কবিতা ও কিছু কথাসুদীপ ঘোষাল কবিতা ছড়িয়ে আছে জীবনে,প্রকৃতির মাঝে।তবে সবসময় সে ধরা দেয় না।প্রত্যকের অন্তরে জাগ্রত একজন, সদা কথা বলে নিজের সঙ্গে। তার জন্য আবেগ আর, সাধনার প্রয়োজন। কবিতালেখক, লিখতেই পারেন কিন্তু কবিতা হল কি না পাঠক বলবেন।প্রেম করা যায় না,হয়ে যায়। একজন কবির মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, মনের ভিতর ভীষণভাবে অনুরণনশীল বস্তুর বহিঃপ্রকাশ কবিতা লেখায় সমৃদ্ধ হচ্ছে কী?লেখার সময়ে সচেতন ভাবে লেখনীর মধ্যে কবিতার ভাব অনুভব করি না! অবচেতন মন থেকে উঠে আসা দিনলিপির বোধকে প্রকাশ করি কি শব্দচয়নে? শব্দচয়ন সঠিক হচ্ছে কি? কবিতা লেখার কি কোন নিয়ম হয়। কবিতার কি ব্যাকরণ হয়? নানা মুনি নানা মত? অনেকে বলেন, প্রচুর পড়াশোনা না করলে কবি হওয়া যায় না। আবার বাস্তবে দেখি নিরক্ষর ... ...
প্রেম মানেই সমস্যা। বিয়ের আগের দিন দিঠি আমাকে বলল, আমি অহর্নিশকে চুমু খেয়েছি।তাতে কোনো সমস্যা হয়নি, খেয়েছে তো কী আর করা যাবে। তাই আমি কিছু বললামনা। দিঠি একটু থেমে বলল, শুয়েওছি।তাতেই বা আমার কী করণীয়। দিঠি এবার রেগে বলল, তুমি ভাবছ ইয়ার্কি? আমি ওকে ভুলতে পারিনি।আমি এবারও চুপ করে রইলাম। হিংসুটে দৈত্যদের যা করণীয়। দিঠি আরও রেগে বলল, - তোমার তাতেও কিছু বলার নেই?তা অবশ্য ... ...
বেনারস পর্ব ৩ ভোরবেলা অন্ধকার থাকতেই স্নান সেরে তৈরী হয়ে নিলাম বেরোবার জন্য। জলখাবার সেরে অদ্বৈত আশ্রমের মন্দিরে গিয়ে বসলাম। সকালের পূজো চলছে মন্দিরে। মন্দির চত্বরেই দুর্গা দালান – শ্রীশ্রীমা এবং শ্রীশ্রীঠাকুরের সন্তানদের পদধূলি ধন্য । কাশীধামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করবার জন্য ভিঙ্গার রাজা স্বামী বিবেকানন্দকে কিছু অর্থ প্রদান করেছিলেন। কাশীতে মূলতঃ বেদান্ত প্রচারের উদ্দেশ্যে স্বামীজীর নির্দেশে এই বেদান্ত আশ্রম স্থাপন করেন স্বামী শিবানন্দ। নাম রাখা হয় "শ্রীরামকৃষ্ণ অদ্বৈত আশ্রম"। কোনোও পুণ্যস্মৃতি বিজড়িত স্থানে গেলে তা অনুভূতিতে ধরা দেয়। গোটা বাড়িটি জুড়ে যেন কি এক আধ্যাত্মিকতার পরশ! শত বছরেরও বেশী সময় পার হয়ে গিয়েছে এই আশ্রম বাড়িটির উপর দিয়ে। দেওয়াল, থাম, ... ...
মাটির মূর্তি ভগবান হয়ে যান, আবেগ আর বিশ্বাস জন্য। সেই আবেগ কাজে লাগিয়ে চলে রাজনীতি। গান্ধীজীর জনপ্রিয়তা কমাতে একটা রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নেতাজীকে আরও সম্মান দিতে। তাই পাড়ায় পাড়ায় ছোট মেজো গুটকাখোর নেতারা হাজির
জেনোসাইড, সিলেট। ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করে শহরে। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙ্গালী সৈণিকরা ও প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। ২৫ মার্চে আগরতলা মামলার আসামী, পাকিস্তান আর্মি থেকে বহিস্কৃত ক্যাপ্টেম মুত্তালিব প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছিলেন সিলেট শহরে। হবিগঞ্জের দিক থেকে ব্রিগেডিয়ার সিআর দত্তের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর আরেকটি দল ও এগিয়ে আসে সিলেটকে শত্রু মুক্ত করতে। কিন্তু ৮ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিমান আক্রমন শুরু করলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ হন। পাকিস্তান আর্মি সিলেট শহরের নিয়ন্ত্রন নিয়ে আরো ভয়ংকর তান্ডব শুরু করে। তারা ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাঙ্গালী পুলিশদের হত্যা করে। ৯ এপ্রিল সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আক্রমন করে কর্তব্যরত অবস্থায় সার্জারী ... ...
সালটা ১৮৯৯। চুরুলিয়া গ্রামের আকাশের মুখ সেদিন গম্ভীর। গতরাত থেকে অবিশ্রান্ত ভাবে কেঁদে চলেছে সে, এমনকি সকালেও সে কান্নার বিরাম নেই। এমনই এক বর্ষণমুখর দিনে চুরুলিয়া গ্রামের শেষ প্রান্তে এক কুঁড়েঘরে জন্ম নিলেন দুখু মিঞা ওরফে কাজী নজরুল ইসলাম। বাবা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। জন্মের পর থেকেই সংসার সীমান্তে স্বল্প রোজগেরে বাবা – মায়ের নিত্যদিনের এক অসম লড়াইয়ের স্বাক্ষী ছিলেন একরত্তি নজরুল। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় খুব দ্রুত বদল ঘটছিল মানুষের যাপনে। খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছিল সমাজ অর্থনীতি এবং বিশ্বরাজনীতির মানচিত্র। সময়ও তার মতো করে গড়েপিটে নিয়েছিল নজরুলকে।১৯১৭ সালে মাত্র আঠেরো বছর বয়সে নজরুল যোগ দিলেন সেনাবাহিনীতে। ... ...
নতুন সংসদ ভবনের সিংহটাকে বেশ কিছু লোকের না পছন্দ, কেন? দু একটা সম্ভবনার কথা ভাবা যাক।১ নং-এ সিংহটা কেমন যেন দাঁতনখপেশিবহুল হিংস্র প্রকৃতির, আর সারনাথের সিংহ ধীর, গম্ভীর , রাজকীয়,, এ কোনো যুক্তি হলো? ডিসকভারি গোছের চ্যানেলে কেউ ম্যাদামারা সিংহ পছন্দ করেন? নিশ্চয় না, সিংহ শিকার করবে, শিকারিত পশুর রক্ত লেগে থাকবে সিংহের মুখেদাঁতেনঁখে, তবেই তো সে সিংহ, এই তো তার আসল রূপ, ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতির মহাবীরদেরতো এমন সিংহই পছন্দ হবার কথা, সিংহ কি চড়কা কেটে সুঁতো বানিয়ে বেচবে? না কি পাস্তা খেতে ইটালি যাবে? সে শিকারি জীব, শিকার করে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখবে, ছাপান্ন ইঞ্চির দাড়িপাল্লার দুই পাল্লায় এক ... ...
আলো ও অন্ধকারের মাঝামাঝি জায়গাটা খুঁজছি। জায়গাটা ছায়ামাখা ধূসর। সেখানে যাওয়ার পথ অনেকটা অচেনা। তাতে কোনো সমস্যা নেই। চেনা রাস্তায় গিয়ে বহুবার দেখেছি, সেও আচমকা রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্রেস এনক্লেভ থেকে গোধূলি আবাসন পর্যন্ত একটা অচেনা সরলরেখা টানা যায়। সেই পথে নিশ্চিত বিকেল জুড়ে পড়ে থাকে কমলা রঙের রোদ। সেই চেনা রোদের আরাম মেখে নিতে-নিতে, কতবার চেয়েছি কোজাগরী চাঁদের উজান। অপেক্ষা করেছি, কখন নড়ে উঠবে সময়ের অনিবার্য আঙুল। আবার গায়ে জড়ানো যাবে জ্যোৎস্নাচাদর। তবুও কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি ফিরে আসেনি। বরং চারপাশে বেড়েছে দাড়ি-হাঙর, গামছা-শিয়াল, উল্কি-ভালুক ও অনুসারী-বাঁদরের ভিড়। অযোগ্য রিংমাস্টার হয়ে ছড়ি ঘুরিয়েছে কাকেশ্বর কুচকুচে। তার প্ররোচনায় পিছন থেকে ছুরি ... ...
ইমতিয়ার শামীম বাংলা আকাদেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন জানালেন বন্ধু অদিতি। আমাকে ইমতিয়ার শামীমের লেখার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন অদিতিই। বন্ধু নজরুলের হাতে পাঠিয়েছিলেন 'আমাদের চিঠিযুগ কুউউ ঝিকঝিক'. সে বই শেষ করার পরের সেই অদ্ভুত বিষাদ... চিঠিযুগ শেষ হয়ে যাবার শুন্যতা... ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে একা দাঁড়িয়ে থাকার বিষাদ... বেশ কদিন ঘিরে ছিল। এরপরে অদিতির কাছে ঘ্যানঘ্যান করে আরো কয়েকটা বই আনাই। ওঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই আমরা হেঁটেছি যারাগ্রামায়ণের ইতিকথাআত্মহত্যার সপক্ষে কখনো বৃষ্টিশেষেডানাকাটা হিমের ভেতর। অভিনন্দন প্রিয় লেখক। ... ...
ঠাকুমা কাক ভোরে উঠতেন। তারপর চান করে, সূর্য প্রণাম করে রোজকার পূজা করতেন। বাতাসা প্রসাদে আমাদের দিন শুরু হত। আমরা ভাইবোনেরা ছিলাম একে অপরের বন্ধু, সবচেয়ে স্নেহময়ী বন্ধু - ঠাকুমা কখনো ঝুলি থেকে গল্পের মণিমাণিক্য উপহার, কখনো নাটুকে ছড়া বলতেন যেমন - 'নাকচাবি গহনা কবে দেবে বলো না? যদি বল কাল দেবো ভোরে উঠে চলে যাবো, বলে যাবো না। ' ... ...
“আপনে কোন স্টেশনে নামবেন, বাবু?”মাথা বোঝাই উস্কোখুস্কো চুল, একমুখ দাড়িগোঁফ। দুটো পা তার অচল। মুখে একগাল হাসি, চোখদুটো চিকচিক করছে, যেন খুব মজা পেয়েছে। ভাবলাম আলাপ-টালাপ শুরু করে ভিক্ষে চাইবে হয়তো, এ হচ্ছে তারই ভূমিকা। লোকটার প্রশ্নে একটু অবাক হলেও, বিরক্তি চেপে উদাসীন সুরে বললাম, এই ট্রেনের প্রান্তিক স্টেশনের নাম। আমার কথায় দাড়িগোঁফের জঙ্গলে ঢাকা, তার মুখের ভূগোলে হাসির সাম্রাজ্যবিস্তার ঘটে গেল মূহুর্তে।“কাদের বাড়ি যাবেন, আজ্ঞে?” এত খোঁজে তোমার কী দরকার বাপু? আমি চলেছি আমার অজানা এক জনপদে, আমার কাছে সে তো অচিনপুর। কিন্তু সেখানকার সব লোককেই কি তুমি চেন বুঝি? সেখানে কেউ কি তোমার অচেনা নেই? তাছাড়া আত্মীয়-কুটুম-বন্ধুর বাড়ি ... ...
"ম্যায় নে দিল সে ঢুন্ড লা না খুশি ........." কে ভেবেছিল অর্থের অভাবে প্রথম সারির ক্রিকেট ছেড়ে ১৯৮৪র ব্যাচের ন্যাশনাল স্কুল ওফ ড্রামায় যোগদান করা একটি ছাত্র পরবর্তীতে বদলে দেবে অভিনয় এর চিরায়িত সংজ্ঞা। জানি না কি বলব তোমায় নিয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে .... তোমায় নিয়ে কথা বলতে গেলেই বুকের কাছে জমাট বেঁধে ওঠে একদলা কষ্ট। ২০০৩এ হাসিল, ২০০৪এ মকবুল, ২০০৫এ রোগ, ২০০৬এ দ্য নেমসেক...... জানো ইরফান, ২০০৭এ প্রথম হলে গিয়ে দেখেছিলাম ... ...
আজকের বঙ্গসম্মেলন তারকা ঠাসা। চকচক করছে। প্রচুর তারকা, লোকে ঝপাঝপ সেলফি তুলছে। কিন্তু কে কী, কেউ কিচ্ছু জানেনা। একটা পেলেই হল। আমি এখন লম্বা চুল রেখেছি, বললে বিশ্বাস করবেননা, আমাকেও ক্যামেরা বাগিয়ে অনেকে প্রশ্ন করলেন, আপনি কী করেন? গান না নাটক? অর্থাৎ কিনা, আপনি কি স্টার? উত্তর হ্যাঁ হলেই খচাং। সেলফি উঠে যাবে। তার পরের প্রশ্ন, নামটা?দোষের কিছু নেই। দু-চার জনকে বাদ দিলে, কে কোথায় কোন সিরিয়ালের ... ...
পৃথিবীতে দুরকম মৌলবাদ আছে। কাতারি মৌলবাদ ভালো। কাতার নিয়ে সমালোচনার জবাবে ফিফা সভাপতি বলেছেন, ইউরোপিয়ানরা গত ৩০০০ বছর পৃথিবীতে যা করেছে, তাতে নীতিশিক্ষা দেবার আগে, আগামী ৩০০০ বছর তাদের ক্ষমা চেয়ে যাওয়া উচিত। খুবই খাঁটি কথা, কিন্তু কেবল কাতারকে সমর্থন করার সময়ই এসব মনে পড়ে। ইরাক গুঁড়িয়ে দেবার সময় না।কাতার ছাড়ুন, সৌদি আরবও ভালো। আমেরিকার বাসিন্দা প্রভাবশালী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে মনে আছে? যিনি গণতন্ত্রের সমর্থক, এবং সৌদি রাজতন্ত্রের কট্টর বিরোধী ছিলেন, এবং ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে, হ্যাঁ দূতাবাসের ভিতরেই, ঢুকে খুন হয়ে যান? মৃতদেহও পাওয়া যায়নি। খোদ সিআইএ জানিয়েছিল (নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টের খবর), সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের নির্দেশেই এই ... ...
কলতান একটু দ্বিধান্বিত হয়ে বলল , ' বলছিলাম যে.... বাড়ি না গিয়ে অন্য কোথাও কথা বলা যায় না ? 'ওরা তিন জন হাঁটছিল । একপাশে একটা ছোট শিবমন্দির পড়ল । পাশে দুটো লম্বা নারকোল গাছ । পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে । মন্দির এখন ফাঁকা । কলতান বলল, ' এইখানটায় একটু বসলে হয় না ? '----- ' তা হয় .... কিন্তু ..... এটা ....' বলে চোখের ইশারায় গুল্টুর দিকে দেখাল ..... ' ----- ' ওকে বাড়িতে রেখে আসলে হয় না ? আমি এখানে দাঁড়াচ্ছি ..... ' কলতান নীচু গলায় বলে।----- ' তা হয় .... কিন্তু ... এখানে বসলে কেউ দেখলে আবার ..... গ্রামের ... ...
সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়া তে বেশ কিছু মানুষের যে কথাটা ভাবিয়ে তোলে তা হল আমরা কি এই রাজ্যে বসেই বাংলা ভাষার অন্তর্জলি যাত্রা নির্বিকার ভাবে দেখে চলেছি? সম্প্রতি রাজ্য সরকারি বিভিন্ন পরীক্ষায় এবং রাজ্য সরকারি চাকরিতে এক বর্ন বাংলা না জেনেও পরীক্ষায় বসা যাচ্ছে বা চাকরি পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদে, পুলিশের চাকরির পরীক্ষায়। রাজ্য সরকারি দফতর গুলি সাধারণত গ্রামে গঞ্জের অফিস গুলিতে একটুও হিন্দি বা ইংরেজি না জানা, অক্ষরজ্ঞান না জানা, শুধুমাত্র বাংলা বলা মানুষকে পরিষেবা দেয়। পুলিশের ক্ষেত্রে তো এই যোগাযোগ আরো গভীর। ... ...
"হকাস ফকাস গিলি গিলি গে..." || চলুন ঘুরে আসা যাক জাদুবিদ্যার অজানা দুনিয়ায় || আদি যুগ থেকেই ভারতীয়রা চিরকাল জাদুবিদ্যার ভক্ত। তারফলেই ভৌতিক আধাভৌতিক তন্ত্র মন্ত্র কালাজাদু ইত্যাদির এদেশে বোলবালা। প্রাচীনকাল থেকেই বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সন্ন্যাসী এবং সাধুসন্তরা অলৌকিকতা প্রক্ষেপণকে জাদুবিদ্যা নামে দেখিয়ে আসছেন। অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত ভারতবাসীর কাছে সেই জন্যেই সন্ন্যাসী ও সাধুসন্তদের চিরকাল প্রাধান্য। যাঁরা বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সেই জাদুকে মানুষের মনোরঞ্জনে ব্যবহার করেছেন তাঁদেরকে মানুষ জাদুকর নাম দিয়েছেন। জাদুবিদ্যা বলে আপাতদৃষ্টিতে কিছু হয়না। মানুষের অজানা বিজ্ঞান আর দৃষ্টি বিভ্রমকেই জাদুকররা সুনিপুণভাবে কাজে লাগান। তারফলে সৃষ্টি করেন এক আশ্চর্য্য চমক। যার দ্বারা দর্শকের মনের উপর প্রভাব বিস্তার দ্বারা মনোরঞ্জন করে ... ...
এইমাত্র পড়লাম, বিবিসির দিল্লি দপ্তরে আয়কর-দপ্তর হানা দিয়েছে। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, বিবিসি, এই কদিন আগে, শ্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করেছিল। সেটা ভারত সরকার নিষিদ্ধ করেছে। তারপরই এই আয়কর হানা।এটা অবশ্যই প্রথম ঘটনা না। এর একটা প্যাটার্ন আছে। কোনোদিন শুনবেন না, যে, আদানির বিরুদ্ধে এক কোটি অভিযোগ আসার পর, তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এই যে, সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে প্রাক্তন বিচারপতিরা ঝপাঝপ যোগ দিচ্ছেন নানা পদে, তা নিয়ে অনুসন্ধান হচ্ছে বলেও জানা নেই। নীরব মোদী লন্ডনে পালানোর আগে, কোনোদিন তাঁর দপ্তরে আয়কর দপ্তর হানা দিয়েছে বলে জানেন? নাঃ। কোথায় দিয়েছে? দিল্লিতে একাধিক সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে, ... ...
লাল জামার সঙ্গী হলুদ জামা। তারও ছাতি প্রায় চুয়াল্লিশ, পিছমোড়া করে ধরল দ্বিতীয় ছেলেটাকে। লাল জামা প্রথম কাপ্তেনের শার্টের কলার চেপে ধরেছে। দুটো ছেলেই বুঝতে পারল তারা শক্ত খাঁচায় পড়েছে। গায়ের জোর দেখিয়ে বিশেষ লাভ হবে না। লাল জামা পরা গগন কর্মকার প্রতিবিম্বদের দিকে তাকিয়ে বলল, ' তোমরা
আবছা অন্ধকারে, রূপালী জ্যোৎস্নায় স্নাত বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়াতেই যেন দমকা এক ঠাণ্ডা বাতাস এসে প্রবেশ করল গোলাম নবীর ভেতরে, সে বাতাসের তেজে গোলাম নবী স্থির থাকতে পারল না, তার পা টলে গেল, মাথা ঝিমঝিম করে উঠল। সে দু হাত দিয়ে মাথার দু'পাশে চাপ দিয়ে এক পা পিছিয়ে গেল এবং প্রায় এক মিনিটের মত চোখ বন্ধ করে রইল ধাতস্থ হতে। ... ...