এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • র‍্যাগিং বিষয়ে আমি যা জানি ঃ পর্ব ১

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ আগস্ট ২০২৩ | ৯২৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • অন্ধ হলে যে প্রলয় বন্ধ হয় না সে কথা হাড়ে হাড়ে জেনেও যেসব বিষয়ে আমরা অন্ধ হয়ে থাকি তার একটা হল র‍্যাগিং। একসময় প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শুরুতে এই শব্দটা খবরের কাগজের পাতায় উঠে আসত। আই আই টি থেকে শুরু করে প্রায় অখ্যাত কলেজ, র‍্যাগিং-এর সূত্রে খবর হয়ে উঠত কমবেশি সবাই। কিছু অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়া, শাস্তিবিধান, তারপর চুপচাপ। শিক্ষাবর্ষ এগোবার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নয়মে র‍্যাগিং এর প্রকোপ কমে যায়, অন্য সবকিছুও থিতিয়ে পড়ে, সবাই কি করে যেন ভাবে ফেলেন ‘আর হবে না’…। কিন্তু আশি-নব্বই এর দশকে র‍্যাগিং নিয়মিত খবর হয়ে উঠত, যা এখন আর সে ভাবে হয়না বলে আমিও কেমন যেন ভেবেছিলাম, এটা বন্ধ হয়ে গেছে !

    র‍্যাগিং শব্দটার সঙ্গে আমার পরিচয় লেখা ‘ট্ম ব্রাউন্‌স স্কুল ডে’জ’ (টমাস হিউজেস) বইয়ের পাতায়। সেখানে শব্দটা ছিল ‘ফ্যাগিং’, ইস্কুলের হস্টেলে বড় বড় ছেলেরা ছোট প্রায় শিশু ছাত্রদের কম্বলে জড়িয়ে লোফালুফি খেলত (যেখান থেকেই বোধহয় র‍্যাগিং শব্দের উৎপত্তি)। ফাইফরমাস খাটাত। সন্ধের পরে এঘর ওঘর থেকে ডাক শোনা যেত ‘ফ্যাআআআগ’ ! সেই শিশুকালে এই ফ্যাগিং এর বর্ণণা যথেষ্ট ভয় পাইয়েছিল, সেকথা অস্বীকার করার নয়। বলা বাহুল্য সেই ফ্যাগিংই আসলে র‍্যাগিং।

    আশির দশকের একেবারে শেষপ্রান্তে র‍্যাগিং-পর্ব কাটিয়েছি, না যাদবপুরে নয়, সেকালে যাদবপুর ছাড়া আর যেখানে লোকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত সেই শিবুপুরের বি-ই কলেজে। তখন সে অঞ্চল পুরোপুরিই আবাসিক। সেখানে ছেলেদের হস্টেলের র‍্যাগিং পর্বের কথা সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্তারিত লিখেছেন। সব কথাই খুব চেনা। মেয়েদের হস্টেলের কথা এখনো কেউ লেখেন নি দেখে ভাবছি আমিই একটু লিখে রাখি।

    সেকালে বি-ই কলেজের লেডিজ হস্টেল দুটো ছিল, এক থেকে তিন একটা হস্টেলে, চতুর্থ-পঞ্চম (আর্কিটেকচার) বর্ষের মেয়েরা থাকত আলাদা হস্টেলে (পান্ডিয়া)। শুনেছিলাম লেডিজ হস্টেলে র‍্যাগিং নাকি প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে। যতটা মনে পড়ে মেয়েদের হস্টেলে র‍্যাগিং বলতে সিনিয়ারদের দ্বারা সন্ধেবেলায় জুনিয়রদের একটা ঘরে ডাকা, তারপর প্রথমে ‘ইন্ট্রো’ দেওয়া। তারপর এককথায় নানারকম খিল্লী করা। কাউকে হামাগুড়ি দেওয়া, কাউকে ধুনুচি নাচতে বলা, কাউকে ব্যাঙের মত চলতে বলা এইসব। চেহারা নিয়ে, হয়তো বাসস্থান নিয়েও কটূক্তি, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, টিপ্পনীও চলত। অতি-উৎসাহি র‍্যাগিং বিশেষজ্ঞরা নিয়ম করে সন্ধের পর জুনিয়রদের র‍্যাগিং করতে চলে আসতেন, পর্বটি চলত খাওয়াদাওয়ার পর অবধিও, কখনো মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলেও। তবে ছেলেদের হস্টেলের র‍্যাগিং এর যে বর্ণনা শুনতাম, যা শুনিয়েছেন সৈকত, তার তুলনায় মেয়েদের হস্টেলের র‍্যাগিং প্রায় নস্যি বললেই হয়। মারধর বা জামাকাপড় খোলা এসব কিছুই হয়নি। তেমন কোনো শারীরিক নির্যাতনও হয়নি। আশির দশকের প্রথম দিকে ‘পরিবর্তন’ নামে একটি পত্রিকা বেরোত, সেখানে মহিলা হস্টেলে (কিরকম হস্টেল তা এখন আর মনে নেই) নানারকম নানারকম কুৎসিত র‍্যাগিং এর কথা পড়ে ব্যপক ভয় পেতাম। আমাদের সময়ে লেডি ব্রেবোর্ন, বেথুন ইত্যাদি কলেজেও অনুরূপ সামান্য র‍্যাগিং হত বলে শুনেছি। কিন্তু আমার জীবনে, বিভিন্ন রকম হস্টেলে থাকার অভিজ্ঞতা হলেও বি-ই কলেজের ‘সামান্য’ র‍্যাগিং ছাড়া আর কোথাও কোনো রকম র‍্যাগিং হয়নি। আর বি-ই কলেজের নিয়ম অনুসারে সেসব কিছুই শেষ হয়েছিল সপ্তাহ ২/৩ এর মাথায় হস্টেলে ‘জি-এফ’ (গ্র্যান্ড ফিস্ট) এর পর।

    তবু বি-ই কলেজের সেই র‍্যাগিং সন্ধে গুলো আমাদের কাছে ভয়ানক হয়ে উঠত। আমি নিজে আতুপুতু-ভীতু কিচ্ছু নই, বরং কিছুটা ডাকাবুকোই। কিন্তু ওই একতরফা খিল্লী, টিপ্পনি, মস্করা মাত্র এক / দু বছর আগে পাশ করা মেয়েদের কাছ থেকে পাওয়াটা আমার কাছেও অতীব পীড়াদায়কই ছিল। কালো, মোটাসোটা একটি মেয়েকে ব্যাঙ সাজতে হলে বা পিরিয়ড চলাকালীন দুটি মেয়েকে পরস্পরের কান ধরে উঠবোস করতে হলে সে বড় আনন্দের কথা হয় না। বাড়ি, বাবা-মা, বাড়ির স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে যাওয়া বিষন্ন কিশোরীর কাছে সেই বয়সে এই অপমান নেওয়া কঠিন ছিল। আরো কঠিন ছিল পরের দিন সকালে সেই দিদির সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলা। আমি এই পর্বের পরেই এই কলেজ ছেড়ে দিই (র‍্যাগিং-এর জন্য নয়, সম্পূর্ণ অ্যাকাডেমিক কারণে), তাই পরবর্তীকালের কথা আর কিছু বলতে পারব না। সেই সময়ের র‍্যাগিং-অ্যান্টি র‍্যাগিং দলের অনেকেরই নাম-ধাম এখনো স্পষ্ট মনে আছে, তবে সেসব উল্লেখ করা এখানে অপ্রয়োজনীয়।

    সেকালেও অ্যান্টি-র‍্যাগিং কমিটি ছিল। তাদের সক্রিয়তাতেই হয়তো মেয়েদের হস্টেলে র‍্যাগিং কম হত। কিন্তু তারা কেন সেভাবে লড়তে পারত না, মানে আলাপ পরিচয়ের নামে এমন নিষ্ঠুর রসিকতা আদৌ কেন চালু থাকবে হস্টেলে তার উত্তর সেদিনও পাইনি, আজও নয়। হস্টেল সুপার পাশেই থাকতেন, তাঁকে কোনোদিন সন্ধের পর বা রাতে হস্টেলে দর্শন দিতে দেখিনি। অর্থাৎ তোল্লাই দেওয়া হোক বা চোখ বুঁজে থাকা হোক, সেটা ছিল। চালু ধারণাটা হল (১) র‍্যাগিং এর মধ্যে দিয়ে নাকি সিনিয়র-জুনিয়র ‘মিক্সিং’ হয়, বন্ধুত্ব হয়, বন্ডিং হয়। (২) যারা আজ র‍্যাগিং করছে, কাল তারা সাহায্য করবে, বিপদে আপসে পাশে দাঁড়াবে ইত্যাদি।  আমার কথা হল কাছাকাছি বয়সের একঝাঁক ছেলে / মেয়ে পাশাপাশি থাকলে এমনিই বন্ধুত্ব হবে, বন্ডিং হবে, বড়রা স্বাভাবিক নিয়মেই ছোটদের সাহায্য করবে, এর জন্য শুরুতে তাদের যা খুশি তাই করতে দিতে হবে কেন ? পড়তে আসা তো সেনাবাহিনীর ট্রেনিং নয়, তার জন্য ‘কঠিন’ হয়ে উঠতে হবেই বা কেন !

    সেই র‍্যাগিং-এর অভিজ্ঞতা আমাকে ভবিষ্যতে কোথাও কিচ্ছু সাহায্য করেনি, করার কথাই নয়।  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিরক্তি-রাগ ইত্যাদি কমে এলেও আমি তাকে কোনোদিন সমর্থনযোগ্য কিছু বলে মনে করিনি। তবে ‘সিনিয়রিটি’র সুবিধা নেওয়ার বিরোধি হয়ে উঠেছিলাম চিরদিনের মত। আমি নিজে ওই কলেজে পড়লে পরের বছর সামান্য র‍্যাগিং এ-ও নিশ্চিত অংশ নিতাম না, ভবিষ্যতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভিন্ন বেসরকারি আবাসনে নিজে যখন যেখানে ‘সিনিয়র’ হয়েছি এমনকি ‘মাথা’ হয়েছি কোথাও সিনিয়র হবার জন্য কোনো বিশেষ সুবিধা নিইনি, বিশেষ কোনো সম্মান দাবি করিনি। তার জন্য কোথাও কোথাও আমার সতীর্থরা বিরক্ত হয়েছে, অনেকে বলেছে আমার জন্য জুনিয়ররা সিনিয়রদের সম্মান করেনা। অনেকে এও বলেছে যে আমি মনে না করলেও সবাই এই জুনিয়র-সিনিয়র বিভাজনকে মোটেই অপছন্দ করে না। কিন্তু যে যাই বলুক আমি নিজেও কখনো সিনিয়রদের বিশেষ কিছু তোল্লাই দিইনি, দাবিও করিনি। তবে তেমন চাপ আসেনি একথাও সত্যি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sadhukhan Shaktirupa | ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১০:২৬522558
  • মধ্য কলকাতার বুকে যীশু ছাপ ইংরাজী মাধ্যম মেয়েদের স্কুল হস্টেলেও এই ফ্যাগিং পুরোদমে চলে, স্কুলের নাম টা বেশ বিখ্যাত, বড় বড় দিদিরা পাঁচ বছরের কচি বোনুদের জামা কাপড় খুলে চাদরের নিচে ঢুকে কি করতে হয় সেসব ট্রেনিং দিত। পাঁচ বছরের মেয়ে , পুরোপুরি মেয়েদের হস্টেল তাই বাড়ির লোকজন জানলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশ্বাস করতো না, এছাড়াও ঘর মোছানো কাপড় কাচানো বাথরুমের দরজা বন্ধ করতে না দেওয়া ইত্যাদি সাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতি টা সব জায়গাতেই মান্যতা প্রাপ্ত
  • যোষিতা  | 194.56.48.105 | ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১২:০২522560
  • লোরেটো? 
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন