এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • চার অধ্যায়

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ নভেম্বর ২০১৪ | ৯১৯ বার পঠিত
  • প্রথম অধ্যায়

    কোরপান শা এবং একটি মশার গপ্পো।

    ধরা যাক,আপনি আপনার দিকে ধাবমান একটি মশাকে এক থাপ্পড়ে মারলেন।পেনাল কোড যাইই বলুক না ক্যানো,আপনি জানেন যে আপনার কিস্যু হবেনা কারণ আপনি প্রমাণ করে দেবেন যে মশাটি আপনার দোতলায় বিনা অনুমতিতে ইভনিং ওয়াক কি বাণিজ্যিক চুক্তিতে সাইন করতে নয় বুক পকেটে আণবিক অস্ত্র নিয়ে আপনাকে মারতে আসছিল আর ওই মশাটি পেনাল কোডের খরচা বহন করতে পারবেনা,বিচার তো অনেক পরের কথা।

    অতএব সার,ওই মশাটার যে মরাটাই ভবিতব্য ছিল তা আমি আপনি ভালোই জানি আর রোজ কত এরকম মশা এখানে ওখানে মরছে, বড় মানুষদের প্রগতিশীল চলার পথে রোজ এরকম ছুটকো-ছাটকা কোল্যাটারাল ড্যামেজ ঘটে থাকে,সব কিছু নিয়ে মাথা ঘামালে কি আর দুনিয়া চলবে সার?

    তারপর সার,মশাটার ফ্যামিলি’র আস্পদ্দা দেখেছেন? থানায় বসিয়ে ওই হাড় হাভাতে গুলোকে গরম ভাত দেওয়া হল।হ্যাঁ সার,ঠিকই শুনেছেন গরম ভাত।তাতেও হতভাগারা প্রত্যাখান করে উঠে এসেছে।এত সাহস কোত্থেকে পায় বলুন তো? একটু খোঁজ নিলে হয় না।মনে হয় মাওবাদীরা এর পিছনে আছে।
    আর ওই মশাটা যে নিজেই মাওবাদী ছিল না তার কি কোনো প্রমাণ আছে? ওর গা থেকে নাকি লাল রক্ত বেরুচ্ছিল।তাহলে আর প্রমানের দরকার আছে কি?

    তাহলে নীল রক্তের বড়লোকেরা মশাটাকে মেরে বরং সমাজের উপকারই করেছে।অতএব কেস ক্লোজড। এবার শান্তিতে ঘুমোতে যান।

    এভাবেই মশারা মরতে থাকুক।সভ্যতা আরো তরতর করে এগোবে।

    দ্বিতীয় অধ্যায়

    হাসমত আলি এবং একটি অপ্রয়োজনীয় এন্ডিং...

    আমার ইস্কুলে পড়ে হাসমত,আগেই বলেছি অনেকবার।হাসমত আলি,ওই মেরেকেটে বছর বারো তেরো বয়স।ক্লাস সেভেনে পড়ে।খুব দুরন্ত। আর রাজ্যের আজগুবি বুদ্ধি মাথায়।হাসমত ক্লাস ফাইভে ভর্তি হয়েই আমাকে শুনিয়েছিল যে ও আগে পড়াশোনায় ভালোই ছিল তবে কিনা একটা সময় মাথা ফেটে ওর কিছু বুদ্ধি বেরিং গেলছে তাই আগের মত পড়া করতে পারেনা।এই হাসমতই কোনোদিন কোনো মেয়ের পাশে বসেনা।আমাদের কোএড স্কুল।পরিসর ছোট।ছেলে মেয়ে বেশি।অনেক সময়ই স্থান সংকুলান হয় না।হাসমত কে কিছুতেই কোনো মেয়ের পাশে বসানো যায় না।ওর কথায় ‘মাইয়া মানুষ কেন্দি মামলা জিতি লয়’ মানে মেয়েরা কেঁদে মামলা জিতে নেয় আর কি।হাসমত হচ্ছে ঘোরশালার সানি দেওল।আড়াই কিলো না হোক,আড়াইশো ওজনের হাতের মুষ্টিবদ্ধ আস্ফালন আর অসামান্য বাক্যবাণে অনেকেই বিদ্ধ হয়ে থাকেন।

    যখন স্কুল বিল্ডিং টা তৈরী হচ্ছিল,তখন স্কুলের পাশে বাড়ি হওয়ার দরুণ হাসমত কে বলা হয়েছিল যে স্কুলের ইঁট বালি ঠিক আছে কিনা তা দেখতে।তা একদিন স্কুলে গিয়ে শুনলাম পাশের পাড়ার ছেলেদের হাতে হাসমত আলি মার খেয়েছেন।অবাক কান্ড।সানি দেওলের মতই হাস্মত আলি অমর অবধ্য গোছের ধারণা ছিল আমার।জিজ্ঞেস করাতে গোঁজ হয়ে বসে থাকল হাসমত।তারপর জানা গেল যে পাশের পাড়ার কটা ছেলে স্কুলের ইঁট তুলে নিয়ে যাচ্ছিল।হাসমত আলি সেখানে গিয়ে হুঙ্কার দেন,
    ‘এই শালারা।ইঁট থুয়ে যা নাহলে তোর মাকে লিয়ে পালাবো’।
    এই আত্মীয়তার সম্বোধনে ছেলেগুলো খুশি হয়নি টা বোঝাই যাচ্ছিল।এরপরে কি হল টা জানতে চাওয়াতে হাসমত জানিয়েছিল,
    ‘আর কি হবে সার।আমার মা’কে লিয়ে কথা বুল্লে আমি ছাড়তাম নাকি? অরাও ছাড়েনি।ধরি পিট্টি দিলো’।

    এই হচ্ছে হাসমত।প্রাণ চঞ্চল।ও না থাকলে গোটা স্কুলটাই ক্যামন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।যখন স্কুলে জয়েন করি তখন হাসমতরা স্কুলে নিয়মিত আসতো না।মানে অভ্যেস ছিল না আর কি।আমি ওই বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসতাম।এরকমই একদিন,হাসমতকে খুঁজতে গেছি।তা ভদ্রলোক আমাকে দেখে বাড়ির কাছের একটা অন্ধ গলিতে ঢুকে লুকিয়ে ছিলেন।হাসমতের এক ভাই আছে যে প্রাইমারি স্কুলে পড়ে এবং আমরা তাকে জুনিয়র হাসমত বলে ডাকি সে তখন বাড়ির পাশে একটা ভ্যানের উপর বসে নিশ্চিন্তে আইসক্রিম খাচ্ছিল।আমি হাসমত কে খুঁজছি শুনে সে আমাকে হাসমতের লুকোনো জায়গাটা দেখিয়ে দিলো।
    আমি খানিক তাকাতেই হাসমত সেই ব্লাইন্ড লেন থেকে বেরিয়ে এলো যেহেতু ওদিকে আর পালাবার জায়গা ছিল না অথবা দেওয়াল ভেঙ্গে বেরোবার কায়দা টা ঘোরশালার সানি দেওলের জানা ছিল না।
    হাসমতের সেই বেরিয়ে আসার দৃশ্যটা আমার আজও মনে আছে।মুখে অপরিসীম বিশ্বাস ভঙ্গের বেদনা।তার নিজের সহোদর ভাই যে তাকে এভাবে ধরিয়ে দেবে তা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি।হাসমত যেভাবে তার ভাই এর দিকে তাকাচ্ছিল তা ওই সিজার যেভাবে ব্রুটাসের দিকে তাকিয়েছিলেন তার সাথে কিছুটা মিল পাওয়া যেতে পারে।

    এতক্ষণ বেশ হ্যাপি এন্ডিং শোনাচ্ছিলাম কত্তা।এবার গপ্পের ভিতরের গপ্পোটা শোনাই।মাঝে মধ্যেই হাসমতের বাড়ি থেকে কেউ হাসমত কে ডাকতে আসে।আমরা বুঝে যাই যে হাসমতের বাবা আবার কোথাও মদ খেয়ে পড়ে আছে। আর হাসমত তাকে তুলে আনতে যাচ্ছে।গোটা স্কুল বাড়ি জুড়ে ফিসফাস শুরু হয় ‘জানিস তো,হাসমতের বাপ আবার মদ খেইয়ে উল্টেছে’।তার অনেকটাই হাসমতের কানে যায়।
    তেরো বছরের প্রাণ চঞ্চল ছেলেটা তখন মাথা নিচু করে বাবা’কে আনতে যায়।ফিরে এসে অনেক ক্ষণ চুপ করে বসে থাকে।

    কিছু বৃষ্টি তো বুকের মধ্যেও ঝরে কত্তা,আমরা দেখতে না পেলেই তো আর সেটা মিথ্যে হয়ে যায় না।

    তৃতীয় অধ্যায়

    উম্মে সালমা এবং একটি আলোর কাহিনী।

    আমার স্কুলের ক্লাস সেভেনের মেধাবিনী ছাত্রী উম্মে সালমা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলেছিল।এখনও গলায় দড়ির ঘসা দাগ ঘা হয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।তার মা বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জোর করেছিল।ঝুলে যাওয়ার মুহুর্তে ঘরে লোক ঢুকে পড়ায় সে বেঁচে যায়।

    গতবছরও এই বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।স্কুলে ডেকে এনে হাজার বোঝানোতে কাজ হয়েছিল।এবার কি করবো তা ভাবতে গিয়ে অপর্ণা ম্যামের কথা মাথায় এলো।ইনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে এখানে কাজ করেন।খুব জনপ্রিয়।এনার সাথে গ্রামের মায়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা আর বাল্য বিবাহ রোধে দু একটা কাজ আমি আগে করেছি।

    অপর্ণা ম্যামের বাড়ি গেলাম।এই প্রথম বার।গ্রামের দরিদ্র মাঝি পাড়ায় থাকেন একটা ঘর ভাড়া নিয়ে।গোটা পাড়ার ওয়ান স্টপ সমাধান কেন্দ্র হচ্ছেন অপর্ণা ম্যাম।পাশে স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে একটা ।সেটা কবে খোলা থাকে তা দেবা না জানন্তি।অগত্যা অপর্ণা ম্যাম ভরসা।অপর্ণা আদতে আমারই বয়সী।পাড়ায় কচি কাচাদের কাছে অপর্ণা পিসি নামে পরিচিত।অপর্ণা এদের ছোটখাটো রোগের ওষুধ দেন,বড় কিছু হলে নিমতিতার মিশন হাসপাতালে অথবা কলকাতায় নিয়ে যান।বাচ্চা মেয়েদের বিয়ে আটকান।বাড়িতে পাকা শৌচাগার বানানোতে উৎসাহ দেন। পাড়ার মায়েদের ধরে কম বয়সে বিয়ে দিলে কি কি হতে পারে তা বোঝান।

    অপর্ণারা যেসব মানুষ কাজের জন্য পড়া ছেড়েছেন তাদের জন্য ইস্কুল খুলেছেন।অক্ষর পরিচয়,সাধারণ গণিত আর সাধারণ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান শেখানো হয়।তার সাথে হাতের কাজ শেখানো হয়।ফিনাইল তৈরী আর জ্যাম জেলি তৈরী করা।কলকাতা থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসে কিনে নিয়ে যায়।এক একটা স্কুলে তিরিশ জন করে পড়ে।সপ্তাহে চারদিন বিকেল চারটে কি পাঁচটা থেকে দুঘন্টা স্কুল টাইম।সাড়া মিলছে।

    অপর্ণা কথা দিলেন যে উম্মের মায়ের সাথে কথা বলবেন।ফেরার সময় জিজ্ঞেস করলাম,
    ‘আচ্ছা অপর্ণা,এই যে বাড়ি ঘর ছেড়ে এতদূরে পড়ে আছেন। বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা মেয়ে এতকিছু করছে অথচ বিয়ে থা করে সংসারের কথা ভাবছেনা।ক্যানো বলুন তো?’
    অপর্ণা হেসে বললেন,
    ‘এরাই তো আমার সংসার। আমাকে এদের দরকার।আমি চলে গেলে হবেনা’।
    অপর্ণা আপনাকে স্যালুট। খুব ইচ্ছে করছিল আপনাকে একটা প্রণাম করার।বিকিয়ে যাওয়া বুকে আর মুখ ফুটে বলতে পারিনি।এই লেখার মাধ্যমেই আপনাকে প্রণাম জানাচ্ছি।

    চতুর্থ অধ্যায়

    সায়ন্তিকা তোমাকে...

    সায়ন্তিকা,তোমার বাবা কি মারণ-উচাটন কি কালো জাদু প্র্যাক্টিস করা শুরু করেছেন নইলে আমার সর্দি সারছে না ক্যানো? আর এই যে আমি সর্দি জ্বরে কাবু হয়ে প্রায় বিছানাগত হয়ে পড়ে রয়েছি এতে কি তোমার অবশ্য কর্তব্য নয় যে চপ সিঙ্গাড়ার মত সুপথ্য নিদেনপক্ষে একপ্লেট শিক কাবাব নিয়ে আমাকে দেখতে আসা?

    তোমার কঠিন হৃদয়ে কি এই অসুস্থ ডিএ বঞ্চিত লোকটার জন্য একটুও মায়া মমতা,মানে মমতা থাক নিদেনপক্ষে করুণাও হচ্ছেনা? নাহলে কোন মুখে তুমি অখাদ্য চিকেন সুপ খাওয়ার জন্য হুকুম নামা জারি করছো? তুমি কি জানো এই নিদারুণ চিকেন সুপ খেয়েই প্রাণে হেব্বি দাগা পেয়ে কবি লিখেছিলেন ‘দাও ফিরে সে অরণ্য...’। মানে,তিনি বন মুরগি খেতে চেয়েছিলেন।আমি অতটা চাইছিনা।তোমার জন্য নাহয় পোলট্রি মুরগিই খেয়ে নেবো।এই নাও,মাত্তর সাত আট পিসই খাবো,তবু প্লিজ আমার রিকোয়েস্ট টা একটু বোঝো।আহা,মানে ওই ইয়ের বিজ্ঞাপন করছিনা,জাস্ট চিকেন সুপের বিরুদ্ধে মত দিচ্ছি।

    জানি,আমার মত সংখ্যালঘুর স্বর কোনোদিনই শোনা হবেনা আর আমাকে তোমার আদেশ মত সেই মর্মান্তিক চিকেন সুপই খেতে হবে তবুও তোমার এই স্বৈরাচারী স্বভাবের বিরুদ্ধে আমার জ্বরাক্রান্ত চিঁচি কন্ঠের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়ে রইলো।

    আর এত জ্বালাবার পরও বলছি যে তোমার দুচোখে হাজারবার ডুবে যেতে পারি।মানে,সাঁতার জানিনে কিনা।

    সমস্ত প্রেম-অপ্রেম,আমাদের রোজকার ঝড় ঝাপটা যা কিছু আমরা একসাথেই সয়েছি সব বুকের ভিতরে গুছিয়ে রেখে বলছি,
    ‘তোমায় তুমুল ভালোবাসি’।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ নভেম্বর ২০১৪ | ৯১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শুভ | 127.248.138.199 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:২৫73354
  • যথারীতি দারুন, কোন কথা হবে না
  • AS | 125.187.57.112 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:৩৮73355
  • একই কথা দারু ণ
  • | 24.97.74.102 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:০১73356
  • ঃ-'(
    ঃ-(
    ঃ-)
    :-D
  • I | 120.224.200.30 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:০৫73357
  • চিকেন সুপ তো দিব্য খেতে! তার ওপর সায়ন্তিকা বানিয়ে দিলে তো ঢক ঢক করে খেয়ে নেবো। চিকেন সুপের ওপরেই থাকবো।
  • Arindam Bhattacharya | 213.132.214.156 (*) | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ১০:১৪73358
  • "যৎকিঞ্চিত" পড়তে বেশী আনন্দ পাই!
  • Arindam Bhattacharya | 213.132.214.156 (*) | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ১০:১৬73359
  • তবে হাসমত "যুগ যুগ জিও"! ঃ)
  • de | 24.139.119.171 (*) | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ১১:৩৩73360
  • খুব ভালো!
  • Pubদা | 209.67.140.46 (*) | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:০৪73361
  • দারুন লাগল - সব কটাই :)
    - তবে শেষটা পড়ে মনে হল - আগেও যেন কোথায় পড়েছিলাম !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন