এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • গোড়ায় গলদ

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৭০৭৩ বার পঠিত
  • চাপাতিতন্ত্রের ভেতর


    বোধকরি মুক্তচিন্তক মাত্রই একমত হবেন যে, প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নীচে মুক্তমনার সংগ্রামটি দীর্ঘতর ও অভিজিৎ রায়দের রক্তে পিচ্ছিল। বোধকরি, পথ বন্ধুর বলেই এ সংগ্রামে আমরা যারা নিজেদের মুক্তমনা বলে দাবি করি, যারা নিজেদের অভিজিৎ রায়ের লোক বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি, তারা চাপাতিতন্ত্রের ভেতর জীবন বাজি রেখেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেতনার সংগ্রামটিকে এগিয়ে নিতে মরিয়া।



    এ হচ্ছে সেই কোপার্নিকাস-বুনোর উত্তরসূরিতার পথ ধরে চলে আসা অসির সঙ্গে মসির লড়াই। ইতিহাস বলছে, যুগে যুগে মসির কাছে অসি পরাজিত হয়েছে। এ জন্য মূল্য দিতে হয়েছে অনেকটাই, জীবন রক্ত ঘাম সময়—প্রতিক্রিয়াশীলরা এমনই সব অমূল্য সম্পদ কেড়ে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রগতি, মুক্তচিন্তা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংগ্রামটিকে স্তব্ধ করা যায়নি। যেমন, গলা কেটেই রোধ করা যায়নি অভিজিতদের কণ্ঠস্বর, এক অভিজিতের মর্মান্তিক মৃত্যু বিশ্বজোড়া বাংলা ভাষাভাষীর মধ্যে আরো দ্রুত বিস্তৃত করেছে মুক্তমনার সংগ্রাম।…এক অভিজিতের শাররীক মৃত্যু লাখো কোটি চেতনার অভিজিতের জন্ম দিয়েছে।



    মদিনা সনদে দেশ চলবে?


    আমাদের সরকারের হর্তাকর্তারা তো বটেই, এমনকি সরকারি উজির-নাজির-চাটুকার-টকশো তালেবরবৃন্দ এতোদিন ব্লগার খুন হলে খুনীর বদলে নিহতর “অপরাধ” সনাক্তে বিস্তর সময় ব্যয় করেছেন। গণমাধ্যমে, এমনকি জাতীয় সংসদে হিতাপোদেশ দিয়েছেন, ধর্মকে আঘাত না করে লেখার। কিন্তু তখন জিহাদী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তারা টু-শব্দ করতে ভুলে গেছেন। এ-ও ভুলে গেছেন, আস্তিক হোক, আর নাস্তিক হোক, প্রতিটি হত্যাই ফৌজদারী অপরাধ, এসব অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই আমলে নিতে হবে, যথার্থই কাজ করতে হবে হত্যাকারী বিচারে।



    কিন্তু ভোটের অংক কষে হেফাজত ইসলামকে নিজ হেফাজতে নিতে মশগুল সরকার বাহাদুর তখন মদিনা সনদে দেশ পরিচালনার পথে হেঁটেছিলেন। তাই শাহবাগ গণজাগরণের কাল থেকে গত চার বছরে কোনো ব্লগার-লেখক হত্যারই এখনো সুবিচার হয়নি।



    তাই তো অভিজিৎ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও তার স্ত্রী, সহব্লগার বন্যা আহমেদকে আক্ষেপ করে লিখতে হয়, এদেশের হত্যার বিচার চাইতে গেলে আকুতি জানাতে হয়।



    অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় এই লেখককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মুক্তমনা এখন বিপন্ন। অভিজিৎ হত্যার বিচারকে সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে খোদ প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে তাকে আশ্বাস্ত করলেও তিনি তার কথা রাখেননি।



    আর জঙ্গি হামলায় খুন হওয়া অভিজিতের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম তো আক্ষেপ করে বলেই ফেলেন সেই অকপট সত্য, তিনি 


    আদৌ পুত্র হত্যার বিচার চান না, কারণ এদেশে মুক্তমনা হত্যার বিচার চেয়ে লাভ নেই।



    তোমারে বধিবে যে


    জিহাদীদের সিরিজ খুনের চাপাতির কোপ “নাস্তিক ব্লগার” এর পরিধি ছাড়িয়ে শিগগিরই বিদেশী, ভিন্ন ধর্মালম্বী, অধ্যাপক, হোমিও চিকিৎসক, সমকামী, এমনকি মসজিদের ইমাম, শিয়া ও পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে শেষমেষ সরকার কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। ঢাকাসহ দেশের বেশ কিছু স্থানে অভিযানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইন-শৃংখলা বাহিনী। অভিযানে ধরা পড়ে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী-জঙ্গি। অবশ্য আমরা মুক্তমনারা আগেই সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলাম, ব্লগার খুন হচ্ছে জিহাদের সূচনা মাত্র; খেলাফত, তথা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার খোয়াবে মশগুল মুজাহিদরা শিগগিরই হত্যার পরিধি বিস্তৃত করবে। রাষ্ট্র দখল করাই যেহেতু তাদের লক্ষ্য, তাই তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর আঘাত হানবে শিগগিরই। আর সরকারি উদাসিনতায়, বলা ভালো, জিহাদীদের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের হত্যাযজ্ঞ দেশজুড়ে ছড়াতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। …



    ঠিক এমনিভাবেই বিএনপি-জামাত সরকারের প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে সে সময় গড়ে ওঠা জঙ্গি নেতা বাংলাভাই সম্পর্কে জানতে চাইলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলা ভাই-ইংশিল ভাই কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। ১৯৭১-এর ঘাতক, বিএনপি সরকারের মন্ত্রী, জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন আরো এক কাঠি এগিয়ে, সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলা ভাই বলে নাকি কেউ নেই। সবই নাকি মিডিয়ার সৃষ্টি!  



    বিশ্বাসের ভাইরাস


    গোকূলে বেড়ে ওঠা জিহাদীরা এরই মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গুলশানে ও শোলাকিয়ায় দুটি বড় ধরণের হামলা চালিয়ে পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। দেশ-বিদেশের চাপে সরকারও বাধ্য হয়েছেন, আগের নমনীয় অবস্থান থেকে সরে এসে “জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স” নীতি ঘোষণা করার।



    এখানে লক্ষ্যনীয়, হলি আর্টিজানে একসঙ্গে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে জঙ্গিরা খুন না করে যদি কোনো ব্লগার সমাবেশে একই হত্যাযজ্ঞ চালাতো, তাহলে কী দেশে-বিদেশে একই প্রতিক্রিয়া হতো? সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এখন যেভাবে জঙ্গি বিরোধীতায় সোচ্চার, তখন কী তারা একইভাবে সোচ্চার হতেন?



    সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে, জঙ্গি হামলার ঘটনায় যাদের বিচার করার কথা, তারাও এখন জঙ্গিদের বিচার চাইছে। আর ব্লগার খুনের জন্য প্রকাশ্যে ফতোয়া দেওয়ায় যে হেজাজতি শফি হুজুরকে বিচারের মুখোমুখি করা খুবই জরুরি, তিনিও দেখি সেদিন বিবৃতি দিয়ে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা অ-ইসলামিক বলে নতুন ফতোয়া দিয়েছেন!


    আরো লক্ষ্যনীয়, গুলশান থেকে শোলাকীয়ার হামলাকারীরা সকলেই ধনী ঘরের ছেলে, ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া, উচ্চ শিক্ষিত—এই তথ্য বেরিয়ে আসার পর উচ্চবিত্ত শ্রেণী নড়েচড়ে বসেছেন। এতোদিন “নাস্তিক ব্লগার খুন” মাদ্রাসার বিপথগামীতা ও দূরাগত বিষয় বলে তাদের কাছে মনে হলেও রাষ্ট্রের মূখ্য পরিচালক এই শ্রেণীটি এখন জঙ্গি সমস্যাকে স্বার্থগত কারণে নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা বলে ভাবতে শুরু করেছেন। নিজ নিজ সন্তানের পথোভ্রষ্টতা নিয়ে তারাও শংকিত।  



    এরই ধারাবাহিতায় এখন কেঁচো খুড়তে সাপ ও পরে অ্যানাকোন্ডা বেরিয়ে আসছে।



    জিহাদ আমদানী হচ্ছে


    সম্প্রতি ড়্যাব যে ২৬২ জনের নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাদের অনেকেই জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই তালিকার কয়েকজন নিহত জঙ্গির নাম তো আছেই, আছেন বৈমানিক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীরাও।


    খবরে প্রকাশ, আইন-শৃংখলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, তালিকায় রয়েছে একটি ঢাকার একটি চিকিৎসক পরিবারের নাম, যারা কিছুদিন আগে জিহাদে যোগ দিতে স্বপরিবারে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।



    যশোরের একজন কলেজ শিক্ষিকাও একাইভাবে পরিবারসহ চলে গেছেন সিরিয়ায়।



    চট্টগ্রামের আরেক প্রকৌশলী জিহাদ করতে জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় গেছেন বলে তার পরিবারকে জানিয়েছেন।



    খবরে আরো প্রকাশ, জিহাদীদের অনেকেই মালয়শিয়া ফেরৎ ও বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মালয়শিয়ায় দীর্ঘদিন আইএস ঘাঁটি গেড়ে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে। আর নর্থসাউথে কয়েক বছর ধরে ছাত্র-শিক্ষকদের সহায়তায় জঙ্গিগ্রুপ হিজবুত তাহরীর খুলে বসেছে রিক্রুট সেন্টার।   



    প্রশ্ন হচ্ছে, গুলশান হামলায় না হয় “কাফের নাসারা” কতল করা হলো, কিন্তু শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে কেন জঙ্গিরা হামলা করতে গেল? কেন মুসলিম হয়ে মুসলিম ভাইদের ওপর আঘাত? কেন এই ফ্রেন্ডলি ফায়ার? এটি আর কিছুই নয়, জঙ্গিরা সহি ইসলাম কায়েম করতে চায়। আর ঈদের নামাজ সহি ইসলাম নয়। কারণ, বছর দুয়েক আগে আইএস ফতোয়া দিয়ে সিরিয়ায় ঈদের নামাজ নিষিদ্ধ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, নবীজী ঈদের নামাজ পড়তেন না, তাই ঈদের নামাজ পড়া হারাম!


    সহি ইসলাম চেয়েছে বলেই গুলশানে জঙ্গিরা হিজাবধারী বেশকয়েকজন দেশি-বিদেশি জিম্মীকে ছেড়ে দেয়েছ, যারা ঠিকঠাক মতো আয়াত বলতে পেরেছেন, সে সব বাঙালিদের মুক্তিও মিলিছে। হলি আর্টিজানের জিম্মী দশা থেকে মুক্ত কর্মচারিরাও এরকম ভাষ্য দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ।



    আর গুলশান হামলার পর পরই আইএস, তথা সাইট ইন্টেলিজেন্ট জিহাদী পাঁচ জঙ্গির অস্ত্রসহ ছবি ও নামধাম প্রকাশ করেছে। দুদিন পর আরো তিন বাঙালি যুবকের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে আইএস, যেখানে গুলশান হামলার প্রশংসা করে বাংলা ও ইংরেজিতে যুবকেরা জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহ্বান জানাচ্ছে।


    আগেও ব্লগারসহ ভিন্নমতের জনদের খুন করার পর আইএস এসব হত্যার দায় স্বীকার করে টুইট করেছে। সরকার পক্ষ বলেছে, দেশে নাকি কোনো আইএস নেই, দেশিয় জঙ্গিরাই আইএস-এর নামে এসব টুইট করছে।



    আর এবার গুলশান অপরেশনের পর  হাতেনাতে প্রমান হলো, আইএস-ই পরিচালিত করছে এসব হত্যাযজ্ঞ, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পর এখন জঙ্গিরা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে, তাদের অস্ত্র-শস্ত্র, টাকা-পয়সা, আশ্রয়, প্রশিক্ষণ শিবির তো রয়েছেই, জঙ্গিরা এখন সুইসাইডাল মিশনে বেপরোয়া।…



    কাঁটায় কাঁটা নাশ?


    খবরে প্রকাশ, দেশের ২৩ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় না ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। আর ৪৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে নেই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এই যখন মূলধারার শিক্ষা প্রাথমিকের প্রকৃত চিত্র, তখন মাদ্রাসা শিক্ষার বেহাল দশা সহজেই অনুমেয়।



    বলা ভালো, সরকারের কথিত জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি শুরু থেকে কার্যকর হলে সহজেই হয়তো এতো প্রাণনাশ এড়ানো যেতো। জঙ্গিরাও ভেতর থেকে দুর্বল হতো অনেকাংশে। কিন্তু দৃশ্যতই তা হয়নি, বিষবৃক্ষটিকে অবাধে বেড়ে উঠতে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।



    কিন্তু ইতিহাস বলছে, শুধু অস্ত্রে জিহাদী সন্ত্রাস বন্ধ করা যায় না। বিশেষ করে জিহাদ যখন সুইসাইডাল হয়, তখন তো নয়ই। আফসোস, মগজ ধোলাই হওয়া জিহাদীরা যদি ভাবতে পারতেন, আইএস কাদের সৃষ্ট, এর অস্ত্র-অর্থের উৎস, নিরীহ মানুষ বধে ক্ষতি কার, লাভই বা কার, জিহাদীরা কাদের ক্রিড়ানক, তাহলে হয়তো পুরো কর্মযজ্ঞ কঠিন হতো, কিন্তু তা হওয়ার নয়, জঙ্গিদের ধর্মের নামে ভাবনার জগৎটিকে একপেশে করে তৈরি করা হয়েছে একেকটি মুজাহিদ কিলিং মেশিন। তাই শুধু বল প্রয়োগে ফ্যানাটিক ফারাবি থেকে শুরু করে নিবরাসদের দমন করা যাবে না। আর দু-একটি মাদ্রাসা বা পিস টিভি বন্ধই যথেষ্ট নয়।  



    আসলে প্রয়োজন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উৎসমুখ বন্ধ করা। জঙ্গিবাদের ছানাপোনা উর্বরভূমি মাদ্রাসা শিক্ষার আমূল সংস্কার চাই। দরকার ইংরেজি শিক্ষারও সংস্কার। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটিকেই অভিন্ন অসাম্প্রদায়িক-বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষানীতির ভেতরে পরিচালনা জরুরি। কাজটি কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। দেশপ্রেমিক সরকারের সদিচ্ছা, জনসচেতনা তো বটেই, পারিবারিক শিক্ষা-দীক্ষাও জরুরি।



    তবে রাস্তায় নামি চলো


    আমাদের কলেজে পড়ুয়া গিটারিস্ট ছেলে অদ্বিত অনন্ত সেদিন গুলশান হামলার পর একটি নতুন গানের খসড়া করেছে। তার শেষ কথাগুলো অনেকটা এরকমঃ



    “…যতো আলপনা সব আমরা আঁকবো


    যতো ভেজা রক্ত ধুয়ে ফেলি না হয়


    এখানে থাকবে না কোনো মগজ-ধোলাই


    পিছলে পড়বে না কোনো মেধাবী সন্তান


    চাপাতি থাকবে শুধু কসাইয়ের হাতে


    একজন নারী নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরবে রাত ১২টায়


    সবাই হয়ে উঠবো তরতাজা


    দুশ্চিন্তগ্রস্থ মানসিক রোগি নয়


    এখানে আমরা সবাই রাজা।



    এখনো নামবে না রাস্তায়?



    তবে পুরো পৃথিবী রক্তাক্ত গুলশান হতে


    আর বেশি দূর নেই


    এইতো কাছেই দেখা যাচ্ছে-


    সেদিন মৃত্যুর সাক্ষী শুধু আমি থাকবো।…”



    অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধার আহ্বান, মুক্তমনাদের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। অধ্যাপক অজয় রায় যেমন বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠীর বিপক্ষে প্রগতিশীল-মুক্তচিন্তার মানুষদের সংগঠিত হয়ে এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার। বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, ছাত্র, শিক্ষকসহ সব শ্রেণীপেশার মানুষের একত্রিত হওয়া চাই।



    বটম লাইনে- কলম চলবে।…


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৭০৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | 192.66.17.155 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০২:৪৪81636
  • মুক্তমনারা সবাই সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের পক্ষে নাকি !
    তাহলে মুক্তমনা ডিফাইন করা হোক। হুমায়ুন আজাদকে কী বলবেন দেবব্রতবাবু ?

    তবে, 'সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উৎসমুখ হিসাবে ধর্মের ভূমিকা নগণ্য- সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উৎসমুখ সাম্রাজ্যবাদ এবং পুঁজিবাদ' , একথা তো খুব ভুল কিছু লাগেনি। এটা নিয়ে কি বিপ্লব রহমান বা অন্যেরা সেভাবে ভিন্নমত ?
  • রোবু | 233.29.204.178 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৩:০৮81675
  • পাইদির পোস্টটা খুব ভালো লাগল।
  • dc | 120.227.224.25 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৯81637
  • সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উৎস পুঁজিবাদ - এই সিদ্ধান্তে কিভাবে আসা গেল?
  • avi | 125.187.34.208 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৩:২০81638
  • dc, :-))))))
  • সোজা অঙ্ক | 195.38.14.171 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৩:২৪81676
  • সোশাল রিভলিউশন ? কারা ঘটাবে না বুঝতে পারলেন তো ? বাই এলিমিনেশন বের করে নিন ।
  • সাবাস | 119.201.133.100 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৩:৩২81639
  • বিপ্লববাবুর সাম্প্রদায়িক বক্তব্য খুব ভাল লাগল । বিরুদ্ধমতকে কুযুক্তি বলে দাগিয়ে 'না জানলে জেনে নিন'-এর সর্বজ্ঞপনা খুব চেনা নাস্তিক্য সিন্ড্রোম । এই ভণ্ডামোহীন আত্মপ্রকাশ স্বাগত ।
  • pi | 37.63.187.254 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৩:৪১81640
  • আইসিস সৌদি আম্রিগা কানেকশন নিয়ে কী বক্তব্য ?
  • b | 24.139.196.6 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৩:৫৭81641
  • দেবব্রত বাবুর লেখা ভালো লাগে। প্রচুর কোটেশন থাকে তো, অনেককিছু জানতে পারি।
  • avi | 233.191.49.225 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:০০81642
  • সামারি করে দিই। আম্রিগা> সৌদি> আইএস> জামাতি। আবার আম্রিগা> নাস্তিক্যবাদ> মুক্তমনা। সুতরাং, মুক্তমনা = জামাতি। এবার ভাব সম্প্রদারণ করলে পাচ্ছি, উভয়ের বিনাশের জন্য কল্কি অবতার নরেনবাবু ছাড়া কোনো অপশন নেই। সে বাকুনিন না বললেও। এ এক যুগসন্ধিক্ষণ। হিসেবটা ভগ্নাংশ না, ত্রৈরাশিক।
  • | 116.221.143.57 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:০৬81643
  • বাঃ সব ঘেঁটে মেখে একশা।
  • π | 233.176.33.172 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:০৭81644
  • এগুলো নিয়ে ভাল খিল্লি করাই যায়। কিন্তু সে তালিবান হোক কি আল-কায়দা কি আইসিস, আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে তাও প্রশ্ন থেকেই যায় ঃ)

    আমার তো মনে হয় দুপক্ষই এক্সট্রিমে অতিসরলীকররণ করতে ভালোবাসেন। দেবব্রতবাবুর এই মুক্তমনা মানেই সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের পক্ষে পড়েও তাই মনে হল, অন্যদিকে আম্রিগার কথা এলেও সেটাকে জুজু ভাবা, সেটাও।
  • dc | 120.227.224.25 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:১২81645
  • পাই ম্যাডামের পোস্টটা কি আমার প্রশ্নের উত্তর হিসেবে ছিল? নাকি ইন জেনারাল? পুঁজিবাদের সাথে আইসিস, সৌদি আর আমেরিকা কারুরই সম্পর্ক নেই, তাই ক্লিয়ার করে নিতে চাই। আমি খুব একটা অতিসরলীকরন করিনা বোধায় (আমেরিকা আর মিডল ইস্ট নিয়ে অনেক টইতেই নানান সময়ে পোস্ট করেছি, তবে কিনা পুঁজিবাদের সাথে এই দুটওরি সম্পর্ক নেই, তাই আবারও ক্লিয়ার করে নিতে চাই)।
  • π | 233.176.33.172 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:১৩81646
  • না, ইন জেনেরাল।
  • dc | 120.227.224.25 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:১৫81647
  • আচ্ছা।
  • avi | 233.191.49.225 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:১৬81648
  • নাহ, দুটোকে নিয়ে খিল্লি না। আমেরিকা আইএস যোগাযোগ নিয়ে তো কারো সন্দেহ আছে মনে হয় না। তবে মুক্তমনারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এত বিপুল পুঁজিবাদী সমর্থন পেয়েও বসে বসে চাপাতিতে খুন হচ্ছে, একটা চকোলেট বোমাও ছুঁড়তে পারছে না, এই থিওরি সাবস্ক্রাইব করা কঠিন। র‍্যাদার, দুপক্ষের যুদ্ধ দেখিয়ে ব্লগার হত্যা বেশ জাস্টিফায়েড হয়ে যাচ্ছে, এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইত্যাদি। সেটা দুর্ভাগ্যজনক।
  • dc | 120.227.224.25 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:১৭81649
  • আগের পোস্টটায় একটু ভুল লিখেছিলাম, এরকম হওয়া উচিত - ব্রিটেন, আমেরিকা আর মিডল ইস্ট নিয়ে অনেক টইতেই নানান সময়ে পোস্ট করেছি (কারন খোঁচাখুঁচিটা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আমলে শুরু হয়েছিল)
  • π | 233.176.33.172 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:২২81650
  • ' মুক্তমনারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এত বিপুল পুঁজিবাদী সমর্থন পেয়েও বসে বসে চাপাতিতে খুন হচ্ছে' ... , এই থিওরি কোথায় পাওয়া যাচ্ছে ?

    দেখুন, ধর্ম সব সমস্যার মূল, তাকে উপড়ে না ফেললে উপায় নেই, তার জন্য ধর্মকে তেড়ে গাল দিতে হবে, ধার্মিক হলেই বলতে হবে তারাও দায়ী, মডারেট বলে কিছু হয়না, মুক্তমনাদের অনেকেরই স্ট্যাণ্ড এটা। এবার এটাকে অনেকেই আবার সঠিক মনে করেন না। এভাবে ধর্মকে এককথায় ব্ল্যাঙ্কেট খারাপ মনে করেন না, বা এভাবে তাকে কালপ্রিট বানানোকেও সমর্থন করেন না, এগুলো সমস্যা না কমিয়ে আরো বাড়াতে পারে মনে করেন। সে নিয়ে তর্ক করা যায়, হয়েওছে অনেক। কিন্তু এটার মানে এই নয় যে মুক্তমনা মানে সাম্রাজ্যবাদের সমর্থক বা মুক্তমনাদের সমালোচনা মানে সাম্রাজ্যবাদের সমর্থক হিসেবে তাদের হত্যাকে জাস্টিফাই করা। এই দুটোই অতিসরলীকরণ লাগে।
  • π | 233.176.33.172 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:৩৪81651
  • মাদ্রাসা নিয়ে বাংলাদেশের একজনের পোস্ট দেখলাম। মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমার তেমন আইডিয়া নেই, যাঁরা জানেন, বলুন। মাদ্রাসায় কি ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া কিছু দেওয়া হয়না নাকি ? বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হয়না, বা সেন্সরড ?
    খাগড়াগড়ের সময় মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কিছু লেখা পড়েছিলাম, মানে এদিক ওদিক দুদিক নিয়েই। আরেকবার পেলে ভাল হত।
    এঁর পোস্টে অবশ্য সেসব কিছু উত্তর পাইনি।

    'ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেই কিছু মানুষের(প্রায় সবই চাড্ডি) মাদরাসা নিয়ে চুলকানি দেখা যায়। তাদের মতে মাদ্রাসা থেকে নাকি জঙ্গিবাদকে উস্কে দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বে বড় বড় জঙ্গি হামলার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের প্রায়ই সবাই আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া করেছে। আবার বড় দুই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান বাগদাদি ও জাওয়াহিরি দুইজনই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। অতএব মাদ্রাসার বিরোধিতা করায় ধর্মীয় কারন ছাড়া আর কিছু দেখি না।
    .....
    এখন আসি মাদ্রাসার সুফল বা মাদ্রাসা দ্বারা পরিচালিত কর্মগুলোতে। মাদ্রাসার কাজ কিন্তু শুধুমাত্র শিক্ষা দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অনেক আগে থেকে মাদ্রাসাগুলো এতিমখানা পরিচালনা করে চলেছে। এতিমদের খাদ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার ব্যাবস্থা তারাই করে থাকে। মাদরাসা থেকে ইদানিং বৃদ্ধাশ্রমও পরিচালনা করা হয়ে থাকে। উপকূল এলাকায় মাদ্রাসা সমূহ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহিত হয়। এছাড়া সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে সাহায্য, বৃক্ষরোপণ, রাস্তাঘাট পরিষ্কারসহ নানা রকম সামাজিক কাজে মাদ্রাসার ভুমিকা অনস্বীকার্য।
    শুধু ধর্মীয় কারনে এমন উপকারী প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করা চরম বোকামি ও কট্টর সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়...'
  • | 116.221.143.57 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৪:৪৫81652
  • নাটের গুরুরা উচ্চশিক্ষিত হলেও তাদের কলকবজাগুলো মাদ্রাসা শিক্ষিত হলেই বেশী সুবিধে হয়। রোজ রোজ মাঠে ময়দানে তো নাটের গুরুরা মরতে যাবে না, যাবে তারাই যারা ৭২টা হুরের স্বপ্নে বিভোর।

    ঐ পাশের বাড়ীর ছাদ না কোথা থেকে হাসনাত করিমের ভিডিওটা কেউ তুলে না ফেললে এতদিনে সে ব্যটাও জঙ্গীদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া বীরের মর্যাদা পেত আর আরো গাদা গাদা লোকে বোরখার উপকারীতা নিয়ে বক্তিমে দিত।
  • শহিদ | 202.42.116.16 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৫:০৮81653
  • "নাটের গুরুরা উচ্চশিক্ষিত হলেও তাদের কলকবজাগুলো মাদ্রাসা শিক্ষিত হলেই বেশী সুবিধে হয়। রোজ রোজ মাঠে ময়দানে তো নাটের গুরুরা মরতে যাবে না, যাবে তারাই যারা ৭২টা হুরের স্বপ্নে বিভোর।"

    এসব কি আপন মনের মাধুরী ? গুলশনে কারা মরতে গেল ? মহম্মদ আটা কে ?
  • মাইরি | 103.115.95.206 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৫:১৬81654
  • "পুঁজিবাদের সাথে আইসিস, সৌদি আর আমেরিকা কারুরই সম্পর্ক নেই"
    সিরিয়াস বিষয় নিয়ে ইয়ার্কি কি না মারলেই নয় ?
  • dc | 132.164.211.212 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৫:৩৪81655
  • আমার তো পুঁজিবাদের ঘাড়ে সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের দায় চাপিয়ে দেওয়াটাই ইয়ার্কি মনে হল।
  • avi | 113.217.234.8 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৫:৫০81656
  • বোঝো কাণ্ড! অতিসরলীকরণ সর্বত্র বেরোচ্ছে তো। ঃ) যেমন ধরুন পাইদি যে অংশটা কোট করলেন। "ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেই কিছু মানুষের(প্রায় সবই চাড্ডি) মাদরাসা নিয়ে চুলকানি দেখা যায়।" - এখানে ব্র্যাকেটের মধ্যের অংশ লক্ষ্যণীয়। মাদ্রাসা-বিরোধিতা অর্থাৎ চাড্ডি! বেশ। আর মাদ্রাসার উপকারী দিক থাকবে না কেন? সবকিছুর ভালো খারাপ আছে। আরেসেস-ও সম্ভবত এই সব কাজগুলিই করে থাকে, দেখুন হয়তো হিটলারস ইয়ুথ-ও করত। তাতে সমালোচনা করা যাবে না?
    এবার মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমার আপত্তি কিন্তু "মুক্তমনারা সবাই সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের পক্ষে" এই ব্ল্যাঙ্কেট কমেন্টের ক্ষেত্রেই। পাইদি নিজেও সেখানেই আপত্তি জানিয়েছেন। কিন্তু তর্কের তোড়ে অন্যান্য বিষয় চলে আসছে যেগুলো এখানে এখনো আদৌ উত্থাপিত হয় নি, অন্য জায়গার তর্ক। ঃ)
    'মুক্তমনারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এত বিপুল পুঁজিবাদী সমর্থন পেয়েও বসে বসে চাপাতিতে খুন হচ্ছে' এটা থিওরি কেন হতে যাবে? আমি বলতে চাইছি মুক্তমনারা যদি মার্কিন সাহায্যই পেত তাহলে নিশ্চেষ্ট মারা যেত না।
  • ইয়ে | 103.115.95.205 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৬:০২81657
  • দেবব্রতকে বলার - মুক্তমনাদের ভাবাবেগে আঘাত না দেওয়াই বাঞ্ছনীয় ।
  • pi | 37.63.179.8 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৬:০৩81658
  • অভি , আমি খুব স্পষ্টভাবে বলেছি অন্য দিকেও অতিসরলীকরণ আছে। আর মাদ্রাসা নিয়ে বক্তব্যটা আদৌ সম্পূর্ণ মনে হয়নি সেটাও লিখেছি। এটা তথাকথিত সেমি ছাগুর বক্তব্য তাই এক্স্ট্রীম ভিউ আছে। সেজন্যেই দিয়েছি। বাস্তবে সত্যিটা কী ?
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৬:০৬81677
  • ইসলাম ধর্ম, বা কোন ধর্মকেই আউটরাইট অ্যাটাক করা স্ট্র্যাটেজি হিসাবে ফলপ্রসু নয় মনে হয়। বিশাল সংখ্যক মানুষ ধর্মাচরণ করেন, ধার্মের কাছে একটা আশ্রয় পান। কাউকে মারার কথা ভুলেও ভাবেন না।
    আবার ধর্মের টেক্সটে কিছু আপত্তিকর বক্তব্য আছে, যেমন ইসলামে বিধর্মী-দের শাস্তি দেওয়ার কথা আছে। সংখ্যাগরিশ্ঠ মুসলিম তা জানেন না, বা জানলেও পাত্তা দেন না। কিন্তু সেই ধরণের কথাবার্তাকে হাইলাইট করে, প্রচার করে কিছু লোককে প্রভাবিত করা যায়, মানুষ খুনও করান যায়।
    রিগ্রেসিভ ব্যাপার ধর্মে যা আছে, সেগুলোর প্রতিবাদ করতেই হবে। সেক্ষেত্রেও ওগুলোর অন্য কোন ইন্টারপ্রিটেশন আছে, সহি ইসলাম নয় - এই লাইনে আলোচনাই বোধহয় বেশি কার্যকর, ইসলাম ধর্মটাই খারাপ - এই লাইনে না খেলে
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৬:০৮81678
  • আর একটা জিনিস মনে হয় - মুক্তমনা, নিও অ্যাথিস্ট, কম্যুনিস্ট, সোশালিস্ট হ্যানা ত্যানা এই যে সব ট্যাগ - এগুলোর কি সত্যি কোন দরকার আছে?
    মানুষ শব্দ-টাই কি যথেষ্ট নয়?
  • রোবু | 233.29.204.178 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৬:১২81659
  • সবাই এত র‍্যাডিকাল হয়ে যাচ্ছে কেন?
  • dc | 132.164.211.212 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৬:১৬81660
  • রোবুর প্রশ্নটা আমারও ঃ(
  • avi | 113.217.234.8 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৬:৩১81661
  • রোবুদাকে ক।
    পাইদি, আগেই বলেছি একই গ্রাউন্ডে খেলছি, তর্ক করা বেকার শক্তিক্ষয়। বাস্তব সত্যির কাছে পৌঁছতে সময়ও লাগে তো কখনো কখনো। সবে তো পেঁয়াজের খোসা ছড়ানো হচ্ছে। আপাতত এখানেই ইতি। ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন