এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  সমাজ  শনিবারবেলা

  • লেবারের বিদেশ যাত্রা ১০

    মঞ্জীরা সাহা
    ধারাবাহিক | সমাজ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১২০৬ বার পঠিত

  • লেবারের পাহাড়ে চড়া - ১

    গদখালি ঘাটে ফেরিতে যতক্ষণ বসে রইলাম, সাইকেল-বাইকের আড়ালে চলে যাচ্ছিল সামনের বিদ্যার জল। পিচবোর্ডের বাক্স, সাইকেল, বাইক, ঝুড়ি, মানুষ। ভিড় বাড়তে বাড়তে ঠাসাঠাসি। কাটা তেলের গন্ধ আর অনেকখানি কালো ধোঁয়ার সাথে আমার যাত্রা শুরু হল। ফেরি আরও একটা ঘাটে হল্ট দিয়ে পৌঁছল গোসাবা। রোদের তাপে নতুন পিচ ঢালাই রাস্তার দিয়ে চলেছে মোটর-ভ্যান। গন্তব্য – জটিরামপুর ঘাটের পাশ ধরে সর্দারপাড়া। এ রাস্তায় এখন নতুন পিচ ঢেলে সাদা দাগে লাইন টানা হয়েছে নানারকম। পাঁচ-ছয় বছর আগে এ রাস্তা থাকত বছরভর খানাখন্দে ভর্তি। এখন নতুন পিচের প্রলেপ পড়েছে। আলো জ্বলছে। রাস্তাটা যেমনই থাকুক, এ রাস্তার উপর দিয়ে রাঙাবেলিয়া, সর্দার পাড়া, সাতজেলিয়া, আরও এ-দ্বীপ, ও-দ্বীপ, সে-দ্বীপ থেকে ছেলে-বুড়ো নিজের পাড়া, নিজের গ্রাম ছেড়ে রওনা হয়ে যায় – নদী পেরিয়ে পেরিয়ে অন্য রাজ্যে লেবারের কাজে। রাস্তার চেহারা বদলেছে। ওদের চলে যাওয়ার সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েছে।

    বিকেল হয়ে এসেছে। গোমরের নোনা জল ফুলতে ফুলতে ম্যনগ্রোভের শিকড় ছাড়িয়ে উঠে কাণ্ডগুলিকে আধাআধি ডুবিয়ে দিয়েছে। নদীতে জোয়ার চলছে। পুর্ণিমা, অমাবস্যা, একাদশী, দ্বাদশী – বাংলা ক্যালেন্ডারের ওইসব তিথির চিহ্ন দেওয়া হিসেব-নিকেশের দিকে শহরে বসে আর তাকানোর দরকার পড়ে না। ওইসব দ্বীপের মানুষগুলোর প্রতিদিন মনে রাখতে হয়। তিথিগুলির জোয়ার ভাঁটায় নদীর স্রোত ওদের মনে করিয়ে দেয়।

    নানা রকম ঝড় জল। নদীর কাঁকড়া, মধু, কাঠ, বাঘের থাবা, কুমিরের কামড় – এ গল্পগুলো এখানকার চেনা। বিধবা বৌ, বাবা-হারা ছেলে, খাবলে খাওয়া শরীরখানা নিয়ে চলে খাঁড়ির ভিতর। এই নোনা কাদা-মাটি, ঝড়, জল, জঙ্গলের জীবনকে এই সর্দার পাড়ার মানুষদের পূর্বপুরুষকে মানিয়ে নিতে হয়েছিল, বহু বছর আগে থেকেই। কারণ, তাদের বেশির ভাগের অভ্যাসের যোগ ছিল পাথুরে মাটির সাথে। এই সর্দার পাড়ার মতো সুন্দরবনের আরও এরকম আদিবাসী পাড়ার মানুষদের বাস ছিল আজকের ঝড়খন্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর এলাকায়। যারা ছিল মাটি কাটতে দক্ষ। ট্রাকে ট্রাকে নিয়ে আসা হয়েছিল সেই ইংরাজ আমলে। যারা মাটি কেটে, বাঁধ বানিয়ে, এই সুন্দরবনের নদীর স্রোত থেকে ভূমিকে বাঁচিয়ে, বাসযোগ্য করে তুলবে। বাঁধ তৈরি হয়েছিল। বাঁধ এখনও তৈরি হয়। সে বাঁধ ভাঙে ঝড়-জলে। আবার মাটি কাটে। আবার বাঁধ বানায়। ওরা এই ঝড়-জলের নিয়মের সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে প্রতিদিন। অভ্যাস হয়ে গেলেও, সে অভ্যাস ভেঙে আবার নতুন নতুন অভ্যাস তৈরি করতে হচ্ছে বহু বছর ধরে। এই নোনা জলহাওয়া ছেড়ে কাউকে যেতে হচ্ছে শুষ্ক আবহাওয়ায়, কাউকে মরুভূমিতে, কাউকে বা সমুদ্রের নোনা হাওয়ায়।

    নোনা মাটিতে ফসল দেয়নি ভালো বছরের পর বছর।
    আশির দশকের আগে থেকেই আবার এই নোনামাটি ছেড়ে যাওয়া শুরু। এবার যাওয়া ঠিকাদারের সাথে। পাড়া-বেপাড়ার ঠিকাদারের এজেন্ট, ছোট ঠিকাদার, ঠিকাদারের ভাই, জামাই, দূর-সম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে। কমিশন নিয়ে লেবার পাঠায় দূর রাজ্যে। চাষের মাঠের লেবার, দেওয়াল রঙের, সেন্টারিং-এর, তেল তোলার কাজ।

    রতন সর্দার, সুকরাম সর্দার, তুষার গায়েন, সন্টু গায়েনরা বসে আছে গোমর নদী-বাঁধের গা ঘেঁষা সর্দার পাড়ার বাড়িটাতে। তার জালের জানলা দিয়ে কচি সবুজ ধানের উপর শরতের শেষ বেলার রোদ-ছায়ার আসা-যাওয়া চলছে। বাঁধের ঠিক ওপারে, গোমরে জোয়ারের জলের সাথে নোনা কাদামাটি আর ম্যানগ্রোভের ডুবে যাওয়া, জেগে ওঠার খেলা চলছে। জোয়ার এসেছে নদীতে। স্রোতের টান খুব বেশি। ফেরি থেকে নামার সময়ে ফেরি চালক বলেছিল, দুর্গাপূজা আসছে তো, এসময়ে স্রোত খুব বেশি থাকে।
    পূজা-পার্বণের সাথে জলের স্রোতের সম্পর্ক বুঝতে না পারলেও, এটুকু বুঝেছিলাম – ঋতুচক্রের সাথে নদীর ঢেউ-এর উথালপাথাল বদলাতে থাকে।
    জুতো ছাড়া পায়ের নীচে বারবার ঠান্ডা মাটির ছোঁয়া লাগছিল। বুঝিয়ে দিচ্ছিল মাটিটা ভেজা। ওরা বলেছিল, সেই আয়লা ঝড়ের পর থেকেই, বাঁধের ধার-ঘেঁষা এই ঘরগুলির মেঝের মাটি বাইরে দু’ফোঁটা বৃষ্টি পড়লেই ভিজে যায়। সারা মাস এ মাটি আর শুকোনোর নাম করে না।
    টালি-টিন-অ্যাসবেসটসের ছাতের তলার এইসব ভেজা মাটির ঘর, ওই নদী, ঋতুচক্রের এইসব নিয়ম কানুন ছেড়ে, ওই দলটার অন্য রাজ্যে কাজে যাওয়া শুরু – এই এখন থেকে আট-নয় মাস আগে। সাত মাসের কন্ট্রাক্ট-এর কথা বলেছিল পাশের পাড়ার ঠিকাদার। সঙ্গে নিয়ে যায়নি সে। আগের দিন রওনা দিয়েছিল ওরা। শিয়ালদা প্ল্যাটফর্মে রাত থেকে লাইন। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কামরার সিট-মেঝে-বাঙ্ক-গেট-টয়লেটে ঠাসাঠাসি করে ওরা প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের সীমা ছাড়ল। আগরতলা থেকে বাসে করে সাইটে।

    ক্লাসের ভূগোল বইতে সাদা-কালো ছাপায় সেই যে পাহাড়ের ছবি দেখেছিল, তারপর সে বই কেজি দরে বিক্রি হয়ে গেছে। পাশ-ফেল উঠে গিয়ে কোনোদিনও পাহাড় নিজের চোখে না দেখে, উঠে গেছে পরের ক্লাসে। তারপর পাহাড় কেমন শুনেছিল পাশের পাড়ার ঠিকাদারের কাছে। যেখানে কাজে যেতে হবে, সেই পাহাড়ের কথা। বলেছিল, আরে, বেশি উঁচু না রে। এই – মাথা-ভাঙা টিলা।

    পাহাড় ব্যাপারটা যে আসলে কিরকম জানলো এই বছর শুরুর দিকে।
    সন্টু গায়েন মাটির থেকে এই একটু উপরে হাতের চেটো মাটির সাথে সমান্তরাল রেখে বোঝাচ্ছিল, আমাদের বলে এই কত উঁচু হবে! এ-এ-ই এক মানুষ-সমান টিলা।
    ওরা গিয়ে পৌঁছে দেখল, পাহাড় আসলে কেমন। বোরিং করতে হবে। ওএনজিসির কাজ। রতন সর্দার বলছিল, গিয়ে দেখি - কি বড় বড় পাহাড় আর জঙ্গল! পুরো পাহাড়ি এলাকা। দেখি ওই পাহাড়ি এলাকাতেই আমাদের কাজ করতে হবে।

    ওদের কাজ এক জায়গায় না। এক জায়গায় দুই-চার-পাঁচ, কি তার একটু বেশি দিন থেকে বোরিং করা শেষ হলেই, মুন্সি বলত – কাজ শেষ। এবার পরের স্পটে। সকাল-দুপুর-রাত-ভোর। জেগে থাকুক আর ঘুমিয়ে থাকুক, যখনই বলবে – তখনই যেতে হবে।

    সন্টু সর্দার বলছিল, এই ধরেন গিয়ে, এই সর্দার পাড়ায় কাজ হয়ে গেল। ঠিকাদার এসে বলল এবার পরের স্পটে যেতে হবে। মানে ধরুন, এখান থেকে রাঙাবেলিয়া। এই তারপর আবার গিয়ে গোসাবা।
    এই বাইশ-তেইশের ছেলেটি যে জায়গাগুলোর নাম পরপর বলে চলেছিল, এদের মাঝে দেড়-দু’ কিলোমিটারের দূরত্ব। সমভূমি। আর যেখানে ওরা কাজে গেছিল, সেখানে এক স্পট থেকে আরেক স্পটের দূরত্বের হিসেব এই সমভূমির মানুষ গুলোর কাছে মেশিনপত্র কাঁধে নিয়ে চলতে আলাদা হয়ে যেত।

    সন্টু বলে চলল, কখনো পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে যেতে হবে, কখনো উঁচুর দিকে উঠতে হবে। দুই-তিন জনে মেশিন ঘাড়ে তুলে, পঁচিশ-ত্রিশ ফুট কখনো উঠতে হবে। ঘন জঙ্গল কেটে যেতে হবে। অনেক উঁচু – অনেক উঁচু ... পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতর দিয়ে অনেক সরু সরু রাস্তা। কোথাও ছোট ছোট হাতি গাড়িগুলো শুধু যায়। কোথাও গাড়ি ঢোকে না। তখন ওই মালপত্তর, মেশিন, পাইপ নিজেরাই সব নিয়ে যেতে হত।

    এই নদীগুলির নোনা মাটির পাড় থেকে ভাঁটায় জল সরে যায়। সার ভাঁটায় আরও দূরে। বছরে নানা রকম ঝড়ে ওই মাটির বাঁধ ভেঙে, জলে ভাসিয়ে দেয় ওদের পাড়া ধান-মাঠ-গোয়াল ঘর। জল সরে গেলে, নোনা মাটির আঠালো কাদা থেকে যায়। ফেরিতে চড়তে-নামতে গিয়ে হাঁটু অবধি পা ডুবে যায়। ওই নদী পুকুরে সাঁতার দিতে পারে ওরা ভালোমতো। বাড়ির চাল উড়ে গেলে, প্লাস্টিক টাঙিয়ে, বাড়ির পাশের রাস্তার উপর গিয়ে রাতের পর রাত কাটাতে পারে ওরা। কিন্তু রাতের ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে ওই উঁচু-নিচু পাথরের উপর দিয়ে ভারী ভারী মেশিন নিয়ে যেতে? সেটা একেবারে নতুন ওই প্রথম পাহাড়ে যাওয়া মানুষগুলোর কাছে।

    আমার সামনে বসে থাকা ওই দলের ভেতর একদম ডানে, কাঁচা-পাকা দাড়ি নিয়ে বসা এক বৃদ্ধ। শ্যামল সর্দার। বয়স ষাট পেরিয়েছে। উনিও ছিলেন ওই দলের সঙ্গী। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনিও গেছিলেন ওই কাজে? হ্যাঁ গেছিলাম তো! এরা সব বলবে আপনেরে। আমি অতো গুছিয়ে বলতে পারবো না।

    ওই বয়সী একলা শ্যামল সর্দার না। এই সুন্দরবনের আরও অনেক ষাট-পঁয়ষট্টির বেশি-বয়সী মানুষ ওদের সাথেই গেছিল। সন্টু গায়েন বলছিল, সত্তর-আশির লোকেরাও যায় ওই ওএনজিসির কাজে।
    -সত্তর আশির?
    চমকে উঠে জিজ্ঞাসা করে ফেললাম।
    -হ্যাঁ। যায় তো। কি করবে না গিয়ে। কাজ কই? পেটে টান পড়লে, যেতেই হবে।
    শেষ কথাটায় গলা মিলে গেল আরও অনেগুলো। বেশি-বয়সী কমবয়সী মহিলা-পুরুষ কণ্ঠ।
    -পেটের টান… যেতেই হবে…
    বলতে বলতে হাসতে শুরু করল অনেকে। গলার স্বরগুলো উঁচুতে উঠে গেল অনেকের।
    -অনেকে পালিয়ে আসতে চেয়েছিল। ওইখানে গিয়ে ওই উঁচু, খাড়া রাস্তায় মাল নিতে এমন কষ্ট হচ্ছিল, কেন্দে পালাতে চেয়েছিল। চারজন পালিয়েছিল।
    -এখানকারই তারা?
    -না! এই সর্দার পাড়ার না। এই সুন্দরবনের কোথায় কোথায় তাদের সব বাড়ি। সেই পালাবে কি ভাবে? কোম্পানি থেকে লোকে ডিউটি দিত। পাহাড় থেকে লাফ-ঝাঁপ মেরে যেই পালাতে গিয়েছে, ঠিক খপ করে ধরে নিয়েছে। ওই যে, রাত্তিরবেলা কোম্পানির লোকগুলো পাহারা দেয় না, ওরাই ধরেছিল। বুড়ো ছিল একটা। সেই ওনার হাঁটু ভেঙে গেল লাফ মেরে। ল্যাংড়াতে ল্যাংড়াতে, টানতে টানতে এনে ঢুকিয়ে দিয়েছিল আবার। আর দুইজনের কেটে ছড়ে কি অবস্থা! একজন কেবল পালাতে পেরেছিল। খু-উ-ব বুদ্ধি ওর। ঠিক গাড়িতে উঠে পালিয়েছে।
    ফিক করে হেসে ফেলল সন্টু।
    ত্রিপুরার ওই পাহাড় ওই জঙ্গল ছাড়াও আরও কিছু নতুন কথা সন্টু বলে ফেলেছিল।
    -উগ্রিপন্থি এলাকা… উগ্রিপন্থি এলাকায় ঢুকে কাজ করেছিলাম।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১২০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন