এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা ও লিঙ্গ অসাম্য

    Asish Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ এপ্রিল ২০১৮ | ১৮০৬ বার পঠিত
  • ভারতের সেরা প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান কোনগুলি জিজ্ঞেস করলেই নিঃসন্দেহে উত্তর চলে আসবে আইআইটি। কিন্তু দেশের সেরা ইনস্টিটিউট হওয়া সত্ত্বেও আইআইটি গুলিতে একটা সমস্যা প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই রয়েছে। সেটা হল ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যার মধ্যে তীব্ররকমের লিঙ্গ অসাম্য। আইআইটি ক্যাম্পাসে এসে একবার শুধু চোখ বোলালেই আপনি দৃশ্যতই ব্যাপারটা অনুভব করতে পারবেন। মোটামুটি সব আইআইটি মিলিয়ে  প্রযুক্তিবিদ্যার বিভাগগুলিতে ছাত্রী সংখ্যা মোট আসনের ৮% মত। ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আইআইটির সব মিলিয়ে ১০৫০০ আসনের মাত্র ৮৩০টিতে ছাত্রীরা ভর্তি হয়েছে। কোন কোন বিভাগে একটিও মেয়ে নেই, এরকমও হয়ে থাকে আকছার।

    ****

    প্রশ্ন হচ্ছে কেন? কেন এই বিপুল লিঙ্গ-অসাম্য? উত্তর খোঁজার আগে চলুন আগে একটা বহুপ্রচলিত সেক্সিস্ট মিথ ভেঙে নিই। সেটা হল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মেয়েরা কম আসে কারণ তারা অঙ্ক বা ইন জেনারেল প্রযুক্তির জন্য যেরকম স্কিল লাগে তাতে কাঁচা। এই বক্তব্য আপনি শতকরা ৯৯% ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রের সাথে রিমোটলিও যুক্ত যেকোন লোকের মুখেই শুনতে পাবেন। চলুন দেখে নিই কেন এই মিথটি সত্যি না, বরং মিথ-থে (সরি ফর দ্যা ব্যাড পান!)।

    ১) ২০১৬ সালে মাত্র ৮৩০ জন ছাত্রী আইআইটি জয়েন করেছে আগেই লিখেছি। কিন্তু আসল ব্যাপার হল এক্সাম ক্লিয়ার করে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন ২২০০ জন ছাত্রী। অর্থাৎ প্রায় ৬০% ছাত্রী সুযোগ পেয়েও জয়েন করেননি।

    ২) অনেকেরই দাবি কোর সাবজেক্ট, যেমন সিভিল বা মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং মেয়েদের জন্য না। কম্পিউটার সায়েন্স বা আইটিতে তবু সম্ভব, কিন্তু এগুলোয় মেয়েরা? নৈব নৈব চ। তাদের জন্য জানিয়ে রাখি বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম টেকনিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে এই দুটি বিভাগে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৯%। গোটা এম.আই.টি-তে ৫০% এর কাছাকাছি। মেয়েরা তার মানে মেয়েরা আরামসে এই বিশ্বের সেরা প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পারে, অথচ ভারতে সেটা সম্ভব হয়না। নিশ্চয়ই তার মানে সমস্যাটা অন্য জায়গায়, মেয়েদের কোন অ্যান্টি ইঞ্জিনিয়ারিং জিন নেই?

    ৩) আইআইটি দিল্লি রিসেন্টলি একটি সমীক্ষা করেছে। তা থেকে জানা গেছে, যখন সমান সুযোগ দেওয়া হয় তখন একই পরিস্থিতিতে মেয়ে স্টুডেন্টরা ছেলে স্টুডেন্টদেরকে ওভার অল পারফরম্যান্সে ক্রমাগত পিছনে ফেলে দিয়েছে। সমীক্ষা জানাচ্ছে, ছাত্রীর ধারাবাহিক ভাবে ছাত্রদের থেকে গড়ে প্রায় ১ গ্রেড পয়েন্ট বেশি পেয়েছে, জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামে ছাত্রদের পিছনে র‍্যাঙ্ক করা সত্ত্বেও।

    অর্থাৎ মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং পারেনা তাই মেয়ে কম এখানে এটি একটি বড়সড় ফোলানো ফাঁপানো মিথ্যে ছাড়া কিছুই না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সত্যি মিথ্যেতে কিছু যায় আসেনা, যায় আসে পারসেপশনে। এই ভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মেয়েরা অঙ্কে কাঁচা এই ব্যাপারটা এমন সুচারুভাবে প্রচারিত হয়েছে যে মেয়েরা নিজেরাও সেটা বিশ্বাস করে। উচ্চমাধ্যমিক লেভেলে এসে, যেখানে অঙ্ক তুলনামূলক ভাবে আগের স্তরের থেকে অনেকটাই কঠিন, প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রীই অন্তত প্রাথমিক ভাবে খেই হারিয়ে ফেলে। সমস্যা হল, মেয়েরা এক্ষেত্রে আজন্মলালিত অবচেতন ধারণার বশে অঙ্কে সমস্যা হলেই ধরে নেয়, এটা তো আমাদের জন্য নয়। যার ফলে কঠিন লাগা বিষয়ের পিছনে যে এক্সট্রা খাটুনি দিতে হয়, সেটা আর দেয়না। স্বভাবতই অঙ্কে ফল খারাপ হয় এবং ফলস্বরূপ “মেয়েরা অঙ্কে কাঁচা” মিথটি আরো জোরদার হয়। অর্থাৎ একটি ভিশিয়াস সাইকলে আটকে যাচ্ছি আমরা এখানে।

    ***

    মিথের কথা বাদ দিলেও কিন্তু প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে। লিঙ্গ অসাম্য তো রয়েইছে। সেটা তাহলে আসছে কিভাবে? শুধুই মিথজনিত পারসেপশন? এখানে বলে রাখি গোটা আলোচনায় আমি মূলত আই আইটি নিয়ে কথা বললেও একই বিশ্লেষণ যাদবপুর, এনআইটি সহ সেকেন্ড টিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কেও খাটে।

    রবিন্দর কউর, আইআইটি দিল্লির প্রফেসর যিনি আগে উল্লেখ করা সমীক্ষাটির প্যানেলে ছিলেন, বলেছেন, "ভারতীয় মানসিকতা বরাবরই ছেলের শিক্ষায় বেশি খরচ করার পক্ষপাতী। মেয়েরা তাই সেই সমান লড়াই করার জায়গাটাই পায়না, সে কোচিংই হোক বা আইআইটিতে পড়ার ফান্ডিং হোক।"

    ***

    আসুন বক্তব্যটি ধাপে ধাপে বিশ্লেষণ করা যাক। প্রথমেই আসবে প্রাইমারি লেভেল থেকে মেয়েদের শিক্ষায় কতটা জোর দেওয়া হয় সে হিসেব। আমাদের ধারণা আছে মেয়েদের শিক্ষায় পরিবার কর্তৃক বৈষম্য গ্রামে হয়, শহরে এসব এখন হয়না না। কিন্তু সেভ দ্যা চিল্ডেন অর্গানাইজেশনের সার্ভে বলছে, শহরেও মাত্র ১৪% ছাত্রী ক্লাস ১২ অবদি পৌঁছায় প্রাইমারি লেভেল থেকে। গ্রামে এই অনুপাতটি ১% এর সামান্য বেশি, তাই আনুপাতিক ভাবে সত্যি হলেও শহরেও যে বুনিয়াদী স্তর থেকেই মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ কম পায় একথা জলের মত পরিষ্কার। এই বাস্তব সত্যের সাথে অনেক ছেলেই একমত হবেনা, কিন্তু তাতে বাস্তব বদলায় না। প্রিভিলেজ পেয়ে পেয়ে যাদের অভ্যসে হয়ে গেছে তাদের স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের প্রিভিলেজ এবং অন্যদের ক্ষেত্রে সেই প্রিভিলেজের অনুপস্থিতি চোখে পড়ে না।

    এরপর আসছে দ্বিতীয় ভাগ। অর্থাৎ যারা ক্লাস ১২ অবদি পৌঁছাল তাদের কী হচ্ছে। আমরা জানি আইআইটি ক্লিয়ার করার জন্য ব্যয়সাধ্য স্পেশাল কোচিং একটি জ্বলন্ত বাস্তবতা। কোচিং ছাড়াও কিছু ছাত্র-ছাত্রী সুযোগ পায় নিঃসন্দেহে। কিন্তু সংখ্যাটা খুবই কম। এবার দেখে নিই এই সমস্ত কোচিং সেন্টারে মেয়ের সংখ্যা কত। ২০১০ সালে তিনটি সবথেকে বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং ইনস্টিটিউটের ৬ টি শহরে করা সমীক্ষায় জানা যায় ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং গ্রহণকারীদের মধ্যে শহরভেদে মাত্র ১৭-২৪% মেয়ে। এর দুটো কারণ উঠে আসে। একদিক নিরন্তর পিতৃতান্ত্রিক সোশ্যাল কন্ডিশনিং এর ফলে আমরা এবং আমাদের আগের জেনারেশনও বিশ্বাস করে নেন ইঞ্জিনিয়ারিং (যাতে অঙ্ক থাকে) মেয়েদের জন্য না। যারফলে মেয়েরা নিজেরা এবং তাদের বাবা মাও ইঞ্জিনিয়ারিংএর জন্য তাদের প্রস্তুত করতে দ্বিধা বোধ করেন। বরং মেডিকাল প্রস্তুতিতে মেয়েদের অনুপাত, তুলনামূলক ভাবে ভদ্র, কারণ মেয়েরা বায়োলজি ভাল পারে (মুখস্থ বিদ্যা কিনা, তাই)। অন্যদিকে, কোচিং ইনস্টিটিউট গুলির ফিজ অনেকটাই বেশি হওয়ায় "মেয়ের শিক্ষায়" এত টাকা খরচ করতে অনেকেই রাজী হন না। “সামর্থ্য থাকলেও”।

    শেষ ধাপ হল, যে মেয়েরা জেইই ক্লিয়ার করলেন তাদের সাথে কী হচ্ছে। প্রথমত, জেনারেল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য আইআইটির সেমেস্টার পিছু ফিজ এখন এক লাখ, সাথে মেস-হোস্টেল-পকেটমানি ইত্যাদি নিয়ে খরচাটা প্রায় দেড়লাখ। তাহলে চারবছরে প্রায় ১২ লাখের উপর খরচা। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে মেয়ের শিক্ষায়, বিশেষত যদি সাথে আর একটি ছেলেও থাকে, এত টাকা খরচা করতে খুব কম অভিভাবকই রাজী হবেন। সামর্থ্য থাকলেও। দ্বিতীয়ত, আইআইটি গুলি সারা ভারত জুড়ে ছড়ানো। র‍্যাঙ্ক এবং পছন্দের স্ট্রীম অনুযায়ী আপনাকে হয়তো নিজের শহর থেকে অনেক দূরে যেতে হতে পারে। আর এখানেই ভারতীয় পিতৃতন্ত্র থাবা বের করবে। মেয়ে ঘর থেকে দূরে থাকবে, তাও আবার উচ্চশিক্ষার জন্য, এটা এখনো অনেক ভারতীয় পরিবার মেনে নিতে পারে না। কঠিন বাস্তব। আমার নিজের চোখে দেখা, আই আইটি মাদ্রাজে এমএস নিয়ে ভর্তি হওয়া একটি মেয়ে ক্রমাগত বাড়ির চাপে প্রথম সেমেস্টারের পর ছেড়ে দিল। সে এখন চেষ্টা করছে যদি বাড়ির কাছে আইআইটি খড়গপুরে ভর্তি হওয়া যায়। এরকম আরো ঝুড়ি ঝুড়ি উদাহরণ দেওয়া যায়। তাই এন্ট্রান্স ক্লিয়ার করেও মাত্র ৩০-৪০% ছাত্রীই শেষমেশ আইআইটি জয়েন করে। বলা ভাল "করতে দেওয়া হয়"!

    ***

    আইআইটি গুলি এই বিষম লিঙ্গ অনুপাত নিয়ে অনেকদিন ধরেই চিন্তিত। কোন পদক্ষেপ না নিলে যে এই সমস্যার নিজে থেকে সমাধান হবেনা তা ২০০২ থেকে ২০১৫ সালের ট্রেন্ড দেখলে সহজেই বোঝা যায়। তাই ২০১৮ সাল থেকে প্রধান আইআইটিগুলি প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ সাম্য আনতে ৭৭৯টি নতুন আসন আনছেন, যেগুলিতে শুধুমাত্র ছাত্রীরাই ভর্তি হতে পারবে। এটা সংরক্ষণ ঠিক নয়, কারণ এই আসন গুলি মূল আসনের অংশ না, নতুন করে আনা হচ্ছে এবং এই আসনে ভর্তির ক্ষেত্রে মার্কসের কাট অফ কমানো বা অন্য কোন আপোষ করা হবেনা। এর সাথে বিভিন্ন আইআইটি কাউন্সিল ছাত্রীদের জন্য ফি-কাঠামোর পরিবর্তন ও বিভিন্ন স্কলারশিপের কথা ভাবছেন। তাদের আশা এই সমস্ত উদ্যোগের মাধ্যমে কয়েক বছরেই তারা মোট আসনের ২০% ছাত্রীর প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাবেন।

    ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাম্পাসে লিঙ্গ অনুপাত সুষম করতে এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকারী হবে তা সময়ই বলবে। কিন্তু সবার আগে দরকার প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষায় মেয়েদের অধিকার সুনিশ্চিত করা এবং মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে প্রচলিত মিথ গুলি ভেঙে ফেলা। আর বিজ্ঞান ও অঙ্কের উপর স্কুলে স্কুলে বিভিন্ন নাহলে অসম এই লড়াইয়ে পেট্রিয়ার্কিরই জয় হবে বারবার।

    তথসূত্রঃ

    ১। https://www.outlookindia.com/website/story/more-than-half-of-engineering-degrees-at-mit-went-to-women-but-iits-share-is-pat/297956

    ২।

    http://www.thecitizen.in/index.php/en/newsdetail/index/1/10007/indias-top-notch-iits-suffer-from-acute-gender-disparity

    ৩।

    https://www.ndtv.com/india-news/iit-admission-puzzled-for-years-iits-finally-find-a-solution-to-a-basic-yet-fundamental-problem-1838497

    ৪।

    https://mbcet.wordpress.com/2017/08/26/49-5-per-cent-women-in-mechanical-engineering-at-mit-what-india-can-learn/‌

    ৫।

    https://www.savethechildren.in/resource-centre/articles/why-are-girls-in-india-still-missing-out-on-the-education-they-need
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ এপ্রিল ২০১৮ | ১৮০৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    গর্ব - Asish Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 52.107.79.242 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:২০62270
  • বেশ বেশ।

    তবে প্রাজ্ঞগণ এলেন বলে, মেয়েরা যে সত্যিই অঙ্কে কাঁচা এ ত সবাই জানে। চাট্টি লিঙ্কবিষ্টি হয়েই যাবে।

    তাতে না থেমে আরো লিখে যাবেন কিন্তু।
  • dc | 116.203.68.116 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:২৬62271
  • শুধু লিঙ্গ অসাম্য না, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয়ানক কাস্ট ডিসক্রিমিনেশানও আছে। এ নিয়ে স্ক্রোল এ বেশ কিছু আর্টিকেল পড়েছি।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ১০:৫৪62272
  • খুবই ভালো লাগল লেখাটি। শেয়ার করব।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৩১62273
  • কিছুদিন আগেই বোধহয় রাহুল গান্ধী একটা কথা বলেছিলো, এই মুহূর্তে শুধু সমান অধিকার দিলে হবে না, মেয়ে দের কে এক লেভেল এ নিয়ে আসতে হলে এখন আরো বেশি অধিকার দিতে হবে। সত্যি কথা।

    বাইরে র দেশে দেখি কর্পোরেট এ মেয়েদের কে নানা ভাবে উৎসাহ দেওয়া হয়। কোনো প্রজেক্ট যদি অল ওমেন টীম হ্যান্ডেল করে, সেগুলো ভালো করে মিডিয়া পাবলিসিটি করা হয়, কোনো ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ভিসিট হলে মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার দেরকে বেশি পাঠানো হয় তাদেরকে ম্যানেজ করার জন্য। প্রতি বছর ছেলে আর মেয়েদের অনুপাত দেখা হয় ইমপ্রোভ করেছে কিনা। এই এক্সপোজার গুলো জরুরি, যাতে বাকি ,মেয়েরা উৎসাহ পায়।

    খুব ভালো এবং দরকারি লেখা।
  • pi | 57.15.127.31 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০২:০২62274
  • যেখানে ২২০০ জন চান্স পেয়েও ৮০০ জন ভর্তি হচ্ছে, সেখানে ৮০০নতুন মেয়ে অনলি সিট এনে কী লাভ হবে? এই মেয়েরা কী কাতণে ভর্তি হচ্ছেনা, জানা আছে?

    আমাদের সময়ে প্রায় প্রতি বিভাগে মেয়ের অনুপাত খুব কম ছিল, কিন্তু প্রায় সব বিভাগেই টপার বা টপ থ্রি তে ছিল মেয়েরা। ইন্ক্লুডিঙ্গ টেন পয়েন্টার।
    ভেবেছিলাম সময়ের সাথে মেয়ে বেড়েছে, এই লেখা পড়ে তো মনে হচ্ছে যথাপূর্বং
    । নাকি আরো খারাপ? কারণ পরিসংখ্যান দেখছিলাম, চাকরি, মানে শিক্ষিত মেয়েদের চাকরি করার অনুপাতও কমছে!

    আর আশিস, শুধু এন্জ নয়, বায়োলজি বাদে বাকি সায়েন্সেও প্রায় এই দশা। মেয়ে মানে আর্টস পড়ার ট্র্যাডিশনও সমানে চলিতেছে।
  • pi | 57.15.127.31 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০২:০৪62275
  • এমনকি বায়ো বা মেডিক্যাল রিলেটেড বিভাগ নিয়েও বলে যাই একটা তথ্য। আনেকডোট ও বলা চলে। আমাদের ইন্স্টিতেই ১৭ জন সায়েন্টিস্টের মধ্যে তিনজন মহিলা।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:০৭62276
  • মেয়ে অনলি সিট এর কথা বলছি না, যারা আছে, তাদেরকে নানাভাবে উৎসাহ দেওয়ার কথা বলছি । এই ডিসক্রিমিনেশন তো তাড়াতাড়ি যাবে না, কিন্তু দুজনকে দেখে যদি আরো পাঁচ জন ভরসা পায়। এটা একটা কনস্ট্যান্ট প্রসেস।

    আশীষ MIT এর উদাহরণ দিলেন ঠিকই, কিন্তু যে কটা ইউরোপের দেশে আমি কাজ করেছি,, কোর ইঞ্জিনিয়ারিং এ ওয়ার্কিং লেভেল এ সেখানেও মেয়ে দের সংখ্যা বেশ কম। মেডিকেল বা বায়ো ফিল্ড বলতে পারবো না।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০৮:১১62277
  • ধুর, এই এক হয়েছে, অনেকটা লেখার পর হয় মোবাইল হ্যাং মারা কি ল্যাপি দুম করে বন্ধ হওয়া। সব জলে আর লিখ্তএও ইচ্ছে করেনা।

    বাকি যা লিখেছিলাম, পরে। আপাতত, আশিস, এটা দেখেছিস ? বেশ ঠিকঠাক বিশ্লেষণ মনে হয়েছিল।

    There’s no shortage of women science teachers in schools and colleges in India, found a 2015 report from the Association of Academies and Societies of Sciences in Asia. A gap emerges during the transition from acquiring degrees to pursuing a career in science.

    Unlike many western countries, in India, the issue is not about convincing girls that they can study science and engineering. It’s more about “how to attract women to a career in science and to retain the trained scientific woman power in science”, said Rohini Godbole, vice president of the National Academy of Sciences and the author of the report’s India annexe.

    Women are fairly well represented in engineering and medical college in India. Admission data for 2000-01 showed that women comprised 30% and 45% of students in engineering and medical colleges respectively, found the same report.

    But when it comes to the elite IITs, the numbers just dwindle to single digit percentages–8% in 2016, 9% in 2015 and 8.8% in 2014.

    Even when women get into the IITs, they are less likely to qualify for the top-ranked ones.

    For 2017, only 20.8% of students who qualified were women, indicate results for the Joint Entrance Examination (JEE)–Advanced, the test designed specifically for the IITs and recognised internationally as one of the toughest undergraduate admission tests. Moreover, 93.2% of the top 1,000 positions were taken by men.

    Yet, said Godbole, although the fraction of women students in the IITs is small, the gender gap amongst high achieving students is negligible.

    Why aren’t more girls getting into the IITs?

    “The fiercely competitive nature of the admission process requires one to spend money and time to prepare for the entrance examinations,” said Godbole. “I suspect that the parents, on average, tend not to spend this for daughters.”

    But getting parents to pay for their daughter’s coaching classes is only one problem.

    Coaching classes, without which it seems impossible to qualify, could be far from home and held late into the evening.

    In the absence of safe public transport in Delhi, Baani Leen Kaur Jolly, currently a second-year student at the Indian Institutes of Information Technology, Delhi, recalled how her father would leave work early just to drop her off to coaching classes and then return to pick her up–6 km each way.

    Even now, late night hackathons in college are only possible because her father offers to pick her up. “I’m lucky,” she grinned.

    But, “to produce more women leaders and role models, you need to have more women enrolled in top institutes of science and technology”, said Ashutosh Sharma, an IIT (Kanpur) professor who is currently secretary, Department of Science and Technology. One way to do this is by creating a level playing field.

    It’s an urgent problem and one that is sought to be tackled through various schemes, including one to increase the number of seats and earmark these for qualifying women. Some IITs are also reportedly considering a fee waiver to deserving candidates.

    Starting from 2018, the government will identify 50,000 girls from different school boards in the country. These girls will receive a fellowship to complete their 11th and 12th grades in school and will also be invited to attend science camps and special classes on various IIT, IISER (Indian Institute of Science Education and Research) and university campuses.

    “The idea of science camps is not only to tutor top performers amongst girls for competitive exams, but equally important, to expose them to various role models that address a range of cultural and scientific issues to enable them to take up an education and career in science, especially in areas that witness a huge under-representation of women,” said Sharma.

    “When you look at the JEE results, you will find a whole lot of girls at the threshold,” she said. “All they need is a last-mile push.”...

    https://www.hindustantimes.com/india-news/why-india-s-most-educated-women-are-leaving-jobs-faster-than-others/story-9VqXXn511Xm3PyQZfIOzPN.html
  • AD | 69.97.136.62 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:০৮62278
  • একটা ব্যাপার পরিষ্কার, পয়্সার জোর না থাকলে, ভালো জায়্গা থেকে উচ্চশিক্ষা সম্ভব নয়।
  • S | 194.167.2.96 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৮62279
  • মেয়েরা অন্কে মোটেও কাঁচা হয়্না। এইসব গল্প যে লোকে কোথা থেকে পায়?

    কিন্তু এই বিয়ে করে সংসার করো এইসব ঢপের সামাজিক নিয়ম যতদিন না যাবে, ততদিন কোথাউই এই বৈষম্য কমবেনা। পস্চীমেও এই সমস্যা আছে।
  • Kaktarua | 183.33.188.45 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০৬:০৬62280
  • পশ্চিমে একই সমস্যা। মেয়েরা মোটেই নেই engineering ফিল্ড এ। যদি বা এন্ট্রি লেভেল এ কিছু মেয়ে পাওয়া যায়, মিড্ management এ পৌঁছতে পৌঁছতে সব সাফ হয়ে যায়। মেয়েরা নিজেরা দায়ী, কিন্তু ওয়ার্কপ্লেস discrimination মেয়েদের এগোবার option গুলোই বন্ধ করে দেয প্রাইভেট সেক্টর এ। পাবলিক এ একটু বেটার বলে যে কজন বাঁচা কুচা থাকে সব পাবলিক sector এ সরে যাওয়ার চেষ্টায় থাকে।
  • Ekak | 11.39.173.170 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০৯:৪৪62281
  • মেয়েরা ক্রমশ কন্সাল্টেন্সি ফিল্ডেই যাবেন বোধ হচ্চে। ডাক্তারি ওকালতি থেকে শুরু করে ফাইন্যান্শিঅল বা আরো যতরকোম প্রাইভেট কন্সাল্ট্যান্ট কারন এগুলোতে সর্বোদা ৩৬০ ডিগ্রি বস থুরি ছেলেদের উতপাত কম।

    শুধু নানারকম নিয়োম তৈরী করে আপিসের পরিবেশ কদ্দুর উন্নতো হবে জানি নে।

    খ্যাল করে দেকবেন, যে পুরুষ সিঙ্গহো আপিসে মেয়ে বস কে ওবধি খ্যান্কায় সে আদ্ধেক বয়েসি মেয়ে ডাক্তারের সামনে চুপ,,, বা মহিলা চাটার্ড কেও সমঝে চলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন