এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শ্মশান এবং শীতকাল

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ | ২০০৫ বার পঠিত
  • প্রতিবছর শীতকাল পড়লেই অবধারিতভাবে চোখে ভেসে ওঠে আমার পাড়া থেকে এক কিলোমিটার দুরের সিরিটি শ্মশানের ছবি। মনে পড়ে যায় তার কারণ এখানে এক ডিসেম্বরের সন্ধেবেলায় আমি প্রথম লাশ দেখেছিলাম। পুড়তে নয়, ভেসে যাচ্ছিল আদি গংগার গা বেয়ে। তখন কুয়াশা জড়ানো সন্ধ্যে। দুই পাশের মেয়ে বউরা মুখে আঁচল চাপা দিয়ে বলছিল “আহা গো, কার বডি?” লাশ “আমি স্বেচ্ছাচারী” বলেছিল কি না খবরে প্রকাশ নেই।
    বস্তুত আমাদের পাড়ায় এই জীবিত মৃতের কথোপকথন, কুয়াশার মনোরম মনোটনাস ম্যাজিক মোমেন্ট, রহস্য কথকতা প্রবাদ এসব জিনিস শুরু হয়ে যায় সত্তরের দশকের বহু নক্সাল ছেলে খুন হয়ে যাবার পর থেকেই। শোনা যায়, তারা নাকি ভূত হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে এবং এখনো।
    এই মাকোন্দোতে কেমনভাবে আসতে হবে? একটু শীবের গীত গাওয়া যাক। টালিগঞ্জ ফাঁড়ির লাগোয়া মহাবীরতলার অটোস্ট্যান্ডটি পেরনোর পর ডানদিকে দুখানা রুটি তড়কার দোকান (খাবেন না, খেলেই পেট খারাপ অনিবার্য্য। কলেজে পয়সা কম থাকার কারণে এসব হাবিজাবি খেয়ে আমি অনেক ভুগেছি)। টোতে আসতে একটু সমস্যা হবে কারণ রাস্তা জুড়ে আছে বাতিল অথবা সচল লরি। তারপরেই ভাটিখানার দিশি মদের ঝাঁঝ বাতাসে ভাসে। গোটা দুই ওষুধের দোকান, বাপুজিনগর টাউন কংগ্রেসের অফিস, উল্টোদিকে ইন্দিরা গান্ধীর স্মরণে শহীদ বেদী যেখানে কয়েকটি শুকনো গাঁদা ফুল এখন দেখা যায় কিন্তু ঝড় জল রোদে মহিয়সীর মুখটি বড়ই বিবর্ণ। খালি বস্তার গোডাউন। ময়লা ডাম্প করার সিমেন্টের বড় জায়গা। কলাবাগান আসার আগে বাঁদিকে মোষ রাখার বিশাল খাটাল যা বহুদিন পরিত্যক্ত হয়ে আছে। এই খাটাল থেকেই নক্সাল খুনের কিংবদন্তী শুরু। সত্তরের দশকে খাটালে কয়েকটি ছেলে লুকিয়ে ছিল এবং গোয়ালারা পুলিশে খবর দিয়ে দেয়। খাটাল থেকে বার করে এনে সিরিটি শ্মশানের পাশের ঝিলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ বলেছিল “যা”। পালাতে শুরু করলেই পেছন থেকে গুলি। ঝিলেই ডুবিয়ে দিয়েছিল বডি। শোনা যায়, সেই ঝিলে নাকি এক লুকনো কালীমুর্তিও আছে যা বিশেষ বিশেষ অমাবস্যার রাতে জলের উপর উঠে এসে। জলের নিচে কে কাকে দেখভাল করছে জানা নেই।

    তো, খাটাল পেরনোর পর ঠাকুর তৈরীর শেড, সেখানে এখন কাজের অভাবে বিশ্বকর্মা বানানো হচ্ছে। বাঁদিকে দুখানা মিষ্টির দোকান থেকে আসা টিউবের আলোয় কুয়াশা জড়ানো কালো রাস্তা ডুবে যাচ্ছে। তারপর বিজলী গ্রিলের কোল্ড-ড্রিংক্সের কারখানা। তার হলুদ দেওয়ালে অরবিন্দ ও বিবেকানন্দের রংগিন মুখ, তার নিচে বাণি-“আমি সিংহের হৃদয় ধ্যান করি”।
    শ্মশান আসার আগে বাঁদিকেই সেই লুকনো কালী এবং মার্ডারড নক্সালদের দীঘি। উথালপাথাল মাছ শিকার। জমা জলে মেঘের ছায়া, পাখির ডানার রঙ। জলের ভেতর গা ডুবিয়ে বসে থাকা খাটালের মহিষের শিং-এ জড়িয়ে আছে সবুজ কচুরীপানা, ময়ুর পেখম রং-এর ফুল, কখনো ব্যস্ত ফিংগে পাখি।
    সিরিটি শ্মশানে ঢোকার রাস্তায় ‘সাক্ষাৎ বামদেবের শিষ্য’, কোনো প্রাচীন জাদুকরের নাম আছে। বড় চৌকো টিনের বোর্ডে তাঁর নাম এই শ্মশানে গড়ে ওঠা তারা মন্দিরের কথা আর উৎসবের যাবতীয় বিধি লেখা আছে। তার নিচে ফুলের দোকান। বড় রাস্তার গায়ে একটি চায়ের দোকান, আনন্দমার্গীদের বন্ধ স্কুল, স্টেশনারী দোকান। উল্টোদিকে মন্দির। বালতি, হারিকেন, ট্রাংক সারানোর শিশু শ্রমিক, সেলুন, ছুরি-কাঁচি শান দেবার দোকান। এখানেই আছে আনন্দময়ী হিন্দু হোটেল, যেখানে এখনো ১০ টাকায় ডিমের কারি, ভাত ডাল তরকারী। একটা রুটি এক টাকা। এই ঝুপড়িতে এই অঞ্চলের মধ্যে প্রথম ফ্রিজ এসেছিল। সেখানে কোল্ড-ড্রিংক্স রাখা থাকে। দেওয়ালে ঝোলানো থাকে বামাক্ষ্যাপা ও তারাপীঠের মূর্তির ছবি। উল্টোদিকে বংগলক্ষী মিষ্টান্ন ভান্ডার, যার গা ঘেঁসে একটি একলা ফাঁকা মাঠ। গত কুড়ি বছর ধরে সেই মাঠে নিঃঝুম হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফোর-সি রুটের একটি বাসের কংকাল। কেউ তার খোঁজ রাখে না।
    আদি-গংগার ওপাশে ততদিনে ফুটবল খেলার মাঠ দখল করে নিচ্ছে মেট্রো সম্প্রসারণের জোশজটিলতা। ঝুপড়িগুলো ভেংগে দেওয়া হয়েছে। গাঁজার ঠেক। চোলাইয়ের নিষিদ্ধ আস্তানা। সেই গাঁজা মজা-গংগা সাঁতরে এখন এপারে। আবছা অন্ধকারে ঝোপঝাড়।। ফেলে দেওয়া কন্ডোম দুধের প্লাস্টিক বাসি ফুলের মালার মধ্যে ইতস্তত আগুনের ফুলকি। এখানে ওখানে গাঁজার টান ছড়িয়ে যাচ্ছে গোটা সিরিটি-মুচিপাড়া।
    সাইকেল নিয়ে শ্মশানে চলে গেলেই পোড়া অশ্বত্থ। লাগোয়া তান্ত্রিকদের ঝুপড়ির রেডিও থেকে এখনো আকাশবাণী ভেসে আসে। ইলেকট্রিক শ্মশান হবার পর থেকে তান্ত্রিকদের বাজার নেই আর। আমার সাথে বসে গাঁজা খেতে খেতে একজন দুঃখ করে বলেছিল “সব পাব্লিক চলে যাচ্ছে করুণাময়ীর জৈনদের বড় মন্দিরের দিকে। শালাদের যদি অভিশাপ দিই গলায় রক্ত উঠে মরবে তো তাতেও গায়ে মাখে না কেউ। ছেলেপুলে নিয়ে ঘর করি, এসসব ইলেকট্রিক এসে আমাদের বিজনেস লাটে তুলে দিল দাদা!” ফলতঃ শ্মশানের লাগোয়া কালীমন্দির নিস্প্রভ, বিবর্ণ। তার নিঃসংগ কালিঠাকুর আছে না পালিয়ে গেছে সেটাও কেউ খেয়াল করে দেখার আগেই অভ্যেসসবশত কপালে হাত ঠেকিয়ে পয়সা ছুঁড়ে বেরিয়ে যায়। জাগ্রত কালীমুর্তি দিবারাত্র ড্যাবড্যাবে চোখ মেলে থাকলে কি হবে, মন্দিরের গা ঠিক প্যাঁচড়া রুগীর গাল। গিরগিটি তক্ষক কেউটের মেহফিল বসে রোজ রাত। দাঁত খিঁচোনো ভাংগা ইঁটের দেওয়াল হুমড়ী খেয়ে যে কোনোদিন পড়বে মায়ের পায়ে জবা হয়ে। শ্মশানে তান্ত্রিক হবার থেকে তাই হোমিওপ্যাথি বা নিদেনপক্ষে স্মাগলিং করা বেটার অপশান।

    শীতকাল মানে আমার পাড়ায় আদি-গংগার কুয়াশা, অন্ধকার নির্জন রাতে পাড়ার মোড়ে ক্যারম। বোর্ডের ওপরের নিশ্চুপ হলদেটে বাল্বের গা ঘিরে পোকাদের ভিড়। শীতকাল মানে নিভে যাওয়া বাজারের শেষ আলোয় যতটুকু পারা যায় জমিয়ে রাখা দোকানির পকেটের এককোনের ম্লান পাঁচটাকার নোট, যা বহু যত্নে পরম সংকোচে রেখে দেওয়া হয়েছে সন্ধের শেষ মুড়ি তেলেভাজাটুকুর জন্যে। আর শীতকাল মানে সিরিটি শ্মশানে সুইসাইডের লাশ একটু বেশি আসা। শীতে ডিপ্রেসন বাড়ে।
    শুনেছি ডোমেরা সুইসাইডের লাশের বিছানা বা জামাকাপড় নেয় না। ঠাকুর কুপিত হয়। দেখেওছি সেই বিছানা চাদর সব গংগায় ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। বংগলক্ষী মিষ্টান্ন ভান্ডারে শ্মশানবন্ধুদের ফ্যালফেলে চোখের দিকে তখন একঠায় তাকিয়ে থাকে মিয়োনো হতে থাকা শিংগাড়া জিলিপি। এখানেই দাহ হয়েছিল নীলের। নীল, বেহালার নক্সাল নেতা। পুলিশ মার্ডার করেছিল। বডি কেওড়াতলায় পাঠানো রিস্কি ছিল কারণ হুজ্জুতি হত খুব। পাব্লিক রেগে ছিল। চুপিসাড়ে তাই এখানে নিয়ে এসে পোড়ানো। নীলকে নিয়ে নবারুণ ভট্টাচার্য্যের কবিতা আছে। হিমেল সন্ত্রাসে কলকাতার নাভিমূল তখন বরফ হয়ে ছিল। শ্মশানের পুরনো দেওয়ালের গায়ে এখনো এখানে ওখানে লেখা, “বদলা!” “বদলা!”
    ডোমেদের মুখে শোনা, ইলেকট্রিক চুল্লী আসার আগে বহু শীতের রাতে একলা লাশ পুড়তে পুড়তে উঠে বসেছিল। আর পুড়তে ইচ্ছে করেনি তাদের। ধরে বেঁধে আবার শুইয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি মিনমিন করে বলতে গেছিলাম “ওসব না, আসলে এটা বিজ্ঞান”। মাতাল ডোম দাবড়ে দিয়েছিল “আরে রাখুন আপনার বিজ্ঞান। কত অতৃপ্ত শোক জ্বালা নিয়ে মানুষ সুইসাইড করে জানেন? সেসব শোকতাপ শান্তিতে পুড়তে দেয়না তাদের। তাই উঠে বসে”।
    শীতকালে সিরিটি শ্মশানের উদ্যানে গিয়ে আপনি যদি বসেন তো দেখবেন কিছু কিছু ভাংগাচোরা মানুষ যারা উদ্ভ্রান্ত চোখে বসে আছে। তাদের কোনো উদ্দেশ্য নেই। কেন এসেছে নিজেরাও জানে না। একলা মনে বিড়বিড় করে, কখনো এর ওর কাছে বিড়ি চেয়ে খায়। বারবার চাইলে মানুষ বিরক্ত হয়। আবার কোনো শোকসন্তপ্ত পুত্রহারা দম্পতি অথবা সদ্যবিধবা দয়াপরবশতঃ হয়ে তাদের হাতে দশটা টাকা গুঁজে দিলে তারা ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকে। বোঝে না কি ঘটছে। আমি এদের অনেক দেখেছি। কেউ বন্ধ কারখানার লেবার। কেউ বউকে হারিয়ে এখানে এসেছে। অথবা কেউ হয়ত এসবের কিছুই নয়। ছোটবেলা থেকেই যাকে ইংরিজিতে বলে ডিমউইট। হাবাগোবা ধরণের। কেউ সম্মান দেখায় না। তাচ্ছিল্য করে। হয়ত মাথাতেও সামান্য গন্ডগোল আছে। কাজকম্ম করে না। সারাদিন এখানে এসে বসে থাকে আর মড়া পোড়ানো দেখে। ডিসেম্বর আসলে এদের আসা বেড়ে যায় আমি খেয়াল করে দেখেছি। সম্ভবত এক স্থায়ী কুয়াশা এদের ভেতরে এমনভাবে গেড়ে বসে গেছে যে সেই ভ্যাবাচ্যাকা অস্তিত্ব অন্যসময়ে পৃথিবীর সংগে নিজেকে আইডেন্টিফাই না করতে পারলেও ডিসেম্বরের নিঃসংগ ঝাপসা চরাচরে এদের বাহির ও ঘর এক হয়ে যায়। এই স্থান সম্ভবত তাদের শেষ মাকোন্দো, যা পুড়ে যাবার পর আর এই পৃথিবীর বুকে তাদের জন্য দ্বিতীয় সুযোগ নেমে আসেনি আর।
    তো, এই আমার শীতকাল। নিঃঝুম ভুতুরে বাড়ি, বন্ধ কারখানার গেট, মরে যাওয়া চুল্লীর আগুন, অতৃপ্ত লাশ, ভাংগা বাস। এসব-ই জীবন্ত হয়ে ওঠে ডিসেম্বরের কুয়াশায়। মজলিশ আরা রোডের মসজিদের কবর থেকে জেগে উঠে আসে ভূত। শ্মশান, পদ্মপুকুর, ডাক্তারের বিশাল বাগান জুড়ে তারা ঘুরে বেড়ায়। কখনো অন্ধকার রংকলের মাঠে গিয়ে বসে থাকে একলা ছায়ামুর্তি। তার সারা গায়ে ব্যান্ডেজ জড়ানো, কিন্তু ভাল করে কাছে গিয়ে দেখলে খেয়াল পড়বে যে মাথাটা নেই।
    আজ বছরের প্রথম শীত পড়ল। আমি কলকাতায় নেই। কিন্তু শ্মশান থাকবে। পাড়ার নিঃঝুম ডাক্তারের বাগানের নিমডা্ল থেকে ঝুলবে গলায় দড়ি বাঁধা নক্সাল ভূত। অন্ধকার কুয়াশামাখা ফাঁকা রাস্তায় সারারাত একলা খোলা থাকবে বংগলক্ষী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। শ্মসানবন্ধুদের আগমনের প্রত্যাশায়। কেউ ফিরেও তাকাবে না। সুইসাইডের বডি আসতে থাকবে। নিঃশব্দে। একে একে। শ্মশান থাকবে। শ্মশান পুড়বে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ | ২০০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শাক্য | 116.51.225.65 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:২১69356
  • ওই মন্দিরের অবস্থা খুব খারাপ। কালীপুজো আর অমাবস্যায় যা একটু ভিড় হয়। বাকী সময় ফাঁকাই পঅরে থাকে। শ্মশানযাত্রীরা মাঝে মাঝে টাকা পয়সা কিছু দেয়। সেসব মিনিমাল
  • kc | 198.71.216.80 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৩৯69357
  • ভালো লাগল যদিও কাঙাল মালসাটের হাল্কা গন্ধ পেলাম। আরেকটা লোককে খুব মনে পড়ে গেল। জয়দেব বসু। লোকটা এরকম করে দুবার ভাটিয়েছিল। থ্যাঙ্কিউ।
  • শাক্য | 116.51.225.65 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:১৭69358
  • আপনি জয়দেবদাকে চিনতেন? :)
  • kc | 198.71.216.80 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:০৬69359
  • খুব খুব খুব বেশী রকম।
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:৩১69352
  • ওফ কি লেখা রে ভাই, হেভি লাগল
  • sinfaut | 74.233.173.193 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:৪৩69353
  • "সম্ভবত এক স্থায়ী কুয়াশা এদের ভেতরে এমনভাবে গেড়ে বসে গেছে যে সেই ভ্যাবাচ্যাকা অস্তিত্ব অন্যসময়ে পৃথিবীর সংগে নিজেকে আইডেন্টিফাই না করতে পারলেও ডিসেম্বরের নিঃসংগ ঝাপসা চরাচরে এদের বাহির ও ঘর এক হয়ে যায়। " - ক্লাসিক হয়েছে এই লাইনটা।
  • Sahana | 74.233.173.198 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:৪১69354
  • সত্যি ই এক কুয়াশা স্থায়ী আস্তানা বানিয়ে নিয়েছে আমাদের মধ্যে ও। আমরা ও আর নিজেদের খুঁজে পাই কি? এই বর্ণিত রাস্তা , আলো ,মানুষ, দিনযাপন এর ক্লান্তি , নকশাল আন্দোলন এর মানুষ গুলোর মৃতদেহ , সব কেমন একই পটভূমিকায় শীত কালের অনুসঙ্গে ফিরে এলো । লেখাটা আমায় ব্যক্তিগত ভাবে আরও অনেক কিছুই ফিরিয়ে দিল. স্মৃতি র পরত সরিয়ে । ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ।
  • de | 24.139.119.171 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:৪৭69355
  • হুম - সিরিটি শ্মশান, একটু এগিয়ে চোলাইয়ের ঠেক, সেইসব পার হয়ে মহাবীরতলা - আমাদের পাড়াতুতো শ্মশান - কতবার গেছি, দাদু-দিদিভাই, ঠাম্মা-ঠাকুদ্দা -

    মাসিমণি, বড়মামা, মেজোমামা যাবার সময়ে ওখান থেকেই দাদারা ফোন করলো - এনারা কেউ পাঁচ মিনিটও টাইম দেননি -

    বড়কাকা ডিপ্রেসনের পেশেন্ট ছিলো - একদিন অনেকগুলো ওষুধ খেয়ে তারপর -

    সিরিটির সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে -

    কালীপুজোয় বেশ একটা ছমছমে ব্যাপার হয় ওখানে - তান্ত্রিক ইঃ আসেন -
  • aranya | 154.160.5.104 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:২৬69360
  • বিষণ্ণতা, ভাল লাগল
  • কল্লোল | 135.17.65.226 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:০৮69361
  • অন্য এক শ্মশান-ঠেকবাজের থেকে কুর্নিস। আমাদের কেওড়াতলা অবশ্য একদম শহুরে - কলকাত্তাওয়া৯।
    অনেক অনেক অনেক দিন পর ভুলে যাওয়া নাম নিলি রে............নীল, বেহালার নীল, ব্রিটানিয়ার নীল। অনেককাল হয়ে গেলো, অনেককাল।
  • Anirban Banerjee | 53.251.171.33 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:২৪69362
  • দারুন লেখা......।
  • Blank | 24.99.81.189 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩২69363
  • খুব ই ভালো লেখা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন