এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সমাজ  সিরিয়াস৯

  • টু মী অর নট টু মী

    বল্লরী সেন
    আলোচনা | সমাজ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৯৫৬ বার পঠিত | রেটিং ১ (২ জন)
  • এ দেশে, আমাদের চারপাশে, মী টু আন্দোলন যে চেহারা নিয়েছে, তা ন্যায়বিচারের পরিকাঠামোকেই শুধু চ্যালেঞ্জ করছে না, নৈতিকতার মাপকাঠিগুলিকেও ভেঙে ফেলছে। অথচ সে মাপকাঠিগুলি প্রয়োজনীয়, সেগুলিকে ভেঙে না ফেলেও যথাবিচারের দাবি সম্ভব। এ লেখা তেমন একটা অবস্থানের কথা ঘোষণা করছে, দেখিয়ে দিতে চাইছে অনেক ফাঁকফোকর।

    কথা ছিল উৎসবের রাত আমার উঠোন থেকে ছড়িয়ে যাবে রাস্তায়। বাস্তবে যা হল, অগভীর উল্লাসপরায়ণতা ব্যক্তিগতের সীমানা ছাড়িয়ে নেমে গেল জনারণ্যে, ভয়ার-আকুল। আর কোনও সম্পর্ক বিশ্বাসযোগ্য নয়, বিশ্বস্ততা হয় এক সোনার পাথরবাটি, যা অতি টেম্পোরাল। চূড়ান্ত ব্যক্তিগতে লিখে ওঠা কথারা সাক্ষী মানে অগণিত অনধিকারীর। তার ভাল নাম নেমিং শেমিং, ডাক নাম খাপ।

    মী টু, ভারতের মীটু, চেনাজানা পরিসরের মীটু, কেবল বোধগম্যতা ও বোধের অভাবে, অন্যরকম ইন্দ্রিয়োল্লাসে পরিণত হয়ে গেল না তো!

    ১ ।। নীরবতার চুক্তিভঙ্গ # খাপ ও কোপ

    ঋগ্বেদের ঐতরেয় শাখার দ্বিতীয় আরণ্যকের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অধ্যায়ের লেখক ইতরার পুত্র মহীদাস তাঁর মায়ের নামে একে বলেছেন ঐতরেয়। একমাত্র গদ্যে লেখা এই আশ্চর্য উপনিষদটি শূদ্র রমণীর কানীন পুত্রের অবহেলিত জীবনের সারাৎসার। তাই শুরুর শান্তিপাঠে যবন মহীদাস সমস্ত ইন্দ্রিয়কে বহির্দ্বার থেকে অন্তরে প্রবিষ্ট করার স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন। সংহিতা বা বেদের সূক্তের প্রারম্ভিক স্তব যেখানে সর্বত্র দেবতার কাছে হীন মনুষ্যের কামনার তালিকা তৈরি করে, বলে আমার এই চাই, এই হোক; কিন্তু মহীদাসের কলম প্রথমেই বললেন—

    ওঁ বাঙ্ মে মনসি প্রতিষ্ঠিতা, মনো মে বাচি প্রতিষ্ঠিতম্;
    আবিরাবীর্ম এধি;


    অর্থাৎ, “আমার বাক্য হোক মনে প্রতিষ্ঠিত। আমার মন হোক বাক্যে প্রতিষ্ঠিত। হে স্বপ্রকাশ!” নিরবধিকালের সামনে এসে এটুকুই চাইলেন তিনি, যাতে বেদের অর্থ তাঁর হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট হয়। চাইলেন না বল বা যশ দাও, অথবা ধনমানরূপ। আমি যা বাক্য বলি তা যেন সত্য হয়, তাই যেন হৃদয়ে ধারণ করতে পারি — এই আপ্তকাম প্রার্থী হয়ে তিনি সৃজনের তার বাঁধলেন খাস পরানাদে, লিখলেন নিজের কদাকার জীবনভাষ্য, যার মূল পাঁকের বহু কোটি বৎসরের বর্ণাশ্রমের অত্যাচারে কলঙ্কিত হয়ে আছে। এর কারণ নিয়ে আলোচনার পরিসর আলাদা, কেবল এটাই দেখানো আমাদের উদ্দেশ্য যে, চণ্ডালকন্যার দেহভোগের তমিস্রা থেকে মহীদাসের জন্ম। তিনি ঋষির ঔরসে পুষ্ট হলেও নিজেকে মাতৃপরিচয়ে অন্ত্যজ বলেই পরিচয় দিয়েছেন, অবহেলিত ও ক্লিষ্ট অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে তাই সত্যের কাছেই তাঁর সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কিন্তু জননীর দুর্দশা নিয়ে কোর্ট কাছারি করতে দেখিনি, এমনকি কোনো অনুবাকে কোথাও পিতৃতন্ত্রের প্রতিবিধানের প্রত্যাশাও নয়। না, “ মী টু” র আওতাভুক্ত করার কোনো নথিপদ্ধতি নেই, দ্বিজপুরুষের সঙ্গে চণ্ডালকন্যার মিউচুয়াল আদানপ্রদানের নিয়মাবলির কথা কোনও বেদোপনিষদ বলেনি।

    অথচ উন্নতবাক, উন্নতটেক্ প্রযুক্তিক্ষম বলিষ্ঠ হয়ে ওঠা নানা জাতীয় বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে এটা অনুমান করতে পারি যে, রায়া সরকারদের প্রদর্শিত আন্দোলনটি আসলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অন্যায়ের মোক্ষম এক বিভ্রম। এখানে বিপ্লবের মিথ্যা মাতুনি আছে, কিন্তু সত্যের উদ্ঘাটন নেই। পরিবর্তে মিথ্যার সাহায্য নিয়ে একতরফা বহু বছরের ক্রোধ উগরে দেওয়ার এই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার যদি আমরা না হই, তাহলে অচিরে ধর্ষণ আর রমণ ও এক হয়ে যাবে। সত্য আর মিথ্যার গতি যদি একমুখী কাপট্য ও স্বার্থসিদ্ধির প্রতি ধাবিত হয়, তাতে “তথাকথিত” নারীবাদীদের বাদ ও প্রতিবাদ কোনোটার মধ্যেই ন্যায়সঙ্গত দাবির আদর্শ থাকবে না। যৌনতা যদি মেয়েটির কাছে উপভোগের হয়, তখন আর তা লাঞ্ছনার থাকবে কী করে? তখন তাকে পারস্পরিক বোঝাপড়ার একটি বিশেষ চুক্তি বলেই বুঝতে হবে, নতুন কোনো দাবি অচল হলে এই অবস্থানকে পাশার দান হিসেবে চেলে দেওয়া সম্ভবত ন্যায়সঙ্গত নয়। তা পুরোপুরি মিথ্যা। সম্পর্কের পারম্পর্য বিচার না করে এ জাতীয় মৌ আদান প্রদানের বিচার চলে না। আমার মনে হয়, আসলে এই পন্থা হল অনেকটা রক্ষিতার বদলা নেওয়া জাতীয় বরিস গ্রয় কথিত double potlatch hypothesis, যা একসময়ে পরস্পর পরস্পরের ক্রীড়নক হিসেবে থাকার পরে ও আকস্মিক কোনও অজানা কারণে এক তরফা সোচ্চার হয়ে sexual harassment এর পতাকা তুলে দেখানো। সময়ের একটা পরিকল্পিত পাওয়ার গেম আছে এখানে। অভিযুক্ত পুরুষটির বলার সুযোগ নেই, বাক্যে তার বিধান দেওয়া হবে। এহেন খাপে খোলা বাঁকা তলোয়ার বিনা যুক্তিতে ফাঁসির হুকুম দেয়। দুর্নীতির ওপর দুর্নীতি। টুইট করুন, সোশাল মিডিয়াতে ভয়েস ক্লিপ ছড়িয়ে দিন যত্রতত্র। নিবেদিতা মেননকে হুমকি ও পাল্টা অপমান, শেয়ার করুন, আরও আরও।

    উত্তরাধুনিক কালচারাল পরিবৃত্তে সম্ভবত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বহুবিধ বহুবর্ণিল যৌনাচারের মানচিত্র আছে। নারীপুরুষের উভয়মাত্রিক ডিসকোর্স এক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিকের এক এ্যান্টিক্লাইম্যাক্স নির্মাণ করছে নিজের নিজের ডাকসাইটে ভারচুয়াল শয্যাগৃহে। বা গৃহে কুলোচ্ছে না, প্রত্যেকের চোরাকুঠুরি বাঁধা আছে, যদিও ইনবক্স নামক অববাহিত আবাসগৃহ অন্তহীন স্টোরেজে অবিশ্বাসী। আমরা কোনও অবস্থাতে ভালবাসায় আর পৌত্তলিক হবার দৃঢ়তায় বিলং করি না। তাই এক্স বা ওয়াই যে হোক না কেন, আমাদের দুদিনের সাহচর্য পেতে দেরি হবে না, দিতেও। নির্দিষ্ট করে কে দাতা আর কে গ্রহীতা — এই বিক্রিয়া আর ফলপ্রসূ হচ্ছে না।

    অতএব ফর্মুলার বাইরে এক ভাসমান অপৌরুষেয় ডোমেইন নির্মিত করে ছবি, টেক্সট, স্মৃতিচিত্র মিশে গিয়ে দুজন মানুষের এই কালো ট্রাঙ্কটাকে যদি আচমকা যে কোনো একজন তালা ভেঙে সব খুলে দেখাতে চান, তার প্রতিটা বর্ণ প্রতিটা বিশ্লেষণ আমার একার না তোমার একার না দুজনার একার না কারোর না, তৃতীয় কিছুর — এই ৪ রকমের পারমিউটেশন ও যথার্থ হবে না। কেন? কারণ, প্রারম্ভ- বিন্দু পরবর্তী প্রতিটা ভাষ্য প্রতিটা যতিচিহ্ন অন্য ব্যক্তির সাপেক্ষে উঠে এসেছে। দুই পৃথক লিঙ্গের মানুষের মধ্যে এর প্রভাব ও রসায়ন আলাদা ও অমীমাংসিত। তাই এম জে আকবর কতটা দোষী আর কতটা মিথ্যা অভিযুক্ত, এর আনুপুঙ্ক্ষিক তদন্ত হওয়া দরকার। এবং সবিশেষ বাদী প্রতিবাদী শিবিরের বাইরে বিষয়ের নানা দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, কারণ ভারচুয়াল যোগসূত্র আমাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ রায় দেবার স্বাভাবিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। কেবল সত্যের জন্য কোনো দরদ নেই আমাদের, তবু আমরা গসিপ থেকে সরে আসবো না। প্রতিদিন যেন এই স্ক্যান্ডালের বাটি পূর্ণ থাকে। বাক্যে ভাষায় কল্পনায় এই counter attack এর অসমীচীন প্রসার, উল্টো দিকে যুক্তি দিয়ে ন্যায়বিচারে যেন বাধা না হয় ।

    ২ ।। কুসুমের মন আছে, মনের শরীর?

    পরিকাঠামোগত অবহেলার পরের পর্ব হল নিউক্লিয়ার পরিবারের কন্যা সন্তানকে স্বেচ্ছাচারেরর পিতৃতান্ত্রিক দম্ভের সংস্কৃতিকে নিরঙ্কুশ গ্রহণ করতে দেওয়া। গুড্ টাচ ও ব্যাড টাচের দ্বিমুখীনতার বাইরেও যে স্পর্শকাতরতা থাকতে পারে, যেখানে তার স্বাভাবিক হৃদয়বৃত্তির ক্ষরণ কাম্য — তা তার মননের নাগালের বাইরেই থেকে যায়। উল্টে ঠাকুমার প্রতি মায়ের অনীহা ও ভিডিও গেমের হিরোইনের ম্যাসকুলিনিটি (শারীরিক নয়, পিতৃতান্ত্রিক) তার মনস্তত্ত্বের হাওয়া বদল ঘটায়। ক্যারাটের চাল সে শেখে, একই সঙ্গে শেখে টিফিনের ভাগ হবে না; আর অন্য দিকে সব কিছুকে হ্যাঁ বলতে বলতে কোথায় না বলতে হবে সেটা আর তার অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে না।

    বিশেষ করে পোস্ট কোভিড যুগে ক্লাস ওয়ানের মেয়েটি ও Tik Tok এ সাড়া দেয়, নিজের হাত ধোওয়া থেকে ছবি আঁকার প্রতিটা পর্ব you Tube এর অঙ্কের হিসেবে সাধিত তা সে জানে। অর্থাৎ আমি আমার প্রেত, সমস্ত দিন সেই প্রেত আয়নার মতো কেবল প্রতিফলন তৈরি করে যায়। সেই ভ্রান্তির স্কিৎজোফ্রেনিক দ্বিতীয়কে কিছুতেই সরানো যাবে না। এবং কন্যামগজে ও স্নায়ুতে এর অপাবরণ সেই মুহূর্তটিতে সবচেয়ে বিধ্বংসী, যখন সে স্বেচ্ছায় নিজেকে প্রমাণ করতে নামছ, সেটা কাজের বা ব্যক্তিত্বের অন্যান্য কোনো ধী-শক্তির, যাই হোক না কেন। পরিশীলিত ধৈর্যের বা পরাজয়ের যে নিজস্ব এক ব্যূহ আছে জীবনের না হওয়া ব্যর্থতার মধ্যে, মায়ের কাছে সন্তান যেন সে শিক্ষা পায়। সব সাজ যে ছবিতে দেখানোর নয়, সব আনন্দ হারবার নয়, সব সত্যি বলা যায় না এই নীরবতা শেখা আগামী পৃথিবীর পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইতরকন্যা বলেছিলেন, “তোর বাবা তোকে যাই করুক না কেন, তুই তোর মার কাছ থেকে পাবি যথার্থ শিক্ষা। আমরা শূদ্র — সবাই আমরা মাটি মায়ের সন্তান। পৃথিবীতেই শস্য হয়, সোনা ফলে। সব জ্ঞানের খনি এই পৃথিবী।" মহীদাস তাই করেছিলেন। বস্তুগ্রাহ্য ক্লীব পৃথিবীর উপেক্ষা ও অত্যাচারকে তিনি গদ্যে সোনার অক্ষরে ফলিয়ে তুললেন। এল ঐতরেয় উপনিষদ, যবন শূদ্রের অনুভবনের বিশ্ব, যা বিশুদ্ধ জ্ঞানের মতো কূপতিমিরে আবদ্ধ নয়।

    Miranda Popkey’s Topics of Conversation (২০০০) মূলত নারীকামের দ্বান্দ্বিক অবস্থানকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। Sarah Resnick এর The New Yorker এর রিভিউ এ বলা হয়েছে:

    Toward the middle of the book, some fourteen years after this Italian vacation, the same disparity crops up once more—but here it’s the narrator who internalizes it. Of the intervening years, we have learned that she married and abruptly divorced a kale-loving man, a classmate in her grad-school cohort, whom she describes as “nice” and “ever so understanding.” She is mocking him. He is exactly the kind of partner a liberated woman is supposed to want, and yet she despises him for it. Divorced and living with her young son in California, the narrator has assembled a group of other single mothers. Again, there is wine and talk. This time, it is the narrator who holds forth, carefully unfurling her own story. She recites it with a dramatic sense of remove; with time, the narrative has accrued significance, like rust on iron left in the damp. The story takes place in a hotel room. She is twenty—“an adult,” she makes explicit, if still a college student—when she begins an affair with a married professor in his early forties. The hotel is where they spend their first night together. He pushes her, fully clothed, face-first onto the bed, then sets one hand on her back and one on her neck and presses down. He steps back. When she twitches, he says, “Don’t fucking move.” Maybe twenty minutes pass before he orders her to get up. They do not have sex. “The whole time he was watching me,” she reveals to her audience of other mothers, “I didn’t have to do anything. There were no choices to make.” She liked it. She would never have known to ask for it. ( 24 January 2020)

    গোটা বিশ্বে আজও মেয়েরাই সবচেয়ে বড় শিক্ষক, পরের প্রজন্মের সামনে সত্যে নিজেকে স্থিত করার শক্তির চেয়ে যে আর কিছু বড় নয়, এটাই কি রক্তমাংসমজ্জায় ঢুকিয়ে দেওয়া দরকার নয়? কিন্তু দুর্নীতির হাত থেকে রেহাই পাবেন কী করে? এত সরল মূল্যবোধের দিন তো কবে ই শেষ হয়ে গেছে। রুখে ওঠা দরকার বলেই, ব্যক্তি-স্বার্থের জন্য মেয়েদের জান্ নিঙড়ানো বড় লড়াইয়ের যুগ যুগান্তের বিপ্লবকে নষ্ট হতে দেবেন না।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৯৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিদ্ধার্থ মজুমদার | 45.249.82.146 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:২১97491
  • টু মী  নট টু মী   / বল্লরী সেন


    জরুরি লেখা। লেখার স্বর এবং উপস্থাপনা সৎ,  সুতীক্ষ্ম ও বলিষ্ঠ।  অনেক জানা কথা-ই এমনভাবে বলেছেন লেখক যে তা চেতনাকে নাড়িয়ে দেয়।  বিদ্ধ করে।  এই লেখায় খুব চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন লেখক।

  • Ishita Bhaduri | 2401:4900:3140:d093:c925:f9d2:209e:6c71 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২৭97507
  • Bhalo laglo ballari

  • ঋষি ঘোষ | 2409:4061:2c80:bfcf:1418:c74c:c01a:79e | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:২১97590
  • চেনা কথা...দেখার চোখটা অন্যরকম,আর চেনাকে অচেনার গাম্ভীর্যে পাওয়ার অনুভূতিই আলাদা! 

  • Sandip Datta | 2401:4900:3620:afe8:de01:1984:dd73:2d82 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৩৩97659
  • সহজ উপস্থাপনা গ্রহণযোগ্য, জটিলতা পান্ডিত্য প্রকাশের কৌশল

  • Sayani Banerjee | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৩৮97743
  • ভালো লাগলো। সমৃদ্ধ হলাম।

  • Swarnendu Sil | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৪৮97766
  • লেখাটা বক্তব্যের সূচীমুখ তীক্ষ্মতা হবে না সাহিত্যপ্রচেষ্টার লাবণ্যময় স্নিগ্ধতা হবে ঠিক করে উঠতে পারেনি মনে হল৷ যেকোন একটা এবং একটামাত্রই হতে হবে এমন কোন কথা ছিল না বটে, কিন্তু কোনটাই না হওয়াটা খানিক আক্ষেপের৷ 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন