত কোঁচকানো – কিন্তু লাল রঙে রঙিন। ... ...
এটা সে সময়ের কথা, যখন আমি কলেজে পার্ট-টাইমার, আর ছুটির দিনে বাড়িতে প্রাইভেট টিউটর। প্রাইভেট টিউটর কিসের – না ইংরাজি অনার্সের। অর্থাৎ কিনা, চসারও জানি, চাটনিফিকেশনও জানি। সে এক আশ্চর্য সময়, সে এক দুঃসহ সময়।এমনই এক সন্ধেয়, কলেজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে সবে হাতমুখ ধুয়ে বসেছি, হাল্কা একটা গান চালিয়েছি আপনমনে অ্যারিস্টোক্র্যাটিক ফুর্তি করবো বলে, এমন সময় ফোন।-হ্যালো?-“Hello, is this Suvankar Sir? Me ………… Banerjee!”, নারীকণ্ঠ।-বলছি।-You teach in private? এমনিতেই বাঙালী সাহেব-মেমরা ফোন করে ইংরাজি ঝাড়লে প্রচণ্ড মাথা গরম হয়। আমি উল্টে সাধারণ ইংরাজি কথাগুলোকেও বাংলা করে বলতে শুরু করি। বললাম, “হ্যাঁ, আমি বাড়িতে পড়াই।” “আমাকে পড়াবেন please?”, বলেই সে বলল যে ... ...
অস্পৃশ্য রাষ্ট্রজল প্রতিদিন জল আর বাঁ হাত দিয়ে গু সাফ করি।কিন্তু পোঁদটাকে আর কাজটাকে কখনো নোংরা মনে হয় না।রাস্তা দিয়ে যখন যাই তখন মনে হয় কি নোংরামি এই দেশ ভাগ। কি জঘন্য চক্রান্ত এই ব্যাপারটা।এই মন্বন্তর! এই দূর্ভিক্ষ! এই ধর্ম ধর্ম ধর্ম!!!বনগাঁ লোকালে এখন ভীষণ দূর্ভিক্ষ, ভীষণ মন্বন্তর, ভীষণ ধর্মও... অর্থাৎ রিফিউজি।দূর্ভিক্ষ আর মন্বন্তরের কোনো রাষ্ট্র থাকে না। শতাব্দীর অস্পৃশ্যের মতো এরাও অস্পৃশ্য অচ্ছুৎ। এই শতাব্দীর রাষ্ট্রজল আর বাঁ হাতের কাছে, সবসময়...~ শুভঙ্কর বৃক্ষ ... ...
লে হালুয়া! কাকে ধরে কাকে ছাড়ি / বগলে চাপা চপ গুঁজে রাখি।
বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের জোয়ারের মাঝেই ভগিনী নিবেদিতা (২৮শে অক্টোবর ১৮৬৭ - ১৩ই অক্টোবর ১৯১১) আশঙ্কা করেছিলেন ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে যে বিপ্লববাদী কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন তাতে যে কোনো সময়ে ইংরেজ তাঁকে গ্রেপ্তার করবে। নিবেদিতা নিজে লিখছেন তাঁর বিশেষ কাছের মানুষ মিস ম্যাকলাউডকে; "মানুষের চরিত্র পরিবর্তনের জন্যে জেলের জীবন কি বিশেষ কোনো সুযোগ এনে দেয়? তেমনটি তোমার মেয়ের (অর্থাৎ নিবেদিতারই) বিষয়ে বাস্তব হয়ে উঠুক তা বিশেষ ভাবে চাই (১৯০৬ সালের মে মাসের ৩০ তারিখে এই চিঠিটি নিবেদিতা লিখেছিলেন)। ... ...
এক: হাফ্ প্যান্ট পরে ঘর্মসিক্ত মুখে বাজারের ব্যাগ হাতে কন্যাশ্রীর পিতা এলেন দু কিলো চাল, দু কিলো আলু, আড়াইশো চিনি, একটা সাবান নিতে। মেয়ে পড়ে ক্লাস সেভেনে। ফোন নেই। স্মার্ট ফোন। জিজ্ঞেস করলাম পড়াশোনা করে কি করে? জানাল, দিদি, পড়াশোনা করছে না। একবার একটা বন্ধুর থেকে প্রশ্ন নিয়েছিল তারপর করেছিল। বললাম আজকে যাবার সময় প্রশ্ন নিয়ে যাবেন, ওখানে দিদিমণির কাছ থেকে চাইবেন। ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাল। কিন্তু যাওয়ার সময় দেখলাম সোজা চলে গেল।দুই: অভিভাবকদের সই করে মিড ডে মিলের সামগ্ৰী নিতে হচ্ছে। কিন্তু পাশে ইঙ্ক প্যাড রাখা, যদি কারোর প্রয়োজন হয়। যাই হোক। দুরকম ব্যবস্হাতেই বিলি বন্টন চলছে। একজন অভিভাবক ... ...
বিকল্প মিডিয়া নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম আগের দিন। আমাদের কথা, অর্থাৎ গুরুচণ্ডা৯ নিয়ে কিছু লিখিনি। সেটাও বলা দরকার। আগামী বছর গুরুচণ্ডা৯র কুড়ি বছর হবে। ২০০৪ সালে ওয়েবসাইট খোলা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত গুরুচণ্ডা৯ সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ, আমরা বই ছাপি, বিক্রিও করি, কিন্তু যদি তা থেকে লাভ-টাভ কখনও হবার সম্ভাবনা হয়, তাহলে সেটা পকেটে পুরে কেউ বাড়ি নিয়ে যায়না। বইয়ের ক্ষেত্রে লাভ করার বিশেষ চেষ্টাও অবশ্য আমরা করিনা, কম দামে সুলভে বই দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য। লেখালিখির ক্ষেত্রে লক্ষ্য, 'অন্যরকম' ঘরানাকে উৎসাহ দেওয়া, তৈরি করা। আর ইন্টারনেটে লক্ষ্য একটা আলোচনার পরিসর তৈরি করা। বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক অ্যাফিলিয়েশন আমাদের কোত্থাও নেই। ... ...