এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • র‍্যাগিং বিষয়ে আমি যা জানি ঃ পর্ব ২ ঃ মতামত

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ আগস্ট ২০২৩ | ৩২০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • র‍্যাগিং একটি সম্মিলিত অন্যায় তো বটেই, অনেকগুলো কারণের সম্মিলিত প্রভাবও বটে। আমি মনে করি র‍্যাগিং বৃহত্তর অর্থে একরকম ধর্ষণ; প্রত্যেক মানুষের মনে একজন র‍্যাগার, একজন ধর্ষক থাকেই, যে আসলে ক্ষমতাহীনের ওপর নিজের ক্ষমতা দেখাতে চায়, যা খুশি করতে, করাতে, দেখতে চায়। স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ নিজের এই সত্ত্বাকে নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু অনুকুল পরিবেশে এই সত্ত্বা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। কাছাকাছি বয়সের কিছু ছেলে একসঙ্গে হলে এবং জুনিয়ররা ‘কিছু করতে পারবে না’ বা ‘আমাদের কিচ্ছু হবে না’ এইটা মাথায় ঢুকে যাওয়া হল আদর্শ অনুকুল পরিবেশ। এরা সবাই পারভার্ট বা ভয়ঙ্কর অপরাধি এমন নয়, এরা সবাই খুব খারাপ মানুষ এমনও নয়। কিন্তু ঠিক যেভাবে একজন ছাপোষা সাধারণ মানুষ গণপ্রহারে অংশ নেয়, এবং তার পরেও স্বাভাবিক থেকে যায়, সেইভাবেই একজন ছাত্রও তার প্রায় সমবয়সী একজনের ওপর নানারকম অত্যাচার করে আনন্দ পায়। এর পেছনে নৈতিক সমর্থনও থাকে সেই রকম, “ওর ভালোর জন্যই করছি”, “এইটুকু তো সয়ে নিতেই হবে, নাহলে মিশবে কি করে !” “এর পর তো আমরাই দেখব !” র‍্যাগিং পরবর্তীকালে সিনিয়র-জুনিয়র বন্ধুত্ব নিশ্চই হয়, কিন্তু তার জন্য শুরুতে ‘যা ইচ্ছে তাই’ করার স্বাধীনতা কেন নিতে / দিতে হবে সেটার কোনো উত্তর নেই। স্যাডিস্টিক মানসিকতা, আমি সিনিয়রদের কাছ থেকে যে কষ্ট পেয়েছি, আমি কেন তা ফিরিয়ে দেব না, এই মানসিকতা নিশ্চই থাকে, তবে শুধু সেটাই শেষ কথা নয়। র‍্যাগিং একটা মৌলিক সমস্যা, তাই তেমন র‍্যাগিং এর শিকার হয়নি এমন ছাত্রও পরবর্তীকালে তুখোড় র‍্যাগার হয়ে ওঠে, আর র‍্যাগিং এর চক্র কিছুতেই শেষ হয় না।

    বি-ই কলেজে এবং যাদবপুরেও ফর্ম তোলার সময়ে কিছু সিনিয়র ছেলে অযাচিতভাবেই কিছুটা সাহায্য করেছিল। আর কিছু ‘ঠকানো’ প্রশ্ন করেছিল, বেশ মজার সব প্রশ্ন, সেসব কিছু খারাপ লাগেনি। একজন ছেলে নাম জানতে চেয়েছিল, তারপর বলে দিয়েছিল কেউ নাম জানতে চাইলে তাকেও ঘুরিয়ে নাম জানতে চাইতে হবে। আর বলেছিল সিনিয়রদের তুমি করে বলতে। সেই ফর্মুলা ডিপার্টমেন্টের র‍্যাগিং এ কাজে লাগানোয় কয়েকজন ‘দাদা’ কিঞ্চিৎ ক্ষুব্ধ হয়ে (মুর্গী হাতছাড়া হলে ক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক !) বলেছিল ‘বেশি ফর্মা দেখাচ্ছিস ! এসব কে শেখাচ্ছে !’ সেই সাদা-কালো যুগে মফস্বলী-বাংলা মিডিয়াম-তেলমাখা চুল-শুকনো মুখ কিশোরীও যে ‘ফর্মা দেখাতে’ পারে তা-ই বা র‍্যাগিং না হলে কে জানত ! আলাপ-পরিচয়ের মাত্রা এই পর্যন্ত থাকলে আজ এই মৃত্যু, হৃদয় খুঁড়ে এই পাতার পর পাতা বেদনা জাগাতে হত না।

    না, আলাপ-পরিচয় আর র‍্যাগিং কখনোই সমার্থক নয়। একসঙ্গে বসে ঠাট্টা-তামাশা-নাচ-গান-গল্প-জোক্‌স করা আর একতরফা অপদস্থ করা, ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করতে বাধ্য করা (শারীরিক নিগ্রহের কথা ছেড়েই দিলাম) কখনোই এককথা নয়। আলাপ-পরিচয় কখন মাত্রা ছাড়িয়ে র‍্যাগিং-এ পরিণত হয় তা যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে তেমন আলাপ-পরিচয়ে কাজ নেই। কারণ এই র‍্যাগিং-সংস্কৃতি, যা আসলে নিজের ইচ্ছেমত অন্য কাউকে চালনা করার ইচ্ছে, বাধা না পেলে মানুষ তা সারাজীবন বয়ে নিয়ে চলে। অফিসে আসা নতুন সহকর্মী, ল্যাবে আসা জুনিয়র রিসার্চ স্কলার থেকে বাড়িতে আসা নতুন বৌ অবধি কেউ র‍্যাগিং এর হাত থেকে বাদ যায় না। ছেলেদের হস্টেলে এই অপদস্থ করার মাত্রা যে বহুদুর ছাড়িয়ে গেছে, সেকথা আর চেপে রাখার জায়গা নেই। তার একটা কারণ যদি হয় প্রযুক্তি (হাতে হাতে স্মার্ট ফোন, নীল ছবি, সবকিছু ভিডিও রেকর্ডিং করা রাখা) তাহলে অন্যটা হল নেশা। কে না জানে একজন (মানে একদল !) নেশাগ্রস্ত মানুষ মাত্রা ছাড়ালে কি না করে ফেলতে পারে !

    কিন্তু এই ঘোলাজলে যাঁরা যাদবপুরকে শুধু মাদকের ঠেক, উদ্ধত্য আর অসভ্যতার গুদাম বলে প্রতিপন্ন করে যাদবপুরের গ্রান্ট থেকে র‍্যাঙ্ক সব কমিয়ে দিতে সক্রিয় হচ্ছেন, তাঁরা আদৌ সমস্যার সমাধান চান না। কারণ সবাই জানেন র‍্যাগিং মানে শুধু যাদবপুর নয়, (আর যাদবপুর মানেও শুধু র‍্যাগিং নয় !) এমনকি শুধু ছাত্ররাও নয়। আদ্ধেকটা যদি হয় সর্বত্র র‍্যাগিং-পিপাসু ছাত্রদের সক্রিয়তা, তাহলে বাকিটা লাই দিয়ে যাওয়া কর্তৃপক্ষের সর্বময় উদাসীনতা। একটি মৃত্যু যাদবপুরকে খবরে তুলে এনেছে মানে বাকি সব জায়গা র‍্যাগিং মুক্ত এমন যে নয় তার স্বাক্ষী হচ্ছে ফেসবুক জুড়ে রোজ হাজার হাজার পোস্ট। হস্টেল সুপার থেকে রেজিস্ট্রার, ডিন, উপাচার্য (এখন নেই কিন্তু এতদিন তো ছিলেন) থেকে আচার্য (হ্যাঁ উনিও !) এবং শেষপর্যন্ত শাসক দল, সবাই চোখ বুঁজে থেকে এই অপকৃতিকে বাড়িয়ে চলেছেন। কে জানে তাঁরাও মনে মনে র‍্যাগিংকে দরকারি মনে করেন কিনা। নাহলে সুপার কেন ‘হৈ চৈ হচ্ছে দেখে ওপরে উঠতেই সাহস’ পাবেন না (টিভি-তে রাখা বক্তব্য) ? রেজিস্ট্রার কেন হাঁটুতে ব্যথা বলে ফোন বন্ধ রাখবেন ? কাকে ভয়, কেন ভয়, কিসের ভয় ? এই উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আসল রহস্য।

    আজ যাঁরা সিসিটিভি নেই কেন বলে গলা ফাটাচ্ছেন, তাঁরা গতকাল অবধি কেন প্রশ্ন তোলেন নি যে র‍্যাগিং-ঋতুতে হস্টেল সুপার কেন রাত্তিরে নিয়মিত হস্টেলে টহল দেবেন না, বা দু-একজন নিরাপত্তা রক্ষী কেন রাত্তিরে হস্টেলের ছাত্রদের ওপরে নজর রাখবেন না ! সবচেয়ে বড় কথা র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে কতটুকু ক্যাম্পেন হয়েছে ? কতজনকে অভিযুক্ত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে ?  হস্টেলের বাসিন্দাদের দিনযাপনের প্রতিটি মুহুর্তকে ক্যামেরাবন্দী করার চেয়ে সেগুলো সহজ নয় কি ? জুতো পরার চেয়ে মাটি ঢাকার চেষ্টাই কি বেশি সহজ মনে হল ! দুর্ঘটনার পরবর্তী কারণ অনুসন্ধান করতে সিসিটিভি কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে, কিন্তু দুর্ঘটনা রোধ করতে পারে না। তাই সিসিটিভি বসলেই র‍্যাগিং বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ধারণার পেছনে সত্যিই কোনো যুক্তি নেই। ঠিক তেমনি অভিযুক্তের শাস্তির মাত্রার ওপরেও কিচ্ছু নির্ভর করে না। জরুরী হল র‍্যাগিং বন্ধ করার প্রশাসনিক উদ্যোগ (বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে রাজ্যের প্রশাসন অবধি) এবং নির্ধারিত শাস্তিটা দ্রুত প্রয়োগ করা। সেসব কিচ্ছু না করে আমরা একটি মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলাম।

    ডিঃক্লে ঃ আমি যাদবপুরের প্রাক্তনীও নই বঞ্চিতও নই। আবেগও নেই, তেমন কোনো ঈর্ষাও নেই। যাদবপুরকে তার নানারকম প্রতিবাদ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার জন্য বাইরে থেকে নৈতিক সমর্থন করেছি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথাও কোথাও পেরিয়ে গেলে কিঞ্চিৎ ঈর্ষাও করেছি। তাই যা বক্তব্য রাখলাম, সবটাই মোটের ওপর নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে লেখা। এই দুর্দিনে অপরাধিদের শাস্তির পাশাপাশি যাদবপুরের প্রতি অন্যায় হলে তারও প্রতিবাদ করব।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সমাধান | 192.42.116.218 | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩৫522593
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই দুর্বল। এবার সেখানে তীক্ষ্ণ নজর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। সূত্রের খবর, সংগঠন বিস্তারের নির্দেশ এসেছে হাই কমান্ডের কাছ থেকে। যাদবপুরের ছাত্র শাখা নতুন করে সাজাচ্ছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) রাজ্য নেতারা। এমনও শোনা যাচ্ছে, যাদবপুরে তৃণমূলের মুখ হতে পারেন রাজন্যা হালদার। শুধু তাই নয়, দলের নির্দেশ, যাদবপুরে টিএমসিপির যে কোনও প্রয়োজনে উপস্থিত থাকতে হবে বিধায়ক, মন্ত্রীদেরও। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন