এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পূজা আসছে 

    Manab Mondal লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৩৬২ বার পঠিত
  • মর্নিং ওয়াক করে ফিরে , কৈলাস এর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শিব ঠাকুর ভাবছেন। এইখানে একদিন শিব ঠাকুর লিখে রেখেছিলেন my sweet home। এখন লিখে রেখেছেন ওম শান্তি ওম। আসলে বিয়ে পর থেকেই শিব বুঝতে পেরেছেন কিভাবে পিরীতি হতে হয় স্বামীদের। কারন অকারন ঝগড়া করে দূর্গা তার সাথে। জোর করে খাইয়ে খাইয়ে ভুড়ি করে রেখেছে তার যাতে তার দিকে কোন মহিলা না তাকায়। এখন যেই দেখলো বৌশাখী অর্পিতারা ভুড়ি ওয়ালা পার্থ শোভনের সাথে প্রেম করেছে, অথচো , সালমান খানের পাত্রী জুটেছে না ওমনি দৃর্গা ওকে জিমে পাঠালো মেদ কমাতে।
    শিব ঠাকুর হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছেন বিয়ে করে তিন কি ভুল করেছেন। সোস্যাল মিডিয়া কোন কমেন্ট লাইক পর্যন্ত দিতে পারেন না তিনি। ফিম পূজার নামে তো আপনারা দূর্গাকে কত ধরনের পোশাক আশাক পরতে দেখেন। সব দেবতারই ভালো ভালো পোশাক পরে ছবি তুলে পোস্ট করে। কিন্তু মা দূর্গার করা বাঘ ছাল ছাড়া কিছু পড়া যাবে না। স্টাইল ফ্যাশন কিছু করা যাবে না। গলায় সবার সোনার রূপার চেন থাকে, শিবের গলায় সাপ আছে। কারণ একটাই ওটা দূর্গার পোষা। সব খবর দিয়ে দেয় দূর্গার কানে। শিব ভালোই বুঝতে পেরেছেন রাধা কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ প্রেমিক প্রেমিকা থাকতেন না যদি ওরা বিবাহ করতেন।
    শিব একদিন বড়াই করে বলতো, "চালচুলোহীন সে, তাকে পার্বতী বিয়ে করছে ১০০%ভালোবেসে।" পরে তার ভুল ভেংগে গেল। আসলে পার্বতীর ফন্দি আঁটে ছিলো শিবকে ঘর জামাই রাখতে। রাতে পাড়ার বৌদিদের সাথে কথা বার্তা না বলতে পারে শিব।  শিব সে ফন্দি জেনে গিয়েছিলো বলে দৃর্গার সাথে কখনো মর্ত লোকে আসে না তবে দূর্গা শর্ত মেনে নির্জন কৈলাশ ঘর বেঁধেছে‌। আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না।তাই তো দেখবেন মা সপরিবারে মর্তে এলেও শিব ঠাকুর তাদের সাথে আসেন না। আবশ্য অনেক বলেন মা নেশা খোর শিব কোথাও নিয়ে যাবেন না বলেই ফোর সিটার গাড়ি কিনেছে।
    তবে বেকার শিব ঠাকুরকে দূর্গা ঠাকুরের বিয়ে করার আরো একটা কারণ ছিলো ঘরের কাজ গুলো সব শিব ঠাকুরকে দিয়ে করিয়ে নিতো। সংসার চালাতে টাকা পয়সা লাগতো না তেমন, কারণ, লক্ষী ভান্ডার, খাদ্যশ্রী , কন্যাশ্রী না প্রকল্প টাকা পাওয়া যেতো। এমন কি নিন্দুকেরা বলে রূপশ্রী নামে একটা প্রকল্প থেকে রূপ চর্চার জন্যেও সরকার টাকা দিতো।
    আগে সরকার ওকে চিরকুট চাকুরী পাইয়ে দেবে বলেছিলো কিন্তু ও বোধহয় নেয় নি। আসলে শিব ঠাকুর বেকার হলে কি হবে তার অনেক সাঙ্গ পাঙ্গ আছে। তাই সরকার থাকতে হলে শিব ঠাকুরকে একটু তেলিয়ে চলতে হয় সবাইকে। জননেত্রী সভায় ভিড় বাড়ানো থেকে ছাপ্পা ভোট সব কিছুতেই তো লোকজন দরকার। শিবরাতো হলেন দলের সম্পদ । তবে শিব সৎ মানুষ নয়তো মাগুর মাছ বেঁচে সেও কোটি পতি হতে পারতো। তারও দশবারোটা চাল কল, গাড়ি , বাড়ি থাকতো। কার্তিকটা s.s.c না দিয়ে কোন স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি করতো। কষ্ট করে সেনাবাহিনীতে চাকরির করতে হতো না। তবে মাঝে মাঝে শিবেরও কষ্ট হয়। কেষ্ট বেটা চুরি করেও সবার কাছে কতো জনপ্রিয়।
    তবে শিব এসব নিয়ে ভাবেছে না এখন। পূজা আসছে ও খুব খুশি। তিন চারদিন বৌএর মুখ ঝামটা ওকে খেতে হবে না। তবে একটা কষ্ট ওর বুকের ভিতরে চিনচিন করেছে। মর্ত লোকে কথায় গাজা কেস দেবার ফলে  এখন গাঁজা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। পূজা আসছে বলে আবার শিব ঠাকুরের ভয় করছে খুব। দূর্গাকে এবার  শিব ঠাকুর      হাজার হোক ভালোবাসে। মোটামুটি ভাবে পশ্চিম বঙ্গের সব পুজার মাথাতেই বড় বড় নেতাদের হাত থাকে। দূর্নীতি সাথে কে কোথায় থেকে জরিয়ে আছে কেউ জানে না। মা দূর্গাকেও না আবার কোন তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন