এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  সমাজ  শনিবারবেলা

  • লেবারের বিদেশ যাত্রা ১৮

    মঞ্জীরা সাহা
    ধারাবাহিক | সমাজ | ০৪ জুন ২০২৩ | ৫২৬ বার পঠিত

  • মঞ্চের লাশ
    পর্ব ২


    এনায়েতপুরের হাইস্কুলের মাঠ তখন বাঁ-পাশে। মাঠের পাশে বেশ কয়েকটা বাড়িঘর, আম-কাঁঠাল গাছ দেখা যাচ্ছে। কামাল শেখ হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে ডান হাতের তর্জনীটা উঁচিয়ে বললেন, ওই দেখেন দিদি—ওইখানে মঞ্চটা হয়েছিল। মাঠটা তখন প্রায় ফাঁকা। পৌষের হাল্কা রোদে মরা ঘাসগুলো জীবিত লাগছে দেখতে। এইটাই পথ। লাশগুলো চলেছিল ট্রাকের এ-পাশ থেকে মঞ্চের দিকে ঝুলতে ঝুলতে এই মরা ঘাসজমির উপর দিয়ে। কামাল শেখ বলে চলেছেন, কী ভিড় হয়েছিল সেদিন মাঠে! দূর দূর থেকে সব লাশ দেখতে এসেছিল। কলকাতা থেকে হেভিওয়েট নেতারাও এসেছিল। বিশাল ভিড়।

    মানিকচক ব্লকের মাইগ্র্যান্ট লেবারদের সমস্ত খোঁজখবর কামালবাবুর মুখস্থ। সকাল থেকে উনিই আমার সঙ্গী। উনি নিয়ে চলেছেন মানিকচক ব্লকের নানা এলাকায়।

    এরকম চৌকো মাঠ পশ্চিমবঙ্গের মফস্বলে আমরা দেখতে অভ্যস্ত। এই মাঠের রাস্তায় ঢোকার আগেই ডানদিকের রাস্তা দিয়ে এদিক-ওদিক করে কামাল শেখ দু-তিনটি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। গলির ডাইনে-বাঁয়ে এলোমেলোভাবে অনেকগুলো বাড়ি। এক্ষুনি যে বাড়িটার কথা মনে পড়ছে, সেটাতে দরজা দিয়ে ঢুকে আরও অনেকগুলি পরপর সোজাসুজি দরজা। টালির ছাত। ঘুপচি ঘুপচি ঘর। কোনো এক দরজা পার করে রান্নাঘর। কোনোটা শোওয়ার ঘর। তারপর যে ঘরের ছবিটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে—সেখানে ছড়িয়ে ছিল লাল-নীল-সবুজ সবুজ সুতোর বান্ডিল। ছোট একটা তাঁত। তাঁতটা ঠিক শাড়ি বোনার মতো বড় নয়। সম্ভবত গামছা বোনা চলছিল। তখনি কেউ তাঁত বোনা ছেড়ে উঠে গেছে। এ এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে তাঁত চলার আওয়াজ পেয়েছি অনেকবার। এখানে গামছা বোনা চলে বেশিরভাগ। মালদা জেলার অন্য ব্লকে এর আগে বেশ কয়েকবার এসেছি। মনে পড়ছে কালিয়াচক ১ ব্লকের কথা। মানুষগুলো বাংলার বদলে অন্য ভাষায় কথা বলছিল। ওরাই বলল এটা ‘খোট্টা’ ভাষা। বেশ কয়েক পুরুষ আগে এরা এসেছিল বিহার থেকে। তারপর থেকে এ জেলাতেই বাস। বাসা আবার বদলাচ্ছে। স্থায়ীভাবে নয়। বছরের বেশিরভাগ মাসের জন্য। বা বছরের পর বছরের জন্য। এই প্রজন্মের ছেলেরা বা এর আগের প্রজন্ম থেকে শুরু অন্য রাজ্যে লেবার হয়ে কাজে যাওয়া। কাজটা কার্পেট বোনার। সুঁচ-সুতোর কাজ। যায় এখন মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ বেশিরভাগ। এই মানিকচক ব্লকেও এসে সেরকম দেখছি। মালদার এই সব ব্লকে অনেক আগে থাকতেই বাড়িতে-বাড়িতেই চলত এই তাঁত বোনার কাজ। পারিবারিক পেশা। এখন বাড়ির লোক চলে যায় বাড়ি ছেড়ে, পাড়া ছেড়ে, রাজ্য ছেড়ে। বৌ, ছেলে, মেয়ে থেকে যায়। অন্য রাজ্যের অন্য মালিক, মালিকের এজেন্ট—খাটায় ওদের। কাজের রুটিন তাদের হাতে গড়া। তাদের ইচ্ছেমতো বাড়ি ফেরার টাইম নির্দিষ্ট হয়। চোদ্দ পনেরো থেকে বৃদ্ধ। একই পরিবার থেকে একাধিক মানুষ।

    কালিয়াচক ১ ব্লকের পাড়ায় পাড়ায় ছেলেরা এসেছিল সেবার ছুটিতে। ঈদ চলছে তখন। রোগা চেহারার সতের আঠারোর এক ছেলে বলছিল আমাকে। গায়ে চিকনের কাজ করা আঁট পাঞ্জাবি। মাথায় লেসের সাদা ফেজ টুপি। সাদা চোস্ত পাজামা।
    ‘কোনও প্রবলেম নেই ওখানে। নিজেরাই গেছি। এখান থেকে আমরা অনেকেই একসাথে যাই। ওখানে কার্পেট বোনার কাজ করি। ভাড়া করা ঘরে থাকি। অনেক ছেলে মিলে একটা ঘরে থাকি। যে ঘরে থাকি, ওখানেই কাজ করি।’

    যে চোখদুটো দিয়ে ওর আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলার কথা, সেই দু-চোখের দুটো মনি দুই দিকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। কোনোটা গাছের ডালে, কোনোটা রাস্তার দিকে, আকাশের দিকে বা মাটির দিকে। কীরকম একটা অদ্ভুত দৃষ্টি। যিনি আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন বাকি কথাটা। সারারাত চলে ওদের কাজ। সুঁচসুতো দিয়ে সেলাই বা কার্পেট বোনার কাজ করে। ভোরের দিকে রান্না চাপায় নিজেরাই। বাসন মাজে। খাওয়াদাওয়া স্নান সেরে তারপর আবার ডিউটি শুরু। দুপুর থেকে সারারাত। কোনও ছুটিছাটা নেই। ষোলো ঘণ্টা-আঠারো ঘণ্টা ডিউটি। চোখ থাকে টানা সুঁচসুতোর দিকে। চোখের দৃষ্টি ওর শেষ হয়ে আসছে। ছুটিতে আসেনি ও। কাজ ছাড়া হয়ে ফিরে এসেছে।

    ছেলেটি তখন প্রায় অন্ধ। ওই কার্পেট বোনার কাজে গিয়ে কালিয়াচক এক ব্লকের ওই পাড়াগুলোয় অনেকেই ফিরেছে অন্ধ হয়ে। বা আধা অন্ধ হয়ে। প্রায় সারাদিন সারারাত অল্প আলোয় টানা কাজ করতে গিয়ে চোখের এ রোগ স্বাভাবিক। সেকথা জেনেও পনেরো-ষোল-র ছেলেরা রওনা দেয়। কেউ ক্লাস এইট, কেউ নাইন, কেউ ক্লাস টেন, বা কেউ আগেই ছাড়ে স্কুল। একটা কাজের আশায়। থাকে ঘর ভাড়া দিয়ে। এক ঘরে অনেক ছেলের গাদাগাদি করে বাস। একটাই বাথরুম। ভোরবেলা বাথরুমে লাইন। বদ্ধ চিলতে ঘরে দুপুর থেকে সারারাত একভাবে বসা। ঘাড় মাথা গুঁজে। রান্না করে। বাসন ধোয়। কাপড় কাচে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা হয়। রাত হয়ে মাঝরাত ভোররাত। সবাই ঘুমায়। ওদের চোখ খোলা থাকে। রঙিন রঙিন সুতো দিয়ে কার্পেট বুনে চলে। ফুটবল খেলে না। রকে বসে আড্ডা দেয় না। ঘুড়ি ওড়ায় না। প্রেমিকাকে সাইকেলের কেরিয়ারে বসিয়ে ঘুরে বেড়ায় না। শুধুই ঘাড় গুঁজে থেকে কৈশোর যৌবনের দিনগুলি কেটে যায় প্রায় অন্ধ হওয়ার অপেক্ষায়।

    ছোট উঠোনে আমার চেয়ারের চারিদিকে লোক জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তখন। আমার হাতে নোটের খাতাটা খোলা। চারপাশ থেকে কতগুলো নাম বলা চলছে। অযথা কথাবার্তা। চ্যাঁচামেচি। শোনা যাচ্ছে না ঠিকমতো। এক-দুই-তিন করে আমার দাগ টানা নোটের খাতায় পরপর মৃত ব্যক্তির নামগুলো নামছে নীচের দিকে।। মোমিন, মনসুর, গাফফার, শেখ ইসলাম। নাম। নামের পরের পদবী। বারবার ভুল হয়ে যাচ্ছে। কি যেন বললেন! ওই যে, ওই যে, ঠিক এর আগের নামটা! কী যেন পদবীটা!

    এ নামের লিস্টের তিনখানা নাম এ বাড়ির সদস্যের। একই বাড়ির তিন ছেলের লাশ এসেছিল একই সাথে উত্তরপ্রদেশ থেকে। সেই নামগুলো বলেছে প্রথমে। বাদবাকি এই এনায়েতপুরেরই আশপাশের পাড়ার। আর একখানা নাম কামালপুরের বাসিন্দার। নামগুলো মনে করে করে বলছে বাড়ির লোক পাড়ার লোক। না না! কী যেন নামটা। জিভ কেটে আবার ঠিক করে নিচ্ছে। এ ওকে সে তাকে শুধরে দিচ্ছে। বারবার ভুল হয়ে যাচ্ছে নামগুলো লিখতে গিয়ে। কাটাকুটি হচ্ছে। কেন! কেন ভুল হয়ে যাচ্ছিল লিখতে গিয়ে! শুধুই কি আশপাশের চ্যাঁচামেচি! নাকি অন্য অস্বস্তি! ন-জন মৃত যুবকের নাম। বয়স পঁচিশ থেকে চল্লিশের। এই ভুল হওয়া নামের মানুষগুলোকে কোনোদিন চোখে দেখিনি। ন-জন মানুষ কোনোদিন আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলেনি সেই উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির দোতলা বাড়িটির কার্পেট বোনার কথা। ভোরে কখন আমরা রান্না চাপাই! কখন আমরা ঘুমোতে যাই! বলেনি। বলেনি সারারাত নাকি সারাদিন তাদের কার্পেট বোনার কাজ চলে। কাজের টাইম। ছুটির টাইম। টিফিন খাওয়া। দিনের মজুরি। মজুরির হিসেব! বাড়ি ছেড়ে গ্রাম ছেড়ে নিজের রাজ্য ছেড়ে দূর রাজ্যে লেবার হয়ে যাওয়ার কথা। পাওয়ার কথা। ঠকে যাওয়ার কথা। চোখ-নাক-কান জীবিত শরীরগুলোর কোনও অবয়ব তৈরি হয়নি চোখের সামনে। শুধুই কতগুলো পোড়া, বিকৃত, ছাই-ধুলো মাখা শরীরের দূর রাজ্য থেকে এ রাজ্যে যাত্রার কথা শুনে চলেছিলাম ঘণ্টা-দুই ধরে। রুলিং পার্টির কারা যেন আনতে চেয়েছিল সেই ঝলসানো শরীরগুলো। বিরোধীপক্ষ কীভাবে যেন এসে বুঝিয়েছিল পরিবারের মানুষদের পাওনা-গন্ডার কথা! যে লাশগুলোর ছিন্নভিন্ন হাত-মাথা-পা-বুক কীভাবে জোড়া লাগিয়ে আনা হচ্ছিল ভোটভিক্ষার মঞ্চের দিকে! কোনও শরীরের হাত, কোনও শরীরের পা, কোনও শরীরে মাথা—কেমন একটা ওলোট-পালোট হয়ে গিয়েছিল প্লাস্টিকের ভেতর! পচা দুর্গন্ধ। বরফ ছাড়া খোলা ট্রাকে মাইলের পর মাইল, শতশত মাইল। পোড়া লাশের সঙ্গে শতশত মাইলের ধুলো। কারা টাকার অ্যানাউন্স করেছিল ওই ছিন্নভিন্ন শরীরগুলোর পিছু। কাদের ভোট পাওয়ার আশা ছিল ওই লাশগুলো দেখিয়ে। এই আশপাশের ভিড়ের ভেতর কোন মুখগুলোর যেন চাকরি পাওয়ার আশা জেগেছিল ওই লাশ সাজানোর মঞ্চের মাইকের ঘোষণা থেকে। চাকরি হবে কি হবে না! আর হল না বোধহয়। ভেবেছে তারা অনেকদিন। যাদের লাশের কথা বলা হয়েছে তারা অনেকেই ছিল পরিবারের রোজগেরে। রোজগেরে মানুষের না থাকায় বে-রোজগেরে বাচ্চারাও কীভাবে রোজগার করে বেঁচে গেছে। লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ভোট পার হয়ে গেছে। আসল ভোট, ছাপ্পা ভোট মিলে ভোট কাউন্টিং হয়ে জিতে গেছে। তারিখ-সন পার হয়ে গেছে। চাকরি হয়নি। সেই ভাদোহির পুলিশ বলেছিল, মরেছিল ওরা পাশের পটকা ফ্যাক্টরির বিস্ফোরণে। অনেকে বলেছে, না না বিস্ফোরণটা খেলনা বোমের নয়। আসল বোমের। পুলিশ বলেছে, ওই কারখানা ছিল অবৈধ। বৈধ ডেথ সার্টিফিকেট দিতে চায়নি ওই রাজ্যের প্রশাসন। সেই অন্য রাজ্যে কাজ করতে করতে পুড়ে মরা এই শ্রমিকদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার দায় তাদের না জানিয়ে দিয়েছে। সেই অন্য রাজ্যে গিয়ে পৌঁছেছে বিরোধী পক্ষের লোকাল শ্রমিক ইউনিয়ন। ডেথ সার্টিফিকেটের দাবি করেছে। ঝামেলা হয়েছে। তারপর লাশ এসেছে ডেথ সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে। নিজের ঘরের মানুষের পোড়া বিকৃত শরীরগুলো দেখেছে নিজের মানুষেরা মঞ্চের থেকে দূরে শয়ে শয়ে বাইরের লোকের মাঝে দাঁড়িয়ে।

    যাদের নামগুলো ভোটের লিস্ট থেকে কেটে গেছে। পাড়ার রেশন দোকানের খাতা থেকে বাদ পড়ে গেছে। যাদের মরার জন্য চাকরির আশা করতে করতে আশা ছেড়ে দিয়েছে। ভোটের মঞ্চে শো-পিস হিসেবে ব্যবহার হওয়া সেই বিকৃত, আধা-পোড়া, বেশি-পোড়া পচা লাশগুলোর নামগুলো থেকে গেল অনেক কাটাকুটির মধ্যিখানে…

    আতাউর মোমিন
    আলমগির মোমিন
    ইসরাফিল মোমিন
    আজাদ মোমিন
    আবদুল গফফর
    মোহম্মদ সোহান আনসারি
    আবদুল কবীর
    আবদুল কালাম মোমিন
    মনসুর শেখ




    কৃতজ্ঞতা স্বীকার
    কামাল শেখ


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৪ জুন ২০২৩ | ৫২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন