এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নারীদিবসঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১০ এপ্রিল ২০১৫ | ৭৬৪৪ বার পঠিত
  • হ্যাঁ, নারীকে নিয়েই কথা আসে সারাবছর, অজস্র কথা। জীবন এফোঁড়-ওফোঁড় করে চলে যায় নানারঙের কথা। সেইসব কথার পিঠে চড়ে আসে ভাবনারা। প্রশ্নেরা। ঘুরে বেড়ায় আলগোছে। নারীদিবসের আশেপাশে এইসব ভাবনাগুলো জমাট বাঁধে, মাথায় চড়ে বসে।  আমাদের তাগাদা দেয় পুরোনো পড়া ঝালিয়ে নিতে। আর সেই পুরোনো পড়া পুরোনো ভাবনা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতেই কোথাও কোথাও নতুন কথাও জুড়ে যায় জায়গামত। এবারের পুরোনো পড়া ঝালানোর সময়েই পড়লাম স্বাতী ভট্টাচার্যের ‘ঘরোয়া’ (আনন্দবাজার পত্রিকা, ৮ই মার্চ)। খোদ নারীদিবসে দাঁড়িয়ে একজন নারীই যখন মেয়েদের ‘গুছিয়ে সংসার করার মোহে’র দিকে আঙুল তোলেন, তখন একটু ধাক্কা খেতে হয় বইকি, মানে এইটা ঠিক পুরোনো পড়ার সিলেবাসের মধ্যে ছিল না তো বরং (এই সাংবাদিকের লেখা) যেসব পুরোনো পড়া মনে পড়ে যায়, সেখানে উনিই সওয়াল করে এসেছেন মেয়েদের ঘরোয়া কাজের মূল্যায়নের পক্ষে; সারামাসের রান্নার লোকের মাইনের সঙ্গে বা বারো ঘন্টার আয়ার মাইনের সঙ্গে ড্রাইভার বা মিস্ত্রীর মাইনের একেবারে সোজাসুজি তুলনা করেছেন। তাহলে কি দুটোই সত্যি ! এইখান থেকে শুরু হয়ে যায় আমাদের লেখাপড়াশোনা যার সরল অর্থ হল আজকের পড়ার মধ্যে নতুন ও পুরোনো সবরকমের কথাই থাকবে, নারী ও আনাড়ি সকলের কথাই নামে ও বেনামে থাকবে।


     


    মেয়েলী ও ঘরোয়া


    তবে মেয়েদের যাবতীয় ‘মেয়েলী’ কাজকারবারের মূল্যায়নের কথা উঠলে প্রথমে একতরফা চাট্টি কথা শুনতেই হবে। কারণ সোজা কথাটা হল, যুগ যুগ ধরে যেসব কাজ মেয়েরাই পেরে এসেছে আর করে এসেছে সংসারে সেগুলোকে যথেষ্ট মূল্যবান বলে কেউ ভাবেন নি আর তার কোনও স্বীকৃতিও সেভাবে দেননি। বাড়ির পুরুষটি বাইরে কাজ করেন, তাঁর কাজটা গুরুত্বপূর্ণ, তাঁর বিশ্রাম এমনকি তাঁর বিনোদনটিও গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু বাড়ির মহিলাটিকে ‘হাউসওয়াইফ’ থেকে ‘হোমমেকার’ যে নামই দিন না কেন তাঁর কাজটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন, আর কতটুকু স্বীকৃতি দিয়েছেন, সে প্রশ্নটা এবার নিজেকেই করুন। সেটা কাপড়ে সূক্ষ্ম ফোঁড় তুলে নকশা তোলাই হোক কি রোজকার থোড়-বড়ি-খাড়ার মধ্যে থেকেই বিচিত্র পদের রান্না হোক, বা বড়ি-আচার-উলবোনা-আলপনা থেকে ঘরদোর পরিপাটি সাজিয়ে রাখা্র নিপুণ ঘরকন্না হোক। ভেবে দেখেননি এই কাজগুলোও নেহাৎই প্রয়োজনভিত্তিক নয়, এদেরও কিছু নান্দনিক মূল্য আছে, এদের পেছনেও কিছু চিন্তা-ভাবনা-সৃজনীশক্তি খরচা হয়, যা সকলের ক্ষেত্রে ঠিক একইরকম নয়। অর্থাৎ ওই যে সর্ষেবাটা-মোচাকাটা থেকে শুরু করে সুগোল ধপধপে লুচি সমেত যা যা আপনি ‘আহা মায়ের হাতে কি চমৎকার হত !’ ভেবে এখন আপ্লুত হয়ে পড়েন, আর ভাবেন ঠিক মায়ের মত কেউ পারে না, ভেবে দেখবেন যখন নিয়মিত সেগুলো পেয়েছেন, তখন সেগু্লো কতটা দামী ভেবেছিলেন, আর তার জন্য  মাকেই বা তখন কতটুকু ধন্যবাদ দিয়েছিলেন ? আর আপনার ঘরে যে মহিলা ‘মায়ের মত’ পারেন না, তিনি যা যা পারেন সেটাই বা এখন কতটুকু মনো্যোগ দিয়ে লক্ষ্য করেন ? তিনি সারাদিন বাইরে না গিয়ে ঠিক কি কি করেন, বিশ্রাম পেলেন কিনা বা ইচ্ছে থাকলেও কি কি করে উঠতে পারলেন না, সে খবরই বা কতটা রেখেছেন ? খেয়াল করলে দেখবেন দুদিনের জায়গায় তিনদিন একঘেয়ে রান্না খেতে হলে বা ঘরদোর অপরিস্কার বা অগোছালো থাকলে আপনারও ভালো লাগছে না, লাগার কথাও নয়। তখন আপনিই বলে উঠছেন (উচ্চগ্রামে কিম্বা মনে মনে) ‘সারাদিন কি যে করে’। কিন্তু যখন সব কিছু ঠিক ঠিক চলে তখনও মনে করেন ‘সারাদিন তো ঘরেই থাকে...’ অর্থাৎ ঘরের কাজটা ঠিক যেন কোনও কাজই নয়। আপত্তিটা এখানেই। 


    না, এই আলোচনায় কর্মরতা মেয়েদের কথা এখনই আনছি না। আর মনে রাখতে বলছি যে এই লেখা একটা বিস্তৃত মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে লেখা যেখানে মেয়েরা মূলতঃ ঘরের কাজ করেন এবং সব ঘরের সব কাজই করেন। তাই যে সব উচ্চশিক্ষিত নেটিজেন এই লেখা পড়ছেন আশা করব তাঁরা নিজের পরিবারের সঙ্গে মিল না পেলেই এই সব কিছুকে যেন কষ্টকল্পনা ভেবে বসবেন না। 


    যে কথা বলছিলাম, এই আলোচনা মেয়েদের ওপর সংসারের চাপ নিয়ে নয়, চাপ পুরুষের ওপরও কিছু কম নয়। শ্রম বন্টনের নিয়ম মেয়েরা (বা যিনি ঘরে থাকেন) তিনি ঘরের কাজ করবেন, এর মধ্যে অন্যায় কিছু নেই। কিন্তু সেই কাজকে এবং সেই সম্পর্কিত দক্ষতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়াটা যে এক রকমের অজ্ঞতা, সেটাই এখানে বলবার কথা। মেয়েরা যে স্রেফ ‘হৃদয়তাপের ভাপে ভরা ফানুস’ তাদের হি-হি হাসি কিম্বা চোখের জল, সকলই নেহাৎ অকারণ, তাতে বিশেষ মনোযোগ না দিলেও চলে, এই ধারণা বংশানুক্রমে চারিয়ে গেছে সমাজে। মেয়েদের শাড়ি-গয়নার আলোচনাই হোক বা রান্নাবান্না বা শাশুড়ি-ননদের নিন্দে, সবই শুধুমাত্র ‘মেয়েলী’ বলেই যেন তা ছেলেদের গাড়ির ‘মডেল’(উভয় অর্থেই) বা বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে আলোচনা কি অফিসের বসের / সহকর্মীদের নিন্দেমন্দ থেকে ইতরগোত্রীয়। অথচ যে যে জগতে থাকে সে তো সেই জগতের কথাই আলোচনা করবে, কোন জগতটাই তো মিথ্যে নয়, অর্থহীনও নয়, এর মধ্যে উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ আসছে কোথা থেকে ? সেসব কেউ ভেবে দেখে না। এমনকি মেয়েরাও না।


     


    বাইরে আসা


    হ্যাঁ, ভেবেচিন্তেই বললাম। মেয়েলী গুণপনাকে এই যে পাইকারী হারে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, এই অবহেলা পেতে পেতেই একটা সময়ে মেয়েরাও নিজেদের ‘মেয়েলী গুণ’গুলোকে (এবং মেয়েলী কাজগুলোকে) মূল্যহীন ভাবতে শুরু করেছে। ‘নিজের পায়ে দাঁড়ানো’র কথা ভাবতে শুরু করেছে যার একমাত্র অর্থ হল বাইরে বেরিয়ে ‘পুরুষের মত’ উপার্জন করা। আজ যে মেয়েরা চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ-পঞ্চাশের কোটায়, তারা যে একদিন সংসারের প্রয়োজনে নয়, নিজের প্রয়োজনেই দলে দলে বেরিয়ে এসেছিল, তার একটা কারণ কিন্তু এই যে তাদের শিশুকালে অনেকেরই মায়েরা ভেবেছেন তাঁর মেয়ে যেন তাঁর জীবন না পায়। অর্থাৎ শুধুমাত্র সংসারের ‘থ্যাঙ্কলেস জব’-এই মেয়েরা আটকে থাকুক সেটা মেয়েরাই (মানে মায়েরাই) চাননি, চেয়েছেন যে কাজ অর্থমূল্যে বিচার হয় সেইরকম কিছু করতে। যার ফল হল আজকের কর্মরতা মহিলা প্রজন্ম, যাঁরা সংসার ও চাকরী মোটামুটি নিপুণভাবেই সামলে নেন কিন্তু হয়তো ওই তথাকথিত ‘মেয়েলী’ কাজগুলোর জন্য খুববেশী সময় দিতে পারেন না। একটা সময় অবধি যেটা অলিখিত নিয়ম ছিল, অর্থাৎ মেয়েরা শুধু ঘরের কাজ করবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, সেটা নিঃসন্দেহে খুব খারাপ ছিল। সেই নিয়ম চুলোয় গেছে, মেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজকর্ম করছে, নিজের বিদ্যেবুদ্ধির সদব্যবহার করছে, এর কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু এইখানে এসে একটা প্রশ্ন খুব তীব্র হয়ে ওঠে, স্বাধীন হতে গেলে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে গেলে বাইরে এসেই কাজ করতে হবে কেন ? বাইরে কাজ করেন না যে মহিলা, তিনি কি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নেই ? যাঁর নিরন্তর সেবা বা পরিষেবাটুকু বাদ দিয়ে তাঁর সংসার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না, তিনি বাইরে না বেরোনো অবধি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন এমনটা ভাবতে পারেন না কেন ! তার মানে শুধু বাইরে বেরিয়ে উপার্জন না করা অবধি একজন নারী যথার্থ স্বাধীন হচ্ছেন না, তাঁর গুণাবলীর এমনকি মতামতেরও কোনও মূল্য থাকছে না, যদিচ তিনি গৃহকর্ম দ্বারা সংসারকে একরকম ধারণ করেই আছেন। এতদ্বারা গৃহকর্মের মূল্যের যে অবনমন হচ্ছে ব্যাপারটা কি সত্যিই ততটাই অর্থহীন ? দারুণ রান্না বা সেলাই করতে পারা, ঘর সাজাতে পারা, গান গাইতে পারা, এইসবের কি সত্যিই কোনও মূল্য নেই ! 


    হ্যাঁ, ততটাই অর্থহীন না হলেও ততটাই মূল্যহীন, যতক্ষণ না সেটা অর্থমূল্যে বিচার হচ্ছে। না হলে এত বছরে এত কিছু বদলে গেল কিন্তু কেউ শুধু সংসারের কাজ করাকে একটা পেশা হিসেবে দেখতে শিখল না কেন ? আর যিনি নিজে সংসারের উনকোটি কাজ করে চলেছেন, তিনিই বা কেন ‘আমি কিছু করি না’ জাতীয় হীনমন্যতায় ভোগেন ? কেনই কোন মহিলার স্বামী ঘরের কাজ করলে তিনি সেটা স্বীকার করতে লজ্জা পান ? আমি বেশ কয়েকজন মধ্যবিত্ত বাড়ির মহিলার কথা জানি, যাঁরা শুধু ‘নিজের হাতে রোজগার’ করার তাগিদে কেউ দিনের শেষে ব্লাউজে বোতাম পরাচ্ছেন, কেউ কোন কোম্পানীর প্রসাধন সামগ্রীর এজেন্সী নিয়েছেন, কেউ কোন ব্যাঙ্কের জনসংযোগ বাড়াবার জন্য ফোন করছেন। এই কোন কাজই তাঁদের বিশেষ পারদর্শীতার চর্চার জন্য নয়, ভালবেসে করা কাজ নয়, এই কাজ করে যা হাতে আসে তা সংসার খরচে বিশেষ সুবিধে ঘটাবার মত নয়, কিন্তু সেটা তার ‘নিজের রোজগার’। সেইটুকু রোজগারের সময় বার করার জন্য তাঁরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন, স্বামী-ছেলেমেয়েদের কাছে হয়তো নানারকম কথাও শোনেন, কিন্তু তাঁরা জানেন এইটা ছেড়ে দিলে তাঁর নিজের উপার্জন কিছু থাকবে না। স্বামীরা হরদম বলবেন ‘তুমি কাজটা ছেড়ে দাও, ওইটুকু টাকা আমিই তোমায় দেব’, কিন্তু আসলে তা দেবেন না। কারণ গৃহশ্রম অ-মূল্য নয়, মূল্যহীন। সেইটুকু উপার্জন না করতে হলে সেই মহিলা হয়তো সেই সময়ে নিজের শখেই কিছু সেলাই করতেন, নতুন কিছু রান্না করতেন, ঘর সাজাতেন, বা গান নিয়ে বসতেন, কিন্তু সেই ‘মেয়েলী’ কাজের কোনও অর্থমূল্য নেই, তা তাঁকে স্বাভাবিক মুক্তি দিতে পারেনি, তাই তাকে বিসর্জন দিতে হল স্রেফ উপার্জনের চাপে। অথচ সেই মেয়েদের হাতের তৈরী বড়ি-আচার-নাড়ু-পিঠে বা হাতে সেলাই করা আসন-কাঁথা-সুজনিই আপনি কিনে আনছেন মেলা থেকে, কিঞ্চিৎ গর্বিত হয়েই দেখাচ্ছেন সবাইকে, তখন তা অবশ্যই ‘মূল্যবান’।


     


    আসল কথাটিঃ বেতনক্রম


    যাঁরা ভাবছেন এইবার ঝোলা থেকে বেড়াল বেরোল বলে, তাঁদের সবিনয়ে জানাই, এক্কেবারে ঠিক কথা ভেবেছেন, এই বেড়ালটিকে যথাস্থানে বের করার জন্যই অর্থাৎ গৃহশ্রমকে সবৈতনিক করে তোলার দাবীকে যুক্তিযুক্ত ও যাথাযথভাবে পেশ করার জন্যই এত গৌ্রচন্দ্রিকা। একান্ত বাসনাটি হল যে এই ব্যাপারটি নিয়ে একটু ‘সলিড’ চিন্তাভাবনা হোক। কারণ এই বিষয়টা নিয়ে মূলতঃ কথা ছোঁড়াছুঁড়িই শুনতে পাই, কিন্তু গঠনমূলক বাস্তবসম্মত কিছু প্রস্তাব অন্ততঃ আমার চোখে পড়েনি। বরং এই প্রশ্ন উঠলেই সবাই গেল গেল রব তোলেন যেন এই বিষয়টির পণ্যায়ন হলেই সামাজিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে, গৃহকর্ম যে ভালোবাসার বিনিময়মূল্যে দেওয়া-নেওয়া হয় তা নষ্ট হবে। কিন্তু ভেবে দেখুন গায়ক, লেখক, বিজ্ঞানী, শিল্পী সবাই যদি পারিশ্রমিকের বিনিময়েই ভালোবাসার কাজ করে থাকেন তবে ঘরের কাজের ক্ষেত্রে আলাদা হবে কেন ? উপরন্তু গৃহকর্ম সবৈতনিক হলে মেয়েদের এই ‘নিজের পায়ে দাঁড়ানো’র জন্য বাইরে বেরোনোর দরকার কমবে আর সংসারের কাজে সময় দেওয়া বা ভালবাসাও বাড়বে বই কমবে না। তবে হ্যাঁ, কারণে অকারণে ‘রোজগার তো করতে হয় না, তাহলে বুঝতে!’ বলার কু-অভ্যেসটা আপনাকে ছাড়তে হবে। সত্যি বলতে কি ৫২ গুন ৭ দিন সংসারের ‘ভালবাসার দাবী’ যাঁরা মেটাচ্ছেন দিনের শেষে তাঁদের মুখে ‘ভূতের বেগার খাটার’ হতাশা তো কখনো না কখনো বেরিয়েই আসে, তাই মনকে চোখ না ঠেরে তাঁর প্রাপ্যটা স্বীকার করেই নিন না ! 


    তবে বেতনের পরিস্কার একটা কাঠামো থাকা দরকার। এটা স্পষ্ট হওয়া দরকার যে এটা তার বেতন, উপহার বা হাতখরচা নয় আর স্বামী এখানে দাতা নয়। যে ভাবে স্বামীর অবর্তমানে তার পেনশন স্ত্রীর কাছে আসে, ডিভোর্সী স্ত্রীর কাছে খোরপোষের টাকা আসে, তেমনিই যেকোন বিবাহিত পুরুষের বেতনের একটা অংশ তার স্ত্রীর কাছে আসবে যেটা ঘরের কাজ করার জন্য তাঁর বেতন, তাঁর নিজস্ব উপার্জন। তিনি যদি ঘরের কাজের জন্য পরিচারিকা রাখতে চান তো সেই বেতন থেকেই পরিচারিকার মাইনে হবে। (ফলে পুরুষটিও কিছুটা শান্তি পাবেন এই ভেবে যে তাঁর অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে)। কিন্তু এছাড়া সেই টাকা মহিলাটি কিভাবে খরচ করবেন, কি কিনবেন, কাকে দেবেন সেটা তাঁর ব্যাপার। মহিলাটি চাকরী করলে এই বেতন বন্ধ হয়ে যাবে, সে ক্ষেত্রে ঘরের কাজ তাঁরা দুজনে ভাগ করে করবেন না ‘আউটসোর্স’ করবেন, সেটা নিজেরা ঠিক করবেন। তবে হিসেব মত ‘আউটসোর্সিং’-এর খরচ দুজানেরই দেওয়া উচিৎ। এই পদ্ধতি মেনে চললে যে মহিলা নিজের হাতে সব করেন এবং যিনি সব কাজের জন্যই কাজের লোকের ওপর নির্ভর করেন তাঁদের মধ্যে নিজস্ব উপার্জনের ভিত্তিতে একটা তফাৎ থাকবে, সেটাও যুক্তিযুক্ত। আর যদি কোন সংসারে মহিলাটি বাইরে কাজ করেন, এবং স্বামীটি ঘরে থাকেন, তবে একইভাবে তাঁর বেতনের একটা অংশ তাঁর স্বামীর কাছে বেতন হিসেবে আসবে, সেটাও কোনোভাবেই ‘বৌ-এর পয়সায় খাওয়া’ হিসেবে বিবেচ্য হবে না। 


    এই লেখায় ভুল বোঝার বহু সুযোগ আছে, সে সব মাথায় রেখেই লিখছি। এই লেখা থেকে কেউ যদি মেয়েদের চাকরী করার বিরোধি বা মেয়েদের গৃহকর্ম অভিমুখী হবার দরকারী জাতীয় কোন বার্তা পান তো সেটা নেহাৎই লেখকের বোঝানোর ত্রুটী। এমনকি এই লেখা সরাসরি নারী-পুরুষ মেরুকরণের কোনো ধারণাকেও প্রশ্রয় দিচ্ছে না। সাধারণভাবে মহিলারাই গৃহকর্ম করেন বলে এখানে বার বার মহিলাদের কথাই আসছে কিন্তু এর মূল উপজীব্য হল গৃহকর্ম। গৃহশ্রমকে একেবারেই গুরুত্বহীন ভাবার যে সামাজিক নির্মাণ সেটা এবং তার প্রভাব (মূলতঃ মেয়েদের ওপর) নিয়ে এই লেখায় একটু চিন্তাভাবনা করার চেষ্টা হয়েছে। যে মেয়েরা বাইরে কাজ করতে চান, নিজেকে প্রমাণ করতে চান করুন, কিন্তু যারা জমিয়ে সংসার করতে ভালবাসেন তাঁরাও যেন নিজের পায়ে না দাঁড়াবার হীনমন্যতা থেকে বেরোতে পারেন। আর সে জন্য তাঁদের নিজস্ব মেয়েলী গুণপনাগুলোকে বিসর্জন দিতে না হয়। 


     


    বিপদসঙ্কেত


    এই পদ্ধতি একেবারে ত্রুটিহীন এমন দাবী করা যায় না এবং সমস্ত পদ্ধতির মতই এখানেও কিছু ধোঁয়াশাপূর্ণ জায়াগা থাকবে, সেগুলোও একটু ভেবে রাখা ভালো। যেমন কোন কোন কাজ ঠিক গৃহশ্রমের মধ্যে পড়বে, সেটা ঠিক করাই সবচেয়ে কঠিন। যাঁরা ব্যাবসা করেন তাঁদের স্ত্রীরা বেতন কিভাবে পাবেন বা গৃহবধুটি যদি কাজের ক্ষেত্রে বাড়ির অন্যন্য সদস্যের (শাশুড়ি, ননদ)সাহায্য নেন তবে বেতন ভাগাভাগি কি ভাবে হবে সেটা নিয়েও পরিস্কার করে কিছু ঠিক করা মুস্কিল । তাছাড়া গৃহ-পরিষেবা ক্রয়যোগ্য হলে পুরুষটির দাবী হয়তো বেড়ে চলবে, উল্টোদিকে মেয়েদের ‘পারব না’ বলার সুযোগ কমে যাবে। এতে মেয়েদের ওপর চাপ কার্যতঃ বেড়ে যেতেও পারে। তবে আমার ধারণা একটা মানুষ কতটা ‘ডিম্যান্ডিং’ হবেন সেটা কিছুটা তাঁর চরিত্রগত। যিনি এমনিতে নিজের টুকিটাকি কাজ করে নেন, শুধুমাত্র স্ত্রী মাইনে পাচ্ছে বলেই নিজে জলটুকুও ঢেলে খাবেন না, এমনটা হবার কথা নয়। আর তেমন হলে সেই প্রতিবাদ মহিলাটিই করবেন, তিনি তো স্বাবলম্বী। 


    তবে ওই যে কথা বলা আছে ওই ‘ঘরোয়া’ প্রবন্ধে, যে মেয়েদের চুটিয়ে সংসার করার এক তীব্র আকর্ষণ, সেটা কিন্তু সমস্যার আর একটা দিক। ওই ‘ঘরোয়া’ বিষয়ে কথা বলেছিলাম অনেকের সঙ্গে, দেখা গেল পুরুষেরা অনেকেই রে-রে করে উঠলেও লেখাটার সঙ্গে মেয়েরা (ব্যক্তিগত অভজ্ঞতার মাপে) বিভিন্ন মাত্রায় একমত, মানে এই সংসারের ঝুল ঝাড়া-কাপড় কাচা-পর্দার সঙ্গে চাদরের রঙ মেলানো (কাজগুলো ঠিক এইই নয় সব সময়, বদলে যায় এক নারী থেকে অন্য নারীতে) এতে মনে প্রসারতা বাড়ুক না বাড়ুক মেয়েদের কাছে যে এগুলো খুব জরুরী এবং সেই জরুরী ভাবাটা মেয়েদের এগিয়ে যেতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সেটা মেয়েরা কেউ  সরাসরি অস্বীকার করতে পারছেন না। এই কাজগুলো চলনসই ঘরনের অর্থকরী হয়ে উঠলে মেয়েরা অনেকেই হয়তো বাইরের জগতের ‘চ্যালেঞ্জিং’ কাজে সেভাবে দলে দলে এগিয়ে নাও যেতে পারেন। আবার যেহেতু স্বামীর বেতন থেকে স্ত্রীর বেতন হচ্ছে, তাই স্ত্রীকে চাকরী করতে না দেওয়াটা স্বামীর অধিকারের মধ্যে পড়ে যেতে পারে (মানে স্বামী সেটা ভেবে ফেলতে পারেন !)। সেটা কি তথাকথিত ‘নারীমুক্তি’র বিরোধী হয়ে উঠবে বা বাইরের জগতে যে নারী-পুরুষ সাম্য আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে, তাকে টাল খাইয়ে দেবে ? বিশেষ করে ততটা অর্থকরী নয় এমন যে কাজগুলো মূলতঃ সময় কাটাবার জন্যই মেয়েরা করে থাকেন, যেমন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুকল্যাণেরই তো কাজ বেশীর ভাগ, সেসবও যদি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, সেও তো খুব ভালো হবে না ! অনেক সময় মেয়েরা প্রথম দিকে কাজের জগত থেকে সরে দাঁড়ালেও, সংসারের চাপ কিছুটা কমলে আবার কাজের জগতে ফিরে আসতে চান, বেতনক্রম চালু হয়ে গেলে সেই তাগিদটাও কমে যাবে না তো ! 


    তবে এইসব প্রান্তিক সমস্যার কথা ভেবে তো কেন্দ্রীয় সমস্যাটাকে দুরে সরিয়ে রাখা চলে না। আসলে একটা পদ্ধতি বাস্তবায়িত হতে শুরু না করলে তার ত্রুটিগুলো বোঝা যায় না, সমস্যাগুলোরও মোকাবিলা করা যায় না। তাই সাহস করে মেয়েদের বেতন দেওয়াটা চালু করে না ফেললে কিচ্ছু বোঝা যাবে না। তাই আসুন আমরা এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করি, কারণ আজকের আলোচনাই কালকের তুলোধোনা (বিরোধি-পক্ষকে) হয়ে উঠবার ক্ষমতা রাখে !


    পুনশ্চঃ আগেই বলেছি এই লেখা আসলে অনেকের লেখা। অনেকের মতামত, বক্তব্য শুধুমাত্র গুছিয়ে তোলা, তাই একে বলা যায় আসলে লেখা-পড়া-শোনা। এই বিষয়টা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জোরদা্র তক্কাতক্কি যাই হোক সব সেই অ্যাকাউন্টেই জমা ড়বে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১০ এপ্রিল ২০১৫ | ৭৬৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ## | 127.194.204.58 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:০২86283
  • জানি কি ভাবছেন। এটা তো উচিতই এবং এটা তো প্রাপ্যই। এই মাইনের বা রোজগারের অর্ধেক। এ তো দিতেই হবে।

    কিন্তু ঘরের কাজ করে বলে আরো কিছু টাকা পাওনা হয়। যেটা আদার ওয়াইজ লোক দিয়ে করাতে হতো। সেইটে নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। ঠিক। সেই আলোচনা চলুক। ঘুমোতে যাই। :)
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:০৪86284
  • আরে খরচ কেন করতে দেবে? যে স্পাউস ফোকটে টাকা পেয়ে যাচ্ছে সে মাসের দুই/ তিন তারিখেই সব তুলে নেবে তো!
    খরচ এখন সামলাও তুমি বাপু নন্দ ঘোষ(মানে উপার্জন কারী/কারিনী স্পাউস), কারণ খাতায় কলমে তো ঐ টাকা ঐ স্পাউসের ঘরের কাজের পারিশ্রমিক।
  • ## | 127.194.204.58 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:১৪86286
  • না, কাজের পারিশ্রমিক নয়। বিবাহ জনিত হকের অর্জন।

    খরচ সমান সমান হবে। কারো অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো খরচ করা হলে অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে হাফ ভর্তুকি ফেরত আসবে। থ্রু ব্যাঙ্ক ট্রানজ্যাকশন না হয়ে থ্রু ক্যাশ হলে তার রিসিট লাগবে। আই টি রিটার্ন ফাইল করার সময় সব হিসেব দিতে হবে। দুজনকেই।
  • একক | 24.99.220.124 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:১৪86285
  • ডিভোর্সের মডেল এ টাকা ভাগ এখানে চলে না । ডিভোর্স এ একটা আলাদা ইউনিট রান করছে বলে ৫০% ভাগ হচ্ছে ।এখানে সেম ইউনিতে থেকে ৫০% ভাগের যুক্তি দাঁড়াবেই না।নন কন্সিউমেবল কমন এসেট কস্ট কমে যাচ্ছে না ? একই হাঁড়ি তে ভাত,একই এসির ঠান্ডা।

    ফ্যামিলি এক্সপেন্ডিচার এ টাকা দেওয়ার দায় না থাকলে মাসের প্রথমেই সব টাকা তুলে খেয়ে নিলে তারপর কী ক্রেডিট একাউন্ট রান করার হিসেব চলবে ?এদিকে এটা রোজগার হিসেবে ডিফাইন থাকলে খরচের স্বাধীনতা ১০০% দেওয়া উচিত। নইলে রোজগার বলা উচিত না ।

    ডিভোর্স এ টাকাটুকু দেওয়ার পরে কোনো দায়ীত্ব নেই ।সে ইউনিট চলুক বা না চলুক ।কমন রানিং ইউনিট এ ওই যুক্তি অচল :)
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:২১86287
  • বিবাহ জনিত হকের অর্জন হলে তো আরো ভালো, খরচের ধার দিয়েই যাবে না সে, কোনো কাজও করবে না। ঃ-)
    মাসের শুরুতেই সমস্ত তুলে নিয়ে নিজের মতন টাকাটা ইউজ করবে।

    "বিবাহ জনিত হকের অর্জন" ব্যাপারটা আসলে দাঁড়ায় না সেভাবে, কারণ বিয়ে তো দুইজনেই দুইজনকে করছে, সেক্ষেত্রে দুইজনেই দুইজনকে "হকের অর্জন" দিতে হবে। সেটা একজন চাকরি/উপার্জন করে অন্যজন করে না ইউনিটে কেমন করে ইম্প্লিমেন্টেড হবে?
  • ## | 127.194.204.58 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:৪১86288
  • খরচটাও তো সমান ভাগ হচ্ছে। টোটাল খরচ দুটো আলাদা ইউনিট চালানোর চেয়ে কম হবে। ঠিক। কম হলেও সেই মোট খরচটা সমান ভাবেই ভাগ হয়ে যাচ্ছে তো।

    রোজগার, কিন্তু রোজগারটুকু আফটার সংসার খরচ।

    মানে পার্সোনাল করচের আন ইভেন ডিস্ট্রিবিউশন হবে ধরে নিচ্ছি। একজন প্রতি মাসে প্রতিদিন পার্লারে গিয়ে বা এক্জন প্রতিদিন মাল্টিপ্লেক্স গিয়ে হোটেল ফুড খেয়ে হিউজ খরচ করল, সেটা বাদ দিলে সংসারে খরচ করার অ্যামাউন্ট থাকছে না, এই অবস্থায় যখন সংসার খরচ অন্যজন কে দিতে হল পুরো মাসের, তখন পরের মাসের মাইনের আগেই যে সংসার খরচ করেনি তার দেয় ভর্তুকি বাকি পড়বে। সেটা সেই মাসের নেগেতিভ ব্যালেন্স হল। পরের মাসের মাইনে জমার সাথে সাথে ঐ টা ব্যালেন্স হয়ে বাকি টুকু অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।

    সংসার খরচ মানে ডিফাইনড একটা খরচ। বাড়িভাড়া, ইলেকট্রিক, গ্যাস, ওয়াটার, কাজের লোকের স্যালারি, ইত্যাদি প্রিডিফাইনড কমন খরচ। এর বাইরে কমন জিনিস, এসি বা ফ্রিজ টিভি কেনা হল, সেটার অ্যামাউন্ট ব্যাঙ্ক থেকে ট্রান্সফার হওয়ার সময়েই সেটা কমন ইউসের জন্য না পার্সোনাল - এই মর্মে উভয়ের ডিক্লারেশন লাগবে।তবে সেট সংসার খরচের মধ্যে ঢুকবে বা পার্সোনাল খরচের মধ্যে ঢুকবে।

    টাকা তুলে নিলেই সেটা বাই ডিফল্ট পার্সোনাল খরচ। না হলে রিসিট দিয়ে ডিক্লারেশন দিয়ে ভেরিফাই করাতে হবে। সংসার খরচ থ্রু ব্যাঙ্ক ট্রানজ্যাকশন হবে। টাকা তুলে নিয়ে নিজের মতো খরচ করলে সেটা ঐ এক মাসেই করতে পারবে, কারণ পরের মাসে তার ভাগে টাকা আগের মাসের সংসার খরচের ভাগ বাদ দিয়েই জমা পড়বে।

    চাকরি করে না এমন কাউকে যখন কেউ বিয়ে করছে তখন জেনেই করছে যে এর পর থেকে এ চাকরি না করেও আমার উপার্জনের অর্ধেকের দাবিদার হবে আইনত । সেটা এখনও, এই এগজিস্টিং সিস্টেমেও ভ্যালিড। ডিভোর্স করতে গেলেই বুঝবে।
  • ## | 127.194.204.58 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:৪৭86289
  • বিবাহ জনিত হকের অর্জন হলে তো আরো ভালো, খরচের ধার দিয়েই যাবে না সে, কোনো কাজও করবে না।

    ----- সে তো অনেকেই এখনো করে। বিয়ে করে সংসারের কোনো কাজই করে না, গুচ্ছ পার্সোনাল খরচও করে। তাতে কি? কাজের জন্য লোক রাখা হবে, আর নতুন মডেলে তার মাইনের অর্ধেক কর্মহীনটির প্রাপ্য থেকে কমে যাবে। বাকি সংসারের প্রয়োজণীয় খরচের অর্ধেকও কর্মহীনটির প্রাপ্য থেকেই কমছে। সিস্টেম তো ট্রান্সপারেন্ট এবং বেটারই হল।
  • একক | 24.99.220.124 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:৫৪86290
  • তারমানে তো ঘুরেফিরে সেই "হাতখরচের" থিওরিই নিয়ে এলেন :) আলাদা কী হলো ?
    টোটাল ইনকাম মাইনাস কমন অপারেটিং কস্ট মাইনাস হয়ে যা পরে রইলো তা দুজনে ফিফটি-ফিফটি ভাগ করে নিক । হাতখরচ তো তাই :)

    এটা করে ঘরের কাজের মূল্য বুঝে নেওয়ার সমস্যা যে কূলে ছিল সে কূলেই রইলো ।তার কোনো মূলায়ন ই হলো না ।এর জন্যে এত ব্যান্ক একাউন্ট /কঠিন হিসেবের দরকার কী ? আইদার মাসের শেষে জমে থাকা টাকা সমান ভাগ করুক অর মাসের আগে এসাম্পশন এর বেস করে এডভান্স তুলে নিক ।

    আর ওসব কোন এসেট পার্সোনাল কোনটা ইন্ডিভিজুয়াল এসব খেয়ালী পোলাও :) টিভি তে খেলা দেখবে না সিরিয়াল ? নাকী দুটো টিভি কেনা হবে ? তাহলে তো সেটা হাতখরচ জমিয়ে যে যার মত কিনলেই হয় ।এগুলো ট্র্যাক করা একেবারেই বাস্তব না ।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:৫৯86291
  • সেই তো, এ তো "বিয়ে করে টাকা পাওয়া" কেস দাঁড়ালো। ঃ-)
    ঘরের কাজ যদি পরিচারক দিয়েই করানো হবে, তাহলে চাকরি না করা স্পাউস যে টাকাটা পাচ্ছেন সেটা তো কোনোভাবেই "রোজগার" বলে অভিহিত হতে পারে না।
  • ## | 127.194.204.58 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ১০:২২86292
  • হাতখরচ ৫০-৫০ হয় না তো সাধারণত। রোজগেরে স্পাউস অ-রোজগেরে স্পাউসকে একটা নির্দিষ্ট সামান্য টাকা পার্সোনাল খরচের জন্যে দেয়। প্রতি মাসের সেভিংস এর ৫০-৫০ ডিস্ট্রিবিউশন আইন করে এনসিওর করা দরকার। তাহলে ইকোনমিক সিকিউরিটি এনসিওর করা যাবে।

    অ্যাসেট পার্সোনাল না কমন সেটা দুজনের ডিক্লারেশন এ বেস করে হবে। টিভি কেনার সময় তো ধরা হচ্ছে সিরিয়াল খেলা দুটোই চলবে। যদি একজনের অসহ্য দখলদারির ফলে আরেকটা টিভি কিনতেই হয়, তবে ডিক্লারেশনও সেভাবেই হবে।

    হ্যঁ ঘরের কাজের মূল্যের ইভ্যালুয়েশন হল না। তবে ঘরের কাজ নিজে না করে লোক দিয়ে করালে মান্থলি পার্সোনাল সেভিংসে কতটা তারতম্য হচ্ছে (এক্ষেত্রে কাজের লোকের মাইনের অর্ধেক কমছে) সেটা বুঝে সেই মতো ডিসাইড করতে পারবে। এবং সেই ভ্যালুয়েশনটা কাজগুলোর মার্কেট ভ্যালুয়েশনের বেসিসেই হল। এটাই সুবিধে।

    মনে হয় বেসিকালি এভাবে মাথায় না কেটে ল্যাজে কাটা হল। একই জিনিস। তির্যকের অ্যাপ্রোচে একজন ঘরের যে কাজটা করছে তার ভ্যালুয়েশন করে তার জন্য মাইনে দাও। এক্ষেত্রে ভ্যালুয়েশন করাটা মুশকিলের হচ্ছে।

    আর এই অ্যাপ্রোচে ইনকামটাই ভাগ হয়ে গেল । কাজ না করলে সে-বাবদ কাজের লোককে পে করে দিতে হবে, মার্কেট প্রাইস অনুযায়ী নিজের সেভিংস কমবে। প্রথমটার চেয়ে এটা সুবিধের ও ডাইরেক্ট মার্কেট লিংকড লাগছে।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৪২86293
  • ব্যাপারটা এক হলো না। একজন স্পাউস ঘরের কাজ সত্যি সত্যি করছে আর সেই জন্য "উপার্জন" হিসেবে টাকা পাচ্ছে। সেই উপার্জন তার স্বাধীন উপার্জনের তুল্যমূল্য, অর্থাৎ কিনা সে বাইরে চাকরি করলে যা করতে পারতো।
    এই রোজগারের কতটা সে সংসারে খরচ করবে বা জমাবে বা নিজের জন্য করবে বা দুস্থ আত্মীয়ের জন্য করবে বা নিজের কোনো ব্যবসা শুরু করে ইনভেস্ট করবে, সেটা তার নিজের সিদ্ধান্ত---এই যদি হয় তবেই "রোজগার" কথাটার মানে থাকে।
    নাহলে তো "বিয়ে করেছি বলে অমুক পরিমাণ" বুঝিয়া পাইলাম কেস দাঁড়ালো। মানে স্পাউসের অর্ধেক মাইনে মাইনাস সংসারখরচের অর্ধেক, এই তার পাওনা জাস্ট সে বিবাহিত বলে। এটা তো সেক্স কন্ট্রাক্ট টাইপের কেস দাঁড়াচ্ছে।
  • একক | 24.99.110.209 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৫৮86294
  • একদিকে বলছেন ৫০% ভাগ দিতে আরেকদিকে বলছেন মার্কেট ভ্যালুএষণ ধরে হিসেব করতে এটা পুরো ঘ্যান্ট পাকাচ্ছে ।
    ধরুন এক্স হলো ক্যাশ ইনফ্লো ফ্রম আউটসাইড । এবার ঘরের কাজ পুরোটা হাউসকিপার করলে খরচ হয় ওয়াই ।
    তার মানে ওয়াই বাই টু মাথা পিছু পেয়েবল ।

    এবার কমন এসেট ,কমন এক্সপেন্ডিচার মোট জেড ।

    (এক্স মাইনাস জেড )/২ এটা দিস্ত্রিবিউতেব্ল এমাউন্ট । সে আপনি ল্যাজে কাটুন বা মাথায় ফাইনালি এটাই টোটাল দিস্ত্রিবিউতেব্ল ।

    এবার বক্তব্য কী ? বিয়ে করলেই ৫০% অফ ডিস্ট্রিবিউতেব্ল প্রাপ্য এই তো ? ফাইন দেন , (এক্স মাইনাস জেড )/২ তুলে নিক ।

    কিন্তু এখানে আরেকটা গল্প আছে ।আমি যে বাইরে থেকে ফিন্যান্স আনছি ইউনিট চালাবার জন্যে এটাই তো আমার জব । যেমন ফান্ড ম্যনেজার মাইনে পায় । আমার আসল চাকরি তো ফ্যামিলি ফ্যাক্টরির আন্ডারে ।বাইরের চাকরিটা ওই চাকরীর পার্ট ।সেটা চাকরি না ব্যবসা না ভিক্ষে করে আনব আমার মাথাব্যথা । ফ্যামিলি ফ্যাক্টরি আমার ফান্ড পুলিং এর জব এর মাইনে দেবে না ? সেটা ধরা যাক জেড ওয়ান ।

    তাহলে টোটাল ফান্ড ইনফ্লো থেকে আমরা দুজন মাইনে নেবো । (এক্স মাইনাস জেড মাইনাস জেডওয়ান ) /টু ।

    এটা করলে কী হবে বলুন তো ? হবে কাঁচকলা । সামান্য টাকা পরে থাকবে কারণ আমি আমার কাজের ইব্যলুএশোন দাখিল করতে পারব যেহেতু সেটা প্রপারলি মার্কেট ডিফাইনড । উল্টোদিকে বউ কিছু আলাদা করে প্রমান করতে পারবেনা কারণ সে এস সাচ কিছুই করছেনা ,হাউসকীপার থাকলে । এস সাচ কোনো কাজ না করে ইকনমিক "হক" দাবি করলে এইভাবেই হাতে নাড়ু ধরিয়ে দেওয়া যায় । ডিভোর্স আলাদা ব্যাপার :) সিঙ্গল ইউনিটে "হক" বের করা আলাদা হিসেব ।
  • একক | 24.99.110.209 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ১১:০৫86295
  • মাইনাস ওয়াই গুলো বাদ গেছে ।সরি । ফাইনালি (এক্স মাইনাস ওয়াই মাইনাস জেড মাইনাস জেড ওয়ান) /২ হবে ।

    দারুন মডেল । পুরো নাড়ু দেখিয়ে পুরো টাকাটাই ঘুরিয়ে একজনের পকেটে :D
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৫ ১১:১৬86296
  • ঐ শেষমেশ মনে হচ্ছে ঐ চাকরি না করা স্পাউসকে ঐ হাতখরচ টাকাই - তাও আবার জাস্ট বিয়ে করেছে বলে। এ তো জাতও গেল পেটও ভরলো না কেস দাঁড়াবে।
    ঘরের কাজের মূল্যায়ণ তো চুলোর দোরে গেল।
  • S | 109.27.138.238 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০০86297
  • ইন্ডিয়ার মতন দেশে যেখানে লেবারের ছড়াছড়ি সেখানে ঘরের কাজের মুল্যায়ন খুব কম হবে। তাছাড়া এইটা হলে আর্নিঙ্গ স্পাউস বাড়িতে কোনো কাজ করবে না।
  • Biplob Rahman | 212.164.212.20 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩২86298
  • প্রথমেই বলে নেই, আর আগের মন্তব্যগুলো পড়িনি। শুধুমাত্র সংবাদপত্রে খবর এবং চলতি নোট পড়েই মন্তব্য করছি।

    'গৃহশ্রমকে সবৈতনিক করে তোলার' ধারণাটিই নারী স্বাধীনতার মুখো ঠুলি পরানো। আসলে দরকার নারী-পুরুষ পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বন্ধুত্ব-মর্যাদাপূর্ণ সর্ম্পক ও পারস্পরিক যৌথায়ন। নইলে "স্বামী" প্রবরের অর্থেই তার ব্যাটাগিরি ঘুচবে না, নারী-পুরুষ সমতাও হবে না।

    ধারণা করি, 'গৃহশ্রমকে সবৈতনিক করে তোলার' আইডিয়াটি টিপিক্যাল এনজিও প্রজেক্ট, এর আদি-অন্ত জানতে আগ্রহী। বন্ধুগণ, লিংকান প্লিজ, হেল্প।

    নিবেদন ইতি।
  • potke | 190.215.60.139 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৫86301
  • এই আমার মনের কথা লিকেচেন, আমার বলে কদ্দিনের হাউস হাসব্যান্ড হবার শখ! তা বারবার নিবেদন করেও কোনো ফল হয় নাই ঃ(
  • জলপাই | 122.79.39.191 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৮86302
  • খালি আপনার? একটা ভোট হয়ে যাক। হাউস হাসব্যান্ড আহা ঘরে বসে রান্না বান্না করব খাব আর ঘুমোব।
  • dc | 132.164.154.78 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩২86303
  • আমারো খুব ইচ্ছে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঘরের কাজ করার ঃ-( আমি মোটামুটি রান্নাও করতে পারি, আর সব ঘরের কাজও টুকটাক করতে পারি। সেলাই করতে পারিনা, দরকার হলে শিখে নেব। খুব শান্তশিষ্ট, কোনরকম ঝামেলা করবোনা। শস্তায় হাউজহাজব্যান্ড চাইলে সত্ত্বর যোগাযোগ করুন।
  • hu | 101.185.15.14 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩৪86304
  • চাকরী ছেড়ে ঘরে বসে একমাস রান্নাবান্না করুন। চিরকালের মত শখ মিটে যাবে।
  • dc | 132.164.154.78 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪৪86305
  • তা বটে।
  • জলপাই | 122.79.39.191 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২৫86306
  • রান্না বান্না করিতো। খালি চাকরি ছাড়ার পারমিশন মেলে না।
  • potke | 126.202.123.157 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২৭86307
  • এই আমারো জলপাই এর দশা।
  • hu | 101.185.15.226 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৩86308
  • দেখুন একমাসের জন্য চাকরী করতে না গিয়ে যদি ভ্যাকেশন নেন তাহলে একরকম। আর যদি রেজিগনেশন লেটারটি জমা করে দিয়ে বাড়ি বসে রান্নাবান্না করেন তাহলে আরেক। ঘরে বসা সংক্রান্ত যাবতীয় রোম্যান্টিসিজম এই দ্বিতীয়টা ট্রাই করলে ঘুচে যাবে। যিনি আপনাকে এটা করতে দিচ্ছেন না তিনি আপনার শুভাকাঙ্খী।
  • dc | 132.164.154.78 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৫86309
  • "যিনি আপনাকে এটা করতে দিচ্ছেন না তিনি আপনার শুভাকাঙ্খী।"

    বাকিটা মানলাম, কিন্তু এইটে কিছুতে মানতে পারলাম না।
  • একক | 24.99.53.18 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৪৩86310
  • গত আট বছর নিজে রান্না করি । কোনো রোমান্তিসিসম ও নাই খারাপ লাগাও নাই । তবে একটু বোরিং কাজ ।মানে এর সঙ্গে যদি ধরুন শিকার করা ,ছাল ছাড়ানো এসব যোগ হত তাইলে এট্টু ভিন্নতা আসতো :)
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৫১86311
  • কিন্তু হুচে, অনেকেই বোধহয় সেটা খুশিমনেই করে। বরং বাইরের কাজ তাদের চাপের মনে হয়। প্রেফারেন্স দিয়ে দেখো, অনেকেই বেছে নেবেন এটা। নেনও, মেয়েরা অনেকেই।ছেলেরা নেয়না, কারণ চলই নেই।
  • একক | 24.99.53.18 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৫৫86312
  • রেগুলার আপিস করা প্রচন্ড বিরক্তির কাজ । জাস্ট মান্থলি স্যালারীর লোভে করতে হয় । নইলে বাড়ির রান্নাবান্না সামলে পাশাপাশি স্টার্ট আপ চালানো ,বই পড়া,লেখালেখি অনেক বেটার ।লাইফ অনেক বেশি প্রডাক্টিভ থাকে ।
  • ;pi | 24.139.221.129 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:১১86313
  • চাকরির অনেক টেনশন ও থাকে, চাপও থাকে, সেটাও হয়তো অনেকে নিতে চান না, বা চাকরি খোঁজা বা পাওয়ার চাপ।

    ডিঃ দিয়ে রাখি, আমার কোনোরকম রোমান্টিসিজম নেই এই নিয়ে। অন্য কাজ না করে এটা টানা করতে হলে বা করে গেলে পাগল হয়ে যেতাম। কিন্তু প্রত্যেকে তো আলাদা মানুষ।
  • hu | 101.185.15.226 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:২১86314
  • শুধু রান্না করে আর ঘর পরিস্কার করে একটা গোটা দিন কাটিয়ে দেওয়া মুশকিল। একটু প্ল্যান করে করলে এই কাজগুলো করতে ঘন্টা তিনেকের বেশি লাগার কথা নয়। বাকি সময়টা কিচ্ছু না করে বাড়ি বসে থাকতে হলে পাগল হয়ে যেতে হবে।
    যদি ঘরকন্নার সাথে বাচ্চা মানুষ করতে হয়, তার পড়াশোনা দেখতে হয় তাহলে অবশ্যই বোর হওয়ার অবকাশ নেই। এই কাজগুলোতে অনেকটা সময় লাগার কথা। কেউ যদি এর সাথে নিজস্ব কিছু ক্রিয়েটিভ কাজ করেন তাহলেও একই কথা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন