এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • লাল

    Soumyadeep Bandyopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৬ | ১৮৫৬ বার পঠিত
  • লাল
    ১)
    শীতের ব্লেডে ফালাফালা হচ্ছিল শহর ় মাঝে মাঝে এক একটা অপসৃয়মান গাড়ীর হেডলাইট চুমু খেয়ে যাচ্ছিল হিম ল্যাম্পপোস্ট গোড়া ়তখন শুখা করোটির মত মেঘেরা চষে খাচ্ছিল এদিক ওদিক ় ফাঁকা রাস্তায় ঝুল খাচ্ছিল একলা আলোর সারি ় ভয়ে পালাতে গিয়ে অসভ্য তারের নাবালক আঙ্গুলের ফাঁকে আটকে যাচ্ছিল চাঁদের পোশাক ় এমন সময় সবাই ওম জড়িয়ে ঘুম যায় ় দু একজন ছাড়া ়
    এমন অপ্রত্যাশিত সময়ে কিছুটা ঠান্ডা হত্যাকান্ড ঘটছিল বড় রাস্তার ঠিক পাশের সমান্তরাল জমিটাতে ় ডি কে অন্ধকার থেকে আরো অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল দুজন ়

    তার কিছুটা আগেই বাড়ী ফিরেছে বো ় নতুন একটা জুতোর কারখানায় চাকরি পেয়েছে সে প্রায় এক বছর হলো ় বাড়ীতে মাস চারেক লাভ ম্যারেজ করে আনা বউ ় সেই জন্যেই বাংলার ঠেক থেকে ঝট পট বেরিয়ে এসেছে সে ় বিয়ের আগে দু একবার বিছানা পাল্টালেও , বউ এর প্রতি এখন সে খুব বিশ্বস্ত ় বন্ধুরা বলে ম্যাক্সিবাঁধা ় এই চারমাসেই কেস হয়েছে অনেক ় যে বউ বিয়ের আগে দু পেগ নিতে না নিতে সোহাগ মাতালী হয়ে উঠতো , সে কিনা আজ বাড়ীতে মদ খাওয়া নিয়ে বিশাল বাওয়াল দেয় ় মদ খাওয়া নিয়ে এর মধ্যেই দু বার বউ তাকে চুমু খেতে দেয়নি ় ইমোশনালি সেই দুঃখের কথা বলে ফেলায় আজ সেই নিয়ে ঠেকে আজ তাকে চাকনা বানিয়ে ছেড়েছে বাচ্চু , তপুরা ় জবাব শালা ওদের দেবেই ও যদি এক বাপের ব্যাটা হয় ় বেশ মুডের ওপর অল্প টলমলে চৌকাঠ ডিঙিয়ে বাড়ী ঢোকে সে ় এখনো তার গা যেন চটচট করছে ় তার ঠাকুরদার করে যাওয়া বাড়ীতে এখন দুটো ঘর বাসযোগ্য ় কিছুদিন আগেও দুটো ঘরে আসবাব ছিল না, যা ছিল বেচে দেশী খেয়ে লিভার পচিয়ে এখন নাইলনের খাটে শেষ বমির অপেক্ষা করছে পঞ্চান্ন বছরেই সত্তর হয়ে যাওয়া বাবা ়সাথে অল্প মাথা হেজে যাওয়া মা ় এবারে ঘরে একটা নতুন আলো বসাতে হবে।।।এখন একটা পুরনো হলুদ প্রত্নতাত্ত্বিক বাল্ব ছায়াবাজি খেলছে কালচে ফাটল ধরা মেঝের সাথে, ধূসর দেয়ালে একটা বুড়ো টিকটিকি আর পিপড়েদের অবাধ সহাবস্থান ় পাশের ঘরে বিয়েয় পাওয়া টি ভিতে বুঁদ নতুন ধারাবাহিক সংসার ়

    ২)
    অনেক ঘটনারই আপাতদৃষ্টিতে কোনো মানে হয় না ় যেমন হঠাত অকারণে রোগা ভিতু পথচারীর কানের কাছে নিঃশব্দে গাড়ী এনে আচমকা জোরে হর্ন , চৌমাথায় দাঁড়িয়ে ঝকঝকে যুবকের একমনে একটা এক্সিডেন্ট এর অপেক্ষা করা ় খুঁজে দেখলে দেখা যাবে ঠিক এই সময়েই রাতের বেলা ঠোঁটে কোনো চিন্হ না রেখে খাঁচায় ঢুকে যাওয়া গৃহপালিত পাখী ঠুকরে খাচ্ছে লরীর চাকায় ঘষটে যাওয়া মোটরবাইক আরোহীর ঘিলু, ঘর্ঘর শব্দ করা ট্রলিতে একটা ল্যাংটো বডি ডিসেকশন রুমের চার ফুট উঁচুতে ঘুরতে ঘুরতে টহল দিচ্ছে ় দুটো কচি পাঁঠা কেটে রেখেছে হারুন , আধ ফাঁক গলা বেয়ে লাল লাল সাপ গড়িয়ে যাচ্ছে অনন্ত কুয়োর দিকে ় কোনো অদৃশ্য প্রজেক্টরে এই ঘটনা গুলো পরপর গড়িয়ে চলেছিল এর মস্তিষ্কে ় সামনে টেবিলে রাখা দোধার ফলাটায় ছায়া ফেলে যাচ্ছিল মাথার ওপর এই শীতেও ঘুরতে থাকা ফ্যানের ব্লেড ় এ সি কোনো দিনই সহ্য হয় না তার ় তার খুব পছন্দের অস্ত্র এটা ় নিজে খুব বড়সড় না হলেও এটা সাথে থাকলে তার নিজেকে আরো এক ফুট লম্বা মনে হয় ় তার একশন স্পেশাল পাঞ্জাবির ভেতরে একটা চামড়ার লম্বা পকেট আছে , তার ভেতরে ঘুম যায় এফ এস নাইফ ় এটা সাথে থাকলে ও সামনের চার পাঁচ ফুটের মধ্যে কাউকেই রেয়াত করে না ় প্রথম বার এটার ধার পরীক্ষা করেছিল বারের মাসলম্যানের ওপর ় ফালতু মেয়েটার সামনে ঘাড় ধাক্কা দিয়েছিল ওকে ় কিছু না বলে চুপচাপ সরে এসেছিল তখন ় তার পর ভোর রাতে ডিউটি শেষের টাইমে নিশ্চিন্তে অপেক্ষা করছিল , যেখানে মাসলম্যান বাইক পার্ক করে রাখে ় নিঃশব্দে পাশ থেকে আড়াআড়ি ফলা টা চালিয়ে দিয়েছিল গলা আর হনুর মাঝামাঝি একান থেকে ও কান বরাবর ় পুলিশ দু তিন মাস খোঁজা খুঁজি করেও কাউকে ধরতে পারেনি ় তারপর থেকেই এই বিশ্বস্ত সঙ্গীকে কাছ ছাড়া করে না ও ় সর্বশেষ শিকার এল, চেয়ার থেকে ওঠার সময় অবধি পায়নি ় ওপর থেকে বিদ্যুত গতিতে নেমে আসা আমেরিকান কমান্ডো নাইফ তার ঘাড় আর কাঁধের মাঝামাঝি ঢুকে গিয়ে তার সাবক্লেভিয়ান ধমনী ছিঁড়ে দেয় ় ওখানেই এঁকিয়ে বেঁকিয়ে হেঁচকা মেরে নাইফ টা তুলতে গিয়ে চোখ পড়ে যায় দরজার কাছে লোকটার চোখে, লোকটা ওকে দেখেছে বিস্ফারিত হয়ে ় ভুল , ভুল ় অপারেশনের সময় দরজা খোলা রাখা টা, ওভার কনফিডেন্স ় নিজেকে একবার সজোরে লাথালো সে ় কিন্তু, বাইরে থেকে দেখে কেউই দেখলে বুঝবে না তার ভিতরে কি ঘটছে ় এর খয়েরি চোখের গর্ভে একটা অবাক কালো ঢেউ উঠে মিলিয়ে যায় মাত্র ় সে খোঁজ নিয়েই এসেছিল, এসময় এলের কাছে কেউ আসে না , গেটে আসতে আসতেই হাওয়া হয়ে গেছিল লোকটা ় ভাগ্যের ফেরে আজ একা এসেছিল বলে লোকটার আয়ু বেড়ে গেছিল কিন্তু ফটোগ্রাফিক মেমরিতে চিরতরে ধরা পড়ে গেছিল লোকটার মুখ ় তারপর নিজের সিলিকন মাস্ক টা খুলে নিয়েছিল , ভ্যাপসা গরমে মাস্ক টা ঘেমে উঠেছিল ়

    ৩)
    এখন বয়স বেড়েছে একটু, শত্রুও ় তাই এখন বেশির ভাগ সময়ে ওরা দুজনেই বেরোয়, ফাঁদ হলে একজন আরেকজনের পিঠ বাঁচায় ় পেছনের জন শিকার কে ল্যাং মেরে ফেলে দেয়, আর তখন রুটি তে মাখন লাগানোর মত করে যুগুলার টা কেটে দেয় ় ছেঁড়া নলি থেকে একটা গার্গল এর মত আওয়াজ বেরোতে থাকে ় মাংসপেশী শিথিল হয়ে বর্জ্য বেরিয়ে আসে ়ফিনকি দেওয়া রক্ত অনেকসময় চোখে মুখে ঢুকে কেলেঙ্কারী ঘটায় , তাই পজিশন ঠিক রাখতে হয় ় অক্সিজেন না পেয়ে হাঁপাতে থাকে প্রায় কবন্ধ শরীর ় আস্তে আস্তে ঘোলাটে হয়ে আসে চোখ, শব্দ আলো ঝাপসা হয়ে আসে ় যন্ত্রণা বোধও থাকে না।।শুধু থাকে একটা অব্যক্ত শূন্যবোধ় এভাবেই একটা জলজ্যান্ত মানুষের স্তরে স্তরে বডি হয়ে যাওয়া টা ধীরে ধীরে দেখে ় ফলাটা বডির জামায় মুছে , চুপ চাপ চলে আসে এরিয়া ছেড়ে ় এরপর বাইকে স্টার্ট দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনার সাথে সম্পর্ক হীন রাজপথ তার আদিগন্ত বিস্তারে গিলে নেয় ওদের ়

    এবারের প্ল্যান টাও সেরমই ছকে রেখেছে সে ় লোকটাকে মহা ন্যালা খ্যাপা টাইপের দেখতে , শুধু একটু ফুটোর দোষ ় এরম লোক ও তার জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে কখনো কখনো , তখন তাদের লাশ রেখে আসতে হয় ট্রেনের ভিতরে ঘুপচি বস্তার মধ্যে , ঝোপের আড়ালে ় মুন্ডু টা বেশির ভাগ সময়েই পাওয়া যায়না ় তবে একে বেশি কষ্ট দেবে না , কুরে কুরে মারতে হলে সেরা জায়গা তলপেটে ছুরি চালানো ় নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে , অনেক সময় শকেই মারা যায় শিকার ় আবার প্রচুর রক্ত বেরিয়েও সময়ে হাসপাতাল নিয়ে যেতে পারলে বেঁচেও যায় অনেকে ় তাই, আজকাল রিস্ক না নিয়ে, গলা টেনে দেয় ় পকেটে ক্লায়েন্ট এর গিফট একটা গ্লক ১৭ থাকলেও ওটা ও ব্যবহার করে না এক দম ই ় দূর থেকে মানুষ মেরে কোনো মজা পায়না ,বেশ কিছুটা দার্শনিক ভাবে অনেকবার ভেবেছে সে , ওই যে জীবন আর মৃত্যুর মাঝের পথে শিকার যখন রাস্তা হারিয়ে ফেলে , সেই বাঁকটা ফ্রন্ট সিটে বসে অনুভব করাই তো মজা, এই সব সময়ে তার নিজেকে ভগবানের মতই শক্তিশালী মনে হয় ়

    ঝাপসা একটা গাছের নিচে বাইক ঠেকিয়ে অপেক্ষা করছিল ওরা দুজন ় জায়গাটা ওদের নিজেদের ঘামের গন্ধের মত, রন্ধ্রে রন্ধ্রে চেনা ় সামনেই ফাঁকা মাঠ যেগুলোকে আজকাল প্লট বলে , মানুষ জন নেই আসে পাশে ় ় ডি আজ স্কুটারে একটু টাল খাচ্ছিল , নেশাটা আজ বেশি লাগছে কেন , কাল থেকে কিছুতেই ঘুমাতে পারছে না বলেই কি? হাওয়ায় উড়ছে একটা সবুজ লুঙ্গী না কি পাতা ঝরে পড়ছে ? ওই লুঙ্গী টাই পরেছিল লোকটা ় দুটো মোরগ শূন্যে উড়ে উড়ে ঝাপটা মারছে একে অন্যকে ় তাদের নখে লাগানো ব্লেডের টুকরোয় ফালাফালা হয়ে যাচ্ছে মাংস , পালক ় জমাট ভিড় হই হই করে উঠছে একেকটা ঝাপটায় ় কি বলছিল যেন তার সবজান্তা ভায়রা , যে রোমে না কোথায় যেন পুরোনো যুগে মানুষ মানুষের খুনোখুনি দেখতে লাইন জমাত অন্যরা , স্পেনে নাকি ষাঁড় আর মানুষের লড়াই দেখতে আজও ভিড় করে ঐতিহ্য ় কখনো কখনো ষাঁড় একে গেঁথে ফেলে , কখনো এ ওর কুঁজ ঘেঁষে ফুঁড়ে দেয় বিজয় শলাকা ় উফফ ওই লোকটারই ঘাড়টা ফাঁক হয়ে যেতে দেখেছিল চোখের সামনে ।।।।তবে পেছন থেকে যে যন্তর টা চালিয়েছিল ছেলেটার হাতটা মোক্ষম ় ছেলেটার সাথে চোখাচুখি হবার পরে চমকে উঠেছিলো ডি ় অত ঠান্ডা চোখ এর আগে দেখেনি সে , দূর থেকেও যেন সে দৃষ্টি তার আগাপাশতলা জমিয়ে দিয়েছিল ় সবুজ লুঙ্গীর চোখ ততক্ষণে বরফে চিত মরা মাছের মত, দূরের আলোগুলোর মত ধোঁয়াটে ় পুলিশের কাছে কি সত্যি একবার যাওয়া উচিত ছিলো ওর ? কিন্তু গেলে যদি।।।।আর ভাবার মত মাথা কাজ ও করছেনা ওর ।।।।
    সামনে একটা ছেলে রাস্তায় পড়ে ছটফট করছে , রাস্তা জুড়ে ় গাড়ি না থামিয়ে উপায় নেই ়

    ছোঁড়াটা তার মুখ চেপে ধরে চিত করে দিল গাছটার আড়ালে।।।।সেই চোখ দুটোকে কি আরেকবার দেখতে পেলো ডি ? মাটি থেকে লালচে গন্ধে উঠে এলো অসংখ্য পিপড়ে আর নিতান্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় চোরাবালিতে তলিয়ে যাবার আগে সেই মাটি খামচে ধরার চেষ্টায় ছটফটাল আপ্রাণ হাত ় তারপর সেই চির রহস্যের গোলকধাঁধাঁয় লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ফ্রি ফল ়

    ৪)
    এবারও কি ওরা ভেবেছিল কেউ ওদের দেখেনি ? কিন্তু অজান্তে সেই মুহুর্তে সেই রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়ে গেছিল কোনো অদৃশ্য রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইটে ় হুবহু সম্প্রচার হচ্ছিল কেবলে কেবলে।।।আপামর নীল শহরে ় রক্তের লক্ষণরেখা ক্রমে ঝাপ্সা করে দিচ্ছিল শোবার ঘর আর মাঠের সীমা ় আতঙ্কে দু চোখ চাপা দিয়ে আঙ্গুলের ফাঁকে লাইভ মার্ডার দেখছিল বো এর বউ আর কেঁপে কেঁপে উঠছিল ় বো টি ভির সাউন্ড টা বাড়িয়ে দিয়ে বউ কে জাপটে ধরলো ় ততক্ষণে তির তির করে স্পন্দন থেমে আসছে শিকারের , নারী শরীর থেকেও বয়ে যাচ্ছে নদী ় আর সেই দৃশ্যে ক্রমে মহীরূহ হয়ে উঠেছে বোর ইচ্ছে ় নিকটতম কৃষ্ণ গহ্বর থেকে উঠে আসছে এক অদ্ভুত মাতাল জল গন্ধ ় অসংখ্য ফোঁটা হয়ে বো এখনি ছড়িয়ে পড়বে ভিজে মাটির গন্ধে , খুঁড়ে খুঁড়ে খাবে লবনাক্ত জমি , বুনে যাবে উর্বর স্বপ্ন মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে শিশু কঙ্কাল আর তখন কথামত সমুদ্র দু ফাঁক হবে ় ভবিষ্যত ক্যারাভান দেশান্তরী হবে রক্তের উত্সপথে আর গোল্ড ক্লাসের লম্বা সিটে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে সেই ডকুমেন্টারী দেখতে দেখতে কম্যান্ডো নাইফে আবার বুড়ো আঙ্গুলের ডগা ঘষে ধার মেপে নেবে ়

    (প্রকাশিত)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৬ | ১৮৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | 193.83.235.54 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০৩:২১55773
  • লাল
    ১)
    শীতের ব্লেডে ফালাফালা হচ্ছিল শহর | মাঝে মাঝে এক একটা অপসৃয়মান গাড়ীর হেডলাইট চুমু খেয়ে যাচ্ছিল হিম ল্যাম্পপোস্ট গোড়া |তখন শুখা করোটির মত মেঘেরা চষে খাচ্ছিল এদিক ওদিক | ফাঁকা রাস্তায় ঝুল খাচ্ছিল একলা আলোর সারি | ভয়ে পালাতে গিয়ে অসভ্য তারের নাবালক আঙ্গুলের ফাঁকে আটকে যাচ্ছিল চাঁদের পোশাক | এমন সময় সবাই ওম জড়িয়ে ঘুম যায় | দু একজন ছাড়া |
    এমন অপ্রত্যাশিত সময়ে কিছুটা ঠান্ডা হত্যাকান্ড ঘটছিল বড় রাস্তার ঠিক পাশের সমান্তরাল জমিটাতে | ডি কে অন্ধকার থেকে আরো অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল দুজন |
    তার কিছুটা আগেই বাড়ী ফিরেছে বো | নতুন একটা জুতোর কারখানায় চাকরি পেয়েছে সে প্রায় এক বছর হলো | বাড়ীতে মাস চারেক লাভ ম্যারেজ করে আনা বউ | সেই জন্যেই বাংলার ঠেক থেকে ঝট পট বেরিয়ে এসেছে সে | বিয়ের আগে দু একবার বিছানা পাল্টালেও , বউ এর প্রতি এখন সে খুব বিশ্বস্ত | বন্ধুরা বলে ম্যাক্সিবাঁধা | এই চারমাসেই কেস হয়েছে অনেক | যে বউ বিয়ের আগে দু পেগ নিতে না নিতে সোহাগ মাতালী হয়ে উঠতো , সে কিনা আজ বাড়ীতে মদ খাওয়া নিয়ে বিশাল বাওয়াল দেয় | মদ খাওয়া নিয়ে এর মধ্যেই দু বার বউ তাকে চুমু খেতে দেয়নি | ইমোশনালি সেই দুঃখের কথা বলে ফেলায় আজ সেই নিয়ে ঠেকে আজ তাকে চাকনা বানিয়ে ছেড়েছে বাচ্চু , তপুরা | জবাব শালা ওদের দেবেই ও যদি এক বাপের ব্যাটা হয় | বেশ মুডের ওপর অল্প টলমলে চৌকাঠ ডিঙিয়ে বাড়ী ঢোকে সে | এখনো তার গা যেন চটচট করছে | তার ঠাকুরদার করে যাওয়া বাড়ীতে এখন দুটো ঘর বাসযোগ্য | কিছুদিন আগেও দুটো ঘরে আসবাব ছিল না, যা ছিল বেচে দেশী খেয়ে লিভার পচিয়ে এখন নাইলনের খাটে শেষ বমির অপেক্ষা করছে পঞ্চান্ন বছরেই সত্তর হয়ে যাওয়া বাবা |সাথে অল্প মাথা হেজে যাওয়া মা | এবারে ঘরে একটা নতুন আলো বসাতে হবে...এখন একটা পুরনো হলুদ প্রত্নতাত্ত্বিক বাল্ব ছায়াবাজি খেলছে কালচে ফাটল ধরা মেঝের সাথে, ধূসর দেয়ালে একটা বুড়ো টিকটিকি আর পিপড়েদের অবাধ সহাবস্থান | পাশের ঘরে বিয়েয় পাওয়া টি ভিতে বুঁদ নতুন ধারাবাহিক সংসার |
    ২)
    অনেক ঘটনারই আপাতদৃষ্টিতে কোনো মানে হয় না | যেমন হঠাত অকারণে রোগা ভিতু পথচারীর কানের কাছে নিঃশব্দে গাড়ী এনে আচমকা জোরে হর্ন , চৌমাথায় দাঁড়িয়ে ঝকঝকে যুবকের একমনে একটা এক্সিডেন্ট এর অপেক্ষা করা | খুঁজে দেখলে দেখা যাবে ঠিক এই সময়েই রাতের বেলা ঠোঁটে কোনো চিন্হ না রেখে খাঁচায় ঢুকে যাওয়া গৃহপালিত পাখী ঠুকরে খাচ্ছে লরীর চাকায় ঘষটে যাওয়া মোটরবাইক আরোহীর ঘিলু, ঘর্ঘর শব্দ করা ট্রলিতে একটা ল্যাংটো বডি ডিসেকশন রুমের চার ফুট উঁচুতে ঘুরতে ঘুরতে টহল দিচ্ছে | দুটো কচি পাঁঠা কেটে রেখেছে হারুন , আধ ফাঁক গলা বেয়ে লাল লাল সাপ গড়িয়ে যাচ্ছে অনন্ত কুয়োর দিকে | কোনো অদৃশ্য প্রজেক্টরে এই ঘটনা গুলো পরপর গড়িয়ে চলেছিল z এর মস্তিষ্কে | সামনে টেবিলে রাখা দোধার ফলাটায় ছায়া ফেলে যাচ্ছিল মাথার ওপর এই শীতেও ঘুরতে থাকা ফ্যানের ব্লেড | এ সি কোনো দিনই সহ্য হয় না তার | তার খুব পছন্দের অস্ত্র এটা | নিজে খুব বড়সড় না হলেও এটা সাথে থাকলে তার নিজেকে আরো এক ফুট লম্বা মনে হয় | তার একশন স্পেশাল পাঞ্জাবির ভেতরে একটা চামড়ার লম্বা পকেট আছে , তার ভেতরে ঘুম যায় এফ এস নাইফ | এটা সাথে থাকলে ও সামনের চার পাঁচ ফুটের মধ্যে কাউকেই রেয়াত করে না | প্রথম বার এটার ধার পরীক্ষা করেছিল বারের মাসলম্যানের ওপর | ফালতু মেয়েটার সামনে ঘাড় ধাক্কা দিয়েছিল ওকে | কিছু না বলে চুপচাপ সরে এসেছিল তখন | তার পর ভোর রাতে ডিউটি শেষের টাইমে নিশ্চিন্তে অপেক্ষা করছিল , যেখানে মাসলম্যান বাইক পার্ক করে রাখে | নি:শব্দে পাশ থেকে আড়াআড়ি ফলা টা চালিয়ে দিয়েছিল গলা আর হনুর মাঝামাঝি একান থেকে ও কান বরাবর | পুলিশ দু তিন মাস খোঁজা খুঁজি করেও কাউকে ধরতে পারেনি | তারপর থেকেই এই বিশ্বস্ত সঙ্গীকে কাছ ছাড়া করে না ও | সর্বশেষ শিকার এল, চেয়ার থেকে ওঠার সময় অবধি পায়নি | ওপর থেকে বিদ্যুত গতিতে নেমে আসা আমেরিকান কমান্ডো নাইফ তার ঘাড় আর কাঁধের মাঝামাঝি ঢুকে গিয়ে তার সাবক্লেভিয়ান ধমনী ছিঁড়ে দেয় | ওখানেই এঁকিয়ে বেঁকিয়ে হেঁচকা মেরে নাইফ টা তুলতে গিয়ে চোখ পড়ে যায় দরজার কাছে লোকটার চোখে, লোকটা ওকে দেখেছে বিস্ফারিত হয়ে | ভুল , ভুল | অপারেশনের সময় দরজা খোলা রাখা টা, ওভার কনফিডেন্স | নিজেকে একবার সজোরে লাথালো সে | কিন্তু, বাইরে থেকে দেখে কেউই দেখলে বুঝবে না তার ভিতরে কি ঘটছে | z এর খয়েরি চোখের গর্ভে একটা অবাক কালো ঢেউ উঠে মিলিয়ে যায় মাত্র | সে খোঁজ নিয়েই এসেছিল, এসময় এলের কাছে কেউ আসে না , গেটে আসতে আসতেই হাওয়া হয়ে গেছিল লোকটা | ভাগ্যের ফেরে আজ একা এসেছিল বলে লোকটার আয়ু বেড়ে গেছিল কিন্তু ফটোগ্রাফিক মেমরিতে চিরতরে ধরা পড়ে গেছিল লোকটার মুখ | তারপর নিজের সিলিকন মাস্ক টা খুলে নিয়েছিল z , ভ্যাপসা গরমে মাস্ক টা ঘেমে উঠেছিল |
    ৩)
    এখন বয়স বেড়েছে একটু, শত্রুও | তাই এখন বেশির ভাগ সময়ে ওরা দুজনেই বেরোয়, ফাঁদ হলে একজন আরেকজনের পিঠ বাঁচায় | পেছনের জন শিকার কে ল্যাং মেরে ফেলে দেয়, আর z তখন রুটি তে মাখন লাগানোর মত করে যুগুলার টা কেটে দেয় | ছেঁড়া নলি থেকে একটা গার্গল এর মত আওয়াজ বেরোতে থাকে | মাংসপেশী শিথিল হয়ে বর্জ্য বেরিয়ে আসে |ফিনকি দেওয়া রক্ত অনেকসময় চোখে মুখে ঢুকে কেলেঙ্কারী ঘটায় , তাই পজিশন ঠিক রাখতে হয় | অক্সিজেন না পেয়ে হাঁপাতে থাকে প্রায় কবন্ধ শরীর | আস্তে আস্তে ঘোলাটে হয়ে আসে চোখ, শব্দ আলো ঝাপসা হয়ে আসে | যন্ত্রণা বোধও থাকে না..শুধু থাকে একটা অব্যক্ত শূন্যবোধ| এভাবেই একটা জলজ্যান্ত মানুষের স্তরে স্তরে বডি হয়ে যাওয়া টা ধীরে ধীরে দেখে z | ফলাটা বডির জামায় মুছে , চুপ চাপ চলে আসে এরিয়া ছেড়ে | এরপর বাইকে স্টার্ট দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনার সাথে সম্পর্ক হীন রাজপথ তার আদিগন্ত বিস্তারে গিলে নেয় ওদের |
    এবারের প্ল্যান টাও সেরমই ছকে রেখেছে সে | লোকটাকে মহা ন্যালা খ্যাপা টাইপের দেখতে , শুধু একটু ফুটোর দোষ | এরম লোক ও তার জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে কখনো কখনো , তখন তাদের লাশ রেখে আসতে হয় ট্রেনের ভিতরে ঘুপচি বস্তার মধ্যে , ঝোপের আড়ালে | মুন্ডু টা বেশির ভাগ সময়েই পাওয়া যায়না | তবে একে বেশি কষ্ট দেবে না z , কুরে কুরে মারতে হলে সেরা জায়গা তলপেটে ছুরি চালানো | নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে , অনেক সময় শকেই মারা যায় শিকার | আবার প্রচুর রক্ত বেরিয়েও সময়ে হাসপাতাল নিয়ে যেতে পারলে বেঁচেও যায় অনেকে | তাই, আজকাল রিস্ক না নিয়ে, গলা টেনে দেয় z | পকেটে ক্লায়েন্ট এর গিফট একটা গ্লক ১৭ থাকলেও ওটা ও ব্যবহার করে না এক দম ই | দূর থেকে মানুষ মেরে কোনো মজা পায়না z ,বেশ কিছুটা দার্শনিক ভাবে অনেকবার ভেবেছে সে , ওই যে জীবন আর মৃত্যুর মাঝের পথে শিকার যখন রাস্তা হারিয়ে ফেলে , সেই বাঁকটা ফ্রন্ট সিটে বসে অনুভব করাই তো মজা, এই সব সময়ে তার নিজেকে ভগবানের মতই শক্তিশালী মনে হয় |

    ঝাপসা একটা গাছের নিচে বাইক ঠেকিয়ে অপেক্ষা করছিল ওরা দুজন | জায়গাটা ওদের নিজেদের ঘামের গন্ধের মত, রন্ধ্রে রন্ধ্রে চেনা | সামনেই ফাঁকা মাঠ যেগুলোকে আজকাল প্লট বলে , মানুষ জন নেই আসে পাশে | | ডি আজ স্কুটারে একটু টাল খাচ্ছিল , নেশাটা আজ বেশি লাগছে কেন , কাল থেকে কিছুতেই ঘুমাতে পারছে না বলেই কি? হাওয়ায় উড়ছে একটা সবুজ লুঙ্গী না কি পাতা ঝরে পড়ছে ? ওই লুঙ্গী টাই পরেছিল লোকটা | দুটো মোরগ শূন্যে উড়ে উড়ে ঝাপটা মারছে একে অন্যকে | তাদের নখে লাগানো ব্লেডের টুকরোয় ফালাফালা হয়ে যাচ্ছে মাংস , পালক | জমাট ভিড় হই হই করে উঠছে একেকটা ঝাপটায় | কি বলছিল যেন তার সবজান্তা ভায়রা , যে রোমে না কোথায় যেন পুরোনো যুগে মানুষ মানুষের খুনোখুনি দেখতে লাইন জমাত অন্যরা , স্পেনে নাকি ষাঁড় আর মানুষের লড়াই দেখতে আজও ভিড় করে ঐতিহ্য | কখনো কখনো ষাঁড় একে গেঁথে ফেলে , কখনো এ ওর কুঁজ ঘেঁষে ফুঁড়ে দেয় বিজয় শলাকা | উফফ ওই লোকটারই ঘাড়টা ফাঁক হয়ে যেতে দেখেছিল চোখের সামনে ....তবে পেছন থেকে যে যন্তর টা চালিয়েছিল ছেলেটার হাতটা মোক্ষম | ছেলেটার সাথে চোখাচুখি হবার পরে চমকে উঠেছিলো ডি | অত ঠান্ডা চোখ এর আগে দেখেনি সে , দূর থেকেও যেন সে দৃষ্টি তার আগাপাশতলা জমিয়ে দিয়েছিল | সবুজ লুঙ্গীর চোখ ততক্ষণে বরফে চিত মরা মাছের মত, দূরের আলোগুলোর মত ধোঁয়াটে | পুলিশের কাছে কি সত্যি একবার যাওয়া উচিত ছিলো ওর ? কিন্তু গেলে যদি....আর ভাবার মত মাথা কাজ ও করছেনা ওর ....
    সামনে একটা ছেলে রাস্তায় পড়ে ছটফট করছে , রাস্তা জুড়ে | গাড়ি না থামিয়ে উপায় নেই |

    ছোঁড়াটা তার মুখ চেপে ধরে চিত করে দিল গাছটার আড়ালে....সেই চোখ দুটোকে কি আরেকবার দেখতে পেলো ডি ? মাটি থেকে লালচে গন্ধে উঠে এলো অসংখ্য পিপড়ে আর নিতান্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় চোরাবালিতে তলিয়ে যাবার আগে সেই মাটি খামচে ধরার চেষ্টায় ছটফটাল আপ্রাণ হাত | তারপর সেই চির রহস্যের গোলকধাঁধাঁয় লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ফ্রি ফল |

    ৪)
    এবারও কি ওরা ভেবেছিল কেউ ওদের দেখেনি ? কিন্তু অজান্তে সেই মুহুর্তে সেই রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়ে গেছিল কোনো অদৃশ্য রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইটে | হুবহু সম্প্রচার হচ্ছিল কেবলে কেবলে...আপামর নীল শহরে | রক্তের লক্ষণরেখা ক্রমে ঝাপ্সা করে দিচ্ছিল শোবার ঘর আর মাঠের সীমা | আতঙ্কে দু চোখ চাপা দিয়ে আঙ্গুলের ফাঁকে লাইভ মার্ডার দেখছিল বো এর বউ আর কেঁপে কেঁপে উঠছিল | বো টি ভির সাউন্ড টা বাড়িয়ে দিয়ে বউ কে জাপটে ধরলো | ততক্ষণে তির তির করে স্পন্দন থেমে আসছে শিকারের , নারী শরীর থেকেও বয়ে যাচ্ছে নদী | আর সেই দৃশ্যে ক্রমে মহীরূহ হয়ে উঠেছে বোর ইচ্ছে | নিকটতম কৃষ্ণ গহ্বর থেকে উঠে আসছে এক অদ্ভুত মাতাল জল গন্ধ | অসংখ্য ফোঁটা হয়ে বো এখনি ছড়িয়ে পড়বে ভিজে মাটির গন্ধে , খুঁড়ে খুঁড়ে খাবে লবনাক্ত জমি , বুনে যাবে উর্বর স্বপ্ন মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে শিশু কঙ্কাল আর তখন কথামত সমুদ্র দু ফাঁক হবে | ভবিষ্যত ক্যারাভান দেশান্তরী হবে রক্তের উত্সপথে আর গোল্ড ক্লাসের লম্বা সিটে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে সেই ডকুমেন্টারী দেখতে দেখতে কম্যান্ডো নাইফে আবার বুড়ো আঙ্গুলের ডগা ঘষে ধার মেপে নেবে z |

    ( কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে , যার ফলে কিছু কিছু অংশ অদৃশ্য হয়ে গেল ..তাই রিপোস্ট করলাম )
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন