এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.181.19 (*) | ১২ জুন ২০১৬ ০২:০১55373
  • অনেকদিন বাদে লিখলেন।

    এমনি ফাঁকিবাজ শিক্ষিকা এত বেশী দেখেছি আমাদের ভাগাড়পাড়া স্কুলে ... আমাদের বড়দিমনির ঘরে লাইব্রেরী হিসেবে দুটো নাকি তিনটে বড় বড় কাঠের আলমারী ছিল বই ভর্তি, তালাবন্ধ। কোনোদিন সেসব বই কোনো ছাত্রী চোখেও দেখেনি। প্রতিবার কিন্তু লাইব্রেরী খাতে কিছু টাকা আসত নিশ্চয়, কারণ প্রতিবার বার্ষিক পুরস্কার বিত্যরণীর আগে লাইব্রেরীর জন্যও কিছু বই কেনা হত।
    আমি কিছু বই পড়েছি কারণ আমার মা ঐ স্কুলের কর্মী ছিলেন। আমাদের কোনও লাইব্রেরী ক্লাস ছিল না, কাজেই অন্য ছাত্রী যাদের কেউ স্কুলের সাথে কোনোভাবে যুক্ত নয় তারা কেউ বই পেত না।

    সেই একই গপ্পো এখনও চলছে আর কি।
  • চণ্ডিকাপ্রসাদ ঘোষাল | 233.29.204.2 (*) | ১৩ জুন ২০১৬ ০১:৩৩55374
  • মাহফুজ আলম সাহেবের লেখাটি পড়ে কিছু বলার তাগিদ উপেক্ষা করতে পারলাম না। স্কুলশিক্ষা নিয়ে একটি বাংলা দৈনিকে মাঝে মাঝে লিখে থাকি। তাতে কোথাও কিছু এসে যায় বলে মনে হয় না। শিক্ষা যে বেসরকারিকরণের দিকে গড়গড়িয়ে এগিয়ে চলেছে, সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই।
    প্রাক-গ্রীষ্মাবকাশটি বেশির ভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকা যে খুব উপভোগ করেছেন, সন্দেহ নেই তায়। যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা ক্লাস চালানোর নানা উপায় বাতলে দেবার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের সাহস ও উদ্যম অবশিষ্ট রয়েছে, একথা মানতেই হবে। ক্লাস না থাকলে নাকি শিক্ষকদের স্কুলে আসা অর্থহীন। যাঁরা এই ধারনা পোষণ করেন, তাঁদের বোধ-বুদ্ধি নিয়ে নয়, অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত।
    আমি যেস্কুলে শিক্ষকতা করি, সেখানে একটি অসাধারণ, পুরোনো গ্রন্থাগার রয়েছে। ৯৮% শিক্ষক-শিক্ষিকা সেই গ্রন্থাগারের একটি বইয়েরও নাম বলতে পারবেন না। কারণ, বইপত্রের সঙ্গে তাঁদের কোন সম্পর্কই নেই। হ্যাঁ, আছে, প্রকাশকের পাঠানো নমুনা কপিগুলোর সঙ্গে। দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকা লাইব্রেরিটির তদারকি করেন। কোন গ্রন্থাগারিক নেই। অবশ্য থাকলেও কিছু উপকার হত বলে মনে হয় না। ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার উদ্যোগে লাইব্রেরি ক্লাস চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বেশিরভাগ সহকর্মীর মতে, এটা ফাঁকিবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। লাইব্রেরি ক্লাস তুলে দেওয়া হয়েছে।
    ওই দুজনের উদ্যোগেই পড়ুয়াদের ইংরেজি শেখানোর জন্য একটি প্রতিস্ঠানের অর্থ সা্হায্যে অডিও-ভিশ্যুয়াল ক্লাসরুম গড়ে উঠেছে, কোনওরকম সরকারি সাহায্য ছাড়াই। সেটি নিয়েও অন্য অনেক সহকর্মীর গাত্রদাহ চরমে। স্কুলের ১৮৭-বছরের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য এঁরা দুজন মিলে গড়ে তুলেছেন একটি সংগ্রহশালা। সেটিও তুলে দেবার জন্য রাজনৈতিক কলকাঠি নেড়ে চলেছেন কিছু শিক্ষক।
    মূল সমস্যা হল, ৬০% শিক্ষক তাঁদের বিষয়টি জানেন না। শিক্ষকের ভূমিকা, আচার-আচরণ, ভাষা কি হওয়া উচিত, সেটাও তাঁদের অজ্ঞাত। পড়ুয়ারা তাঁদের কাছে 'লিভিং থ্রেট'। বেতন আর রাজনৈতিক আশ্রয়ের নিশ্চয়তা ছাড়া তাঁদের আর কিছু পাবার নেই। তাই দেবারও কিছু নেই।
  • Prativa Sarker | 127.194.194.73 (*) | ১৩ জুন ২০১৬ ০৬:১৯55375
  • আগের জমানায় প্রাইমারীতে ইংরাজিতেই ইংরাজি শেখাবার জন্য বিশাল এক কর্মকান্ড হাতে নেওয়া হয়েছিল সুদূর স্কটল্যান্ড থেকে আসা শিক্ষাবিদের গাইডেন্সে রিসোর্স পার্সন হবার পর গোটা রাজ্যে interactive class teaching শেখাবার জন্য ঘুরে বেরিয়েছি। ছাত্রদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো,আর ওয়ার্কশপে টিচাররাও ছিলেন প্রবল উৎসাহী।
    অধ্যাপক উজ্জ্বল বসুর ব্যবস্থাপনায় সব বইগুলোও ঢেলে সাজানো হয়েছিল।
    এখন কি জানি না। তবে লেকচার মেথড বাচ্চাদের কাছে বড় নীরস। ওদের শিক্ষামুখী করার দায় পুরোপুরি শিক্ষকের। সাইকেল, জুতো সবই চাই। সবার আগে চাই নেচেকুঁদে,গান আবৃত্তি অভিনয় ছবি আঁকা, মায় পুতুলনাচের মাধ্যমে শেখানো হয় এইরকম আনন্দময় জ্যান্ত ক্লাসরুম।
  • DP | 117.167.109.22 (*) | ১৪ জুন ২০১৬ ০৬:১৫55376
  • স্মার্ট ক্লাসরুম অবশ্যই জরুরী। আমাদের শিক্ষাপরিকাঠামো সে দিক দিয়ে এখনও উনিশ শতকে পড়ে আছে। সব শিক্ষক ফাঁকিবাজ এমনটাও না। অনেকেই উদ্যমী আছেন। তাদের নিয়েই চাইলে এগোনো যায়। আমারই পরিচিত এক প্রাথমিক শিক্ষক নিজের উদ্যোগে ক্লাসে ট্যাব ব্যবহার করেন। এবং এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহও বহুগুন বেড়ে যেতে দেখেছেন উনি।
  • শান্তনু কুমার দাশ | 11.39.57.10 (*) | ১৬ জুন ২০১৬ ০২:০৮55377
  • শিক্ষক দের কোনো ইভ্যালুয়েশন নেই । এইটা আগে হোক । ছাত্র ছাত্রীর ভালো শিখতে না পারার দায় শিক্ষকরাও কিছুটা নিন । তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে ।সেই ব্যাবস্থা টাই নেই তো ।
  • Abhyu | 81.12.147.60 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৪:২৭55378
  • আগে খেয়াল করি নি, এটা রাণার লেখা! অনেকদিন পরে ওনার লেখা পেয়ে ভালো লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন