এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যৎকিঞ্চিত ... ( তিরিশতম পর্ব)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ জানুয়ারি ২০১৫ | ৯৯০ বার পঠিত
  • নিউ ইয়ার রেজোলিউশন আদতে এক ধরণের ইলিউশন।সেইটে এ বছর আরেকবার বুঝলাম। বছরের শুরুতে দেখলাম সব্বাই নতুন বছরের রেজোলিশন করছে।যে শুভ আপিস ফেরতা রোজ বারে না ঢুকে বাড়িই ঢুকতে পারেনা তাকেও দেখলাম রেজোলিউশন করছে যে এ বছর বারে ক্যানো বারের ধারে কাছেই যাবেনা।
    আমি জিগালুম,
    ‘হ্যাঁরে শুভ,এটা কি তোর অশুভ রেজোলিউশন হচ্ছে না? মানে,দুনিয়াশুদ্দু লোক যখন জানে যে সিগনেচার আর শার্ক ট্রুথের অন্তত দুটো করে লোকের বেতন তোর পকেট থেকে যায়’।
    শুভ কাতর চোখে আমার হাতদুটো ধরে বলল,
    ‘নারে ভাই।আর নয়।দশ বছর ধরে মদ খাচ্ছি।বিশ্বাস কর,পবিত্র জনি ওয়াকারের দিব্যি কেটে বলছি যে মদ খেতে একটুও ভালো লাগেনা’।
    ‘তাহলে খাস ক্যানো?’, আমার জিজ্ঞাসা।
    ‘আহা।মদ খাওয়ার পর ভালো লাগে যে।নিজেকে আপিসের বস মনে হয়, সাত বছরের পুরোনো বউকে অনুষ্কা শর্মা মনে হয়,শ্বশুরকে রাজা হরিশ চন্দ্র মনে হয়...’
    ঘ্যাঁচ করে কানের কাছে একটা রিক্সা ব্রেক না কষলে শুভ নিজের মনে হওয়ার লিস্টিটা কোথায় থামাতো তা বোঝা মুশকিল।
    সেই শুভকেই কদিন আগে দেখলাম হাতে দুটো বোতল নিয়ে শনিবার সন্ধেতে বাড়ি যাচ্ছে।পথ আটকে চোখ পাকিয়ে জিগালুম,
    ‘হ্যাঁরে শুভ,তুই যে রেজোলিউশন নিয়েছিস যে মদ খাবিনা’।
    অংকের মেধাবী ছাত্র শুভ থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে বলল,
    ‘না ভাই, তোর এট্টু ভুল হচ্ছে আমি রেজলিউশন নিয়েছিলাম যে বারে যাবোনা’, তারপর হাতের বোতলদুটো তুলে সগর্বে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
    ‘হুঁ বাবা।আমরা বরিশালের লোক।ওয়ার্ড অব অনার বলে একটা কথা আছে।সেইটে আমাদের জন্যেই ডিকশনারিতে এয়েছে।বারে যাবোনা বলেছি তো যাবোনা।এই দ্যাখ কাউন্টার থেকে কিনে আনলুম।বারের পথ মাড়াইনি।দেড় কিমি ঘুরে বাড়ি ফিরছি’।

    এই বলে দিব্যি হাসিমুখে হাঁটা দিল।আমি বোকার মতন দাঁড়িয়ে বুঝলুম যে রেজোলিউশন টা আদতে ইলিউশনই।
    আম্মো বছর দুয়েক আগে একবার রেজোলিউশন করেছিলুম যে আর তেলেভাজা খাবোনা।তাপ্পর শ্যামলের কি সন্টুর দোকানের সামনে দিয়ে গেলেই মন উচাটন হত।বিশাল কড়াই থেকে যখন পেঁয়াজি আর চপগুলো উঠে আসতো তখন মনে হত যেন ভেজা সাদা শাড়িতে জিনাত আমন উঠে আসছেন।
    এই বিরহপর্ব দিন তিনেক চলেছিল তারপর শ্যামলের দোকানে গুচ্ছের চপ বেগুনি খেয়ে নিজেকে আবার জাতে ফিরিয়ে আনি।

    সেদিন সকালে বেশ ঠান্ডা পড়েছিল।এক কাপ চা দরকার ছিল।সায়ন্তিকা টেবিলে কি লেখালিখি করছিল।চায়ের ফরমাস করাটা কতটা বিপদজনক হতে পারে ভাবছিলাম।আচমকা কদিন আগে একটা লরির গায়ে লেখা লাইন মনে পড়লো।সায়ন্তিকার পাশে একটা চেয়ার টেনে বসে বেশ রোমান্টিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,
    ‘মেয়েতো অনেক দেখেছি কিন্তু তোমার মতন সুন্দরী দেখিনি’।
    সায়ন্তিকা খাতাটা বন্ধ করে বলল,
    ‘বাটার অ্যাক্সেপ্টেড।এবার বলো কি চাই?’
    ‘ইয়ে,মানে এক কাপ আদা-চা।গলাটা ধরেছে কিনা’।
    চা এল মিনিট পাঁচেকে।প্রথম চুমুকটা দিয়েছি।সায়ন্তিকা খাতা পেন তুলে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে ঘাড়টা ঘুরিয়ে বলল,
    ‘আর হ্যাঁ, ওই ‘মেয়েতো অনেক দেখেছি’ কথাটার ব্যখ্যাটাও নেবো কিন্তু পরে’।
    পরের চুমুকের আগেই বিষম খেলুম।কপালে কষ্ট আছে।

    আমার ভাই অর্ক কদিন আগে বাড়ি ফিরে বলল,
    ‘দাদা, ভেবে দেখলুম বাংলা গানগুলো বড্ড আনসায়েন্টিফিক।কেউ কোনো টাইম টেবিল মানেনা’।
    কিরকম?’
    ‘এই দ্যাখো,বাড়ি ফেরার পথে দেখলাম নিমতলার মোড়ে গান বাজছে ‘আজ বিকেলের ডাকে তোমার চিঠি পেলাম’।গায়িকা বেশ আনন্দে গাইছেন’।
    তা এতে আপত্তির কি আছে? বিকেলের ডাকে কেউউ চিঠি পেতেই পারেন’।আমার উত্তর।
    ‘আরে দাদা।গানে যে গুচ্ছের ভুল জায়গা।প্রথম,বিকেলের ডাকে উনি কি করে চিঠি পেলেন?মানে কটার সময় পেলেন? বিকেল পাঁচটার আগে না পরে? পাঁচটার পরে হলে কোন পোস্টাল কর্মী তাকে চিঠি দিলো? দিয়ে থাকলে তো ওভার ডিউটির জন্য প্রাইজ দেওয়া উচিত।তারপরে ধরো,বোঝাই যাচ্ছে যে চিঠিটা উনি পড়েন নি।না পড়েই আনন্দে গাইছেন যে আজ বিকেলের ডাকে চিঠি পেলেন।এবার চিঠিটা কিসের সেটা তো জানতে হবে।যদি ইন্সুরেন্স ম্যাচিউর হওয়ার খবর হয় তাহলে ভালো কিন্তু যদি ইন্টারভিউতে বাতিল হওয়ার খবর আসে কি বন্ধুর বড় চাকরি পাওয়ার খবর আসে তাহলেও কি এত আনন্দ হবে? না জেনে বুঝে গান করলে যা হবে?’
    আমি হাঁ করেই বললুম,
    ‘হ্যাঁ,তাতো বটেই’।
    ‘তারপর দেখো গান রয়েছে ‘এক বৈশাখে দেখা হল দুজনার,জৈষ্ঠ্যতে হল পরিচয়’।মাসে একবার করে দেখা? এরা কি রেকারিং ডিপোজিট? অবশ্যি এদের দোষ দিয়েই বা কি হবে খোদ কবিগুরুই তো ভুলের পালা লিখেছেন’।
    কবিগুরু মানে রবীন্দ্রনাথ??? আমার চোখ কপালে উঠছিল।
    ‘হ্যাঁ। না হলে আর বলছি কি।তিনি লিখলেন, ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙ্গলো ঝড়ে’। কি ভুলভাল লাইন বলো দিকিনি।ঝড়ে দরজা ভাঙ্গলো আর জানালাগুলো কি সানি দেওল যে কিস্যু হলনা।তাছাড়া যে ঝড়ে দরজা ভাঙ্গে তার আগাম পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জারি করেছিল কিনা সেটাও জানা দরকার ছিল।কার বাড়ির কটা দরজা জানালা ভাঙ্গলো এবং তা নিয়ে বিধানসভায় বিরোধীদল চ্যাঁচামেচি করেছিল কিনা এগুলোও জানা হলনা’।
    আমার হাঁটা আরেকটু বড় হল।লজিক্যাল আর্গুমেন্টের বইটা অর্কের টেবিল থেকে সরাতে হবে দেখছি।
    আমার এক শ্যালিকা আছেন।মানে সায়ন্তিকার বোন।নাম কেয়া।কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী।অতিশয় পাকা। সেদিন কথা প্রসঙ্গে বলল,
    ‘রাণাদা,বাবা যে তোমাকে হাতির সাথে তুলনা করে সেটা একদম ঠিক কথা নয়’।
    আমি বেশ উৎসাহিত হলুম।‘ ঠিক বলেছিস।আমি মোটা মানছি তবে কি হাতির মত মোটা? মানে আমি কি এতটাও মোটা?’
    কেয়া ফিচকে হাসি হেসে বলল,
    ‘না । তোমাকে মোটেই হাতির মত মোটা বলা যেতে পারেনা।খুব বেশি হল বিপিএল তালিকাভুক্ত হাতি বলা যেতে পারে’।

    সায়ন্তিকার বাবার কথাই বা বাদ থাকে ক্যানো।সেদিন সকালে সায়ন্তিকার বাবা নিমতলার মোড়ে দাঁড়িয়ে সেদিন পাশের একটা লোকের সাথে কথা বলছিলেন।
    ‘একটা মেয়ে খুঁজে দিতে পারেন।খুব বয়স হলে চলবেনা’।
    ‘কার লাগবে?’ পাশের লোকটার জিজ্ঞাসা।
    সায়ন্তিকার বাবা হেসে বললেন,
    ‘আমারই।আগেরটা তো টিঁকলো না। আর সামলানো যাচ্ছেনা বুঝলেন।খুব দরকার’।
    আমি হাঁ করে ফেলছিলাম।অ্যাঁ...এই বয়সে এইসব।আর থাকতে পারলুম না। এগিয়ে গিয়ে বললুম,
    ‘ছিঃ কাকু।আপনার মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে গেলো আর আপনি নিজের জন্য মেয়ে খুঁজছেন।তাও এই প্রকাশ্যে নিমতলা মোড়ে দাঁড়িয়ে।ধিক্কার’।

    একটু জোরে বলা হয়ে গিয়েছিল।আশেপাশের কটা লোক তাকালো।সায়ন্তিকার বাবা আর পাশের লোকটা বেশ হতভম্ব হয়ে গেল।একটা ন্যাক্কারজনক ব্যাপার সামনে এনেছি বলে খুব আনন্দ হল। ওদের উত্তর দিতে না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলাম।
    সেদিন সন্ধেবেলা চার পাঁচবার রিং করা সত্ত্বেও সায়ন্তিকা ফোন ধরলোনা।ছবারের বেলায় ফোন ধরাতে আমি উত্তেজিত হয়ে সকালের খবরটা দিতে যাবো কি সায়ন্তিকা ঠান্ডা গলায় বলল,
    ‘আমাদের বাড়িতে কাজের মেয়ে মাসে সতেরো দিন কামাই করাতে বাবা তাকে ছাঁটাই করে ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তরে টেনে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।নতুন কাজের মেয়ের খোঁজে নিমতলা মোড়ে একটা লোকের সাথে কথা বলছিলেন যেখানে তুমি তোমার উন্নত মাথার পরিচয়টা দিয়েছো।
    আর হ্যাঁ,বাবা বলেছে এ বাড়িতে ঢুকলে বাবা তোমাকেই বলি দেবে’।

    গত ডিসেম্বরের শেষ দিক।ইস্কুলে পরীক্ষা শেষ।রেজাল্টের কাজ চলছে।ছেলে মেয়েরা নেই। ইস্কুল বাড়ীটা খাঁ খাঁ করছে।আচমকা কটা বাচ্চা অফিসের মধ্যে উঁকি দিলো,
    ‘সার,ফুটবলটা দে।খেলবো’।
    আমার পিওন জিজ্ঞাসা করলেন,
    ‘তোমরা কি আমাদের ইস্কুলে পড়ো?’
    কালো দীঘল চোখের যে ছেলেটা লিডার মনে হল,সেই এগিয়ে এসে বলল,
    ‘এব্যার ভর্তি হবো জি’।তারপরে অবলীলাক্রমে ঢুকে ফুটবলটা নিয়ে চলে গেলো।
    তারপর ওরা রোজই আসতো।তিনটে অব্দি খেলতো তারপরে ফুটবলটা জমা দিয়ে বাড়ি চলে যেতো।বেশ আলাপ হয়ে গিয়েছিল ওদের সাথে।

    এরপরে এবছর ভর্তি শুরু হল।শুরুর দিকটা বেশ ঝামেলা থাকে।এবারও তাই হল।যারা খেলতে আসতো তারা সকলেই প্রায় ভর্তি হল।
    ক্লাস শুরু হয়েছে।আমার জানালার নীচে একটা মুখ উঁকি দিলো,
    ‘সার ফুটবলটা দেন।খেলবো’।
    তাকিয়ে দেখি সেই কালো দীঘল চোখের ছেলেটা যে আগে ফুটবল নিতে আসতো।
    ‘কিরে,তুই ভর্তি হোসনি?’
    চোখটা নামিয়ে সে জানালো যে না।
    ‘ক্যানো?’, আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
    ছেলেটা মাথা নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো।আমি অফিসে ডেকে পাঠালাম।খালি পা।গায়ে একটা ছেঁড়া সোয়েটার।কালো রোগা একটা ছেলে।নাম বিক্রম প্রামানিক।
    জিজ্ঞেস করে জানলাম যে তার আপাতত ভর্তি হওয়ার টাকা নেই।বাবা বাইরে কাজে গিয়েছে।না ফিরলে ভর্তি হওয়া হবেনা।এদিকে বন্ধুরা সব ভর্তি হয়ে গেছে।বেচারি বিক্রম একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    আমি ওর মাকে ডেকে আনিয়ে ফ্রিতে ভর্তি করে নিলাম।হাতে চারটে বই নিয়ে উজ্জ্বল মুখে বিক্রম ক্লাসে গেলো।টিফিনে ফুটবলটা লাগবে সেটাও জানিয়ে গেলো।
    ওর মা বারবার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন। নিজের অপরিসীম দারিদ্র্যের কথা বলতে গিয়ে তার চোখে জল আসছিল। আমারও।
    আমি খানিক চুপ করে বসেছিলাম।সর্বশিক্ষার নিয়মে এদের ভর্তির জন্য আমরা কোনো টাকা নিতে পারিনা।তাও স্কুল চালানোর জন্য কিছু নিতে হয়।সেটাও অনেকে দিতে পারেন না।

    স্কুলে ভর্তি হওয়াটা বিক্রমের অধিকার।আমার দাক্ষিণ্য না।

    অথচ গরিবের কাছে কি সহজে মহান সাজা যায়। তাই না?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ জানুয়ারি ২০১৫ | ৯৯০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:০২69057
  • এবারে একটা নতুন শব্দ শিখেছি ঐ নিউ ইয়ার্স রেজোলিউশানের বাংলা। শব্দটা হল 'ভাঙ্গীকার' অর্থাৎ কিনা ভঙ্গ করার জন্য যে অঙ্গীকার।

    হ্যাঁ আমাদের দেশের বেশ বড় সংখ্যাক মানুষকেই বড় অল্পেতে খুশী করা যায়। :-(
  • সিকি | 131.241.127.1 (*) | ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:০৪69058
  • :)

    রাণা, শুভ জন্মদিন। খুব খুব ভালো থাকিস, বয়েসটা যেন না বাড়ে, খেয়াল রাখিস - ভুঁড়ি বাড়ুক, ক্ষেতি নেই।
  • aranya | 154.160.130.91 (*) | ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:১৫69059
  • রাণার লেখা পড়তে বসলেই চোখ ভিজে যায়, শেষ দিকে এসে
  • aranya | 154.160.130.91 (*) | ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:১৭69060
  • এই ছেলেটা একটা অ্যাসেট
  • Ishani | 69.92.197.92 (*) | ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:৫৪69061
  • রাণার লেখাপত্তর নিয়ে আজকাল মন্তব্য করাই ছেড়ে দিয়েছি |
  • ranjan roy | 24.99.138.88 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৫:৪৮69064
  • নববর্ষের কামনাঃ
    আপনার মন ও দেখার চোখ ঠিক এরকমই থাকুক!!!
  • arindam | 213.99.211.132 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৪৯69062
  • শুভ নববর্ষ, রাণা ! ভাল থাকুন ! আর আমাদের মত গরীবদের কাছে আপনার এই সোনার দান চির অক্ষয় হয়ে থাকুক! ঃ)
  • de | 69.185.236.53 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:০৬69063
  • দারুণ!! অ্যাজ ইউজুয়াল!
  • kiki | 125.124.41.34 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৫:০৭69065
  • খুব সুন্দর
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৫:১১69066
  • রাণা যেটা করছে, হত দরিদ্র অঞ্চলে বাচ্চাদের পড়ানো, স্কুল চালানো -এটা যে কত দরকারী একটা কাজ ..
    হ্যাটস অফ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন