এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শ্রমজীবী হাসপাতাল ও নিপীড়িতের শিক্ষা - কিছু উত্তর

    Salil Biswas লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ জুন ২০১৫ | ১৪৭৫ বার পঠিত
  • অনেকে অনেক প্রশ্ন করেছেন। একে একে আলোচনা করে সম্ভাব্য উত্তর রাখব পাঠকের সামনে। এখানে দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীর একটি লেখা দিলাম। কি উত্তর পাবেন হয়ত।

    মূলত দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী ও সলিল বিশ্বাসের কথোপকথন
    বিজ্ঞান শিক্ষার পদ্ধতি ঃ মূলত দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী ও পারমিতা আঢ্যের মধ্যে আলোচনা

    “হিরন্ময়েন পাত্রেণ সত্যস্যাপিহিতং মুখম
    তত্ত্বং পুষন্নপাভৃণু সত্যধর্মায় দৃষ্টয়ে...” ঈশাবাস্য উপনিষদ

    পাউলো ফ্রেইরে-কে যেমন বুঝেছিলাম এবং বুঝি নি

    পাউলো ফ্রেইরে নিপীড়িতের শিক্ষাতত্বে বয়স্কদের ভাষাশিক্ষা ও বিবেক জাগরণ প্রক্রিয়াকে এক এবং অভিন্নভাবে পেশ করেন। “বিবেক জাগরণ” বাংলায় যাকে “সচেতন হওয়া” বলে প্রায় তাই। প্রায়, কেন না এই সচেতনতা আসছে অনেকের কথোপকথন থেকে, কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের ইস্তাহার বা বক্তৃতার ফলে নয়। আর বিবেক জাগরণ সাবেকি রাজনৈতিক ‘চেতনার চেয়ে গভীর – এবং বহু মাত্রিক, নিজেকে অপরের কর্মের উদ্দিষ্ট, নীরব, ভাষাহারা এক প্রেতের বদলে নিজের কর্মের কর্তা, নিজের ভাষায় হাতিয়ারবন্দ, সমাজে সোচ্চার একজন জ্যান্ত মানুষ হিসাবে পুনরুজ্জীবন। বিবেক জাগরণ নিজের অর্জিত ক্ষমতা , অপরের দান নয়।

    পাউলো-র প্রক্রিয়া যতদূর বুঝেছিলাম, সামনে ছবি রেখে, একত্রে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষাব্রতী পরপর ছবির নামের অক্ষরগুলি ও বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতে করতে শব্দ তৈরির নিয়ম আবিষ্কার করবেন এবং পাশাপাশি নিজেদের সংস্কৃতির নৈঃশব্দের, জীবনের অর্থহীনতার কারণ খুঁজে পাবেন। নিজের ভাষা দখল করে জীবনকে বাঙময়, অর্থময় করার অভিযানে পা বাড়াবেন।
    বোঝাই যায় ছবির মধ্যে মানুষের জীবন সম্পর্কে কোনও আলোচনার সূত্র থাকবে, সরাসরি নয়, সাংকেতিক এক ছকে---ছবির মাধ্যমে এক সংকেতছক বাঁধা হচ্ছে।
    সমবেত আলোচনায় এই সংকেতছক খোলা হয়।
    আর ছবির নামের অক্ষরগুলি থেকে নতুন শব্দ বানানোর খেলায় আবিষ্কৃত হয় শব্দ গঠনের পরিকাঠামো—ব্যঞ্জনবর্ণে স্বরমাত্রা আ-কার, ই-কার যোগ আর যুক্তাক্ষর।
    এই ভাবনার সঙ্গে কসবার শিক্ষাকেন্দ্র থেকে সলিল, আমি, দেবাশিস, সন্দীপ, পারমিতাআমরা পরিচিত । বেলেঘাটার কাঠকল মজুরদের উদ্যোগে আড়াই মাসের সান্ধ্য বৈঠক -- সাক্ষরতা কার্যক্রমে ভারতী ও লেখকের যৌথ অভিজ্ঞতাও ইতিবাচক। (অবশ্য বিবেক জাগরণ কি হয়েছিল? বলা মুস্কিল। )
    নিপীড়ক শিক্ষা প্রণালীকে ব্যবহার করে, নিপীড়কের সার্বভৌম অধিকারের যথার্থতা, নিপীড়নই যে স্বাভাবিক ও চিরস্থায়ী এবং নিপীড়নের সমালোচনা অন্যায় ও নিষ্ফলা সেই বার্তা, এবং সাধারণ ভাবেই হতাশা ও নিষ্ক্রিয়তা বোঝাই করে দেয় নিপীড়িতের মন ভরে । তাই নিপীড়কের শিক্ষার রূপ হচ্ছে লেকচার, যা মুখস্থ করে পরীক্ষায় ফের পেশ হয়। নিপীড়কের দেওয়া দণ্ডের নাম ‘ফেল’। লেকচারদাতা (শিক্ষক বা অভিভাবক) এখানে নিপীড়কের প্রতিভূ, তিনি আর শিক্ষাব্রতী নন।
    নিপীড়িতের শিক্ষাতত্ত্ব লেকচারের বিপরীতে প্রয়োগ করে কথোপকথনের প্রণালী।
    কিন্তু ফ্রেইরের ভাষার অলংকরণ এবং বিমূর্ত এক দর্শন নির্মাণের প্রেক্ষিত লেখকের কাছে সহজ লাগে নি। এক কথায় ফ্রেয়ারের প্রক্রিয়া জেনেছি, ভালোভাবে বুঝতে পারি নি।

    বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষার খোঁজে

    ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-বিজ্ঞানী সহযাত্রীরা মিলে স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষা কেমন ভাবে চলা দরকার তার হদিশ খোঁজা চলেছে। বোঝা গেল
    ১। ক্লাসঘরে পরীক্ষা বা নিরীক্ষণ দিয়ে বিষয়ের গোড়াপত্তন করতে হবে।
    ২। যা দেখা গেল, শোনা গেল তার বিশ্লেষণ চলবে কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে (শিক্ষকের বক্তৃতায় নয়। শিক্ষক যত কম বলবেন আর পড়ুয়ারা বেশি, তত গভীর হবে উপলব্ধি, পড়ুয়ার এবং শিক্ষকের )।
    ৩। ক্লাসের শুরু থেকেই পড়ুয়ার সামনে, শূন্যস্থান পূরণ, বিকল্প বাছাই করার ওয়র্কশীট। ক্লাস চলছে, আলোচনার ফল লিখে নিচ্ছে পড়ুয়া, ওয়র্কশীটে।
    ৪। শিক্ষক ক্লাসের শেষে জাব্দা খাতায় প্রত্যেক পড়ুয়ার অগ্রগতি লিখে দিয়ে যাচ্ছেন সংকেতে। এই নোটগুলি থেকে সমন্বয়-কর্তা মাসিক অগ্রগতির হিসাব করবেন, যাতে দরকার মতো বিশেষ সাহায্য দিয়ে বছরের শেষে সকলকে একই মান’য়ে এনে সকলকে উন্নীত করা যাবে পরের ক্লাসে। ‘ফেল’ বলে কোনো ধারণাই থাকবে না।
    কিন্তু বিজ্ঞান শিক্ষার এই পদ্ধতির সঙ্গে ফ্রেয়ারের পথের সম্পর্কটা কী? ইতিহাস ভূগোল’ই বা কী ভাবে পড়তে হবে?
    মানে, বয়স্কদের ভাষাশিক্ষার বাইরে ফ্রেয়ারের পদ্ধতির প্রয়োগের অর্থ আমরা আবিষ্কার করতে পারছিলাম না।

    নতুন প্রাকটিস, নতুন উপলব্ধি

    মূলত দীপাঞ্জন, সলিল, নন্দনদা,কৃশানু, রাখী, প্রসেনজিত, বনানীদি, দিব্যাদি, বাসু, ফণী গোপাল ভট্টচার্যের মধ্যে আলোচনা

    এল শ্রমজীবী হাসপাতালের ডাক। নতুন প্রজন্ম থেকে তাঁরা বেথুন, কোটনিস বা সেনের আদর্শে অনুপ্রাণিত ডাক্তার পাচ্ছেন না। তাই পুরোদস্তুর মেডিক্যাল পাঠক্রম চালিয়ে দুঃস্থ ও মেধাবী ছেলেমেয়েদের ডাক্তার বানাবেন। এই পড়ুয়ারা শ্রমজীবী হাসপাতালের কমিউনিটিকে সেবার আদর্শের সংগে পরিচিত থাকবেন। আশা, ডাক্তারী শিখে সবাই নিজেকে বড় করতে পালাবে না।
    আর এই ছেলেমেয়েদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার কী হবে? দেখা গেল এইট ক্লাস অবদি স্বীকৃত একটি স্কুল শ্রমজীবী হাসপাতালের আওতায় আসতে চাইছে। ছাত্রছাত্রীর অভাব নেই - নানা জায়গা থেকে খোঁজ আসছে। ১২/১৩ বছর বয়সের কার্যত স্কুলছুট ছেলেমেয়ে আর হাসপাতালে কর্মরত যুবক যুবতীদের স্কুলে পড়িয়ে মাধ্যমিক পাশের যোগ্য করতে হবে। স্কুল মৌজুদ, পড়ুয়া হাজির, অনুঘটক শিক্ষাব্রতী কই?
    আমরা বললাম ১২/১৩ বছর বয়সের স্কুলছুট ছেলেমেয়ে এবং হাসপাতালের কর্মী যদি
    (১) টানা খবরের কাগজ পড়তে পারে, আর
    (২) সাধারণ হিসাব করতে পারে, তবে
    তাদের তিন বছর পড়িয়ে মাধ্যমিকে বসানো যাবে। প্রথম বছর বিষয়ের বিভিন্ন অংশ পড়বে অর্থ বুঝে বুঝে । দ্বিতীয় বছরে, সাবেকি পাঠ্যবই বিষয়ের যতটা জায়গা অধিকার করে, সেই সবটাই উদাহরণ, প্রয়োগ, অনুশীলনী দিয়ে পড়ুয়াদের আয়ত্তে আসবে। তৃতীয় বছর, হায়, নষ্ট হবে, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ‘ইম্পর্ট্যান্ট’ প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করে।
    এক বছরে স্কুলছুট ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিকের বিজ্ঞান আয়ত্তে আনতে পারবে এই আত্মবিশ্বাসের কারণ চোখ-কান দিয়ে সরাসরি মগজে পেশ হচ্ছে পরীক্ষানিরীক্ষা্ থেকে উদ্ভূত যুক্তি । কথা দিয়ে যুক্তি সাজিয়ে যুক্তির সোপান বেয়ে কোনো ধারণা গ্রহণের চেয়ে সহজে বুঝতে পারে নৈঃশব্দের সংস্কৃতির শিকার খেটে খাওয়া ঘরের ছেলেমেয়ে চোখ-কান দিয়ে সরাসরি পেশ করা যুক্তির অর্থ। ফলে এই নতুন পদ্ধতিতে বিজ্ঞান তাদের কাছে হয়ে উঠবে সহজ ও স্বচ্ছ। এইখানেই পরীক্ষা নিরীক্ষা নির্ভর বিজ্ঞান শিক্ষার তাত্ত্বিক গুরুত্ব, পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে ‘ভুলিয়ে ভালিয়ে’ আগ্রহ সৃষ্টি বা মুখস্থ বিদ্যার ‘পরিপূরক’ হিসাবে পরীক্ষা নিরীক্ষাকে একটা বালাই হিসাবে দেখা এ ব্যাপারে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গীর ধারক বাহক নয়। পুরো বিজ্ঞান শিক্ষাই হবে পরীক্ষানিরীক্ষা কেন্দ্রিক। বস্তুত প্রকৃতিকে নিরীক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃতির সঙ্গে ‘কথোপকথন’ই বিজ্ঞানের কাজ।
    প্রথমটায় কিছুটা এলোমেলো তো হয়ই। একদিন আমি বাধ্য বাংলা পড়াতে। আমাদের আর্টিষ্ট ছেলেকে বললাম বোর্ডে একটা “মারামারি”র ছবি এঁকে দিতে।
    ‘কিসের ছবি আঁকা হয়েছে?’
    আমার ইচ্ছে ছিল উত্তর আসুক “দাঙ্গা”। যাতে যুক্তাক্ষর শুরু করা যায়।
    এল
    “যুদ্ধ”।
    “ইংরেজ ও ভারতীয়দের মধ্যে যুদ্ধ”
    “যুদ্ধের প্রাঙ্গণ”
    যুক্তাক্ষর শুরু করা তো যাবেই – দ্বিতীয় মন্তব্য ইতিহাসের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
    বড় করে লিখলাম “ ‘যুদ্ধ’। এ রকম শব্দ আর কী আছে?”
    একটু ইতস্তত। তারপর “বুদ্ধ”। নিয়তির মতো এল ‘দুগ্ধ’, “গন্ধ”।
    প্রত্যেকটি শব্দই ডাঙা-মাইন বিশেষ এক একটি। প্রত্যেকটি থেকে জীবন ও ভুবন নিয়ে বিশ্লেষণ, আলোচনা ও সমালোচনার পথ সহজেই কেটে ফেলা যাবে।
    ঘরের কাজ দিলাম এ রকম আরও শব্দ যোগাড়। পরে জানলাম জনে জনে শব্দ চেয়েছে, তাদের ঘরে ঢোকার শুল্ক হিসাবে শব্দ চেয়েছে, গল্পের বইয়ের থেকে যোগাড় করেছে “উদ্বুদ্ধ”। পঞ্চাশের বেশি শব্দ জড়ো করেছে “-ধ” দিয়ে যাদের শেষ।

    ছবি ও কথোপকথন

    বিদ্যুৎচমকের মতো বুঝলাম ছবি কেন, কেন বিশেষ ব্যাপারের বা ভাবের ছবি পাওয়া‘টা দরকারি।
    ১। ছবিটা একটা সমস্যা -- প্রবলেম ।
    ২। কথোপকথন ছবিটাকে ক্রমে ক্রমে বোঝার প্রক্রিয়া, প্রবলেমের সমাধানের উপায় বা প্রণালী।
    তাই ভাষা শিক্ষায় ছবি, আবার তাই ছবি না হলেও চলবে, জোরালো একটা প্রবলেম দরকার। বিজ্ঞানের বেলায় ক্লাসঘরে প্রদর্শিত পরীক্ষা বা নিরীক্ষিত ঘটনাই প্রবলেম। ইতিহাসে তা হতে পারে ছবি, মানচিত্র, কোনো পুরাকীর্তি বা তার ছবি, সিনেমা, ভিডিও ক্লিপ। ভূগোলেও তাই। ছবি, নানাবিধ মানচিত্র, কণ্টুর রেখাচিত্র।
    নন্দনদা’র ইতিহাসের একটি ক্লাস আমার কাছে একটি দৃষ্টান্ত। বিষয় “অশোক”। কিছু দিন আগেই শাহরুখ খান শোভিত “অশোক” ছবি চলেছে বড় ও ছোট পর্দায়।
    নন্দনঃ অশোক যখন সম্রাট হলেন (দেওয়ালে টাঙ্গানো অশোকের সমসাময়িক
    ভারতের মানচিত্রের দিকে হাত দেখিয়ে) ভারতের কতটা মৌর্য সাম্রাজ্যের বাইরে।
    পড়ুয়াঃ সামান্য অংশই, যেমন কলিঙ্গ।
    নন্দনঃ কলিঙ্গ যুদ্ধে জেতার পর অশোক প্রতিবেশীরাজ্যদের মধ্যে কেমন সম্পর্কের প্রচার করছেন? কোন ধর্মের?
    পড়ুয়াঃ বৌদ্ধ ধর্মের ও অহিংসার।
    নন্দনঃ ভারতের প্রতিবেশী তা হলে ভারতের অধীনতার বিরুদ্ধে মাথা তুললে কোন নীতি লঙ্ঘন করবে?
    পড়ুয়ারা ঃ অহিংসা, শান্তি।
    নন্দনঃ আর অশোক সব সময় ধর্ম পথে চলবেন?
    অনেক পড়ুয়া উঠে দাঁড়িয়েছে।“অশোকের তো যা জিতে নেওয়ার জিতে নিছে, তার আর যুদ্ধের দরকার কী?”
    ফ্রেইরের পদ্ধতি তা হলে বিষয়বস্তু নিয়ে লেকচারের বদলে ক্লাসে বিষয়বস্তু সংক্রান্ত একটা প্রবলেম ফেলে সবাই মিলে সেটি নিয়ে কথাবার্তা। শিক্ষাব্রতীর অন্যতম কাজ
    ১। প্রব্লেমটি তৈরি,
    ২। প্রবলেমটি থেকে বিষয়বস্তুর যে অংশগুলিতে পৌঁছানো যাবে মনে হয়, ক্লাসের আগে সেই মতো ওয়র্কশীট তৈরি করে বিলি,
    ৩। কে কতদুর এগোল, কার কী সমস্যা জাব্দা খাতায় নোট করে রাখা ।
    প্রবলেম আলোচনা ও সমাধান দুটি স্তরে ঃ কেজো পড়া ও জীবন মন্থন
    সমাধান এগোয় দুই স্তরে।
    ১। কেজো পড়ার স্তরে, যেমন যুক্তাক্ষর গঠনের প্রণালী শিখছে পড়ুয়া।
    ২। আর মন্থনের স্তরে প্রশ্ন করছে তার বাস্তবতাকে। যুদ্ধ কী? কেন যুদ্ধ? শিখছে কেমন করে বাস্তবতাকে বিশ্লেষণ করে আবিষ্কার করতে হয় সত্য। কোনো “সত্য” মতাদর্শ মগজে ঢুকিয়ে নয়, বাস্তবতার বিশ্লেষণই পৌঁছে দেয় সত্যে। আর এই ভাবে বাস্তবতাকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জনই বিবেক জাগরণ।
    এক স্তরে চলছে স্কুলশিক্ষা। অপর স্তরে বিবেক জাগরণ। দুই স্তরে জরুরি আলোচনা চলতে পারবে এমন প্রবলেম ভেবে ভেবে বার করতে হবে। আবার এই ধরনের ক্লাসে আলোচনা কোন দিকে যাবে তা আগে ভাগে একেবারে সুনিশ্চিত করা যাবে না। ফলে ক্লাসের শেষেই একমাত্র লেখা যাবে চূড়ান্ত ওয়রকশীট।
    নতুন প্রাকটিস আনছে নতুন উপলব্ধি।

    “হিরণ্ময় পাত্রে সত্যের মুখ আবৃত,
    (হিরণ দিয়ে আমার কী হবে?)
    সত্যকে দেখতে দাও....
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ জুন ২০১৫ | ১৪৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • abantika | 126.203.184.194 (*) | ১৮ জুন ২০১৫ ০৬:৪১67119
  • লেখাটা খুব খুব ভালো লেগেছে সলিলকাকু । এই লিংক-টা রইল সঙ্গে । আজকের 'এই সময়ের' ।
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=16224&boxid=144143478
  • ranjan roy | 132.180.170.196 (*) | ২২ জুন ২০১৫ ০২:৫৪67120
  • পাওলো ফ্রেইরিকে বোঝার একটা প্রেক্ষিত পেলাম
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৫67121
  • কোনোরকম ফর্মাল শিক্ষা পায়নি ( ইঁটভাটায় কাজ ক'রে এরকম বাচ্চা) দের ডিগ্রি পাবার জন্য একমাত্র রাস্তা কি প্রাইভেটে মাধ্যমিক দেওয়া ? নাকি তার আগে কোন স্কুলে যেকোন ক্লাসে ( জানার লেভেলে দেখে) ভর্তি নিতে পারে, আগের ক্লাসের সার্টিফিকেট না থাকলেও ?
    কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবোদয়ে কি এভাবে পরীক্ষা দেওয়ানো যায় ? ওপেন স্কুলিং নিয়েও জানতে পারলে ভাল হত।

    আর এইরকম বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য ( কম সময়ে যতটা পারা যায় শিখিয়ে দেওয়া), কোন বিশেষ টেকনিক, টুলসের কথা জানতে পারলেও।
    শ্রমজীবীতে তো একটু হায়ার লেভেল থেকে শুরু করা হয়, তার আগের লেভেলের জন্য কোন কাজ হয়ে থাকলে জানতে চাই।

    আর আপনাদের পদ্ধতি কিছুটা কিছুটা জানি, কিন্তু সাবজেক্ট ওয়াইজ ডিটেইল্স পেলে ভাল হত।
  • PM | 116.76.163.159 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০৪:৫৩67122
  • এই সংগঠন আর কি কি করে? না না জায়গা থেকে নানা টুকরো কথা শোনা। প্রতি ক্ষেত্রেই দারুন ভালো লাগে নতুন চিন্তা দেখে, খেলার নতুন রুল তৈরী করা দেখে। সাথে থাকার ইচ্ছা জাগে। কম্প্রিহেন্সিভ ইন্ফরমেসন কোথায় পাবো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন