এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মেনু

    Soumyadeep Bandyopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ জুলাই ২০১৬ | ১৮৩৭ বার পঠিত
  • মেনু

    কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি আর প্রায় থামছেই না | কখনো সপসপে নায়িকা ভেজানো স্টাইল ,কখনো আবার ধজভঙ্গ বুড়োর হিসুর মত...টিপ টিপ টিপ টিপ | যে গলিটা বড়রাস্তা কে জুড়েছে , সেটা এই বস্তিকে ভুলে গেছে কবেই | সামনের পুরনো বাড়ীগুলোর কালচে লাল পাঁজর ফুঁড়ে আগে দিনের ঘন্টা দুএক রোদ পৌঁছাত | আস্তে আস্তে বাড়ীগুলো মরে ক্রমে ফ্ল্যাট হয়ে যাওয়ায় সে আলো কবেই বন্ধ | এখন এই বর্ষা কালে , কালো কালো তার জালি ঘেরা জানলায় শ্লেষ্মার মতো ধূসর পর্দা জড়িয়ে আছে | কোণের যে ফাটা জায়গাতে ছেলে ছোকরারা মুততো , সেই জায়গাটায় বৃষ্টির জল আসে না শুধু এমোনিয়ার গন্ধে ভারী হয়ে রয়েছে | পাশে অযত্নে ঝাঁকরা বুনো টগর গাছের ফুলগুলোই যা ভরসা | এখানেই সাতটা পরিবারের গোটা চল্লিশ লোক গুঁজে গুঁজে থাকে | তিনজন ভাড়ার অটো চালায় , সেই অটো গুলো পর পর ভিজছে ,জলের কল ঘিরে মেয়ে বউদের টক মিষ্টি কথা জমে উঠছে | এক কালে নাকি লাটু বাবুদের খাস জমি ছিল এটা | একটা ক্ষয়াটে বুড়ো আসত ভাড়া নিতে , শেষ পর্যন্ত ১০০ টাকা প্রতি ঘর অবধি ভাড়া উঠেছিল | আজ প্রায় ৭-৮ বছর , বুড়োটা মরেছে বোধয় আর কেউ ভাড়া নিতে আসেনা | এরাই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ঝাঁটি করে , মারা গেলে কাঁধ দেয় , নিউ ফ্রেন্ডসক্লাবে রাতে ক্যারাম খেলে ,ঋতু মেনে পুজো করে ভোটেতে ডিউটি দেয়, সামনের একচিলতে বারোয়ারী উঠোনে দৈনন্দিন দোল খায় সাংসারিক অন্তর্বাস | এমন সময় পিন্টু রা উঠে গেল ওদের ঘরটা ছেড়ে | তিন মাস আগেই বিয়ে করেছিল | প্রেমের বিয়ে তাও আবার বনেদী বাড়ী | শ্বাশুড়ীর সাথে ঠিক ঠাক ঠোকা ঠুকি শুরুর আগেই , দু দিনের জ্বরে বুড়ী হাওয়া | আরেক ছেলে মিলিটারিতে চাকরি করে, জবলপুরে | তাই বেশ হাত পা ছড়িয়ে থাকার জায়গা হতো দুজনের কিন্তু ওই , বারোয়ারী পায়খানা যেতে খুব আপত্তি বউ এর | বসাক গিন্নি শুনে মুখ ভেটকে বলেছিল , যত্ত ঢং | অবশেষে এটাচড বাথের সন্ধানে উত্তর ছেড়ে দক্ষিনের শহরতলী পাড়ি দিল ওরা | এখানে ঘর খালি করে কেউই যায় না , পিন্টুরাও বসিয়ে দিয়ে গেল এক খড়বরে বুড়োকে | তার সাথে একটা মাত্র কালো বা এককালের খয়েরী একটা ছেঁড়া খোঁড়া ব্যাগ | পিন্টুর কোন এক সম্পর্কিত পিসেমশাই না কে যেন হয় | বসাক গিন্নি আবারও নাক কুঁচকালো | কোথা থেকে কোন ভিখারী কে বসিয়ে দিয়ে গেল, চুরি চামারী করে সব শেষ করে দেবে | বাকিরাও যে বিশেষ খুশী হলো তা নয় | কয়েকদিন বাদেই বোঝা গেল যে , এসব চিন্তা অমূলক | বুড়ো যাকে বলে একদম ই সাত চড়ে রা না কাটা পাবলিক | একমাত্র পায়খানার লাইনে ছাড়া আর মাঝে মাঝে টাইম কলে জল নিতে না দেখা গেলে ও যে আছে সেটা বোঝাই যেত না |

    এসব জায়গায় যা হয়, মানুষ নিজের রোজকার দুবেলা ভাত আর রোববারে চিকেনের বন্দোবস্ত করতে এত ব্যস্ত থাকে এসব নতুন লোকের আনাগোনা মজে যাওয়া নর্দমায় হটাত বুজ্কুরি ওঠার মতই ক্ষণস্থায়ী | তাই দুদিন বাদে নতুন বুড়ো কে লোকে ভুলেই গেল |

    কয়েকদিন একটু ধরে যাবার পর আবার প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ হলো | সব বাড়ীতেই থৈ থৈ করছে কালো জল | ইঁট জড়ো করে উঁচু করে রাখা খাটের পায়া ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে মরা আরশোলা , কাঠের টুকরো , হাবিজাবি কাগজ | পিন্টুদের পাশের ঘর যাদব দের, কাজে বেরোতে পারেনি আজও | একটাই ১২*১২ ঘর দুভাগ করে, একদিকে ও , বউ আর দুই মেয়ে থাকে | পাশের ঘরে বুড়ো বাপ মা | এখানে সব ঘরই পাশাপাশি হওয়ায় সবার ঘরের আওয়াজ সবার ঘরে চেনা | নতুন বিয়ের পর খাটের আওয়াজ ,টিভির আওয়াজ ছাপিয়ে ওঠা শীত্কার , মাঝে মাঝে বউ বাচ্চা বেয়াদপী করলে দু একটা চড় চাপড় ..সবই এজমালী এখানে |
    টিভিতে অনেকদিন বাদে দূরদর্শন ,কারণ কেবল বন্ধ | খবর পড়ছেন প্রসান্ত রায় | রাজ্য জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি , বিপদসীমা পেরোব কি পেরোব না ভাব বেশির ভাগ নদীর | দূরপাল্লার ট্রাক ঢুকতে পারছে না শহরে, বাজারে দাম আগুন | কোমর জল পেরিয়ে ভাঙ্গা বাজারে গিয়েও দু এক গাছি শাক ছাড়া কিছু আনতে পারেনি | দুদিন ধরে এখন শুধু ডিমের ঝোল চলছে বাড়ীতে | সেই খেয়ে অলস ভাবে পাছা চুলকাতে চুলকাতে একটা বিড়ি ধরাচ্ছিল যাদব, বউ বাইরের উঠোনে বসে ও বাড়ীর সুমি র মায়ের সাথে আসন্ন মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা নিয়ে বিশেষ আলোচনায় ব্যস্ত | এমন সময় পাশের ঘর থেকে একটা ঘরঘরে আওয়াজ পেল যাদব | একঘেয়েমী কিছুটা কাটানোর জন্য দেওয়ালে কান রাখলো যাদব | শুনলো , বুড়ো ফ্যাসফ্যাস করে বলছে..আহ পোলাও তা বানিয়েছে তো জব্বর | কিন্তু এত কিসমিস বাদাম দিলে, এতেই তো মুখ মেরে যাবে | পাঁঠার মাংসে এত চর্বি ...কি বুদ্ধি | এরপর জলের গ্লাসের ঠনঠন আওয়াজ , একটা বেশ জোরালো ঢেকুরের আওয়াজ পেলো বোধয় | অস্ফুটে একটা খিস্তি করলো যাদব, শালা আমরা এখানে শুকনো ভাত পাব কিনা জানিনা , এ শালা একা একা পোলাও প্যাঁদাচ্ছে | একটা উদাসী বিড়ি ধরালো এই ভেবে |

    রাতে বৃষ্টি আরো বাড়লো | একতলায় আর রান্না করার উপায় নেই , তাই এখানে সবাই এখন রান্না করছে পাশের একটা আধখান তৈরী হয়ে বাকিটা পার্মিশন না পাওয়া একট বাড়ীর সিঁড়ির ধাপে | ভাত ডাল সবজি শেষ করে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল পরের আইটেমের জন্য, বউ বলল ডিম নেই আর | একটা ছিল, দুই মেয়ে কে ভাগাভাগি করে দিয়ে দিয়েছে, ওরা শুধু ডাল সবজি দিয়ে কিছুতেই ভাত খেতে চাইছেনা | মা বাবা এমনিতেও রাতে বিশেষ কিছু খায়না | কিন্তু, কাল থেকে বাজারে কিছু না পেলে , হরিমটর কপালে | সকালে ঘুম ভাঙ্গলো গয়েশ জ্যাঠার চেল্লামিল্লি তে | আকাশ কালো হয়ে ঝুঁকে আছে একটা নোংরা তেরপলের মত – পরের বৃষ্টির প্রস্তুতি | গয়েশ জ্যাঠা আগে রাজনীতি করত , দল পাকানো পুরনো অভ্যেস | যা বলল, তার সারমর্ম হলো, সবাই মিলে ঠিক হয়েছে, সবার ঘরের খাবার দাবার মিলিয়ে , গণ খিচুড়ী উত্সব চলবে যদ্দিন না বাজারে যাওয়া যাচ্ছে | খরচও কম পড়বে , মজাও হবে | প্ল্যান টা বেশ জোরালো, মানতেই হবে | বাড়ীতে জানাতে বউ আর মেয়েদের তো খুব ফুর্তি , একটা বনভোজন এর মতো ব্যাপার | মা তো চিরকাল হিসেবী ,বললো যে সব চাল ডাল একসাথে বের করে দিস না ,আগে দেখ বাকিরা কি দিচ্ছে | যাই হোক, সবাই মিলে জুলে ভালই খাওয়া দাওয়া হলো , রান্নায় সবাই হাত লাগালো , পরিবেশনেও | অসম্পূর্ণ বাড়ীটার ছাদে , একটা তেরপল খাটিয়ে দিলো পাড়ার ভিয়েন ক্যাটারারের ম্যানেজার শম্ভু | চাতালে জল জমে থাকলেও, সেখানেই বেশ উতরে গেল ব্যাপারটা | যাদবের পরে খেয়াল হলো, আরে বুড়ো তো আসেনি | তারপর ভাবলো, যা পোলাও মাংস মারাচ্ছে, ওর বয়ে গেছে এই খিচুড়ী খেতে আসতে | বিকেলে বউ বলল , দুপুরে শুনি ঘর থেকে , ও বলছিল, বাটার ফ্রাই টা নাকি নেতিয়ে গেছে , কফির সাথে যাচ্ছে না | ওটা কি গো ? ওতে কি মাখন থাকে? ভাবছি মেয়ে দুটোকে সন্ধ্যেতে একবার ওই পাশের ঘরে পাঠিয়ে দেব | তখন ও জলখাবার খায়, বাচ্চা দুটো অন্তত কিছু খেতে পাবে , শুধু খিচুড়ি খাইয়ে আর রাখা যায় বলো? বুড়োটা না ওদের খুব ভালো বসে, সেদিন হাতছানি দিয়ে ডাকছিল | আমি ভয়ে যেতে দি নি | কিন্তু, ও না রোজ ভালো মন্দ কত কিছু খায়, ওই ব্যাগ ভরে বোধয় টাকা আছে আমি সিনেমাতে দেখেছি এরম হয় | যাদব খিঁচিয়ে উঠল , উফ যাও তো এখান থেকে | যত ভিখিরির দশা –কে কি খেল না খেল সবেতে নজর দেওয়া চাই | চা নিয়ে এস ঝট করে এক কাপ | কপট রাগে পেছন নাড়িয়ে বেরিয়ে গেল রুপোলি |

    সন্ধ্যে থেকে বৃষ্টি ধরে এলো , রাতে থেমে এলো প্রায় | পাড়ার লক গেট খুলে দিয়েছে ,জল ও নামা শুরু হয়েছে | ভাত ভাজা খেয়ে রাতে শুতে গেল যাদব | বৌকে সাবধানে সাপটাচ্ছিলো নীচে, যাতে ওপরে খাতে শুয়ে থাকা পুঁচকি দুটোর ঘুম না ভেঙ্গে যায় | এমন সময় কানে এলো , পাশের দেয়ালের ওপারে বুড়ো বলছে ওরে মাছের কালিয়া কি এত ভাজলে হয়, শক্ত চামড়া হয়ে গেছে তো | লোকে খাবে কি করে? এসব কি আর আজকালকার ক্যাটারার রা পারে..কালিয়া বানাত সতু ঘোষ ...সে যেন মুখের মধ্যে একসাথে মসলার তুবড়ি ...আরো কত হাবি জাবি কথা, সব না বোঝা গেলেও মাঝে মাঝে ওর তৃপ্ত ঢেকুর শোনা যাচ্ছিল খুব স্পষ্ট, আর সাথে একটা খসখসে আওয়াজ | আওয়াজ শুনে সদ্য জাগা যাদব শিথিল হয়ে হতাশ বৌএর থেকে আলাদা হয়ে যায় | সিলিং এর দিকে চোখ রেখে অক্ষম খিস্তি মারে , ঢ্যামনা বুড়ো নিজে খেলে হয় না না, আবার শোনাতে হবে কি খাওয়া হচ্ছে | এবার পুজোর চাঁদা তোমার থেকে ৫০০ টাকার এক পয়সা কম নেব না | কাল থেকে অফিস যেতেই হবে , লাস্ট তিন দিন যাওয়া হয়নি | বাবার পাইলসের একটা ওষুধ আনতে হবে , ছোট মেয়ে একটা চুলের ক্লিপ চেয়েছে | আগের টা নাকি দিদি ভেঙ্গে দিয়েছে..এসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই কখন ঘুমিয়ে পড়েছে খেয়াল নেই |

    ঘুম ভাঙ্গলো আবার দরজার বাইরে ধাক্কাধাক্কি তে , এবারে সন্তু | চারদিকে রোদ চকচক করছে , গাছের পাতা গুলো যেন নতুনের মত ঝলমলে | নর্দমা গুলো শুধু প্লাস্টিক প্যাকেট জমে জ্যাম হয়ে রয়েছে..পাঁকের গন্ধ উঠে আসছে সেখান দিয়ে |

    জল নেবে যাবার আনন্দে সন্তু রা ক্রিকেট খেলছিল রাস্তায় | ছক্কায় বল এসে পড়েছে ওর ঘরের পিছনে, বুড়োর ঘরটার ঠিক পাশে | পিছনের দরজার ছিটকিনি খুলে বলটা নিতে যাবে , এমন সময় চোখ পড়ল বুড়োর জানলার ভিতর | পিন্টুদের রেখে যাওয়া খাটটাতে কিরম অস্বাভাবিক ভাবে হাঁটু মুড়ে শুয়ে আছে বুড়ো | কেমন একটা সন্দেহ হলো যাদবের | চারদিকে আলো আঁধারী তে বিশেষ দেখা যাচ্ছেনা , শুধু মনে হচ্ছে অনেক কাগজ ছড়িয়ে আছে আশেপাশে | আপ্রাণ কড়া নেড়েও যখন দরজা খুললনা বুড়ো , দু তিনজনকে নিয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা মেরে ভেঙ্গে ঘরে ঢুকলো যাদব |

    একটা ভ্যাপসা গন্ধ ঘরে, লাইট জ্বালিয়ে ফ্যান টা চালাল যাদব | ওর ওই নোংরা ব্যাগ টার চেন খোলা | সেখান থেকে বাইরে অনেক কাগজ এদিক ওদিক উড়ে গেল | বুড়োর মুখে সেইরকম একটা কাগজ আধা আধি ঢোকানো , কাগজটার ফর্মা খুব চেনা | মেনুকার্ড | আয়েশে চোখ বন্ধ করে যেন ঘুমোচ্ছে ও | দাঁত, আর কাগজের সংযোগস্থল থেকে শুকনো লালার দাগ নেমে গেছে গলা অবধি | আরও তিন চারটে মেনু কার্ড এদিক ওদিক ছিঁড়ে খুঁড়ে ছড়ানো | কিছু না খাওয়া বাটার ফ্রাই, কালিয়া আর পোলাও ওর মধ্যে খুঁজলে যে পাওয়া যাবে, এ ব্যাপারে যাদবের আর কোনো সন্দেহ ছিল না |
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ জুলাই ২০১৬ | ১৮৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kihobejene | 22.208.161.99 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৬ ০৬:৪১58306
  • bhalo laglo; shesher twist ta interesting - apni guruchandali -r bonoful howar dike egochchen :-)
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:১৮58307
  • ভয়ঙ্কর।
  • সৌম্যদীপ | 228.248.72.34 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৬ ০১:৪১58312
  • এই লেখাটি রসে বশে ওয়েব ম্যাগ এবছরের নববর্ষ সংখ্যায় প্রকাশিত।
  • কল্লোল | 111.63.72.62 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৬ ০২:৩১58308
  • গল্পর ভাবনাটা সাংঘাতিক। উপমার ক্ষেত্রে একটা নিরীক্ষার চেষ্টা, সব জায়গায় যে লাগসই হয়েছে, তা নয়। তবে গল্পের মুডটা রাখতে হয়তো কিছুটা সাহায্য করেছে। কিন্তু আর একটু সতর্ক হওয়া যেতো হয়তো।
    প্রথমবার পোলাও খাওয়াটা আর একটু খেলিয়ে আসলে ভালো লাগতো। কেমন যেন মনেই হলো উনি স্বপ্ন দেখছেন। যেটা ক্লাইমেক্সের পক্ষে ক্ষতিকর। ওনার ব্যাগটা নিয়ে খেলা যেতো। টাকা-পয়সা আছে কি? নাকি অন্য কিছু, বা মাঝে মাঝে ওনার ঘর থেকে আমিনিয়া টাইপের রেস্টুরেন্টের খাবার প্যাকেটের ধ্বংসাবশেষ উড়ে আসতো, কিংবা, হাত মোছা টিস্যু, যাতে বিরীয়ানির গন্ধ লেগে। তাহলে জমে যেতো।
    তবে অনেককাল পর জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর ঘরানার গল্প পড়লাম।
  • সুরমান আলি মল্লিক | 11.39.39.16 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৬ ০৭:১৩58309
  • এতো সহজ ভাষায় কুড়ানো কথায় সাজানো গল্প খানি কি বলব।মজা পেলাম। ধন্যবাদ
  • b | 113.220.208.170 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৬ ০৮:২২58310
  • দারুণ গল্প।
  • সৌম্যদীপ | 193.83.234.213 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৩৪58311
  • বনফুল! কি বলছেন দাদা । উৎসাহের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। কল্লোল বাবু, নকশাল আন্দোলন ও কারাবাস নিয়ে বইটা কী আপনার লেখা? বইটি আমার ও বাবার খুব পছন্দের। আপনার পয়েন্ট গুলো ভাববো। আর জ্যোতি রিনদ্র নন্দী পড়া হয়নি, অনেক কিছুর মতো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন