এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শাড়ি চেনার রাফখাতা পর্ব ২ - হ্যান্ডলুমের শাড়ি চিনবো কিভাবে? 

    Pubali Datta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৫ এপ্রিল ২০২১ | ৩২১৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
    হ্যান্ডলুমের শাড়ি চিনবো কী ভাবে?
    --------------------------------------

    আগের পর্বে লিখেছিলাম - যে কোন শাড়ি বোনা হয় লুম বা তাঁতে। তাঁত দুরকম - হাতে চালানো তাঁত বা হ্যান্ডলুম, আর বৈদ্যুতিন অটোমেটিক তাঁত বা পাওয়ারলুম। এবার হ্যান্ডলুমের শাড়ি বাঁচিয়ে রাখার জন্য এত চেষ্টাচরিত্র কেন, কেনই বা হ্যান্ডলুমের শাড়ি আমরা কিনবো, চিনবোই বা কিভাবে কোনটা আসল হ্যান্ডলুম আর কোনটা নকল জিনিস (আসলে মেশিনের শাড়ি)- হ্যান্ডলুম নিয়ে হাল্কা আগ্রহ চাগিয়ে ওঠার সাথে সাথেই এই প্রশ্নগুলো আমার মনে এসেছিল। আমি নিজের মত করে যে উত্তরগুলো তৈরী করেছি সেগুলো লিখছি, তবে সেটা লেখার আগে তাঁতের খানিক গোড়ার কথা জেনে নেয়া যাক।

    টানাপোড়েন কথাটা সবার ভীষণ পরিচিত। শুয়েবসে ল্যাদ খাবো নাকি একমাস যাবত ফেলে রাখা কাজটা নিয়ে একটু বসবো- এই টানাপোড়েনেই আমার আজ অবধি জীবনের অর্ধেক সময় চলে গেছে। সে যাই হোক- কথাটা এসেছে কোথা থেকে? তাঁতের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর জন্মরহস্য। ধরা যাক একটা শাড়ি - বারো হাত শাড়ি - এই বারো-হাতি দিকটা মানে লম্বার দিকে যে সুতোটা থাকে সেটা হল টানার (ইংরেজিতে ওয়ার্প বা warp) সুতো, আর চওড়ার দিকে সুতোটাকে বলে পোড়েন কিম্বা বানার সুতো (ইংরেজিতে ওয়েফট বা weft)। মানে নতুন কেনা শাড়ির আঁচলের শেষে যে সুতোগুলো ফেঁসো হয়ে বেরিয়ে থাকে, যেগুলোকে পিকো করে মুড়ে দেয়া হয়, সেগুলো টানা আর তার সাথে ৯০ ডিগ্রী কোণে থাকা সুতোগুলো পোড়েন। এবার শাড়ি বোনার সময় টানার সুতোর মধ্যে দিয়ে পোড়েনের সুতো একবার এদিক একবার ওদিক করতে থাকে, স্থির হয়ে বসবার জো নেই! "টানাপোড়েন" এর সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কি?

    বোনার আগে প্রথম কাজ লুম তৈরী বা লুমে সুতো পরানো। তাঁতে বা লুমে সুতো পরানোর মানে হল টানার দিকের সুতোগুলো শ্যাফট বলে একটা চিরুনির মত জিনিসের সাহায্যে পাশাপাশি সাজিয়ে ফেলা রঙের ডিজাইন অনুযায়ী। এই চিরুনির মত জিনিসটা শাড়িটার চওড়া বরাবর পুরোটা জুড়ে থাকে। আর চিরুনির দাঁতগুলো ধরে নাও ফুটো ওয়ালা ছুঁচের মত- এই এক একটা ছুঁচকে বলে হেডল্‌। তো এই ছুঁচের ফুটো দিয়ে টানার সুতোগুলো পরিয়ে দেয়া হল গিয়ে প্রথম কাজ। এবার একের বেশী চিরুনি পরপর লাগানো থাকে তাঁতযন্ত্রে। একটা একদম সাদামাটা একরঙা শাড়ি ধরো বুনছি। এমনিই মিছিমিছি ধরা যাক যে খুব ছোট্ট একটা পুতুলের কাপড় বোনা হচ্ছে, টানার দিকে ধরো পাশাপাশি মোটে ১০ টা সুতো (ছবি ১)। এবার একটা চিরুনিতে ১,৩,৫,৭,৯… নম্বর সুতো লাগানো হবে, আর অন্য চিরুনিতে ২,৪,৬,৮,১০... নম্বর সুতো লাগানো হবে। ছবি ১-এ চিরুনি A আর চিরুনি B কে লাল আর সবুজ আলাদা আলাদা রং দিলাম বোঝার সুবিধের জন্য। এবার শাড়ির লম্বার দিকের সুতোর ব্যবস্থা তো হল, চওড়ার দিকে কি হবে? চওড়ার দিকের বা পোড়েনের সুতো শাড়িতে ঢোকানোর নামই হল "বোনা"।



    এবার ছবি ২ -তে দেখলে বোঝা যাবে যে পোড়েনের (weft) সুতো টানার (warp) একটা সুতোর ওপর দিয়ে গেল, এবার সে পরের টানার সুতোর নিচ দিয়ে যাবে- এইভাবে টানার সুতোর ওপর নিচ ওপর নিচ করে পোড়েনের সুতো গিয়ে বোনা হবে শাড়ি। এই বোনাতেই লুকিয়ে আছে সব কারিকুরি, সব নকশা আর তাঁতিদের হাতযশ। এইখানেই ঐ আগের যে চিরুনির মত দেখতে শ্যাফটের কথা বলেছিলাম তার ম্যাজিক। তাঁতির পায়ে থাকে প্যাডেল যেটা দিয়ে তিনি ইচ্ছেমত চিরুনিগুলো ওপর নিচে করতে পারেন। আর একটা মাকুর (ছবি ৩) মধ্যে ভরা থাকে পোড়েনের সুতো। এবার ধরা যাক প্যাডেলে করে লাল চিরুনি ওপরে আর সবুজ নিচে করা হল, এর ফলে টানার সুতো দুভাগে ভাগ হয়ে মাঝে যে ফাঁক তৈরী হল, সেখান দিয়ে মাকুকে তাঁতি একহাতে একটা লিভারের মাধ্যমে শাড়ির এপার থেকে ওপারে পাঠিয়ে দিলেন ( X থেকে Y এর দিকে )। এবার পোড়েনের এই সুতোটা তো হয়ে রয়েছে আলগা, এবার তাঁতি অন্য হাতে একটা আড়াআড়ি লাঠির মত জিনিস (যাকে বলে বিটার/রীড) দিয়ে শক্ত করে টেনে ওই সুতোটা টাইট করে দিলেন। এই বোনা হয়ে গেলো এক দাগ। এবার পরের ধাপে লাল চিরুনি নিচে আর সবুজ চিরুনি উপরে, পোড়েনের সুতো যাবে Y theke X এর দিকে। এভাবে বোনা হতে থাকবে শাড়ি, তাঁতশিল্পীর পেশীর ছন্দবদ্ধ নাচে আর তাঁত চলার খটখটাখট গানে।





    অতএব দেখা যাচ্ছে যে তাঁতির দুই হাত আর দুই পা লেগে গেল বোনার কাজে। এবার উনি মানুষ বই রোবট তো নন, কাজেই প্রতিটি ধাপ হুবহু একরকম হওয়া তো কখনোই সম্ভব নয়। ঠিক এই এখানেই হ্যান্ডলুমের শাড়িতে ছোটখাটো বৈচিত্র্য আর মানুষের স্বকীয়তার মিশেলে তৈরী হয় এক একটি অনন্য শাড়ি; বিটার দিয়ে পোড়েনের সুতো শক্ত করে টাইট করে নেবার সময় তারতম্যের ফলে শাড়িতে আসে টেক্সচার - গোটা শাড়িতে কোথাও হয়তো একটু ঘন বুনোট, কোথাও একটু হালকা। উল্টোদিকে, মেশিনের শাড়ি দৈর্ঘ্য বরাবর সব জায়গায় হবে এক্কেবারে সমান, নিখুঁত, কোথাও ভুল থাকলে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তিও তেমনি হতে থাকবে পুরো শাড়ির দৈর্ঘ্য জুড়ে। তাছাড়াও মেশিনের শাড়িতে অপেক্ষাকৃত খারাপ মানের মোটা সুতো ব্যবহার হয়, কারণ দ্রুতগতিতে চলতে থাকা লোহার মেশিনে খাঁটি সূক্ষ্ম ভালো জাতের সুতো দিয়ে কাজ করা প্রায় অসম্ভব, এছাড়া কমদামে কাজ হাসিলের চেষ্টা তো আছেই। মেশিনের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই হ্যান্ডলুমের শাড়ি বুনতে সময় যেমন বেশী লাগে, তেমনি উৎকৃষ্ট মানের সুতো দিয়ে বোনার সুযোগও থাকে - সব মিলিয়ে শাড়ির দাম হয় সস্তা মিলের নকলের চাইতে বেশী- তবে শাড়ি হয় টেকসই আর ইউনিক। যদিও শাড়ির দামের যৎসামান্য অংশই তাঁতিরা মজুরি হিসেবে ঘরে তুলতে পারেন।

    এযুগের সস্তার মিলের শাড়ির প্রাবল্যে ভেঙ্গে পড়ছে আমাদের দেশের তাঁতশিল্প। তাঁতিরা মজুরি না পেয়ে চলে যাচ্ছেন অন্য পেশায়- বংশপরম্পরায় আহরিত বুননপদ্ধতি ও শৈলীর হদিশ চলে যাচ্ছে মনের ধুলো পড়া কোনায়। তাই তাঁতির স্বকীয়তা, কারিগরিদক্ষতা আর স্বাতন্ত্র্যের ধারক বাহক হ্যান্ডলুমের শাড়িকে বাঁচিয়ে রাখার এত আয়াস। আমরা যদি সাধের শাড়িগুলো দাম দিয়ে কেনার সময় একটু সচেতন হই, দেখেশুনে খতিয়ে দেখে আসল জিনিস কিনি- তাহলে আমাদের দেশের তাঁতশিল্পীরা উৎসাহ পাবেন এই পেশায় টিঁকে থাকার।

    উদাহরণ হিসেবে ছবি দিলাম লাল কালো সম্বলপুরী ইক্কত, শুচিস্মিতাদির কাছ থেকে উপহার পাওয়া- শাড়িটা সে কিনেছিল https://gocoop.com/ থেকে। GoCoop সংস্থাটি তাদের ওয়েবপেজে জানিয়েছে যে তাদের অনলাইন পোর্টালে সরাসরি তাঁতিদের থেকে কেনা হ্যান্ডলুম আর হ্যান্ডিক্র্যাফটের জিনিস বিক্রি করা হয়। শাড়ির কাছ থেকে তোলা ছবিতে আড়াআড়ি সুতোর বুনটে অতি সহজেই ধরা পড়বে হাতে বোনা শাড়িতে যে তারতম্যের কথা বলেছিলাম তার রেশ।





    নিচে রইলো কিছু ভিডিও এবং লিঙ্ক তথ্যসূত্র হিসেবেঃ

    হ্যান্ডলুমে খাদির কাপড় তৈরী কিভাবে হয়? -



    টানা আর পোড়েন কী? - https://en.wikipedia.org/wiki/Warp_and_weft

    হ্যান্ডলুমের শাড়ি চিনবো কিভাবে? -


    হাতে করে কিভাবে তাঁত চালায়? -

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
  • ব্লগ | ২৫ এপ্রিল ২০২১ | ৩২১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 2603:6011:6506:4600:f80a:94ea:579c:88d6 | ০২ মে ২০২১ ২৩:৪০105371
  • এই লেখাটা অসম্ভব ভালো হচ্ছে। বিশেষ করে ছবিগুলো। তাঁত বোনার পদ্ধতি এই পর্বে পরিস্কার বোঝা গেল। পরের পর্বগুলোতে বিভিন্ন প্রাদেশিক শাড়ির বৈচিত্র, বুনন পদ্ধতি, রঞ্জন পদ্ধতি এমন সহজ ভাবে বুঝিয়ে লিখলে খুব ভালো হয়।

  • | ০৩ মে ২০২১ ০০:০৬105372
  • চমৎকার। অতি চমৎকার।

  • π | ০৩ মে ২০২১ ০০:৪৫105373
  • আরে বাহহ! 

  • Jaydip Jana | ০৩ মে ২০২১ ১৬:০৫105401
  • কেন জানিনা শাড়ির ওপর টান একেবারে ছেলেবেলা থেকে। শাড়ি দেখতে, কিনতে, উপহার দিতে ভীষণ ভালোবাসি।  মনে মনে কল্পনায় নিজেকেও পড়াই কখনো কখনো। তাই লেখাটার ওপরেও টান তৈরী হলো। আরো আসুক

  • Satarupa Mukherjee | ০৩ মে ২০২১ ১৮:১১105403
  • খুব ভালো লাগছে । চলতে থাকুক।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন