এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • লক্ষ্মী দীঘা পক্ষী দীঘা

    Kulada Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ মার্চ ২০১৪ | ১২৮২ বার পঠিত
  • কুলদা রায়

    গোলরুটির চেয়ে গোলারুটিই বেশি মজার। বড় মামী এ ব্যাপারে ফার্স্টক্লাশ। নানারকমের গোলারুটি বানাতে তার জুড়ি নেই। আটা গুলে তার মধ্যে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে পিয়াজ রুটি। কাঁচা মরিচ দিয়ে মরিচ রুটি। আর কালো জিরা দিলে বেশ টোস্ট টোস্ট ভাব আসে।

    আজিমার পছন্দ শুকনো মরিচ। এটা ছোটোদের জন্য একেবারে নো। তাদের জন্য গুড়ের ঢেলা। না পেলে ছেঁচকি শাক। কখনো পুঁই রুটি। পুঁইশাক কেটে গোলা রুটির মধ্যে ছেড়ে দেবেন। ভাপে সিদ্দ হবে। তার বর্ণ দেখে দেখে, ‌ওগো মা, আঁখি না ফেরে।

    এ বাড়ির পুরনো আদ্যি কালের কড়াইটার একটা হাতল নাই। ৯ মাস পুকুরে চোবানো ছিল। সারা দিনমান পুকুরে ডুবে ডুবে খুঁজে বের এনেছিল নিমুইমামা। আজিমা পেয়ে মহাখুশি। বলেছিল, পলানোর সুমায় হাতলডাও ছেলো। দেখ, খুঁইজা পাস কিনা। আবার ডুব দে মন কালি বলে।
    মামা ডুবে ডুবে পিতলের ঘণ্টা পেয়েছিল। আজিমা মুখ ব্যাজার করে বলেছিলেন, এইটা দিয়া কী করুম।
    --ক্যান পূজা করব। ঘণ্টা বাজাইয়া আরতি দিবা।
    --পূজা তো হারা জীবন ভইরাই করছি। তবুও তো সব হারাইছি। ভিটা ছাড়ছি। বাপকাগারা বেঘোরে মরছে। পূজা কইরা লাভ কি রে বাপ। হাতলডা খোঁজ।

    হাতলডা খুঁজে পাওয়া যায়নি। হাতল ছাড়াই এই কড়াইতে বড় মামী সুন্দর করে গোলারুটি ভাজতে পারে। ছেঁচকি শাক রানতে পারে। ভাতউয়া টাকির ঝোল বেশ তেড়মেড়ে হয়। সুযোগ হলে ফস ফস করে ফ্যান ত্যালানিও করা যায়। আর কি চাই। শুধু কড়াইটা ধরতে হবে একটু সাবধানে। সাবধানের মাইর নাই। নিমুই মামা বলে, সময় আইলে আরেকটা নতুন কড়াই কেনা হবে।
    মামী ফিস ফিস করে বলে, ওগো সুমায়, তুমি সত্যি সত্যি আসিও। হ্যালা কইরো না বাপ।

    আজামশাইর কিছু বাহ্যে সমস্যা আসে। তার জন্য গোলারুটির বদলে রান্না হয় নোঠানি। আটার ভাত। সঙ্গে থানকুনির ঝোল। শিংমাছ দিতে পারলে বেশ হয়।
    আজা মশাই পেঁপে গাছটার নিচে বসে নোঠানি খেতে খেতে দেখতে পেলেন, আগামি ঋতু এলে মাঠে মাঠে ধান ফলবে। আর তরী বেয়ে রবীন্দ্রমশাই বেড়াতে আসবেন। ঘাটে এসে ঝরঝরে গলায় বলবেন, দুটো ফেনা ফেনা ভাত রাঁধতে বলো তো হে। মেলাদিন পরে জুত করে খেতে চাই।

    খেয়ে দেয়ে তিনি গগন হরকরার খোঁজে বের হবেন। তার ইচ্ছে আজামশাই আজ তার সঙ্গে থাকুক। কিন্তু আজা মশায়ের মনটা আজ খারাপ। রবীন্দ্রমশাইকে তিনি বেশ মানেন। কিন্তু মাত্র পাঁচটি ছেলেমেয়ে। তিনটি আগেভাগে মরে গেছে। বউটাও নাই। চৌদ্দটি হলে আরেকজন রবীন্দ্রকে পাওয়া যেত। সেটা সম্ভব হল না। আজা মশাই অবশ্য নিজে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বারো-তে তাকে থেমে যেতে হয়েছে। আজ হাহাকার জাগে।
    রবীন্দ্রমশাই রিনরিনে গলায় বলবেন, চিন্তা করো না বনিকবাবু। কেউ না কেউ পারবে। অপেক্ষা করতে হবে।

    এই বলে কবিমশাই নাও ছেড়ে দেবেন। দাঁড় টানবেন। রাশি রাশি ধান তার নাও ভরা। ঠাই নাই ঠাই নাই ছোটো সে তরী। একটু কাত হলেই জলের মধ্যে ভুস। এর মধ্যে আজামশাই চেঁচিয়ে বলছেন, সাবধানে যাইয়েন গো মশাই।
    ধান কই। সব শুকনো খড়। বন্যায় সব শেষ। খড় ডুবলে ক্ষতি কি!

    নৌকা ততোক্ষণে আড়াল হয়ে হয়ে যাচ্ছে। রবীন্দ্রমশাই শুনতে পেলেন কি পেলেন না বোঝা গেল না। শুধু দূর থেকে ভেসে এলো—আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। আসতে আসতে গানটি আবার বহুদূরেই ভেসে যাচ্ছে। এরপর খুব চুপ। কয়েকটা দাঁড় টানার শব্দ শুধু। ছপ। ছঅপ। ছঅঅপ।

    এইবার আজা মশাইয়ের ডাক পড়েছে। আজিমার জন্য গন্ধ ভাদুল তুলতে যেতে হবে। দুপুরে ভাতউয়া টাকির সঙ্গে রান্না হবে। টাকি বড়শিতে ধরা পড়েছে। বড়মামী দুটো রসুন কোঁয়া খুঁজতে লেগেছে। সঙ্গে ধানী লংকা। রসুন কোথায়? ঘরের চালের আড়ায়। আড়াটি দরমার বেড়ার। তার উপরে পুরনো রসুন শুকিয়ে কড়কড়া। কবেকার বলা মুশকিল।

    ততক্ষণে উত্তরপাড়ার সালাম মামা এসেছে। বরইতলা থেকে ঊঠোনে আসতে আসতে সামান্য হেঁকে বলছে, নিমুই, বাড়ি আছিস?
    নিমুই মামা বাড়ি নেই। তালতলা গেছে। পথে জাঙ্গালিয়া যাবে। শেখ বাড়ি ঘুরে আসবে। তালতলায় ফেলা পাগলার থানে পৌঁছাবে।

    সালাম মামার কাঁধে ধামা। আজা মশায়ের পেছন দিয়ে পা টিপে টিপে রান্না ঘরে এসেছে। কাঁধ থেকে ধামাটি রেখেছে। আজিমা চল্লায় ধানী লংকা খুঁজছে। মামী রসুনের আশায় ঘরের মধ্যে আড়ার নিচে দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যে একটা টিকটিকির কঙ্কাল পায়ের কাছে ঝরে পড়েছে।

    চুলার পাশে হাতল ভাঙা কড়াই। সেখানে একটা গোলারুটি ঢাকা দেওয়া। নিমুই মামা এলে খাবে। ঢেঁকির উপরে চোখ বুজে আছে তিলকি বিড়াল। ধামা দেখে বলল, মিঁয়াও।

    এই বাড়িটির উঠোন পশ্চিমে নিচু হয়ে নেমেছে পুকুরে। সেখানে রোদ্দুর থিকথিক করছে। তারপর শূন্য মাঠ। দূরে জাঙ্গালিয়া গাঁও দেখা যায়। মেঘের পরে তালতলা। সেখানে নিমুই মামা গেছে।

    সালাম মামা ঢাকনা তুলে এক টুকরো গোলারুটি ছিড়ে মুখে দিয়েছে। মুখটা ভরে গেছে। এ স্বাদের বাক্য নাই। আরেক টুকরো খাবে কি খাবে না ভাবতে ভাবতে দেখতে পেল, বড় মামী ঘর থেকে রান্না ঘরে এসে পড়েছে। সালাম মামাকে কড়াইয়ের দিকে চেয়ে থাকতে দেখে বলল, খাও না সালাম দাদা, খাইয়া নেও।
    --কার জন্যি রাখছিলা গো বড় ভাবী?
    --নিমুই—নিমুইর জন্যি।
    বড় মামীর খিদে পেয়েছে। তার কপালে ফোঁটা নেই। পেটের মধ্যে কে একজন গোটা গোটা উসক করছে। বলছে খিদে, খিদে খিদে। তবু রুটির টুকরোটি সালাম মামার হাতে গুঁজে দেয়। বলে, খাও।
    সালাম মামা গোলারুটি খেতে খেতে বলে, তুমার হাতে অমেত্ত আছে। শিখলা কোথায়?
    --ইন্ডিয়ায়। রিফুজি ক্যাম্পে। ৯ মাস ছিলাম।
    --ও। সালাম মামা গোলারুটি চিবোয়। এক মাথা ঘুরিয়ে পেঁপে গাছটার দিকে আড় চোখে তাকায়। তারপর বলে, ও, ইন্ডিয়ায়। আমিও গেছিলাম। বছর তিন আগে।
    আলগোছে হাঁটুর নিচু হাত রাখে। হাঁটুতে একটা গুলির দাগ আছে। মাঝে মাঝে টাটায়। শেখ বাড়ির বড় শেখই প্রথম দেখেছিল। রক্ত ঝরছে। সালাম মামা গুলি করতে ব্যস্ত। ব্যথা ট্যাথা টের পাচ্ছে না। নিমুই কাঁধে নিয়ে না ছুটলে সব শেষ হত। এর মধ্যে শকুন উড়ে এসেছিল। বুকটা শিউরে ওঠে। সালাম মামা আস্তে করে বলে, ফেলা পাগলা কি কয়?
    --কিছু কয় না।
    --এই অভাব কি যাবে?
    -- শুধু আসমান পানে চায়। মুখে বাক্যি নাই।

    শুনে সালাম মামা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। রান্না ঘরের পিছনে বেড়াটা ভেঙে পড়েছে। উত্তরে নালাখালায় নলবন দেখা যায়। শুকনো পাকা। খটখটে। পটপট করে শব্দ হয়।

    ধামাটি মামীর কাছে ঠেলে দিতে দিতে বলে, আম্মায় দিছে। লক্ষ্মী দীঘার পয়া চাল। আর নাই। কইছে, বিনার পোলা আইছে মামাবাড়ি। হ্যারে কি খালি গোলারুটি দেওন যায়? একটা কুড়হা হলে ভালো হত। কুড়হা আছেও। উমে বসেছে। এখন কদিন কুক কুক করে না। কদিন পরে বাচ্চা ফুটবে। এখন কুড়হা দেওন যায় না।

    মামীর চোখ ভিজে আসে। পেটের মধ্যে কচি কুড়হা নড়েচড়ে। মাথাটি ঘুরিয়ে মাটির হাড়ির সন্ধান করে। মেলাদিন পরে দীঘা ধানের ভাত রান্না হবে। ভাতউয়া টাকির সালুন হবে। রসুন হলে স্বাদে গন্ধে হবে অমেত্ত। আড়ার উপরে রসুন। রোদে কড়কড়া। গন্ধে পোকা পলায়--পিঁশাচ দৌড়ায়। খাম বেয়ে কেউ না কেউ পেড়ে দেবে।

    সালাম মামা তখন উঠে পড়েছে। বটবাড়ি যেতে হবে। সেখানে একটা লঙ্গরখানা খোলার আলাপ আছে। বড় মামীকে জিজ্ঞেস করল, বাপের বাড়ির খবর পাইছ কিছু?
    --সেখানে শকুন নামছে। গেল সপ্তায় শুনতি পাইছি।
    --চিন্তা কইরো না ভাবি। ফেলা পাগল বাক্যি দেবেন। শকুন তো শকুন—শকুনের বাপেও খাড়াতি পারবি না। চইল্যা যাবেআনে।

    সালাম মামা পশ্চিম দিকে পুকুর পাড়ের দিকে নেমে যাচ্ছে। আজা মশাই ততক্ষণে গন্ধ ভাদুলের কথা কিছুটা ভুলে গেছেন। কিছুটা ঝিমুনিতে পড়েছেন। মাথার উপরে পেঁপে গাছে ফুল নাই। কটা দড়ি দড়ি পেঁপে ঝুলে আছে।

    এ সময় ঝিমের মধ্যে আজা মশাই মাথাটা নিচু রেখেই বলে উঠেছেন, সালাম আইছিস?
    সালাম মামা পুকুর পাড় পার হয়ে যাচ্ছে। পেছন ফেরার ইচ্ছে নেই। যেতে যেতে বলছে, আমি আসি নাই। আসি নাই।
    আজা মশাই আরও আরও গভীর ঝিমের মধ্যে ডুবে যান। ডুবে যেতে যেতে বলেন, কবে আসবি রে বাপ?
    --জানি না। জানি না।

    আজা মশাই ঝিমের মধ্যে গড়িয়ে পড়তে পড়তে পড়ে যান না। দুহাঁটুর মধ্যে মাথাটা গুঁজে দেন। কানদুটো হাঁটুতে চেপে ধরেছেন। গলা থেকে ঘড়ঘড় শব্দ বের হচ্ছে গলা থেকে। রোদ্দুর এইবার মাথার উপরে উঠে যায়। আকাশটা খনখনে করে ওঠে।

    এই ছন্ন ভাবটা পেঁপে গাছটার পছন্দ নয়। শ্মশান শ্মশান লাগে। ফিস ফিস করে বলে, মাস্টার মশাই ঘুমাইলেন নিকি?
    আজা মশাই হাউশী ছাড়েন। কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। মন খারাপ। দুটো ফেনা ভাত হলে রবীন্দ্র মশাইকে নেমতন্ন করা যেত। কবি মানুষ। কোনোদিন খেতে চান না। আজ চেয়েছিলেন। আজা মশাই হাঁটুর মধ্যে মাথা রেখেই উত্তর দেন—না, ঘুমাই নাই। ঘুমাই কি কইরা?

    চারদিকে বিল। মাঝখানে এই বাড়িটা। খা খা করে। পেঁপে গাছ বলে, কিছু কথা কই আপনের লগে?
    --আজা মশাই, মাথা নাড়ে। বলেন, কইয়া কইয়া তো জীবন গেল। কইয়া লাভ কি?
    আজা মশাই বিড় বিড় করেন। পেঁপে গাছের গা শির শির করে। ফির ফির করে জানতে চায়--
    এই গেরামে আপনেরা আইলেন কুন সুমায়?
    --চার পুরুষ আগে।
    --হ্যার আগে আছিলেন কোথায়?
    --ভুষণায়। নদ্যা জেলায়। রানী ভবানীর কালে।
    --সেখান থিকা আইলেন ক্যান?
    --শকুন নামছেলো।
    --শকুন কি করে?
    --মরা ধরা খায়।
    --তারপর কি করে?
    --আসমানে ওড়ে।
    --আসমানে যাইয়া কি করে?
    --আবার নাইমা আসে। মাঠে ঘাটে বাড়িতে নাইমা আসে।
    --তারপর কি হয়?
    --আমরা পলাই।
    --পলান ক্যান?
    --পলান ছাড়া এই জীবনে আর কুনো উপায় আছে রে বাপ?

    এইটুকু শুনে পেঁপে গাছটার পাতা নড়া থেমে যায়। দড়ি দড়ি পেঁপেগুলো সামান্য কাঁপে। কাঁপতে থাকে। ঘরের আড়ায় রসুন শুকোচ্ছে। আরেকটা টিকটিকি গড়িয়ে পড়ে। গন্ধ ভাসে। আজা মশাই এইবার আর কোনো কথা বলেন না। মুখটা হা। হা-এর মধ্যে অন্ধকার। বহু পুরনো। এই অন্ধকারের কটু কটু ঘ্রাণ আছে।

    এই ঘ্রাণ লক্ষ্মী দীঘা ধানের। মাটির হাড়িতে ফেনা ভাতের মধ্যে এই ঘ্রাণ পটর পটর করে। পটর পটর থেকে টগবগ হয়ে যায়। শোনা যায়।

    এইবার পাড়া জুড়াবে। রসুন শুকোচ্ছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ মার্চ ২০১৪ | ১২৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • 4z | 194.148.159.169 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৪ ০৪:৪৭73730
  • উফ্ফ্ফ
  • nina | 78.37.233.36 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৪ ০৫:৪৬73731
  • বাক্যিহারা ভাললাগা---চুপকথার সালাম জানাই কুলদাভাই----
  • kk | 81.236.62.176 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৪ ০৬:৪০73732
  • কুলদা রায়ের লেখা পড়ার পর সত্যি করে বাক্যি হরে যায় !! সত্যি মনে হয় কইয়া কইয়াই জীবন গেল। কইয়া লাভ কি?
  • sumeru | 127.194.80.157 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৪ ০৩:৫২73733
  • এ স্বাদের বাক্য নাই।
  • byaang | 132.167.91.90 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৪ ০৪:৫২73734
  • ভালো লাগা জানানোর মতন ভাষা জানা নেই। কত কিছু বলতে চাই,কিছুই বলে উঠতে পারি না। আপনার লেখা পড়ে শুধু চুপ করে বসে থাকতে হয়, আপনার লেখা ঝিম ধরায়, শরীরের শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়ে আপনার লেখা পড়ার রেশ।
  • kc | 204.126.37.78 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৪ ০৬:০৭73735
  • এই লেখা পড়লে কষ্ট হয়। সারাদিন পিনপিন করতে থাকে এই কষ্ট। আগামী কিছুদিন এই লেখকের লেখা পড়বনা।
  • ম্যামি | 69.93.245.37 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৪ ০৭:৫৯73736
  • বাঃ।
  • ঐশিক | 133.252.160.213 (*) | ১০ মার্চ ২০১৪ ১০:১৯73737
  • কুলদা বাবু খুবই ভালো লাগলো
  • পল্লবী | 125.249.221.74 (*) | ১০ মার্চ ২০১৪ ১০:২৬73738
  • কষ্টের ভালোলাগা না ভালোলাগার কষ্ট, ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না
  • Kalparshi Bandyopadhyay | 193.82.102.80 (*) | ১২ মার্চ ২০১৪ ০৪:৪৮73739
  • মুগ্ধ হলাম আবার ও |
  • নির্মাল্য | 116.194.255.37 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৪ ১০:০৪73740
  • অমেত্ত। নির্মাল্য
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৪ ০৯:১৫73741
  • কুলদার কলমে অমেত্ত আসে।
  • Ranjit Sur | 69.93.243.242 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৪ ১২:১১73742
  • The ANNA EFFECT : The day the news of my writing letter to Anna Hazare on behalf of APDR (bbd bag br) flashed in TV and news papers i began to feel the heat. I found unknown and hitherto unseen persons following my movements in bbd bag area. But extreme point reached on 13/3, after Anna did not turned up at Mamata's meeting, when 2 stout persons, claiming to be Police personnel ' Marked' my dwelling place at Santoshpur and vanished. Panicked nehibours raised alarm. I filed written complaint at survey park ps. They started ' enquery'. Unofficially local ps informed, it may be Special Br of Police who keeps track of activists ! I asked why they 'marked' my house. Is it not illegal & human right violation ? ' Marking' any peace loving citizen's residence and spying is extremely objectionable. Many of my long distance friends are enquring over the incident. Latested position is that local ps is still ' enquering' !
  • ranjit sur | 69.93.243.242 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৪ ১২:১৪73743
  • Please delete the posting placed in wrong place.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন