এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভগিনী নিবেদিতার গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা ঘিরে শঙ্কা

    Gautam Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ নভেম্বর ২০২০ | ৮৮৩ বার পঠিত
  • বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের জোয়ারের মাঝেই ভগিনী নিবেদিতা (২৮শে অক্টোবর ১৮৬৭ - ১৩ই অক্টোবর ১৯১১) আশঙ্কা করেছিলেন ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে যে বিপ্লববাদী কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন তাতে যে কোনো সময়ে ইংরেজ তাঁকে গ্রেপ্তার করবে। নিবেদিতা নিজে লিখছেন তাঁর বিশেষ কাছের মানুষ মিস ম্যাকলাউডকে; "মানুষের চরিত্র পরিবর্তনের জন্যে জেলের জীবন কি বিশেষ কোনো সুযোগ এনে দেয়? তেমনটি তোমার মেয়ের (অর্থাৎ নিবেদিতারই) বিষয়ে বাস্তব হয়ে উঠুক তা বিশেষ ভাবে চাই (১৯০৬ সালের মে মাসের ৩০ তারিখে এই চিঠিটি নিবেদিতা লিখেছিলেন)।

    বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ আধ্যাত্মিক জীবনে সরে যাওয়ার বেশ কিছুকাল পরে "পবিত্র" নামক কারো সাথে কথোপকথনে উচ্চ পর্যায়ের ইংরেজ কর্মচারীদের সঙ্গে নিবেদিতার সখ্যের উল্লেখ করে নিবেদিতাকে গ্রেপ্তারের কোনো সম্ভাবনা ছিল না বলে মন্তব্য করেছিলেন (Sri Aurobindo to Pavitra - Reymond collection)। অরবিন্দ ঘোষের এই স্বকোল্পিত ধারণা ইতিহাস গবেষকদের কেবল বিভ্রান্তই করে নি, নিবেদিতা ভারতের মুক্তি সংগ্রামে অসামান্য অবদানকে অপমানই করেছে।

    মিস ম্যাকলাউড-কে ১৯০৭ সালের ৯ই জুন নিবেদিতা যে চিঠিটি লেখেন তা তাঁর আসন্ন জেলযাত্রার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। সেই চিঠিতে খুব খোলাখুলি ভাবে নিবেদিতা লেখেন যে, আর বড়োজোর সাড়ে পাঁচ বছর তিনি জেলের বাইরে থাকবেন। সেই সময় খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসছে - এ কথাও সংশ্লিষ্ট চিঠিতে নিবেদিতা লেখেন। সেই সময় পর্যন্ত নিবেদিতাকে অপেক্ষা করতে হয় নি। এই চিঠি লেখার কয়েক মাসের ভিতরেই গ্রেপ্তারি এড়াতে নিবেদিতা সাময়িক ভাবে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

    রাটক্লিফকে ১৯১০ সালের ২৫শে আগষ্ট একটি চিঠি লেখেন নিবেদিতা। সেই চিঠিতে হোলি মাদার অর্থাৎ সারদা দেবীর উল্লেখ করে আসন্ন গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ অত্যন্ত ইঙ্গিতময় ভাবে নিবেদিতা লিখেছিলেন। চিঠির শুরুতেই তিনি লিখেঠিলেন; "....যদি আমি কখনো দীর্ঘ সময়ের জন্যে জেলে যাই...."।

    স্বামী বিবেকানন্দের জীবনাবসানের পর বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের চরম উৎকর্ষতার কাল থেকেই নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্যে নিবেদিতা গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করতে শুরু করেন। এই সময়কালে তাঁর লেখা বিভিন্ন চিঠিপত্র গুলি যদি অনুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে এটা খুব সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে রাজনৈতিক কর্মতৎপতার জন্যে নিবেদিতা তখন থেকেই গ্রেপ্তারের আশঙ্কাতে ছিলেন। সেই কারনেই সেই সময় থেকে কৌশলগত কারণে তিনি সাময়িক ভাবে ভারতের বাইরে চলে যাওয়ার ভাবনাও ভাবতে শুরু করে দিয়েছিলেন।

    বিবেকানন্দের জীবনাবসানের অব্যবহিত পরেই (২৬\০৩\১৯০৩) তিনি চিঠিতে লিখছেন, ভারত ছেড়ে যাওয়ার কথা তিনি সেই মুহুর্তে ভাবতেও পারেন না। পরের বছর (১৯০৪) ২১ শে জানুয়ারী প্রথম পাশ্চাত্ত্যে যাওয়ার কথা বললেও সেই বছরেরই ১০ই ফেব্রুয়ারী এবং ১৭ই মার্চে লেখা চিঠিতে পাশ্চাত্ত্যে যাওয়ার সম্ভাবনাকে নাকচ করছেন।

    এই সময়ে বিভিন্ন কারনে ইয়োরোপে যাওয়ার কথাও নিবেদিতার হচ্ছিল। সেই কারন গুলির ভিতরে ছিল বিবেকানন্দর জীবনীর জন্যে তথ্য সংগ্রহ, ভারতের জাতীয় আন্দোলনের বিপ্লবী ধারার জন্যে অর্থ সংগ্রহ, জগদীশচন্দ্র বসুর বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে সাহায্য, স্বাস্থ্য উদ্ধার ইত্যাদি। ১৯০৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই নিবেদিতা বুঝতে পারেন যে, ইংরেজ তাঁকে যেকোনো সময়ে ফাটকে পুরবে। খুব দ্রুত তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ইয়োরোপ যাওয়ার।

    ১৯০৭ সালের ১লা আগষ্ট মিস ম্যাকলাউড কে নিবেদিতা লিখছেন; "গতকাল বিকেলে আমার সব চিঠিপত্র লিখে ফেলবার পরই হঠাৎ সন্ধ্যা বেলাতেই ঠিক হল আর বিলম্ব করা ঠিক হবে না (তাঁর আশঙ্কা ছিল, দেরি করলেই গ্রেপ্তার হবেন)। ১৫ই আগষ্টই জেনোয়ার উদ্দেশ্যে আমার যাত্রা করা দরকার। আমরা আরো ঠিক করলাম যে, লন্ডন পর্যন্ত টিকিট কাটাটা আমাদের এক্কেবারেই উচিত কাজ হবে না। জেনোয়া পর্যন্ত টিকিট কাটাই সঠিক হবে।"

    নিজের যাত্রাপথ সম্পর্কেও নিবেদিতা বিশেষ রকমের সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। গোপালকৃষ্ণ গোখেলের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগাযোগ থছিল। অথচ খুব কাছের দু একজন ছাড়া আর কাউকে নিজের যাত্রাপথ বিষয়ে একটি শব্দও নিবেদিতা বলেন নি। গোখেলের কাছেও কিছু বলেন নি। গোখেলকে গোপন করার জন্যে মনে মনে ব্যথিতই হয়েছিলেন নিবেদিতা। তবে তাঁর কাছে আর এই কাজ করা ছাড়া আর কোনো উপায়ান্তর ছিল না। এই প্রসঙ্গে তিনি সে বছরের ই ১৪ই আগষ্ট গোখেল কে লেখেন; "আমার সঙ্গে দেখা করতে পারো নি বলে দুঃখ করো না।আমার খুব ভয় ছিল যে, এ ক্ষেত্রে তুমি অসম্ভব রকমের চেষ্টা শেষ পর্যন্ত করে বসবে। এটা ভেবে আমি স্বস্তি বোধ করছি যে, পরিস্থিতি বুঝে সব কিছুই তুমি মেনে নিয়েছো।"

    যুগান্তর মামলা শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে নিবেদিতার এই সাময়িক ভারত ত্যাগ আমাদের জাতীয় আন্দোলনে এক নয়া দিগন্তের উন্মোচন ঘটায়। ১৯০৭ সালে পাশ্চাত্ত্যে গিয়ে দুবছর পর তিনি ভারতে ফেরেন। ১৯১০ সালে আবার তিনি আমেরিকা যান ওলি বুলের জীবন সংশয়ের খবর পেয়ে। দেশে ফেরেন ১৯১১ সালের গোড়ার দিকে। এই সময়কালের যাবতীয় যাতায়াতের সময়ে নিবেদিতা ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। ছদ্মনাম ও নিয়েছিলেন ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিতে।

    নিজের ছদ্মবেশের পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথেই জাহাজ থেকে মিস ম্যাকলাউড কে নিবেদিতা লিখছেন; "কোনো প্রতিভাময়ী পরিচারিকা তোমার সন্ধানে আছে নাকি? 'ভেল' দিয়ে নানা রকমের 'হেড-ড্রেস' করতে চাই। একটা আইডিয়া মাথার ভিতরে এসেছে। তবে সেই ভাবনাটাকে কার্যকর করতে বুদ্ধি আর নৈপুন্যের দরকার" (১৯০৭ সালের ৩০শে আগষ্ট লেখা চিঠি)।

    ১৯০৯ সালের মার্চ মাসে আমেরিকা থেকে ইংলন্ড যাওয়ার পথে (৯ই মার্চ) মিস ম্যাকলাউড কে নিবেদিতা লিখছেন; "....জায়গা বদলের আগে আমি তোমার কাছে গিয়ে একটা পুরনো মসলিনের গাউন নিয়ে আসবো। সেটা নেব জাহাজে পরবার জন্যে। তোমার কাছ থেকে যদি একটা জোগার করতে পারি আর অ্যালবার্টা এবং হেলীয়ারের কাছ থেকে ও আর একটা একটা করে জোগার করতে পারি - তাহলে তাহলে জাহাজে সেকুলার পোষাক পরে চলা ফেরা করতে পারব"।

    এই "সেকুলার পোষাক" বা "হেড ড্রেস" নিয়ে কি অসাধারণ নৈপুন্যের সঙ্গে তিনি কলকাতা থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তার বিবরণ রয়েছে মিস ম্যাকলাউডকে লেখা অন্য একটি চিঠিতে। ১৯১০ সালের ১১ই মে মিস ম্যাকলাউড কে নিবেদিতা লিখছেন; "তোমার পোষাকগুলো যেন ঈশ্বর প্রেরিত। এখানকার কাজ শেষ করবার পরের মুহূর্ত থেকে কলকাতাতে পৌঁছনো পর্যন্ত আমাকে সেকুলার পোষাক পরতে হবে। এই রকমের আবছা, অস্পষ্ট ধারণাও তৈরী করতে হবে যে, আমি মিস বা মিসেস বুল। সুতরাং বুঝতেই পারছো। আর কোনো কথা নয়"।

    নিবেদিতার ছদ্মবেশ ধারণে বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু তাঁকে কি ভাবে সাহায্য করেছিলেন তা জানা যায় মিস ম্যাকলাউডকে লেখা আর একটি চিঠি থেকে। সেই বছরের ই ১৫ই মে নিবেদিতা লিখছেন; "আমাকে নীল সার্জের টুপি পাঠাবার জন্যে তোমার কাছে বৈজ্ঞানিকপ্রবর প্রার্থনা জানাচ্ছেন। তুমি কি দিতে পারবে? তিনি বলছেন, আমার সেকুলার পোষাকের সঙ্গে ওই রকম একটি টুপি চাই-ই চাই।" এই বৈজ্ঞানিক প্রবরই হলেন স্যার জগদীশ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন