এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.110.146.72 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০০:৫১522972
  • "রামকৃষ্ণ মিশনের হোস্টেলে গে সন্দেহে কোমল প্রকৃতির ছাত্রের ওপর নির্যাতন,"
     
    আপনার কাছে উপযুক্ত তথ্য আছে তো? যদি তথ্য থাকে, মিশনের বিরুদ্ধে মামলা করুন। আপনাকে সমর্থন জানাবো।
    আর না থাকলে বলব নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী!
  • m | 2405:8100:8000:5ca1::1a7:2d34 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০০:৫৬522973
  • সারবস্তুহীন প্যারানইয়া।
  • Partha Banerjee | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০১:০৮522976
  • দীপ: আর যদি এখানে সেই পোস্টটা দিই, আপনার এই "নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী" ধরনের কথাগুলো উইথড্র করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন তো? যদিও আলোচনাটা আপনি যে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন, তা খুবই অবভিয়াস। 
    _______________________________

    (1)

    #যাদবপুরেরস্বপ্নদীপবিচার_পাক
    #রামকৃষ্ণমিশনেরউজ্জ্বলওবিচারপাক
    #দীপক_রায় 

    ◾ যাদবপুর হত্যা/আত্মহত্যাকান্ড আগস্টের শুরুতে। আর রামকৃষ্ণ মিশনের হত্যা/আত্মহত্যাকান্ড জুলাইয়ের মাঝামাঝি। দুটি ঘটনার মধ্যে সময়ের ফারাক এক মাসেরও কম। কিন্তু স্বপ্নদীপের বিচার চেয়ে ফেসবুক, মিডিয়া সবাই ঝাঁপিয়েছে। ওদিকে উজ্জ্বলের বিচার চেয়ে একটা পোস্ট নেই ফেসবুকে, মিডিয়াও নীরব। কোন নিউজ, কোন মিছিল, কোন সভা কেউ কি দেখেছেন কোথাও? না, দেখন নি। দেখবেনও না। 
    ◾ কারণ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সুনাম নিয়ে কেউই সন্দেহ প্রকাশ করবেন না। কিন্তু মাত্র ক'দিন আগেই সেখানে ১৮ বছরের উজ্জ্বল গোস্বামী জুওলজি অনার্সে ভর্তি হবার ৫ দিনের মাথায় মিশনের পুকুরে মৃতদেহ হিসাবে ভেসে ছিল। এই তো গত ১৮ জুলাই ২০২৩ তারিখের ঘটনা।
    ◾ রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, 'সম্ভবত সাঁতার কাটতে গিয়ে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু কোন সিসিটিভি নেই, ফলে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়'। কেন সিসিটিভি নেই, এই প্রশ্নে মহারাজ জানিয়েছিলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রটি প্রতিদিনই পুকুরে স্নান করতে যেত। আমরা ইতিমধ্যেই ওখানকার থানায় এই বিষয়ে জানিয়েছি। তারা তদন্ত করে দেখছে'।
    ◾ বর্ধমান শহরের সুকান্ত নগরের বাসিন্দা উজ্জ্বলের পরিবার রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হলেও পুলিশ, সাংবাদিক, প্রচারমাধ্যম কেউই কোন পাত্তা দেয় নি। এই ঘটনায় কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা, হোস্টেলে অন্য কোন ঘটনা ঘটেছিল কিনা, সেই নিয়ে কোন আলোচনা, জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতার বা তদন্তের খবরও কেউই জানতে পারে নি।
    ◾ মৃতদেহ উদ্ধারের পর সন্ধ্যায় উজ্জ্বলের মৃতদেহ বর্ধমানের বাড়িতে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন এবং বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা দিতে গেলে তাঁদের ওপর ওই পরিবারসহ এলাকার মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কিন্তু বর্ধমান থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই ঘটনা 'খবর' হয়ে ছড়াতে পারেনি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে ওই সন্ন্যাসীদের উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। তারপরের ঘটনা কেউ জানে না।
    ◾ মৃত উজ্জ্বলের কাকা সুবীর গোস্বামী বলেছিলেন, ‘উজ্জ্বল সাতাঁর জানত। একজন সাঁতার জানা ছাত্র কীভাবে ওইটুকু পুকুরের জলে ডুবে মারা গেল? আমরা চাই এর পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তদন্ত হোক। হোস্টেলে জিজ্ঞাসাবাদ হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে কোন নিরাপত্তা নেই। তাই এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। সেখানে কোনও সিসিটিভিও ছিল না। কেন ছিল না'?

    From. Saswati দত্তরায় 
    _________________________________

    (2)
    কাল থেকে যাদবপুরকে মন্দির বানানোর টেন্ডার রামকৃষ্ণ মিশনকে দেওয়ার দাবি উঠছে দিকে দিকে। সেই রামকৃষ্ণ মিশনের পরিসরে কি ভয়ঙ্কর হেনস্থা ও ভায়োলেন্স চলে, সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন প্রাক্তন ছাত্র Sabuj Ganguly। যথেষ্ঠ পুরুষ হয়ে উঠতে না পারার ফলে যে পরিণাম আজ যাদবপুরের ছাত্রটির হয়েছে, সেই একই মাশুল, প্রায় একই কারণে গুণতে হত সবুজকে। নেহাতই বরাতজোরে প্রাণটা বেঁচে গেছে। 

    সবুজ লিখছে: 

    Not being man enough 

    কিছু সময় আমি চুপ করে যাই কারণ আঘাতগুলো অনেক ব্যক্তিগত হয়, আঘাতগুলো এমনভাবে দুমড়েমুচড়ে দেয় যে খানিক বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। একজন সতেরো বছরের বাচ্চা খুন হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা। কেন তাকে খুন করা হল? কেন তাকে র‍্যাগিং এর সম্মুখীন হতে হল? এসবের কারণ বিচার বিশ্লেষণ পুলিশ করছে, সাথে মিডিয়া তো আছেই, মিডিয়া ট্রায়ালের যুগে থানা কোর্ট থাকা না থাকা একই ব্যাপার। আমি এ বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করতে রাজি নই। তবে আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এই বাচ্চাটির সাথে যা হয়েছে এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। দেশের প্রতিটি স্কুলে, প্রতিটি কলেজে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানেই একদল পুরুষ মনে করেছে ক্লাসরুমের লাস্টবেঞ্চে একা বসে থাকা ছেলেটি ঠিক ছেলেসুলভ নয় সেখানেই তারা নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। 'বয়েজ হোস্টেল' বিষয়টা একবার ভেবে দেখুন, পাঁচটা ছেলে একজায়গায় বসলে যেখানে মেয়েদের 'বুক' 'পাছা', 'দুদু' ছাড়া অন্য কোনো টপিক থাকেনা ডিস্কাশনের, সেখানে ৬০০ টি ছেলে একজায়গায়। ভাবা যায়! যারা আজকে ফেসবুকে বড়ো বড়ো বাতেলা মারছে 'যাদবগাছিতেই এসব হয়, ভামপ্যান্টিদের জায়গা, তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হোক', তারা স্কুল কলেজে আমাদের মতো মানুষদের সাথে ঠিক কেমন আচরণ করতেন মনে পড়ে?

    (১)

    আজ সকালে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখলাম 'যাদবপুর বন্ধ করে রামকৃষ্ণ মিশনের তত্ত্বাবধানে দিয়ে দেওয়া হোক'। এরা সকাল বিকেল বিনা পয়সায় লোক হাসিয়ে কি লাভ পায় আমি জানি না। আমার স্কুল জীবন রামকৃষ্ণ মিশনেই কাটে। আমি ছোটবেলা থেকেই যেহেতু 'মেয়েলি', পেছন দুলিয়ে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করি তাই পাড়ার দু তিন ক্লাস উঁচুতে পড়া দাদারা 'লেডিজ' বলে ডাকত রাস্তাঘাটে। তাই রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে আলাদা কোনো ট্রিটমেন্ট পাব এমন এক্সপেকটেশন আমার ছিল না। স্কুলে আমার নিজের নামে কতজন ডাকত আমার মনে নেই, মোটামুটি সবাইই 'হিজড়ে', 'লেডিজ' এসব নামেই ডাকত। ছোটবেলা থেকেই যেহেতু ঘরে বাইরে এসব শুনেই বড় হয়েছি তাই আলাদা করে খারাপ কখনোই লাগেনি। আমার মতো মানুষদের 'আলাদা করে খারাপ' লাগে না, লাগতে নেই। লাগতে নেই কেন? কারণ, আপনারাই বলেন, 'এসব তো মজা করে হয়েই থাকে'। প্রতিদিন টিফিন পিরিয়ডটা ছিল আমার জন্য বিভীষিকা। আমি এবং আমার আরেক বন্ধু (যে তার স্কুল জীবনে আমার থেকেও বেশি বুলিড হয়েছে, মোলেস্টেড হয়েছে সে 'মেয়েলি' হওয়ার জন্য) টিফিন পিরিয়ডে ক্লাসরুমের বাইরে বেরোলেই চলত নোংরা অশ্রাব্য গালিগালাজ, "হিজড়ে গুলো পোদ নাচিয়ে যাচ্ছে দেখ"। কখনো কখনো সেটি শারীরিক হেনস্থার পর্যায়েও যেত, যেমন ধরুন হঠাৎ কেউ আমার যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে চলে গেল, কিংবা 'চল আমার সাথে বাথরুমে চল'। আমার ক্লাসে আমি বাদে আমার যত ক্যুইয়ার বন্ধু ছিল তাদের অভিজ্ঞতা আমার থেকেও হাড়হিম করা। আমার কোনো কোনো সময়ে বিশেষ ছাড় ছিল কারণ আমি 'এ' সেকশনে পড়তাম (স্কুলে তখন নম্বর অনুযায়ী সেকশন হত), আমি নালিশ করলে মহারাজ বা টিচাররা পাছে স্টেপ নিয়ে নেয় সেই ভয়ে। কিন্তু নিজের সেকশনের ছেলেদের থেকে রেহাই পাই কিভাবে? একদিন সবাই মিলে দেখতে চাইল আমার যৌনাঙ্গে কি আছে। আমি কিছুতেই স্পর্শ করতে দিলাম না। তারপর চলল বেদম প্রহার, গলা টিপে দেওয়ালে চেপে ধরে প্রচন্ড মারতে থাকল সবাই। আমিও কম যাইনা, ওদের মধ্যে দলের হেডটার কানের গোড়ায় দিলাম সপাটে থাবড়া। সেদিন আমার এক বন্ধু ওই সময়ে ক্লাসরুমে না থাকলে আমাকে ওরা গলা টিপে মেরেই ফেলছিল। মিশনে পড়াকালীন নিত্যদিনের অত্যাচারের ঘটনা বলা শুরু করলে লিখে শেষ করা যাবেনা। তখন আমার যা বয়স, 'মলেস্টেশন' কাকে বলে সেটা বোঝারও বয়স নেই। আমার সাথে একদল মিলে যখন 'যৌন নির্যাতন' চালায়, আমি যখন সেটি ওপেনলি বলি গোটা ক্লাস তখন হো হো করে হাসে। 'ছেলেদের আবার যৌন নির্যাতন! এই জন্যই তুই হিজড়া'। 
    নাহ! আমি এটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নয়। এটি রামকৃষ্ণ মিশন, বরানগরের ঘটনা। এটি আমার স্কুল, যেখানে আমি জীবনে আর একটি বারের জন্যও ফিরে যাইনি।
       
    (২)

    কলেজ জীবনে যখন আমি পাড়ি দিই, তখন  কিছু পরিবর্তন আসে। আমি সেন্ট জেভিয়ার্সে স্ট্যাটিস্টিক্স ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হই। প্রথম দিনই ইনট্রোডাকশনের সময় ক্লাসমেটদের আমি জানিয়ে দিই আমি ক্যুইয়ার। ক্লাস বা শ্রেণি এই বিষয়টা খুবই জটিল, জেভিয়ার্সে বসে কেউ যখন আমাকে 'ছক্কা' বলতে যাবে তখন তাকে তার 'রেপুটেশন' হারানোর ভয় পেছন থেকে টানবে। মনে মনে কিছু থাকলেও সেটি প্রকাশ করার বোকামি কেউ করে না। যদিও এতেও কিছু ব্যতিক্রম ছিল, তা নিয়ে আমি আগেও বহুবার লিখেছি। তবে ওই যে বললাম শ্রেণির সাথে ডিস্ক্রিমিনেশনের রকম ফের ঘটে। যেমন ধরুন, আপনি ইন্টারভিউ দিয়েছেন খুব ভালো। আপনার ইন্টারভিউয়ার আপনার মেয়েলি গলা শুনে বিরক্ত হয়ে শুধু ওই কারণেই আপনাকে রিজেক্ট করলেন। আপনি বুঝলেনও না আপনাকে কেন রিজেক্ট করা হয়েছে, অনেকটা এরকমই, এখানে সহজে কেউ আপনাকে হিজড়ে ছক্কা বলতে আসবেনা। যদিও যারা জানে তারা জানে, কলেজেও আমাকে 'হিজড়া', '৩৭৭', 'ছক্কা' ইত্যাদি কটুক্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কলেজের তৃতীয় বর্ষে পড়াকালীন একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতার মীম সার্কেলের লোকজন আমার পেছনে পড়ে। ডেইলি আমাকে নিয়ে মীম বানাতো, আমার সেক্সুয়ালিটি, জেন্ডার আইডেন্টিটি ছাড়া আমাকে নিয়ে মীম বানানোর সুন্দর উপাদান ওই ছোট্ট মস্তিষ্কে থাকার কথা নয়। রোজ সকালে উঠে আমি নিজেকে নিয়ে নতুন নতুন নোংরা মীম দেখতাম। তার ওপর মাঝে মাঝেই হামলা করত বিজেপির আইটি সেল। একবার ঘটনা এতদূর গড়িয়েছিল যে একপাল গরু আমার কলেজের কর্তৃপক্ষকে মাস মেইল করেছিল আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। আমার মেসেঞ্জার মেসেজ রিকোয়েস্ট যাদের পড়িয়েছি তারা জানে আমাকে রোজ ঠিক কি কি গালি খেতে হয় শুধুমাত্র 'মেয়েলি' হওয়ার জন্য।
    নাহ! এটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নয়। এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটে যাওয়া আমার জীবনের একটা অত্যন্ত খারাপ সময়ের ঘটনা। আমার প্রাত্যহিক জীবনের ঘটনা। আমার স্কুলের ঘটনা, কলেজের ঘটনা।

    (৩)

    আমি কলেজজীবন অবধি কখনো হোস্টেলে থাকিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়তে যাই, সেই প্রথম আমার হোস্টেল জীবন। আমাকে যারা ব্যক্তিগত পরিসরে চেনেন তারা জানেন,  স্কুল ছাড়ার পর থেকে আমার কোনো সময়েই সে অর্থে পুরুষ বন্ধু হয়নি। সেখানে ভিনরাজ্যে গিয়ে বয়েজ হোস্টেলে একই সাথে অতগুলো ছেলের সাথে একই রুমে একসাথে থাকাটা বেশ আনকম্ফর্টেবল ছিল আমার জন্য। ঠিক যেমনটা ভেবেছিলাম, তেমনটাই। তখনো হোস্টেলে সেভাবে লোকজন আসেনি, আমার রুমমেটরা কেউই আসেনি। কলকাতা থেকে একজন 'মেয়েলি' 'মেয়েলি' অদ্ভুত প্রাণী এসেছে বলে ভিড় করে মাঝে মাঝেই সবাই আলাপ করতে আসত প্রথম প্রথম। একদিন রাতে একটি পেছনপক্ক নেতাগোছের ছেলে সাথে কিছু গাছপাঁঠাকে নিয়ে রুমে ঢুকল এবং একপ্রকার জোর করেই আমাকে বাধ্য করল ওদের সাথে বসতে, 'ইন্ট্রো' করতে চায় আরকি। সেই নেতাগোছের ছেলেটি হঠাৎই বলতে শুরু করে, "তুমি যেভাবে পেছন দুলিয়ে দুলিয়ে যাও, হোস্টেলে চলাফেরা করো সেটি আমরা কেউ ভালো চোখে দেখছি না।" আমি কারণ জিজ্ঞেস করলে ওরা আমার সেক্সুয়ালিটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। আমি কোনোকালেই রাখঢাক করার ব্যক্তি নই, বড়জোর খুন করে দেবে এর থেকে বেশি কিই বা হবে? আমাদের মতো মানুষরা জানে এ দেশে যে কোনো সময় আমাদের মতো মানুষরা খুন হয়ে যেতে পারে। আমেরিকার ট্রান্স ক্যুইয়ার মানুষদের খুন হওয়ার সংখ্যাতত্ত্বটা তাও প্রকাশ্যে আসে, আমাদের দেশের সরকারই  চায় আমরা মরে যাই,সেখানে স্ট্যাটিস্টিক্সের আর প্রয়োজন নেই। যাইহোক, সেই নেতাগোছের ছেলেটি কিছু না বুঝেই বলতে থাকে, "আমরা কিন্তু গে নই, আমরা স্ট্রেট।", তার কিছুক্ষণ পরেই বলতে থাকে, "তুই সাবধানে থাকিস, আমরা হোস্টেলে মেয়ে পাইনা, ক্ষুধা মেটানোর জন্য কোনদিন তোর প্যান্ট খুলে পেছনে গুঁজে দেব তখন কিন্তু আমাদের দোষ দিবি না।" আমি ভয়ে শিউরে উঠি কিছুক্ষণের জন্য, একটা ঘরভর্তি ছেলে, সেখানে আমি একা। তারপরেই হঠাৎ বলতে থাকি, "শুনেছি তুই ভালো ইংরেজি বলিস, চল আমার ঘরে চল আমাকে ইংরেজি বলা শেখাবি, আমি আর তুই একা।" ছেলেটির বাড়াবাড়ি এমনই পর্যায়ে যায় যে তার পোষ্যগুলিও এতক্ষণ যারা মজা নিচ্ছিল তারা ভয় পেয়ে যায়। এরপর তাকে অন্য ঘরে তারাই নিয়ে গেলে আমি দরজা ভেতর থেকে লক করে রাত দুটোর সময়ে আমার এক প্রফেসরকে টেক্সট করি। প্রফেসর সাথে সাথে আমার সাথে কনট্যাক্ট করেন এবং পরেরদিন তিনি এবং আমার জেভিয়ার্সের দুজন সিনিয়র যারা আমার ইউনিভার্সিটিরও সিনিয়র ছিল তারা সবাই বিভাগীয় প্রধানকে জানাই। তারপর তার সাথে যা হয় সেটি খুবই মজাদার। আমাকে দেখলেই তারপর থেকে গোটা হোস্টেলের ছেলেরা পালাতো। আমি বরাবরই বলতাম, আমাকে দেখে এদের মতো ছেলেরা ভয় না পেলে, আমার লিপস্টিক পোশাক পরিচ্ছদ দেখে আনকম্ফোর্টেবল ফিল না করলে আমার এতদিনের পলিটিক্স ব্যর্থ। আমার এখনো মনে আছে ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন আমি দরজা বন্ধ করে সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকতাম। এর বেশ কিছুমাস পরে হোস্টেলের আমার রুমের থেকে কিছুটা দূরেই ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের একটি ষণ্ডা মতন ছেলে একদিন রাতে মদ্যপান করে আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় ওর ঘরে এবং জোর করতে থাকে আমাকে ওর সাথে শুতে। তার বন্ধুরা আমাকে ওর থেকে ছাড়ায়, গোটা হোস্টেলে চেল্লামেল্লি শুরু হয়ে যায়। তারপর আমি দৌড়ে আমার রুমে চলে আসে। আবারও এসে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় সে। আবারও আমাকে তার বন্ধুরা তার হাত থেকে ছাড়ায়। এরপর আমি রুমে এসে দরজা লক করে আমার এক বন্ধুকে খবর দিই, সে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসায় আর উপদ্রব করার সাহস পায়নি। 

    নাহ, আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িনি। এটি সাবিত্রীবাঈ ফুলে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা, মহারাষ্ট্রের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বারো নম্বর র‍্যাঙ্কের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা।এখানে ছাত্র সংসদ এবিভিপি চালায়, বামেদের 'ব' ও কোথাও পাবেন না। হোস্টেলের কোণায় কোণায় সিসিটিভি লাগানো আছে, মদ গাঁজা সিগারেট কোনোটিই ক্যাম্পাসে খাওয়া যায়না। তবু আজকেও স্পষ্ট মনে আছে ওই রাতের কথাগুলো, "প্যান্ট উতারকে গান্ড মে ঘুষা দুঙ্গা"।

    বাচ্চাটি মারা গেছে তার মা'কে বলে, "মা আমি গে নই"। ভেবেছিলাম এই তথাকথিত 'মেয়েলি' স্বভাবের পুরুষরা, ক্যুইয়ার - ট্রান্স মানুষরা ছোট থেকে ঘরে-বাইরে যেরকম অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা করে বেড়ে ওঠে,এত 'স্বপ্নখুনি'র মাঝেও যারা স্বপ্ন দেখতে ভোলেনা তাদের নিয়ে আমরা আপনারা কথা বলবেন। কিন্তু নাহ! মেইনস্ট্রিম মিডিয়া গোটা ঘটনাটাই সব দোষ 'বামপন্থার', সব দোষ 'যাদবগাছি'র, আর সিসিটিভির বলে প্রচার করতে ব্যস্ত। আর সাধারণ মানুষ বাচ্চাছেলেটির কথা ভুলে গিয়ে আপাতত যাদবপুরের সবাই খুনি, যাদবপুরে 'মধুচক্র' হয়, যাদবপুরের ছেলে মেয়েরা সবাই সমকামী, যাদবপুরে সারাদিন সবাই গাঁজা খায়, সারাদিন সবাই মদ খায় আর বোতল ছুড়ে মারে এসব নিয়েই বিশ্লেষণে ব্যস্ত। কে তাকে বিবস্ত্র করল? কেন তাকে বিবস্ত্র করা হল? 'আমি গে নই' কেন সে বলল? 'গে' হলেই বা কেন তাকে বিবস্ত্র করা হবে? কিসের অধিকারে এই শক্তি প্রদর্শন?  এসব প্রশ্ন আপাতত মিলিয়ে গেছে 'এবার যাদবপুরকে বাগে আনতে পেরেছি'র উচ্ছ্বাসে। একরাশ ঘেন্না ছাড়া আর কিছু দেওয়ার নেই।

    ### 
  • দীপ | 42.110.146.72 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০১:০৮522977
  • অবশ্য‌ই তৃপ্তা ত্যাগীর কঠোর শাস্তি চাই!
  • দীপ | 42.110.146.72 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০১:১৭522978
  • একবার লিখছেন রহড়া, একবার লিখছেন নরেন্দ্রপুর। কোনটা ঠিক? 
    নরেন্দ্রপুরে সাত/আট বছর আগে সুইমিং পুল খুলেছে। তবে কাউকে একা নামতে দেওয়া হয়না।
    তবে রহড়া/ নরেন্দ্রপুর; যেখানেই হোক না কেন, শাস্তির দাবী জানাই।
    মিশন স্বর্গ থেকে খসে পড়েনি, ত্রুটিবিচ্যুতি অবশ্য‌ই আছে। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যখন খবর পেয়েছেন, তখন ব্যবস্থা নিয়েছেন। এমনকি কর্তব্যে গাফিলতির কারণে কোনো সন্ন্যাসীকেও  শাস্তি পেতে হয়েছে। স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, পদচ্যুত করা হয়েছে।
    অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে মিশন অনেক স্বচ্ছ।
  • Partha Banerjee | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০৩:০৫522980
  • দীপ: তাহলে আপনার এই "নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী" ধরনের কথাগুলো উইথড্র করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এখন। যদি সৎসাহস থাকে।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:878:38c7:ff75:8c1a | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০৪:৪১522981
  • আরএসএস আর সৎসাহস!!
  • | 2405:8100:8000:5ca1::1c9:bb70 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৩522985
  • স্বপ্নদীপের ঘটনায় যে যার অ্যাজেন্ডা নামাচ্ছে, এলজিবিটি গ্রুপই বা বাদ যায় কেন? এবার তৃপ্তা ত্যাগী কেসেও এই অ্যাঙ্গেলটা গুঁজে দিন।
  • রাহু | 2405:8100:8000:5ca1::1b8:b9d8 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০৯:০৪522987
  • নেহরুভক্তরা আরেসেস খুঁজতে হাজির! অবশ্যই নেহরু মহান কারণ তিনি হিটলারের মতই কমিউনিস্ট পার্টিকে ব্যান করেছিলেন। আরেসেসের সে দম নেই।
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::2ed:5a62 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ১০:৩২522989
  • পাত্থ বাঁড়ুজ্জে ভুল টার্গেটে ঢিল ছুঁড়ছে। এই দীপচাড্ডি দীপক দাস লয়কো। দীপচাড্ডির নাম দীপ্তাংশু চক্কোত্তি আইয়াইটি আলামনি। গঙ্গারামপুরের গাঁয়ে আরেসএসের কাজকম্ম করে।  বামনাইয়ের লেউড়েপনা নিয়ে পোস্ট নাবালেই দীপচাড্ডি দৌড়ে আসবে খিস্তাতে।
  • Hmm | 2405:8100:8000:5ca1::19:56f3 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ১০:৫৮522992
  • ইসরোর আরএসএস প্রধান বলেছে সবই ব্যাদে আছে। আইআইটির অ্যালুমনিও আরএসএসের প্রচারক। আরএসএস বিরোধীদের এবার উচিত লেখাপড়া করে অ্যাকাডেমিয়ায় ঢোকার চেষ্টা করা। এভাবে সব প্রতিষ্ঠানে হিন্দুত্ববাদী ভাবনা চলতে দেওয়া যায়না।
  • রহড়া | 2405:8100:8000:5ca1::491:e087 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ১১:২২522993
  • সাঁতার জেনে জলে ডুবে মারা যাওয়া মানে তো আত্মহত্যা নয় নিশ্চয়। দুর্ঘটনা সম্ভব (পায়ে কিছু জড়িয়েটড়িয়ে গেলে)। অথবা খুন। তাহলে আরও সোরগোল হত না?
    শূম্যে উইচ হান্টিং না করে অপেক্ষা করা যাক।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:a0e0:778:5634:1232:5476 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:৫১523010
  • মনে হয় ছেলেটি খুব ভালো সাঁতার জানতো না, অথবা কোনো কারণে নার্ভাস হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাকে মিশন কর্তৃপক্ষের গাফিলতি হয়তো বলতে পারি, তবে এখানে কোনো ragging হয়নি।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:a0e0:778:5634:1232:5476 | ২৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:০৬523013
  • আশা করব মিশন কর্তৃপক্ষ এই বেদনাদায়ক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সচেতন হবেন, ট্রেনার বা কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির উপস্থিতি ব্যতীত ছাত্রদের সাঁতারের অনুমোদন দেবেন না। 
    তবে তখন হয়তো অন্য গল্প আসবে। ফ্যাসিস্ট মিশন ছাত্রদের সাঁতার কাটতে দিচ্ছেনা!
  • ~ | 109.70.100.6 | ২৮ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৪৫523042
  • উত্তরপ্রদেশের স্কুলে নিগ্রহের শিকার সংখ্যালঘু পড়ুয়ার পরিচয় প্রকাশের অভিযোগে সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরের বিরুদ্ধে মামলা করল পুলিশ। খবরের সত্যতা যাচাই করার সংবাদমাধ্যম অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুবেরের বিরুদ্ধে মুজফ্ফরনগরের একটি থানায় শিশু ন্যায়বিচার আইনের ৭৪ ধারায় সোমবার মামলা দায়ের করা হয়।
  • দীপ | 42.110.146.93 | ২৮ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩৬523050
  • পুরো জরুরি অবস্থা চালাচ্ছে!
  • দীপ | 42.110.138.23 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:৫৭523189
  • যদিও এই ধরনের মূল্যায়নে আমি খুব একটা গুরুত্ব দিইনা, তবুও তথ্যের খাতিরে কয়েকটি কথা বলে যাই! 
    এবার মোট তেরোটি স্কুলকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এই তেরোটি স্কুলের মধ্যে রয়েছে ,
    ১. রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির মালদা
    ২ রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় নরেন্দ্রপুর
    ৩ রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন মেদিনীপুর
    ৪ রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুল আসানসোল
    ৫ রামকৃষ্ণ মিশন ব‌হুমুখী বিদ্যালয় কামারপুকুর
    ৬ রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষামন্দির সরিষা
     
    আপনারা আরো গল্প লিখতে থাকুন। মিশন এভাবেই কথায় নয়, কাজে প্রত্যুত্তর দেবে।
     
  • দীপ | 42.110.138.23 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:৫৯523190
  • আবার মহাকবির চিন্তাতেই আশ্রয় নিচ্ছি।
    "অকর্মণ্য দাম্ভিকের আকর্ষণ ইর্ষা!"
  • দীপ | 42.110.138.23 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:০১523191
  • "অকর্মণ্য দাম্ভিকের অক্ষম ঈর্ষা!"
  • দীপ | 2402:3a80:a1c:7538:0:61:12c6:3b01 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪২523298
  • দীপ | 2402:3a80:a1c:7538:0:61:12c6:3b01 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৫523299
  • রাজ্য সরকার দ্বারা সেরা স্কুলের পুরস্কার প্রদান।
    আপনারা আরো নতুন নতুন গল্প লিখতে থাকুন।
    এইভাবেই তার উপযুক্ত প্রত্যুত্তর আসবে।
  • দীপ | 2402:3a80:a00:b95e:0:6e:20b9:9c01 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৫523307
  • দীপ | 2402:3a80:a00:b95e:0:6e:20b9:9c01 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৭523308
  • রামকৃষ্ণ মিশন ব‌হুমুখী বিদ্যালয় কামারপুকুর, প্রধানশিক্ষক পুরস্কার গ্রহণ করছেন।
  • দীপ | 42.110.139.55 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৩০523315
  • ছাত্রজীবনে আমাদের একজনও শিক্ষক ছিলেন না...মানে যাঁদের "স্যার" ব'লে ডাকা হ'য়, আর কি!
     
    মিশনে পা দিয়েই দেখলাম অজস্র দাদা...মানে স্কুলের উঁচু ক্লাসে পড়া দাদাদের বাদ দিয়েই....
     
    সেই দাদারা ছড়িয়ে রয়েছেন সর্বত্র...ব্ল্যাকবোর্ডের ধার থেকে শুরু করে ডাইনিং হলের দ্বার পর্যন্ত...কেউ আমাদের পুঁথিগত বিদ্যা দেন,কেউ বা আমাদের প্রতিদিনকার, প্রতি বেলার খাবার জোগাড় করেন....
     
    কেউ হয়তো মাঠের আগাছা সাফ করেন,আবার কেউ হয়তো স্কুলের সামনের লনটিকে মরশুমি ফুলের পসরায় সাজিয়ে তোলেন....
     
    প্রতিটি "ভবনে" স্টাডি হল থেকে শুরু করে "অডিটোরিয়াম"-এ কোনো অনুষ্ঠান হওয়া ইস্তক, তাঁদের কড়া নজর আমাদের প্রতি...যাতে সবাই ঠিকঠাক থাকে....
     
    কান মুলে দেওয়া থেকে স্কেলের বাড়ি...কিছুই বাদ যায় নি যেমন, তেমনই একটি মান্থলি টেস্টের রেজাল্ট একটু খারাপ হলে মুষড়ে পড়া পিঠের ওপর সস্নেহ স্পর্শ পেয়েছি তাঁদেরই....
     
    মিশন জুড়ে নানা প্রতিযোগিতা....স্ক্রিপ্ট, রিহার্সাল, স্ক্রিনিং নিয়ে বিরাট কর্মযজ্ঞ....বিনা বিরক্তিতে এঁরাই তো সেসব আমাদের মজ্জায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন....যাঁর সুফল আমরা আজও পাচ্ছি....
     
    ভলিবলের বা ফুটবলের মাঠে তাঁদেরই তো অনেকে প্যান্ট বা ধুতি ভাঁজ করে নেমে পড়েছেন আমাদের সঙ্গে..... 
     
    আবার ডাইনিং হলে যখন "কারি দিবস" হচ্ছে,তখন হাসিমুখে ঝোল-এর সঙ্গে দু'এক টুকরো মাংস-ও তুলে দিয়েছেন পাতে....
     
    আমাদের এত্ত এত্ত "দাদা" ছিলেন....কিন্তু "স্যার" কেউ নন....
     
    তাই বোধহয় আমাদের আর "শিক্ষক দিবস" পালন করা হয়ে ওঠে নি....
     
    দাদাদের জন্য কি কোনও আলাদা দিন পালন করতে হয়?
     
    নিশ্চয়ই না....
     
    এভাবেই বেঁচে থাকুক আমাদের স্কুলবেলা...বুকের ভেতর....
     
    শুভ "শিক্ষক দিবস!"
     
    জনৈক প্রাক্তন ছাত্রের লেখা।
  • Falguni Mazumder | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:২৮523369
  • আপনি আসলে কি? আপনি কি আগে হিন্দু
    মানষিকতার সমর্থক ছিলেন পরে তার থেকে
    সরে এসেছেন? আজ আপনি হিন্দুত্ব বাদের
    নিন্দা করছেন অথচ বিশ বছর এই সঙ্গঠনের
    সাথে জড়িত ছিলেন। উত্তর পাব আশা করি।
  • দীপ | 2402:3a80:a15:ebc5:0:2e:7eb7:5801 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:১১523670
  • দীপ | 2402:3a80:a15:ebc5:0:2e:7eb7:5801 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:১১523671
  • সুন্দর গল্পের আরো একটি সুন্দর প্রত্যুত্তর!
  • দীপ | 42.110.147.61 | ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:১৭527366
  • পার্থবাবু তো অন্যকে ক্ষমা চাইতে বলেন, তার এখন কি চুপ মেরে থাকবেন?
  • দীপ | 42.110.147.61 | ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:২১527367
  • ফেসবুকের তথ্যসূত্রহীন গপ্পিবাজি লিখে বাজার গরম করতে এসেছেন? 
    কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করলে কিছু প্রমাণ দিতে হয়। কোনো প্রমাণ দেননি। স্রেফ ফেসবুকের গল্প না পড়েই টুকে দিয়েছেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন