এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নারীসাক্ষ্যে জেনোসাইড 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ আগস্ট ২০২৩ | ৬১৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • জেনোসাইড, সিলেট। ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করে শহরে। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙ্গালী সৈণিকরা ও প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। ২৫ মার্চে আগরতলা মামলার আসামী, পাকিস্তান আর্মি থেকে বহিস্কৃত ক্যাপ্টেম মুত্তালিব প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছিলেন সিলেট শহরে। হবিগঞ্জের দিক থেকে ব্রিগেডিয়ার সিআর দত্তের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর আরেকটি দল ও এগিয়ে আসে সিলেটকে শত্রু মুক্ত করতে। কিন্তু ৮ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিমান আক্রমন শুরু করলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ হন। পাকিস্তান আর্মি সিলেট শহরের নিয়ন্ত্রন নিয়ে আরো ভয়ংকর তান্ডব শুরু করে। তারা ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাঙ্গালী পুলিশদের হত্যা করে। 
    ৯ এপ্রিল সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আক্রমন করে কর্তব্যরত অবস্থায় সার্জারী বিভাগের প্রধান  ডাক্তার  শামসুদ্দীন আহমদ ও  তাঁর সহকর্মী ডাক্তার শ্যামল কান্তি লালা, নার্স মাহমুদুর রহমান, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার কোরবান আলী সহ অনেককে হত্যা করে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে। সিলেট শহর পরিনত হয় লাশের শহরে।

    জেনোসাইড, নজিপুর, হবিগঞ্জ। ১৯৭১ সালের বর্ষাকালে, স্থানীয় বিষহরী পুজার দিন পাকিস্তান আর্মি তাদের সহযোগী রাজাকারদের সাথে নিয়ে এই গ্রাম আক্রমন করে। গ্রামের উত্তর দিকের জেলেদের পাড়ায় পাড়ায় প্রথমে তেরোজন মানুষকে লাইন বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। গীতারানী দাশ ছিলেন সেখানে। তাঁর বয়স তখন ২০/২২ বছর। কোলে একটা বাচ্চা, মেয়ে। মিলিটারী আসলে গ্রামের অন্যদের মতো তাঁরাও আশ্রয় নেন একটা নৌকায়। তাদের নৌকায় গুলি চালানো হয়। অনেক নৌকা ছিলো, সব নৌকার মানুষ মারা গেছে।  তাদের নৌকার ও কয়েকজন। আর মেয়ের মাথা উড়িয়ে নিয়ে গেছে বুলেট। মেয়ে তাঁর কোলেই ছিলো। মেয়ে আছে, মেয়ের মাথা নেই! এরপর নৌকা ডুবে গেছে। নৌকা থেকে জলের নীচে  । তখন  স্বামী টেনে তুলেছেন, টেনে তোলার পর সাঁতার কেটে দুজনে একটা মাঠের মধ্যে ।  মাথাহীন  মেয়ে ও নেই আর!
    হাওরের মধ্যে ভেসে থাকা নির্জন একটা মাঠে  সাঁতরে উঠার পর খেয়াল করেন- দুজনেই গুলিবিদ্ধ। স্বামীর পায়ে আর তাঁর  বাম হাতে।  বাম হাতের এদিকে ঢুকে বের হয়ে গেছে। ফুস্ফুসে লাগে নাই।

    জেনোসাইড, কিশোরগঞ্জ। রাজিয়া বেগম, বলেন সেদিনের কথা। "পাকবাহিনী আসছে। কেউ তো জানেনা যে মেরে ফেলবে। নাস্তার সময়। আটটা বাজে নাই, সাতটা। ঐ ঐদিকে গাড়ি( ট্রেন) দাঁড় করিয়েছে। আমরা  জানিনা। কেউ ভাত বসিয়েছে, কারো ভাত হয়েছে। শীতের দিন। এদিকে এসে ঢুকছে। রাত্রে একবার আসছে। তখন কেউরে কিচ্ছু করেনি। গ্রামের মধ্যে ঘুরে গেছে। পরেরদিন আরেকদল আসছে। এই দল তো এখানেই ছিলো। এরা মনে করেছে অল্প মানুষ, যদি এখানে মুক্তি থেকে থাকে। মুক্তি ছিলোও- আমাদের এখানে ছিলো গোপনে। এরা এইকারনে রাতে হামলা দিছেনা, মনে করছে মুক্তি যদি থেকে থাকে তাহলে তো ছাড়বেনা। পরে আরেক গাড়ি আসছে। ভৈরবের ব্রীজ তখন ভেঙ্গে দিয়েছে। এদের এখান থেকে আর যেতে পারেনা। 
    সব মানুষকে বড়ইতলা নিয়ে গেছে, বলেছে ছেড়ে দেবে- কিন্তু আর ছাড়লোনা। 
    আমার স্বামী মরছে, দেবর মরছে। বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। 

    পাকবাহিনী একদল মানুষ নিয়ে গেছে, আরেকদল আগুন দিয়ে গেছে। আর মেয়েদের জেওর( অলংকার) লুট করেছে, ইজ্জ্বত লুটছে । 
    আমাকে এখানে দাঁড় করিয়েছে। আমার ছয়মাসের  বাচ্চাটা কোলে। আমার স্বামীকে নিয়ে যাবার আগে উনি সাতহাজার টাকা আর একটা সোনার আংটি দিয়ে গেছে। পাকবাহিনী আসছে, রাজাকার ও আসছে। আমারে বলছে এগুলো খোলার জন্য। নাকেরটা, গলারটা, হাতেরটা দেয়ার জন্য। দেয়ার পর আমার বাচ্চা নড়াচড়া করেছে আর টাকাটা স্যামনে এসে পড়ে গেছে। 
    আমি বলছি- বাবারা আপনারা যে আমার সব টাকা নিয়ে যাচ্ছেন, আমার বাচ্চাটাকে দশটা টাকা দিয়ে যান, বাচ্চাটা খাবে। বলে- না খেতে হবে না। খাওয়া লাগবেনা। সবটাকা নিয়ে গেছে, দশটা টাকা ও দিয়ে যায়নি।  
    চলে গেছে। 
    ঐদিকে আমার মামা শ্বশুড়ের বাড়ি ছিলো। আমরা ঐদিকে চলে গেছি।   
    আমার ননদ ছিলো এখানে- আমার ভাগ্না, ভাগ্নি ছিলো। আমার ভাগ্নি আর আমি একই বয়সের ছিলাম। আমার ননদ- ওরা যে ভাষায় কথা বলেছে, উর্দূতে সে ও কথা বলেছে। সে শিক্ষিত ছিলো। 
    আমার ননদ এইভাবে হাতজোড় করে ওদের ভাষাতে বলেছে। কিন্তু ওরা আমাদেরকে ছাড়ে নাই। ইজ্জ্বত নষ্ট করছে। 
    আমার ভাগ্নী, আমি বাচ্চাটাকে নিয়ে গেছে  ঘরের পিছনে জংগলে- যাতে  না দেখে। আমার মামা শ্বশুড়ের বাড়িতে ও আগুন দিয়েছে। 
    আমার স্বামীরে আছরের আজানের সময় মারছে। আছরের পরে- আমার ভেতরে যে তখন কী করছে, আমি এগুলো বলতে পারবোনা। আমার ভেতরে তখন কেবল ছটফট ছটফট করছে। বাচ্চাটা আব্বা আব্বা করছে। আমি বলি- আমার ভেতরে এমন অশান্তি করছে কেনো? 
    মানুষ বলছে- ওদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। ঐদিকের দল ছাড়ছে এদিকের দল ছাড়েনি। ঐদিকের-খালপাড়ের এক লোক এসে বলে- চিকনির চরের কাউরে ছাড়বেনা। বলে- পাকবাহিনীর একজন মেরে ফেলছে। 
    একজনকে ও ছাড়লোনা। 
    শুধু পিটিয়ে মারছে।"

    বাঙালির ইতিহাস তো একমাত্রিক না। যদিও দেশভাগ সব খণ্ড করে দিয়ে গেছে, কিন্তু এপারের খাদ্য-আন্দোলন, নকশালবাড়ি, আসামের উনিশে মে, নেলি গণহত্যা, ওপারের একুশ এবং মুক্তিযুদ্ধ, সব খন্ডকে যোগ করলে, সব ট্র‌্যাজেডির যোগফলই বাঙালির ইতিহাস। আর তার সঙ্গে আছে ৭১ এর সবচেয়ে বড়ো  বিধ্বংসী হত্যাকান্ড, হাসান মুর্শেদ যাকে জেনোসাইড ছাড়া আর কিচ্ছু বলতে রাজি নন, যেখানে পাকবাহিনী ধ্বংস করতে চেয়েছিল গোটা একটা জাতিকে। সেই ইতিহাস নিয়েই এই বই। নারীসাক্ষ্যে জেনোসাইড। হাসান মুর্শেদ একাত্তর জেনোসাইড আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা। সারা বাংলাদেশ চষে বেড়িয়ে জেনোসাইডের সাক্ষ্য খুঁজেছেন। তারই দলিল এই বই। সেখান থেকেই সামান্য কিছু খণ্ড লিখলাম উপরে। বলাবাহুল্য, আস্ত ভয়াবহতার তুলনায়, এ অতি সামান্য হল।

    বাঙালি বিস্মৃতিপ্রবণ জাতি। কিন্তু তা বলে তো আর সব মুছে যেতে দেওয়া যায়না। তাই "নারীসাক্ষ্যে জেনোসাইড" - এই বইটি আমরা প্রকাশ করছি ১৫ ই আগস্ট। আরেকটি ভয়াবহতার দিনে, যার নাম দেশভাগ। গুরুর বই প্রকাশের ব্যাপারটা যাঁরা জানেন, তাঁরা দত্তকের বিষয়টাও জানেন। অর্থাৎ আমাদের বই বেরোয় সমবায় পদ্ধতিতে। নানা মানুষের আর্থিক সাহায্যে। তাকে আমরা বলি দত্তক। উদ্যোগে তাঁদের নাম জড়িয়ে থাকে, বইয়ে ছাপাও হয়। এই বইয়ের ক্ষেত্রেও, যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান, আংশিক অথবা সম্পূর্ণ খরচ বহন করে পাশে থাকতে চান, তাঁরা একটু মেল করে জানাবেন। [email protected] এ।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০২ আগস্ট ২০২৩ ২২:৫৫522021
  • কিছুদিন আগে 'নারীসাক্ষ্যে জেনোসাইড' নিয়ে লিখেছিলাম। বহু চেষ্টায় বইটা হাতে এসেছিল, তাও নিতান্তই লেখক উদ্যোগ নিয়ে পাঠিয়েছিলেন তাই। বইটা পড়ে মনে হয়েছিল এই বই অবশ্যই  সহজলভ্য হওয়া দরকার। এই বই প্রতিটি বাঙালির আসলে পড়া দরকার। 'কাটুয়া' আর ' মালাউন' এর কুৎসিৎ চক্রের বাইরে বেরোনর জন্য এই ইতিহাস জানা দরকার। বাঙালির ইতিহাসে ১৫ই আগস্ট অতীব গুরুতওপূর্ণ। ১৯৪৭ এ বাঙলা দুই টুকরো হয়। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান খুন হন আততায়ীর হাতে। ১৫ই আগস্ট বারেবারে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার উপরে রক্তাক্ত আঘাত হেনেছে। সেইজন্যই ১৫ই আগস্ট এই বই প্রকাশের জন্য সবচেয়ে ঠিক দিন। 
  • | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৮522064
  • হেঁইয়ো (নীচে পড়ে যাচ্ছে) 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:51cc:ff0f:b9f7:8ac1 | ০৪ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৩১522086
  • এটা খুব ভাল কাজ হবে। আংশিক দত্তকের জন্য যোগাযোগ করব । 
    দ, আপনার বুক রিভিউ টা এখানে রাখা যাবে? 
  • সুকমল মোদক | 76.218.111.179 | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৩২522261
  • এই লেখা প্রকাশিত হতে কত টাকা লাগবে? আমি সম্পূর্ণ বা আংশিক খরচ দিবো।
  • ~ | 2601:c6:d200:2600:6124:231:2f5a:5044 | ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২৪524789
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন