পরিচ্ছন্নতায় ভারত কোনোদিন সুইজারল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরের ধারে কাছে আসবে এমন দুরাশা নেই তবে মানুষজন একটু সচেতন হলে ভারতও কিছুটা .... ... ...
গ্রামের সবাই ক্রমে জেনে গেল সাহা বাড়ির ছোট ছেলে মৃগনাভির ব্যবসায় নামবে বলে কাঠের বাক্স খুঁজছে সন্ধ্যেবেলায় উঠোন সরগরম হল কাঠের গল্পে কেউ বলল জলশিরীষই ভালো, কেউ বলল জামপুকুর পাড়ের মেহগিনী গাছটার বয়সও তো হল চল্লিশ ... ...
পুরোন জিনিষ বাতিল হোক, বিক্রি করে দেওয়া যাক পুরোন কাগজ, পুরোনো বই, আর হ্যাঁ মেরুদণ্ডগুলোও। ... ...
ইয়ানির থেমে থেমে হোঁচট খাওয়া কন্ঠ থেকে বেরোনো শব্দগুলি ছিল গভীর সহানুভূতি মাখা। শারীরভাষ্যে ছিল দ্বিধাগ্রস্ততা - যেন দর্শকদের কাছে একদা সঙ্গীতের রাজকুমারের পরিচয় দেওয়া কী আমার সাজে? অকৃত্রিম আন্তরিকতার এহেন অভিব্যক্তি আরোপিত মনে হয় নি। এমন অভিব্যক্তি আসে গভীর উপলব্ধি থেকে যে, যতই আমরা নিজেদের আজ মহান ভাবি না কেন হয়তো ভবিষ্যতে কখনো আমাদের কাউকে তলিয়ে যেতে হতে পারে অপ্রাসঙ্গিক বিস্মৃতির অতলে। ... ...
মানুষ ! ... ...
একটা মচমচে মাছ ভাজার গন্ধ তাতিয়ে দিতে লাগলো দীপকে! পড়ার টেবিলে আর মন বসল না; ‘বাবা নেই’ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ড্রইয়িং রুমের রিমোটটা হাতে তুলে নিল। ব্রেকিং নিউজটা এখন হেডলাইনে কনভার্ট হয়েছে, মানুষ ভেঙে পড়ছে প্রয়াত নায়কের বাড়িতে, একের পর এক সাক্ষাৎকার আসছে, ক্যামেরাম্যান হুমড়ি খেয়ে পড়েছে! ... ...
'আমরা দিবসে' বাস্তবে কিছু করতে না পারার মর্মবেদনায় একান্তে মোবাইলের পর্দায় আঙুল চলে। বটের চারা বীজ ছাড়াই জন্মায় কাকের পটি থেকে - আমার বেশিরভাগ বাঁজা লেখাও তেমনি, বিশেষ বিষয়ে সুলিখিত নিবন্ধ নয়, সামান্য স্ফূলিঙ্গ থেকে বুশফায়ার। বটুদার জমি না হলেও চলে - পুরোনো বাড়ির প্যারাপেট, ভাঙা পাঁচিল থেকেই বটুছেনু মাথা তোলে - সাপের মতো ফাটল ধরে শেকড় চালিয়ে, ঝুরি নামিয়ে বাড়ে। আমার বেশিরভাগ লেখাই তেমনি - সম্পাদিত পত্রিকার উপযোগী নয়। তাই গুরুচণ্ডালিতে নামাচ্ছি এইসব হ্যাজ। এসব আসলে কিছু টুকরো উপাখ্যান, উপমা, পার্শ্বপ্রসঙ্গ সহযোগে তৈরী হাওয়াই মেঠাই বা Cotton candy. বট ফুল লাগে না পুজোয়, তার ফলও খায় কাক শালিখে। আমার এসব লেখাও তেমনি। ... ...
কিন্তু গপ্পো না হলেও, মোটা দাগের ঘটনাবলীও কম রোমাঞ্চকর নয়। এর পরের বছর, অর্থাৎ ৫৪ সালেই ঘটে আরও এক কান্ড। সিনেমা নিয়ে নেহরুর ধারণা এবং তাতে সোভিয়েত মদতের কথা আগেই বলা হয়েছে। এর আগে থেকেই সেই ধারণা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। অর্থাৎ জনপ্রিয় সিনেমা হবে, কিন্তু তাতে শ্রমিক-কৃষক সংক্রান্ত 'বাম' ধারণা গুঁজে দেওয়া হবে। ১৯৫১ সালে এই ঘরানার প্রথম দিকের একটা ছবি রিলিজ করেছিল, যার নাম আওয়ারা। এর চিত্রনাট্যকার ছিলেন, খাজা আহমেদ আব্বাস, যিনি একাধারে আইপিটিএর লোক, নেহরুর খুবই ঘনিষ্ঠ, ক্রুশ্চেভের সঙ্গে ভুল রাশিয়ানে আড্ডা দেন, গ্যাগ্যারিনে মহাকাশ থেকে ফিরলে যেকজন প্রথম দেখা করেন তাঁদের মধ্যে একজন, এবং সর্বোপরি ৪৮ সালের পার্টি-লাইনে বিরক্ত - এই প্রকল্পের পক্ষে আদর্শ। তিনি এবং রাজকাপুর দুজনেই "আওয়ারা" সিনেমাটাকে "প্রগতিশীল" বা "ভবঘুরে জন্মায়না, তৈরি করা হয়" জাতীয় আখ্যা দিয়েছিলেন সে সময়। এবং বস্তুত চিনে এক ঝটিকা-সফর সেরে এসে আব্বাস এই সিনেমায় হাত দেন। এর পরের বছরই তিনি বানান রাহি। আওয়ারা ছিল হিট এবং রাহি ফ্লপ। ... ...
হাংরি আন্দোলন ... ...
সমাজ কোথায় নিয়ে যায় ! ... ...
আরএসএসই আসল ক্ষমতার কেন্দ্রে আজকের ভারত নামক দেশে। অনেকেই জানেনা। তারাই গান্ধীহত্যা করেছিল। ... ...
জীবনের সারমর্ম হয় না গো ... ...
বিশ্বজুড়ে ধর্ম-অধর্ম নিয়ে রক্তারক্তির ঘটনা চিরকালীন - সত্যি বলতে বিশ্বের সকল মানুষের সেটাই সনাতন ধর্ম - সে তাদের ধর্মমতের নানান নাম-ধাম- গাঞি-গোত্র যাই হোক না কেন। ... ...
এ লেখার প্রোটাগনিস্ট ফুরফুরে ফরাসি তরুণী মার্গারিটের মতো কেউ নয়, এক ডানপিটে বঙ্গললনা - দেবী… ... ...
"জানিস না, পুলিশ একবার ছুঁলে বায়ান্ন ঘা! এরপর পাড়ায় যদি পুলিশের আসা যাওয়া চালু হয়, তাহলে তোর কিন্তু এ পাড়ার বাস তুলে ছাড়বো হতভাগি, অলুক্কুণে হাড়জ্বালানে। নাতি মেরে বের করে দেব রাস্তায়। আমার বুকের ওপর বসে তোর ঐ বাঁটনা বাঁটা চিরজম্মের মতো যদি ঘুঁচিয়ে দিতে না পারি তো আমারও নাম...." ... ...
এখনও নাকি চাঁদের সঙ্গে ওর আশনাই নিজেকে নষ্ট করে ঘরে তোলে বেহায়া চাঁদটিকে যখনই সে এ শহরে আসে। ... ...
বর্ধমানের বাইরে ‘সরুচাকলি’ জিনিসটা কতটা পরিচিত আমার জানা নেই। কিন্তু বড়ই উপাদেয় সেই জিনিস, বিশেষ করে শীতের দিনে। গরম তাওয়ায় তেল বুলিয়ে তাতে বাঁটা চাল আর বাঁটা কলাই একসঙ্গে গুলে তালপাতার টুকরো দিয়ে গোলাকার করে দিতে হয়। তারপর একদিকটা রান্না হয়ে গেলে, খুন্তি করে উলটে দেওয়া। আমরা শীতের দিনে খেজুর গুড়ের সাথে খেতাম এই জিনিস – বিশেষ করে ছোটরা। আর বড়রা দেখেছি সরুচাকলি-র সাথে বাঁধাকপির তরকারির কম্বিনেশন দিয়ে রাতের খাবার বলে চালিয়ে দেয় শীতের সিজনে। ... ...
সেই একই কেস। “দেখ মা, এরা নিজেরা ভুল করেছে, তার পানিশমেন্ট পেয়েছে। দে ডোন্ট ডিজার্ভ সিমপ্যাথি।” ‘“ভুল করেনি, এদের ঠকানো হয়েছে। দুটো এক নয়।” “দে চোজ দ্য রঙ মেন। দেয়ার ফল্ট।” “কাগজ পড়িস? প্রোপোজাল রিজেক্ট হয়েছে বলেও অনেক ঘটনা ঘটে। তারও দরকার হয় না, জাস্ট প্রেজেন্সই অনেক কিছু করে।” “কিছুই বুঝলাম না।” “খামবুনির ঘটনা মনে আছে? মেয়েটি গ্যাংরেপড হয়ে খুন হয়। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল, কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটির কি দোষ ছিল?” ... ...
কেশকর তো রেডিও থেকে হিন্দি সিনেমাকে বহিষ্কার করলেন, কিন্তু গ্ল্যামার-শিল্পপতিরা কি ছেড়ে দেবার লোক? খোদ কংগ্রেসেই উল্টোদিকের জোরালো মত ছিল। তার পুরোধা ছিলেন সদাশিব পাতিল। তিনিও মারাঠি, খাস বোম্বের লোক, এবং আমেরিকা-ঘনিষ্ঠ। পাতিলকে নিয়ে গুচ্ছের কথা শোনা যায়, যেমন, ভারতে 'ব্রিফকেস রাজনীতি'র জনক, বা সিআইএর সরাসরি এজেন্ট। কিছু পরোক্ষ সাক্ষ্যও আছে, কিন্তু প্রমাণিত সত্য বলা কঠিন। সত্য হলেও ব্রিফকেসওয়ালারা তো লিখে রেখে যাবেনা, বা সিআইএ সেইসব নথি খুলেও দেবেনা। যেগুলো মোটামুটি সর্বজনগ্রাহ্য, তা হল, তিনি বোম্বের উচ্চকোটি মহল এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন। এবং তৎকালীন বোম্বে কংগ্রেসের সর্বেসর্বা। খোদ সিআইএর খুলে দেওয়া নথিতেই একাধিকবার পাতিলকে বোম্বে কংগ্রেসের বস, বা বোম্বের পার্টি বস, বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খোলা অর্থনীতি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে তাঁর মতের মিল ছিল, এও কার্যপ্রণালী থেকে দেখতেই পাওয়া যায়। ... ...