এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • দেশে ফেরা ফর ডামি'জ

    অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিবিধ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ১৪১০ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • দেশে ফিরছেন? কলকাতায়? অনেককাল বিদেশে আছেন কি? এই ধরেন আট-দশ-বারো বছর? একা না দোকা? নাকি পোঁটলা-পুঁটলি, থুড়ি ছানা-পোনাও আছে? তাইলে পড়ুন ভাট প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত "দেশে ফেরা ফর ডামিজ' - অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পান, জেনে নিন কি কি আপনার জন্যে অপেক্ষা করে আছে, কোথায় কখন কি করবেন এবং করবেন না। এই বই এক কথায় আপনাকে তৈরী করে দেবে দেশে পা রাখার জন্যে।

    তাইলে আর কি - চলুন বেড়িয়ে আসি, সরি, ঘরে ফিরি।

    এয়ারপোর্টে নামুন, লাইনে দাঁড়ান, পাসপোর্টে ছাপ্পা লাগান, কাস্টমস ক্লিয়ার করুন - এসব সিম্পল সিম্পল কাজকম্মোগুলো শেষ করে চলুন বেরোই। বাড়ির গাড়ি থাকলে তাতে, নয়তো "কলকাতা ক্যাব"-ও আছে। আর নেহাত পুরনোপন্থী হলে হলদে ট্যাক্সিও - ওই যে আকাশ থেকে হলদে মোজাইকটা দ্যাখেননি? শয়ে শয়ে, হাজারে হাজারে ....না: আসলে মনে হয় কোটি কোটি।

    গাড়িতে উঠে রেডিও চালিয়ে দিন - ৯১.৯ এফএম - কলকাতার নতুন ক্রেজ - ফ্রেণ্ডস এফএম। আটটা থেকে দশটা, দশটা থেকে বারোটা - সিনেমার শোয়ের মতন খেপে খেপে প্রোগ্রাম - টক শো। গান শুনতে পাবেন, চাইলে ফোন করুন। আঙুলে বাত থাকলে ভালো ব্যায়াম হবে। ফোনে আড্ডা মারুন টক শো হোস্টের সঙ্গে। উত্তর দিন "উত্তমকুমার অভিনীত নায়ক সিনেমার নায়কের ভূমিকায় কে অভিনয় করেছিলেন" গোছের প্রশ্নের এবং জিতে নিন গিফট ভাউচার। তবে ফোন করার আগে নিজের বাংলা স্টাইলটা একটু ঝালিয়ে নিন।

    "হাই নীলান্‌ Z না তুমি ক্যায় say কড়ছিলে? ইসবার পূযোড় সময় হোয়াট আড় ইউ ডুইং?"
    "আমি থিংক কড়্‌ ড়হি থি একবার ক্যালিম্পং ভি Z ইট কড়ে আসি"।

    ভাবছেন বানান ভুল? ব্যকরণ ভুল? এক্কেরে না। এগুলো সঅঅঅঅঅব ঠেকে শেখা - কলকাতার হালফিলের ভাষা-বিপ্লব। শপিং মলে আচ্ছন্ন ড্যাশিং কলকাতার ড্যাশিং ইয়ং বেঙ্গলের সাথে বাতচিত করতে হলে আপনাকে এই ভাষাবিপ্লবে ভাগ নিতে হবে।

    আপিস কোথায়? সেক্টর ফাইভে? আগে বাটার দোকানে গিয়ে একটা গামবুট কিনে আনুন, অভাবে রবারের জুতো। ল্যাপটপের ব্যাগের মধ্যে বা অন্য ব্যাগে সেগুলো ভরে আপিস চলুন - কারণ নবদিগন্ত বর্ষায় সত্যিই দিগন্তবিস্তৃত জলাশয়। সাড়ে ন'টায় আপিস? অবশ্যই কখন বেরোবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার বাড়ি কোথায় তার ওপর। দক্ষিণ কলকাতার শহরতলি এলাকায় থাকলে এই সাড়ে সাতটা নাগাদ বেরিয়ে পড়াই ভালো কারণ ভূতল পরিবহণ নিগমের দ্রুতগামী বাসগুলো প্রতি দশ মিটারে একবার দাঁড়াবে যাত্রী তোলার জন্যে। যত পারবেন রোগা হয়ে যান, নইলে বাসে চড়া কঠিন হবে। কে বলে যানবাহনের অভাব? এত শাটল আছে কি করতে? রাস্তায় যদি দেখেন একটা গাড়ির (সাধারণত: অ্যাম্বাস্যাডর বা ইন্ডিকা) দিকে জনা পঞ্চাশেক লোক ছুটে যাচ্ছে, বুঝে নেবেন ওইটি শাটল। পারলে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে জায়গা করে নিন - অ্যাম্বাস্যাডরে ছয়জন, ইন্ডিকায় পাঁচ। ওই যে বল্লাম - একটু সরু হয়ে যান, ছোট হয়ে যান। এই হবে আপনার জীবনমন্ত্র - নইলে বাস, মেট্রো, অটো - কোথাওই চড়তে পারবেন না।

    নিজে গাড়ি কিনবেন? একবার Q -এর সাথে পারলে দেখা করুন - জেমস বণ্ডের মতন গ্যাজেট লাগাতে হবে গাড়িতে, পাশের গাড়ি খুব কাছে এসে গেলেই যাতে আপনার গাড়ি থেকে ইস্পাতের ফলা বেরিয়ে আসে - নইলে আপনি আপনার গাড়িতে আছেন না পাশের গাড়িতে এই ধাঁধা উদ্ধার করতে করতে আপনার গাড়ির কোন একটা অংশ হাপিস হয়ে যাবে। রাস্তায় গাড়ি চালানোর আগে মন দিয়ে মাসখানেক অবস্ট্যাকল রেস অভ্যেস করুন, গাড়ি নিয়ে - ওই ফুটবল মাঠে ট্রেনিং হয় দেখেছেন - ফুটবলাররা প্র্যাকটিস কোনের মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে ছোটে বল নিয়ে - সেরকম। আর কব্জির ব্যায়াম করুন - রজার ফেডারারের চেয়েও নমনীয় কব্জি চাই - নইলে ওই অবস্ট্যাকল রেসে কূল পাবেন না। ও হ্যাঁ, যদি সাবধানী ড্রাইভার হয়ে থাকেন কখনো, বা ভালোভাবে গাড়ি চালানো শিখে থাকেন, তাহলে চেষ্টা করুন সে সব ভুলে যেতে, নইলে গাড়ি স্টার্ট করে দাঁড়িয়েই থাকতে হবে। মুজতবা আলির দেশেবিদেশে পড়ে নেবেন - বিশেষ করে পেশোয়ারের রাস্তার বর্ণনা। শুধু মনে রাখবেন যতক্ষণ না মানুষের গায়ে ছোঁয়া লাগছে ততক্ষণ সবাই পাঠানদের মতন নির্লিপ্ত, ছোঁয়া লেগে গেলে আপনি সবসময়েই দোষী। ভালো দৌড়তে পারলে হয়তো বেঁচে গেলেও যেতে পারেন।

    পোঁটলা-পুঁটলি আছে বলেছিলেন না? স্কুলে ভর্তি করবেন নিশ্চয়। স্টেটাস বড় হলে আপনার জন্যে আছে হেরিটেজ বা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, তবে হেরিটেজ কি নামে হয়? আদত হেরিটেজ যদি আপনার চাহিদা হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে ভিক্ষাপাত্র নিয়ে বেরোতে হবে - স্কুলে স্কুলে। ছানাপোনা পয়দা করে আপনি মহা অন্যায় করেছেন সেটা স্কুলের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আপিস থেকে হেডমাস্টার অবধি সবাই আপনাকে সফলভাবে বুঝিয়ে দেবেন। হ্যাঁ, ব্যতিক্রম আছে বৈকি - ছেলেমেয়ের ক্রিমিন্যাল বাপ-মা হিসেবে আপনার কর্তব্য সেই ব্যতিক্রম খুঁজে বের করা। কিন্তু তারপরেও কি পার পেয়ে যাবেন ভাবছেন? সে সিঙ্গুরে বালি - ছেলেমেয়ের স্ক্র্যাপবুকের জন্যে ছবি লাগবে - আঁকলে হবে না - দোকানে ঘুরে ঘুরে খুঁজুন কোথায় কামিনী/কাঞ্চন/দোপাটি ইত্যাদি ফুলের ছবি আছে, বর্ষার ফুলের চারখানি নমুনা লাগবে, তাও ছেলেমেয়ের ইস্কুলের খাতায় দিদিমণি যে ফুলগুলোর নাম বলেছেন সেগুলোই। হপ্তায় পঁয়তাল্লিশ ঘন্টা আপিসে কাজ করতে হবে - শ্রম আইনের মুখে জুতো মেরে - কম করেও রাত সাড়ে আটটা-নটায় ধুঁকতে ধুঁকতে বাড়ি ফিরে ছেলেমেয়েকে হোমওয়ার্ক করাতে বসান। ওদের এখন আর্লি টু বেড, আর্লি টু রাইজ নয় - লেট টু বেড, আর্লি টু রাইজ। নইলে আপনার পথে তারা হাঁটবে কি করে? অবশ্য আপনি যদি ওদের ওই পথেই একশো মিটার স্প্রিন্টের গতিতে দৌড় করাতে চান তাহলে হয়তো সিস্টেমটা আপনার পছন্দ হয়ে গেলেও যেতে পারে। কথিত আছে যে কিছু স্কুলে যেখানে হোমওয়ার্কের চাপ তুলনামূলকভাবে কম, সেখানে অভিভাবকরা সোরগোল তোলেন কেন তাঁদের ছয়-সাত বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের অমুকতমুক স্কুলের চেয়ে কম কাজ করানো হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের গোটা প্ল্যানিংটা এক্ষুণি করে ফেলবেন কিনা সেটা অবশ্যই আপনার হাতে।

    সপ্তাহের শেষে বেড়াতে যাবেন? বা খেতে যাবেন? এই দুটো ব্যাপারে কলকাতা অভাবনীয় উন্নতি করেছে। সাউথ সিটি মল, প্যান্টালুনস, ওয়েস্ট সাইড, সিটি সেন্টার, ফ্যাবইন্ডিয়া - মলের কমতি আছে নাকি? ইরেসপেক্টিভ অব পকেটের ওজন, বেড়ানোর পক্ষে আইডিয়াল। ঠাণ্ডা হাওয়া পাবেন, চলমান সিঁড়ি পাবেন, মনের বয়স থাকলে পরস্পরের চোখ এড়িয়ে সুন্দর দৃশ্য পাবেন। পকেট ভারি হলে হালকা করুন, হালকা হলে গন্ধ শুঁকে অর্ধভোজন করুন - মানে উইন্ডো শপিং করুন। আর ভোজন - খাদ্যরসিক হলে কলকাতা এই মুহুর্তে আপনাকে দুই হাত তুলে স্বাগত জানাবে। ডেকার্স লেন এখনও আছে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের আশেপাশে বা শিপিং অথরিটির আশেপাশে সেই রাস্তার ধারের খাবারের দোকান থেকে শুরু করে সেক্টর ফাইভের "ঝুপস'; মাঝারি পকেটের জন্যে ভজহরি মান্না বা ফিঙ্গারটিপস; ভারী পকেটের জন্যে অর্কজ ইত্যাদি। নির্ভর করবে আপনি কুলপি কি ভাবে খান - দাম দেখে না স্বাদ দেখে, কারণ র‌্যালিসে যে কুলপি ছেলেবেলায় আপনি আট টাকায় খেতেন, অর্কজে সেই কুলপিই পাবেন একশোকুড়ি টাকায়। বিশদ জানতে চাইলে অপেক্ষা করুন অদূর ভবিষ্যতের বই "কলকাতার খাবারদাবার ফর ডামিজ'-এর জন্যে।

    নাটক সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন তো অনেক সিনেমা হল আছে, মাল্টিপ্লেক্স গোছের। গ্রুপ থিয়েটার এখনও হয়। তবে চব্বিশ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন নাটক দেখতে হলে টিউন ইন করুন বাংলা চব্বিশ ঘন্টার খবরের চ্যানেলগুলোতে। তারকাখচিত কাস্টিং। একদিকে রাজনীতির জগতের তারকারা, সাথে সঙ্গত করেন সুশীল তারকাদের এক মহা ব্যাটেলিয়ন, এবং কে নেই তাতে। কেউ ধর্না দেন তো কেউ মহামিছিল করেন তো কেউ মৃত্যুঘন্টার সাথে ভায়োলিনের সঙ্গত করেন তো কেউ মোমবাতির চাষ করেন। চব্বিশ ঘন্টা ঘটতে থাকা নানান নাটক ফলো করতে চাইলে এই নিউজ চ্যানেলগুলোর টেলিকাস্ট আর রিটেলিকাস্ট ছাড়া আপনার জীবন অন্ধকার। আপিস থেকে ফিরে এই চ্যানেলগুলো আপনার সঙ্গী, নিরবচ্ছিন্ন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যে। কখনো সখনো একটু বোর হয়ে গেলে চ্যানেল ঘুরিয়ে দেখে নিন চলতে থাকা অসংখ্য রিয়েলিটি শো-র কোনো একটা - কচি ছেলেমেয়েরা সুপার ট্যালেন্ট হওয়ার লক্ষ্যে আপনার মন ভোলাবে "ধক্‌ ধক্‌ করনে লাগা' বা "তু চীজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত' দিয়ে, আর ফাউ হিসেবে সমস্ত হিট হতে চাওয়া বাবা-মা-অভিভাবকদের ইঁদুরদৌড়ও পেয়ে যাবেন, বিচারকদের "কনস্ট্রাকটিভ' সমালোচনা - যেগুলো কিনা প্রতিযোগীদের মানসিকভাবে ধাক্কা দেয় - সরি সরি - শক্ত করে - সেগুলোও পাবেন এন্টারটেইনমেন্ট হিসেবে ....

    এই ভাবেই চলবে - ততদিন যতদিন আপনি তাল রেখে চলতে পারবেন। তাল রাখতে না পারলে এই কলকাতা আর আপনার জন্যে নয়। কলকাতা আপনাকে কখনও চায়নি, আপনি কলকাতাকে চেয়ে থাকলেও। আপনি পিছিয়ে আছেন, কলকাতা অনেক এগিয়ে গিয়েছে ব্ল্যাক হোলের দিকে - এর সাথে দৌড়নোর বয়স আপনার চলে গেছে। আপনার দৌড়নোর ক্ষমতা কতদূর সেটা জানতে হলে বরং আগে কিছুদিন ট্রায়াল দিয়ে নেবেন ফাইনাল সাইনিং-এর আগে - মানে বাক্সো-ডেক্সো গুটিয়ে নিয়ে আসার আগে। মাঝের এই বছরগুলোতে আপনাকে বাদ দিয়ে আপনার বাড়ি কতটা অভ্যস্ত হয়ে গেছে সেটাও সেই ট্রায়ালের সময় আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠবে। আর সেটা আপনার পক্ষে বরং উপকারী - কারণ ওই একটা জায়গায় তাল কেটে গিয়ে থাকলে আপনি এই "দেশে ফেরা ফর ডামিজ' হাজারবার পড়েও নিজেকে তৈরী করতে পারবেন না।

    যদি তাল রাখতে পারেন তাহলে এই বইয়ের পরের এডিশন লেখার জন্যে প্রকাশক আপনার বাড়ি ধাওয়া করবে।

    সেপ্টেম্বর ২১, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ১৪১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৬:১৪95966
  • এই বুবুভা সিকি খুঁজছিল;
  • বিপ্লব রহমান | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৬:২৭95968
  • ""কলকাতা অনেক এগিয়ে গিয়েছে ব্ল্যাক হোলের দিকে -  - " 

    বাপ্রে!  এ তো যক্ষপুরী  :/ 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন