এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার ধর্ম, বাংলাদেশের দুর্গাপুজো, এবং গরুর রচনা

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৯১৫ বার পঠিত | রেটিং ১ (১ জন)
  • (এক)

    কেন পুজোয় যাই?
    _____________

    অনেকে অবাক হন। আশ্চর্য হন। 

    কারণ, আমি তো আর ঠিক ধার্মিক নই। রক্ষণশীল নই। হিন্দুত্ববাদীর জামা তো অনেককাল আগেই চিরকালের মতো ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এসেছি। সংস্কৃত মন্ত্র ভালো করে উচ্চারণ করতে পারিনা। বিজ্ঞানে আস্থা। সোশ্যালিজমের কথা বলি। প্রচুর মুসলমান, খৃষ্টান, ইহুদি, কালো, সাদা, বাদামি বন্ধু ও বান্ধবী। কুসংস্কার ঘৃণা করি। তাগা তাবিজ মাদুলি গ্রহরত্ন শনি মঙ্গলবার সেনকো জুয়েলার্স আর পিসিচন্দ্র আর হনুমান চালিশা হাস্যকর মনে করি। ব্রাহ্মণ হয়েও পৈতে পরিনা, আর "শূদ্র" বা "চণ্ডালের" বাড়ি গিয়ে তাদের রান্না ভাত তরকারি দিব্যি খাই। নারী স্বাধীনতায় একশো দশ ভাগ বিশ্বাস করি।

    তাহলে এই দুর্গাপুজো দুর্গাপুজো নিয়ে আমার এতো হা হুতাশ কেন?

    আসলে, আমার আমেরিকার ইমিগ্র্যান্ট জীবনে আমার দুর্গাপুজো আমার রবীন্দ্রনাথ সত্যজিৎ জীবনানন্দ বিভূতিভূষণের মতোই। বা, আমার বাঙালি চেহারা, নাম আর ভাষাটার মতোই। আমার পাঁচ ফুট পাঁচ, আমার দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যেস, বৃষ্টি পড়লেই বাইরে তাকিয়ে থাকা সব কাজ ফেলে, আর বন্ধু পেলেই সম্পূর্ণ আত্মবিস্মৃতি -- এই সব কিছুর মতোই। 

    আমার হিন্দুধর্ম হিন্দুত্ব-মৌলবাদ আর মুসলমান-বিদ্বেষে বিশ্বাস করেনা, কিন্তু নিজের আজন্ম আইডেন্টিটিতে খুব বিশ্বাস করে। আমি যখন দুর্গাপুজোয় যাই, আর বাংলাদেশিদের মন্দিরে গিয়ে ভক্তিমূলক গান শুনি, তখন নিজের বাঙালি, ভারতীয়, দক্ষিণ এশীয়, ওল্ড ওয়ার্ল্ড আইডেন্টিটিটাকে আর একবার নতুন করে  গায়ে মেখে আসি। দুর্গাপুজোর মন্দিরের ধূপের আর ধুনোর গন্ধ আর ঢাক আর আরতির আওয়াজ আমাকে আমার অনেক ভেতরকার সত্তাটাকে আর একবার নতুন করে জাগিয়ে তোলে। যে সত্তাটা এই ইমিগ্র্যান্ট জীবনের ভয়ংকর একাকীত্বে, সমাজবিহীনতায়, এবং মূলস্রোত মার্কিনি সমাজের ও বিশেষ করে মিডিয়া ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের চরম অবজ্ঞা আর অবহেলায় প্রতিদিন একটু একটু করে মুছে, মিলিয়ে যেতে থাকে। আমি তাকে আবার ফিরিয়ে আনি। 

    তাকে বলি, "ও আমার সোল, আমি তোমার সঙ্গেই আছি। আর, তুমি আমার।"

    আমার দুর্গাপুজো, আমার রবীন্দ্রসঙ্গীত, আমার বাংলা ভাষা, আমার ভারতীয়-বাংলা গায়ের রং, আমার দেশ থেকে নিয়ে আসা পুরুষালি বদভ্যেসগুলো, আর আমার সমস্ত ফেলে আসা স্মৃতি -- সবই আমার আইডেন্টিটির এক একটা ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট এলিমেন্ট। একটা যদি হয় আমার চোখ, তাহলে আর একটা আমার ঠোঁট। একটা যদি হয় আমার যৌনতা, তাহলে আর একটা আমার কবিতা আর গরিব মানুষের প্রতি তীব্র কম্প্যাশন। 

    এই সব কিছু মিলিয়েই আমি। গোটা আমিটা। 

    আমার দুর্গাপুজো, আমার হিন্দুধর্ম, আমার জীবনদর্শনের বেঁচে থাকার আর আমার জীবনকে ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রতিদিনের সঙ্গী। 

    ক্ষমতাধর, তুমি আমাকে কেড়ে নিতে পারো। আমার প্রাণ। কিন্তু আমার এই ভালোবাসাকে কখনো কেড়ে নিতে পারবে না। 
    _______________

    (দুই)

    বাংলাদেশের দুর্গাপুজো ২০২২

    দুহাজার বাইশ সালে বাংলাদেশে ৩২,১১৮টি দুর্গাপুজো হয়েছে। আমি কোনো ভায়োলেন্স বা মূর্তি ভাঙা অথবা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনিনি। এই নিয়ে কারুকে কোনো কথা বলতে শুনছিনা। অথচ, দুহাজার একুশে একটা দুটো খারাপ ঘটনা ঘটেছিলো, এবং হিন্দুত্ববাদী মাংকি ব্রিগেড সেই নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়েছিলো। 

    তবে, দুহাজার তেইশে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় বড় ধরনের গণ্ডগোল বাধানো হলে আশ্চর্য হবোনা। দুই দেশেই উগ্র সাম্প্রদায়িকরা লাগিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত আছে। এদিকে হিন্দুত্ব হনুমান বাহিনী। ওদিকে মোল্লাপন্থী ইসলামীরা। এদিকে বিজেপি। ওদিকে বিএনপি। কী আশ্চর্য মিল!

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশে একটা সরকার আছে, তাদের হাজার ভাইসের (পাপের) মধ্যেও তারা সে দেশটাতে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে চলেছে। এবং ধর্মান্ধ ইসলামী শক্তি মাথা চাড়া দিতে পারছেনা তেমন করে। যদিও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। ইলেকশন এলেই তাদের আবার কাজে লাগানো হবে। 

    যে দেশে ৮ পার্সেন্ট হিন্দু থাকে, সে দেশে তিরিশ হাজার দুর্গাপুজো হয়। এবং হৈহৈ করে হয়। কত ছবি বন্ধু ও বান্ধবীরা পাঠান ঢাকা থেকে, যশোর থেকে, সিলেট থেকে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উৎসব করছেন। এবং মুসলমান বন্ধুরাও দলে দলে অংশগ্রহণ করছেন। আনন্দের শরিক হচ্ছেন প্রতি বছরের মতোই।  

    কোথায় দাঙ্গা, কোথায় গণহত্যা, কোথায় গণধর্ষণ? দুহাজার বাইশে তিরিশ হাজার দুর্গাপুজোতে প্রায় একটাও অশুভ ঘটনা ঘটেনি। 

    সিলেটের হিন্দু বস্ত্র ব্যবসায়ী এই ২০২৩'এর গোড়ায় আমাকে বললেন তাঁর দোকানে চা অফার করে, "দাদা, ওসব ফালতু প্রচার। এই জায়গাটায় পুজোর সময়ে এসে একবার দেখে যাবেন। দাঁড়ানোর জায়গা পাবেন না, এতো ভীড়।"
     
    লক্ষ্য করে দেখবেন, আমরা কখনো ভালো জিনিসগুলো নিয়ে কথা বলিনা। মিডিয়াও বলেনা। কিন্তু একটা খারাপ কিছু ঘটলে মিডিয়া ও জনগণ লাফালাফি করতে শুরু করে দেয়। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও মানুষ দেখেনা। আর সোশ্যাল মিডিয়া তো গরু আর শুয়োরের খোঁয়াড়। 

    চেতনা ঘুমিয়ে পড়েছে। একেই আমি বলে আসছি "দ্য এরা অফ পোস্ট-রীজন" -- প্রশ্ন-উত্তর, বিচার-উত্তর যুগ। 

    হাসিনা সরকারকে অভিনন্দন জানাই। এই সম্প্রীতি বজায় রাখুন। মৌলবাদী, চরমপন্থী এবং সাম্প্রদায়িক হিন্দুবিদ্বেষী শক্তিগুলোকে নির্মম হাতে দমন করুন। 

    জানি আপনি অনেকটা ইন্দিরা গান্ধীর মতন। কিন্তু তাও আপনি ইন্দিরা গান্ধীর মতন। নাথুরাম সাভারকার গোলওয়ালকার মোদী নন। হামাস, আইসিসের ভাতিজি অথবা নানী নন। 

    _________________

    (তিন)

    গরুর রচনা 

    আমি বললাম, "বাংলাদেশে এবারে তিরিশ হাজার দুর্গাপুজো হয়েছে, এবং একটাও মূর্তিভাঙা বা মন্দির অপবিত্র করার ঘটনা ঘটেনি।"

    গরুর রচনা লেখেন যাঁরা, তাঁরা উত্তরে বললেন, "কিন্তু বাংলাদেশে কুমিল্লাতে গত বছর ..."

    আমি বললাম, "বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা মাত্র আট পার্সেন্ট হওয়া সত্ত্বেও সেখানে তাঁরা যথেষ্ট শান্তিতে আছেন। কিছু কিছু গুণ্ডামি এবং ভায়োলেন্স ঘটে চলেছে এখানে ওখানে, কিন্তু সেখানে একটা সরকার আছে যারা সুবিচারের পক্ষে। ২০২২'এর দুর্গাপুজোই তার প্রমাণ।"

    গরুর রচনা -- "কিন্তু বাংলাদেশে আজ মাত্র আট পার্সেন্ট হিন্দু কেন?"

    আমি বললাম, "ইতিহাসের আলোচনা করা দরকার অবশ্যই। কিন্তু যখন একটা খুব বড় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়, এবং মাত্র আট পার্সেন্ট হওয়া সত্ত্বেও গ্রামে গঞ্জে, শহরে উপশহরে তাঁরা নির্বিঘ্নে তাঁদের উৎসব পালন করতে পারেন, তখন তা নিয়ে একটা দুটো পজিটিভ কথা বলা দরকার নয় কী?"

    গরুর রচনা -- "স্বাধীনতার পর থেকেই হিন্দু বিতাড়ন শুরু হয়েছে, এবং ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের শ্যামাপ্রসাদ, আমাদের সাভারকার, আমাদের অমুক, আমাদের তমুক। নোয়াখালী দাঙ্গা, তারপর ইয়ে দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং ... ওসামা বিন লাদেন ... কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের ওপরে অত্যাচার।"

    আমি থামলাম। 

    আসলে, আমি এতদিন ভাবতাম গরুর রচনা হলো গরুর ওপরে লেখা রচনা। এখন দেখছি, গরুর রচনা মানে হলো গরুর বা গরুদের দ্বারা লিখিত রচনা।

    সুতরাং, এখানে আলোচনা নিষ্ফল। 

    মা আসছেন। সবাই ভালো থাকুন। 

    __________
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৯১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:০১524642
  • মানে ভারতের ৫ আর ৩ এর রেশিও আর বাংলাদেশ এর ৫+ আর  <১% রেশিও আপনার একই রকম মনে হচ্ছে ? কোনো রকম ডিস্ক্রিমেশন এর ফল নয় ? শুধু মাত্তর বার্থরেট এর কারণেই ? ভালো। 
     
    তাহলে আরো কিছু ​​​​​​​দেশের ​​​​​​​তুলনা ​​​​​​​করে ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যাকনা ​​​​​​​?কেমন ​​​​​​​দাঁড়ায় ​​​​​​​তত্ত্বটা ? আশা ​​​​​​​করি ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​রকম রেশিও ​​​​​​​ও ​​​​​​​দেখতে ​​​​​​​পাওয়া ​​​​​​​যাবে কোথাও  ?মানে যেখানে ​​​​​​​ইসলামিক ​​​​​​​পপুলেশন ​​​​​​​এর ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​অন্যদের ​​​​​​​পপুলেশন ​​​​​​​পাঁচগুণ ​​​​​​​বেড়েছে ​​​​​​​৭০ বছরে ? 
     
    ৭১ লেভেলে মাস্যাকার বাংলাদেশে কেন , গোটা দুনিয়াতেই ওই লেভেলে হয়নি। একমাত্র তুলনায় আসতে পারে নাজিদের গণহত্যা। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক কেমন হলে একটা ইসলামিক দেশের প্রায় গোটা মাইনরিটি পপুলেশন অন্য দেশে এসাইলাম চায় এটা করার প্রশ্ন আসে না ? 
     
    আর এটাও তথ্যের খাতিরে বলে রাখা যাক ৭১ যুদ্ধের সময় গোটা ইসলামিক ওয়ার্ল্ড যারা আজকে ওআইসি র মেম্বার স্টেটস - ৫০ টার বেসি দেশ , তারা সবাই পাকিস্তানের পেছনে দাঁড়িয়েছিল। ওয়াইড স্প্রেড ম্যাসাকার বা মাইনরিটি কিলিং নিয়ে  এদের কারোর কিস্যু আসে যায়নি। 
     
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:১০524643
  • আরে বাবা, একরকম নয় সেটাই তো বলছি, এই যে বললাম -
    ".. ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ, হিন্দু প্রায় ৩ গুণ। তাহলে ভারত থেকে কি হিন্দুদের মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা তো নয়..."

    এতটা টাইপিং টা কি জলে গেল !
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:১৪524644
  • না। ৫ আর ৩ এর রেশিও টা স্বাভাবিক। নয় দেশেও সিমিলার ডাটা পাওয়া যাবে। কিন্তু পাঁচ + ভার্সেস <১ টা নয়। দুটোর বেসিক তফাৎ টা দেখানোই উদ্দেশ্য। শুধু বার্থ রেট দিয়ে এতটা স্কিউড ডিফারেন্স এক্সপ্লেন করা যায়না। আপনি সেটাই করার চেষ্টা করছেন। 
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:১৫524645
  • "নয় দেশেও" =অন্য দেশেও 
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:১৬524646
  • আচ্ছা একবার একটু অন্য ডেটা দিয়ে ট্রাই করি। এটা হল ইউএসএ এর ডেটা।


    আচ্ছা, এক্ষেত্রে অমিতের ফরমূলা অনুযায়ী কি বলা যায় যে ল্যাটিনোরা সাদাদের মেরে ভাগিয়ে দিচ্ছে, এথনিক ক্লিনজিং করছে?

    প্রত্যেক দেশের ডেমোগ্রাফি চেঞ্জের নানা কারণ আছে। অনেক ফ্যাক্টর।
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৩০524647
  • এইটা বেশ ভালো কিন্তু। স্ট্যাটিসটিক্স এর এটাই মজা। এক্তা ওপিনিয়ন সেট করে নিয়ে তারপর সেটার সাথে ম্যাচ করানোর জন্যে যেখানে অ্যাবসলিউট নম্বর দরকার অথবা  যেখানে পপুলেশন % ইন্ক্রিস চার্ট দরকার সেখানে সেটা- একটা না একটা ম্যাচিং প্যাটার্ন ঠিক পাওয়াই যাবে। :)
     
     
    চার্ট আপলোড হচ্ছে না। কিন্তু ওপরের লিঙ্কে আমেরিকার পপুলেশন প্রোফাইল পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো দেখে কারোর কি মনে হচ্ছে আমেরিকায় বা ইন্ডিয়ায় এথনিক ক্লিনজিং  হচ্ছে ? কিন্তু বাংলাদেশের চার্ট দেখে সেটা মনে হচ্ছে। এটাই তফাৎ। 
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৩৭524648
  • বাংলাদেশের পপুলেশন গ্রোথ রেট এখন ০.৯১%, ওদিকে নিউজিল্যান্ড ১.০৬% , আর পৃথিবীর ধনীতম দেশ লুক্সেমবার্গ এর ১.৫৮%।

    তাহলে কি দাঁড়াল, বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড বা লুকেসম্বার্গের থেকে উন্নত দ্যাশ।

    https://www.cia.gov/the-world-factbook/field/population-growth-rate/country-comparison/
     
    হা হা ।  
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৪০524649
  • সেকি! আমেরিকায় সাদাদের এথনিক ক্লিনজিং হয় নি!!! তাহলে কি করে সাদাদের পপুলেশন কমে যাচ্ছে? তবে যে ট্রাম্প আর অমিত - দুজনেই তো বলল - যে আমেরিকায় সাদারা খতরো মে হ্যায়, তেনারা কি বাজে কথা বলার মানুষ।
    হা হা।
  • গুরুজন | 2401:8108:8000:5ca1::92:eafd | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৫২524650
  • ল্যাদোশদা কিনা শেষে গুরুর মার্কামারা ইসলামোফোবিক পাবলিকের সঙ্গে তক্কো করছে, কি দিনকাল পড়ল।
  • -ডিডি | 77.111.245.10 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:০০524651
  • আচ্ছা আপনারা এত কিছু নিয়ে লিখছেন, খুব ভালো, কিন্তু এই নিয়ে মনে হয় আলাদা একটা থ্রেড খুললে ভালো হয়, কারণ এই থ্রেডের আসল লেখায় ছিল ডকটোর পাত্থোর আপলোজেটিক বক্তব্য যে উনি দিক না দেখে মানবতাবাদী। 

    এটা যে কি ধরনের ঢপের চপ তা বিপ্লব রহমান মশায় একেবারে তথ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। দিকনা দেখে শুধু ওনার তথ্য ভিত্তিক লেখা "কাণ্ডারী হুঁশিয়ার!" সেটাও ঠিক  ২০২১র পুজোয় মাত্রাছাড়া অত্যাচারের পর খুব বেশী আমি দেখিনি। "মানবতা বাদী" পার্থ বাবু সেদিন ও চেপে গেছিলেন আজও চেপেই খেলবেন, মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে উনি খুব  সেনসিটিভ ;-)

    এর পর আপনারা যে লিখছেন সবই ভাল এবং তর্কসাপেক্ষ, কিন্তু ডকটোর পাত্থোর যে অরিজিনাল বক্তব্য তার সাথে এর সম্পর্ক খুবই কম। আমার মনে হয় ওনার পেট টপিক অর্থাৎ বিজেপি, আরএসএস কে না পেয়ে উনি  নিজেও এই থ্রেড নিয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। 
  • খ্যাখ্যা | 72.52.87.42 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১১524652
  • ল্যাংটাটা আবার চাড্ডি খুলে নাচতে লেগেছে রে  
  • :) | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:176 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১২524653
  • ইনি তো কচি পাথ্থো। কাল কলম্বিয়ান পাথ্থো আনন্দবাজারে জানিয়েছেন হামাস আর ক্ষুদিরাম বোস একই পদার্থ।
    পাথ্থোগুলির ব্যাকুলতা দেখার মত। নাম বলা বারণ ধর্মীয় জঙ্গিপনাকে চোখের মণির মত রক্ষা করতে হবে। তার জন্য কে বা আগে প্রাণ করিবেক দান।
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:২৯524654
  • তাহলে ল্যাদোশ দা র বক্তব্য কি দাড়াইলো ফাইনালি ? আমি ট্রাম্পের থেকেও বেশি ইসলামোফোবিক এটাতো ১০০-%  প্রমাণিত সত্য। তাতে কোনো সন্দই নেই। 
     
    কিন্তু আপনার বক্তব্য কি ?বাংলাদেশ এর পপুলেশন ট্রেন্ড থেকে কোনো ধরণের মাইনরিটি পারসিকিউশন আদৌ প্রমাণিত নয় - তাই তো ? সব শান্তিকল্যাণ ?
     
    একটু পরিষ্কার করে লিখে দ্যান। 
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩৩524655
  • পপুলেশন ট্রেন্ড দেখে বলা যায় না। ওর অনেক ফ্যাক্টর থাকে। পপুলেশন কার্ভ দেখে মাইনরিটি অপ্রেশন গেস করতে গেলে প্রচুর ফলস পজিটিভ চলে আসবে।
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩৮524656
  • ওকে। বলা যায়না - এটাতে এগ্রিড। 
     
    আবার একই যুক্তিতে ট্রেন্ড দেখে মাইনরিটি অপ্রেশন যে একেবারে হচ্ছে না সেটাও যে বলা সম্ভব নয় - সেটাতে আপনি এগ্রি করেন তো ? 
  • ডবল | 2405:8100:8000:5ca1::12b:5076 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩৯524657
  • ২০১১-২০২২ - বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা।
     
    2011  12,299,940   8.54%
    2022  13,130,109   7.95%
     
  • দীপ | 42.110.139.15 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৫০524663
  • এদের কি লজ্জা শরম নাই? আমরা তো জানতাম যে চক্ষুলজ্জা বলে একটা কথা আছে! সেই শব্দটা কি অভিধান থেকে উঠে গেছে? এরা নিজেদের ইচ্ছামতো নির্দেশ দিচ্ছে পূজায় এটা করেন, ওটা করবেন না ইত্যাদি। 
     
    ও ভাই, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এইদেশে এমনিতেই ভয়ে ভয়ে থাকে। পূজার সময় কোন ব্যতিক্রম ছাড়া প্রতিবছরই কোথাও না কোথাও মূর্তি ভাঙা হয়। ভয়ের চোটে পূজা মণ্ডপে নামাজের সময়সূচী লিখে রাখে- এই সমগুলিতে ঢাকঢোল বাজায় না। কোথায় ওদের সহায় হবে, ওদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে, না, উল্টো ওদের উপরই নানারকম নির্দেশনা। 
     
    বছরে একটা বারোয়ারি পূজা হয়, পাঁচদিন বা ছয়দিনের উৎসব। এই পাঁচ ছয়দিন ওরা নিজেরা নিজেদের মতো পূজাটা করতে পারবে না? হিন্দুরা কিভাবে পূজা করবে সেটাও আপনারা নির্ধারণ করে দিবেন? আপনার পছন্দ মেনে পূজা করতে হবে? আরে ভাই, অন্য কিছু বাদ দেন, ভদ্রতা বলেও তো একটা কথা আছে। নাকি? 
     
     
    ইমতিয়াজ আহমেদ।
  • দীপ | 42.110.139.15 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৫০524664
  • একটু পরেই মুছে দিবি শুয়োরের বাচ্চারা!
  • দীপ | 42.110.139.15 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:০০524666
  • সবাই মিথ্যাবাদী, একমাত্র সত্য এই ব্লগের শুয়োরের বাচ্চারা! 
    কেউ কেউ আবার কথায় কথায় মনুসংহিতা নিয়ে নাচতে থাকে! এসময় গলা দিয়ে কোনো শব্দ বেরোয় না!
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:০৯524667
  • অমিত, 
    এবার দেখো, মাইনরিটি অপ্রেশন আছে, কিন্ত সেটা এথনিক ক্লিনজিং বলা মুশকিল. 

    দেখো ডেফিনিশন হল -
    ... minority oppression occurs when those in control abuse their power in a way that fundamentally harms minority people's interests ...

    যখন মাইনরিটিরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পায় না, বা, চাকরিতে প্রোমোশন পায় না, ঠিক লোকেশনে ব্যবসার পার্মিট পায় না, উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক পদ পায় না, ভাল স্কুল কলেজে অ্যাডমিশন পায় না, ভাল লোকালিটিতে বাড়ি কিনতে বা ভাড়া পায় না, সৈন্যবাহিনীতে বড় পোস্ট পায় না, পার্লামেন্ট/সেনেটে কোনো রিপ্রেজেন্টেশন থাকে না, জলের/ইলেকট্রিকের লাইন পেতে সমস্যা হয় .... ইত্যাদি, ইত্যাদি .... 

    বাংলাদেশে হিন্দু মাইনরিটিদের ওপর অবিচার, সম্পত্তি লুটপাট, দুর্গাঠাকুরের পুজোয় ভাঙচূরের ঘটনা ঘটেছে... ওপরে যা লিখলাম তার কিছু জিনিস থাকতে পারে....

    আবার সেই বাংলাদেশেই মিনিস্ট্রিতে দুজন হিন্দু মন্ত্রী আছেন... পার্লামেন্টে (জাতীয় সংসদ) ৩৫০ টা সিট, তার মধ্যে ১৮ জন হিন্দু MP আছেন (একজন মহিলা এমপি সহ)... এছাড়া ধরো, জাস্টিস সিস্টেমে সুরেন্দ্র বিশ্বাস চিফ জাস্টিস ... কৃষ্ণা দেবনাথ হিন্দু মহিলা হাইকোর্ট বিচারপতি... আরও চার পাঁচজন হাইকোর্ট হিন্দু বিচারপতি... ক্রিকেট এবং অন্যান্য খেলায় হিন্দু বাঙালিরা আছেন, সঙ্গীত /সিনেমা /সাহিত্য / শিল্পকলা - এসবে হিন্দু বাঙালিরা আছেন... ... ঐতিহ্যশালী বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজি (BUET, est. 1876) এর উপাচার্য একজন হিন্দু বাঙালি... আরও কয়েকটি ইউনিভার্সিটির ভিসি হিন্দু... অবশ্যই এরা সংখ্যাগুরু নন, কিন্তু আছেন, ৮% এর মধ্যে থেকে আছেন.. 

    এবার তুমি ভাবতেই পারো যা ভাবার .... 
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:১৮524668
  • আর তোমার লজিকটা হিন্দু পপুলেশন ঘিরে নয়, মুসলিম পপুলেশন ঘিরে হচ্ছে। মুসলিম পপুলেশন এত হাই রেটে বাড়ল কি করে, হিন্দুদের তো এই রেটে বাড়ে নি, তাহলে নিশ্চয়ই হিন্দুদের মেরে বেড়েছে। লজিকটা জিরো-সাম হয়ে যাচ্ছে।

    সারা পৃথিবীতেই গরীবদের জনসংখ্যা বাড়ার, বিশেষ করে এগ্রি ইকনমিতে, প্রধান কারণ ঃ
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৩৪524669
  • বাংলাদেশে হিন্দু মাইনরিটিদের ওপর অবিচার, সম্পত্তি লুটপাট, দুর্গাঠাকুরের পুজোয় ভাঙচূরের ঘটনা ঘটেছে... ওপরে যা লিখলাম তার কিছু জিনিস থাকতে পারে।...এইটা পড়ে কদিন আগে এখানে এমনই একটা কিছু হ্যাজ নামানো হয়েছিল না অনুব্রত মন্ডল বাঁ তৃণমূলীরা দুর্নীতি তে হয়তো সামান্য ভাবে যুক্ত হলেও হতে পারেন? সেইটা মনে পড়ে গেলো। চোখে জল ​​​​​​​এসে ​​​​​​​যায় ​​​​​​​প্রায়। :) 
     
    আপনার হিসেবে বাংলাদেশে ৩৫০ টা সিটের মধ্যে ১৮ জন হিন্দু এমপি আছেন। ইন্ডিয়াতে ৫৩০ টার মধ্য এখন ২৭ জন মুসলিম এমপি আছেন। আপনার হিসেবে "চার পাঁচজন হাইকোর্ট হিন্দু বিচারপতি" আছেন , ইন্ডিয়াতে ৬০৪ জন হাই কোর্ট বিচারপতির মধ্যে ২৬ জন মুসলিম আছেন। উইকি খুঁজলেই পাওয়া যাচ্ছে ডাটা। 
     
    গত ৭০ বছরে তিনজন মুসলিম ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। চার জন সুপ্রিম কোর্টে চিফ জাস্টিস হয়েছেন। অনেকেই ক্রিকেট ফুটবল টিমের এর ক্যাপ্টেন হয়েছেন। পাশের দুটো তথাকথিত শান্তিপূর্ণ দেশে আজ অবধি এমন কোনো উদা আছে ? এগেন সঙ্গীত /সিনেমা /সাহিত্য / শিল্পকলা ইত্যাদির শীর্ষপদে এর হিসেবে যাচ্ছিনা। দরকারে তো উইকি আছেই। 
     
    তাহলে আপনার নিজের স্ট্যাটিসটিক্স এবং যুক্তি অনুযায়ী- ই ইন্ডিয়াতে মাইনরিটি অপ্রেশন পাশের বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের তুলনায় অনেক কম তো ? তাহলে ইন্ডিয়ায় আজকাল এসব নিয়ে এতো হৈচৈ এর দরকার টা কোথায় ? 
     
    উপরেরটা আপনার নিজের লজিক এর হিসেবেই কিন্তু। শুধু মাইনরিটি অপ্রেশন নিয়ে কথা হচ্ছে। এথনিক ক্লিনজিং কোত্থাও হয়নি। :) 
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪৭524671
  • কেন ভাই চোখে জল কেন। তাহলে তুমি কি বলতে চাইছ বলছ বাংলাদেশে মাইনরিটি অপ্রেশন হতে পারে না। আমি তো বলছি হয়, হতেই পারে। কনফিউজ করে দিচ্ছ ভাই।
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫৫524672
  • প্রথম কথা আমি কোথাও বলিনি যে "তাহলে নিশ্চয়ই হিন্দুদের মেরে বেড়েছে।" সেটা আপনি নিজে কল্পনা করছেন। ১৯৭১ এর ​​​​​​​পরে ​​​​​​​ওই ​​​​​​​স্কেলে ​​​​​​​মাস ​​​​​​​কিলিং ​​​​​​​হয়নি। ​​​​​​​আর এটাও সত্যি যে সেটা হলে ​​​​​​​ইন্ডিয়া চুপচাপ বসে ​​​​​​​থাকতো ​​​​​​​না।  ​​​ 
     
    আমার বক্তব্য এটাই - যেখানে একই দেশে একই সমাজব্যবস্থায় থেকেও একটা সম্প্রদায় বছরে ৫% পপুলেশন এর বেশি বাড়ে কন্সট্যান্টলি ৭০-৭৫ বছর ধরে আর অন্য একটা ১% এর কম বাড়ে - সেখানে সিচুয়েশন কোনোভাবেই নরমাল নয়।শুধু এগ্রি ইকোনমি দিয়ে এটা এক্সপ্লেন করা যায়না যদি সলিড ডাটা থাকে। আর দিনে দিনে যেখানে এগ্রি ইকোনমি মেকানাইসড হচ্ছে সেখানে একশো বছর আগের যুক্তি খাটেনা যদি কমুনিটি বেসিসে ল্যান্ড ওনারশিপ , মেনুয়াল লেবার পার্টিসিপেশন , লেবার রেট - সবকিছুর কম্প্রিহেন্সিভ ডাটা এনালাইসিস করা যায়। 
     
    বরং আমার মনে হয় মাইনরিটি দের এভাবে সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে মাস মিগ্রেশন, কনভার্সন , ফোর্সড ম্যারেজ সবকিছুর মিলিয়ে কান্ট্রিবিউশন আছে। কতটা ভয় কাজ করলে মাইনরিটি দের নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয় পাশের দেশে ? কোনো ডাটা আছে কতজনকে পালিয়ে আসতে হয়েছে ? বাংলাদেশ সরকার তো স্বীকারই করেনা লোকে এসেছে। উল্টে ইন্ডিয়ায় এনআরসি ছালু করলে সেটা নিয়ে বিলাপ শুরু হয়। 
     
    প্লাস ইসলামিক দেশগুলোতে রিলিজিয়াস প্রেফারেনটিয়াল আইন , ব্ল্যাসফেমি আইন থাকতে একটু বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্যে হোক বা পাতি হারায়াসমেন্ট এড়াতেও অনেকে কনভার্ট হয়। তিনু এমপি ডেরেক ওব্রায়েন আবাপতে লিখেছিলেন ওনার এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলি পাকিস্তানে খ্রীষ্টান থেকে মুসলিম হয়েছিল এই কারণেই। আর মেয়েদের ওপর অত্যাচার তো আছেই। 
     
    সবসময় খুন করে এথনিক ক্লিনসিং হয়না। নিজে এসব দেশে মাইনরিটি হয়ে না থাকলে ওই ভয়টা ফিল করা যায়না। 
  • -dd | 77.111.245.10 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫৮524673
  • দীপ এগুলো নিয়ে বলে লাভ নেই, ওপরে অমিত কে দেখো সংখ্যা এবং তত্ব দুটো নিয়ে লড়ে যাচ্ছে এখনো একবারও বলাতে পারেনি LCM কে দিয়ে আদেও বাংলদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন হয়, না হয়না। এদের থেকে অনেক বেশী পরিষ্কার এই ইমতিয়াজ আহমেদ, সে তার নাম যতই অহিন্দু হোক।

    আসলে এটাই কারণ এদেশের জাতিদাঙ্গা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের তাবড় তাবড় লেখক, শিল্পী, নাট্যকার, সিনেমা নির্দেশক খুব বিশেষরকম চুপ। অনেকে তো আবার লিখেই ফেলেছেন যে এনিয়ে আলোচনা না করে ভাল আবার দাংগা হতে পারে। অর্থাৎ হয় সম্পূর্ণ অস্বীকার অথবা "সেরকম কিছুই হয়নি" এটাই এদের মূল বক্তব্য। আমি তাই অরিজিনাল পোস্টর লেখক পার্থ বাবুর দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নিয়েই লিখিনি, কারণ এসব নিয়ে লিখে লাভ নেই।   
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০১524674
  • যাই হোক। এ ব্যাপারে তোমার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। বাংলাদেশে মাইনরিটি অপ্রেশন আছে। শুধু হিন্দু নয় - খৃশ্চান, বৌদ্ধ, পাহাড়ি উপজাতিদের ওপরেও আছে।
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০৫524675
  • আমি তো ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৩৪ র পোস্টে বরং বললাম বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের তুলনায় ভারতে মাইনরিটি অপ্রেশন কম বেসড অন আপনার ক্রিটেরিয়া। 
     
    সেটার সাথে আপনি একমত ? নাকি নয় ? 
  • lcm | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:১৭524677
  • "... একটা সম্প্রদায় বছরে ৫% পপুলেশন এর বেশি বাড়ে কন্সট্যান্টলি ৭০-৭৫ বছর ধরে আর অন্য একটা ১% এর কম বাড়ে - সেখানে সিচুয়েশন কোনোভাবেই নরমাল নয় ... "

    এবার অমিতের লজিকটা বোঝা গেল। বাংলাদেশে তো তবু দু পক্ষই বেড়েছে। ভারতে তো ৭০-৭৫ বছর ধরে মুসলিম % বেড়ে গেছে (৯.৮% থেকে ১৪.২%), আর হিন্দু % কমে গেছে ( ৮৪.১% থেকে ৭৯.৮%)।
    ভারতে সিচুয়েশন কোনোভাবেই নরম্যাল নয়, সাংঘাতিক অ্যাবনর্মাল অবস্থা। 
     
    এবার ক্লিয়ার  - একদম ১০০% ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। 
  • Amit | 163.116.203.24 | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২১524678
  • মানে ভারতে মাইনরিটি অপ্রেশন বেশি ? না কম ? 
     
    আমাদের মতো কম আইকিউ লোকদের জন্যে সোজা ভাষায় লিখে দ্যান না । সিম্পল হ্যা বা না বললেও হবে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন