এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • আমার নবারুণপাঠ, ব্যক্তিগত

    প্রজ্ঞাদীপা হালদার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৮৫৬ বার পঠিত
  • দুহাজার পাঁচ সাল। বাড়িতে দিদির বিয়ের ম্যাট্রিমনি দেখবার জন্যে আনন্দবাজার কাগজ রাখা শুরু হয়েছে। তার আগে বাড়িতে কাগজ বলতে আসতো বিশুদ্ধ গণশক্তি। সুতরাং পাঠের অভ্যাসও গণশক্তি মাফিকই ছিলো। মনে বড় সাধ বিশ্বজোড়া যৌথ খামার, বিপ্লব টিপ্লব এইসব। তখন সবে কলেজে যেতে শুরু করেছি। এবং দিন বদলের স্বপ্ন দেখার সেই তো বয়েস।

    যাই হোক। এমন একদিন কাগজে হারবার্ট সিনেমার রিভিউ বেরোলো। এবং আমি সেই অমোঘ বাক্যবন্ধ পড়লাম। যেহেতু হারবার্ট সম্ভবতঃ নবারুণের বইগুলির মধ্যে সর্বাধিক পঠিত, সুতরাং পুনরুল্লেখ বাদ থাক।

    বাবা আমাকে নিয়ে যেতেন কলেজস্ট্রীটে বই কিনতে। মাটিতে পড়ে থাকা বইয়ের রাশ থেকে আলতো হাতে তুলে নিলাম হারবার্ট আর কাঙাল মালসাট। সেই আমার প্রথম সচেতন নবারুণ পাঠ। আমি সাহিত্যের ছাত্রী নই। বস্তুতঃ অদীক্ষিত পাঠক। সুতরাং নবারুণ কতটা উত্তর-আধুনিক, কত সমাজ সচেতন সেটা বোঝা বা জানার এবং অবশ্যই প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই। আমি তাই নবারুণের লেখাগুলো গল্প হিসেবে পড়ি। যে গল্পে আমার মধ্যে কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়।

    বহুদিন আগে বইমেলায় নবারুণের প্রেম ও পাগল নামের একটি বই কিনেছিলাম। সেখানে সম্ভবতঃ ‘জনৈক নৈরাজ্যবাদীর সংবাদ’ (বইটি কোনো বন্ধুজনে চক্ষুদান করেছেন, তাই একটু সন্দেহ রয়েই গেলো) নামের একটি আখ্যান ছিলো। একটি নৈরাজ্যবাদী পিওন গোপনে তার নাশকতা ছড়াচ্ছে বিড়ির টুকরো (কারণ বিড়ির কোনো স্টাম্প বা বাট হয় না।) পোস্টবক্সের মধ্যে ফেলে। পরেরদিন চিঠির গায়ে ছোট্ট ছোট্ট পোড়া দাগ। এবং আমার ধারণা হয় যদি আমরা একাধিকজনে বিড়ির টুকরোগুলো পোস্টবক্সে ফেলি, হয়তো একদিন তা সর্বগ্রাসী অগ্নিকান্ড হবে। পুড়ে যাবে গোপন সংকেতবার্তা। পুড়ে যাবে সামরিক তথ্য। কে জানে এই সব ছোট ছোট বিড়ির আগুনের মতো ব্যক্তিগত বিপ্লব একদিন সমষ্টিগত রূপ নেবে।

    কাঙাল মালসাট প্রথম পড়ি যখন তা ধারাবাহিক বেরোচ্ছিল। বইটা আমি দ্বিতীয়বার পড়ি যখন কলেজে। [আজও (অহঙ্কার নয়) কাঙাল মালসাটের কিছু কিছু অংশ আমি মুখস্থ বলতে পারি।] ডিএন-১৮ বাস ধরতাম খালপাড় থেকে। চাকার উপরকার সীটে গুছিয়ে বসতাম। তারপর ঘন্টা দেড়েক নির্বিঘ্ন নবারুণ যাত্রা। ক্লাসের অন্য ছেলেরা বইটা একদিন পড়বে বলে নেয়, এবং জানায় ‘বাহ, বেশ খিস্তি আছে তো’। আমি যুগপৎ বিমর্ষ ও আনন্দিত হই। বিমর্ষতার হেতু বন্ধুরা বুঝতে পারছে না, আর আনন্দিত কারণ আমি না বুঝলেও প্রতিটি বাক্যবন্ধ ও বাক্যের মধ্যবর্তী নীরবতাটুকু অনুভব করতে পারছি। যার বক্তব্য খুব পরিষ্কার না হলেও আমার মাথার মধ্যে শিকড় গেঁড়ে বসছে। আমি ফিরে যাচ্ছি আমার শৈশবের শিক্ষায়। বিদ্রোহ বিপ্লব মুক্তি। কিন্তু তার বাইরে আরো ম্যাজিকাল কিছু ঘটছে। দৃশ্য। যাকে আধ্যাত্মিক অরার সাথে তুলনা করা যায়। একটা ছোট্ট স্পেসিমেন। কাঙাল মালসাটের গোড়ার দিককার ছোট্ট চারলাইন কবিতা। ‘ওই দেখো ঢুলু ঢুলু গ্রাম / মাঝে মাঝে হাঁটে জলপিঁপিঁ / ক্যাঁতামুড়ি চাষা, চাষা-বউ / নাক ডেকে যায় ফুলকপি।’ খুবই অকিঞ্চিৎকর একটি চতুষ্পদী। অথচ আজ অবধি যখনই আমি এটা পড়ি বা বলি আমি দেখতে পাই চিলেকোঠার ঘরে মাদুর পেতে পড়তে বসেছি। আবছা কুয়াশা ঘেরা মাঠের উপর দিয়ে উত্তরে হাওয়া দিচ্ছে, সে হাওয়াতে জটবাঁধা কুয়াশাও কেঁপে উঠছে। মেহগনি গাছে শালিখেরা নিজেদের পিঠ চুলকাচ্ছে, আমার সামনে ধোঁয়াওঠা চায়ের গেলাস। এবং এই ভরা বর্ষাতেও আমার ঘরে হাত পা সমেত একটা গোটা শীতকাল উঠে আসছে। আমি টের পাচ্ছি আমার শিরদাঁড়ায়।

    আমার আরেকটি প্রিয় উপন্যাস ‘ভোগী’। অনেক পুণ্য করলি পরে ভোগী দেখা যায়। চারদিকে এতো অনাচার অত্যাচার এইসব অনাছিষ্টি দেখে তবেই ভোগী আসে। এবং আত্মঘাতী হয়।

    ভোগী উপন্যাসটি আমার কাছে সিনেমাটিক দ্যোতনা নিয়ে আসে (যেমন আসে ছোট গল্প ‘ফুল, মাছ...’। এবং ভোগীর মতই সে গল্পটিও ক্যামেরার চোখে দেখা)। সেই একজন বিশ্ববিশ্রুত পরিচালক একটি সিনেমা বানিয়েছিলেন না সেখানে মৃত্যুর সাথে দাবাখেলার একটি অনৈসর্গিক দৃশ্য ছিলো। গা’য়ে কাঁটা দেওয়া। ভোগী পড়তে পড়তে আমি কণ্টকিত হয়ে উঠি। (গায়ে কাঁটা অর্থে নয়)। আমার পাশের জন এবং আমি নিজেও হয়তো ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে করতে কোথাও যাচ্ছি, কিন্তু আমাদের আত্মত্যাগ নেই, অপনোদনের ক্লান্তি আছে বলে কোনো ফল নেই। আমার চারপাশে অতৃপ্ত ভোগবাসনা চেপে রেখে আত্মহত্যার দিকে, স্বেচ্ছামৃত্যুর দিকে কত যাতায়াত। আমার পাপের দায় কেউ তো নেয়। কেউ তো নেবে। কেউ তো নিক। এবং ভোগীর শেষে গিয়ে আমার ক্লান্ত লাগতে থাকে।

    খেলনানগর আরেকটি উপন্যাস। আমাকে দেখায় জাদুগোড়া। গত পঞ্চাশ বছর ধরে তেজস্ক্রিয় বিষে মরে যেতে থাকা একটা জনপদ। আমার পুতুল কারখানার শেষ দুই শ্রমিকের জন্যে অসম্ভব কান্না পায়। তাদের স্বপ্নে সেই রুগী মানুষটিকে তারা দেখে যার পাথর কুড়িয়ে হাতিয়ার করে ফেলার মূর্তি অমর হয়ে আছে কোন এক উদ্বুদ্ধ সোভিয়েত ভাস্করের দুরন্ত খোদাই কাজে। দুই বিশ্বস্ত সৈনিকের ঘুমের সময় দেওয়াল জুড়ে পাহারায় থাকেন মার্কস ও লেনিন। আন্দোলন থেকে এক আঙ্গুলও পিছু না-হঠার নির্দেশ বলবৎ থাকে। আমার বাবার জন্যে কান্না পায়। রোগা রোগা হাতে ওঠা শির। আন্দোলন থেকে এক আঙ্গুল পিছনে না-হঠার নির্দেশ যাঁর জন্যে জারি আছে। বৃদ্ধ বয়েসেও যিনি এখনও স্বপ্ন দেখেন বিপ্লব আসবেই। হাতে হাতে কাজ হবে। পেটে পেটে ভাত। যৌথ খামার। না খেতে পাওয়া বাচ্চারা স্কুলে যাবে।

    সুতরাং এই ভাবে আমার ব্যক্তিগত পরিসরে ক্রমাগত পেনিট্রেট করতে থাকেন নবারুণ। আমি তাকে গুরু মুর্শেদ মানতে থাকি। বিখ্যাত পিতা-মাতার সন্তান এই আন্ডাররেটেড লেখক কোনো ভাবে আমার আত্মীয় বনে যান। অবিসংবাদী বন্ধু। আমিও তাই ঠিক করি ‘আমাকে কেনা সহজ নয়’। কোনোভাবেই না। সবকিছু বিক্রয়যোগ্য যে কালে সেখানে শেষ অবধি আমার ধারণা নবারুণের লেখায় আপোষ কেনা যায়নি কোনো। তাই আমি ভালোবাসি লেখাগুলো, ভালোবেসেই যাই।

    [আর যদি বিষয় হয় লেখা ও নবারুণ। তাহলে আমি আরো কিছু চিনি নবারুণকে। তাঁর মায়ের লেখায়। মা সবে ‘ঝাঁসির রানী’র জন্যে ফিল্ড ওয়ার্ক সেরে ফিরেছেন। ছোট্ট বাপ্পা মায়ের আঁচল ধরে বাবার দিকে তাকিয়ে বলছে ‘মা আজ রান্না করবে’।

    ঝাঁসির রানীর কন্টেক্সটে মনে পড়লো হঠাৎ রানী যুদ্ধে যাচ্ছেন পিঠে বাঁধা আনন্দরাও। এরকম একটা ছবি দেখতাম প্রায়ই।

    ইতিহাস কতরকম রঙ্গই যে করে। ]


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৮৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • snehashis konar. | 127.205.162.35 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৩80299
  • ব্যক্তিগত নবারুণ পাঠ দারুন লাগল।লেখিকাকে ধন্যবাদ ।
  • aranya | 154.160.226.95 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২৫80300
  • প্রচন্ড কাজের চাপেও, এই লেখাটা একটু চোখ বোলাতে গিয়ে, পুরোটাই পড়ে ফেলতে হল।

    খুব ভাল লিখেছেন প্রজ্ঞাদীপা। কাঙাল মালসাট বহু আলোচিত, ভোগী আর খেলনানগর নিয়ে অত আলোচনা হয় না - আমার খুবই প্রিয় উপন্যাস ও দুটি
  • পাঠবন্ধু | 69.160.210.3 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৩80298
  • পাঠপ্রতিক্রিয়ার সাথে একেবারে ব্যক্তিগত অনুভূতি মিলেমিশে নবারুণ-এর লেখা এমনই ওতোপ্রোত আমাদের অনেকেরই যাপনের অংশ হয়ে। ধন্যবাদ প্রজ্ঞাদীপা এমন অকুণ্ঠভাবে সে সম্পর্ক ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
  • Ranjan Roy | 132.162.116.133 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:২৯80301
  • এক্ষুণি পড়ে ফেললাম; দু-দুবার।
    ব্যক্তিগত কিছু স্বপ্ন ও অনুভূতি চোখে উথলে উঠছে--আর --না, থাক।
  • Prajnadipa halder | 125.250.142.213 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:৪৪80302
  • সবাইকে ধন্যবাদ.আরো অনেকানেক বলার ছিলো. আবেগে ঘেঁটে গিয়ে বলা হয়ে ওঠেনি.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন