- এই অবস্থায় অফ লাইন পরীক্ষা হলে তো নম্বর কমে যাবে ম্যাডাম, সবার কাছে অসম্মান হবে, যদি পাশ করতে না পারি! ইউনিভার্সিটি কি কোনোদিন আমাদের কথা বুঝবে না? চমকে উঠি ওদের কথা শুনে। এই তো কদিন আগে লকডাউন চলাকালীন ওদের কত ভয় ছিল, ‘আমাদের সবাই করোনা ব্যাচ বলবে, আমরা কোথাও চাকরি পাব না’ – সেই দূরের ভয়গুলো তুচ্ছ হয়ে এখন কাছের ভয়গুলো বড় হয়ে উঠেছে! সত্যিই তো, গত দু’বছর প্রাণ খুলে হাসা হয়নি, বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটি হয়নি, টিফিন ভাগ হয়নি। বন্ধু, বা শিক্ষক কাউকে মনের কাছাকাছি পায়নি – তাই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাত্মতা হয়নি। এরা নিজেদের খুব একা ভাবছে মনে হচ্ছে। আর সেজন্যই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিপক্ষ ভাবছে। হায় হায়! এতদিন আমি কেবল নিজের দুঃখ নিয়ে বিলাস করছিলাম। এদের দুঃখ, ভয়, টানাপোড়েন আমার চেয়ে শতগুণ বেশি। বরং এই প্রৌঢ়ত্বে এসে বহু ঘাত-প্রতিঘাত সামলে আমি নিজে যতটা শান্তভাবে এই মনখারাপের মোকাবিলা করছি, এরা তো সেটাও পারছে না। হঠাৎ চিন্তাসূত্র ছিন্ন হয়ে যায় এক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ক্লাসের ছাত্রীর কথা শুনে, - ম্যাডাম দিল্লির দিকে তো বেশ কিছু করোনা কেস হচ্ছিল। পরীক্ষার আগে যদি এদিকে একটু বেড়ে যায়, তাহলে খুব ভাল হয়। ... ...
চারটে দশের ঘন্টা পড়তে গিয়ে তাই নিজেকেই ফিরে পড়ি। মনে হয় এ কোনো বিশেষ ব্যক্তির স্মৃতি-গাথা নয়, বরং সত্তর আশির দশকে ব্যাপ্ত মফস্বল তার সমস্ত কাহিনি নিয়ে এইখানে জ্যান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ অরহান পামুকের স্মৃতিকথা ইস্তানবুলের মতোই এতে শুধু ব্যক্তি নয়, প্রাধান্য পেয়েছে বিশেষ সময় এবং স্থান। নাই বা হলো সে কোনো বিখ্যাত শহর, কিন্তু মেদিনীপুরের কাঁসাই কী মন্ত্রবলে উত্তরবঙ্গের মানসাই নদীকে স্মৃতির জলোচ্ছ্বাসে মিলেমিশে একাকার করে দিয়েছে। ... ...
বুড়ি জানে হাতে একটু টাকা রাখতে হয়। এদিকটা না দেখলে হবেনা। গঞ্জনা জুটবে, না খেয়েও মরতে হতে পারে। ক্রয়ক্ষমতাই তো ক্ষমতা এখন! বুড়ি বোঝে। এদিকটা না সামলালে চলবেনা, অরণ্যের জীবন তো আজ আর পাওয়া যাবেনা। তাই সে এটুকু করে। বাদবাকি সবসময় তুমি দেখো, বুড়ি আর প্রকৃতি। বুড়ি যেনো কথা বলে, "কীগো কেমন আছ তোমরা সবাই? আমার মন ভালো নেই। বাঁশবাগানে চ্যাং মাছ নেই। খালে শাল মাছ নেই। প্যাঁচার ডাক শুনতে পাইনা। শেয়ালরা কেউ নেই।" ... ...
মিষ্টির রসে ডুবে থাকা মাছি উঠে আসতে পারে না সেই রসকুণ্ড থেকে। ডানা, পা, শুঁড় রসে ভারি। নিয়তির হাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে অন্ধের মতো এদিক ওদিক ঘোরে।আয়ু থাকলে সে বাঁচে আরও কিছুদিন। কিছুদিন আরও স্বাধীনভাবে জীবনকে নেড়েচেড়ে দেখে নেয়।কিন্তু তার দৃষ্টির ঘোরাফেরা একটা নির্দিষ্ট সীমায়, জীবনকালও সেই গণ্ডির ভেতরেই সীমাবদ্ধ। অধিকাংশ মানুষের জীবনই এই। এই অঞ্চলের মানুষও তার ব্যতিক্রম নয়, বরং নারীপুরুষ নির্বিশেষে সবাই একরকম। নিশ্চেষ্ট, উদ্যমহীন।খেয়েপরে অর্থ উপার্জন করার আত্মকেন্দ্রিকতার বাইরে হাজার অপমান আর অসম্মানেও তারা বোবা। চেনা ছকের বাইরেও যে জীবনের যে একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে এমন কথা তারা সম্ভবত চিন্তাতেই আনতে সক্ষম নয়। ... ...
আধুনিক নন্দনতত্ত্ব বিষয়ক ওয়াল্টার বেঞ্জামিনের বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘The work of art in the age of mechanical reproduction’-এ এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। আমরা মোটামুটিভাবে এই সূত্রকে কেন্দ্রে রেখে আলোচনা করব ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আব্বাস কিয়ারোস্তামির (১৯৪০-২০১৬) মূলত দুটি ছবি নিয়ে, Certified copy (২০১০) এবং Like someone in love (২০১২)। ২০০০ সালে দেখা The wind will carry us(১৯৯৯)-র স্মৃতি আজও টাটকা। সেই আমাদের প্রথম কিয়ারোস্তামির ছবি দেখা। ... ...
আপনি যে একদিন বিখ্যাত হবেন তা আমার জানা ছিল, আমি মুজফ্ফর সাহেবকে বলছিলুম, আমার বিশ্বাস ছিল আপনি একদিন দেশবিখ্যাত এক লেটোশিল্পী হবেন। এখন তো দেখছি আপনি একজন দেশবিখ্যাত লেখক কবি এবং গায়ক, প্রায় ঠিকই ছিল আমার ধারণাটা। কিন্তু আপনি কি জানেন, ছেলেবেলায় আলাপ না হওয়া সত্ত্বেও আমি কেন আপনাকে মনে রেখেছি? আমার মায়ের কাছে শুনেছিলুম আমি নাকি এক ফকিরের আশীর্বাদে জন্মেছিলুম। ফকির মানে কী, আমি জানতুম না তখন। কিন্তু আপনার বাবা তো অজয়ের দুপারেই বিখ্যাত ছিলেন। আমি যখন শুনলুম তাঁর নাম ফকির আহ্মদ, কেউ না বলা সত্ত্বেও আমি ধরে নিলুম, ইনিই নিশ্চয়ই সেই ফকির, এঁর আশীর্বাদেই আমি জন্মেছি। ... ...
ওদিকে দেখি অনেক ক্যাম্প। সেখান থেকে ডাকছে, আসুন কমরেড। কোথাও কোথাও রুটি গুড় কাগজে মোড়া কোথাও লুচি আলুর দম। কড়াই ভর্তি আলুর দম। আমি দেখছি কড়াইয়ের নাম। দেখি, ও মা, ধীরেন। কড়াইকেও মনে হল, কমরেড কড়াই। আমরা ছোটো। জল তেষ্টা পেয়েছে। একজন স্বেচ্ছাসেবক বললেন, কমরেড খোকা, ওইদিকে জলের ট্যাঙ্ক আছে। আমাকেও কমরেড বলেছে। মনে হল, অনেক বড় হয়ে গেছি। আনন্দে জল এসে গেল চোখে। কেউ আমাকে কমরেড বলেছে। ... ...
আউগুসট বেবেল স্ত্রাসের মোড়- এখানে একদিন জানতে চেয়েছিলাম মাকস শিফারডেকার স্ত্রাসে কিভাবে যাব।দশ বছর আগে গাড়ি দাঁড় করিয়ে একজনকে প্রশ্ন করলে তিনজন হাজির হতেন এখন একজন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা দূরের কথা দর্শন পাওয়া দুরূহ ব্যাপার। নীল শাদা অক্ষরে লেখা আছে মাক্স শিফারডেকার স্ত্রাসে। চেনা বাড়ি চেনা মুখ। তেরো নম্বর কিন্তু আমূল পরিবর্তিত। সেই চকচকে টালি, রাস্তা থেকে ওঠার ধাপ গুলো সুন্দর রঙ করা। হাইকে খুব খুশী হল আমাদের দেখে। জাখসেন / থুরিঙ্গেনের উচ্চারণে একটা বড়ো আদরের টান আছে। অনেকটা আমাদের বীরভূম বর্ধমানের বাংলার মতন। জানি 'কতদিন পরে এলে গো 'এ বাক্যের সম্যক অনুবাদ হয় না কিন্তু হাইকের কণ্ঠে আমি সেই সুর শুনলাম। ... ...
এক মৌলবাদ আরেক মৌলবাদকে পুষ্ট করে। সেটা হলে হিন্দু মৌলবাদীদের দাপট যে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আরেসেস-বিজেপির ক্ষমতা এখন সর্বব্যাপী। প্রায় সব প্রতিষ্ঠান তাঁদের তাঁবেদারে পরিণত হয়েছে। বিরোধীরা মূক। এই ঘটনা নিয়ে তাঁদের কোনও জোরাল প্রতিবাদ নেই। তাই নূপুর শর্মার ঘটনা সাময়িক ভাবে গেরুয়াবাহিনীকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেও, আদপে এই সংকট তাঁদের পক্ষে আরও অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করবে। ... ...
ইমোশন দেখলেই তার উপচে পড়ছে কথকতা/ দৃশ্যকে পিঁড়ি পেতে ডাকে, বাবা বাছা করে/ আমদুধ মেখে দ্যায় কাঁসার থালায়/ অচেনা শব্দ এলে তার সঙ্গেই কত কথা... ... ...
- সেনবাড়ির ঝোল আর মাছের ঝালের তফাৎটা কি? - তফাতের বদলে তুলনা বলছি। ১। দুটোতেই তেলে পাঁচফোড়ন আর লঙ্কা ফোড়ন পড়ে। কাঁচা লঙ্কা অথবা শুকনো লঙ্কা - আপরুচি খানা। মা কাঁচা লঙ্কা দিত, আমিও তাই। ২। ঝোলে নানারকম সব্জি দেওয়া যাবে। কিন্তু ঝালে সেটা হয়না। ঝালে আমার মা মাঝে মাঝে আলু বা বেগুন, অথবা শীতের সময়ে পেঁয়াজ কলি বা কচি শিম ভেজে দিতো, যেকোনো একরকম। ৩। আজকাল সারাবছর টমেটো পাওয়া যায় বলে, দুটোতেই টমেটো দেওয়ার চল হয়েছে। আমাদের ছোটবেলায় টমেটোর এত ব্যবহার ছিলনা। ৪। হলুদ দুটোতেই কমন। ৫। ঝোল বা ঝাল হবে নোনতা স্বাদের। কোনো মিষ্টি পড়বেনা। ৬। ঝোলের মশলা হচ্ছে প্রধানত ধনে; জিরে দিলে খুব অল্প, মা জিরে দিতনা। ডালনা বা দমে জিরে হল প্রধান, কিন্তু ঝোলে নয়। বেগুন দিয়ে ঝোল হলে হাল্কা সর্ষে ধোওয়া জল দেওয়া যাবে। ... ...
আর একটি মিলনকাহিনীও আমার গোচরে আছে, অভয় দিলে বলি। সেবার লখনৌ থেকে ফিরছি, পুজোর সময়, কামরায় প্রচন্ড ভিড়। আমাদের এক পরিচিতের ওপরে দায়িত্ব ছিল টিকিটের, সে সেগুলির কনফার্মেশন না করেই আমাদের হাতে গুঁজে দিয়ে শেষ মুহূর্তে গা ঢাকা দিয়েছে। অথচ ফিরতেই হবে, উপায় নেই। অমৃতসর মেইল এর টিকিট পরীক্ষক মহবুব আলম, সহৃদয় হয়ে ব্যবস্থা করে দিলেন সকলের কোনোরকমে। দিলীপ কুমারের মতোই সুদর্শন, অমায়িক, মধুর লখনৌয়ি জবানের অধিকারী মহবুবের মুখে একটি গল্প শুনেছিলাম সেদিন। শোনাই। ... ...
ইদানীং সুপ্রিম কোর্টের একটি বক্তব্য নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত নাকি পুলিশ প্রশাসনকে বলেছে ভারতে যৌনকর্মীদের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলতে, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবহার করতে, কথায় কথায় ওদের টানা হ্যাঁচড়া করে অপদস্থ না করতে। ওরা একটি পেশায় রয়েছে, কোন অপরাধ তো করেনি। আর নিজের পছন্দমত জীবিকা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আমাদের সংবিধানে স্বীকৃত। তাহলে? ... ...
প্রধানমন্ত্রী তখন গুজরাটে। বরাবরের মতোই তিনি দারুন ভাষণ দিচ্ছিলেন। তার আট বছর ধরে করে যাওয়া জাতির সেবাকার্যের প্রশংসা করছিলেন। তিনি বলেন, "আমি আট বছরে ভুল করেও এমন কিছু হতে দিইনি, এমন কিছু করিনি যা আপনাকে বা দেশের কোনো নাগরিকের মাথা নত করাবে"। প্রধানমন্ত্রীর এই মিথ্যেটা আগের সবকটাকে ছাড়িয়ে গেছে। কথাটা শুনে গত আট বছরের আটটি ছবি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল। ... ...
বহু সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক, বহুদিন ধরে কাজ করছে, রিপোর্ট জমা দিচ্ছে। নীতি নির্ধারণ হচ্ছে, আইনকানুন লেখা হচ্ছে। তবু কেন মেটে না সমস্যা? তাবৎ বিশ্বের সব দেশ হাতে হাত রেখে চলতে কেন এতো অপারগ? কারণ, যেমন বাড়ির মধ্যে আমি আর আমার গৃহসহায়িকার দায়িত্ব আর ভূমিকা একরকম নয়, তেমনিই ধনী আর দরিদ্র দেশগুলির গপ্পোগুলোও আলাদা আলাদা। ... ...
মাহুতেরা বলাবলি করছিল এই অরণ্য তো কেবল ট্যুরিস্টদের মনোরঞ্জনের জন্য নয়। এটা পাখি,বাদুড়, বাঁদর,কাঠবেড়ালি এবং অন্য অনেক প্রাণীর বসতি। ডুমুর গাছ খুবই উপকারি, কারণ বছরে অনেকবারই এতে ফল আসে আর যখন অন্য কোনও ফল পাওয়া যায় না, তখন শুধুমাত্র ডুমুর ফলে বেঁচে থাকে এমন প্রাণীও আছে। এই যে যথেচ্ছ এই গাছের ডালপালা ভাঙছি, এক মাহুত আরেক জনকে বলল, এতে কিন্তু বনের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে । আমাদের ভেবে দেখা উচিত এটা আমরা চালিয়ে যাব কিনা। ... ...
সুন্দরবনের একটা একদম অন্যরকম, অন্যত্র না-দেখা-যাওয়া সমস্যাও আছে। প্রতিবার সেখানে সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয় আর মানবতার খাতিরে প্রচুর ব্যক্তি/ সংস্থা সেখানে ত্রাণ দিতে এগিয়ে আসেন। কিন্ত সমস্যা হল এই ত্রাণের সঙ্গে আসা প্লাস্টিক। কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নামের একটি এনজিও একটি প্রাথমিক সার্ভে করে জানিয়েছেন যে আমফান বিপর্যয়ের পরে কমপক্ষে ২৬ মেট্রিক টন প্লাস্টিক সুন্দরবনে এসে জমা হয়েছে। ইয়াসের পরেও, তুলনায় ছোট স্কেলে হলেও, এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বিপর্যয়ের ত্রাণ হয়ে যাচ্ছে ত্রাণের বিপর্যয়। ... ...
প্রতিভা কুড়ুলকে কুড়ুল বলেন। সরকার ও কর্পোরেটের মিলিজুলি আঁতাত খুলে দিতে তাঁর দ্বিধা নেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উন্নয়নের নামে যে অরণ্য ধ্বংস, বন্য প্রাণ হত্যা চলছে, নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিকত্ব,তার বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন তিনি। প্রতিবছর উৎসবের সময় ভাবি, এত অতিরিক্ত আলো কেন, এত শব্দ কেন। নেহাতই কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে এই আতিশয্যের ফলে, সে বড় ছেলেভুলানো কথা। ... ...
বরযাত্রীরা হিন্দুদের বিয়েতে ছাদনাতলাতেই খেতেন। মাথায় শামিয়ানা টাঙানো হতো। চারদিক সমান মাথা। সেখানে। গ্রামের মানুষদের বাড়ির দাওয়া বা আঙিনায়। কেউ কেউ গোয়াল ঘর পরিষ্কার করেও খাওয়াতেন। হিন্দু মুসলমান আলাদা বসানোর রীতি তেমন ছিল না, কিন্তু জাতপাত মানা হতে দেখেছি। শ্রাদ্ধ বাড়িতে বামুন তো আগে খেতোই, বিয়ে বাড়িতে শেষে খেতে দেওয়া হতো তফশিলি জাতির মানুষদের। বিশেষ করে বাগদি মুচিদের। আমাদের গ্রামের প্রশান্ত মজুমদার নামে ব্রাহ্মণ সন্তানের বিয়েতে এই ভেদ উঠে যায়। ... ...