তারাদের একাল-সেকাল
এ গল্পটা প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগেকার। শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বা তাঁর পুত্র শাশ্বত’র কোন সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম। শুভেন্দু কোন একদিন গাড়ি করে যাচ্ছেন, সঙ্গে উত্তমকুমার। পথে কোন একটা পেট্রলপাম্পে (বা অন্য কোথাও, ঠিক মনে নেই) শুভেন্দু গাড়ি থেকে নেমে সিগারেট ধরান। উত্তম তাঁকে বারণ করেন এবং বলেন যে জনগণের সামনে এইভাবে সাধারণ জীবন যাপন তুলে ধরলে তাঁদের তারকা ইমেজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তারকা প্রথার বিলোপ নিয়ে লিখতে বসে প্রথমেই এই গল্পটা লেখার কারণ হল পঞ্চাশ বছর আগে গাড়ির বাইরে সিগারেট খেতে না বেরনো তারাদের সঙ্গে আজকের তারাদের আকাশ-পাতাল পার্থক্য মনে করিয়ে দেওয়া। এখন প্রতিমুহূর্তে আমি আপনি উঁকি মারি তারাদের অন্দরমহলে, তাদের হাঁচি, কাশি, টিকটিকি সবই আমাদের নখদর্পণে এবং বলাই বাহুল্য সে সু্যোগ তারারাই করে দেন আমাদের – তাঁরা অতটা ধরাছোঁয়ার বাইরে আর রাখেন না নিজেদের। প্রশ্ন হল কেন?
আমার মতে এই উত্তরটা মূলত প্রযুক্তির সঙ্গে সংপৃক্ত। কিন্তু সেসবে যাওয়ার আগে বুঝতে হবে প্রপঞ্চময় পঞ্চতরুর শিকড়ে রস কী করে জমে – অর্থাৎ কে তারকা হতে পারে? এর উত্তর খুহ সহজ -- কেউ তারা হয়ে ওঠেন কারণ তাঁর প্রতিভা বিরল। কিন্তু বিরল মানেই যে ভালো এমন তো নয়, খুব খারাপও আসলে বেশ বিরল। যেমন ধরুন কান্তি শাহ পরিচালিত গুন্ডা ছবিটি যা খুব খারাপ হওয়ার কারণে কাল্ট হয়ে গেছে। আসলে যে কোন ক্ষেত্রেই খুব ভালো বা খুব খারাপ কমই থাকে, মধ্যপন্থীরাই সংখ্যায় হয় সবচেয়ে বেশি। (রাশিতত্ত্বে যে কারণে এই ধরণের ডিস্ট্রিবিউশনকে বলে নরম্যাল ডিস্ট্রিবিউশন । নরম্যাল নামটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আসলে প্রায় সব ক্ষেত্রেই মধ্যগামীরাই দলে ভারি, সেটাই স্বাভাবিক - তাই নরম্যাল। মোদ্দা কথা হল পথের পাঁচালিও বিরল, গুন্ডাও বিরল – আর আমার আপনার দেখা বেশীরভাগ বাংলা/হিন্দি/ইংরিজি সিনেমাই থাকে এই মাঝখানের তালিকায়। আমরা যাঁদের তাআরা বলে চিনি তাঁরা ভাল ধরণের বিরল। কিন্তু সমস্যা হল কে ভাল? বিনোদনের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটার কোন সঠিক উত্তর নেই কারণ এখানে ভালোর মাপকাঠি কিছুটা ব্যক্তির মতামত নির্ভর। এই ধরণের সাব্জেক্টিভিটি অন্য কোন ক্ষেত্রে কিন্তু এত প্রকট নয়। ধরুন, আপনি যদি জানতে চান কোন বৈজ্ঞানিক ভাল কাজ করছে তাহলে সহজেই তার হদিশ পেতে পারেন তার গবেষণা কত ভাল জার্নালে বেরোয় বা তাঁর গবেষণা অন্যান্য বৈজ্ঞানিকদের কতজন তাঁদের গবেষণায় উল্লেখ করেন (citation) তার পরিমাপ দেখে। সেরকমই একজন ক্রিকেটার ভাল কী না তা তাঁর ব্যাটিং বা বোলিং এর গড় দেখে বোঝা সম্ভব। কিন্তু অভিনেতাদের ক্ষেত্রে এরকম কোন মাপকাঠি নেই। ভাল-খারাপ অভিনয়ের ব্যাকরণ নিশ্চয়ই আছে কিন্তু তা দিয়ে তারকা হওয়া না হওয়া নির্ভর করে না – যদি করত তাহলে সুচিত্রা সেন তারকা হতেন না! তারকা হওয়া বিষয়টি তাই নির্মাণ করতে হয়। এই নির্মাণের স্ট্র্যাটেজিই প্রযুক্তির ধাক্কায় পালটে গেছে। এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে তারাদের অর্থনীতি। তাই অর্থনীতির আলোচনাটা আগে করে নেওয়া দরকার।
তারাদের অর্থনীতি
তারারা অন্য অভিনেতাদের থেকে অনেক বেশী টাকা পেয়ে থাকেন এটা আমরা সবাই জানি। অর্থনীতির পরিভাষায় একে বলে অর্থনৈতিক খাজনা (economic rent)। মূলগত ভাবে খাজনার সাথে এর বিশেষ পার্থক্য নেই – শুধু পার্থক্য এই যে খাজনা পায় জমির মালিক, অর্থনৈতিক খাজনা পায় উৎপাদনের এমন উপকরণ যার যোগান সীমাবদ্ধ। এখন ভেবে দেখুন কোন ধরণের মালিক তাঁর জমির জন্য বেশী দাম পেয়ে থাকেন – হয় যাঁর জমি খুব উর্বর বা যাঁর জমি এমন জায়গায় যেখানে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বেশী (যেমন ধর্মতলা)। কিন্তু এটা তিনি পান কারণ উর্বর বা ধর্মতলায় জমি দুইই দুষ্প্রাপ্য বলে। যদি পৃথিবীর সব জমিই সমান উর্বর হত বা সব জায়গা ধর্মতলার মত সমান ব্যস্ত অঞ্চল হত তাহলেও জমির একটা দাম হয়ত পাওয়া যেত কিন্তু তার দামের তারতম্য থাকত না, অর্থাৎ সে জমির মধ্যে কেউ তারার মর্যাদা পেত না। সুতরাং বিরলতা তারার জন্মের সাথে অঙ্গাঙ্গী যুক্ত। সচিন তেন্ডুলকার বিরল প্রতিভা, কারণ তাঁর মত স্কোরকার্ডওয়ালা খেলোয়াড় বিরল। খাজনার নিয়ম অনুযায়ী যে বিরল তার দাম বেশী, অর্থাৎ সে তারা। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন কেন বিরল প্রতিভা, কিন্তু অনুপম খের নন? অভিনয় প্রতিভা বলতে আমরা যা বুঝি সেই বিচারে হয়ত অনুপম কিছুটা এগিয়েই থাকবেন। কিন্তু অমিতাভ এমন কিছু দিচ্ছেন জনগণকে যা বিরল, আর কেউ সেটা পারছেন না। অন্যদিকে অনুপমের মত অভিনয় হয়ত নাসিরুদ্দিনও করছেন (এটা নেহাতই উদাহরণ, অনুপম দক্ষিণ(এবং হিন্দু), নাসিরুদ্দিন বাম (এবং মুসলমান) এই ভেবে আবার হাঁউ-মাউ শুরু করবেন না যেন!)। অমিতাভ বা রাজেশ খান্নাও তাই বিরল, কিন্তু তার মাপকাঠিটা ঠিক নাট্যশাস্ত্রসম্মত অভিনয় ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল নয়। এমন কিছুর ওপরে যাকে বলা যায় এক্স ফ্যাক্টর। এখন যেহেতু এই এক্স ফ্যাক্টর কি এটা কেউই ঠিক জানেন না, তাই প্রতিভা বিরল –এই আপ্তবাক্য, যে প্রতিভা (অতএব তারা) সে নিজেকে বিরল করে রেখে দেবে এই ব্যবহারিক নীতিতে পালটে যেতে সময় লাগে নি। পুরনো আমলে বিনোদন – সে যাত্রা, থিয়েটার, সিনেমা যাই হোক না কেন – তা আজকের মত এত সুলভ ছিল না। তাই জনগণও এই বিরলতাকে একভাবে প্রশ্রয় দিত। আসলে না দিয়ে উপায়ই বা কী? তখন শুক্রবারে সিনেমা রিলিজ আর আরও কিছু পরে সাদা-কালো একটি চ্যানেল – পছন্দ হোক আর নাই হোক, বিনোদনের জন্য এছাড়া যাওয়ার জায়গাও তো নেই। বিনোদনের এই বিরাট ফাঁক পূরণ করার জন্যই কিন্তু তখন অনেক ভালো মানের বড় (মানে অ-লিটল) পত্রিকা (যেমন প্রবাসী, মাসিক বসুমতী বা উল্টোরথ) এবং ভালো বাণিজ্যিক নাটকের একটা জায়গা ছিল, যা এখন অবলুপ্ত।
প্রযুক্তির অভিঘাত
তারাদের সাধারণের ধরাছোঁইয়ার বাইরে রাখার এই ব্যবস্থা পাল্টালো প্রযুক্তির এক ধাক্কায় যাকে সযত্নে লালন করলেন বিনোদন ব্যবসায় অর্থলগ্নীকারীরা। কারণ বিনোদনের ব্যবসায় তারারা থাকলে ব্যবসার ক্ষীরের বেশিরভাগই তাঁরা খেয়ে নেবেন। একজন তারার বদলে অনেক গ্রহাণু দিয়ে যদি একই পরিমাণ ব্যবসা করা যায় তাতে লাভ অর্থলগ্নীকারিদেরই। প্রযুক্তির প্রভাব বিনোদনের বিভিন্ন মাধ্যমে পড়েছে বিভিন্ন ভাবে। গানে যেমন (যদ্দুর আমি জানি) প্রযুক্তির কল্যাণে বেসুরোকেও অনেকটাই সুরো করে নেওয়া যায়। এমনিতে মাল্টি-ট্র্যাক রেকর্ডিং এসে যাওয়ায় লাইভ অর্কেস্ট্রার সঙ্গে গাইতে হয় না অনেকদিনই। কিন্তু এখন যন্ত্র গাওয়ার ভুলভ্রান্তিও বেশ কিছুটা শুধরে নিতে পারে। তাই লতা বা রফির মত প্রতিভার আর প্রয়োজন নেই, তার থেকে অনেক কম বিরল প্রতিভা দিয়েই গান করানো সম্ভব। কিন্তু প্রযুক্তির মূল অভিঘাতটা অন্য জায়গায়। প্রযুক্তি ক্রমাগত আমাদের ওপর তথ্যের বোমাবর্ষণ করে চলেছে। একমিনিট আগে যা পড়েছি বা দেখেছি তা মাথায় ঢোকার আগেই নতুন তথ্য এসে সেসব ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে কোন তারার সিনেমা বা গানের জন্য অপেক্ষা যদি খুব বেশী হয় তাহলে নতুন তথ্যের বন্যা -- যার মধ্যে ফিনল্যান্ডের পোষা বেড়াল থেকে জাপানী ডায়াপার যেকোন কিছুই থাকতে পারে – সেই তারার স্মৃতি আমাদের মন থেকে মুছে দিতে পারে। তারাদের পক্ষেও তাই আর উত্তমকুমার সুলভ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না; তাঁরাও এই তথ্যযুদ্ধে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ তাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পিসশ্বশুরের সর্দি-জ্বর -- সমস্ত বিষয়েই তাঁদের ভক্তকূলকে অবহিত করছেন। আগে তারারা তাঁদের রহস্য বজায় রাখতেন তাঁদের তারকা ইমেজ বজায় রাখার জন্য। কিন্তু হালফিলের তথ্যের প্লাবনে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়াই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারকা আর তিনি নন, যাঁর সেই রহস্যময় এক্স-ফ্যাক্টর আছে, তারকা তিনিই যিনি ক্রমাগত তথ্য (ব্যক্তিগত বা অন্যান্য) যোগান দিয়ে যেতে পারেন। তথ্য শব্দটা এক্ষেত্রে একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। তথ্য মানে কিন্তু fact নয়, তথ্য মানে data – যেকোন data, তা যতই সত্যের অপলাপ হোক না কেন! এখন প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে যেতে হয়! এই তথ্য প্লাবনের ফলে এক ধরণের নতুন তারার জন্ম হচ্ছে যাঁদের খ্যাতি শুধুই তথ্যের জোয়ারে আমাদের প্লাবিত করার জন্য এবং সেই প্লাবন অনেক সময় ভালো অনেক বিষয়কেও ঢেকে দেয়। এ প্রসঙ্গে আমার এক পরিচালক বন্ধুর সঙ্গে হওয়া একটি কথোপকথন মনে পড়ে গেল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আমাদের ছোটবেলায় তের পার্বণ বা আদর্শ হিন্দু হোটেলের মত এত ভালো ভালো বাংলা সিরিয়াল দেখেছি, এখন সেসব বাদ দিয়ে মেগা সিরিয়াল হয় কেন? সত্যি কি সেই সব সিরিয়ালের আর বাজার নেই? আমার বন্ধুটি জানায় যে কেউ আর সিরিয়ালের পরের পর্ব দেখার জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করবে না। তার আগেই চ্যানেল ঘুরিয়ে অন্য কিছুতে মজে যাবে। আগে যখন একটিই চ্যানেল ছিল, তখন লোকের হাতে অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না। এখন এই তথ্য প্লাবনের যুগে কোন প্রযোজকই আর তের পার্বণ বানানোর ঝুঁকি নিতে রাজি হবে না। মেগা সিরিয়াল যতই কদর্য হোক না কেন, তার মধ্যে তথ্য ঢেউয়ে ভাসিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে।
এই প্রসঙ্গেই মনে করা যেতে পারে RSS এর প্রচারক দীননাথ বাত্রার কথা যিনি বিকৃত তথ্যের প্লাবনে সঠিক তথ্যকে ভাসিয়ে দেওয়ার কাজ করে চলেছেন খুব সাফল্যের সঙ্গে। বাত্রা মশাই অর্ধ এবং বিকৃত সত্য এত বেশী পরিমাণে প্রচার করে চলেছেন যে তা স্বীকৃত ইতিহাসকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনায়াসে। প্রথম দিকে রোমিলা থাপার বা অন্যান্য মান্যতা প্রাপ্ত ইতিহাসবিদরা ওনার সঙ্গে সুস্থ বিতর্কে যাওয়ার প্রয়াস নিয়েছিলেন। কিন্তু যিনি প্রশিক্ষিত ঐতিহাসিক তাঁর যেকোন কিছু লেখা বা বলার আগে তথ্য প্রমাণ বিচার করে বলার একটা দায় আছে, যা মনে আসছে তাঁরা তো বলে দিতে পারেন না। বাত্রা বাবুর সে দায় নেই! প্রকৃত পন্ডিতরা তাই রণে ভঙ্গ দেন শীঘ্রই! বাত্রা-বচন এখন হোয়াটস্যাপ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু কিছু রাজ্যের স্কুলের পাঠ্যবস্তু! RSS এর ইতিহাস বিকৃতির প্রয়াস নিয়ে বহু লেখা আছে, সেদিকে গিয়ে লাভ নেই। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল এটা এমন এক সময় যখন রোমিলা থাপারকে ছাপিয়ে দীননাথ বাটরা ঐতিহাসিক হিসেবে মানুষের মাথায় জায়গা করে নিতে পারেন, শাবানা আজমির থেকে ঢিনচ্যাক পূজার নাম বেশী চর্চিত হয়! তারা হয়ে ওঠার মাপকাঠি তাই তথ্যের প্লাবনে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা।
প্রচন্ড বৈদ্যুতিক আলো
আমাদের ছোটবেলায় বিজ্ঞান বইতে পড়ানো হত রাতের আকাশে তারার আলো মিটমিট করে আর গ্রহের আলো থাকে স্থির। তারারা সেরকমই আছে্, গ্রহরাও। কিন্তু চারদিকে এত হ্যালোজেন আর টুনি বাল্ব, যে রাতের আকাশ আর চোখে পড়ে না, গ্রহ আর তারার পার্থক্যও রয়ে গেছে ছাপার অক্ষরে। আশা রাখি একদিন এক অদ্ভুত আঁধার এসে আমাদের আবার তারা চেনার সুযোগ দেবে।
ধন্যবাদ। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে এই জরুরি প্রসঙ্গ গুলো তুলে আনার জন্য। সংস্কৃতি এতটা লঘু হয়ে গেছে, সবাই কে সব সময় সব কিছু জানান দিয়ে চলার গুরুত্ব এত বেশি হয়ে গেছে এইটাই মুশকিল। আগে (আমার যা মনে হয়, যতটা দেখেছি) তারকা এভাবে ক্রমাগত সেল্ফ প্রমোশন করে যেতে হতো না। এখন আপনি লিটল ম্যাগ এর লেখক হলেও আপনাাকে রোজ ফেেেসবুক এ জানান দিয়ে যেতে হবে, আত্ম প্রচার করতে হবে। তা ছাড়া এই সামাজিক মাধ্যম চলে আসায় এক জন কে ছোট করা অনেক সুবিিিধা হয়ে গেচে। দল বেেঁধে যা খুশি বলে দিলেই হয়ে যায়।
সেই অদ্ভুত আঁধারের অপেক্ষায় রইলাম।
অনির্বাণ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেছে। এই কারণেই আজকাল নতুন ছবির রিলিজের ব্যস্ততার মাঝেও প্রমোশন নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় প্রযোজকদের। নায়ক নায়িকারাও শুটিং ছেড়ে বিভিন্ন প্রমোশনাল ইভেন্টে যায়। খেলোয়াড়দের মিডিয়া সামলানোর পারদর্শীতা দরকার হয়। যারা এ সব কাজ ভালোভাবে সামাল দিতে পারে তারাই বেশী করে লোকনজরে থাকে। তারাই তারকা হয়ে ওঠে। আমার ধারণা ভবিষ্যতে এমন কোন প্রযুুুক্ততি আসবেে যার মাধ্যমে লোকজন প্রচারের রোশনাই সরিয়ে আসল তারকাদের চিনতে পারবে।