এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যৎকিঞ্চিত... (২৬ তম পর্ব)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৮ জুলাই ২০১৪ | ৯৫৮ বার পঠিত
  • বহরমপুরে বাস স্ট্যান্ডের কাছে ফেমাস সার্কাস এসেছে।তা নিয়েই সন্ধেবেলা সায়ন্তিকাদের বাড়িতে আলোচনা হচ্ছিল।সায়ন্তিকা’র বাবা অফিস থেকে ফিরলেন এবং আমাকে দেখে অ্যামন মুখ করলেন যেন বারাক ওবামার মেয়ের সাথে পুতিনের ছেলে ইলোপ করেছে।তারপর বললেন,
    ‘আরে তুমি এখানে?’
    আর ঠিক কোথায় থাকা আমার উচিত ছিল তা কিন্তু সত্যিই জানা ছিল না( যদিও সুহৃদ দের মতে লুম্বিনী’ই আমার আসল জায়গা),তাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জিজ্ঞেস করলুম,
    ‘ক্ক্যানো বলুন তো?’
    ‘না,বাইরে শুনলুম যে ফেমাস সার্কাসের হাতি’টাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা’।অম্লান বদনে বললেন সায়ন্তিকা’র বাবা।
    শারদ্বত কে তো বোধহয় অনেকেই চেনেন।যাদবপুরের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র শারদ্বত ইতিমধ্যেই লেখালেখি’র জগতে নিজের এলেম দেখিয়েছে।তা হতভাগা রঘুনাথগঞ্জে বেড়াতে এসেছিল।সেখানে আমার সাথে দেখা হল।ওর মতে আমি নাকি মোটাই নই।অন্তত হাই বা জলহস্তী বলে নিজেকে ক্লেম করার মত কোনো যোগ্যতাই আমার নেই।আমার আগেই সন্দেহ ছিল যে শারদ্বতের চোখ খারাপ।তা আবার প্রমাণিত হল।তার উপরে ব্যাটা রঘুনাথগঞ্জে এসে বাদল চন্দ্র ঘোষের দোকানে মিষ্টি খায় নি।শুনে আমার কি রাগ হল।অভিশাপ দিয়ে বললুম
    ‘রে পাতকী,আগামী জন্মে এই অপরাধে তুই তৃণমূল হয়ে জন্মাবি’।
    মোটাকে মোটা হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া সাংবিধানিক অপরাধ।এই তো কদিন আগে স্কুলের ইউরিনাল গুলো পরিষ্কার করার জন্য একজন মেথর খুঁজছিলাম।আমাকে যে ভ্যানে করে নিয়ে আসে,তার নাম মুকুল।একটা হাত কনুই থেকে কাটা।মুকুল কেও বলেছিলাম যে কাউকে পেলে স্কুলে পাঠিয়ে দিস।অফিসে বসে কাজ করছি।অ্যামন সময় শুনতে পেলাম বাইরে কেউ একজন বলছে,
    ‘ইখানে মুটা মাস্টার কে আসে?’
    মিড ডে মিলের রান্না করেন যিনি,সেই মহিলা উত্তির দিলেন,
    ‘মুটা ইখানে একডাই আছে।সিটা হল হেডমাস্টার।ভিতরে যাও’।
    চুপ করে শুনলাম।ফেরার পথে মুকুল জিজ্ঞেস করলো,
    ‘সার,লোকডা গিয়াসিলো?’
    আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।তা তুই আমার নাম বলিস নি ক্যানো?’
    মুকুল দাঁত বের করে হেসে বলল,
    ‘আরে মাস্টার।তুমার নাম মুনে পড়সিলো না।তাই শ্যাষে বুললাম যে ইস্কুলে অ্যাকডা মুটা মাস্টার আসে,সিটাই হেড মাস্টার’।
    আমি আবার চুপ করেই রইলাম।এরপরেও যদি শারদ্বত বলে যে আমি মোটা নই,তাহলে কি ওকে খান চারেক গাট্টা মারা উচিত নয়?
    সায়ন্তিকা’র সাথে ঈদের বাজার করতে গিয়েছিলাম। অঞ্জলি জুয়েলার্স দিয়ে যাওয়া শুরু হল,তারপর খান দুয়েক কাপড়-চোপড়ের বহুতল দোকান।এই দুটো লাইন পড়েই একটা ইস্কুল মাস্টারের কি হাল হতে পারে তা আপনাদের আন্দাজ করে নেওয়া উচিত।
    দোকানদারদের একটা কমন স্ট্র্যাটেজি আছে।সায়ন্তিকা ঢুকলেই বোধহয় ওরা গন্ধ পান যে বড় খদ্দের এসে গেছে।বিগলিত হয়ে অ্যামন ভাব করেন যে গোটা দোকানটাই সায়ন্তিকা’র।আর তারা তো নিমিত্ত মাত্র। অঞ্জলি জুয়েলার্সের সেলসম্যান ছেলেটাতো বড় হয়ে পাক্কা ধীরুভাই আম্বানী হবে।অ্যামন ভাবে কথা বলছিল যে মনে হচ্ছিল দোকানের প্রত্যেকটা গয়নাই সায়ন্তিকা’র জন্য তৈরী হয়েছে।এবং সেটা না কেনা একান্তই মুরতাদ,মোনাফেকের কাজ।এদিকে সায়ন্তিকা অ্যাকাডেমিকসে অ্যাতো ব্রিলিয়ান্ট হলে কি হবে গয়নার সামনে সেই চির পরিচিত ভারতীয় নারী। আমি নিজের মত করে তত্ত্ব খাড়া করছিলাম,
    ‘এই যে গয়না দেখছো।সবই কিন্তু শেকলের প্রতিরূপ।আধুনিক নারী হিসেবে এসব সেকেলে পুরুষতান্ত্রিক সংস্কার তোমার কি বর্জন করা উচিত নয়?’
    সায়ন্তিকা ভুরু তুলে তাকালো,ঠিক যেভাবে বুনো মেঘ শহুরে কার্নিশ ছুঁয়ে যায়,
    ‘সেকেলে পুরুষতান্ত্রিক সংস্কার সবই যদি ঝেড়ে ফেলবো তাহলে শুধু গয়না ক্যানো? বিয়ের পর আমি তোমার বাড়ি যাবোনা।তুমি আমার বাড়ি আসবে তো?’
    আমি আবার চুপ।এত সত্যি কথা এত সহজে বলতে আছে সায়ন্তিকা?
    ঈদের ছুটির আগে আমার স্কুলে একটা ছোট্ট অনুষ্ঠান হয়েছে।সেখানে অন্যান্য কিছুর সাথে ছাত্র-ছাত্রীরা লিখে জমা দিয়েছে যে তারা বড় হয়ে কি হতে চায়।তাদের কাঁচা হাতে লেখা স্বপ্নগুলো আপাতত আমার সামনে।সেগুলোই কয়েকটা তুলে ধরছি।
    ক্লাস ফাইভের চায়না খাতুন লিখেছে সে বড় হয়ে পুলিশ হতে চায় যাতে সে সবাইকে জব্দ করতে পারে।
    সামিমা,মজিরুন,সাকিনা এরা সবাই পড়াশোনা করতে চায়।
    ক্লাস ফাইভের অর্চিতা’র ভালো লাগে ফুলের গাছ লাগাতে।সে বড় হয়ে আরো ফুলের গাছ লাগাতে চায়।
    এবাদুল পুলিশ হয়ে দেশকে রক্ষা করতে চায়।
    চোখ আটকে গেল সমু মাঝি’র লেখায়।এই দস্যিটা লিখেছে সে বড় হয়ে ইংরেজি সার’এর মত হতে চায়।আমার মতও তাহলে কেও হতে চায়।হাসি পেলো।
    ক্লাস সেভেনের শংকু মাঝি লিখেছে সে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়।থামলাম।শংকু প্লাস্টিক কারখানায় লেবার খাটে।
    ক্লাস ফাইভের বিচ্ছু সনকা মাঝি লিখেছে যে তার খেলতে খুব ভালো লাগে।সে বড় হয়ে খেলতে চায়।
    ক্লাস সেভেনের উম্মে সালমা লিখেছে যে সে বড় হয়ে শিক্ষিকা হতে চায়।প্রসঙ্গত,এই মেধাবিনী মেয়েটি’র বিয়ে কিছুদিন আগে আমরা আটকেছি।
    ক্লাস সেভেনের নূরিমা কি লিখেছে সেটা একটু জানা দরকার।
    ‘আমি বড় হয়ে ডাক্তার হবো।ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষকে বাঁচাবো।এখন যারা ডাক্তারি করছে তারা অসহায় মানুষকে বাঁচায় না।কারণ অসহায় মানুষেরা টাকা দিতে পারেনা।তার জন্য অসহায় মানুষগুলো মরে যায়।কিন্তু আমি যদি ডাক্তার হই তাহলে নিজের জান দিয়ে ওদের বাঁচাবো’।
    আমার কিছু বলার নেই।
    ক্লাস সেভেনেরই সীমা লিখেছে যে সে বড় হয়ে অনেক দূর অব্দি পড়তে চায়।তেরো-চৌদ্দ বছরে বিয়ে হওয়া যেখানকার মেয়েদের নিয়তি সেখানে এই ইচ্ছে কতদূর সফল হবে কে জানে।
    কুশ মাঝি লিখেছে যে সে তাড়াতাড়ি বড় হয়ে কিছু করতে চায় কারণ তার বাবা ভ্যান চালায় খুব কষ্ট করে সেটা সে দেখতে পারেনা।
    ক্লাস সিক্সের বিশু রবিদাস লিখেছে সে বড় হয়ে পুলিস হয়ে যারা মদ-গাঁজা খায় তাদের ধরে পেটাতে চায়।
    সাদা কাগজে কাঁচা অক্ষরে অনেক গুলো স্বপ্ন এঁকেছে ছেলে মেয়েরা।একটা খুব দারিদ্রপীড়িত এলাকায় চাকরি করি।এখানে ছেলেরা একটু বয়স হলে গ্যারেজে,প্লাস্টিক কারখানায় আর বাইরে লেবার খাটতে যায়। পনেরোয় পা দেওয়ার আগেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়।আমার স্কুলে যারা পড়ে তাদের নিরানব্বই শতাংশের বাড়িতেই কোনোরকম শৌচালয় নেই।স্বচ্ছ পানীয় জলের সোর্স নেই। বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে স্কুলে না এলে দুবেলা ভাত খেতে পায় না।তার মাঝে এই ছেলে মেয়েরা যখন এতগুলো স্বপ্ন দ্যাখে তখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়।কারণ আমি জানি যে এদের অধিকাংশের কি পরিণতি হতে চলেছে।
    ক্লাস সেভেনের মুসলিমা খাতুন।একরত্তি মেয়ে।পড়াশোনায় খুব ভালো।লিখেছে।
    ‘আমি বড় হয়ে শিক্ষিকা হতে চাই।কারণ আমার পড়তে খুব ভালো লাগে।কিন্তু আমি জানি আমার এ ইচ্ছা কোনোদিনই পূরণ হবেনা’।
    কাগজ টা হাতে নিয়ে অনেক ক্ষণ চুপ করে বসেছিলাম।মুসলিমাদের বাড়ি আমি গেছি।ওদের সাকুল্যে একটাই ঘর।কারেন্ট নেই।ওর বাবা জমিতে খাটেন।দুই বোন।
    মনে হয় যেন একটা কসাইখানাতে চাকরি করে।চোখের সামনে বাচ্চা গুলো বড় হচ্ছে।কেউ ডাক্তার ,কেউবা শিক্ষক হতে চায়।কেউ চায় মানুষ হতে।আর আমি আগাম জানি এদের অধিকাংশের কপালে কি আছে।
    সব কিছুতেই হো হো করে হাসি বলে আমার বদনাম আছে।আয়নার সামনে রোজ একবার করে দাঁড়াই।জমানো মন খারাপ গুলো মনে পড়ে।এরপর থেকে অনেক কিছুর সাথে মুসলিমা’র কথাটাও মনে পড়বে।আয়নার চোখে চোখ রেখে বলবো,
    'I am the Happy Prince.'
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৮ জুলাই ২০১৪ | ৯৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • amolkanti | 140.164.63.111 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৪ ০৫:৪৮74542
  • বহরমপুর এর ছেলে । কিন্তু আপাতত অনেক দুরে থাকি । আপনার লেখা গুলো বড্ড মন ছুয়ে যায় । লিখতে থাকুন। আর বাচ্চা গুলো কে লেখাতে থাকুন ।
  • suman | 144.197.40.83 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৪ ০৭:০২74543
  • রানাদা আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। গুরুতে মাঝেমাঝেই ঢু মারি আপনাদের লেখা পড়ার জন্য। অনেকদিন পর আপনি লেখা দিলেন। ভেবেছিলাম খুব মজার কিছু থাকবে কিন্তু মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। বাস্তবটা বরই রুক্ষ।
  • suman | 144.197.40.83 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৪ ০৭:০৬74544
  • রানাদা, আপনার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে আছে। আপনার ইমেইল আইডি দিতে পারেন?
  • Abhyu | 141.220.2.65 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৪ ০৭:২৩74545
  • রানার ডাইরি পড়ব বলে মুখিয়ে থাকি। শ্বশুরমশাই ভালো আছেন আশা করি। অনেকদিন পরে লিখলেন।
  • | 24.97.47.100 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৪ ০১:০৭74547
  • ঈদ কেমন কাটালেন সেটা লিখবেন কিন্তু রানা। আগেও বলেছি আপনার হল্কাচালে লেখা তরতরে ব্লগগুলো একেবারে ভেতরে নাড়িয়ে দিয়ে যায়।
  • sosen | 111.63.235.39 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৪ ০১:৪০74548
  • রানার লেখাতে যে মানুষগুলোর কথা তাদের খুব ভালো করে চিনি। পড়ি, চেনা মানুষের কথা পড়ার আগ্রহ নিয়ে।
  • de | 24.97.171.31 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৪ ০২:১৯74549
  • রানা,

    ঈদের অনেক শুভেচ্ছা!! খুব ভালো থাকুন আর আরো লিখুন। কোনভাবে যদি এই বাচ্চাগুলোর পাশে দাঁড়ানোর কোন যৌথ প্রয়াস করেন, জানাবেন, দূর থেকে যতটা সাহায্য করা যায়, চেষ্টা করবো।
  • Arpan | 125.118.75.47 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৪ ০২:২৪74550
  • রানা, ঈদের শুভেচ্ছা রইল। এই বাচ্চাগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন জানাবেন। কৃতজ্ঞ থাকব।
  • Arpan | 125.118.75.47 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৪ ০২:২৫74551
  • দুঃখিত, ওটা "কীভাবে সাহায্য করতে পারি" হবে। ঃ(
  • Rana Alam | 113.24.111.135 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৪ ১২:৫৯74546
  • আমাদের গ্রুপেরই একটি ছেলে সৈয়দ ইয়াসির আরাফাত যে আমার নিজের ছোটো ভাই এর মত ছিল,গত মাসের শেষ সপ্তাহে তার অকাল মৃত্যু ঘটেছে।আমার পক্ষে বিষয়টি মেনে নেওয়া যথেষ্ট শক্ত এখনও।নিজেকে গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না। তাই এত দেরি হল।

    আমার মেল আইডি [email protected]
  • শিবাংশু | 127.197.254.177 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৫74552
  • বাহ, শুভেচ্ছা...
  • Rana Alam | 113.24.111.218 (*) | ০৩ আগস্ট ২০১৪ ০৩:৩৫74553
  • ঈদের শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ।আপনাদের সবাইকে সিমাই খাওয়াতে পারলে ভালো লাগতো। আর আমার ছেলে মেয়েদের সাহায্য করতে চাইছেন এটা সত্যিই খুব খুশীর খবর।

    আমি একটা ছোটো লাইব্রেরি করেছি।তাতে আরও কিছু বইপত্তর পেলে ভালো হয়।হাজার পাঁচেক টাকার বই কিনেছি তবে তা পর্যাপ্ত নয়। আরও কিছু খেলার সরঞ্জাম পেলে ভালো হয়।বিশেষ করে মেয়েদের জন্য।

    তবে সব থেকে জরুরী হচ্ছে যদি আমায় কেউ অ্যামন কোনো আবাসিক স্কুলের সন্ধান দিতে পারেন যেখানে ছেলে-মেয়েদের কম খরচে বা বিনা খরচে রেখে পড়ানো সম্ভব।

    এদের এখান থেকে বের করতে না পারলে কোনোভাবেই কিছু করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৪ ০৪:১২74554
  • রানা-র লেখা পড়লে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে
    এত কিছু করা দরকার...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন