এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • সিনে সিনেমা

    বিক্রম পাকড়াশী লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৯৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মানুষের নানা আবেগ, রাগ, অনুরাগ, বিরাগ, আনন্দ, বেদনা, হতাশা, দু:খ, ঈর্ষা, উপচিকীর্ষা, ভণিতা, জিগীষা, বিবমিষা, তিতিক্ষা, ভয়, ভক্তি, কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য্য কেবলমাত্র শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা নেহায়েৎই অসম্ভব। অতএব আমাদের মধ্যবিত্ত বাঙা৯ জীবনে সিনেমার স্থান অতি গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই উক্ত দোষগুণগুলির এবং ভাষার গণ্ডীর বাইরে অনুভূতিমালার প্রকৃত উপলব্ধি হওয়া সম্ভব।

    এই ধরুন, ফরেন রিটার্ন জামাই এরোপ্লেন থেকে সুটবুট পরে নেবে এলেন, তাকে গলায় মালা দিয়ে অভ্যর্থনা করা হচ্ছে, এমন সময় হবু শ্বশুর পাহাড়ী সান্যাল একটি অধিক - ব্যবহৃত সুট পরে হবু জামাইয়ের কাঁধে হাত জড়িয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেন - ""তারপর! ইয়ং ম্যান!'' অথবা ধরুন, কালী ব্যানার্জি, প্রায় সমস্ত সিনেমাতেই হাংগাল সাহেবের ন্যায় চিররুগ্ন, অসহায়, রোগজরাগ্রস্ত (বা অন্ধ) এবং মূলত: মেয়ের বাপ। তিনি জীবনের শেষ শক্তিটুকু নিয়ে খাট থেকে কাঁপতে কাঁপতে উঠে অ্যাঁ: অ্যাঁ: শব্দ করত: পুনরায় মূর্চ্ছিত হয়ে গেলেন - হয় হার্টফেল, নয় পক্ষাঘাত। এইরকম করুণ রস ছায়াছবিতে না দেখিয়ে বই থেকে পড়ার চেষ্টা করলে কেমন অবিশ্বাস্য ঠেকে।

    আসল যেখানে গোটা ছবিটাই অশ্রুজলে টইটম্বুর তখন করুণ রসের আসল কমপ্লিকেশান ও কম্পিটিটিভনেসটা বোঝা যায়। এই মনে করি, চুমকি চৌধুরির ডাবোল রোল। এক বার হয়েছে কি, এক বোন ছোটোবেলায় হাসপাতাল থেকেই তার জুড়ুয়া বোনের পাশ থেকে এক সাপুড়ের হাতে চুরি হয়ে গেছে কারণ সাপুড়ের বৌয়ের আবার মরা বাচ্চা হয়েছে, কিন্তু বৌয়ের জ্ঞান ফিরলে এ দৃশ্য দেখে সে হাটফেল করে মরে যাবে আর সেটাই ঠেকাতে সাপুড়ের এই চুরি। দুই বোনের একজনকে নিয়ে গেলেও আরেকজন তো পড়ে থাকে। তাই। সেই চুরি ধরা পড়েছে থানেদার রঞ্জিত মল্লিকের হাতে, কিন্তু সব জেনেও তিনি চুপ কারণ সাপুড়ের বৌকে বাঁচাতে হবে - ওদিকে বাচ্চা আনতে আনতে সাপুড়ের বৌ সত্যি সত্যি জেগে উঠে হাটফেল করে মরে গেছে, কিন্তু সাপুড়ে একবার যাকে মেয়ে বলে ডেকেছে তাকে আর ফেরৎ দেবে না। অন্য বাচ্চা বেড়ে উঠছে বড়োলোক, কিন্তু কাপুরুষ এক বাবার বাড়িতে যেখানে সৎমা বোনেরা তার সাথে যারপরনাই খারাপ ব্যবহার করে চলেছে এবং বড়োলোকের বাড়ির দু:খী চুমকি নিগৃহীতা হতে হতে শিশু থেকে ক্রমে বিশু হয়ে উঠেছেন। এদিকে সাপের কামড়ে সাপুড়ে মারা গেছে, গরীব চুমকি চৌধুরী সোনামণি, মামণি এইসব বিচিত্র নামের সাপেদের সাথে নেচে নেচে পেট চালাচ্ছেন। সাপগুলি একাধারে গরীব চুমকির রক্ষাকর্তাকর্তৃ, তার ওপর বাবা তারকনাথের চেলা।

    এর পরে দিন যায়, দিন যায়, দিন যায় - রঞ্জিত মল্লিক দুই চুমকিকেই খুঁজে পেয়েছেন। গরীব চুমকির বড়োলোক ছেলে আর বড়োলোক চুমকির গরীব ছেলের সঙ্গে প্রেম। আর তাছাড়াও গরীব চুমকি বলে বাঙাল আর বড়োলোক চুমকি বলে ঘটি ভাষা। তারপরে তো অবস্থা দেখে মল্লিক সাহেব গরীব আর বড়োলোক চুমকিকে বাড়ি পাল্টাপাল্টি করে দিলেন, সাপশুদ্ধু, আর সেই সাপ দিয়ে গরীব চুমকি ছদ্মবেশে বড়োলোক সৎমায়ের বাড়ির সবাইকে ভয় দেখিয়ে এমনি শায়েস্তা করলো যে একেবারে নাজেহাল, নাস্তানাবুদ অবস্থা। সৎমায়ের অত্যাচারের প্রতিশোধ নিচ্ছে চুমকি, সে সোফায় এলিয়ে বসে ক্যাসেট প্লেয়ারে তু চীজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত বাজাচ্ছে আর সৎমা এবং তার ভাই গানের সাথে নাচছে, থামলেই সাপগুলি ফোঁস করে উঠছে। খালি সেই কাপুরুষ বাবা মোটেই ভয় পাননি, সকাল সকাল সিঁড়ি থেকে নেমে এসে বাড়িভর্তি সাপ দেখে খুব নিস্পৃহ স্বরে বললেন ""আচ্ছা, বাড়িতে হঠাৎ এত সাপ ঢুকলো কি করে বলতো?''

    তারপরে ক্লাইম্যাক্সে গরীব প্রেমিককে প্রেমালু মুহূর্তে (সে তো আর জানে না যে এ চুমকি সে চুমকি নয়) একটা সাপ ফচাং করে কামড়ে দিলো, সে মরে গেলো, বাড়িশুদ্ধ লোক হায়হায় করছে, বড়োলোক চুমকি ছুটতে ছুটতে এসে "তুই এ কি করলি বোন' বলে গরীব চুমকিকে ঠাস করে একটা থাপড় মেরে কাঁদতে কাঁদতে চলে যাচ্ছে, এমন সময় একটা পুলিশের জীপে চেপে রঞ্জিত মল্লিক আর গরীব চুমকি তারকেশ্বরে চলে গেলো। তারপরে ফিরে এসে মড়ার চারদিকে বীন বাজিয়ে গরীব চুমকির সে কি বীভৎস নাচগান। সেই শুনে সাপগুলো অবধি স্থির থাকতে পারলো না, মড়ার গায়ে চুমকুড়ি খেয়ে বিষ তুলে নিলো। প্রেমিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে উঠে বসলো। তারপর তো কেবল খেলা, হাসি, গান।

    এমনিতে কিন্তু রঞ্জিত মল্লিক মোটেই এইরকম গুলতাপ্পি মার্কা ক্যারেক্টার করেন না। বহু চরিত্রেই তিনি মূলত: মুশকিল আসান হয়ে অব্যক্তকে ব্যক্ত করে থাকেন। ওঁর চরিত্রগুলির সঙ্গে মূলত: বিবেক, সুটকেস, চাকরি, বৌ ও কিছু অপোগণ্ড এবং দু:খী ভাইবোন, তাদের স্বামীস্ত্রী বাবামা থাকে। বৌ সিরিজের তিনটি অনমোল সিনেমা (বড়, মেজ, ছোট) দেখুন, বা শতরূপা - ব্যাপারটা খোলসা হয়ে যাবে। এর পরে ওনার কাজ হল মূলত: বেকারকে চাকরি দেওয়া, বাড়ির বৌদের আদর ও শাসন, শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমন, দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে স্পেসিফিকালি ক্লাইম্যাক্সে বেল্ট খুলে হাঁপাতে হাঁপাতে চাবুক মেরে "সোয়াইন সোয়াইন' বলতে বলতে। এইটা কিন্তু সোজা নয়। একই লোক, কখনও পুলিশ, কখনও ব্যাংক কর্মচারি, কখনও বাড়ির বড়ো ছেলে - যে আর্থসামাজিক অবস্থাতেই থাক - ঠিক শেষ দৃশ্যে এসে বেল্ট খুলে প্রতিপক্ষকে পিটিয়ে পাটলাশ করে দিচ্ছে।

    সিনেমায় প্রেম ও ভায়োলেন্সের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলা সিনেমায় মূলত: নৃত্যগীতের মাধ্যমে অদ্ভুত মদন রসের সঞ্চার করা হয়ে থাকে। এ বস্তু কালিদাস বা বিদ্যাপতির সাধ্যের অতীত। এবারে ধরুন চুমকি চৌধুরি একক রোলে, একসার ঝোপের পেছনে নলবনে তিন মণ ভারী ঘাগরা পরে আড়াআড়ি নড়ছেন, তার পাশেই ভরত কল হাঁটু বেঁকিয়ে হাত দুটোকে ভারতনাট্যমের কায়দায় তুলে এনে ঝাঁকি দিচ্ছেন (ভরতের কোমরের ওপর স্থাবর ও তলা জঙ্গম) এই গাইতে গাইতে - "আমরা দুজনে (হিঁক) আমরা দুজনে (হিঁক) আমরা দুজনে (হিঁক হিঁক) ...।' রোমহর্ষ।
    কোথায় লাগে ঋতুপর্ণ ঘোষের ""বেণুদি, তুই ...।''

    তবে ছায়াচিত্রের জগতের মূল ডিবেট ও দ্বিচারিতা একটি ক্ষেত্রেই - মদ্যপান। বহুদিন ধরে মল্লিক সাহেব "তুই মদ খেচিস!' বলে লোকজনকে একটি চড় কষিয়ে ও বড়োলোকের বাড়ি বোতলবাজি বন্ধ করে যে মরাল গ্রাউন্ডটি পাকা করেছিলেন সেটিকে খামোখা গুরুদেব মিঠুন চক্কোত্তি এসে প্রায় ডজনখানেক সিনেমায় ক্রমাগত মদ খেয়ে এমন করলেন যে উনি দাঁড়ানো মাত্র জায়গাটা গরম হলো, তারপর তাতে আগুন জ্বললো, সব শেষে ছাই পড়ে থাকলো। এই বিরোধ কিন্তু ঘুষ নেবার বেলায় নেই। খালি গুরুদেব এখানে মেরে লাশটি শ্মশানে পাঠান, আর মল্লিকসাহেব অনেকটা ক্ষমার্হ। এই ধরুন ওনাকে কেউ উপকারের প্রতিদানে পেস্তার টিন দিতে গেলো, উনি সেটিকে আছড়ে ফেলে বললেন ""গেট আউট। বেরিয়ে যান। সোয়াইন। শুয়োর।'' কিন্তু গরীব ছেলেটি যখন মল্লিক সাহেবের দয়ায় কোম্পানী খুলে দাদা এটা রাখুন
    বলে এক সুটকেস টাকা দিতে এলো তখন প্রথমে তাকে একটা চড় মেরে নোটগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিলেও যখন সে পা জড়িয়ে ধরে বললো ""দাদা। মন্দিরে তো ভগবানের কাছে কত লোকই কি কিছু না কিছু দিতে আসে। তাকে কি ভগবানকে ঘুষ দেওয়া বলে? আমি আমার ভগবানকে প্রণাম করতে এসে কিছু দিতে গেছিলাম, কিন্তু তার জন্য যে আমার দাদাকে চিরকালের জন্য হারাতে হবে সে আমি ভাবতেও পারিনি দাদা (হাউ), সে আমি ভাবতেও পারিনি (মাউ ও নি:শব্দ অশ্রুপাত)।'' , তখন রঞ্জিত মল্লিক দ্রব হয়ে বললেন, "ঠিক আছে, ঠিক আছে। তোমাকে এবারের মতো ক্ষমা করে দিলাম। এই টাকাটা নিয়ে চলে যাও আর যাবার আগে এক কোটি টাকার অর্ডারটা নিতে ভুলো না কিন্তু !'

    সে তো আর জানে না, যে কদিন বাদেই বিপাকে পড়ে মল্লিক সাহেব তার কারখানাতে একটা ধুতি আর পাঞ্জাবী নিয়ে গিয়ে বলবেন ""চলো তোমাকে একটি লগ্নভ্রষ্টা হতে যায় এমন মেয়েকে বিয়ে করতে হবে, যাকে আমার ছোটোভাই ঠকিয়েছে'' - আর সে ""আজ আমার দেবতা আমার বাড়ি এসেছেন। আজ তোমাদের ছুটি।'' বলে কারখানা বন্ধ করে বিয়ে করতে যাবে। ওয়ার্কাররা সেলাম বাবু, নমস্কার বাবু, করতে করতে বেরিয়ে যাবে।
    এর পরে প্রণিধানযোগ্য হলো মারপিট। একেক লোক একেক ভাবে এটিকে নিয়ে থাকেন। প্রথমে ধরি অবলা স্কুল গার্ল, বাপ মা মরা, বুড়ি পিসীর সাথে রাতে বাড়ি ফিরছে, এমন সময় তাকে কটা চোখো দুষ্টু লোকে ধরলো। মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাবে যাবে অবস্থা, বুড়ি পিসী হে ঠাকুর, হে শ্রীকৃষ্ণগৌরাঙ্গনিতাই এইসব করছে, এমন সময় মিঠুন চকরবরতি এক নিপ রাম খেতে খেতে সেই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন। উনি তৎক্ষণাৎ রামের বোতল ঠনাৎ করে মাটিতে ভেঙে তারপরে উড়ে গিয়ে একজনের মুখে জোড়া পায়ের লাথি চালালেন, তারপরে একজনকে পায়ের গোছ ধরে বনবন করে ঘোরাতে ঘোরাতে বাকিদের দিকে ছুঁড়ে দিলেন। বাস, কেল্লা ফতে। বুড়িপিসী বললে - তুমি আমার ভগবান। মিঠুনদা বললেন আমি ভগবান, শয়তান কাউকে বিশ্বাস করি না, মরতে নয়, মারতে এসেছি - আর ব্যাকগ্রাউন্ডে কোরাস উঠলো ""অভিমন্যু! অভিমন্যু!''।

    এইটাই মল্লিকসাহেব হলে অন্যরকম ভাবে করবেন। একটা বাপ-মা মরা মেয়ে ইস্কুলে যাচ্ছে, দিনের বেলা, তার গায়ে দুষ্টু লোক আধ ভাঁড় চা ফেলে দিয়ে বললো খুকুমণি, তোমার সাদা শাড়িটা একটু রাঙিয়ে দিলাম, আর তার উত্তরে মেয়েটি বললো "কাকু, তুমি কেন এমন করলে, আমার যে ইস্কুলে যাবার একটাই শাড়ি, এবারে আমি কি করবো?' - অত:পর রোদন ও কাকুদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অশালীন ইঙ্গিত, কাপড় ধরে টান এইসব। এই অবস্থায় মিলিটারি পোষাক পরা রঞ্জিত মল্লিকের আবির্ভাব, দুষ্টু লোকের মুখে অতর্কিতে এক ঘুষি, ঠোঁট ফাটিয়ে দিয়েছে। - ""শোনো, তোমার ঐ শাদা শার্টটা এমন করে রাঙিয়ে তোমার দরজায় টাঙিয়ে রাখবো যে রোজ বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ঠাকুর প্রণাম করার মতো তোমার আমার কথা মনে পড়বে। আমার নামটা মনে রেখো - নবাব।'' তারপরেই একটি গান - একটি গাদা বন্দুক হাতে মিলিটারি পোষাক পরে রঞ্জিত মল্লিক দাঁড়িয়ে, গাড়ি আপনা থেকেই এগিয়ে চলেছে, পেছনে গান হচ্ছে নবাব, নবাব, নবাব ...। এগুলি হলো বীররস।

    ঐ একই সিন আবার তাপস পালকে দিলে হবে না। ওনাকে মৃদুসখী পার্ট দিতে হবে। যেমন গায়ক টাইপ। গায়ক তাপস পাল পয়সার গরমে অন্ধ হয়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। যথারীতি ভিলেন আছে তাপসের বাড়ির সবচেয়ে দামী বিছানায় ঘুমিয়ে। তাপস ক্রোধে ও শোকে অন্ধ হয়ে সেই ঘুমন্ত লম্পটের ঘরে পা টিপে টিপে ঢুকে চিৎকার করতে করতে মশারির দড়ি ছিঁড়ে ঘুমন্ত ব্যক্তির কলার ধরে ঝাঁকিয়ে তুলে ডানপটকান দিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মর্দন করছে ও পদাঘাত করছে, আর ভেউভেউ করে কাঁদছে। ভিলেনের বাবা বলছে, ""আহা ওকি, ওকে মারছো কেন?'' আর ভাঙা ফ্যাসফ্যাসে গলায় তাপস পাল জবাব দিচ্ছে ""আপনারা জানেন না আপনারা আমার কি করেছেন।'' অহো যীশু।

    অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে যে সাহিত্যের যেখানে শেষ সেখানে সিনে সিনেমার শুরু। আসুন সকলে মিলে এই সমস্ত সিনেমার শুরুতে যে আদ্যস্তোত্রটি টাইটেলের অনতিপূর্বে শুনতে পাওয়া যায় সেটি স্মরণ করি - ""জয়ন্তীমঙ্গলাকা৯ ভদ্রকা৯ কপা৯নী দুর্গা ক্ষমা শিবধাত্রী স্বাহা স্বধা নমহোস্তুতে''।

    ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৯৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kiki | 185.100.20.215 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৯89279
  • ঃ)))
  • Sumana Sanyal | 57.11.5.68 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:২৮89280
  • বিক্রম পাকড়াশি, হেব্বি লাগলো। পোচ্চণ্ড হাসলাম। সুখেন দাস আর আমাদের বুম্বাদা, ইতুপন্না বাদ পোল্ল কেনো গুরু? চিরঞ্জিতদাকেও বাদ দিলেন? বউ হারালে বউ পাওয়া যায়্রে পাগলা, মা পাওয়া যায়না। এই যুগান্তকারী ডায়ালগে চিরঞ্জিতদার সেই মড্যুলেশন! আহা!! আমাদের বুম্বাদার " আমি চুরি করিনি মা আ আ" আর কেই বা এমনভাবে চোয়াল শক্ত করে বলতে পারে? তৎসহ ইতুপন্নার সরু গলায় "ও বাপী এই বাজে ছেলেটাকে তুমি এক্ষুনি তাড়িয়ে দা আ আ ও" আর আমাদের বাংলার সেরা নায়িকা শতাব্দীর
    আধো আধো উচ্চারণ আর অদ্ভুতরকম পশ্চাদ্দেশ ঘুরিয়ে নাচ!! মধু মধু
  • দেবারতি | 127.226.130.11 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৭89271
  • যা তা একেবারে
  • দেবারতি | 127.226.130.11 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৭89270
  • যা তা একেবারে
  • বিপ্লব রহমান | 113.231.160.188 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৮89281
  • জট্টিল হৈছে গো!
  • dc | 132.174.188.45 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১২89272
  • উত্তাল হয়েছে :d তবে আমাদের সবার প্রিয় সুখেনদার উল্লেখ থাকলে একেবারে জমে দৈ হয়ে যেত।
  • | 52.107.65.5 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:৪৩89273
  • উফফ ভিকিদাও কি শেষে গম্ভীরমত কবি লেখক কিছু একটা হয়ে গেছে নাকি?
  • | 52.107.65.5 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:৪৪89274
  • মানে আজকাল আর একদমই লিখতে দেখি না কিনা।
  • de | 69.185.236.53 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:৪৯89275
  • :)))) ফাটাফাটি!
  • pepe | 113.21.127.78 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:৩১89276
  • হা হা প গে পুরো
  • শঙ্খ | 52.110.205.147 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:২৯89277
  • বাহবা। নোংরা হয়েছে।
  • Blank | 213.132.214.87 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:০৭89278
  • দারুন
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন