কিছুদিন আগে যখন অনির্দিষ্টকাল যাবত স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের গরমের ছুটি চলছিল তখন আমার পরিচিত শিক্ষক শুভময় দা একটি শিক্ষকদের বৃত্তে পোস্ট করেছিলেন যে যেহেতু শিক্ষকদের আসতেই হচ্ছে অতএব মর্নিং এও যদি ক্লাস করানোর অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে পড়াশুনোটা হয়। বেশ কিছু ‘শিক্ষক’ শুভময় দা কে কার্যত ‘বুলি’ করেন। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে ভরিয়ে দেওয়া হয়। আরও দু-একজন এই সকালে ক্লাস করানোর কথা তুলেছিলেন, তারাও বাকি শিক্ষকদের বিদ্রূপ এবং তাচ্ছিল্যের শিকার হোন।
সরকারী সাহায্যপোষিত স্কুলগুলোতে গড়পড়তা স্কুল হয় ২২০-২৩০ দিন। ... ...
বাঙালি হিসেে্বে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাংলা ভাষা নিয়ে গভীর আবেগ রয়েছে আমার। আগাম এটুকু বলে রাখাটা জরুরী।
কদিন আগে একটি প্রিন্ট মিডিয়াতে জনৈক বাঙালি শিশুশিল্পীর সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম। সেখানে তার মা জানাচ্ছেন যে তার কন্যাটি বাংলা পড়তে পারেনা। আমার জ্ঞানলাভ হল যে কলকেতাতে অ্যামন ইস্কুলও আছে যেখানে পড়লে বাঙ্গালির ছেলে মেয়েরা বাংলা পড়তে পারেনা।
এখন আমি সেকেলে লোক। বাংলা মাধ্যম ইস্কুলে পড়ে পাশ করা। কাজেই আমার চোখে বাঙালি হয়ে বাংলা পড়তে না পারাটা খুব গর্বের বিষয় নয় আর কি। যাদের কাছে গর্বের বিষয় ... ...
( এই লেখাটি আয়নানগরের বেরিয়েছিল।লেখাটি’র কিছু পরিবর্ধন ঘটেছে।সুতরাং এই পরিবর্ধনের ফলে পড়তে গিয়ে কিছু ছন্দ পতন হতে পারে,তার জন্য আগাম ক্ষমাপ্রার্থী)
‘তারপর একটা বোরখা পরা লোক পুলিশের ভ্যান থেকে নেমে আসে।গ্রামের সমস্ত জোয়ান মদ্দদের তার সামনে প্যারেড করানো হয়।বোরখা পরা লোকটা যার দিকে আঙ্গুল তোলে আর্মি তাকে তুলে নিয়ে যায়।কিসের অপরাধে তা জানা যায় না।কোনো উকিল দলিল থাকেনা।কোনো প্রমাণ থাকেনা।সে আর ফেরত আসেনা।জলজ্যান্ত একটা মানুষ ভ্যানিস হয়ে যায়।সে যে ছিল বাস্তবে তারই কোনো প্রমাণ থাকে ... ...
প্রথমেই একটা কথা সগর্বে বলে নেওয়া দরকার যে আমি হচ্ছি সেই অবলুপ্তপ্রায় ছাত্র সমাজের যোগ্য প্রতিনিধি যারা ইসকুল লাইফে মাস্টার মশাইদের নিরন্তর ঠ্যাঙ্গানি খেয়ে বড় হয়েছে এবং মাথা নামিয়ে স্বীকার করি যে সেইসব মাস্টার মশাইরা আমার এবং আমার মতন অনেক গাধার জীবনে না এলে আজ হয়ত এই জায়গায় থাকতুম না।
প্রলোভন কি ছিলনা,ছিল সার,দস্তুরমতন ছিল।ইসকুলের মাস্টারমশাইরা যখন বাবা বাছা করে মাথায় হাত বুলিয়ে কড়া কড়া ট্রানস্লেশন কি হোয়াংহো নদী কোথায় গোছের টাস্ক করিয়ে নিয়েছেন,তখনই বুঝেছি যে সাধকের পথে কত বাধা,কত ... ...
নিউ ইয়ার রেজোলিউশন আদতে এক ধরণের ইলিউশন।সেইটে এ বছর আরেকবার বুঝলাম। বছরের শুরুতে দেখলাম সব্বাই নতুন বছরের রেজোলিশন করছে।যে শুভ আপিস ফেরতা রোজ বারে না ঢুকে বাড়িই ঢুকতে পারেনা তাকেও দেখলাম রেজোলিউশন করছে যে এ বছর বারে ক্যানো বারের ধারে কাছেই যাবেনা।
আমি জিগালুম,
‘হ্যাঁরে শুভ,এটা কি তোর অশুভ রেজোলিউশন হচ্ছে না? মানে,দুনিয়াশুদ্দু লোক যখন জানে যে সিগনেচার আর শার্ক ট্রুথের অন্তত দুটো করে লোকের বেতন তোর পকেট থেকে যায়’।
শুভ কাতর চোখে আমার হাতদুটো ধরে বলল,
‘নারে ভাই।আর নয়।দশ বছর ... ...
প্রথম অধ্যায়
কোরপান শা এবং একটি মশার গপ্পো।
ধরা যাক,আপনি আপনার দিকে ধাবমান একটি মশাকে এক থাপ্পড়ে মারলেন।পেনাল কোড যাইই বলুক না ক্যানো,আপনি জানেন যে আপনার কিস্যু হবেনা কারণ আপনি প্রমাণ করে দেবেন যে মশাটি আপনার দোতলায় বিনা অনুমতিতে ইভনিং ওয়াক কি বাণিজ্যিক চুক্তিতে সাইন করতে নয় বুক পকেটে আণবিক অস্ত্র নিয়ে আপনাকে মারতে আসছিল আর ওই মশাটি পেনাল কোডের খরচা বহন করতে পারবেনা,বিচার তো অনেক পরের কথা।
অতএব সার,ওই মশাটার যে মরাটাই ভবিতব্য ছিল তা আমি আপনি ভালোই জানি আর রোজ কত এরকম ... ...
ক্লাস সেভেনের ঘরে ইংরেজি পড়াচ্ছি।কি একটা বিচ্ছিরি গ্রামাটিক্যাল কোশ্চেন ধরেছি যা আমাকে ইস্কুল লাইফে ক্যানো এখনো ধরা হলে যে বই না দেখে পারতুম না তা নিয়ে কুণাল ঘোষের ঘোষিত আত্মহত্যার মতই কোনো সংশয় নেই।তা আমিই যখন পারতুম না তখন আমার ছাত্র ছাত্রীরাই বা পারবে ক্যানো? ভালো ছেলে মেয়েগুলো একে একে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তা দেখে আমি একটু হেসে বললাম, ‘একে একে নিভিছে দেউটি’, তারপর সামনের বেঞ্চে বসা ওসামা’র দিকে তাকিয়ে বললুম,
‘এর মানে কি জানিস?’
মানে টা ওর জানার কথা নয়।আমি এম্নিই জিজ্ঞেস করেছিলাম। ... ...
দাঁতে ব্যথা।এতদিন অর্কের হচ্ছিল।এবার আমার হচ্ছে।এম্নিতে আমি দাঁতের ডাক্তারদের খুব একটা বিশ্বাস করিনা কারণ তারা লোকের মৌখিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন।এবং দাঁতের ডাক্তার রা সব সময়ই দাঁত তোলার ধান্দায় থাকে বলেই মনে হয়।এত অ্যান্টি-এস্টাব্লিস্ট মতাদর্শের লোকেদের সাথে থাকাটা আমার সয় না।কিন্তু দাঁতে ব্যথা বেড়ে যাচ্ছিল।সাত সকালে সন্টুর দোকান থেকে আনা ডালপুরি যখন মাত্তর পাঁচটা খেয়ে থেমে গেলুম,তখন বাড়ির লোক বুঝল যে আমার সত্যিই দাঁতে ব্যথা করছে।
অর্ক বলল,
‘দাদা,ডাক্তার দেখাও’।
‘কক্ষনো ... ...
রোববার সকাল।খুসি’র সকাল।খাসি’র সকাল।তাই কালামের কাছ থেকে কেজি খানেক খাসি’র মাংস কিনে এনেছিলাম।যদিও ডাক্তার রা আমায় রেড মিট খেতে বারণ করেছে।কিন্তু ডাক্তার রা যতই চক্রান্ত করুক,খাসির প্রতি আমার ভালোবাসা কমাতে পারবেনা। দুনিয়ার খাসীদের প্রতি এ আমার তীব্র অঙ্গীকার।যাই হোক,খাসির মাংস আনার পর থেকেই মনটা হেব্বি খুশ ছিল।আচমকা শুনতে পেলুম,আমার ভাগ্নে দুপুরে খেতে আসছে। খুব রাগ হল।হতভাগা জানিয়ে আসতে পারেনা।এক কেজি খাসির মাংসে চারজনের খাওয়া হয়?? যদিও আমি অ্যাখন বড্ড কম খাই।বছর তিনেক আগেও ভাতের সাথে কেজি খান ... ...
বহরমপুরে বাস স্ট্যান্ডের কাছে ফেমাস সার্কাস এসেছে।তা নিয়েই সন্ধেবেলা সায়ন্তিকাদের বাড়িতে আলোচনা হচ্ছিল।সায়ন্তিকা’র বাবা অফিস থেকে ফিরলেন এবং আমাকে দেখে অ্যামন মুখ করলেন যেন বারাক ওবামার মেয়ের সাথে পুতিনের ছেলে ইলোপ করেছে।তারপর বললেন,
‘আরে তুমি এখানে?’
আর ঠিক কোথায় থাকা আমার উচিত ছিল তা কিন্তু সত্যিই জানা ছিল না( যদিও সুহৃদ দের মতে লুম্বিনী’ই আমার আসল জায়গা),তাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জিজ্ঞেস করলুম,
‘ক্ক্যানো বলুন তো?’
‘না,বাইরে শুনলুম যে ফেমাস সার্কাসের হাতি’টাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ ... ...