এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  গপ্পো

  • শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গল্প

    মুরাদুল ইসলাম লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ | ১৫৫০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সেদিন মধ্যদুপুরে নগরীর কোর্ট পয়েন্টের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে যখন আব্দুল মজিদ ঘোষণা দিল যে সে একটি গল্প বলতে চায় তখন রাস্তায় চলাচলরত ব্যস্ত মানুষেরা তার দিকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল এবং ভেবেছিল সে একজন বদ্ধ উন্মাদ। কিন্তু আব্দুল মজিদের তাতে কোন অসুবিধা হল না। সে বার বার একই ঘোষণা দিয়ে যেতে লাগল যে সে একটি গল্প বলতে চায়।

    আব্দুল মজিদের এই কার্যক্রম নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত মানুষদের কাছে অস্বাভাবিক ঠেকেছিল এবং অস্বাভাবিক জিনিসের প্রতি মানুষ এক ধরনের আকর্ষণ অনুভব করে সুতরাং কিছু মানুষ আব্দুল মজিদকে ঘিরে দাঁড়াল। আব্দুল মজিদ প্রচন্ড সূর্যের উত্তাপে গরম ভেজাল বিটুমিনের স্তর দ্বারা আচ্ছাদিত রাজপথে দাঁড়িয়ে তার চারপাশে জমে যাওয়া মুখগুলোকে দেখে ভেতরে ভেতরে পুলক অনুভব করল।  তার মনে হল অনেক অনেক দিন পরে রাশি রাশি পক্ষীকূল তার ভেতরের দুনিয়ায় একসাথে উড়াল দিয়েছে এবং তারা এক স্বর্গীয় ছন্দে একসাথে ডানা কাঁপিয়ে উড়ে চলেছে। আব্দুল মজিদের শরীরের ভেতরের রক্ত টগবগ করে ফুটে উঠল এবং সদ্য দৌড়াতে শেখা বাছুরের মত তার সমস্ত শরীর জুড়ে ছুটে বেড়াতে শুরু করল অপার্থিব উচ্ছ্বলতাকে সঙ্গে নিয়ে। আব্দুল মজিদ এইসব অনুভব করে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না। তার কণ্ঠ ভারী হয়ে এল এবং চোখগুলো ঝাপসা হয়ে আসল। সে নিজের চোখকে উপস্থিত জনতার চোখের আড়াল করতে উত্তপ্ত রাজপথের দিকে তাকাল এবং সে দেখতে পেল স্থানে স্থানে চাকার ঘর্ষণের ফলে রাস্তার বিটুমিন উঠে গেছে। সেইসব জায়গা রাস্তার বুকের ক্ষত হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে আর কোথাও কোথাও এইসব ক্ষত অগভীর গর্তে পরিণত হয়েছে। আব্দুল মজিদ ঝাপসা চোখ দিয়ে দেখলেও অনুভব করতে এইসব ক্ষত এবং গর্ত আসলে নগরের নাগরিকদের বিবর্ণ হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি। তার খারাপ লাগে এবং সে নিজেকে শক্ত করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মুখ তুলে বলে, আজ আমি আপনাদের একটা গল্প বলব। শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গল্প। এইগল্প এই শহর এবং শহরে বসবাসকারী মানুষের গল্প। আপনাদের মনে হতে পারে এই গল্পের সাথে শহর এবং শহরবাসীদের কোন মিল নেই। কিন্তু এই মনে হওয়া ভুল হবে। কারণ আমি এই চারপাশের বাস্তব পৃথিবীর ভেতরের অবাস্তব জগতটাকে দেখেছি এবং সেইমত বুঝে নিয়েছি এই শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গল্পটিকে। এখন আমার দায়িত্ব আপনাদের এই গল্প শোনানোর। আপনাদের কি এই গল্প শোনার সময় হবে?

    আব্দুল মজিদের চারপাশে যে মানুষগুলো জড়ো হয়েছিল তারা বেশ আমোদ পেল। তারা হাসি হাসি মুখ করে আব্দুল মজিদের কথা শুনছিল এবং কেউ কেউ কথা বলছিল। তাদের সেইসব কথা এই গল্পের ক্ষেত্রে অগুরুত্বপূর্ণ বিধায় সেইসব উহ্য থাকল।  আব্দুল মজিদের চারপাশে ভীড় বাড়ছে। কোন এক অদ্ভুত কারণে মানুষ এইসব জিনিসে আগ্রহ অনুভব করে।  ব্যস্ত মানুষেরাও গাড়ি থামিয়ে, গাড়ির গ্লাস নামিয়ে দেখতে লাগল কী হচ্ছে এখানে।

    আব্দুল মজিদের মনে হল গল্প বলার পক্ষে যথেষ্ট মানুষ হয়েছে। সে গল্প শুরু করার আগে একবার চিৎকার করে বলল, ব্যস্ত নাগরিকবৃন্দ, আপনাদের কি সময় হবে আমার গল্প শোনার?

    উপস্থিত জনতার উত্তর ছিল হ্যাঁ সূচক।

    সুতরাং আব্দুল মজিদ ভরাট কণ্ঠে গল্প শুরু করল। সে বলল, আপনারা আজ যেখানে জড়ো হয়েছেন, এখানে, ঠিক এইখানে আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে ছিল এক বিরাট দীঘি। সেই দীঘিতে ছিল মুক্তার মত জল। এবং সেই কানায় কানায় পূর্ণ দীঘির জলে সকাল বিকাল ভেসে বেড়াত পানকৌড়ির দল। 

    তখন নগরের লোকেরা সেই পানকৌড়িদের দেখত এবং তাদের পিঠে চড়ে নগর ভ্রমণের স্বপ্নে বিভোর থাকত শহরের যাবতীয় প্রেমিক যুগল। এই অদ্ভুত এবং উদ্ভট চিন্তা বা ইচ্ছা কেন তাদের মাথায় চেপে বসেছিল কেউ জানে না। হতে পারে এটা এমন কোন বিষয় যা মানুষ কেন প্রেমে পড়ে বা এইজাতীয় কিছু বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের মত ব্যাখ্যাতীত। প্রেমিক যুগলেরা ছাড়া আর কেউ সেই পানকৌড়িদের দেখে তেমন কোন ইচ্ছাপোষণ করত না কিন্তু মোটের উপর শহরবাসীদের এই ধারণা ছিল যে এইসব পানকৌড়িরা আসলে খুব পবিত্র ধরনের প্রাণীবিশেষ।

    আব্দুল মজিদ এই পর্যন্ত বলে দম নেয়। তার চারপাশে আরো মানুষ জমেছে। এবং আশ্চর্যের ব্যাপার, সবাই মনযোগ দিয়ে গল্প শুনছে। চারপাশে কোথাও কোন শব্দ নেই। শুধু দূর থেকে কিছু রিকশার টুং টাং শব্দ ভেসে আছে যা এই নীরবতাকে  আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিল যেন।

    আব্দুল মজিদ কিছুটা অবাক হয়। এত মানুষ জমল কেন? আর তারা এত তন্ময় হয়ে শুনছেই বা কেন? সাধারন বিবেচনায় সে বুঝতে পারে, সে যেভাবে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মানুষদের আহবান করেছে তা যেকোন একটা পাগল লোকের মত এবং এইসব জিনিসের সাথে নগরবাসীরা পরিচিত খুব। সুতরাং আব্দুল মজিদের ধারণা ছিল বেশিরভাগ লোক তাকে উপেক্ষা করে চলে যাবে। 

    তার মনে হয় এই গল্প সত্যি সত্যিই এই শহরের একমাত্র মৌলিক গল্প যা নগর তার আত্মায় ধারণ করে আছে শত শত বছর ধরে। সুতরাং, কোন এক ছুতায় যেহেতু গল্প আব্দুল মজিদের মুখ থেকে বের হচ্ছে তখন শহর তার সমস্ত সম্মোহনের শক্তি দিয়ে তার নিজস্ব বাসিন্দাদের টেনে এনেছে এবং নিজের গল্পের জাদুতে মুগ্ধ করে রেখেছে। আব্দুল মজিদ দেখতে পায় আরো মানুষেরা ছুটে আসছে।

    আব্দুল মজিদ উত্তেজনা অনুভব করে এবং সে আবার গল্প শুরু করে,  তারপর একদিন খুব ভোরে নগরবাসীরা যখন ঘুমে তখন শহরের সব প্রেমিক যুগল এক হল এই দীঘির পাড়ে। এইসময় পানকৌড়িরা স্থির হয়ে ধ্যান করে। প্রেমিকযুগলেরা পূর্বপরিকল্পনা মত সবাই একসাথে চেপে বসে একেকটা পানকৌড়ির পিঠের উপর।

    আর পানকৌড়িরা দীঘির পাড়ে উঠে আসে। শহরবাসী ঘুম ভাঙ্গা চোখে তাকিয়ে দেখে পানকৌড়ির পিঠে চেপে নগর প্রদক্ষিণ করছে তাদেরই পরিচিত কিছু প্রেমিক যুগল।

    তাদের খারাপ লাগে। তারা ছুটে যায় নগরপিতার কাছে। নগরপিতা চিন্তিত মুখে বললেন, কাজটা খুব খারাপ হয়েছে। এদের বিয়ে দিয়ে দিতে হবে। 

    তখন নগরের বাসিন্দাদের কেউ কেউ ভাবলেন হয়ত এর জন্যই শহরের সব প্রেমিক যুগল চেপে বসেছিল পানকৌড়ির পিঠের উপর। দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী আছে! 

    সুতরাং, যেসব প্রেমিক যুগলেরা পানকৌড়ির পিঠে চেপে নগর পরিভ্রমণ করেছিল তাদের সবার বিয়ের দিন ঠিক হল একই দিনে। সেই দিনে প্রচুর আয়োজন। তৈজসপত্রের জন্য নগরঋষি মন্ত্রযুক্ত কাগজ দীঘিতে নিক্ষেপ করার পর বিভিন্ন ধরনের রান্না বান্নার জিনিসপত্র ভেসে উঠল দীঘিতে। 

    তারপর সারা শহর মেতে উঠল আনন্দে।

    যেদিন বিয়ে সম্পন্ন হল সেদিন থেকে নগরের কিছু পরিবর্তন শুরু হল সবার চোখের অগোচরে। দীঘির জল কমতে শুরু করল। জল কমার পরিমাণ বাড়তে থাকল দিন দিন। এবং এক পর্যায়ে দীঘির প্রাচীন বাসিন্দা পানকৌড়িরা উড়াল দিয়ে চলে গেল অজানা দিগন্তে। সেবার শীতে পুরো শুকিয়ে গেল এই বিশাল দীঘি।

    আব্দুল মজিদের কন্ঠ ভারী হয়ে আসে। সে বলে, হ্যাঁ। এইখানে দীঘিটা ছিল। যেখানে আপনারা দাঁড়িয়ে আছেন। 

    আব্দুল মজিদের ভেতর থেকে এক ধরনের চাপা কষ্ট উঠে এসে গলার কাছে যেন দলা পাকিয়ে বসে থাকে। সে আর কোন কথা বলে না বা বলতে পারে না। মানুষেরাও দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চুপ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • গপ্পো | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ | ১৫৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | 233.223.133.36 (*) | ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:০৬80414
  • নিশ্চুপ।
    আর কী-বা করতে পারি দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া?
  • Deb Choudhury | 11.187.163.204 (*) | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৪১80418
  • আমি একজন ব্যস্ত মানুষ। ছোট কবিতা পড়ে ফেলি। বড় গল্প শোনার সময় হয় না। কেউ বলতে চাইলে পাশ কাটিয়ে যাই। কেন বুঝতে পারছি না, এই গল্পটা আমি পড়া শুরু করলাম উপরন্তু শেষ করলাম। আরো অবাক কান্ড - গল্পের দর্শকদের মত নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। মতামত জানানোর শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।
  • গৌতম মিস্ত্রী | 59.248.235.126 (*) | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫৩80415
  • এ তো ত্রিপুরার বক্সনগরের জিনিসদিঘির গল্পের মত। জিনিসদিঘি দেখে এসেছি সদ্য।
  • shamik choudhuri | 160.129.126.180 (*) | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৫80416
  • দাঁড়িয়েই থাকব না আর ।
  • শাক্যজিৎ | 116.51.28.84 (*) | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৮80419
  • অদ্ভুত গল্প। জাস্ট অদ্ভুত
  • h | 127.194.235.130 (*) | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ১২:২২80417
  • ভালো লেগেছে।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:২৬80421
  • ভালো লাগলো
  • অভীক | 11.39.57.234 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৪২80420
  • দারুন
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০৩80422
  • ভীষণ ভালো।
  • যশোধরা রায়চৌধুরী | 53.231.242.158 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১৯80423
  • ছোট এবং লা জবাব!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন