ইছাপুর একধরণের স্থানিক উপস্থিতি, যা ছিল ছোটবেলার পাশে, তাকে আলগা ভাবে বেড় দিয়ে। খুব একটা নিশ্চিত, শক্তপোক্ত নয়... দু'চারটে মেঠো ডাল, কঞ্চির একটা এলোঝেলো বাঁধন। তার মধ্যেই ইছাপুর ছিল। মানে,এখন নেই। ইছাপুর কখনো অনন্ত হয়না।অথচ, একসময় দমদম জং থেকে স্টেশন পেরিয়ে পেরিয়ে,বেলঘরিয়া-আগরপাড়া-সোদপুর-খড়দা...টিটাগড়-ব্যারাকপুর-পলতা পেরিয়ে ইছাপুর একটি সরল সত্যের মত থাকত, যার কেন্দ্রে একটি সূক্ষ্ম পারিবারিক কোড। বালিকাদের কাছে সেই বিধি এক রকম, বড়োদের কাছে এক রকম।এক একটি মফস্বলী স্টেশন ... ...
একবার কোনও স্বঘোষিত রবীন্দ্রসঙ্গীত অথরিটি এসে জর্জদাকে এই গানের সূক্ষ্মতর দিকগুলি নিয়ে কিছু 'মূল্যবান' দিগদর্শন দিতে এসেছিলেন় জর্জদা সব শুনে বলেছিলেন‚ " বোজসি‚ কানা অন্ধরে পথ দেখায়়" এ ব্যাপারটা দেখা যায়, বিভিন্ন পত্রিকায় কেউ কেউ দায়িত্ব নেন আরেকজনের লেখায় বানানসংস্কার করার। সেহেন দায়িত্বশীল মানুষদের নিজস্ব বানানবোধ, যে রকম দেখি, এক কথায় 'ভয়ানক'। ।-----------------------------আমার বাবা বলতেন বানান দেখে একটা লোকের ক্লাস চেনা যায় । মানে বানান শুধু কোনও একটা বিশেষ ভাষার লিখিত রূপের উপর ... ...
আমি তৈরি হয়ে আছিফের যদি বলে “চল পাগলাগারদে ‘তবে আমি বলব আমার আবিষ্কৃত জ্যামিতির উপপাদ্য আরও আছে । সেগুলি লিখেদেখাচ্ছি ।সে সব উপপাদ্যে পাই আছে অর্থাৎসারকাল,ইলিপ্স সেইসব উপপাদ্য আমি আবিষ্কার করে গোপন রেখেছি। Sigrid Hjertenর ঘাতক ,Ernest Hemingwayর আত্মহত্যার প্ররোচক এবং Binoy Majumdar এর ভেজিটেবেল স্টেট এর জন্য দায়ী কে ? The answer is simple & common ঃ- Their Doctors -Specifically “Psychiatrist”Sigrid Hjerten সুইডেন এর অন্যত ... ...
সেটা ছিলো একটা নিমবসন্তের কাল। মন্দমন্থরে নেমে আসা দুঃসময়ের কালো ছায়ার দিন। ভারতবর্ষ অনেক পালাবদল দেখেছে। বিংশশতক পড়ার পর এইবার প্রথম মানুষকে এতোটা নিষ্ঠুর ভবিতব্যের সম্মুখীন হতে হলো। বিশ্বযুদ্ধের চাপে পর্যুদস্ত ঔপনিবেশিক দস্যুদের কেউ যেন মরণকামড় দিতে প্ররোচিত করেছিলো। 'ভালো' ইংরেজরাও মুখোশ ছিঁড়ে মন্দ ইংরেজদের সঙ্গে একাত্মবোধ করতে শুরু করেছে। ভারতবর্ষ সাম্রাজ্যের লক্ষ্মী। সেখান থেকে নিহিত স্বার্থে আঘাত কোন হিজ ম্যাজেস্টিস অনারেবেল সাবজেক্ট সহ্য করবে। ১৯১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতসচিব মন্টেগু মহা ... ...
এই লেখাটা খুব সাজিয়ে গুছিয়ে বিশেষ লেখা হবে না, যখন যেমন মনে হবে সেরকমই লিখে ফেলব হয়ত - যেমন, আজকের আনন্দবাজারে প্রথম পতায় বাঁ দিকে ছোট করে এক প্যারাগ্রাফের একটি খবর দেখছি। বড় লেখা দেখছি না, ভবিষ্যতে সেরকম কোন লেখা ছাপা হলে অবাকই হব, কারণ দেবেশ রায় আনন্দবাজারের লেখক ছিল না। ... ...
এবার রাশিয়ান আক্রমণ প্রকট হলো দূর হতে নিক্ষিপ্ত রকেটের রূপে । তার কতগুলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থানে আঘাত হেনেছে তা সঠিক জানা যায় নি । তবে নিরাপদ আস্তানায় বসে ছোঁড়া রাশিয়ান অনেক রকেট বাহী বোমা দেখা দিয়েছে অসামরিক মানুষের ঘরবাড়ির জানলায়, দরোজায়, হাসপাতালে, গোশালায় । প্রতিদিন, প্রতি রাতে সশব্দে সেই সব রকেট নাগরিকের প্রাণ ও শিশুর নিদ্রা হরণ করেছে। যুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কবিহীন কোনো প্রকারের সামরিক গুরুত্ব হতে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন সাধারণ নাগরিকের জীবন এবং জানলা চুরমার দ্বারা সামগ্রিক গণভীতি উৎপাদনে সক্ষম মহামতি পুতিন দেশছাড়া করেছেন বহু মানুষকে। অন্য কোন উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে কিনা সেটা তিনিই জানেন। অধিকন্তু ন দোষায় বিধে রাশিয়ান করদাতার অর্থে কেনা অজস্র লক্ষ্যভ্রষ্ট রকেট আছড়ে পড়েছে যেখানে সেখানে, গোয়ালে, স্কুলের মাঠে , হাইওয়েতে, বনে বাদাড়ে । ... ...
আমি আগ্রহ আরও হারিয়ে ফেললাম কারণ তিনি তখন মরিয়া হয়ে প্রথা ভাঙতে চাচ্ছেন। মৌলবাদের প্রতি প্রচণ্ড আক্রোশ তৈরি হয়েছে, ফলে ধর্মকে নানান ভাবে আঘাত করছেন, আঘাতের অস্ত্র সব সময় সুবিধার না। গাছে মাছে আক্রমণ চলছে তখন। এবং তখনই সম্ভবত দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ধর্মকে আক্রমণ করে এর আগেও অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। তাদের প্রতি মানুষ এই রকম বিরক্ত হয়নি। তাদের কথা পছন্দ হয়নি, হয়নি, চুপ করে থেকেছে। কারণ তাদের বলার ধরন অন্য রকম ছিল, তাতে সম্ভবত সাহিত্যের গুণাগুণ বেশি ছিল। তসলিমা নাসরিন কোনমতেই আহমেদ শরীফের চেয়ে বড় নাস্তিক ছিলেন না, হুমায়ুন আজাদের চেয়ে কঠোর কথা তিনি বলেন নাই তাও হয়ত বলা চলে। এরপরেও তাঁকে এঁদের চেয়ে বেশি গালাগালি শুনতে হয়েছে। এর কারণ এক যা বললাম, বলার ধরন অনেকের পছন্দ হয়নি আর দ্বিতীয়ত তিনি নারী! নারীর মুখে এই সব শুনতে আমরা রাজি না। ... ...
কুরোসাওয়া ক্রমশঃ মানিক বাবুর পারিবারিক বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। উনি বিজয়া রায়-কে ডাকতেন “জয়া – সান” বলে। ‘সান’ হল জাপানী ভাষায় এক সম্ভ্রম সূচক সম্বোধন – পুরুষ, মহিলা দুই দলকেই বলা যায়। যেমন প্রথম প্রথম কুরোসাওয়া সত্যজিৎ রায়কে ডাকতেন “মাষ্টার-সান” বলে। কিন্তু মানিক বাবু বেশ অপ্রস্তুত হয়ে একদিন বললেন, “আপনি আমাকে প্লীজ এই ভাবে মাষ্টার বলে ডাকবেন না সবার সামনে – বেশ লজ্জা লাগে”। তারপর থেকে কুরোসাওয়া উনাকে সবার সামনে ‘মিঃ রায়’ আর একান্তে ‘মাষ্টার-সান’ বলে ডাকতেন। ... ...
ইস্ট জর্জিয়া ও যাদবপুর - কাচুমাচু রায়---------------------------ঊনিশশো বিরাশি সাল। আমি তখন মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েপিএইচডি করি। ইস্ট জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয় খুবই ডাকসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়,যাদবপুর-টুরের মতন হেজিপেজি নয়। যারা জানেন না, তাদের জানাই আমাদের মাননীয়ামুখ্যমন্ত্রীর পিএইচডি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। (সেই সঙ্গে তাদের এই প্রশ্নও করি,জানেন না কেন? এরকম উচ্চশিক্ষিত, বিদ্বৎমনস্ক মুখ্যমন্ত্রী সারা ভারতে আজ অব্দিআসেনি।) সেখানেও ... ...
সুখ বলতে সুপর্ণার চোখে একটা ছবি ভাসত -সে ছবির কতখানি সত্য কতখানি মনগড়া না কি পুরোটাই স্বপ্ন -সুপর্ণা জানে না। সুখ ভাবলে কোথাও যেন কিরকির শব্দ করে প্রজেক্টর চালু হয়ে যেত আর সুপর্ণা একটা সাদা কালো ভিডিও ক্লিপ দেখতে পেত- চোখের একদম সামনে। সুপর্ণা দেখত একটা চওড়া রাস্তা-নতুন সব ঘরদোর তৈরি হচ্ছে একদিকে-পাঁজা পাঁজা ইঁট, সিমেন্ট , বালি, স্টোনচিপসের ঢিপি, ভারা বেঁধে কাজ , অন্যদিকে অজস্র কাশফুল আর মহালয়ার আগের দিন বেলা দশটা নাগাদ মা বাবা আর সুপর্ণা রিকশা করে যাচ্ছে। সে ছবিতে রোদ চড়া নয়-নীল আকাশ ; আর সেই আ ... ...
(ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেখাটি তৈরী। ভিন্ন মত ও সুস্থ আলোচনায় ডাক্তার-রোগী সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান অসুস্থতায় পরবর্তীকালে আরও উপযোগী প্রেসক্রিপশন লিখতে পারবো, এই আশা রাখি ১. অভয় দা কে আমি চিনি না। আরও যারা চেনেন না, তাদের জন্য বলি, অভয় দা S.S.K.M এ Orthopaedics এর পিজিটি। কাল এক অ্যাক্সিডেন্টের রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শাসকদলের এক নেতার মদতপুষ্ট গুন্ডাবাহিনী তাকে ওয়ার্ডের মধ্যেই মেরে, হাত পা ভেঙে ফেলে রেখে যায়। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা কেউ অভয় সরকারকে চিনি না। ... ...
অতএব দেখা যাচ্ছে, ভগবান যিশুর ভারতবাস যথেষ্ট ঘটনাবহুল। ইজরায়েলের আগেই, তিনি ধর্মপ্রচারের সূচনা করেছিলেন এই ভারতেই, অন্ততঃ বৈশ্য এবং শূদ্র বর্ণের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষদের মধ্যে। যদিও তার ফল হয়েছিল মারাত্মক। ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের বিরুদ্ধে যাওয়াতে তাঁর এদেশেও প্রাণনাশের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর নিজের দেশেই হোক অথবা ভারতে, সব দেশেই পুরোহিত সম্প্রদায় এবং রাজন্যবর্গদের চরিত্র যে একই, ধার্মিক ভারতে এসে অন্ততঃ এটুকু স্পষ্ট উপলব্ধি তাঁর হয়েছিল। ... ...
ফেলুদা ধপ্ করে একটা শব্দে বইটা বন্ধ করে, নীচু টেবিলটার উপরে রাখা ডান পায়ের উপরে বাঁ পাটা লম্বা করে তুলে, তুড়ি মেরে সিগারেটের ছাইটা ছাইদানিতে ফেলে বললো, "শার্লক হোমস।" ফেলুদা এতক্ষণে ধরে দুটো বই প্রায় একসাথে পড়েছিল। দুমাস আগে বিহারের শিমূলতলায় একটা খুনের ব্যাপারে অপরাধীকে জুতোর সাইজের গোলমালের সাহায্যে ধরে দিয়ে, বেশ মোটা রোজগার করে বসে আছে। ... ...
এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৮২৩-২৪ সালে দেশে কলের সুতো এল। হাতে বোনা সুতোর থেকে তার দাম কম। ধীরে ধীরে বাজার ছেয়ে গেল কলের সুতোয়। টিঁকে রইল শুধু খুব মিহি সুতো আর খুব মোটা সুতো, যা পরে দেশের গরীরগুর্বোরা। সেই সময়ে ১৮২৮ সালের সমাচার দর্পনে এক সুতাকাটুনির দুঃখভরা চিঠি বেরোল, তিনি দৈনিক দুই তোলা সুতো কেটে দিনে এক টাকা আয় করতেন। এই কাজ করে তিনি সাত গন্ডা টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, এগার গন্ডা টাকা দিয়ে শ্বশুরের শ্রাদ্ধ করেছেন, ভাত কাপড়ের কোন চিন্তা ছিল না। কিন্তু কলের সুতো এসে তার আয়ের উপায় কেড়ে নিয়েছে। তাঁর দৈনিক কাটা সুতোর পরিমাণ আর আয়ের হিসেব দেখে অবশ্য একটু অবাকই লাগে। কারণ ১৮২২-২৩ সালেও নাকি ক্ষীরপাই, রাধানগরে কোম্পানির কাটুনিদের মাসিক আয় ছিল ৩ টাকা আর মালদহে ২টাকা ৮ আনা। অসামান্য দক্ষতা ছাড়া এই আয় সম্ভব না। তাই আমরা ব্যক্তির দুঃখে দুঃখিত হই, কিন্তু সামগ্রিক ভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জয়গান গাইব নাকি মেয়েদের আয়-হরণের দুঃখে কাতর হব তা ঠিক বুঝে উঠি না। ... ...
পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র তার রায় দিল দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। হ্যাঁ, ৮০ কোটি ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫০ কোটির মত, তার এক-তৃতীয়াংশের, মানে প্রায় ১৬-১৭ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধি হয়ে দিল্লীর মসনদে বসল 'লৌহমানব' মোদীর ভাজপা সরকার। প্রথমেই বলে রাখা ভাল যারা মনে করছেন যে ১৬-১৭ কোটি ৮০ কোটির গরিষ্ঠ অংশ নয় ( যে কথাটার সাথে যে কেউই একমত ) আর তাই এই রায়কে মানুষের রায় ভাবার মানে হয় না বা এর কাছাকাছি কিছু একটা... আমি তাদের সাথে একমত নই । যারা ভাবছেন যে শুধু কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা ও চালানো ... ...
সেকাল থেকে আজ পর্যন্ত, তীর্থে-তীর্থে এবং কলকাতা বা যে কোন বড়ো শহরের রত্নব্যবসায়ীদের চেম্বারে প্রায়ই স্বঘোষিত সিদ্ধ সাধকদের দেখা যায়। তাঁদের অনেকে আবার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত – এই পদক কোন প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে জানা যায়না। তবে এঁরা বশীকরণ করতে পারেন, আপনাকে যে কোন কাজে সার্থক করে তুলতে পারেন। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হল বৈদেশিক আক্রমণের সময় এঁদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যোদ্ধাদেরই সীমান্তে লড়তে হয়ে। তাঁরা বশিত্ব দিয়ে বিপক্ষ সৈন্য বা সেনাপতিদের বশ করে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতেন, কিন্তু কোনদিন করেননি। অথবা সাধারণ আকৃতির সাধক মহিমা সিদ্ধি দিয়ে হঠাৎ বিশাল শরীর বানিয়ে, গরিমা সিদ্ধিতে তাঁদের পায়ের তলায় পিষে একজন শত্রুকেও বিনাশ করতে পেরেছেন - এমন শোনা যায় না। ... ...
এক কালুয়া আর এক কালুয়াকে অস্কার হলিউডে চড় কষিয়েছে। সেই নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড। ছি ছি কী লজ্জা! ... ...
পুজো বয়সের সঙ্গে কেন যে হারিয়ে যায় ... ...