বইমেলা বলতেই আমার প্রথম যে স্মৃতি মনে আসে, তা ক্লাস টু-থ্রির। বাবা-মার সঙ্গে গিয়েছিলাম, বলাবাহুল্য। আগে থেকে বায়না করে রাখা ছিল, আমি নিজের পছন্দে বই কিনব। তা, ঘুরে-ঘুরে কিনলাম, ছবি আঁকা ভয়াল ভয়ঙ্কর সব বই। কেউ কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। কী কী মনে নেই, যেটা মনে আছে, সেটা হল, আমার মামাতো দাদার জন্য বই কেনা হয়েছিল মায়ের পছন্দে। সত্যজিৎ রায়ের একডজন সিরিজের কোনো একাটা। প্রথমটাই মনে হয় ... ...
বিছানায় এসে শুয়েছি তা প্রায় ঘণ্টাখানেক হল। কিছুতেই ঘুম আসছে না। বাইরে নিস্তব্ধ নিঝুম শীতের রাত। ঘরের নাইট ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিয়েছি ইচ্ছে করেই। একটুও আলো সহ্য হচ্ছে না আর। যদিও এই মুহূর্তে কেবলি মনে হচ্ছে কেউ যেন একটা কালো রঙ ধেবড়ে দিয়েছে আমার শরীর জুড়ে। আমি কিছুতেই তা ঘষে মুছে তুলে ফেলতে পারছি না। মনের যে গোপন কুঠুরির মুখ সযত্নে এতদিন বন্ধ করে রেখেছিলাম। আজ সেই বন্ধ মুখের ঢাকনাটা সরে গিয়ে কত স্মৃতি গলগল করে বেরিয়ে আসছে। ... ...
হানসের কথা আমাদের অনেকেরই জানা। সমুদ্রের ধারে থাকা নেদারল্যান্ড দেশটার গড়ন অনেকটা চ্যাটালো। তাই সমুদ্রের জল কুল ছাপিয়ে ঢুকে পড়ে একেবারে দেশের ভেতরে। এরফলে উপকূল ঘেঁষে বসবাস করা মানুষজনের কাছে বিষয়টি খুব উদ্বেগের ও বিড়ম্বনার। কূলের ঠাঁই ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবার উপায় নেই , কারণ এখানে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে থাকা মানুষজনের অধিকাংশই হলো মেছুয়া। সমুদ্রের পশরা নিয়েই তাঁদের বেঁচে থাকার লড়াই। উপকূলের মানুষেরা তাই দরিয়ার সাথে দোস্তি করেই টিকে আছে। কীভাবে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় তা নিয়ে নানান আলোচনা চলে ভুক্তভোগী মানুষজনের । অনেক ভাবনা চিন্তা করে শেষে ঠিক হয় উপকূল ঘিরে টানা বাঁধ দেবার। দীর্ঘ সময় ... ...
কলতান এবং কুলচা সহ বালীগঞ্জ থানার দলবল মিসেস সিনহাকে নিয়ে থানায় এসে নামল ।কলতান বলেছিল, 'একটা ক্যাব বুক করে দিচ্ছি তুই বাড়ি ফিরে যা ...তোর তো এখন কোন কাজ নেই এখানে ... ' । কিন্তু কুলচা ফিরে যেতে রাজি হল না। সে আরও উত্তেজক নাটক দেখার লোভ সংবরণ করতে পারল না। কুলচাকে দেখে গৌতম রক্ষিত কলতানের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে ঠোঁট উল্টে মাথা ওপর নীচ করলেন । কলতান বলল, ' আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট... '----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা .... গুড আফটারনুন ... ...
যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না। মুরগিবৃত্তান্ত পড়ে তিনজন আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন যে হাঁসকে পশু আর একই সাথে মুরগিকে পাখি মনে করা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁদের মন ও মান রাখতে গেলে সত্যকে বিকৃত করতে হয়, শিক্ষক হয়ে সে কাজ করতে পারি না। আরো এইজন্য পারিনা যে আজকের ‘সত্য বৈ' শিক্ষকদের নিয়েই। শিক্ষকদের নিয়ে যে অজস্র কাহিনী প্রচলিত আছে, সেইসব লোককথায় শিক্ষকদের বেশ জটিল ও হিসেবি চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়। আদপে শিক্ষকরা সরল মানুষ। যাকে তাঁরা সত্যবাদী বলে জানেন, তার হাত ছাড়েন না কখনো। আর যা তাঁরা সত্য বলে জানেন, তা অন্ধভাবে অনুসরণ করেন। একজন শিক্ষকই পারেন সত্যবাদী ... ...
কয়েক বছর আগের কথা। শীতশেষের বিকেল। শ্মশ্রুময় এক প্রখ্যাত কবির সঙ্গে কথা হচ্ছে। নেহাৎই কেজো কথা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হবে-হবে, বিষণ্ণ যে সব সন্ধ্যায় কৈশোরের কথা মনে পড়ে যায়, হঠাৎই কবি বললেন, ওই গানটা একটু করুন তো। ওই পৌষ-ফাগুনের মেলা। উনি চিরকালই এভাবে দ্রুত প্রসঙ্গান্তরে যান। এছাড়াও আমাকে আপনি বলেন, কেন কে জানে। যা হোক, গান করতে আর কী আছে। আমি শুরু করে দিলাম, কান্না হাসির ... ...
"আমরা একে অন্যকে সাহায্য করতে পারি, কিন্তু নিজের ক্রুশ নিজেকেই বইতে হয়।"সংবেদনশীলতা কি কাউকে আদতে শেখানো যায়? অধুনা আপাত নিউরোডাইভার্স কর্পোরেট সংস্কৃতিতে কথায় কথায় অন্যের জুতোয় পা গলানোর যে প্রবাদ চালু আছে, সেই দুনিয়ায় সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষের প্রতি সহমর্মী হয়ে ওঠার জন্য কতটা কাজে দিতে পারে আশি বছরের পুরনো টি-গ্রূপ মেথড? এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে, ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ এডভান্সড বিহেভিওরাল সায়েন্সের দুই আবাসিক শিবিরে যোগ দিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন লেখক। এই পদ্ধতিতে দশজন প্রতিভাগীরা কদিন রোজ আট ঘণ্টা আলাদা ঘরে যেভাবে একে অপরের সঙ্গে যা ব্যবহার করেন, তাই হয়ে ওঠে তাদের নির্জ্ঞান মনের ডেটাবেস। পুরো পদ্ধতি পরিচালনার দায়িত্ত্বে থাকেন কতিপয় ফেসিলিটেটররা। শুরুতেই সবাইকে এক ফর্মে সই করতে হয় এই মর্মে যে এই ... ...
আগের পর্বে অনেকটাই লিখেছি,কিন্ত নোটপ্যাডে টাইপ করে ফোনেই লিখি বলে একটা নোটে পুরো লেখাটা ধরছিল না,তাই এই পার্টটা আলাদা করে লিখলাম। তো যাইহোক ,এই শকটা থেকে যখন নিজের ভেতরে নিজে রিকভার করছি,একটা বাচ্চা যে নিজেকে ছোট থেকে জেনে এসেছে সেও একদিন খালি নিজের ইচ্ছাতে মেয়ে হয়ে জীবনযাপন করবে ভবিষ্যতে ,সে যদি জানতে পারে তার ভবিষ্যৎটা কোনদিনই তার স্বপ্নের মতো ,মনের মতো হবার কোন সুযোগই নেই (তখনো ট্রান্সজেন্ডার,সেক্স চেঞ্জ এসব সম্বন্ধে কিছুই জানি ,ক্লাস ফোর-ফাইভের মফস্বল বাসী একজন পড়ুয়ার পক্ষে অত জানা সম্ভব ও নয়, ... ...
১. জামাইয়ের নামে রন্ধন, গোরো গুষ্টি ভক্ষণ। ২. চতুরালি করে কয় জামায়ের ভূতে, চল সোয়ামী ঘরে যাই কাঁথার ভিতর শুতে। ৩. জামাইয়ের জন্য মারে হাঁস
দেবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আখর বন্দ্যোপাধ্যায় আগাম নিবেদনঃ এই লেখাটা মাগনা পড়ে যাঁরা আমাদের মতামতের সঙ্গে সহমত হবেন, তাঁদের কাছে একটাই অনুরোধঃ আমাদের এই লেখাটার জন্য খাটা-খাটনির মজদুরি মোতাবেক “বিনিময় মূল্য” (হায়, সবই শর্তাধীন বিনিময়ী বন্দোবস্ত) হিসেবে নিচের এই লিঙ্কটা টিপে পিটিশনে দয়া করে স্বাক্ষর দেবেন। এইটুকু প্রত্যাশা আমরা আপনাদের কাছে করতেই পারি এবং আপনারা সই করলে আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ ... ...
জন্ম সাল জানার কৌশললেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। ৮৩ থেকে নিজের বয়স বিয়োগ করুন। বিয়োগফলের সাথে ১৯৪১ যোগ করলে, আপনার জন্ম সাল দেখতে পাবেন। ৮৩ সংখ্যা - ৫৬ বছর বয়স = ২৭ বিয়োগফল আবার বিয়োগফলের সাথে ১৯৪১ সংখ্যা যোগ আপনার জন্ম সালের তারিখ জানা
পাকিস্তান ঘাস খেয়ে এটম বোমা বানানোর স্বপ্ন দেখেছিল। ১৯৭২ সালে দেখা সেই স্বপ্নটা তারা এসে পূরণ করেছে ১৯৯৮ সালে। এটম বোম বানিয়েই ছেড়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের নিউক্লিয়ার সাইন্সে উন্নত করছে। উন্নত করেছে গবেষণায়। চীনের সাথে মিলে তৈরি করছে ফাইটার জেট।
নাটক: ভুলে যাই কেমনে ! ( স্কুল ফেরতা একদল ছাত্র। পিঠে ব্যাগ।পরনে বাহারি পোশাক। নিজেদের মধ্যে গল্প করতে করতে পথ চলছে তারা। খোলা মাঠের মাঝখান দিয়ে এক চিলতে পায়ে চলার পথ। সেই পথ ধরেই নিজেদের মধ্যে হুল্লোড় করতে করতে চলেছে তারা,মানে শ্রীরূপ, ঋষি , ঋষিরাজ আর সুমিত। ওদের মধ্যে ঋষিরাজ একটু পিছিয়ে ... ...
‘দোস্তজী’ দেখলাম, এবং মুগ্ধ হলাম ।একেবারে অন্য রকম বাংলা ছবি। শুধু ছোট্ট দুই বন্ধুর গল্প বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গল্প বলে দেগে দিলে, কিছুই বলা হবে না এই সিনেমা সম্পর্কে । শহুরে মধ্যবিত্ত জীবনের বাইরে যখন পা ফেলার কথা ভাবতেই পারেন না হাল আমলের বাঙালি পরিচালকেরা, তখন পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায় আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামে। তিন চাকার ভ্যানে ঘোড়া জুতে আশ্চর্য এক গতি আসে এই ছবিতে, গতি পায় এই ছবির ছোট্ট দুই চরিত্রও। জন্ম হয় অবাক করা সব দৃশ্যের । সিনেমা যে মূলত দৃশ্যের সমাহার তা আরো একবার মনে করিয়ে দিলএই ছবি । দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, গ্রামের আটপৌরে জীবনকে ... ...
মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায় ‘প্রথম যখন হাঙ্গরের চোয়ালটা দেখতে পেলাম, খাঁচার অতো কাছে, ষোলো ফুট বিপুল শরীর, শিকার ধরার সময় তার লেজের ঝাপ্টা, এক মুহূর্তে মনে হচ্চিল, খাঁচার দরজা এখ্খুনি খুলে যাবে অথবা আমাকে নিয়ে খাঁচা গভীর সমুদ্রের নীচে। প্রত্যেকবার যখন কেল্পের জঙ্গলে মধ্যে দিয়ে গ্রেট হোয়াইট শার্কদের শিকার ক্ষেত্রে নামি, মনে হয় ধার করা সময়ে বাঁচছি। হয়তো এবারই শেষ।’ জান্দিলে লোভু, ফ্রি ডাইভার, সাউথ আফ্রিকা আমি খেয়াল করে ... ...
কুলচাকে নিয়ে কলতান বাড়ি ফিরল রাত দশটা নাগাদ । থানা থেকে বেরোবার সময় গৌতমবাবুকে জিজ্ঞেস করল , ' নিউআলিপুর থানার এনকাউন্টারে কোন ইনজিওরি হয়েছে কিনা জানেন কি ? '----- ' না না ... কোন ইনজিওরি নেই। আমি রিপোর্ট নিয়েছি .... ওটা হলে তো আবার হসপিটালের চক্কর আছে ... ওঃ... '----- ' ঠিক আছে , আমি বেরোচ্ছি । আমার ডিউটিশেষ। এবার আপনারা প্রসিড করুন .... '----- ' কি যে বলেন ... আপনার ডিউটি কখনও শেষ হয় ? যাক কোর্ট কেসটা তো চালু হোক ... '----- ' সেটাই তো বলছি .... বেল আটকানোর জন্য যা করতে হয় করবেন ... অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার স্যারের ... ...
হেডস্যার কামড়ে দিলেন (২য় ও শেষ পর্ব ) আগের কথাঃ টেলিভিশন চ্যানেলে খবর প্রচারিত হয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই স্কুলেরই এক ছাত্রকে কামড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সাংবাদিকরা স্কুলে ও হাসপাতালে পৌঁছে সেখানকার খবর জানাতে থাকেন, পাশাপাশি চ্যানেলের স্টুডিওতে বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কামড়ানোর ওপর আলোচনা চলতে থাকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তব্য ... ...
কোন এক অজ্ঞাত খেয়াল / কোন এক পাগলামির বীজ / আমায় দিয়ে দখল করালো / সূর্যমুখী গ্রাম।
কোনো মেয়ের নাম ফেলি হলে ধরেই নেওয়া যায় যে সে মা বাপের কাছে ফেলনা হয়েই উড়ে এসে জুড়ে বসেছিলো। কিন্তু এই ঘটনাটা ঠিক তা না। শিশুর বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতেও অনেক সময় বাজে একটা নাম রাখা হয়... চশমে বদ্দুর ! ফেলির আগের কন্যা সন্তানটির মৃত্যুতে শোকাহত বাপ ছুতোর মিস্ত্রি পাঁচু দাস ফেলিকে বুকে আঁকড়ে রাখতেই বুঝি এই নাম দিয়েছিল। কিন্তু বাবরের প্রার্থনা তারই গায়ে লেগে গেলো! এগারো ... ...
"Dogmatism" এর আভিধানিক অর্থ যা পাওয়া যায় সেইগুলো হলো, গোঁড়ামি, নির্বিচারে আত্মমত প্রচার, প্রশ্নাতীতভাবে কোনো কিছুকে স্বীকার করে নেওয়া, মত সম্পর্কে অন্ধবিশ্বাস। "Dogmatism" শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে অভিধানে যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো:arrogance :-(noun) অহমিকাauthoritarianism :-(noun) কর্তৃত্ববাদ, স্বৈরতন্ত্র, স্বেচ্ছাচারbias :-(verb) প্রবনতাbigotry :-(noun) ধর্মান্ধতা,