ক্যালকাটা পোর্ট ট্রাস্টের (CPT) একজন সাধারন কর্মচারী ছিলেন আমার পিতাশ্রী। পরবর্তী কালে, মানে ২০০১ সালে CPT হয়ে যায় KPT শহরের নাম পরিবর্তনের সাথে সাযুজ্য রেখে। বাবা অবশ্য তার অনেক আগেই ১৯৮২ সালে স্বেচ্ছাবসর গ্ৰহন করেন। এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স আটান্ন বছর। বাবার ক্ষেত্রে সেও হয়ে দাঁড়াল ছাপান্ন বছর।অর্থাৎ আমাদের সংসারের অর্থনৈতিক অবস্থা বারোটা ছাপান্ন। কারণ তিন ছেলের কেউই তখনো নিজের পায়ে দাঁড়ায় নি। শুধুমাত্র দিদি ... ...
#rebuildbengalleft বিজেপির রাজ্য সভাপতি তাঁর নিজের দলের কাউন্সেলর এর বাড়ির পিছনে বা সামনে বা অন্তত অনতিদূরে নাগরিক দের মলত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন। এরকম সিভিক সলিউশন সত্যিই বিরল।আরেকজন আদ্যপান্ত সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ, রাজনীতি থেকে চলে গেলেও, সাংসদ পদটি ছাড়তে পারছেন না। একজন রীতিমত শিক্ষিত বিজেপি নেতা, তিনি আবার রাজ্যপাল পদ অলঙ্কৃত করে থাকেন, নিয়মিত কদর্য আক্রমণ করেন সমাজের নানা অংশের মানুষকে। আর দুজনের অপূর্ব রূপকথার মতো শাসন কালে দাড়ি ও টাক ফ্যাশনেবল হওয়া ছাড়া আর কিছু বিশেষ দেশের কাজ হয় নি, যা হয়েছিল তা বানচাল করা চলছে। আপাদমস্তক স্বৈরাচারী এবং মিথ্যাচারী। তাঁদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী হুমকি এবং এনকাউন্টার দিয়ে রাজ্য চালান। বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল জোর ... ...
সকালবেলায় দেবমাল্য বলল, ' কলতানদা পরাণের পরিবারকে একবার দেখে আসবেন নাকি ? ওদের সঙ্গে অনেকদিন যোগাযোগ করা হয়নি । কিছু টাকাও দিয়ে আসতে হবে । গত তিন বছরে কেসটা তুলে নেবার জন্য অনেক হুমকি ফেস করতে হয়েছে । কিন্তু পরাণের স্ত্রী সুজাতা তবু হাল ছাড়েনি। দাঁত কামড়ে পড়ে ছিল পাক্কা তিনবছর আমার ওপর নির্ভর করে।তাছাড়া আর একজন ওদের সাপোর্ট বলুন, শেল্টার বলুন প্রচুর দিয়েছিলেন । তিনি হলেন বীরেন ঘোষ মশাই । নাহলে এদের বেঁচে থাকাই প্রায় অসম্ভব ছিল । ওদের ছেলেগুলো প্রচুর প্রোটেকশান দিয়েছিল ... সুজাতা তার দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে এখন পাশের গ্রাম ছামুড়িতে আছে ওর এক বোনের কাছে ... ...
অনেকদিন পর দূর থেকে ভেসে আসা চেনা সুরে রহমতের গলার আওয়াজ পেয়েই বুঝলাম ও ঠিক আমার বাড়ি আসবে ৷ রহমত মানে কাবুলিওয়ালা নয়, সে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটের বাসিন্দা। তার পেশা পুরোনা বইখাতা, কাগজ, লোহালক্কড় বাড়ি বাড়ি থেকে কিনে মহাজনের কাছে বিক্রি করা। কোন বাড়ি থেকে বই বা পত্রিকা পেলেই ও আগে আমার কাছে নিয়ে আসে, আমিও বেছেবুছে কিনে নিই। সংগ্রহযোগ্য হলে রেখে দিই বা পড়া হয়ে গেলে পরের বার আবার ওকেই কম দামে বিক্রি করে দিই। ভাবতে ভাবতেই দরজার কাছে এসে ডাক দিল- দাদা কিছু বই পত্তর এনেছি গো। দরজা খুলে দেখি মাথার ঝাঁকাটা সামনে ... ...
অঞ্জলির মামাতো ভাইয়ের ছেলে দীনবন্ধু, সেই যে কাটোয়া থেকে এসেছিল চাকরির ইন্টারভিউ দিতে, সে হঠাৎ রবিবার বিকেলে এসে হাজির হল। অঞ্জলি বলল, ' আরে দীনু যে ... হঠাৎ ! ' ------ ' হ্যাঁ পিসী ... চলে এলাম ... ওই যে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম, চাকরিটা হয়ে গেছে। কাল জয়েনিং ... ' ----- ' আরে এ তো দারুণ খবর ... দাঁড়া তোর পিসেমশাই ... ...
বেনারস পর্ব ৪দুপুরের খাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে একটি রিক্সা নিয়ে বেরোন হল। উদ্দেশ্য নৌকাবিহার। একটি রিক্সা নিয়ে পৌঁছলাম অসি ঘাটে। বিকেল হয়ে আসছে তখন। দরাদরি করে একটি নৌকায় গিয়ে বসা হল। নদীতে নানা আকারের নৌকার ভীড়। একে একে পার হয়ে যাচ্ছে এক একটি ঘাট। নতুন করে সংস্কার হওয়া সত্ত্বেও প্রাচীনতা এতটুকুও হারায় নি যেন ! আমার ভিতরের 'আমি' টা যেন বলে উঠল – ' আবারও এমনভাবে দেখছ? কত শতবার এই নদীতে, নদীর ঘাট গুলোতে আসা যাওয়া করেছ – ভুলে গেলে? মন দিয়ে দেখ দেখি! ঐ যে সিঁড়ির উপরেই ঘাটের মোটা থামগুলো... যেগুলোতে ফাটল ধরেছে আর ফাটলের মধ্যে দিয়ে কত ... ...
এর আগে যেমন বলেছিলাম, ঠেলা আর ল্যাঠা, সেরকমই আরো কিছু বিপরীত শব্দজোড় অনুসন্ধান করেছি।যেমন দেখানো এবং খেদানো। দেখানো মানে আকর্ষণ করা বা টেনে আনা (লোক দেখানো), আর খেদা মানে বিকর্ষণ বা বিতাড়ন করা (লোক খেদানো)। সুতরাং প্রয়োগের দিক থেকে দেখানো এবং খেদানো বিপরীত শব্দজোড় বলা যায়।অনুরূপ পিটুনি আর টিপুনি। পিটুনি অর্থে জোরে আঘাত করা আর টিপুনি হল আলতো করে আঘাত করা, সুতরাং এই দুটিও আমাদের ... ...
সেকেলে রয়ে গেলাম এখনো। মেদিনীপুরে যেদিন শ্রীলেদার্স খুলেছিল তার কয়েকদিন পর কালো একজোড়া বুট কিনেছিলাম। স্পোর্টস সু পরার বয়স গেছে, তাই কালো বুটে ফর্মাল হওয়ার চেষ্টায়। তারপর ইতিহাস। গরমেই হোক কিংবা দু মাস স্কুল ছুটি, জুতো আর পরা হয়নি। আজ বের করে দেখলাম সাদা সাদা ছাতা পড়েছে জুতোয়, ঘরের পালিশে চকচকে হল না ভালো। ভাবলাম ট্রেনে করে যাওয়ার রাস্তায় করিয়ে নেব চকচকে করে পালিশ। ট্রেনে চেপেছি। হালকা দুলুনি ... ...
সেকেন্ড বার্থমৌসুমী ঘোষ দাস (ছোটো গল্প) অন্ধকার ব্যালকনি থেকেই যূথিকা বুঝতে পারলেন অনির্বাণ আর রিয়া ফিরেছে অফিস থেকে। সারাদিনে এইসময়টাতেই যেন প্রাণ ফিরে আসে বাড়িটায়। যূথিকাও একটু শ্বাস নিয়ে বাঁচেন। তোড়া অবশ্য বিকেলেই ফেরে স্কুল থেকে। খুব শান্ত, কম কথা বলে। চেঞ্জ করে খাবার খেয়ে একটু ল্যাপটপ নাড়াচাড়া করেই স্টাডি রুমে ঢুকে যায় ... ...
সকাল আঠটার সময় দেবমাল্যর বাড়িতে চলে এল মৌসুমী । কাল রাত্রেই ফোনে পুরো বৃত্তান্ত জানিয়ে দিয়েছে কলতানকে । সব শুনে কলতান যদিও ফুরফুরে মেজাজে আছে , মনে একটা উৎকন্ঠার কাঁটা বিঁধে আছে যে রেকর্ডটা ঠিকমতো হল তো ? নাহলে এত টানাহ্যাচড়া, ঝকমারি সব মাঠে মারা যাবে । মৌসুমী ঢুকতেই কলতান বলে উঠল, ' ব্রেভো ব্রেভো ... ইয়াং গার্ল ... হ্যাটস অফ ... হোয়াট আ গ্রেট জব ... ' পারলে ওকে জড়িয়ে ধরে কলতান। কোনরকমে নিজেকে সামলে নিল । মৌসুমী বলল, ' আরে দাঁড়ান দাঁড়ান ... ঠিকমতো রেকর্ডেড হল কিনা দেখে নিন আগে । তারপর সেলিব্রেট করবেন ... '----- ' ইয়েস অফ কোর্স ... ...
প্রতিষ্ঠানবিরোধী রাজনীতিতে কিশোর অতিনিবেদিত কাসাব্লাংকা বা সুকান্ত ঘরানার বামপন্থী হিসেবে সংস্কৃতির জগতে বৌদ্ধিক চর্চার জগতে খানিকটা সরলীকৃত যাতায়াতের অভ্যেস ছিল। যেসব বন্ধুরা দেশ পত্রিকায় কবিতা ছাপানোর জন্য আকুলি বিকুলি করত, বা আনন্দ পাবলিশার্স এর আপিসে একদিন সিকিউরিটির বেড়া পেরোতে পারত তাদেরকে ঠিক সিআইএর চর মনে না করলেও আমরা তাদের কলকেতে স্খলন নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় থাকতাম। তরুণ বন্ধুসহ সব লেখকলেখিকাদের মধ্যে আত্মপ্রকাশের আর্তির ওজন, সমাজ সচেতন রাজনীতির থেকে পাল্লায় ভারী হল কিনা খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজেদের লেখালিখি বা তার নিরীক্ষার চর্চা থমকে থাকত। ... ...
কর্ট ভোনেগাটের কিছু কন্সপিরেসি থিওরি উনি যে একটা কথা বলেছে নিজে নিজে একটা কবিতা লিখে ছিড়ে ফেলা - যেটা ভালো হয়েছে কিন্তু কেউ পড়েনি - নিজে নিজে জানা ভালো হয়েছে। ইমেজ রিসাইজ করতে হয় কিভাবে ? ইমেজ তো সব স্পেস নিয়ে নিলো। স্কুলে থাকতে এমন কাজ করেছিলাম - বেশির ভাগই কয়েকজনকে পড়িয়ে ছিড়েছি, কয়েকটা একদম যে পাশে ছিলো তাকে শুধু একটু দেখতে দিয়ে - ছিড়ে ফেলেছিলাম - ও বেশ হতভম্ব হয়েছিলো - তার অন্যতম কারণ যেটুক সে পড়তে পেরেছিলো সেটুক বেশ চিৎকার ছিলো - মানুষ চিৎকার দেখলেই রিয়েল মনে করে, এগুলো আসলে সত্তর আর আশির টেকনিক - সত্তর থেকে পৃথিবী কোথাও একটা বোকাবোকা গা-জোয়ারি মোনোপলি ... ...
নারী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সময়ের কয়েকটি লেখা। কি লাভ হয়েছে, কিছুই না। / চিরশ্রী দেবনাথ / পুনর্বার / যত সব দুঃখদুয়ারী মেয়েরা / আমি তাদের মধ্যে নেই / কত হাজার সংগ্রামে যাদের কেটেছে পা
আমি, চিত্রাঙ্গদা নই। / কুরূপা নই, সুরূপাও নই, / আমি অপরূপা, বিশ্ববীণার গান; / এ গান কোন দ্বার খোলার চাবিকাঠি নয়।
"শকুনির পাশাতে যে কূট কৌশল নিহিত আছে তা আমারই, আপনার পাশাতে যে কূটতর কৌশল আছে তাও আমার। ধর্মরাজ, এই তৃতীয়দ্যূতসভায় বস্তুত আমিই উভয় পক্ষ। আপনি আর শকুনি নিমিত্তমাত্র।" (—তৃতীয় দ্যূতসভা, পরশুরাম _________ আমাকে গানের ওপারে দাঁড় করিয়ে, মানে ঐ গান-পয়েন্টে রেখেও যদি
আমি মধু। আমার মা অনেক খানি ভালো বাসা দিয়ে আমার এই নাম খানি রেখেছিলেন। আমার বাড়ির পাশের আমগাছ খানি ছোট বেলা থেকেই ছিল আমার স ই। মা বলতো সেই আমি যখন জন্মেছিলাম তখন আমার দাদু অনেক সখ করে এই গাছ খানি লাগিয়ে ছিল।সেই হিসেবে আমরা দুজনেই সমবয়সী বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম। একটু বড় হতে,গাছের লাগোয়া জানালাটি ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা।সারাদিন কত পাখ পাখালির আনাগোনা ছিল এই গাছে।সবার কূজনে জায়গাটা মুখরিত হয়ে থাকতো।আমি জানালা দিয়ে সেই সব দেখতাম আর সেই সব অজানা পাখিরাও খুব শীঘ্রই আমার খুব কাছের হয়ে উঠেছিল।মাঘ ফাল্গুনের হিমেল হাওয়ায় ভেসে যখন গাছখানিতে প্রথম মুকুলের ছোঁয়া এসে লাগতো ... ...
মানসাইপ্রতিভা সরকারকারুবাসা প্রকাশনীমূল্য তিনশো টাকাএই লেখা কোনো রিভিউ নয়। ঠিক এক সপ্তাহ আগে পড়া বইটির পাঠপ্রতিক্রিয়া বলা যেতে পারে; চেষ্টা করছি , এই উপন্যাসের যে বৈশিষ্ট্যগুলি আমার কাছে ধরা দিয়েছে, তা লিখে রাখার। "সময় -ধারাকে খুব স্পষ্ট ধরবার মতো কোনো যন্ত্র থাকলে তা থেকে যে ছবি বেরোত তার চেহারা অনেকটা ইকোকার্ডিওগ্রাম রিপোর্টের মতো হত বোধহয়। ঢেউয়ের মতো কোথাও উঠছে, একেবারে উত্তল, তো পর মুহূর্তেই অবতল। আবার ছোট ছোট ঢেউয়ের খাঁজখোঁজগুলো ও বেশ স্পষ্ট"- মানসাই, পৃষ্ঠা ৭৬। শ্রীমতী প্রতিভা সরকারের "মানসাই" উপন্যাসপাঠ শেষে উপরের লাইনগুলি ফিরে পড়লাম যেন আমাকে এই উপন্যাসটিকে থীম ধরে ছবি আঁকতে বলা হয়েছে, যেন আমার সামনে শূন্য ক্যানভাস- ... ...
কাল রাতে বহু বার দেখা সিনেমা "গল্প হলেও সত্যি" আবার দেখছিলাম। আমাদের বিশেষ করে বাঙালিদের ইন্টালেকচুয়াল হবার মধ্যে একটা প্রছন্ন গর্ব থাকে। তাই কোন সাধারণ মানুষের সাধারণ কাজকে তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাচ্ছিল্য করেন। সিনেমাতেও দেখি ভানু বন্দোপাধ্যায়-এর ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো তাচ্ছিল্য করে বলত নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো কাজ! এই ব্যাপারটি কে ভানুবাবু অসাধারণ ভাবে ব্যঙ্গ করেছেন। যখন তার ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো জিগ্যেস করছেন ছোটকাকা তুুমি কি করছ? ভানু অবলীলায় উত্তর দেন : নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো বিড়ি টানছি!সত্যি তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাদের উন্নাসিক মনোভাবের জন্য কখন যে সাধারণ মানুষের জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তা তারা নিজেরাই বোঝেন না। সব ব্যাপারে নিজেরাই শেষ কথা বলবেন তা কি ... ...
গ্রীষ্মের উদাসী দুপুর মানুষকে তো খ্যাপাটে করেই ছাড়ে। চাঁদিফাটা রোদ্দুর আর বিনবিনিয়ে ঘামে তেলে মাখামাখি হয়ে প্রত্যেক মানুষের তখন বেশ রসালো অবস্থা (রস চ্যাটচ্যাটে)। কিন্তু যাই হোক প্রাণটা তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে! তাই গলায় গ্যালন গ্যালন ঠান্ডা জল আর বরফ ঢুকতে থাকে বিচিত্র রঙ, গন্ধ আর শোভায় পানীয়ের বোতলের মাধ্যমে আর আছে প্রাণজুড়ানো আইসক্রিম, কুলফি। তবে এখন এগুলো যতই সহজলভ্য ... ...
প্রচলিত একটি ধাঁধা এবং সেই ধাঁধার সমাধান, আমরা প্রায় সবাই জানি। কিন্তু তাসত্ত্বেও যেহেতু আমরা একে অন্যকে ততটা বুদ্ধিদীপ্ত বলে মনে করি না, তাই সুযোগ পেলেই নিজেকে যথেষ্ট চালাক প্রতিপন্ন করার জন্য সাদা কাগজে কলম দিয়ে একটা ছোট সরলরেখা টেনে বা মেঝেতে চক দিয়ে অনুরূপ রেখা টেনে প্রশ্ন করি, বলুন তো এই রেখাটির বিন্দুমাত্র অঙ্গহানি না করে কীভাবে রেখাটিকে ছোট করা যায়? যাকে প্রশ্নটা করা হলো, তিনি যদি মোটামুটি অভিনয়কলা রপ্ত করে থাকেন, তাহলে প্রথমটা না জানার ভান করে বিস্ময় প্রকাশ করবেন। তাই তো, তাই তো, এটা কী করে সম্ভব! তারপর কিছুক্ষণ বগল চুলকে সমাধান বের করার ভঙ্গিতে বলবেন, ধরে ... ...