এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আপনি কি আদর্শ তৃণমূলী বুদ্ধিজীবি হতে চান?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ মে ২০১৮ | ১৫৫৫০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মনে রাখবেন, বুদ্ধিজীবি মানে কিন্তু সিরিয়াস বুদ্ধিজীবি। কথাটার ওজন রয়েছে। এই বাংলাতে দেব অথবা দেবশ্রী রায়কে যতজন চেনেন, তার দুশো ভাগের এক ভাগও দীপেশ চক্রবর্তীর নাম শোনেননি। কিন্তু দীপেশ বুদ্ধিজীবি। কবির সুমন বুদ্ধিজীবি। তো, বুদ্ধিজীবি হতে গেলে নিচের কয়েকটা শর্ত আবশ্যিকভাবে পূরণ করতেই হবে।

    ১। আপনার একটা বাম অতীত থাকা আবশ্যিক। সে নক্সাল হোক, অথবা সিপিআই(এম) বা তৃতীয় ধারা। মনে রাখবেন, তৃণমূল অথবা বিজেপি চিন্তার রাজ্যে এতই মেরুদণ্ডহীন যে এরা আনঅ্যাপোলজেটিক ভাবে কোনওই দক্ষিণপন্থী বুদ্ধিজীবির জন্ম দিতে পারে নি। আপনাকে আগে বাম হতে হবে, এবং সেই বামপন্থা ভাঙিয়ে আপনাকে পরের স্টেপগুলো এক এক করে পূরণ করতে হবে।

    ২। হাতে এক মাস সময় নিন। এর মধ্যে প্রাণপণে উইকিপিডিয়া ও গুগল সার্চ এঞ্জিন ব্যবহার করে কয়েকটা জিনিস জেনে নিন। কাকে বলে সাবঅলটার্ণ। কাকে বলে শ্রেণি। কাকে বলে জাতি। নিম্নবর্গের কী কী ধর্ম এই বাংলায় ছিল তার একটা লিস্ট জেনে নিন। ভুলেও যেন সাবঅলটার্ণ তত্ব নিয়ে খুঁটিয়ে জানতে যাবেন না ! তাহলে কিন্তু আপনি তৃণমূল থাকবেন না, শিক্ষিত হয়ে যাবেন ! কাজেই ওই ঝুঁকি নেবেন না একদম। বদলে কয়েকটা জার্গন মুখস্থ করে নিন। 'ভদ্রলোক', 'গ্রাম সমাজ', 'প্রান্ত' (ভাল হয় ইংরেজি হিসেবে 'মার্জিন' বললে, বেশি ওজন পাবে), 'কাল্ট', 'বর্ণহিন্দু', 'রণজিৎ গুহ' ইত্যাদি। আসল বইগুলো যেহেতু আপনি পড়ে বুঝবেন না, তাই কলিম খানের মেড ইজি গুলো পড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, তৃণমূলী ব্যাকরণের জগতে উনিই বামনদেব চক্রবর্তী।

    ৩। এরপর আসবে প্রয়োগের পালা। এই কাজটা অপেক্ষাকৃত সহজ। আপনাকে চোখ বুজে যে কোনও অসভ্যতাকে তাত্বিক ভিত্তি দিতে হবে। সেটা করতে গেলে প্রথমেই দুখানা বাক্য মুখস্থ করে নিন। "গত চৌঁতিরিশ বছরে ভদ্রলোকের দাপট ছিল। সেই উচ্চবর্ণের হিন্দুদের দাপট গুঁড়িয়ে দিয়ে আপাতত অন্ত্যজদের উত্থান ঘটছে"। ব্যাস, এবার এটাকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সর্বত্র প্রয়োগ করুন। ভোটের সময়ে বুথ দখল হচ্ছে? বেশ হচ্ছে। দখল করা হচ্ছে গ্রামীণ সাবঅলটার্ণদের স্বার্থে, কারণ এতদিন পঞ্চায়েতে ছিল ভদ্রলোক শ্রেণির প্রাধান্য। বিরোধী প্রার্থীকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে? নিম্নবর্গের জমে থাকা ক্ষোভ যদি এভাবে বার্স্ট করে, আমরা ভদ্রলোকেরা জাজ করবার কে? তিন মাসের শিশুকে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী আছড়ে মারল? এই শিশুটি বড় হয়ে উচ্চবর্ণের তল্পিবাহক হত। তাই তাকে খুন করে গ্রামীণ নিম্নবর্গের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার রাস্তা পরিষ্কার করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ৪। এই প্রয়োগের আবশ্যিক অঙ্গ হিসেবে অতি অবশ্যই শিক্ষা, সভ্যতা, রুচি ইত্যাদি জিনিসগুলিকে আত্বিক আক্রমণ করতেই হবে। মানে, ধরুন শহরের শিক্ষিত মানুষ যদি তৃণমূলী জমানাতে উষ্মা প্রকাশ করেন, তাঁকে অতি অবশ্যই উচ্চবর্ণের আলোকপ্রাপ্ত বাবু শ্রেণি হিসেবে দাগিয়ে দিতে হবে। এটাও প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা ছোটলোকদের ঘৃণা করেন। সভ্যতাকে চিহ্নিত করতে হবে পুঁজিবাদের অভিশাপ হিসেবে। রুচি-কে চিহ্নিত করতে হবে বর্ণহিন্দু মানসিকতা হিসেবে। এবং পাড়ায় পাড়ায় তৃণমূলী জলসা, কলেজ অনুষ্ঠানে মেয়েদের নাচিয়ে পয়সা ছোঁড়া, 'টুনির মা' ইত্যাদিকে সাধারণ গরীব মানুষের প্রকৃত সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দরকার পড়লে ফোক কালচার, সাংস্কৃতিক আধিপত্য বা এমন কি গ্রামশি ইত্যাদি নেমড্রপ করা যেতে পারে। কিন্তু খবরদার, ভুলেও এসব রেটরিককে খুঁটিয়ে পড়তে যাবেন না। তাহলে কিন্তু আপনি তৃণমূল থাকবেন না, শিক্ষিত হয়ে যাবেন !

    ৫। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল এবং আরাবুল ইসলামকে সহজ সরল গ্রাম সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটা করবার সেরা উপায় হল বামফ্রন্ট রাজত্বে ভদ্রলোকদের যেভাবে আধিপত্য বেড়েছিল এবং তারা যেভাবে মুসলিম ও নমঃশূদ্র বিরোধী ছিল, সেটাকে প্রচার করা। সকালবেলা উঠেই খালি পেটে বীজমন্ত্রের মত পাঁচবার আওড়াবেন 'মরিচঝাঁপি'। এতে কাজ দিতে পারে। আর সেই সঙ্গে, 'অশিক্ষিত' , 'অমার্জিত', 'অভদ্র', 'রুচিহীন' এসব শব্দবন্ধ শুনলেই আপনার আবেগ যেন ভেতর থেকে উথলে ওঠে। সেই সব মূঢ় ম্লান মূক মুখে ভাষা পৌঁছে দেবার জন্য আপনার শহুরে শিক্ষিত মনন হয়ে উঠুক এ যুগের হোয়াইট সেভিয়ার। মনে রাখবেন, এই তৃণব্যবস্থায় যে যত বেশি পড়াশোনা করে সে তত বেশি বর্ণহিন্দু ভদ্রলোক হয়।

    ৬। এত কঠিন টাস্ক দেখে ঘাবড়াবেন না। বাজারে আপনার কাজ সহজ করে দিতে এসে গেছে আরেক জন। তার নাম বিজেপি। মমতাকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য আপনি বিজেপি-র জুজু দেখিয়ে যান। যেখানে পারবেন দেখান। বিরোধী বাম পার্টির কর্মীদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে? তৃণমূলকে সমর্থন করুন নাহলে এক্ষুনি বিজেপি এসে যাবে। পঞ্চায়েতের টাকা, একশো দিনের কাজ, চিটফাণ্ড সমস্ত কিছুর কোটি কোটি টাকা লুটে পুটে খেয়ে অনুব্রত আরাবুল নামক নব্য কুলাক শ্রেণির জন্ম হয়েছে? তৃণমূলকে সমর্থন করুন নাহলে এক্ষুনি বিজেপি এসে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস নিজের ভোটব্যাংক সুরক্ষিত করতে রামনবমীর মিছিল বার করে দাংগা বাধিয়েছে? তৃণমূলকে সমর্থন করুন নাহলে এক্ষুনি বিজেপি এসে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবার পর তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় গ্রামে গঞ্জে আরএসএসের শাখা, স্কুল, হিন্দু সংহতির অফিস হুহু করে বেড়ে গিয়েছে? পার্লামেন্টে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আনা নো-কনফিডেন্স মোশন ভেস্তে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ওয়াক আউট করবার ফলে? তৃণমূলকে সমর্থন করুন নাহলে এক্ষুনি বিজেপি এসে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটে নির্মমভাবে খুনোখুনি বোমাবাজি আর হত্যা ধর্ষণের মাধ্যমে রাজ্যে গণতন্ত্র নামক ধারণাটিই এই মুহূর্তে কোমাতে চলে গেছে? তৃণমূলকে সমর্থন করেও আর লাভ নেই, কারণ তাদের হাত ধরে বিজেপি অলরেডি এসেই গিয়েছে।

    ৭। আর ওপরের সমস্ত তত্বকে সুগারকোট করবার জন্য আপনার হাতের কাছে রয়েছে মার্ক্সবাদ । সিপিআই(এম) মার্ক্সকে হত্যা করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কমিউনিজমের প্রকৃত প্রয়োগ হচ্ছে। এটাকে আপনি সবথেকে ভাল খাওয়াতে পারেন যদি আপনার নামের পেছনে 'প্রাক্তন নক্সালপন্থী' নামক উপমাটি থাকে। যে কোনও আলোচনার মধ্যে হালকাভাবে গুঁজে দিন 'গোথা প্রোগ্রামের সমালোচনাতে কার্ল মার্ক্স যা যা ইস্যু তুলেছিলেন সেগুলোই যেন নতুন ভাবে অ্যাড্রেসড হচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্পে"। কিন্তু খবরদার, ভুলেও সেই মার্ক্সের লেখাপত্রের খুঁটিয়ে বিবরণ শোনাতে যাবেন না। ওপর ওপর বলে ছেড়ে দেবেন। না হলেই কিন্তু আপনি তৃণমূল থাকবেন না, শিক্ষিত হয়ে যাবেন !

    ওপরের প্রসেসগুলো ফলো করুন। ফলো করুন। আপণই বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি হিসেবে পরিগণিত হবেন। টিভি চ্যানেলে আসবেন, কমিটির মাথা হবেন, শহীদ মিনারে নেত্রীর চেয়ারের জল মুছিয়ে দেবেন, জয় মমতা স্লোগানে গলা মেলাতে পারবেন। কলাটা মুলোটা যে মিলবে সেসব সকলেই জানে। কিন্তু আরেকটা অদ্ভুত ঘটনা আপনি দেখতে পাবেন। আপনার শারীরিক পরিবর্তন ঘটছে। হ্যাঁ, আপনি রথম প্রথম এগুলোতে একটু অবাক হলেও পরে বুঝতে পারবেন এগুলো খুবই ছোট্ট ও স্বাভাবিক ঘটনা। খুব গরমে আপনি হ্যা হ্যা করে হাঁফাবেন। প্রতিটি নিশুতি রাত্রে আপনার সহমর্মী বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে উচ্চগ্রামে গলা তুলে কারণ ছাড়াই চিৎকার করবার রোগ আপনাকে পেয়ে বসবে। আপনার ঘ্রাণশক্তি খুব তীব্র হয়ে উঠবে। গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারবেন কে মাওবাদী, কে মুসলমান বিদ্বেষী আর কে বিজেপি-র দালাল। এরপর, যেদিন দুপুরবেলা রাস্তার ধারের ল্যাম্পপোস্ট দেখে আপনার ডান পা নিজের অজান্তেই কাঁধের কাছে উঠে যাবে, বুঝবেন আপনি আদর্শ তৃণমূলী বুদ্ধিজীবি হয়ে উঠেছেন। সেই অকুণ্ঠ ভাঁড়ামির নিলাজ কার্নিভালে, কী-ই বা এসে যায়, বিজেপি যদি চলেই আসে? ইয়ে বিজেপি আগার মিল ভি যায়ে তো কেয়া হ্যায়?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ মে ২০১৮ | ১৫৫৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 149.218.40.167 (*) | ১৮ মে ২০১৮ ১০:৩১62554
  • সলিড লেখা । ডাবল ক
  • cm | 37.62.140.27 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০১:৩০62599
  • পয়েন্ট করে করে লিখলে বেশ জোর আসে। তা “আর এইখানে তিনি শাক্যর পাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলী রাজনীতির একটা বৈধতা দিয়ে ফেলেন। কৃষি থেকে শিল্প, গ্রাম থেকে শহর, কায়িক থেকে যান্ত্রিক-ই সভ্যতার একমাত্র গতি নয়। সিংগুরের কারখানার চাঙড় উপরে ফেলে ফসল উৎপাদন সম্ভব, যদি মমতা থাকে। সারা পৃথিবীর ইতিহাসের গতি যে শুধু শিল্পবিপ্লব-কালীন ইউরোপের ইতিহাসের গতি হবে আর লোকসমাজকে সেই প্রচেষ্টা সোনামুখ করে মেনে নিতে হবে, এই আবশ্যিকতাকে চ্যালেঞ্জ করা তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীর একটা কাজ হয়ে উঠতে পারে। ” ইটি কি কবির কল্পনা যার ভরসায় ওসব খসড়া টসড়া দেওয়া হয়েছিল (খসড়ার প্রসঙ্গ এনে অজান্তে কাউকে আহত করলে মাপ করবেন) নাকি এটি ঘোষিত অবস্থান। কোন পদ্যে এসব লেখা আছে?
  • PT | 160.129.67.163 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০২:০৪62583
  • রাজ্যপাল হয়ে গেলে কেউ কি আর বুজী থাকে? পোটেনসিয়াল বা প্রাক্তন রাজ্যপালকে তো আর এঁটোকাটা কমিটির দায়িত্ব দেওয়া যায় না!!
  • sm | 52.110.151.29 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৩:১১62584
  • পিটি, হতাশা, ভাইরাল ফিভার এর চেয়েও ছোয়াঁচে।
    ওপরের লেখা, মানে মূল আর্টিকেলটা পড়ুন। আপনার কেমন লেগেছে বলুন।ছত্রে ছত্রে কেমন তথাকথিত সাব অল্টার্ন দের ওপর অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্য দেখুন। এই অবজ্ঞার জন্যই বামেরা মুছে যাচ্ছে।এমন কি বর্ণহিন্দু দের পার্টি বলে দাগ লাগলেও, বিজেপি আদিবাসী সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে।
    খালি লঙ্কাপড়া ডালের গপ্পে আর কদিন চলবেক?
  • PT | 160.129.67.163 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৩:৪৭62585
  • sm
    এখানে যারা লেখে তারা সাবল্টার্নদের তাচ্ছিল্য করেনা বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। লেখাটা ভাল করে পড়লে দেখবেন যে হ্যাটা দেওয়া হয়েছে সেই সব ঢপবাজদের যারা সাবল্টার্নদের ব্যবহার করছে ক্ষমতায় ঘি-মধু খাওয়ার জন্য।

    বামেরা মুছে যায় যাক। আশঙ্কা অন্যত্র। একদল ময়ূরপুচ্ছধারী কাক সাবল্টার্নদের উপগার করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। আমি যেটুকু বুঝি তাতে মনে হয় যে অন্ততঃ পব-তে বিজেপি নতুন ঢপবাজ ময়ূরপুচ্ছধারী কাকের দল। এতদিন আপনিই লিখতেন যে জঙ্গলমহলে নাকি দারুণ উন্নয়ন হয়েছিল। তাহলে তিনোদের ছেড়ে মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকছে কেন? আসলে মাত্র ৬/৭ বছরেই তিনোদের ঢপ ফিকে হয়ে গিয়েছে।

    আসলে এই ফিকে হয়ে যাওয়া ঢপের খবর তিনোদের কাছে আছে আর সেই কারণেই ভোটে এত হিংসা। গতকাল সারাদিন বর্ধমানে ছিলাম। খুব র‌্যান্ডমভাবে লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে মনে হল যে অনেক অ-গুরু মানুষেরাও বিশ্বাস করে যে এই ভোটটা ভোটই হয়নি।

    গত ৭০ বছরে (বিজেপির রাজত্ব ধরে) সাবল্টার্নদের বিশেষ উন্নতি হয়নি। এই আমলেও হবেনা।এমনকি অতিবদ অতিবামেরাও অতি ঢপবাজঃ "The law enforcement agency, which has registered cases under the Prevention of Money Laundering Act against leaders of CPI (Maoist) special area committees and attached their properties worth Rs 1.5 crore, has seized an additional Rs 1.43 lakh in cash, a fleet of cars and vehicles, around 20 acres of land and buildings from Maoist leaders and their relatives in Bihar and Jharkhand."

    সরকারী বামেরা খুব দক্ষ ঢপবাজ (ও দক্ষ কসাই) নয় বলে এদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না।
  • B | 127.194.229.235 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৪:০৬62586
  • sm
    আপনার প্যাথোলজিক্যাল বাম বা সিপিআইএম-বিদ্বেষ না'হয় বোঝা যায়, কিন্তু এত জেনারালাইজ করে মন্তব্য ???

    পশ্চিমবঙ্গের বিগত প্রায় ৪০-৫০ বছরের রাজনৈতিক দেউলিয়া অবস্থা এবং বিগত ১৫-২০ বছরে তার অবশ্যম্ভাবী কুৎসিত পরিণতির পরে এইসব আদিবাসী সমাজ, বর্ণহিন্দু ইত্যাদি শব্দচয়নের কিছু অর্থ আছে কি?

    যদিও আপনার মতামত বা আপনার সাথে তাল মিলিয়ে সবার উত্তর-প্রত্যুত্তর কোনটাই খুব সাড়া জাগায় না পড়বার সময়, তবে এটা বাস্তব যে শাক্যজিতের সাধারণ যা লেখা পড়ি, তার তুলনায় এই নিবন্ধটিকে যথেষ্ট হাল্‌কা ও অর্থহীন লেগেছে। কে জানে, এই অপার শূণ্যতার মাঝে হয়ত চন্দ্রিল-সিন্‌ড্রোমই এখন আমাদের ভরসা জোগায়।

    আমি কিন্তু আপনার বক্তব্যকে সমর্থন না করেই আমার বক্তব্য পেশ করলাম।
  • sm | 52.110.150.142 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৪:১৬62587
  • সে আপনি যাই বুঝুন।বামেদের হোলিয়ার দ্যান প্রমাণ করার প্রচেষ্টা চলছেই আর তার সাথে তাদের পাণ্ডিত্য নামক ব্যাঙের আধুলি!
    জঙ্গল মহলে উন্নয়ন হয়নি সেটা জঙ্গল মহলের লোক জন ও বলছে না। প্রবলেম হলো, ওখানে তিনো সংগঠনের মধ্যে খেও খেই।আগেই বলেছিলাম ,তিনো দের দুর্বলতা বিক্ষুব্ধ তিনো।
    ভোটের রেজাল্ট দেখুন প্রায় সর্বক্ষেত্রে, বামেরা ও কংগ্রেস চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
    তিনোমুল, বিজেপির পরে চলে আসছে নির্দল।
    এদের অধিকাংশই তিনো মুলের লোকজন এবং ফিরেও আসবে অনেকে।
    সুতরাং কি দাঁড়ালো।বামেরা প্রবল অস্তিত্ব সংকটে...
    বিজেপির সঙ্গে তলে তলে বোঝপড়া করে নিজের ভবিষ্যত্ ঝরঝরে করে তুলছে।
    কেবল হিংসা আর সন্ত্রাস দিয়ে এমন নিরঙ্কুশ আধিপত্য দেখানো যায় না।
    মালদা, মুর্শিদাবাদ দেখুন। কংগ্রেস গড় হারিয়ে বসে আছে।
    অধীর চৌধুরীর গড়ে এসব সম্ভব , কেউ স্বপনে ভাবে নি।
    তাই বলি ভাবুন, ভাবা প্র্যাকটিস করুন।
    ত্রিপুরা গেছে, কেরল ও যাবে।
  • sm | 52.110.150.142 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৪:২১62588
  • B,আপনার সাড়া জাগবে বা করোরই জাগবে এমন ভেবে কিছু লিখি না।
    গণ শক্তি পড়ুন, সাড়া জাগানো রহস্য রোমাঞ্চ সব কিছুই পেয়ে যাবেন।
  • | 116.210.205.207 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৪:২১62589
  • এসেমের প্রতিটা পোস্ট শাক্যর লেখাটাকে আরো বেশী করে সত্যি প্রমাণ করছে। আর এসেম অম্লান দত্ত বুদ্ধদেব বসু, আশীষ নন্দীদের নামও শোনে নাই। কি করুণ অবস্থ।
  • sm | 52.110.150.142 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৪:৩৩62590
  • হ্যাঁ, শাক্য হলো আধুনিক পোস্ট মডার্ন ব্লগার দের ধ্রুব তারা। ওর প্রতিটা শব্দ ই অমোঘ।
    ধ্রুব সত্যি।
    আমি কিস্যু জানি না।
    অম্লান দত্ত, বু ব, এ নন্দীর নাম শুনি নি।
    শান্তি?
  • PT | 160.129.67.163 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৪:৫৬62600
  • ঢাকুরিয়াতে এক জোয়ান রিক্সাওয়ালা জানাল যে সে "লক্ষ্যানত্পুরের" কাছাকাছি কোন জায়্গা থেকে এখানে এসেছেঃ
    -কেন? কাজ নেই সেখানে? চাষের কিম্বা ১০০ দিনের?
    -চাষ তো আজকাল একমাসের কাজ। প্রায় সবই যন্ত্রে.....
    -কেন এই যে এত উন্নয়নের কথা হচ্ছে?
    -সে হয়েছে কিছু। রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুত.....
    -তাহলে?
    -কাজ কোথায়? গেলে একবার বুঝবেন অব্স্থাটা কি! আর ১০০ দিনের কাজ.....হ্যা, হ্যা..... তবু এখানে রিক্সা টানলে রোজকার রোজগার হয়.....

    যাত্রী নিয়ে পালাল সে। আরেকটু সময় পেলে আরেকটু আলাপচারিতা চালাতাম। জানতে চাইতাম যে "সিংগুরের কারখানার চাঙড় উপরে ফেলে ফসল উৎপাদন সম্ভব, যদি মমতা থাকে" এই তাত্বিকতাটা না বুঝে তিনোদের বদনাম করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সে ঢাকুরিয়াতে এসে রিক্সা চালাচ্ছে কিনা!! ।
  • dd | 59.205.219.104 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৫:১৯62601
  • তাতিনের লেখাটা ইন্টেরেস্টিং লাগলো।

    মুশকিল হয়েছে এই গুচর উঠোনে সবাই তো বাম বাবু - মানে ঐ ফিফটি শেডস অফ রেড। মমতা বা বিজেপির সমর্থনে শিক্ষিত লেখা খুঁজেই পাওয়া যায় না। একটাও নয়।

    এরকম কয়েকটা বিরুদ্ধ মত পড়তেও ভালো লাগে।
  • PT | 160.129.67.163 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৫:৪৩62602
  • সেইজন্যেই মায়াপাতায় ছড়ার আগে লেখাটা একটু পরিমর্জনা করা প্রয়োজন ছিল।
  • h | 212.142.90.243 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৫:৪৫62603
  • নেহা'ত ই বৈচিত্রের জন্য দক্ষিনপন্থা ব্যাপারটা পিয়োর খোরাক লাগে। কারণ ডিডি দার বা অন্য বৈচিত্র পন্থী দের কথা শুনলে মনে হয় পৃথিবীতে সত্যি মনের কথা বলতে না পেরে সক্ষিনপন্থীরা শুকিয়ে রোগা হয়ে গেলেন, হায় তাদের দুঃখ কেউ বোঝেনা, ওদিকে তারাই বামপন্থার বিভিন্ন ছোট বড় পরাজয়ে উল্লস করতে ভোলেন না। এই জল।মেশানো দক্ষিন পন্থা য় ক্লান্ত লাগে, এর চেয়ে অন্তত আহা গরীব অশিক্ষিত বাচার কষ্ট টা আর করে কেন , যা দিনকাল মারা যাওয়াই ভালো , এটুকু কথা সততার সঙ্গে উচ্চারন করলে আনন্দ পাই, এই কারুণ্য আর প্রানে সয় না। মমতা কে একেবারে মার্কেত স্পেকুলেটর রা ছাড়া কেউ বামপন্থী বলে মনে করেন না, মমতা নিজেই আনরিপেন্টেন্ট দক্ষিনপন্থী, আশ্চর্য্য এক্টাই ওনার দলের দুনিয়র কারো গলা শুকিয়ে যায় নি, তাই ওনদের গুচর সোভিয়েত গুলাগে এসে মুক্তির বানী শোনানোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে না।
  • h | 212.142.90.243 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৫:৪৮62605
  • bank rolled
  • h | 212.142.90.243 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৫:৪৮62604
  • থ্যান্কফুলি ওনদের বলার অনেক জায়গা আছে। একটা সময়ে ওনাদের কথা বলার জন্য একাধিক চ্যানেল ব্তান্ক্রোল্ড হয়েছে, এই মন কেমন আর চোখে দেখা যায় না।
  • PT | 160.129.67.163 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৫:৫৩62591
  • বাজপেয়ীর শাইনিং ইন্ডিয়ার ঢপ পাবলিক বেশীদিন খায়নি এমনকি ইন্দিরার গরিবী হঠাও-ও খুব একটা কাজে আসেনি।
    ইতিহাস ভুলে গেলে খুব বিপদ। তখন গণনা কেন্দ্রে গিয়ে ছাপ্পা মারতে হয়।
  • h | 212.142.90.243 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৬:০০62606
  • তাতিনের লেখাটা সত্যি ই খুব সুন্দর হয়েছে। বুতর্ক করব হয়তো। কিন্তু সুন্দর। কার কি মত হবে তাই নিয়ে ডিফেন্সিভ হবার কারণ দেখি না, আমি পশ্চিমবঙ্গের বুদ্দিজীবিই দের ভুমিকা কে খুব অগৌরবজনক মনে হয় না। বুদ্ধিজীবি দের রোল মডেল হতে হবে সেটাও মনে করি না। বুদ্ধিজীবি দের
  • তাতিন | 52.110.161.160 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৬:১০62592
  • শাক্যজিৎ একটা ইন্টারেস্টিং পোস্ট করেছে, তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী নিয়ে। শাক্যর আরও কয়েকটা পোস্টের মতন এই লেখা প্রচুর শেয়ার ও লাইক পাচ্ছে। প্রচুর লোকের গাত্রদাহও হচ্ছে। যাইহোক, লেখাটা শ্লেষাত্মক হলেও কিছু দরকারি কথা ছুঁয়ে গ্যাছে, সেইজন্যই আমার লেখার অবতারণা। বুদ্ধিজীবী হওয়ার স্পৃহা আমার বহুদশক ধরেই আছে, তার উপর তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু কর্মসূচীকে, অন্তত স্পিরিটের দিক থেকে সমর্থন তো করিই। আর ভেবে দেখলাম যে খুব সৌভাগ্যবান হলেও পাঁচ-ছয় দশকের বেশি সময় পাবনা রাজনীতি আলোচনা করার, তার মধ্যে এক দশকের ওপর যে দলটা রমরমিয়ে বাংলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের হয়ে একটু দুকলম চেলে দেখিই না। বুদ্ধিজীবীর কাছে বিরোধিতা করার থেকেও জাস্টিফাই করা বেশি চ্যালেঞ্জের, সুতরাং দেখা যাক না। শাক্যর লেখায় কিছু ফাঁক দেখতে পাচ্ছি- পেপার লিখতে গেলে যাকে বলি গ্যাপ ইন দা স্টাডিজ। সেইটা হয়ত শুধু শাক্যর লেখার ফাঁক না। সেইটা বোজানোর কাজে হাত লাগালে তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী বলে একটা পরিসর তৈরি হয়ে যেতেও পারে।
    শাক্য যে কাঠামোটা বানিয়ে ফেলেছে, সেইটা ধরে এগোনোর চেষ্টা করি। এবং দেখার চেষ্টা করি, তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীর মননশীলতার পরিসর কী কী হতে পারে?
    ১) বাম-অতীতঃ বাংলার চিন্তাজগতের বাম-অতীত কথাটা বেশ ঠিকঠাক। উত্তর নকশাল আন্দোলন বাংলায় দক্ষিণপন্থী একমাত্র বুদ্ধিজীবী যদি তথাগত রায় হন, তা হলে মেনে নিতে বাধ্য সকলেই যে বামপন্থী স্কুলিং ছাড়া বুদ্ধিজীবী এখানে বেশি লোক হন নি। লোকে রবীন্দ্র-গান্ধীর স্কুলেও গিয়ে পড়েছে বাম-অতীত নিয়েই। অতীত গুরুত্বপূর্ণ খুবই, বিশেষতঃ অতীতের থেকে শিক্ষা নেওয়া এই আলোচনার একটা বড় অংশ হবে। বাম আন্দোলন ব্যতীত অন্য কোনও সাড়াজাগানো ব্যাপার বাংলায় হয় নি এমন নয়। কিন্তু অতীতের সমস্ত উঠে গিয়ে কেন বামপন্থাই একমাত্র শিক্ষাকেন্দ্র হয়েছিল, সেইটা নিয়ে কিছুটা চর্চার দরকার আছে। তাহলে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ থেকে শুরু করে ফজলুল হক এরকম অনেকের শিক্ষাগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করা যাবে। জানা যাবে শাহ আলম কেন গাইছেন ‘ কে বা মিনিস্টার, কেহ বা মেম্বার- আমরা কি এসবের নাম জানিতাম! আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম!’ জানা যাবে ফুলিয়ার লেখক তাঁতী হরিপদ বসাক কেমন করে পালাগানের ইস্কুল থেকে শিক্ষা নেন। জানা যাবে কেন নকশাল আন্দোলন ভেঙে যাওয়ার পরে কল্লোল দাশগুপ্ত কালাচাঁদ দরবেশের আশ্রমে ওঠেন।
    ২) কলিম খান দিয়ে শুরু করি। প্রতিষ্ঠিত বা হবু বুদ্ধিজীবীরা কতটা কলিম খান পড়েছেন জানি না। কলিম খানের কাজ শব্দার্থতত্ত্ব নিয়ে। তাঁর কাজ একাডেমিক স্বীকৃতি পায় নি, তবে তিনি শব্দকে নতুন ভাবে দেখার একটা উপায় বাৎলেছেন। যেমন ‘শব্দ’ শব্দটিকে ভেঙে পেলে ‘শব+দ’ যা শব দান করে বা বিমূর্তকে মূর্তি দ্যায়। এই তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে পুরাণ ঘেঁটে তিনি ভারতের ইতিহাস খুঁজেছেন। তার মধ্যে পেয়েছেন আদি রাষ্ট্রের গঠনের কাহিনি, যাতে বলা হচ্ছে বসুন্ধরার বিভিন্ন জায়গায় ক্ষীর জমে আছে, তাকে পিটিয়ে সমান করতে ঋষিরা পৃথুকে নিযুক্ত করেন। পৃথু যে অঞ্চলের ওপর এই কাজটি করেন, অর্থাৎ সম্পদের পুনর্বণ্টন করেন এবং সাম্য প্রতিষ্ঠা করেন, তাকে বলা হল পৃথিবী। এই তত্ত্ব, এংগেলসের বইটার সঙ্গে মেলেনা। এই নিয়ে পরে আরো দুলাইন লিখব। তো কলিম খান একটি বই লিখেছিলেন, ১৯৯৯-২০০০ নাগাদ, যার নাম ছিল জ্যোতি থেকে মমতায়- ফ্রম এনলাইটেনমেন্ট টু ইমোশনাল বন্ডেজ। এই বইটি আমি সিংগুর নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় স্ক্যান করে এস্নিপ্সে আপ্লোড করে বন্ধুবান্ধবকে পড়ানোর চেষ্টা করি। চেষ্টা করি যাঁরা তৃণমূল কর্মী ও নেতা তাঁদের কাছে পৌছনোর। তবে কজন ফাইনালি পড়েছেন সন্দেহ আছে, কারণ এস্নিপ্সের ডাউনলোড কাউন্ট নগণ্য ছিল। এসবের অনেক আগে শাক্যকে বইটা পাঠিয়েছিলাম বলে, ওর মেনশন করা দেখে বুঝলাম ও বইটা পড়েনি। কারণ ওখানে গ্রামসমাজ, কাল্ট, বর্ণহিন্দু –এইসব শব্দ নিয়ে হারগিজ কোনও আলোচনা ছিল না। আর বইটা রণজিৎ গুহদের মেড-ইজিও নয়। যাই হোক, কলিম খান যেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, চালু মার্ক্সীয় পাঠের বিশ্ববীক্ষার বাইরেও ইতিহাসে ঘটনাগুলির ব্যাখ্যা আছে। আর এইখানে তিনি শাক্যর পাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলী রাজনীতির একটা বৈধতা দিয়ে ফেলেন। কৃষি থেকে শিল্প, গ্রাম থেকে শহর, কায়িক থেকে যান্ত্রিক-ই সভ্যতার একমাত্র গতি নয়। সিংগুরের কারখানার চাঙড় উপরে ফেলে ফসল উৎপাদন সম্ভব, যদি মমতা থাকে। সারা পৃথিবীর ইতিহাসের গতি যে শুধু শিল্পবিপ্লব-কালীন ইউরোপের ইতিহাসের গতি হবে আর লোকসমাজকে সেই প্রচেষ্টা সোনামুখ করে মেনে নিতে হবে, এই আবশ্যিকতাকে চ্যালেঞ্জ করা তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীর একটা কাজ হয়ে উঠতে পারে। যেখানে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে চার আনাও কস্মিনকালে ছিল না, সেখানে শুধু সেইটার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সে কেন পরিবারতন্ত্রের নিগড়ে পড়বে, তা অন্ততঃ বাংলার গ্রামসমাজকে দেখে, তার ভূমিহীন ক্ষেতমজুরের জীবন দেখে স্টাডি করতে পারেন তিনি। কিম্বা, জেলের ছেলে যখন বাপ-দাদার থেকে নোংরাজলে মাছচাষের রহস্য শেখে, তার শ্রমিকজীববে শৃঙ্খল ছাড়াও হারানোর কী থাকে, এই প্রশ্ন প্রচলিত অর্থের বাম-অতীত থেকে বেরিয়ে না এসে বুদ্ধিজীবী উত্তর করতে পারবেন কী না সন্দেহ আছে! তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীর জন্য এই পরিসর অধিগম্য।
    ৩) গোটাবাংলায় বুদ্ধিজীবী পেশাটার ৯৯%-র বাস যখন বৃহত্তর কলকাতার মধ্যবিত্ত- উচ্চমধ্যবিত্তের মধ্যেই, তখন তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীর পক্ষে অবশ্যই উচিৎ এর বাইরের পরিসর নিয়ে আলোচনা করা। শুধু আলুর দাম ঠিকমত পেলেই যে কৃষকের ভোট দিতে কোনও বাধা থাকে না, ই-রিকশার জন্য স্বল্পসুদের ঋণ যে শ্রমিকের রাজনৈতিক আনুগত্য্ অন্ততঃ দেড়খানা ইলেকশনের জন্য নিশ্চিত করে বা ইস্কুলে গেলেই বাবার হাতে কিছু টাকা আসে বলে যে মেয়েটিকে লোকের বাড়ি ঝি-গিরি করতে যেতে হয় না, তাঁদের কথাই তিনি লিখুন না। বিশ্ববীক্ষা আলোচনা করার লোক অনেক এসেছে ও গ্যাছে। পৃথিবীর সর্বত্র ইতিহাস ও সমাজনীতির সঙ্গে আমারটা মিলবে তবে আমি সেলুনে চুল কাটার লাইনে বসে মুখ খুলব, এই অস্মিতা নিয়ে তিনি নাইবা থাকলেন। আর, তৃণমূলকে সাপোর্ট করার সুবিধে হল দুটো জিনিস নিয়ে উল্টোসুর গাইলেন আর আপনাকে বেরিয়ে যেতে হবে এরকম ব্যাপার তো নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা ইত্যাদিতে আপনি ব্যথিত। তৃণমূলের এম এল এ অবধি সেইটা বলে ফেলতে পারেন, আর আপনি তো গাঁয়ে মানেনা হতে চান বুদ্ধিজীবী। যা স্পষ্ট দেখছেন লিখে ফেল্লেই পারবেন। আর সিপিএম এর নিজের লোক তো নন, যে ১৯৯৩-২০০৮ অবধি যাবতীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাস দেখেও সেগুলো ভুলে যেতে হবে। আপনি দেখাবেন যে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন মানেই সন্ত্রাস গত পঁচিশ বছর, মাঝে শুধু ২০১৩ তে সেটা থামানো গেছিল। কিন্তু, সরকারে যেই থাকুক না কেন, এইটা হচ্ছে। ফলে কেন হচ্ছে সেই কারণটা খুঁজতে যাবেন! সমাজের ওই একটা নিজস্ব স্তরে রাষ্ট্র মাথা না ঘামালে কি হানাহানি কম হবে? ভাববেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সত্যিই পার্টি-প্রতীকের জরুরত আছে কী না কিম্বা ২০১৩র ব্যাপারটা বিশেষ কী ছিল বা ১৯৮৮ অবধি মারামারি কম হত কেন?
    আর সমাজের সমস্ত স্তরে গোপন ব্যালটের ভোটে গণতন্ত্র অভ্যেস করতে হবে, এটাকেই বা প্রশ্ন করবেন না কেন? তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী হতে চাইলে আপনাকে দেখতে হবে একটা বাড়ির রান্নাঘরে মাছের ঝোলে কী ফোড়ন দেওয়া হবে তাই নিয়ে কোনও ভোট হয়না, অথচ সবাই সোনামুখ করে খেয়ে নেয়। কিম্বা পাম্পে জল উঠবে কী না, খোলা ড্রেন ঢাকা ঠিক হবে কী না এইসব নিয়ে ভোট না হলেও সর্বজনীন সিদ্ধান্ত হতেই পারে। ফলে, ভোটের গণতান্ত্রিকতাই মানবযূথের একমাত্র মোক্ষ নয়, এইটা ধরে নিয়ে আপনাকে লেখালিখি করতে হবে, তাতে আপনার পার্টি খচে গেলেও আপনার মাঘমাসের মুলোটা এসে যায়।
    ৪) পৌষ না মাঘের মুলো সেটা তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীর কাছে বিশাল ইম্পর্টন্ট্যান্ট ব্যাপার, কারণ সে স্থানিক। সে প্রমাণ করার চেষ্টা করে পাড়ার প্রতিষ্ঠিত পুকুরটার টিকে থাকা রোজাভা রেজিস্ট্যান্সের থেকে হীন ব্যাপার নয়। সে বিশ্বাস করে নন্দীগ্রামে ১৪-ই মার্চের প্রতিরোধের গান হিসেবে ইন্টার্ন্যাশনাল বাজে নি, নামসংকীর্তন হয়েছিল। আজ আমি একটা অফিসের কাজে বেরিয়েছি, আমার সঙ্গে এক ভদ্রলোক এসেছেন যিনি বৈষ্ণব, সারাদিন রাস্তায় কিছু খেলেন না কারণ কে কোন উনোনে চা বানাচ্ছে, কী ছোঁয়াছুঁয়ি হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত নন। রাতে খুঁজতে বেরোলেন জৈন হোটেল বা এরকম কিছু পাওয়া যায় কী না, যেখানে পেঁয়াজ রসুন ছাড়া রান্না হয়, না পেলে চিঁড়ে খই দিয়ে চালিয়ে নেবেন। এই ভদ্রলোক চূড়ান্ত বিজেপি বিরোধী তার একটা কারণ তারা নিজেদের না-খাওয়া অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয় এবং তার জন্য মানুষ মারতেও পারে। এবং এনার অবস্থানকে ধরতে চাইলে যে বুদ্ধিবৃত্তি আপনার লাগবে- আমি তৃণমূলের ওয়ান্নাবি বুদ্ধিজীবী, তারই নাম দিই, তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীপনা। পাঁচটা বইয়ের তত্ত্ব পড়ে উঠতে পারলে সে আমার সৌভাগ্য, পড়া না হলে আমি নিজেকে দীনতর মনে করব। কিন্তু আমার অ্যাসিড টেস্ট সেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে ধারণ করা যা মনে করে চাষের জমিতে পাওয়ার গ্রিড বসানোর দরকার নেই, যা মনে করে নিজের ভিটেমাটি সালিম কোম্পানির হাতে বেচে দিয়ে কটা টাকার জন্য বাপ-ঠাকুর্দার ভিটে ছাড়তে পারা যায় না।
    ৫) এবার ভাঙরের কথায় শাক্যর পাঁচ নম্বর পয়েন্টে আপনি এসে পড়েন। আরাবুলকে আপনার সমর্থিত দলের মন্ত্রীই তাজা নেতা বলছে। আর আপনি দেখছেন ভাঙরে আরাবুলের সন্ত্রাস উপেক্ষা করে প্রতিরোধ কমিটির জয়। কিন্তু, প্রতিরোধ কমিটির জয়, কোনওভাবেই তৃণমূলের হার নয় আপনার কাছে। কারণ পুত্রের কাছে পিতার পরাজয় আসলে জয়ই। প্রতিরোধ কমিটি আরাবুলের উল্টোদিকে যা করেছে, তা-ই সিপিএমের উল্টোদিকে মমতা করেছেন। মমতাপন্থার জেতা মমতার দলের হারার থেকে অনেক বড়। কারণ মানুষের থেকেও ওপরে সেই মানুষ যে মা আর মাটির জন্য লড়ে। আর, প্র্যাক্টিকালি, সবচেয়ে বড় কথা ওইরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে, ভোটেও জেতা যায়।
    ৬) ৭) নিয়ে আর আলাদা করে লিখতে ইচ্ছে করছে না। এই অনিচ্ছের জন্যই বুদ্ধিজীবী হিসেবে শাক্যর সমতুল্য হওয়া আমার এই রাউন্ডে হবে না। যাক গে, সবাই সব পারে না। কিন্তু সমস্যাটা হল এইসব বললেই শাক্য এবং তার গুরুশিষ্য গুণমুগ্ধরা আমাকে আপনাকে শাসকের কুত্তা ইত্যাদি বলবে। এবার এই আক্রমণ আপনার মত আত্মসম্মান-বোধী কী করে সামলাবেন সেটা আমি বলতে পারব না। আপনার আত্মীয়-বন্ধুরাও দেখবেন আপনার উল্টোদিকে দাঁড়াচ্ছেন, কারণ মমতাপন্থায় সরাসরি সুবিধা তারা খুব কম পাচ্ছেন। না তাঁরা গ্রাম্যমেলার শিল্পী, না তাঁরা হোমগার্ডের চাকরি নেবেন। তদুপরি তাঁরা হয় রামজাদা নয় বামজাদা। এখানে আমি যেটা করছি, শাসকের ইতিহাস দেখছি। দেখছি ইতিহাসে অশোক আকবরের মতন কিছু শাসক কল্যাণের প্রতিমূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দেখছি ভারত-পিতা গান্ধী রামরাজ্য রামরাজ্য করে হেদিয়ে মরছেন, যে রাম ডায়নাস্টির ফসল, অথচ রামরাজ্য প্রকৃতপ্রস্তাবে কল্যাণরাষ্ট্র। দেখছি নবাব আলিবর্দির মতন শাসক যিনি বর্গি আক্রমণের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করছেন। আমাকে স্থানিক থাকতে হবে, তাই কাস্ত্রোকে টানার দরকার নেই। ফলে কোনও সময় আসে যখন বর্গির হাত থেকে ধান বাঁচাতে শাসকের মুখের দিকে তাকাতে হয়। কোনও সময় আসে, কোনও স্থানিক শাসক আসেন যিনি বৃহত্তর আক্রমণের সামনে আপনার খেতের ফসল, আপনার জান-মান, আপনার আত্মপরিচয় বাঁচান।
    -- মমতা এসব না-ই হতে পারেন। কিন্তু এই আলোচনার পরিসরটা তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীর পরিসর। যে আসলে একটা ভীষণ কঠিন সময়ে নিজের জ্ঞান-বুদ্ধির সঙ্গে লড়ছে।
  • h | 212.142.90.243 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৬:১১62607
  • সমালোচনা করার সময়ে দুটো কথা ক্লিয়ারলি বোঝা দরকার, প্রথমত সরকার কে সমর্থন করা বুদ্ধিজীবি দের কাজ হতে পারে না, যারা নিজের ইচ্ছে য় করলেন আলাদা কথা, কিন্তু একটা সরকার কে সমালোচনা তারা কেনই বা করবেন না।দ্বিতীয়ত পারফর্মিঙ্গ আর্ট্স এর লোকেরা ভিষন ইনসিকিওর্ড , লিখে স'ম্সার চালানো অসম্ভব সেখানে তারা যদি একটু সুবিধে ও নিয়ে থাকেন তাতে রাগ করা উচিত ও না। বুদ্ধিজিবি রা কি অপু নিয়ন পোষন করবেন তাদের ব্যাপার। বিরোধী রাজনৈতিক প্রচার করলে প্রচারের জবাব দেওয়া জেতেই পারে তবে রাগারাগি না করাই ভালো। মমতা কে জেতানোর ক্ষমতা শুধু বুদ্ধিজিবি দের ছিলো না, মানুষ ভিট দিয়েছিলেন। বার মমতা নানা অযৌক্তিক কাজ করলে , ক্ষমতার দম্ভ বেশি দেখালে তিনি হারবেন, মিটে গেল, এত চাপের কি হল।
  • Fëanor | 116.203.155.183 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৭:০১62595
  • ^^^ একেবারেই পেরেন্ট দলের সাথে মিলে গেলো। ছাপ্পার পর ছাপ্পা।
  • PT | 160.129.67.163 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৭:৩০62596
  • এটা কি খুব রেগে-মেগে লেখা? একটা সংক্ষিপ্তসার পেলে বেশ হত।
  • K | 33.241.123.17 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৭:৪৪62608
  • ভালোনা এসব ভালোনা বলেছেন শাক্যমুনি / চল বাম হই না- কাম হই বড়দার বাতেলা শুনি।
  • B | 147.59.156.40 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৮:০৭62597
  • ইনি তো একজন নিয়মিত লেখক বলেই মনে হয়, নামটাও শোনা শোনা। এনার তো বোঝা উচিত যে এত বড় পোস্ট, স্বাভাবিকভাবেই লোড হতে সময় নিয়েছে, তাই বলে সেই অবসরে দু দু'বার একই লেখা পোস্ট, কুল্লে তিনবার।

    নাকি এটা তিন সত্যি করে বলার মত হল? }8>X>

    <sm>
    <}8>X
  • শাক্যর উত্তর | 90.254.154.99 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৮:৪৯62609
  • সোমনাথ দা, তোমার লেখাটা আমি আমার ওয়ালে শেয়ার করলাম। বাকিরা কী বলে দেখি। একটা সুস্থ বিতর্কের রাস্তা খুলে যাক । এই প্রসঙ্গে আমার দুই পয়সা দিয়ে যাই।

    তুমি ব্যক্তি মমতা থেকে মমতাবাদে চলে যাচ্ছ। এর একটাই সমান্তরাল প্রয়োগ ইতিহাসে দেখছি। ব্যক্তি গান্ধী এবং গান্ধীবাদের পার্থক্য। আমার সেটা নিয়ে বক্তব্য নেই। তৃণমূল বুদ্ধিজীবির যা যা পরিসর বললে, তার সঙ্গে বাম বুদ্ধিজীবির তফাতটা কোথায়? প্রগতির চিরাচরিত ধারণাটিকে সবথেকে বেশি অ্যাটাক করেছেন মার্ক্স নিজে। এবং ঐতিহাসিক বস্তুবাদের যে সরলরৈখিক গতি আমরা জানি, জার্মান আইডিওলজি অথবা কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো, মার্ক্স শেষ জীবনে এসে সেই সবকিছুকেই ধুর বাল বলেছেন নিজেই। বেশিদূর যেতে হবে না, কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোর ১৮৮২ সালের রাশিয়ান সংস্করণের ভূমিকাটুকুর শেষ প্যারাগ্রাফ পড়লেই কিছুটা বোঝা যাবে। তো, আমার প্রশ্নটা হল, ইউরোপীয় প্রগতির ছক, আধুনিকতা নামক ধারণা ইত্যাদিকে কাটতে গেলে যদি মার্ক্সবাদ যথেষ্ট হয়, তৃণমূলী বুদ্ধিজীবি নামক বস্তুটির দরকার পড়ে কেন?

    আর এই লোকাল রেজিস্টান্সের সমস্ত উপাদান, গ্রামসমাজের মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রতিরোধী শক্তি, নিম্নবর্গের জাগরণ ইত্যাদিকে সিরিয়াসলি স্টাডি করতে গেলে অবশ্যই সাবঅলটার্ন চর্চা করতে হবে। করতেই হবে। পৃথিবীর সমস্ত কিছুর উত্তর মার্ক্স বা লেনিনে নেই। কিন্তু 'বন্দ্যোপাধ্যায়' পদবীধারীর উত্থানে ছোটলোক বা অন্ত্যজদের ক্ষমতায়ণ প্রত্যক্ষ করবার প্রজ্ঞা কতজনের আছে সন্দেহ। এস্পেসালি যাঁর রাজনৈতিক দীক্ষাটুকু একটি মনুবাদী ব্রাহ্মণ্যবাদী দলের মধ্যে হয়েছে।

    তৃতীয়ত, তৃণমূলের বুদ্ধিজীবি জেলে চাষির জীবনের স্তর জানে? ঃ সেই কারণে প্রান্তিক মানুষের পরিবেশবিদ ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ যখন পূর্ব কলকাতার জলাভূমি, তার বাস্তুতন্ত্র, তার উপর নির্ভর করে থাকা পঞ্চাশ হাজার চাষি পরিবার যাঁরা নোংরা জলের সেচে মাছ ও সবজি চাষ করে কলকাতার মুখে খাবার তুলে দেন, তাঁর সমস্ত আবেদন ও উপরোধ অগ্রাহ্য করে তৃণমূল সরকার ক্যাপ্তেন'স ভেড়িতে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর প্রকল্প চালিয়ে ঐ কৃষক পরিবারদের জীবিকা সংস্থানের সমস্ত উপায় রুদ্ধ করে দেয়। আর সেই প্রকল্পের চেয়ারম্যান হন শোভন চট্টোপাধ্যায় নামক জনৈক মাফিয়া। এটা প্রগতির পথে ঠিক কোন অ্যাংগলে হাঁটা, আর প্রগতির কোন ছককে অস্বীকার করে দেওয়া, সেগুলো তুমি ভাল বলতে পারবে।

    নোনাডাংগা, যশোর রোডে গাছ কাটা, ভিআইপি রোড ফাঁকা করে দেওয়া, বাস্তুতন্ত্রের মা মাসি করে দিয়ে কলকাতাকে আধুনিক করা ইত্যাদির কথা আর নাই বা বললাম।

    আপাতত এটুকুই। পরে আবার হবে।
  • সোমনাথের জবাব | 90.254.154.99 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৮:৫১62610
  • তোর পোস্টের মূলতঃ তিনটে পয়েন্ট। তিনটে অ্যাড্রেস করা জরুরি। একে একে

    ক) তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী বলে যা লিখেছি, তা মার্ক্সবাদী বুদ্ধিজীবীর পরিসর। আমি বলব, কিছুটা তো বটেই। কিন্তু মার্ক্সবাদী বুদ্ধিজীবীর হ্যাং ওভার অনেক। আমার পোস্টেই তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী যত সহজে বলে পঞ্চায়েত পার্টিবিহীন ইলেকশন হলে কী হতে পারে আলোচনা করি, মার্ক্সবাদী বলতে পারেন না। পার্টির বাইরে কিছু হচ্ছে ভাবতে গেলে তাঁকে মেলাতে হয় তাঁর বৃহত্তর রাজনৈতিক লাইনে সেটা কেমন যাচ্ছে। এই দায়টা আমাদেরও নেই এমন না। কিন্তু, পার্টি বিপ্লব করবে এই ইতিহাস-চেতনা আমাদের মাথায় কিছুটা হলেও কম আছে। তার উপর তুই আর্লি মার্ক্স- লেট মার্ক্স আলোচনা করবি আর মার্ক্সবাদীরা এসে তোকে কোটেশন তুলে চ্যালেঞ্জ করবে। এক্ষুণি একজন লিখলেন ঐতিহাসিক বস্তুবাদের পিন্ডি চটকানো। আমরা এমন মার্ক্সবাদীও দেখেছি যে লিখেছিল সিঙুরএ কারখানা বিপ্লবের দিকে এক পা এগোনো। মার্ক্স নিজেও মার্ক্সবাদীদের নিয়ে পরিসান হয়েছেন বলে শুনেছি। আমি হাত তুলে নিতেই চাইব। এর বাইরে দেখলে মার্ক্সীয় সাহিত্য খুব কাজের জিনিস, আমাদের পড়ায় বাধা নেই। ইন ফ্যাক্ট, আমি তো মনে করি কলিম খান ভীষণ মার্ক্স-প্রাণিত। পুরাণকে অর্থনৈতিক স্ট্রাকচার দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চাওয়া ঐতিহাসিক বস্তুবাদের ছাত্র বলেই। কিন্তু, সেইটা করতে গিয়ে দরকারে রবীন্দ্রনাথ-রামকৃষ্ণ-র কাছে আসতে তার আটকায় নি। কলিম খান অবশ্যই তৃণমূলী নন। কিন্তু, তৃণমূলী বুদ্ধিজীবী এই ফ্রি স্পেসটা নিতে পারেন। মার্ক্সীয় স্কুলের বাইরের লেখাপত্তরকে সমান গুরুত্ব দেওয়া, অবজ্ঞা না করার এবং মার্ক্সবাদীদের উপদ্রব সামলানো, এইটা একটা বড় জায়গা। এর পাশাপাশি আরেকটা জিনিস আসে, আমার মূল লেখাতেও আছে। তা হল স্থানিকতার স্তম্ভ হিসেবে যেটাকে রাখা হচ্ছে, সেটা জাতীয় ইতিহাস। আলিবর্দি-র ইতিহাস দিয়ে মমতাকে জাস্টিফাই করা মার্ক্সবাদীর পক্ষে সম্ভব কী? অন্ততঃ আমাদের দেশে। জাতীয়তাবাদী চেতনা এঈ মুহূর্তে ভারতীয় রাজনীতিতে অস্তমিত। ইতিহাস সাক্ষী, সমাজের টিকে থাকার লড়াইয়ে এই চেতনা বহুবার বহুদেশে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। মার্ক্সবাদীরাও নিয়েছেন। আপাতত আমরা এটাকেও নারচার করব। আমি মনে করি ইস্বেন্দুদা বাংলার ইতিহাসের যে অসামান্য ভাষ্য নির্মাণ করছেন, তৃণমূলের রাজনীতির একটা বৈধতা সেই ভাষ্যে পাওয়া যেতেই পারে। আড়, এড় চেয়েও বড় কথা, আমাকে চা -দোকানে সেলুনে বুদ্ধিজীবীগিরি করতে হয়, মার্ক্সবাদী স্কুলের শিক্ষা সেখানে কাজে লাগে না। -- এইসব হল মার্ক্সবাদীদের সঙ্গে আমাদের কিছু ফারাক।

    খ) মমতা 'বন্দ্যোপাধ্যায়' এবং পুঁজিবাদী মনুবাদী দলের আঁতুড় থেকে আসা। সে তো নিমাই নিতাই দুজনই ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং নিমার একদম ভারতী সন্ন্যাসী। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ নিজের মেধার জোরে অনেক কিছু ছাপিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথ একপাতা ফিজিক্স না পড়েও আইনস্টাইনের সাথে আলোচনা করেন। আইন্সটাইন সারা জীবন ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন মেলানোর চেষ্টা করেও ইউরোপের তাবড় তাবড় সমাজবিদের থেকে আগে লেনিনের কাজকে বুঝে ফেলেন। এসব হয়।
    সব সময় একটা ছকে বাঁধা অনুশীলন আগে না। মেধার দিয়ে অনেক কিছুই হয়ে যায়।
    তো আমি দেখছি গ্রামের মেয়েটা কী চাইছে, নাগেরবাজারের ইরিকশাওলা কী চাইছে, এইসব মমতা বুঝে ফেলছেন। মানে তাঁরাই অ্যাডমিট করছে যে বুঝে ফেলছেন। কোন অনুশীলনের মাধ্যমে বুঝেছেন জানিনা। কিন্তু রাস্তাঘাটে দেখছি যে এম্পিরিকাল ট্রুথ এটাই। আমরা যেহেতু স্থানিক সত্যকে বোঝার চেষ্টা করি। এম্পিরিকাল ট্রুথ আমাদের কাছে বিরাট গুরুত্বপূর্ণ

    গ) সত্যি, তৃণমূল সরকারের বহু কাজ আমার থিও্ররাইজেশ্নের সঙ্গে মিলবে না। আমার কাজ নিজের আনন্দের জন্যে, চারটে লোককে বলার জন্য থিওরি নামানো, সরকারের কাজ অন্য। তার উপর তাকে গুন্ডা বদমাশ, ব্যবসায়ী আমলা নিয়ে চলতে হয়। দলের এক লক্ষ কর্মীকে নেতারা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন এরকম না। নেতাদেরও তো ওরকম হাল হয়- মুকুল বিজেপি হয়ে যায়, ঋত তৃণমূল হয়ে যায়, এইসব থাকেই। কিন্তু মোটের ওপর এর রাজনীতি আমার তত্ত্বায়নের সবচেয়ে কাছে। আমি স্পিরিটের দিক থেকে অধিকাংশ কর্মসূচীই সমর্থন করি। বাকিগুলোর বিরোধিতা করব। মাত্রার তারতম্য থাকবে। বালি বধ করে রাম কৃত্তিবাসের বিষাদ ঘটালে তিনি তাই-ই লিখবেন। আবার তরণি সেন রাম রাম বলতে বলতেও রামের সঙ্গে যুদ্ধ করবেন। জাতীয় ইতিহাসে এরকম বহুবার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।
  • শাক্যর উত্তর | 90.254.154.99 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৮:৫৮62611
  • তোমার কাউন্টারের (আমার কমেন্টের নিচে যেটা লিখলে) সেকেন্ড আর থার্ড পয়েন্টটা নিয়ে আমি নীরব রইলাম ঃ'( মানে, আমার মনে হচ্ছে তুমি ট্রোল দিচ্ছ।

    মার্ক্সবাদীরা রামকৃষ্ণের কাছে যাবেন না কেন? কলিযুগ, চাকরি ও ভক্তি নামক বইটি তো সুমিত সরকারেরই লেখা । রাংলার নবজাগরণের রামকৃষ্ণায়ণকে যেভাবে কথামৃতর মাধ্যমে একটা আর্বান রূপ দেওয়া হচ্ছে, এবং গ্রামসমাজ থেকে যেভাবে তার বিচ্ছিন্নতা ঘটাচ্ছে, সেই অ্যানালিসিস তো আমি সুমিত সরকার থেকেই পেয়েছি। অথবা গৌতম ভদ্র-র জাল প্রতাপচাঁদ (ভদ্র সাবঅলটার্ণ হলে, বস্তুত চিন্তায় মার্ক্সবাদী, নিজেই বার বার বলেন), ইমান ও নিশান।

    আর মার্ক্সীয় ইতিহাসের প্রস্থানপথ কবে থেকে আবার জাতীয় ইতিহাস হল? জাতীয়তাবাদী চেতনাই বা হল কবে থেকে? কী সব বলছ ! মার্ক্সবাদীরা বরং এই জাতীয় ইতিহাস নামক ধারণাটাকে চূড়ান্ত হ্যাটা দিয়েছেন। প্রফেশনাল ইতিহাসবিদ ছেড়ে দিলেও, নাম্বুদিরিপাদ পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বইটার প্রথম চ্যাপ্টারে পাতার পর পাতা ব্যয় করেছেন জাতীয়তাবাদী ইতিহাস নামক ধারণাটিকে কাটবার জন্য।

    প্রসঙ্গত, স্থানিক ইতিহাস নিয়ে এই বাংলায় যাঁর কাজ অন্যতম উল্লেখযোগ্য, তিনিও মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী ছিলেন। পরে রাজনীতি ছেড়ে দেন, কিন্তু বিভিন্ন সাক্ষাতকারে বারবার বলেছেন যে তাঁর ভাবনা নির্মাণের পেছনে ছিল মার্ক্সবাদী চেতনা। তারাপদ সাঁতরা (যদিও এটা পাতি অ্যানেকডোট, কিছুই প্রমাণ হয় না এতে। দিতে ইচ্ছে হল তাই দিলাম, কারণ উল্টোদিকে নীহাররঞ্জন রায়ের মত জাতীয়তাবাদীও থাকবেন)
  • আরও কিছু আলোচনাঃ | 90.254.154.99 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ০৯:১৭62612
  • আরও কিছু আলোচনাঃ

    Somnath Roy
    কাল খড়গপুর থেকে আসানসোল গাড়িতে আসলাম। কেশপুর গড়বেতা প্রভৃতির ওপর, দিয়ে। আর অবাক হয়ে এটাই ভাবছিলাম। এইসব জায়গায় যা কাজ হয়েছে, চোখেই দেখা যাচ্ছে, মমতা কী করে সেগুলো ভেবে উঠতে পারলেন!

    Sumana Aich
    Tomar oi mamata pontha niye amar ekta kotha ache. Cpm prothom khomotay ese chashider jonyo ki korechilo? Ki policy niyechilo?

    Somnath Roy
    খুব ভালো করে জানিনা বা ভুলে গেছি। গুগ্ল করতে হবে। তখন একটা বই বের করত সরকার, যাতে পলিসিগুলো থাকত। আমাদের বাড়িতে আস্ত বইটা।

    Somnath Roy
    মমতার শুধু জল ধরো জল ভরো প্রকল্প নিয়েই দশটা ইপিডব্লু হওয়া উচিত

    Sumana Aich
    Tomar ki abp ananda te jaoar khub ichhe? Sotyi kotha bolo to?

    Sankar Sarkar
    Sudip Chakraborty দেখে যাও ঐতিহাসিক বস্তুবাদের কি বারোটা বাজিয়েছে !

    Sudip Chakraborty
    দেখার কিছুই নেই, এখানে ঘাসফুল ফোটানোর সার যেখান থেকে আসবে, সেই সিস্টেমের নির্মাণ নিয়ে বি-দগ্ধ আলো-চনা হচ্ছে; এবং, দেখার দৃষ্টি যথারীতি subjective, যদিও, উদ্দেশ্য মহৎ, অনেকটা নেপোয় মারে দই গোছের, সারদা ইত্যাদির অংশবিশেষ যদি এখনো অবশিষ্ট থাকে, তবে...এবং, এই subjective ভঙ্গিটি সম্বল করেই মার্ক্স কে বুঝে ফেলেছে, সমাজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব গুলোর সংঘাত, তাদের পরিবর্তনের অভিমুখ, এই objective poin কে আড়াল করে, জাতীয়তাবাদী, রাজ্যবাদী, এমনকি পাড়াবাদী রাজনীতি; অনেকটা IPL ধাঁচের; গ্লোবাল পলিটিক্যাল ইকোনমি আর আর তার আনুষঙ্গিক exponential technology বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় যে বহুমাত্রিক ভাঙ্গন ও সম্ভাবনা একইসাথে তৈরি করেছে, তাকে জানা বোঝার কোনো প্রচেষ্টাই নেই।

    Debaprasad Bandyopadhyay
    Sankar Sarkar না, পিণ্ডি একেবারেই চটকান নি। নির্ধারণবাদী ইতিহাসকে (সত্য-ত্রেতা-দ্বাপর-কলি এবং PSFCকে) যথার্থ আক্রমণ করেছেন।

    Somnath Roy
    Sumana Aich , khub i ichchhe. bisheshoto baar duyek jawar por ar jabona, canteen er adday bolbo oi bhat ar poshay na, erokom tar ichchhe

    Somnath Roy
    শিল্পবিপ্লব খোদ ইউরোপের গণসমাজের জন্যও অশেষ দুর্গতি বয়ে এনেছিল। সেই দুর্গতিকে জাস্টিফাই করতে ঐতিহাসিক বস্তুবাদের অবতারণা

    Sakyajit Bhattacharya
    আজ্ঞে না, বরং সেই দুর্গতিকে সবথেকে প্রথম এম্পারিকাল স্টাডির মধ্যে এনেছিলেন যিনি, তাঁর নাম ফ্রেডেরিক এঙ্গেলস। কন্ডিশন অব দ্য ওয়ার্কিং ক্লাস ইন ইংল্যান্ড। আর শিল্পবিপ্লব কী পরিমাণ দুর্গতি এনেছে, এবং অন্যান্য সমাজব্যবস্থায় সেই দুর্গতিকে এড়াবার জন্য পুঁজিবাদ চাইলে বাইপাসও করা যেতে পারে, সেটা মার্ক্স ও এঙ্গেলস নিজেই স্পষ্ট করে একাধিকবার বলেছেন। ভেরা জাসুলিচকে লেখা মার্ক্সের চিঠিপত্তর পড়ে নাও, মারক্সিস্ট ডট অর্গেই আছে। দুম করে চটকদার জার্গন-সর্বস্ব কথা বলে হাততালি পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাতে সত্যের অপলাপ হয়। তার থেকে একটাই কথা বলার। পড়ো, আরো বেশি করে পড়ো।

    Sakyajit Bhattacharya
    আর ঐতিহাসিক বস্তুবাদের মূল ধারণাগুলো অত সরল নয়। দুখানা রেফারেন্স দিচ্ছি। ক্যাপিটাল লেখার আগে দশ বারো বছর ধরে মার্ক্স তাঁর নোটবুকে নানা মন্তব্য টুকে রাখছিলেন যেগুলো পরে গ্রান্দ্রিস নামে বেরয়। তার কিছুটা অংশ, প্রাক-পুঁজিবাদী সমাজ নিয়ে মার্ক্সের লেখাপত্রের একটা কালেকশন ষাটের দশকে বেরিয়েছিল, প্রি-ক্যাপিটালিস্ট ইকোনমিক ফরমেশন। তার ভূমিকা লিখেছিলেন এরিক হবসবম। সেই ভূমিকাটুকু পড়ো। আর সেকেন্ড রেফারেন্স হল, ২০১০ সালে শিকাগো ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত কেভিন বি অ্যান্ডারসনের 'মার্ক্স অ্যাট দ্য মার্জিন' নামের একটা বই। মূল মার্ক্স না পড়লেও এই দুখানা বই পড়া সকলের অবশ্যকর্তব্য। ঐতিহাসিক বস্তুবাদ খুবই জটিল জিনিস। তাকে দুম করে এক কথায় ধরা যায় না, এবং সমাজবিকাশের স্তর দিয়ে মাপাও সম্ভব নয়।

    আমার নিজের লেখাপত্তর আছে এই নিয়ে। বিভিন্ন লিটল ম্যাগে। কিন্তু নিজের ঢাক পেটাতে চাই না। আর সেই লেখাগুলোও নতুন কিছু বলেনি। এইসব বইপত্র পড়েই একটা স্ট্রাকচার দাঁড় করিয়েছিল।

    Sumana Aich
    Somnath se bujhtei parchi toh ! Kintu byaparta 48 vs 472 hole cholbe na
  • T | 129.74.180.59 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ১২:২৩62582
  • শাক্যর লেখার লাস্ট প্যারাটা, হ্যা হ্যা হ্যা...
  • T | 129.74.180.59 (*) | ১৯ মে ২০১৮ ১২:২৫62598
  • আচ্ছা, বলে রাখি এই যে উন্নত প্রযুক্তির যুগে রাণীমা কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে মন দিয়েছেন। কৃত্রিম তৃণমূলী চিন্তাবিদ তৈরী হল বলে। স্বর্ণযুগ আসন্ন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন