এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ঘর কোথায় 

    Saswati Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ ডিসেম্বর ২০২০ | ৮৮৬ বার পঠিত
  • - ও পাথ্থরে আলতা জল দিছ বুঝি? দুধ ও দিবা - দুধ আলতা হওন লাগব তো? বউ আইস্যা পাও দিব .........

    তোবড়ানো টিনের একটু কানা উঁচু থালার লাল রঙের জল আস্তে আস্তে ছুঁয়ে যাচ্ছে সুমতিবালার আঙ্গুল। মনে মনে সে কথা বলে যাচ্ছে - শব্দহীন। তার ঠোঁট সামান্য কাঁপছে। কাঁপছে তার হাত। আঙ্গুল গুলো ঠাণ্ডায় ভিজে যাওয়া কাগজের মত কোঁচকানো – কিন্তু লাল রঙে রঙিন। তার পিঠের দিকে পরে আছে একটি লাল খসখসে কম্বল যেটা দিয়ে সামাদ প্রথমে তার মাথা পিঠ ঢেকে দিয়ে কোলের ওপর গুঁজে দিয়েছিল। রাতে বৃষ্টি নেমেছিল ভীষণ ভাবে। বৃষ্টির জল প্রথমে সুমতিবালার মাথায়, তারপরে কিছু তার শুকিয়ে যাওয়া বুকে, গুঁজে দেওয়া কম্বলে, তারপরে রঙিন হয়ে হাঁটু বেয়ে বেয়ে সামনে পড়ে থাকা টিনের থালায়। কম্বলটি জলে ভারি হয়ে তার পিঠ থেকে পড়ে কোমরের কাছে জড় হয়ে আছে কখন। রঙ সেখানে আরও গাঢ় হয়ে সুমতিবালার এই ডুবন্ত বেলায় তাকে ঋতুমতী করে রেখেছে। সে জানে না।

    নিরুচ্চারে সুমতিবালা কথা বলেই যাচ্ছে - শুধু কথা - বর্তমানের সঙ্গে তার যোগাযোগ সামান্যই। ভবিষ্যৎ এর সঙ্গেও তাই। শুধু সুদূর অতীতের অতল অন্ধকার ঠাণ্ডা কুয়োর মধ্যে সে তলিয়ে গেছে। তার স্থির কোন বোধ বা অনুভূতি নেই। তাই নির্দিষ্ট কিছু খুঁজছে না সে – হাবুডুবু খাচ্ছে – অতীতের যা কিছু তাকে একদিন উদ্বেল করেছিলো কিম্বা যা তার স্মৃতির কুঠুরিতে তার অজান্তেই জমা হয়েছিল, কিছু কিছু বর্তমান যেগুলো তার অবশিষ্ট অনুভূতিতে ধাক্কা দিচ্ছে, সেগুলোই সে আঁকড়ে ধরতে চাইছে – শব্দহীন কথায় সে স্মৃতি সুমতিবালাকে অধিকার করে নিচ্ছে।

    - নারাইন্যার বউ আইব তো আইজ। হেই তো মনে লয়। তো কহন আইব? বেলা থাকতি তো জুগার যন্তর সারতি হয়। হেডা করে ক্যারা? কাউরে তো দেহি না। কারেই বা কই ............ হ আছিল হেই দিন। নারাইনার বাপের লগে খাড়াইয়া আছি তো আছি ই । ঠাহুরঝি পাথ্থরের বেলি তে দুধ আলতা আনতি গেছে। আমারে তহন জাড় ধরছে এমুন –

    এখন শীত করছে সুমতিবালার। এখনো সূর্য ওঠেনি। সে কাচা রাস্তার ধারেই বসে আছে উবু হয়ে – দুটো ভাঙ্গা টালির টুকরোর ওপর। পাশে একটা লাঠি - মাটিতে গাঁথা। এই লাঠিটা নিয়ে হাঁটা শুরু করেছিল সে কোন একদিন, ওপারের উদ্দেশ্যে। লাঠির সাথে আটকান একটা ছোট বোতল – বোতলের মুখে একটা সলতে মত লাগান। এটা প্রথম দিন জ্বলেছিল। প্রথম দিন – যেদিন তার পরিবার তাকে এখানে বসিয়ে বোতলের আলোটা জ্বেলে – এই তোবড়ান টিনের থালায় দুটো মুড়ি রেখেছিল। তারা জল ও দিয়ে গেছিল একটা বোতলে – সেই প্রথম দিন – তারপরে সেই বোতলটা কোথায় চলে গেছে পথচারিদের পায়ের ধাক্কায়।

    সুমতিবালা যেখানে বসে আছে তার পাশে কিছু দূরে বাজার। সারি সারি টিনের চালা। আজকাল সেগুলো সব বন্ধ। একটির ঝাঁপ খানিকটা খোলা। সেটিতে কাজ করে সামাদ – তাদেরই দোকান । গতরাতে বৃষ্টির সময় এই লাল কম্বল দিয়ে সেই সুমতিবালাকে ঢেকে দিয়ে গেছে। বাজারের পেছন দিকে জমি সামান্য ঢালু হয়ে শেষ হয়েছে নদীতে। ছোটখাটো নদী। এই বর্ষাতেও সে খুব চওড়া নয়। স্রোত নেই। টিনের চালার সামনে – পথ চলার রাস্তা মাটির। সেই মাটির রাস্তার ঠিক মধ্যিখানে বসে আছে সুমতিবালা। যেন সে চলতে চলতে যে জায়গায় ছিল ঠিক সে জায়গাতেই বসে পড়েছে। সে আর পারছিল না হাঁটতে। তার সমস্ত জীবনীশক্তি তখন নিঃশেষিত। আরও এক পা হাঁটতে পারলে সে হাঁটত – তাতে এক পা হোলেও এগোন যেত বর্ডারের দিকে – জীবনের দিকে। কিন্তু সেটা সে পারে নি। ক্লান্তি ছাড়াও আর একটা কারণ কিছু দূরের একটি ছোট একটা জলাশয় বা ডোবা – হাত তিনেক চওড়া আর হাত পনেরো লম্বা - তাতে এককালে জল ছিল। তা পথচারীদের অবিরাম চলায় সেই জলাশয় এখন বুক সমান কাদার সমুদ্র। সেই কাদায় নামার আগে ডুবন্ত বেলার সব সুমতিবালাদেরই এখানে থামতে হয়েছে। এই মাটির রাস্তা সেই কাদার সমুদ্র পার হয়ে চলে গেছে দুটো ছোট গ্রাম পার হয়ে – বড় জেলা শহরের মধ্যে দিয়ে সীমান্তের দিকে – নির্দেশ করছে সীমান্ত পার হয়ে অন্য দেশে্র দিকে। যে দেশ গত কয়েক মাস ধরে এ পথের পথচারীদের – যারা বাড়ি ঘর ছেড়ে প্রাণ হাতে নিয়ে পালাচ্ছে জন্তুর মত- সেই লক্ষ লক্ষ পথচারীদের মূল গন্ত্যব্য।

    সারা রাতের বৃষ্টির পর রোদ উঠেছে। সুমতিবালার মাথার ওপরে অশ্বত্থ গাছের ছায়া। তার ফাঁক দিয়ে সকালের রোদের এক ফালি তার গায়ে এখন লেপটে আছে, নির্বিকার সূর্যের অকৃপণ আলো। সুমতিবালার এতক্ষণে একটু অন্যরকম লাগে। কি লাগে সেটা সে বোঝে না। তার চোখে কোন ভাষা নেই। নির্লিপ্তি – এক প্রচণ্ড নির্লিপ্তি তার চোখে ভেসে বেরায়। ভোরের কুয়াশার মত।

    সামাদ গতকালও দেখে গেছে সুমতিবালাকে। বেশী কিছু করার ক্ষমতা তার নেই। তবু কি এক অজ্ঞাত দায়বোধ তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেরায়। তার বাবার চিড়ে, মুড়ি গুড়ের দোকান। বাপ এ দোকান আধ খোলা রেখেছে খবরাখবরের জন্য। স্বাধীনতার যুদ্ধ চলছে। এ রাস্তা দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরাও যায় – তাদের রাস্তার হদিশ দেওয়া, তাদের খাবারের যোগান দেওয়া বিনা মুল্যে - এসবই কারণ। সামাদের বাপ চায় – এ লড়াকু ছেলেগুলো কে একটু ঠেক দিতে।

    - কি দিলা মুড়ি নাকি? মুড়ি হাতায় সুমতিবালা।

    সামাদ মুড়ি দিয়েই চলে যায়। তার সময় নেই। তবে আসে পাশেই থাকে।

    - হগলি তো মুড়ি দেয় বচ্ছর ভইরা। বড় বউ দেয় উপরা – খই এর। ভাত দিবা নাকি? পুজায় পাইতাম – খইএর উপরা – মুয়া – দুফারে লাল আউশের ভাত – বুটের ডাইল -মানকচুর তরকারি।

    সুমতিবালা মুড়ি গালে দেয়। কিছু মুখে যায় – কিছু আঙ্গুলের দু ফাঁক দিয়ে গড়ায়। একটা কুকুর অদুরেই বসা – জুল জুল করে তাকায়। অশ্বত্থ গাছ থেকে একটা কাক এসে মুড়ির বাটি থেকে এক ঠোকর দিয়ে কিছুটা নিয়ে পালায়। কুকুরটা আরও একটু ঘনিষ্ঠ হয় সুমতিবালার।

    - হেই হেই ভাগ এহেন থে। একটা ঢিল কুড়িয়ে ছোড়ে কাকটার দিকে সামাদ। তেড়ে যায় কুকুরটার দিকে। এই বুড়িরও দিন শ্যাষ ওইডার নাগাল। সে চেচায়।

    ‘ওইডার নাগাল’ বলতে সামাদ নদীর ধার ঘেঁষে বসে আছে যে আর একজন সুমতিবালা - তার কথাই বোঝায় । সে দেখছে ক’দিন ধরে সেই বুড়িকে । নদীর ধারে বসে থাকে। তাকেও সামাদ মুড়ি দেয়। আজ সকালে দেখেছে তার মাথা ঝুলে আছে বুকের দিকে। আর এই অশ্বত্থ গাছেরই এক ডালে এক শকুন এসে বসেছে আজ।

    হটাৎ কামানের গর্জন শোনা যায়। যুদ্ধ হচ্ছে মুক্তিসৈন্যদের সঙ্গে স্বৈরাচারী ক্ষমতার। সদর শহরের প্রধান রাস্তার সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগের সেতু উড়িয়ে দিয়েছে স্বাধীনতা সেনা। মুহুর্মুহু কামানের শব্দ। কালই সন্ধ্যার মুখে একদল লড়াই করা ছেলে এসে বসেছিল রাস্তার পেছন দিকে বাঁশ ঝাড়ের মাঝে। সামাদের বাপ তাদের খাবার যোগান দিয়েছে। শুনেছে তাদের কথায় আর খানিকটা হাবে ভাবে একটা বড়সর হামলা আজ হতে যাচ্ছে সামনের শহরে। সেদিকেই যাচ্ছে তারা। সামাদের বাপ জানে - তাদের লড়াকু পোলারা আজ জয়ের মুখ দেখবই।

    সুমতিবালার কানে ভেসে আসে সে শব্দ অস্পষ্ট ভাবে।

    - বাজি পাটায় নি ? ও নারাইন্যা ক্যান রে আইজ বাজি পাটে? বাজি না বন্দুক? হ বন্দুক তো একখান ছিল বড় কর্তার। হই পিতিমারে না উঠান মদ্দি নামাইয়া যাতরা নিবার মুহে বড় কর্তা সেই বন্দুক পাটাইত – গুরুম গুরুম – হে কি আওয়াজ! হগগল কইতর পাখ পাখালির হে কি ঝাপটা ঝাপটি ... উরাউরি ...............

    শরণার্থীর দল সকাল থেকেই শুরু করেছে আসতে আজ – কাতারে কাতারে – দলে দলে -। নৌকো এসে ভিড়ছে নদীতে। যেখানে আর এক সুমতিবালা অপেক্ষায় আছে সীমান্ত পার হবার। সবাই দেখছে তাকে – হয়তো দেখছে না। দেখা না দেখার ব্যবধান ঘুচে গেছে এদের। এদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তারপর তারা আরও এক সুমতিবালার গা ঘেঁষে রাস্তায় উঠে পা চালাচ্ছে । চলছে? না চলছে না – তাড়া খাওয়া জন্তুর মত পালাচ্ছে ... কোথায় যাও ভাই? কোথায় আর? বর্ডার পার হব – তারপর? কে জানে কোথায়? পার তো হই জেবনটা নিয়া ............ এই রকম প্রতিদিন রাত গত কয়েক মাস ধরে। আজ যেন আরও আরও অনেক বেশী।

    - মা বুড়ি রে তুইল্যা নি? একটা ছোট্ট মেয়ে মায়ের পাশে দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে বলে।

    - হ তমারে কে দ্যাহে তার নাই দিশা – চল অহন –

    মাথায় পোঁটলা, কাখে একটি শিশু , পাশে ছোট মেয়েটির হাত ধরে যন্ত্রের মত দ্রুত গতিতে চলতে চলতে বলে মা নামক মহিলাটি।

    - আরে আউগাও জোরে – প্যাঁচাল পারবার হময় নাই।

    পেছনের দলের এক বড় ধাক্কায় ছোট মেয়েটি প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়তে যাচ্ছিল। মায়ের শক্ত হাতের বাঁধন সে পতন রোধ করে দেয়। ছোট মেয়েটি সুমতিবালাকে দেখে অন্যমনস্কও হয়ে গেছিল। বুড়িকে দেখে তার মায়া। ‘ঠাউমার নাগাল দ্যাখতে বুড়ি’। সে ঠাউমাকে সাথে আনতে পারে নি। তার কি হবে? সেই ভেবে সে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল।

    কিছুক্ষন পরে দলটা চলে যায় – দেখতে না দেখতে আরেকটা দল আসে – তারা না যেতেই আর একটা দল ......... অবিরাম ......... আস্তে আস্তে দিন শেষ হয়ে যায় ......... সন্ধ্যে হয় .....আবার বৃষ্টি নামে ............মাটির রাস্তা পথচারীদের পায়ের আঘাতে আঠাল কাদার ধানক্ষেত হয়ে যায় ক্রমে .........। সুমতিবালার মাথায় পড়ে বৃষ্টির ফোঁটা – মুখ বেয়ে আবার জল গড়িয়ে পড়ে তার বুকের নাত্যান কাপড়ে ... আবার তার শুকিয়ে যাওয়া মাংস হীন বুকে , তারপরে এগিয়ে থাকা হাঁটুতে , ডিঙ্গি নৌকোর মত পিঠের ঢালে ........বৃষ্টির জলের ভীষণ পরিচিত সে রাস্তাটি .... সুমতিবালা বসে থাকে অনড় - জল তার সারা গায়ে মাথায় চুলে জব জব করে – কিন্তু সে ভেজে না।

    সন্ধ্যায় সামাদ আসে। বুড়িকে এক খুরি খুদ ভাজা দিয়ে যায়। সঙ্গে জল। শুকনো পুরনো ছেঁড়া শাড়ী একটা। একটু ওম যদি পায় বুড়ি।

    - কি দিলা এইহান? বুড়ি আবার শুরু করে ... পুরাইনা কাপড় মনে লয় ...... ক্যাথা বানান লাগব বুঝি? কার জন্যি? পুলা হইছে বুঝি? তা আরও দুইখান দ্যাও ...... মুটা কইরা বানামু অনে। যা জাড় ...... কুয়োর জল থেকে বুড়ি হয়ত মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে। অনুভব ফিরে আসে হয়ত। শুকনো শাড়ীতে হাত বোলায় সে। ক্যাথা বানাইতাম বড় বউইর জন্যি প্রিতি পূজায় ......কাপড় গুলান ছিল কি হক্ত - কি হক্ত ...গায়ের জুরে ফাঁড়তে লাইগত । তাতে সিলান , ফুঁড় দিয়াও মজা আছিল। বড় ঘরের মাটির বারান্দায় নি বইয়া , হোগলার মাদুরে কাপড় নিপাট কইরা বিছাইতাম......কুন গুলা আটকাইতাম সজারের কাঁটা দিয়া। তা কই গ্যাল সেই সজারের কাঁটা? আছে নি তুমার? ক্যাথা একখান বানাইছিলাম বড় বউয়ির জন্যি ... কাঁঠালিচম্পার রঙ এর জমিনে লাল হুতা দিয়া কইল্কা , পদ্দ, ভূমরা সব আঁকছিলাম ...... হে কি হ্যার শুভা হইছিল ...... জ্যাডা দেহে , হ্যাডাই কয় , দিবা নি আমারে এক খান বানাইয়া ... দিছিলাম অনেকডিরে বানাইয়া .....ট্যাহা পাইয়া নারাইন্যারে দিছিলাম একখান পশমি চাদ্দর কিনা .........

    আর একটা দিন শুরু হয়েছে। গত সন্ধ্যার বৃষ্টি এখনো পড়ে যাচ্ছে। নদীর ঘাটে উঁকি দিয়ে সামাদ দেখে যা সে ভেবেছিল তাই হয়েছে। শকুনটা বসে আছে নদীর বুড়ির প্রায় গায়ের উপর। বুড়ি হাত পা এলিয়ে সটান শোয়া জলের ধারে মাটিতে। পায়ের পাতা থেকে হাঁটুর খানিকটা জলের ভেতরে। শকুনটা বোধহয় সবে খাওয়া শুরু করেছে। বাঁদিকের পাজরের কিছুটা হাড় দেখা যাচ্ছে। সারাদিনের খাবারের সংস্থান হয়ে গেছে। শকুনটা নিশ্চিন্তে বসে আছে।

    সুমতিবালা সকালে বসে আছে তেমনি। শুধু তার মাথাটি নুয়ে পড়েছে আরও দু হাঁটুর মাঝখানে। রাস্তার কাদা তার বসে থাকা শরীরটার অনেকাংশ অধিকার করেছে ...সে কাদা চলমান ...... এগিয়ে আসছে ... কারণ ডোবার কাদাও উপচে উঠে মিশেছে রাস্তার কাদার সঙ্গে ...রাস্তা ডোবা সব একাকার......

    - এতো ক্যাদা ছ্যানল কেডায়? কি করবার লাগবে? ঘরের ডুয়ায় (ঘরের মাটির ভিতের দেয়াল )মাটি দেওন লাগবো? না কি কও? কিন্তুক কুন ঘরের ডোয়া? আমি তো কুন ঘর দেহি না। ও নারাইন্যা আমারে ক’ দেহি ঘরখান কুথায়?

    রাস্তায় লোকের ঢল চলছে - তারা হাঁটছে ...... না বৃষ্টি ভেজা কাদার থকথকে সমুদ্রে প্রাণপণে এক পা এক পা করে এগোবার চেষ্টা করছে। আর সুমতিবালার হাঁটুর কাদা ধীরে ধীরে তার বুকের দিকে পিঠের দিকে ঠেলে উঠছে ...... ওরা হাঁটছে ...............

    ঋণ স্বীকার : “একাত্তরের টুকরো গল্প” – আলহাজ্ব মুঃ সামসুদ্দিন
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন