কল্লোলিনী তিলোত্তমা থাকো গরব নিয়ে সঙ্গে থাকুক কুমোরটুলি,সোনাগাছির মাটি ;আমার দুগ্গা এলোচুলে তে আটপৌরে মেয়েঢাকের তালে শরৎ-কাশে'র মেঘকে খোলা চিঠি।তকমা পেয়ে শহুরে দূর্গা ভাব খুঁজে জেরবারযৌথ নিগম অবচূড় দিয়ে ঢেকে দেয় মন্ডপ;চোখ ধাঁধানো আলোর পাশে প্রগাঢ় অন্ধকার শিউলি সুবাসে এলোকেশী চোখে নক্ষত্র মন্ডল।
পরের দিন শুরু হল নতুন আনন্দে আহ্লাদে, ব্যস্ততা দিয়ে। ঘর গোছগাছ করতে হবে। বাবা, মা, বোন আসছে কলকাতা থেকে। কারোও যাতে কোনোও অসুবিধা না হয়। এক তো প্রায় গ্ৰাম এলাকা। কোলিয়ারির জন্য মফস্বলের ছোঁওয়া। কাছাকাছি সবকিছু পাওয়া যায় না। আমার ঘরে, আমার সুখ, দুঃখের সঙ্গিনী, ঘরের কাজে সাহায্যকারিণী, নাম তার শশীকলা, গ্ৰামের মানুষ, মারাঠি। সে ছিল আমার অনভিজ্ঞ নতুন সংসারের local guardian। সে কলকাতা থেকে লোক আসছে শুনে অতি উৎসাহী হয়ে পড়ল। মহা উৎসাহে ঘর পরিষ্কার শুরু করে দিল। ওদিকে বেঙ্গলী অ্যাসোসিয়েশনেও খবর চলে গিয়েছে। সেখানেও বেশ হৈ চৈ পড়ে গেল। প্রবাসে, বিশেষ করে এমন ছোটখাট মফস্বলে কারোও বাবা, মা আসছেন শুনলেই অন্যরাও আনন্দে উৎসাহী হয়ে পড়ত। বাড়িঘর, ... ...
বদলে যাচ্ছি আরও অনেক আগেই বদলানোর কথা ছিল কিন্তু এতটাই অলস যে হয়ে ওঠেনি তাই তো আফসোস করতে হচ্ছে রোজ। অহংকার ছিল, একাকিত্বকে ভয় নয় উপভোগ করতে পারি বলে। কিন্তু করেছি উল্টোএকাকিত্বের ভয়ে তোমার আঁচলে আশ্রয় নিয়েছিলামঅথচ দিনশেষে একাকিত্বই আমার সঙ্গী হলতাই বদলে যাব, তাকেই ভালোবাসব সেই-ই আমাকে সবচেয়ে ভালো বোঝে। মানুষের অত কিসের ঠ্যাকা আমাকে বোঝারবদলে নিব নিজেকে, অন্তত আর কিছু আশা করব না কারো থেকেসবাই থাকুক নিজের জায়গায় নিজের মতন করে আমিও থাকব আমার চিরচেনা, চির আপন একাকিত্বকে নিয়েবদলে যাব, আর কখনো কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করব নাসকল চাওয়া আর পাওয়ার ইতি টেনে নিব, খুব করে বদলে যাব। ... ...
আমাদের আশ্চর্য হওয়ার সমাপ্তি নাই,কে জানতো আমরা দুই তলা বিশিষ্ট রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবো-কে জানতো মানুষের মাথার উপর মানুষ ত্যাগ করবে মলমূত্র-কে জানতো মানুষের মাথার উপর মানুষ রান্না করবে চিকেন ফ্রাই। আমাদের আশ্চর্য হওয়ার সমাপ্তি নাই। আমাদের বিস্মিত হওয়ার অবসান নাই,কে জানত মানুষ ইট বালি সিমেন্ট আর রড দিয়ে ছাদের উপর ছাদ তার উপর আবারো ছাদ করবে-কে জানতো আমাদের সরিষা মাঠগুলো দখল হয়ে যাবে বহুজাতিক কোম্পানির প্রকোষ্ঠে- গাড়ির পর গাড়ি তারপরেও গাড়ি ট্রাফিক জ্যাম মধ্যখানে আমরা পিঁপড়ের মতো হেঁটে যাই। আমাদের বিস্মিত হওয়ার অবসান নাই। আমাদের অবাক হওয়ার শেষ নাই, মরণঘাতী প্লাস্টিক দিয়ে আমরা করছি সুস্বাদু পান-কে জানত আমাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বিবাহ কবিতা পাঠ এবং গল্পের ... ...
যে আগুন জ্বলছে জ্বলুকবৃথা চেষ্টার কি ছিল দরকার? এই আগুন জ্বলে জ্বলে নিভে যাবেনা হবে অন্যায় না হবে প্রতিবাদ আর। যে মাটি জ্বলছে বিনা দোষেবিনা কারণে যে হল ছারখার-পদ্যরা ঘুমিয়ে পড়ে শিরিষতলেএইখানে আমিই প্রেমিক আমিই সরকার। এখানে পানির উপরে পদ্ম ফুটে নাসবুজে সবুজে ভালোবাসার কথা কয়না আর, ছেলেটা করেনা প্রেমের বায়নামহাকল্লোলের নিঃসংকোচে জীবন চলছে যার। ৮ জুলাই ২০২০ ইংরেজি ... ...
তুমি এলে বৃষ্টি নামেতুমি গেলে থামে,তোমায় না হয় কিনে নেবোলাল গোলাপের দামে। ০৪ জুলাই ২০২২ ইংরেজি
বাংলার বাইরে তখন কিছু মাস কাটিয়েছি। প্রথম জড়তা, বিশেষ করে ভাষাগত জড়তা – তখন অনেকটাই কাটিয়ে ফেলেছি। গরমে একবার কলকাতা ঘুরে এসে অবধি মন আবার ছটফট করছে যাওয়ার জন্য। বর্ষার মাঝামাঝি পেরিয়েছে। পূজোর খুব বেশী দেরী নেই সে বছর। কোলিয়ারিতে শুনলাম ঐ একই চত্বরে চারপাঁচটা পূজো হয়। বাঙালীদের আয়োজিত একটি তার মধ্যে। শুনে চমকিত হওয়ার মতো অবস্থা। ধূ ধূ করা জায়গা, রাত হলে রাস্তায় টিমটিমে আলো জ্বলে যেখানে -- সেখানে এতগুলো পূজো! কয়েকমাস মাত্র হল খোদ কলকাতা ছেড়ে আমি প্রবাস বাসে। নিতান্তই অনভিজ্ঞ। শুনলাম বেঙ্গলী অ্যাসোসিয়েশনের পূজো বাঙালী পূজো। বাকি সব পূজো নবরাত্রি পালন। আবার হোঁচট। নবরাত্রি কি রে বাবা? কলকাতায় এখনকার মতো তখন নবরাত্রি ... ...
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পীঠস্থান, শান্তিনিকেতন - বিশ্বভারতী আগে কি ছিল এখন কি হয়েছে তা বোধহয় বিশ্বের বেশির ভাগ লোকেরই জানা হয়ে গেছে। কেন্দ্র পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দিন মোটামুটি ভদ্রভাবে চলছিল। প্রথম ধাক্কা এল 'নোবেল' চুরি - কোনও সুরাহাও তার হল না। এরপর নতুন নতুন ভাইস চ্যান্সেলার এর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন কিছু বদলও হয়ে চলল। কিন্তু আজ বছর পাঁচের বেশী সময় ধরে বিশ্বভারতী যাঁর বা যাঁদের হাতের মুঠোয় তাঁরা ভালোভাবেই মুচড়ে দুমড়ে ... ...
রুকসানা কাজলের লেখাগুলো পড়লাম।বেশ ভালো লাগল। ওনার বিশ্লেষণ অনেক হোম ওয়ার্কের ফল। উনি লিখেছেন পূর্ববঙ্গেরমুসলীমেরা পিছিয়ে পড়েছিলেন। উনি নিশ্চয় জানেন ভারতে বৃটিশ আসবার পর যখন পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু করে তখন ভারতের মুসলমানেরা সেই শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় কিন্তু হিন্দুরা তার সুযোগ নেন। আমরা পড়েছি বৃটিশ যখন নূতন এনফিল্ড রাইফেল ( যদি ও এটা রাইফেল ছিল না)।চালু করে তখন এক গুজব রটে এই বন্দুকের টোটায় গোরু আর শুকরের চর্বি মেশান ছিলতাই বিদ্রোহ আরাম্ভ হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই মিথ্যা পড়ে এসেছি। কেন তা পরে লিখব।সিপাহীরা চেয়েছিল আবার সেই মধ্যযুগের শাসন আরাম্ভ হবে আর আরবী ফারসী মাদ্রাসার রমরমা হবে। তিতুমীর কে নিয়ে অনেক ননস্টালজিক লেখা ... ...
প্রতি বছরের মত গত কালও নির্বিঘ্নে সমাধা হল বিজেপির নবান্ন-অভিযান। নির্বিঘ্নে কি-না, তা নিয়ে কেউ কেউ তর্ক জুড়তে পারেন বটে– তবে, আয়োজনের ঔপচারিকতায় যে বিশেষ ভাটা পড়ে নি, তাতে সন্দেহ নেই। নরম-গরম ভাষণ, দু-একটি পাথরবাজি, পুলিশকর্মীকে মার এবং জ্বলন্ত পুলিশ ভ্যানের ছবি: আনুষ্ঠানিকতা বিশেষ কম ছিল না! তার সঙ্গেই ঘন হয়ে উঠছে একটি প্রশ্ন: এই রেওয়াজি পদযাত্রায় আদৌ লাভের লাভ কিছু হল কি? বিক্ষিপ্ত কিছু দৃশ্যমালা রচনা করা-ব্যতীত, আদৌ কি স্থিতাবস্থার পানাপুকুরে দু-একটি ঢিলও ছোঁড়া গেল?প্রশ্নটা জটিল। দেখছিলাম, কিছু উৎসাহী বাম যুবনেতা তাঁদের অতীতের অ্যালবাম থেকে টেনে এনেছেন নবান্ন-যাত্রার ছবি, প্রমাণ করতে চেয়েছেন: নবান্ন চলো’র আসল ঠিকেদার তাঁরাই, ভুইফোঁড় বিজেপি ... ...
পরশু এগারোই সেপ্টেম্বর গিয়েছে। আমরা যারা সাত আর আটের দশকের পর (বা হয়তো তার আগেও যারা জন্মেছেন) জন্মেছি, তাঁদের অনেকের কাছেই এই দিনটার স্মৃতি মানে ২০০১ সালের সেই বুকে কাঁপ ধরানো ঘটনা। তখন সদ্য বাড়িতে টিভি এসেছে! কিন্তু এখনকার মতো চটজলদি ব্রেকিং নিউজ পাওয়া যেত না, টুইটার ট্রেন্ডও ছিল না, ফলে আমরা খবরটা জেনেছিলাম বেশ কয়েক ঘন্টা পর। সেই প্লেন উড়ে আসা আর তাসের পাতার মতো ধ্বসে পড়া দুটো বিল্ডিং...এই সন্ত্রাসী আক্রমণ আর চারটে টেররিস্ট অ্যাটাক থেকে কীভাবে আলাদা তখন বুঝিনি, কিন্তু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভেঙে পড়ার দৃশ্যটা জীবনের মতো মনে গেঁথে গিয়েছিল। আমরা কে কীভাবে প্রথম ৯/১১ এর সেই ... ...
ভারতে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েরা পরের সম্পতিবলে গণ্য হচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই বঞ্চনা আর অবহেলার শিকার। ছেলে যদি কোন কাজ না করে তবে মা,দিদিমা গর্বিত হয় আরমেয়েদের বেলায় উলটা নিয়ম।
আমি আসলে পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের পার্থক্য,সবশেষে বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি (নিজে ধর্ম পালন করেও রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখা) এই সংক্রান্ত লেখা খুঁজছি।আমি এইখানে একেবারেই নতুন। সবার জন্য শুভকামনা
জয় রঘুনন্দনো,যেতে ইচ্ছে লন্ডনোপয়সা নাই তো করবো কি?ঘটি বাটি বন্ধনো,রেখে দেখি স্বপনোষষ্ঠ সুরে তাঁর কান্না সেকি! ভেঙ্গে গেলো স্বপনো,পেটে ক্ষিদে তখনোপয়সা নাই তো কিনবো কি?জয় রঘুনন্দনো,কোরো নাকো ক্রন্দনোপঞ্চম হয়েই বা,হচ্ছেটা কি!? বরাহ যে নন্দনো,গায়ে মাখে চন্দনোশোকেস-ভর্তি শোক,বেচবে কি?জয় রঘুনন্দন,ঘটি বাটি বন্ধনোউলঙ্গ শোক আর দেখাবো কি?
অনন্ত নক্ষত্রবীথির কাছে আমার কিছু চাওয়ার ছিলো না!নির্লিপ্ত চোখ মেলে আমি তাকিয়েছিলাম আকাশে!সামনে একটা দিঘি ভর্তি জল, নিশ্চল পরাবাস্তব একটি মুহূর্ত!মুখভর্তি গোঁফ-দাড়ি নিয়ে মানুষটি আমার পাশে এসে বললেন, আপনার কাছে হাতুড়ি আছে?আমি কোন কথা বললাম না!তিনি বললেন, অসহ্য সুন্দর এই প্রকৃতি, অতুলনীয় অন্ধকার, অনাঘ্রাতা দিঘির নিশ্চল জল- ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে করছে!মৃদু বাতাসে দোলা লাগলো জলে!আমি নিশ্চুপ নির্বিকার নক্ষত্রবীথিতে নিমগ্ন!তিনি বললেন, প্রকৃতিতে স্থির চিত্র বলে কিছু নেই!অস্থির সব- মুহূর্তকাল- তারপর- সব শেষ-এই যে অন্ধকার অনড় মনে হচ্ছে! দাঁড়ান, শেষ করে দিচ্ছি এই অকারণ দীর্ঘসূত্রিতা-তিনি পশ্চিমদিকে ইশারা করলেন!পূর্ণ চাঁদ উঠে এলো আকাশে!অন্ধকার ম্লান হলো!অস্বচ্ছ হলো নক্ষত্রবীথির সৌন্দর্য!তিনি বললেন, এ-ও সুন্দর, ভিন্নরকম-কিছুক্ষণ চুপ ... ...
মর্নিং ওয়াক করে ফিরে , কৈলাস এর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শিব ঠাকুর ভাবছেন। এইখানে একদিন শিব ঠাকুর লিখে রেখেছিলেন my sweet home। এখন লিখে রেখেছেন ওম শান্তি ওম। আসলে বিয়ে পর থেকেই শিব বুঝতে পেরেছেন কিভাবে পিরীতি হতে হয় স্বামীদের। কারন অকারন ঝগড়া করে দূর্গা তার সাথে। জোর করে খাইয়ে খাইয়ে ভুড়ি করে রেখেছে তার যাতে তার দিকে কোন মহিলা না তাকায়। এখন যেই দেখলো বৌশাখী অর্পিতারা ভুড়ি ওয়ালা পার্থ শোভনের সাথে প্রেম করেছে, অথচো , সালমান খানের পাত্রী জুটেছে না ওমনি দৃর্গা ওকে জিমে পাঠালো মেদ কমাতে।শিব ঠাকুর হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছেন বিয়ে করে তিন কি ভুল করেছেন। ... ...
ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন। রাজতন্ত্রে মহা বৈভবের অধিকারিণী। যাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার। সেই সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের খরচই হতো কয়েকশো কোটি টাকা। যাঁর পূর্বজ বংশধররা আমাদের দেশকে ২০০ বছর ধরে শাসন করে গেছে। আমাদের দেশ থেকে কোহিনুর হীরা সমেত বহু মূল্যবান সামগ্রী লুণ্ঠন করে নিয়ে গেছে। ভারত সহ বহু দেশে ঔপনেবেশিক রাজত্বে মানুষকে শোষণ ও অত্যাচার চালিয়েছে। সেই রাজ পরিবারের রানী ৯৬ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেছেন। তার দুঃখে কিছু লোক যেন হেদিয়ে মরছেন। বিশেষ করে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার। যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে অন্যান্য মন্ত্রী সান্ত্রিরা সর্বদা প্রমাণ করতে ব্যস্ত, যে তাঁদের মত ... ...
বদের ধাড়ি। ভাবলো জব্দ দেখছে নাড়ি। করবে ভারি ছুটি নিয়ে
চলন্ত ট্রেন শহরতলি ছাড়িয়ে এক এক করে স্টেশন, বড় বড় অট্টালিকা এবং কারখানার চিমনি নিঃশেষিত কালো ধোঁয়া পিছনে ফেলে যখন এগিয়ে চলে দিগন্ত প্রসারিত সবুজ মাঠ ব্যাপী আধা-শহর আধা-গ্রাম অভিমুখে - চোখে পড়ে নির্মল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর খাল-বিল-জলাশয়-নদীর চরে কাশফুলের মোহনীয় দোলাদুলি। আমার আপনার মনের পর্দায় ভেসে আসে বিশ্বখ্যাত সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী'র সেই দৃশ্য - দূর্গা, অপু ছুটে চলেছে হাত ধরাধরি করে স্বপ্নিল মুখে অপার বিস্ময় ভরা চোখে কাশফুলে ভর্তি মাঠের ভিতর দিয়ে, আর দেখা যাচ্ছে কয়লার ইঞ্জিনের ট্রেন ভেঁপু বাজাচ্ছে, ধোঁয়া উড়িয়ে। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় যা কল্পনায় এঁকেছেন, তাই সেলুলয়েডের পর্দায় আমাদের দেখালেন সত্যজিৎ রায়। ... ...
পরেরদিন বিকেলে সাবু লর্ডসের মোড় হয়ে ঘুরে আসে। সেখানে তখন লোকের মাথা লোকে খাচ্ছে। লোকে এগ্রোল খাচ্ছে। লোকে মোগলাই খাচ্ছে। একটা বেলুন হাওয়ায় গোঁত্তা খেতে খেতে ভেসে গেল থানার ওদিকে। একদল কলেজের দাদাদিদি প্রচণ্ড হাসতে হাসতে টালিগঞ্জের দিকে চলে গেল। তারা কারো দিকে তাকাচ্ছেই না। তাদের হাসিগুলো মেঘের মত ভেসে রইল এবং একটা বাচ্চা সেটা লাফিয়ে ছুতেই সেটা তার হাতে চলে এলো। তার সাথে ছিল তার বাবা আর মা। তারা হাসির শব্দে ফিরে তাকিয়ে দেখে একটা আধটেকো লোক রাস্তা পার হয়ে হাসি হাসি মুখে তাদের দিকেই আসছে। বাবাটা এই আগন্তুককে চিনল কিনা বোঝা গেলনা, কিন্তু তার আগেই আরেকটা ভিড়ের ঢেউ ... ...