এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পালাবার পথ নেই

    অনিকেত পথিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৭৬৮ বার পঠিত
  • ১।
    এমনিতে যা যা নিয়ে ভাবি, মাথা ঘামাই, তর্ক করি যেমন ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ বা কলকাতার পরিবহন সমস্যা, বাঙলা ভাষার অবনতি বা রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা।।।ইত্যাদি ইত্যাদি, আমি নিজে সেই সব সমস্যার ভুক্তভোগী হই বা না হই, বিষয় হিসেবে সেগুলো খুব এলেবেলে নয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের খবরের কাগজ পড়তে পড়তে এই সব কিছুই যেন অকিঞ্চিৎকর হয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে শুধু দেখতে পাচ্ছি একটা কিশোর রাস্তায় কাজ করতে গিয়ে লুটিয়ে পড়ল, তার দাদার চোখের সামনে পড়েই থাকল, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেল না।।।ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে পুলিশ গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে। আলের ওপর দিয়ে প্রাণভয়ে দৌড়চ্ছে মা-মেয়ে (কোনো অপরাধ করেনি তারা)পেছনে উন্মত্ত জনতা, দৌড়তে দৌড়তে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল খালের জলে, বাঁচাবার কেউ নেই।।।তবু তারা বেঁচে ফিরল, কি করে কে জানে ! পুলিশ একটু দূরে দর্শক। স্বামীর খুনের অভিযোগ জানাতে এসেছেন সদ্য স্বামীহারা মহিলা, সেখানে বসে অভিযোগপত্র ছিঁড়ে ফেলছেন অভিযুক্ত স্বয়ং, পুলিশ নীরব দর্শক। এইসব যে সমাজের ছবি, অর্থাৎ যে সমাজে বা যে ব্যবস্থায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকুই স্বীকৃত নয়, সেই সমাজে কি সমানাধিকার বা ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা নিয়ে মাথা ঘামানো চলে ! নাকি তা নিতান্তই বিলাসিতা !
    এমন নয় যে আগে কোনদিন এমন কথা শুনিনি বা দেখিনি; এই যে গুন্ডারা গুন্ডামি করছে, লুঠতরাজ, খুন-ধর্ষণ, যা যা সম্ভব, পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে কিম্বা আক্রান্তকেই গ্রেপ্তার করছে, এই চক্রটাকে আমরা আগেও দেখেছি। কিন্তু এমনও তো নয় যে যা আগে দেখেছি-শুনেছি ঠিক সেই রকম বা তার চেয়ে কয়েক ডিগ্রি বেশি দেখে-শুনে চলাটাই নিয়ম বলে মেনে নিতে হবে। আর এমনও নয় এই ভাঙড়ে এই মাখড়ায় যা যা ঘটছেচ, আমার-আপনার সমানাধিকার বা নিরপেক্ষতা নিয়ে মাথা ঘামানো জীবনে সেসব ঘটতে পারে না বা ঘটছে না ! ওই মা-মেয়ে আজ বেঁচে ফিরেছে, কাল নাও ফিরতে পারে। কিন্তু ওই মা-মেয়ের জায়গায় আমি-আপনি থাকলে বেঁচে ফেরার কোন চান্সই নেই।।।কারণ আমাদের জীবনে এমন বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা রোজ রোজ বাঁচিনা, বাঁচিনি। আমরা স্রেফ বিনা দোষে এবং বিনা প্রতিরোধেই মরে যাব।
    কিন্তু আমরা যারা নেহাৎ জন্মসূত্রেই দুবেলা ভাত, মাথার ওপর ছাদ, ইস্কুলে যাওয়ার মত একটা ছোটবেলা মিলিয়ে মোটের ওপর একটা সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন পেয়েছি আর পেয়েছি বলেই ওই সততা, নিরপেক্ষতা, অধিকার ও কর্তব্য ইত্যাদি বায়বীয় বিষয় নিয়ে ভাবতে পারি, তাদের ভুলটা তাহলে কোথায় ? আমরা যারা কাউকে না হারিয়ে না কাউকে না ঠকিয়েই এই ভাবতে পারার সুযোগটুকু পেয়েছি আর এটাকেই স্বাভাবিক বলে ভাবতে শিখেছি অন্যায় কি তাদের ? কিন্তু অন্যায় কোনটা ? ওই স্বাভাবিক জীবন পাওয়াটা নাকি ভাবতে শেখাটা ! আজ যখন প্রতিমুহুর্তে নিজের বোধ ও বিশ্বাস ধাক্কা খায় অথচ ভুলটা কোথায় ধরতে পারি না তখন ভাবনাটাকেই অতিরিক্ত মনে হয়। না হলে উত্তরোত্তর যে অপরাধে একজন গ্রেপ্তার হবে বলে ভাবি সে শুধুমাত্র ‘বহিস্কৃত’ হয়েছে (কিম্বা সবসময় তাও হয় নি !) দেখেও কেন আমাদের কিচ্ছু করার থাকে না। একটা সামান্য প্রশ্ন তুললে বা একদল নির্যাতিত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ালে কেনই বা দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হয় ! নাগরিক অধিকারগুলোকে ‘সৌভাগ্য’ বলে না ভেবে ‘স্বাভাবিক’ বলে ভাবা এবং যারা সেগুলো পাচ্ছে না, তাদের বঞ্চিত ভবার যে প্রক্রিয়া আমাদের মধ্যে নিরন্তর জেগে থাকে, যাকে আমরা ‘সচেতনতা’ বলে ডাকি, সেইটা যে একেবারেই অতিরিক্ত, বর্তমান ব্যবস্থা সেইটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে।

    অথচ এটাই হবার কথা ছিল, যারা শিক্ষার আলো পেয়েছে তারা জীবনযাত্রার সূক্ষ্মতর উপাদানগুলো নিয়েও ভাববে, ভাববে তাদের হয়েও যারা জীবনযুদ্ধে দিন আনা দিন খাওয়ার কশাঘাতে এতটাই জর্জরিত যে আর কিছু ভাবার সময়ই পায় না । এর অন্যথা হলে কেমন হবে সেই গণতন্ত্রের চেহারা, যেখানে কোন প্রশ্ন নেই, সংশয় নেই, বিশ্বাসও নেই, কারণ কোন ভাবনাই নেই, যতক্ষন অবধি আগুন আপনার ঘর পর্যন্ত না পৌঁছোচ্ছে ! কিন্তু তাই বলে পালাবার পথ নেই, কারণ সর্বনাশ একদিন না একদিন আপনার ঘরেও হানা দেবে আর পুলিশ সেদিনও একটু দূরে পেছন ফিরে দাঁড়িয়েই থাকবে।

    তাহলে ভুল হল কোথায় আর সংশোধনই বা হবে কিভাবে ? জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের যে শিখতে হয়েছে, বিশ্বাস করতে হয়েছে যে কেউ যতই অন্যায় করুক আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না, সেই শিক্ষার কি হবে ? এই প্রশ্ন তাই পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয়, পুলিশ এখানে একটি অবস্থান মাত্র। যে শাসনযন্ত্র গণতন্ত্রের এই শক্তিশালী উপাদানটাকে ক্রমাগত ধ্বংস করে চলেছে, যার মূল্য দিতে হচ্ছে গোটা সমাজকে প্রশ্নটা সেইখানে। কারণ তারা জানে না, পালাবার পথ নেই তাদেরও ।

    ২।

    বছরটা শুরু করেছিলাম মৃত্যু দিয়ে। তারপর সারাবছর একটা মৃত্যু থেকে আর একটা মৃত্যুতে দৌড়েই বেড়ালাম। অন্যন্য বছরের চেয়ে খুব যে আলাদা এমন নয়, তবু কিছু কিছু মৃত্যু, হত্যা বলাই ভালো, আমাদের সব হিসেব বড় বেশি এলোমেলো করে দেয়, এগোবার, পেছোবার, পালাবার সব পথ বন্ধ করে দেয়। যেমন কালো মেয়ে ব্রততী। কতটা কালো জানিনা, ছবিতে দেখে মনে হয়েছিল সুশ্রী। কিন্তু শুধু কালো বলেই এই মেয়ের বিয়ে তো হয়ইনি, বিয়ের চেষ্টাও নাকি হয়নি উপরন্ত শিক্ষিত পরিবারে জুটেছিল হেনস্থা। সেই অভিমানে মেয়েটা নিজে নিজেই স্রেফ ছবি হয়ে গেল। কালো মেয়ের চেনা জানা গল্পের চেয়ে ব্রততীর গল্পটা কিন্তু আলাদা, কারণ সে মোটেই শরৎবাবুর আমলের অসহায় মেয়েটি নয়, সে ছিল উচ্চশিক্ষিত, স্বনির্ভর, আধুনিক নারী। অভিভাবকরা কোনরকমে তাকে ‘পার করা’র ব্যবস্থা না করে তার উপযুক্ত শিক্ষার এবং স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, ঠিক যেগুলোকে আমরা এতদিন নারীর মুক্তির পথ বলে জেনে এসেছি। তার পরও যখন ব্রততীরা এইভাবে ছবি হয়ে যায়, তখন বড় হতাশ লাগে, মনে হয় যা ভেবে এসেছি, সব ভুল, আসলে কোথাও পালাবার পথ নেই। কারন এই মৃত্যুর দায় আমরা এমন কোন ব্যক্তি বা এমন কোন প্রথার ওপর চাপাতে পারি না যেখান থেকে আশু কোন সংশোধন সম্ভব। কোন ছেলে কালো মেয়েকে বা কোন মেয়ে বেঁটে ছেলেকে পছন্দ না করলে তাকে বড়জোর অনুদার বলা যেতে পারে, কিন্তু দোষী তো করা যায় না। তাহলে কিভাবে জীবনের এই নিদারুণ অপচয় রোধ করা সম্ভব ! কোন মানুষ শুধু শিক্ষা আর স্বনির্ভরতাকেই পূর্ণতা বলে না মনে করতেই পারেন, চাইতেই পারেন নিজস্ব সংসার। কিন্তু কালো মেয়েকে স্ব-নির্ভর করে তোলার দোষ যদি কোন বাবা-মা’কে এমনকি মেয়ের চোখেও অভিযুক্ত হতে হয়, তখন বড় গোলমাল হয়ে যায়। তাহলে আমরা কি চাইব !

    অতঃপর কোরপান শাহ।। তিনি মানসিক রোগী ছিলেন কিনা, চুরি করেছিলেন কি করেন নি তা নেহাতই গৌণ। কথাটা হল তাঁকে স্রেফ পিটিয়ে মেরে ফেলল একদল তরুণ ও মেধাবী ছাত্র যারা সবাই ভবিষ্যতের চিকিৎসক এবং সবাই সকলের পরিচিত। এই বাক্যে সব ক’টি শব্দই ‘বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন্‌ড’। কারণ পিটিয়ে খুনের ব্যস্ত শ্মশানে মাঝে মাঝেই কেউ না কেউ পুড়েই চলেছে কিন্তু সেই সব গড়পরতা ঘটনার চেয়ে এই ঘটনাটা সব দিক থেকেই আলাদা। প্রতিটি গণপ্রহারের পেছনে যে যে কারণের কথা জানা যায়, প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা, তীব্র জনরোষ, ব্যক্তিগত হতাশার প্রকাশ, এর কোনটিই আপতঃদৃষ্টিতে এখানে কাজ করার কথা নয়। কারণ ডাক্তারী ছাত্রদের এই আবাসনে ছোটখাটো চুরি ছাড়া তেমন কোন বড় অপরাধ ঘটেনি যার বিরুদ্ধে এমন তীব্র ক্ষোভ জন্মাতে পারে যা খতিয়ে না দেখেই একটা মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। এরা সবাই মেধাবী ছাত্র, মোটামুটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত সকলের জন্যই অপেক্ষা করছে, সবাই সংবেদনশীল তরুণ বয়সে দাঁড়িয়ে যখন সরকারী কর্মী ঘুস চাইলে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়, তাহলে কি কারণে একটা লোককে কিছুক্ষণ ধরে পেটনো হল, সে চিৎকার করল কিন্তু কেউ তাতে বিচলত হল না ! গণপ্রহারের ঘটনার কথা যখনই পড়ি তখনই মনে হয় কিছু লোক জুটেই তো একটা লোককে মেরে ফেলছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার মত, মারমুখী লোকগুলেকে টেনে সরিয়ে দেওয়ার মত কি পুলিশে একটা খবর দেবার মত কয়েকটা লোক কেন জুটল না ! সেই দিক থেকেও এই ঘটনার ক্ষেত্রটা অন্যরকম। একদল অপরিচিত উন্মত্ত লোককে থামানো নাও যেতে পারে কিন্তু সবাই যেখানে শুধু পরিচিতই নয়, সতীর্থ ও সহ-আবাসিক সেখানে ‘এই কি হচ্ছে !’ বলে একটা হাঁক দেওয়ার মত কাউকে কেন পাওয়া গেল না সেকথা ভাবলে সত্যিই হাড় হিম হয়ে যায়। অথচ ইচ্ছে থাকলে যে একাও একটা গণপ্রহারকে থামিয়ে দেওয়া যায় সেটা কয়েকদিন পরেই দেখিয়ে দিলেন শ্রীমতি জুলিয়া দত্ত যিনি একা রুখে দাঁড়িয়ে মারমুখী জনতার হাত বাঁচিয়েছেন একজন মিনিবাসের চালককে। তবে কি এই ছাত্রদের কাছে একটা মানুষের আর্তচিৎকারের আবেদন কিছু খুচরো টাকাপয়সা মোবাইল ফোনের চেয়েও কম হয়ে গেল! এইখানে এই ছাত্রদের ‘ডাক্তার’ পরিচয়টার কথা মনে করতেই হচ্ছে। কারণ আজ যারা একজন চোরের (যদিও তিনি চোর চিলেন না) আর্তচিৎকারে এমন নির্বিকার, কাল তারাই রোগীর করুণ আবেদনেও এমনিই নির্বিকার থাকতে পারেন। আর ঠিক সেই কথাই শুনতে পেলাম আর এক তরুণ ডাক্তারের মুখে। এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট দুঃখ ও লজ্জা প্রকাশের পরও সেই ডাক্তারী ছাত্র লিখেছিলেন চিকিৎসাব্যবস্থার পরিকাঠামো বর্তমানে এমনই দুর্বল যে পুলিশ আর সেনাবাহিনীর কর্মীদের মত ডাক্তারদেরও কিছুটা উদাসীন থাকা অভ্যেস করতে হয়, কঠিন মুখে অন্যত্র ‘রেফার’ করতে হয় মরণাপন্ন রুগীকে, না হলে কোন চিকিৎসাই সম্ভব নয়। এই দাবী যথাযথ হলে বুঝতে হবে পালাবার সত্যিই কোনও জায়গা নেই; কোরপান শাহ-র মার খেতে খেতে মরা থেকে রক্তের বোতল পাশে নিয়ে কিশোরী সুহানার রক্ত না পেয়ে মরা কিম্বা মানসিক চিকিৎসালয়ে সহ-আবাসিকদের মারে কমলা মজুমদারের মরা কোনটাই নেহাৎ দুর্ঘটনা নয়, সবই স্বাভাবিক। যে ‘একটা ছেলে’ রুখে দাঁড়ালে বা যে ‘একজন ডাক্তার’ বা ‘একজন কর্মী’ এগিয়ে এলে প্রাণের এই অপচয়গুলো হত না, সেই ‘একটা’ কাউকে কখনই পাওয়া যাবে না।

    ডাক্তারদের (এবং শিক্ষকদের) কাছে সমাজের প্রত্যাশা কিছু বেশিই থাকে যার দরুণ হয়তো তাঁরা সাধারণ লোকের চোখে কখনও ভগবান কখনও শয়তান হয়ে ওঠেন। সেই অতিমানব হওয়ার চাপ তাঁরা না নিতেও পারেন কিন্তু মানবিকতার দাবী তো তাঁরা এড়িয়ে যেতে পারন না, কারণ মানবিকতাই তাঁদের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা। কিন্তু কয়েকটি মৃত্যু এই বিশ্বাসের জায়গা থেকে আমাদের সরিয়ে এনেছে, যেটা একটা সামাজিক ক্ষতি, ডাক্তাররা একটু ভাববেন কি !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৭৬৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উৎসব - Sobuj Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.96.175.134 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৯74720
  • অনেকদিন বাদে একটা ব্লগর ব্লগর পড়ে মনে হল অনেকটাই আমার কথা। পালাবার বোধহয় কোনই পথ নেই .... দমবন্ধ লাগে ........
  • সিকি | 132.177.102.250 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:২০74721
  • সত্যিই। পালাবার পথ নেই। সহমত।
  • adhuli | 190.148.69.210 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:৪৬74722
  • একটা সাইন্স জার্নাল-এ পরেছিলাম অনেক দিন আগে, একটা ব্যাং-কে হটাত গরম জলে ছেড়ে দিলে সেটা লাফিয়ে বেরিয়ে বাচার চেষ্টা করে। কিন্তু যদি ঠান্ডা জলে তাকে রেখে দিয়ে ধীরে ধীরে জলটাকে গরম করা হয়, তাহলে সেটা সহজে বুঝতে পারে না যে জল গরম হচ্ছে, শেষে সেই ফুটন্ত গরম জলেই দম-বন্ধ হয়ে মারা যায়।ভয় লাগে যে আমাদের হাল-ও এখন অনেকটা ল্যাবরেটরি-র ব্যাং-এর মত। আস্তে আস্তে জল গরম হয়ে উঠছে আমাদের চার দিকে, কিন্তু বুঝতে পারলেও বেরোনোর কোনো রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না। দম বন্ধ হয়ে আসছে।
  • অরিন্দম | 127.194.34.40 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:৫৭74723
  • সত্যভাষণ ও সৎ উপস্থাপনা। লেখাটি ভাবায়।
  • ranjan roy | 24.99.16.94 (*) | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:১৮74724
  • খাঁটি কথা।
  • nijam ahmed | 113.230.107.4 (*) | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৫:৪৪74725
  • ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো | আমি আপনাকে কোন প্রকার অফার করছি না। আমার মানে হয় এই ছোট তথ্যটি আপনার উপকারে আসতে পারে rentalhomebd.com।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন