এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  পথ ও রেখা

  • শীতল মরুভূমিতে সাড়ে তিনদিন - ১

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | পথ ও রেখা | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • রুডইয়ার্ড কিপলিঙের ‘কিম’ ১৯০১ সালে স্পিতি উপত্যকায় এসে লিখেছিল ‘পৃথিবীর মধ্যে সে আরেক পৃথিবী, যেখানে ঈশ্বর বাস করেন।‘ আর তারও অনেক আগে সপ্তম শতকে চৈনিক পর্যটক জ্যানজুয়াঙ, আমরা যাঁকে হিউয়েন সাঙ নামে চিনি, রেশমপথ ধরে লাদাখ হয়ে কুলু আসার পথে চীন ও ভারতবর্ষের মধ্যবর্তী এক উপত্যকায় রক্তলাল বর্ণের এক সরোবর দেখে মুগ্ধ হয়ে নাম রাখেন ‘লোহিত্য সরোবর’, স্পিতি (এই শব্দের অর্থই মধ্যবর্তী উপত্যকা) উপত্যকার মুগ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায় তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তে। তাঁর দেখা লাল রঙের এই সরোবর আসলে দিনের নানা সময়ে সূর্যের অবস্থানের উপরে নির্ভর করে নানা রঙ ধারণ করে, এই সরোবরকে আমরা চিনি ‘চন্দ্রতাল’ নামে। স্থানীয় ভাষায় নাম সো-চিগমা।

    আকৈশোর আমার স্বপ্নের আলয়, হিমালয়। সেই যে ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় মা আমাকে আর ভাইকে নিয়ে হরিদ্বার ঋষিকেশ লছমনঝুলা গিয়েছিল সেই থেকেই চোখজুড়ে থেকে গেছে হিমালয়। উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও পরে জলধর সেন ইত্যাদি আরো কয়েকজনের হাত ধরে চিনেছি তার গিরি কন্দর নদী উপত্যকা। হিমাচলের বেশ কিছু জায়গার সাথে পরিচয় উমাপ্রসাদের লেখা দিয়েই। চৌতিরিশ বছর আগে আবারো মা আমাদের দুজনকে নিয়ে কুলু মানালি ইত্যাদি গিয়েছিল সেজমামাদের সঙ্গে। মানালি তখন এত ভাল লেগেছিল, আমি চুপি চুপি বিপাশাকে কথা দিয়ে এসেছিলাম আবার আসবো বলে। ঠিকঠাক চাকরি পেয়ে ধর্মশালা ডালাহৌসি খাজিয়ার ইত্যাদি ঘুরে এলেও এই এত বছরেও বিপাশাকে দেওয়া কথা রাখার কোন সুযোগ হয় নি।

    ইতোমধ্যে পড়া হয়েছে ফ্র্যান্সিস ইয়ংহাজব্যান্ড, স্বেন হেডিন, জন কি সহ বেশ কয়েকজনের লেখা। কারাকোরাম, পিরপাঞ্জাল রেঞ্জের সাথে সাথে গিলগিট, লাদাখ অঞ্চলের রাজনৈতিক গুরুত্বের কথা জানতে গিয়ে জানা হয়ে গেছে  স্পিতির অনেক কথাও। পড়া হয়েছে চন্দ্রতাল নিয়ে নানা রূপকথাও। ততদিনে এসে গেছে ইউটিউব ও তার হাত ধরে ভিলগ বা ভিজ্যুয়াল ব্লগ। স্পিতির ছবি দেখলে বেশ মনে হয় টেথিস সাগরটা এই অঞ্চলেই ছিল বটে, অবিকল ঢেউ টেউ শুদ্ধু জমে পাথর হয়ে গেছে।তো বেশ বছর চার পাঁচ ধরেই স্পিতি ভ্যালি ফুল সার্কিট করার জন্য মনে মনে তড়পাচ্ছি ...কিন্তু সুযোগ আর হয় না।  প্রথমত ফুল সার্কিট করতে গেলে কুঞ্জুম লা খোলা পেতে হবে। আর সে খোলা থাকে জুন থেকে সেপ্টেম্বর, বড়জোর অক্টোবরের অর্ধেক।

    এদিকে জুলাই আগস্টে তুমূল বৃষ্টি হয় হিমাচল জুড়ে আর ধ্বস নামে যখন তখন। ফলে স্পিতি অবধি পৌঁছানোই দুষ্কর। সেপ্টেম্বরে দিন দশেকের ছুটি নেওয়া প্রায় অসম্ভব।তাও গতবছর পরিকল্পনা করেছিলাম ১৫ই অক্টোবরের পরেই যাবো, কিন্তু প্রায় ঐ সময়ই তীব্র তুষারপাতের ফলে কুঞ্জুম পাস বন্ধ হয়ে গেল। এই বছর তাই সেই জানুয়ারি মাস থেকেই অফিসে বলেকয়ে রেখেছি যে আমি বাপু সেপ্টেম্বরে দিন দশেকের জন্য হাওয়া হব। ওদিকে গত বছরই দেখেছিলাম একলা ঘুরতে গেলে গাড়িভাড়াই লাগছে বিশাল অঙ্কের আর অত উঁচুতে সরকারি পরিবহনের উপরে খুব একটা ভরসা না করাই ভাল। অন্তত প্রথম যাত্রায়। অতএব খোঁজ খোঁজ গ্রুপ ট্রিপ। তা পাওয়াও গেল একজন বেশ পকেটসই আর ফেসবুকে কিছু ভাল রিভিউও আছে।

    ২৭শে মার্চ ২০২৩ আমি ট্রিপ সংগঠকের সাথে কথাবার্তা সেরে প্রাথমিক বুকিঙের টাকা জমা করলাম, প্রাপ্তিস্বীকারের বার্তাও পেয়ে গেলাম। ব্যাস আর আমাকে পায় কে! এইবারে তো যাচ্ছিই কী-গোম্পা, চন্দ্রতাল আর সাথে আরো কিছু দুর্দান্ত জায়গা। এমনিতে হাত পায়ের ইটিশ পিটিশ ব্যথাদের ঠ্যাকাতে নিয়মিত সাঁতার তো চলছেই, সাথে যোগ করলাম সপ্তাহে অন্তত চারদিন ৩-৫ কিমি পর্যন্ত হাঁটা। আর তারই সাথে চলল দেশী বিদেশী  নানা ভিলগ দেখা, ব্লগ পড়া। এই সব করতে করতেই এসে গেল আগস্ট আর তুমূল বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে বিপাশায় জল ফুলেফেঁপে উঠে ভাসিয়ে নিয়ে গেল কুলু জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। কালকা শিমলা টয় ট্রেনের লাইনের নীচ থেকে ধ্বসে গিয়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলে থাকা লাইনের ছবি দেখে শিউরে উঠল বিশ্ব।

    আগস্টের শেষের দিকে সংগঠক মশাইকে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যাত্রা আদৌ হবে তো? তিনি বললেন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরে জানাবেন। যাইহোক শেষ পর্যন্ত পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই বেশ আশা জাগিয়ে ১৭ই সেপ্টেম্বর ভোর প্রায় চারটে নাগাদ চন্ডীগড় স্টেশান থেকে আমাদের নয় রাত্রি দশ দিনের স্পিতি ভ্যালি রাউন্ড ট্রিপ শুরু হল। আমি এবং আরেকটি পরিবার বাদে দলের বাকীরা এসেছেন  হাওড়া কালকা নেতাজী এক্সপ্রেসে। সে ট্রেনের চন্ডীগড় পৌঁছানোর কথা রাত দেড়টায়। বর্তমানে রেলওয়ের ঐতিহ্য মেনে ট্রেন যথারীতি লেট করে পৌঁছেছে রাত তিনটে নাকি সাড়ে তিনটেয়। আমি পুণে থেকে ১৬ তারিখ সকালের ফ্লাইটে এসে স্টেশানের কাছে একটা হোটেলে সারাদিনটা কাটিয়ে রাত তিনটে নাগাদ উবের নিয়ে স্টেশানের পার্কিঙে হাজির।                  

    প্রথমে ট্রিপের লোকসংখ্যা নাকি ছিল ৩৫, অতএব তিনটে টেম্পো ট্র্যাভেলার ঠিক হয়েছিল। পরে পাঁচজনের একটি পরিবার ব্যক্তিগত অসুবিধের কারণে ক্যান্সেল করায় লোকসংখ্যা দাঁড়ায় তিরিশে। দুটো ট্র্যাভেলার আর একটা আর্টিগা। আমার স্থান আর্টিগায়। সঙ্গী তিনজন ভদ্রমহিলা এবং এক বাচ্চামত দম্পতি। গাড়িতে উঠতে উঠতেই আলাপ পরিচয় সেরে নেওয়া গেল।ভোরের আলোসবে ফুটছে, মেঘে ঢাকা  আকাশের নীচে বৃষ্টিভেজা রাস্তায় গাড়ি ছুটল সিমলার দিকে। আমাদের আজকের গন্তব্য নারকান্ডা। পৌনে ছ’টা নাগাদ পথে এক জায়গায় চা খেতে থেমে দেখা গেল তাঁরা তখনো দোকানই খোলেন নি। আরো মিনিট কুড়ি পরে একটা খোলা দোকান পেয়ে কফি খেয়ে একটু চাঙ্গা হয়ে আবার যাত্রা শুরু।
     

     
     

    ঐ দেখা যায় শিমলা 
    সিমলায় আমরা দাঁড়াবো না, কাজেই শহর পেরিয়ে পাহাড়ের গায়ে ঝুলে থাকা এক রেস্তোঁরায় প্রাতরাশ সারা হল। ততক্ষনে একটু একটু শীত শীতভাব লাগছে।নারকান্ডা পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা দুপুর হয়ে গেল। হোটেলের নাম শ্যাম রিজেন্সি। হোটেলটা ভালই।  হোটেলের একমাত্র ফ্যামিলি স্যুটে তিন ভদ্রমহিলার সাথে স্থান হল আমার। বেশ বড়সড় ঘর, খান দুই ব্যালকনি, কিন্তু বিছানাগুলো একটু ছোট। সে যাক, খাওয়া দাওয়া আপ্যায়ন বেশ ভাল। বিশেষত পরের দুইদিন সারাহানে এমন বিতিকিচ্ছিরি একটা ধর্মশালা টাইপের জায়গায়  থাকতে হয়েছিল যে এই শ্যাম রিজেন্সির কথা বারেবারেই মনে পড়েছে। রাস্তার উলটোপারেই আপেল বাগান, গাছে গাছে আপেল পেকে লাল হয়ে আছে আর তাতে সুক্ষ্ম নেটের মত জাল লাগানো।


    ঘোমটা দেওয়া আপেল 

    এখানে হনুমান আছে কিনা কে জানে, তবে পাখীর থেকে রক্ষা করার জন্যও বটে। হিমাচলের আয়ের একটা মূল উৎস হল আপেল, কাজেই তার সুরক্ষার ব্যবস্থা সর্বোচ্চ হবেই। হোটেলে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই নামল তুমূল বৃষ্টি। আমরা স্নান টান করে মধ্যাহ্নভোজ সারতে সারতে অবশ্য কমেও গেল। তাও পর পর দুইদিন মাঝরাত্রে উঠে রওনা হওয়ায় একটু পিঠটান না করে পারছিলাম না। কামরাসঙ্গিনীরা বেড়াতে গেলেন। আমি একটু  বিশ্রাম নিলাম। বিকেলে বেরিয়ে সামনের রাস্তা বরাবর প্রায় দেরহ কিলোমিটার মত হেঁটে এলাম। এমনিতে বিশেষ কিছু দেখার নেই অনেকদিন পরে মেঘেঢাকা শ্যামল পাহাড় ছাড়া। একটা মস্ত আপেলের গুদাম আর ক্রেটে ভরে ভরে লরিতে তোলাও অবশ্য দাঁড়িয়ে দেখা যায় কয়েক মিনিট।

    নারকান্ডা থেকে। সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে হাটু পিক (উচ্চতা ৩৪১৫মিটার /১১২০০ ফিট)। একটা গোটা দিন নারকান্ডায় থাকলে হাটু পিকে চড়া যেতে পারে, নেটে দেখলাম ইজি ট্যু মডারেট ট্রেক। সন্ধ্যেবেলায় ঘরে কফি বানিয়ে চিড়েভাজা সহযোগে বেশ জম্পেশ একটা আড্ডা হল। রাতের খাওয়াও বেশ ভালই ছিল। পরেরদিন একটু বেলা করে বেরনো হবে, তাই খানিক আলস্যে কাল কাটিয়ে ঘুম। পরেরদিনের গন্তব্য সারাহান। তবে বেরিয়ে প্রথমে শ’খানেক বছর আগে রামপুরে রাজা পদম সিংহের তৈরী পদম প্যালেস দেখতে যাওয়া হল। প্রাচীন ইন্দো টিবেটান বাণিজ্যপথের উপরে অবস্থিত এই প্রাসাদ বুশহর সাম্রাজ্যের শেষ শীতকালীন রাজধানী ছিল। প্রাসাদের গঠনশৈলী অতি চমৎকার।
     

    পদম প্যালেস 

    এই প্রাসাদ তৈরীর সময় কোন সিমেন্ট ব্যবহার করা হয় নি। প্রাসাদের দরজা জানলা বেশ এঁটে বন্ধ করা ছিল।  ভেতরে ঢোকার জন্য আগে থেকে অনুমতি করিয়ে আনতে হয়। সে কোথা থেকে করায় কে জানে! বাইরে থেকেই এই অপূর্ব কাঠের আর স্টেইনড গ্লাসের কাজ দেখলাম যে ভেতরে ঢোকার ইচ্ছে হচ্ছিল খুবই। কিন্তু ট্রিপ সংগঠকদের শিল্পকলায় আগ্রহ নেই একেবারেই, যেটা পরে কী-গোম্পাতে গিয়েও দেখেছি, ফলে আগ্রহীদের ঢোকার কোন ব্যবস্থা ছিল না। অগত্যা জানলার কাচে নাক ঠেকিয়েই ভেতরটা যতটুকু দেখা গেল তাইই সই। প্রাসাদ দেখে যাওয়া হল মধ্যাহ্নভোজ সারতে। সে এক মজার রেস্তোঁরা, যে কোন খাবার বানাতে তাঁরা সময় নেন ৪৫মিনিট থেকে একঘন্টা বা তারও বেশী।      

    তা সেখানে তিরিশজনের খাওয়া দাওয়া সারতে লাগল প্রায় দেড় ঘন্টার মত। অতঃপর সারাহান। বিকেল প্রায় পাঁচটা নাগাদ পৌঁছানো গেল। সেখানে মূল আকর্ষণ ভীমাকালি মন্দির। কথিত আছে একান্নটা শক্তিপীঠের একটা এখানে। আমার অবশ্য মন্দিরের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই, তাই গেলাম না। আর মন্দিরযাত্রীরা বেরিয়ে যাওয়া মাত্রই নামল ধুম বৃষ্টি। শিবম গেস্ট হাউস নামক এই ধর্মশালা টাইপ ফেসিলিটিটার দোতলার বারান্দা থেকে চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়, দেখা যায় শ্রীখন্ড মহাদেব রেঞ্জটাও। কিন্তু সেসব গল্প কাল বলব, আজ বরং পরিকল্পিত যাত্রাপথটা দিয়ে রাখি। লেখা শেষ হলে সুধী পাঠক বুঝে নেবেন সাড়ে তিনদিনের গল্প।

    দিন-১ – চন্ডীগড় থেকে নারকান্ডা। এখানেই রাত্রিবাস।
    দিন-২ – নারকান্ডা থেকে রামপুর, সেইনজ উপত্যকা হয়ে সারাহান। এখানে রাত্রিবাস
    দিন-৩ – সারাহান থেকে তারান্ডা মাতা মন্দির, কাঞ্চনবাঁধ আর কামরু ফোর্ট হয়ে ছিটকুল। এখানে রাত্রিবাস।
    দিন-৪ – ছিটকুল থেকে রাকচাম গ্রাম, রেকংপিও হয়ে কল্পা। এখানে রাত্রিবাস।
    দিন-৫ – কল্পায় বৌদ্ধমঠ দেখে খাব-এ শতদ্রু আর স্পিতি নদীর সঙ্গম দেখে নাকো। পথে গিউ গোম্পা আর মমি দেখে নেওয়া। নাকো হয়ে টাবো। এখানে রাত্রিবাস।
    দিন-৬ – টাবোর গোম্পা ভারতের সবচেয়ে পুরানো বৌদ্ধগোম্পা, দেখে ধানকর, পিন ভ্যালি (মুধ গ্রাম) হয়ে কাজা। এখানে রাত্রিবাস।
    দিন-৭ – কাজার আশেপাশে লাংজা, হিক্কিম, কমিক, কিব্বের দেখে কাজায় রাত্রিবাস।
    দিন-৮ – কাজা থেকে কী-গোম্পা, চিচম ব্রিজ, লোসার কুঞ্জুম পাস হয়ে চন্দ্রতাল লেক। এখানেই তাঁবুতে রাত্রিবাস।
    দিন-৯ – চন্দ্রতাল থেকে অটল টানেল /রোটাং পাস হয়ে মানালি। এখানে রাত্রিবাস।
    দিন-১০ – মানালি থেকে চন্ডীগড়।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অপর্ণা দত্ত | 2409:4060:2102:8cd0:bb75:4871:1b2e:98a7 | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০০:১২524594
  • আমি প্রথম
  • ইন্দ্রাণী | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:১৪524599
  • শিরোনাম অতীব কৌতূহলোদ্দীপক। চমৎকার সূচনা। পরের পর্বের অপেক্ষায়।  এই টেথিস প্রসঙ্গে একটা কথা মনে হল। বলি? 
    বিবিধ পুরাণকথা (যেমন এক্ষেত্রে সমুদ্রমন্থন), নানা আঞ্চলিক লোকগাথার পিছনে ভূতাত্ত্বিক উপাদান নিয়ে আজকাল কাজকর্ম হচ্ছে কিছু। ইন্টারেস্টিং খুব‌ই।
  • kk | 2607:fb90:ea0c:cd31:3cc4:d8c8:8f77:32e5 | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৩২524604
  • চলুক, পড়ছি। ছবিগুলো ভালো লাগলো। বিশেষ করে পদম প্যালেস তো খুবই সুন্দর।
  • π | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৬524605
  • পড়ছি, আরো আসুক!  
     
    'বিবিধ পুরাণকথা (যেমন এক্ষেত্রে সমুদ্রমন্থন), নানা আঞ্চলিক লোকগাথার পিছনে ভূতাত্ত্বিক উপাদান নিয়ে আজকাল কাজকর্ম হচ্ছে কিছু' - ইন্দ্রাণীদি, আরেকটু লেখো না, কীরকম? 
  • bah | 209.58.130.37 | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৭524606
  • পুরাণটুরানে টেথিস সাগরের কথা পাওয়া যাচ্ছে নাকি? চাড্ডিদের মুখোশ খুলছে এইটে ভাল। তা কন্টিনেন্টাল ড্রিফটও লিচ্চয় গরুর পুরাণে আছে, কি বলেন ? 
  • ইন্দ্রাণী | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:০৯524607
  • পাই,
    আমি যে এই নিয়ে খুব জানি তা নয়। রিসার্চগেটে জিওমাইথোলোজি র দু একটি লেখা পড়ছিলাম - Myths and geology are related in several ways. Some myths are the result of man's attempts to explain noteworthy features of his environment, such as striking landforms or unusual smaller features, whereas others try to account for conspicuous natural processes, such as earthquakes, volcanic phenomena, and floods. Local myths have sometimes proved helpful in solving geological problems, and even the geological nomenclature is indebted to mythology. ইত্যাদি।
    জিওলোজিকাল সোসাইটি লন্ডন এ পাবলিশড একটি পেপারের অ্যাবস্ট্রাক্ট থেকে টুকে দিলাম রিসার্চারের নাম ডরোথি ভিটালিয়ানো ।
    তিনি চাড্ডি না এই কথাগুলো বলে আমার লুকোনো চাড্ডিত্ব উন্মোচিত হল, সে বিচারের ভার পাঠকের। আমার কোনো বক্তব্য নাই।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১০:০৭524610
  • দমুদি এই যে দেখ না দেখ বেরিয়ে পড়ো আর তার গল্প বলে চলো এইটে ভালো লাগে খুব।
  • Nirmalya Nag | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১৮524620
  • ভীমাকালী মন্দির অদ্ভুত দর্শন। মনে হয় আর্কিটেকচারে মিশ্র সংস্কৃতি আছে। কেউ জানালে ভাল লাগবে। পদম প্যালেস দেখিনি বলে আফসোস হচ্ছে। তবে সারাহানের অন্য একটা রাজবাড়ী  দেখেছিলাম। ছবি দিচ্ছি। রাউন্ড ট্রিপ হয়নি আমাদের কুঞ্জুম পাশ বন্ধ ছিল বলে। ছিটকুলও মিস করেছিলাম ধ্বস নেমেছিল বলে। সারাহানে দেখা রাজবাড়ী। 
  • | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:২৩524627
  • ইন্দ্রাণী, হ্যাঁ এটা তো হতেই পারে। একটা ভয়ংকর কোন প্রাকৃতিক ঘটনা যেটা আগের মানুষের জ্ঞানে ব্যাখ্যা করা যায় নি সেটায় নানা দেবত্ব বা রাক্ষসত্ব আরোপ করে কিছু একটা ভেবে নিতে চেয়েছে মানুষ। যত জ্ঞান বিজ্ঞান এগোবে ততই মিথের খোসা ছাড়িয়ে সত্য প্রকাশিত হবে। 
    পরে আরো কিছু জানতে পারলে জানাস অবশ্যই। 
     
    লহমাদাদা, 
    এইটুকুই তো বেঁচে থাকার সুখ। 
     
    নির্মাল্য, 
    সারাহানের ওই রাজার বাড়িটা আমাদের ধর্মশালার বারান্দা থেকে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু গিয়ে দেখে ওঠা হয় নি। 
     
    হ্যাঁ নেটে দেখেছি ইন্দো-চাইনিজ মিশ্র আর্কিটেকচার ভীমাকালী মন্দিরের।  ছবিতে দেখে চত্বর বেশ ফাঁকাই লেগেছে,  সেটাও ভাল। 
    ছিটকুল আমাদেরও মিস হয়েছে। 
     
    বাকী যাঁরা পড়েছেন ও মন্তব্য করেছেন সব্বাইকে ধন্যবাদ। 
  • দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:১৯524698
  • এই সিরিজটা শুরুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। laugh কম অক্সিজেনের ভয়ে এখনো পর্যন্ত স্পিতি যাওয়া হয়নি , হবার সুযোগও বেশ কম। এই সিরিজ পড়তে পড়তেই ঘুরে আসা যাবে। 
  • সুদীপ্ত | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ২০:০৫524709
  • এই লেখাটার শুরুটা একদম অন্যরকম হয়েছে, খুবই ভালো, পড়ছি।
  • যোষিতা | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৪৮524711
  • চমৎকার আরম্ভ। বাকি লেখা কই?
  • r2h | 208.127.71.78 | ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪৮524810
  • পড়ছি, পরের দিনেগুলির গল্পের অপেক্ষায়।

    এদিকে, ভূতত্ত্বের সঙ্গে পুরাণ, লোকগাথা তথা গণস্মৃতির ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং, এটা নিয়ে গবেষণা হয়েছে বা জিওমাইথলজি বলে কিছু আছে জানতাম না। ব্যাপারটা আশ্চর্য - মোটামুটি বড় ব্যাপারগুলি হোমো স্যাপিয়েন্স আসার আগে হয়ে গেছে, কিন্তু কোন সূত্র হয়ত থাকে, মনুষ্যেতর প্রাণীরও তো প্রজন্মবাহিত স্মৃতি থাকে।
    এটা নিয়ে বিস্তারিত পড়তে পেলে বেশ হয়।
  • | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৩০524988
  • আজকেই দেব পাক্কা। 
    আবারো ধন্যবাদ।
  • reeta bandyopadhyay | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:২৩524999
  • অপেক্ষায় আছি ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন