এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • খাতাঞ্চী | 127812.61.341212.193 (*) | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩৪50052
  • .
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৫২50055
  • সেই বৃদ্ধের গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু হায়, গণপরিবহন ছিল না। ঃ-)
    সেইজন্যেই পরবর্তীকালে গণতন্ত্র ঘেঁটে গেল কিনা কেজানে!
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:১৬50053
  • এরপরে নিশ্চয় আরো কেউ ইন্দ্রাণীর লেখার মূল্যায়ন করবে, কিন্তু একহনও পর্যন্ত এইটা সেরা।

    " ভেন্ডার কম্পার্টমেন্টে বেশি অনুভূতি ঠাসাঠাসি হয়ে গেলেই, তিনি কোট বাগিয়ে প্রশ্ন করেন, কামরায় যে এত জঞ্জাল ডাঁই করে রেখেছেন দাদা ও দিদিরা, দেখান তো একটু টিকিটটা?
    "

    একদম একদম! শুধু তাইই নয়, অনুভুতি একটু কম হলেও প্রশ্ন চশমার ফাঁক দিয়ে প্রশ্ন করেন "কি হে পিঁপড়ে টিপড়ে দেখো নি?' না দেখলেও ভয়েচ্চোটে তখন সেসব বলে ওঠা যায় না।
  • Aniket Pathik | 232312.15.3467.241 (*) | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৪৯50054
  • পাড়াতুতো চাঁদ। কথাটা কানে ঢুকলেই যা মনে হয়, মানে অন্ততঃ আমার যা মনে হয়েছে, এই বই আদতে ঠিক তাই। সামান্য একটু ওপর থেকে, বেশি ওপর থেকে নয় কিন্তু, জীবনকে দেখলে যেমন আপনি অনেক দূর অবধি দেখতে পাবেন, অনেক খুটিনাটি চোখে পড়বে, আবার কিছু কিছু জিনিস অদেখা-অজানা থেকে যাবে…তেমন একটা আড়াই বা ২.২৫ মাত্রিক জীবনের গল্প পেয়ে যাবেন এই বইতে।
    ভয় পাবেন না, এই বই একেবারেই আপনার বুদ্ধির পরীক্ষা নেবে না, বোধের কিঞ্চিৎ পরীক্ষা নিলেও নিতে পারে, তবে তাতেও চাপে পড়ে যাবার কিচ্ছু নেই। বরং লেখক সারাক্ষনই একটা চেনা-শোনা জীবনের গল্প শোনাবেন, যার খাঁজে খাঁজে চোখে পড়বে জলের ফোঁটায় রামধনুর রঙ কিম্বা রাস্তায় জমে থাকা জলে ছিটকে ওঠা চাঁদের আলো। না না এইগুলো কোনো উপমা নয়, একেবারে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সত্যিকারের ছবি। আকাশে মেঘ ভেঙে ভেঙে বিচিত্র গঠন তৈরী হওয়া থেকে মোড়া টানার বিশেষ শব্দ, খবরের কাগজে ছাপা আত্মহত্যার গ্রামের খবর থেকে ভারত-পাকিস্তান টানাপোড়েন, এমন অনেক কিছু মেমরী ড্রাইভ থেকে বেরিয়ে লেখকের নিজস্ব এক পাকদন্ডী বা লগারিদ্‌মিক স্পাইরাল বেয়ে মিশে যাবে পাঠকের চেতনায়। কোথাও কোথাও সামান্য জাদুবাস্তবতার সঙ্গেও। তারই নাম পাড়াতুতো চাঁদ। সব প্রশ্নের উত্তর গল্পে নাও পাওয়া যেতে পারে, কেনই বা যাবে, চোখ বুঁজলে আয়নায় আপনাকে কেমন দেখায় আপনি কি জানেন ? তাহলে গল্পের কাছে সব উত্তর কেন থাকতে হবে !
    লেখক ইন্দ্রাণী দত্ত আমাদের বহুদিনের পরিচিত। বাংলালাইভ থেকে গুরুচন্ডালী, এইসময় থেকে দেশ পত্রিকা এবং অন্যন্য অনেক পত্র-পত্রিকায় তিনি লেখালেখি করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাঁর লেখায় গভীর যত্নের পরিচয় পাঠক নিজের দায়িত্বে আবিস্কার করবেন। লেখার ‘ফর্ম’ ও ‘কন্টেক্সট’, প্রতিটি শব্দ এমনকি যতিচিহ্নও সুচিন্তিত, হয়তো পরীক্ষিতও। তা নিয়ে বেশি কথা বলার কোনো মানে হয় না। কিন্তু তা কোথাও গল্পের স্বতঃস্ফূর্ততাকে আটকায়নি, এটাই লেখকের সবচেয়ে বড় জিত। আমি বহুদিন ধরে চাইছিলাম এই বইটা, তাই আমি বইটা কিনব আপনাকেও কেনাব...এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার ইত্যাদি।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৮50056
  • গতকাল রাতে এই লেখাটি লিখে ভাবিনি কোনো অনুচিত কাজ করছি। কিন্তু আজ সকালে উঠে দেখলাম, ফেবুতে পরিচিতরা লিখছেন লেখাটি মিটু বিরোধী ইত্যাদি। আমি, শুনে, যাকে বলে ইনস্যাট কততম যেন থেকে পড়েছিলাম , কারণ জেন্ডার এবং জেন্ডার সংক্রান্ত আন্দোলন নিয়ে নানা জায়গায় আমি নানা মন্তব্য খোলাখুলি করে থাকলেও, এই লেখার সঙ্গে তার বহুদূর পর্যন্ত সম্পর্ক নেই। ইনিশিয়াল শক কাটার পর দু-একটি জায়গায় খুঁজে মূল রহস্যটি খানিক উদ্ধার হল। 'জানো ভাই ১৯৯৬ সালের তেসরা জানুয়ারি আমার পাছায় একজন চিমটি কেটে দিয়েছিল, আজও মন ব্যথায় টলমল' -- লেখায় এই লাইনটিই সব সমস্যার উৎস। পাছা এবং চিমটি, অতএব জেন্ডার। চিমটির জ্বালাকে অস্বীকার, ব্যথিত পাছায় অন্যের হাত বোলানোর সংবেদনশীলতাকে অস্বীকার, অতএব ইনসেনসিটিভিটি, ভিকটিম ব্যাশিং ইত্যাদি সোজাসাপ্টা ও সরল যুক্তিপরম্পরা।

    নিজের লেখালিখির মানেবই আমি লিখিনা। কিন্তু ফেবুতেও এইরকম একটি বস্তু লিখে টাঙিয়েছি, এখানেও লিখছি, কারণ এইটিতে আমার প্রিয় লেখিকা ইন্দ্রাণী দত্তর বই জড়িয়ে, যে বই নিয়ে লেখায় আর যাই হোক অন্তত জেন্ডার-বিতর্ক আমি টেনে আনতে চাইনা, তাই প্রতিজ্ঞা চুলোয় দিয়ে এক-আধটা কথা বলেই দিই। পাছায় চিমটি, আমার নিজের বহুব্যবহৃত একটি অভিব্যক্তি। ওটা লিখতে আমি ভালোবাসি। আজ থেকে দশ বছরেরও বেশি আগে ল্যালা ম্যানিফেস্টো নামক একটি লেখায় লিখেছিলাম, 'ভাবগম্ভীর সভার মধ্যে বক্তার নিতম্বে ভার্চুয়াল চিমটি কেটে পালিয়ে যাবে ফচকে ছোঁড়া। সাজানো ড্রইংরুমে টিভির পাশে রেখে দেওয়া হবে দুটো চামচ আর একপাটি জুতো, টেবিলে ফ্লাওয়ার ভাসের পাশে থাকবে একখানি তোবড়ানো কোকের বোতল। গাম্ভীর্য আর প্র্যাকটিকাল জোক, রসিকতা আর কালো হিউমার পাশাপাশি রেখে তৈরি হবে বিচিত্র এক অর্ডার অফ থিংস।' এর পরেও আরও একাধিকবার পাছা এবং চিমটি নিয়ে লিখেছি, কিন্তু কোথায় খেয়াল নেই। ঈশ্বর জানেন, আজকের সমালোচকরা হয়তো বলবেন, এসবে পাছায় চিমটি কাটাকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে। রুপান দেওল বাজাজের সংগ্রামকে ছোটো করা হয়েছে। ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনকি যা দিনকাল, এই যে লিখলাম 'ওটা লিখতে আমি ভালোবাসি' -- এরও মানে হতে পারে, উনি তো পাছায় চিমটি ভালোবাসেন। আমার শুনে অ্যাবসার্ড লাগতে পারে, ইনস্যাটের বদলে মঙ্গলগ্রহ থেকেও পড়তে পারি, কিন্তু কেউ কেউ বলতেই পারেন, কিছুই বিশ্বাস নেই।

    তবু, কবিগুরু বলেছেন, মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। তাই, যেটা আগেই লিখেছি, আরেকবার লিখি। জেন্ডার এবং জেন্ডার আন্দোলন নিয়ে আমার মতামতে লুকোছাপা কিচ্ছু নেই, অতীতেও ছিলনা, ভবিষ্যতেও থাকবেনা। সে নিয়ে জলঘোলা করা কিছু কম হয়নি, তাতে আমার অবস্থান আমি ছাড়িনি, ছাড়ছিওনা। কিন্তু এই বিশেষ লেখাটির সঙ্গে, টিটিদিদির বই জড়িত আছে বলেই, জেন্ডার দৃষ্টিভঙ্গীর কোনো সম্পর্ক নেই। সংবেদনশীলতা বনাম অতিসংবেদনশীলতা বা তার ভানের একটা দ্বৈত অবশ্যই তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু তার সঙ্গে মিটু-টিটুর সম্পর্কহীন। যেখানে মিটু নিয়ে, জেন্ডার নিয়ে লিখব, খোলাখুলিই লিখব, নিঃসন্দেহে তার কিছু সমালোচনা প্রাপ্য হতেই পারে। কিন্তু, কিচ্ছু না লিখেও ফালতু টিটিদিদির বইকে এইটার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হবে, আমার কল্পনার অতীত ছিল। যাক লিখে ফেলেছি আর কী হবে। সেই জন্যই এই ছোট্টো বক্তব্য জুড়ে দিলাম। এইটুকুই।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:২২50057
  • তখন বৃহস্পতিগ্রহ থেকে পড়তে হবে। ঃ-)
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩১50059
  • সিকি, আমি কোনো জাস্টিফিকেশন লিখিনি। তুমি এবং তোমরা কিছু লেখা লিখেছ, সেগুলিকে ভুলভাল এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছি মাত্র। এটাকে পাঠপ্রতিক্রিয়া হিসেবে নিতে পার।
  • সিকি | 562312.19.4534.88 (*) | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৫50058
  • না মানে, এতকিছু লেখার দরকার ছিল না। লাইনটা কোনওভাবেই জাস্টিফাই করা যায় না, এখনও গেল না। এবং লাইনটা টিটিদিদির বইয়ের প্রোমোর অংশ হিসেবেও, একেবারে অপ্রয়োজনীয় আর সামঞ্জস্যবিহীন লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন