হ্যাপীইজিগো, এদের সাইট আর অ্যাপ দুইই আছে। অনেকসময়ই অন্য সাইটের তুলনায় ৫০০- ৬০০ টাকা কমে টিকিট পাওয়া যায়। ২০১৯ থেকে আমি মাঝে মাঝেই কাটতাম। ২০২২এও কেটেছি, কোনও সমস্যা হয় নি। এমনকি একবার সকাল বিকেল গুলিয়ে রাত দুটোর টিকিট কেটে বসেছিলাম, সেও ওদের ফোন করে দিব্বি বদলে বিকেলের নিয়েছিলাম। গোলমাল হল ১৫ই নভেম্বর। পুণে থেকে বাগডোগরার টিকিট বুক করতে গেলে বার তিনেক পেমেন্ট ফেল হল। তখনই থামা উচিৎ ছিল কিন্তু ভাবলাম আরেকবার চেষ্টা করি। চতুর্থবারে পেমেন্ট দিব্বি গেল, ট্যাংট্যাং করে ৮৭৬৪/- টাকা কাটার ঘন্টিও বাজল ফোনে। কিন্তু টিকিট হল না। কি একটা এরর দেখিয়ে ভ্যানিশ হয়ে গেল। এত দ্রুত হল যে ... ...
দিল্লিতে বিশাল কৃষক আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছে পাঞ্জাবীরা, বাঙলার কৃষকদের দেখা নেই। তাহলে এবার বলতে দ্বিধা কোথায়পথ দেখাচ্ছে পাঞ্জাব।
ফেবু থেকে নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সাধারণভাবে নতুন কোনো জোট ঘোষণা হলে সমর্থকদের মধ্যে উল্লাসের বাণ ডাকে, কিন্তু খুবই অদ্ভুত ব্যাপার, যে, I.N.D.I.A জোট ঘোষণা করার পর থেকেই ফেবু বিপ্লবীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে অভ্রংলিহ নীরবতা। তাঁরা এতদিন দাঁড়িপাল্লায় তুলে বিশ্বের সবাইকে ফ্যাসিস্ত বলে এসেছেন, এখন জোটের ব্যাপারটা ঠিক হজম করতে পারছেননা। বরং আমজনতার মধ্যেই এই নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই। মিমের বন্যায় ভেবে যাচ্ছে সমাজমাধ্যম। পশ্চিমবঙ্গের এক অধ্যাপক লিখেছেন, "নোভোট্টুর নতুন নাম হল ইন্ডিয়া"। ততটা বিখ্যাত নন এমন এক রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বলেছেন, "আয় তবে সহচরী/ একসাথে চালচুরি / সাথে আছে ইয়েচুরি / নাহি ভয়"। বাংলার ডিলান বলে পরিচিত প্রবীণ এক প্রফেটের গান অনুসরণ ... ...
সকাল সাড়ে দশটা বাজতে চলল। শরতের ঝলমলে আকাশ।বাতাসে যেন পুজো পুজো গন্ধ। রিপন স্ট্রীটে ফর্টি টু বাই সি বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে দুলাল সরকার। বহু পুরনো তিনতলা বাড়ি। বাড়ির সামনের দিকের লালচে রঙ ফ্যাকাসে গোলাপী হয়ে গেছে। দু এক জায়গায় প্লাস্টার খসা ক্ষতচিহ্ন। বোঝা যাচ্ছে অনেকদিন হাত পড়েনি বাড়ির মেরামতিতে। এখানে সব গায়ে গায়ে বাড়ি। পুরণো কলকাতার পুরণো বাড়ি। পুরণো পাড়া, পুরণো মানুষ। দুলাল দরজার পাশে কলিং বেলে চাপ দিল। ঘরের দরজার বাইরে দাঁড়াতেই সূর্যকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় স্যার বললেন, ‘ আরে এস এস .... কলকাতায় কি এখনই এলে ? ‘একতলার ঘরে একটা সিঙ্গল কাউচে বসে আছেন সূর্যকান্তবাবু । একপাশে সোফায় ... ...
No vote to bjp--- কোথায় গেলেন আপনারা? একটু 'পতিবাদ' হবে নি ?মেয়েটা যে ধর্ষিত হল-মরি গেল-
পাঁচ ছবার রিং হবার পর চিরশ্রী ফোন তুলেই বলল, ' বল তিতির ... আমি তোকে আজকেই ফোন করতাম ... 'বোঝা গেল চিরশ্রী নাম্বারটা সেভ করে রেখেছে ।----- ' না সেদিন তেমন কথাবার্তা হল না তাই ভাবলাম ... ' তিতির ভাসিয়ে দিল ।----' ওঃ ... আর বলিসনা যা কেওসের মধ্যে পড়েছিলাম সেদিন .... ওই সিচুয়েশানে আর কথাবলার মুড থাকে ... তারপর বল কি করছিলি এখন ?'----- ' ভ্যারেন্ডা ভাজছিলাম .... হাঃ হাঃ হাঃ ... '----- ' হাঃ হাঃ হাঃ . আমিও তাই ... আর কি করার আছে? '------ ' চিরু তুই এখন থাকিস কোথায় ? '----- ' লেকটাউনে । একটা অ্যাপার্টমেন্টে। ... ...
মায়ের সাথে আশুর একটা অম্ল মধুর সম্পর্ক ছিল। কিন্ত দিদির সাথে সরাসরি শত্রুতা, যদিও সেটা খেলার ছলে। দিদির রসবোধ নিয়ে আশুর যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। এর মধ্যেই সে সবার অলক্ষ্যে বড় হয়ে উঠছিল। তার আদর্শ ছিল তার বাবা। সাধারণ ভাবে মায়েরা শিশুদের বেশী প্রভাবিত করে থাকেন, কিন্ত আশুর বেলায় পুরো বিপরীত। অবশ্য তার বাবা সম্পর্কে আমি তার মুখে যা শুনেছি তা অবাক করার মতো। আসলে আমার এই লেখার উদ্দেশ্য আশুর জীবনী লেখা নয় ... ...
বিশ্বভারতীতে যা চলছে, সে নিয়ে আমরা ঠিক কি জানি? কিসুই না। মাঝে অমর্ত্য সেনকে জমিচোর আখ্যা দেওয়া হয়েছিল, এইটুকু জানি। সেও তামাদি হয়ে গেছে। উপাচার্য বলেছিলেন, অমর্ত্য সেন নোবেল পাননি, এটাও জানা। বসন্তোৎসব, পৌষ মেলা, সবই বস্তুত বন্ধ করে বা লাটে তুলে দেওয়া হচ্ছে, মনে হয়, এক আধবার পড়েছি-টড়েছি। কিন্তু আস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটা যে হিন্দুত্ববাদী আধা-ফ্যাসিস্ত অচলায়তনে পরিণত করে ফেলা হচ্ছে, ট্যাঁফো করলেই ছাত্র থেকে শিক্ষক সবাইকে সাসপেন্ড-বহিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে, এবং এটা যে বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে, সে নিয়ে বিশেষ নড়াচড়া নেই। যদিও না জানলেও আন্দাজ করতে অসুবিধে নেই, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে, অমর্ত্য সেনকে যারা "উনি তো নোবেল পাননি" ... ...
হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে হেমন্তিকা করলো গোপন আঁচল ঘিরে। ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো - 'দীপালিকায় জ্বালাও আলো,জ্বালাও আলো, আপন আলো,সাজাও আলো ধরিত্রীরে।' রবিঠাকুর যেন শরৎ পরবর্তী সময়ের হৈমন্তীর হালকা কুয়াশা ভরা আকাশে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন দীপাবলি উৎসবের এই গানের মাধ্যমে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শরৎ নিয়ে ৩৩ টি গান লিখলেও, লিখেছেন মাত্র পাঁচটি গান হেমন্ত ঋতুকে নিয়ে। ... ...
নাসিরুদ্দিন তুসির আখলাক-ই-নাসিরি লেখা হয়েছিল এরিস্টটলের নেকমাকিয়ান এথিক্সের প্রভাবে। ওই বইটা শাহাজাদাদের রাষ্ট্রীয় নীতিজ্ঞান ও মতাদর্শ শিক্ষার মূল কথা শেখাত আর তা ছিল সার্বজনীন সার্বভৌমত্ব যার কেন্দ্রে স্বর্গীয় আশীর্বাদপুষ্ট বাদশাহ আর যা বহুত্বকে আত্মস্থ করতে সক্ষম অথচ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আর ন্যায় বিধানে নির্মমতম। এই শিক্ষের ফল কী হতো তার সবচেয়ে ভায়োলেন্ট নমুনা হল আকবরের চিতোর কেল্লা দখল ... ...
এটি প্রচন্ড দুর্ভাগ্যের যে - একটি মর্মান্তিক ঘটনার প্রয়োজন হয়, একটি তরতাজা প্রাণের বিসর্জনের দরকার হয় গোটা একটি সমাজ, শিক্ষা-সম্প্রদায়কে জাগিয়ে তুলতে। আবার চিল, শকুন, হায়নাদের মুখোশ এবং খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেয় এই ধরণের হৃদয়বিদারক ঘটনা । এই শহর তথা গোটা রাজ্য এবং দেশ জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যু। স্পষ্টত এই মৃত্যুর কারণ হলো এক পুরোনো বর্বর সংগঠিত অপরাধমূলক ব্যাধি যার নাম ৱ্যাগিং। এর আগেও ... ...
(ভিয়েতনামী ও ফরাসী নামগুলির সঠিক উচ্চারণ আর তার বাংলায় বানান বেশীর ভাগই জানি না। দু এক যায়গায়, যেখান ইউটিউবে ডকুমন্টারী শুনে যা মনে হয়েছে সেটাই লিখেছি, বাকীটা যেরকম ইংরেজীতে লেখা আছে, সেই রকমই লিখেছি।) প্রেক্ষাপট :সময়টা ১৯৪০ থেকে শুরু করেছি। এর থেকেও পিছিয়ে গেলে মুষকিল। ভিয়েতনামের ইতিহাস বড়োই কুটিল। পাশাপাশি রাষ্ট্র, যেমন কাম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড - এদের ইতিহাস এতো রক্তাক্ত ছিলো না তখনো। ভিয়েতনামেরও সত্যিই কোনো উপনিবেশ হওয়ার যোগ্যতা ছিলো না। কী ছিলো ঐ দেশে? একেবারে সম্পুর্ণ কৃষি ভিত্তিক দেশ। খুবই গরীব । তাতে না আছে কোনো মুল্যবান খনিজ না আছে কল কারখানার প্রাচুর্য্য না কোনো ক্যাশ ক্রপ ... ...
সাবাশ হিন্দি হিন্দু হিনদোসথান। এই না হলে "সব কা সাথ সব কা বিকাশ সব কা প্রয়াস"!!! প্রশ্ন উঠতে পারে হিংসে হচ্ছে??না, রাগ হচ্ছে !!! ভারতবর্ষে র মতো দেশ... যেখানে জল এখনো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবার সহজ উপায় নেই... যখন বেশিরভাগ মানুষ আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শুধু অপরিশোধিত জল খেয়ে.. যখন "মিশন ওয়াটার" প্রকল্পের নামে রাজ্যে রাজ্যে ভাওতাবাজি করে নিজেদের পকেট ভারী করেছে নেতা মন্ত্রী বেনিয়া'র দল, সেই দেশের এক নম্বর বড়লোক তার জলের খরচ এটা হলে আপত্তি আছে। কোন নৈতিক অধিকার নেই ঐ ভদ্রমহিলা'র এই কাজ করার। রাগ আর ঘৃণা হচ্ছে... অসাম্য আর স্বেচ্ছাচারিতা'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ এই সমাজের। এটা সামাজিক নৃশংসতা'র পর্যায়ে পড়ে। উনি জনতার শত্রু !!! ... ...
অনেক সময় রাত তিনটের আগমন হয় সরোদের ঝংকারে। মন এগিয়ে চলে দূরে, অন্ধ রাতের মধ্যে কি যেনো খোঁজে; দেহ থাকে অলস, কেদারা আঁকড়ে। অনেক শ্বেতপাথরের ধাপ, অনেক ঝলমলে দিঘী ভর্তি জল, শিউলির স্নিগ্ধতা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে; তাদের ঘিরে থাকে গান, সুরের এক বিস্ময়কর সরণী স্থাপিত হতে থাকে, ভোরের লম্বা প্রতীক্ষায়। এ যেনো অন্যরকম এক জীবনের স্বাদ, শিল্পের অনুরণন। কারা এই জগতের অধীশ্বর? কিভাবে দিনের অসার মুহূর্তে, অবসরের ক্লান্তিময় লহমায় তাকে খুঁজে পাবো? প্রত্যেকটা সুর কিভাবে গান হয়ে যাবে? শব্দ শব্দের মোড়ক ত্যাগ করে, স্বপ্নে-জীবনে মিশে একাকার একটা কিছু সৃষ্টি করবে? অনেক রঙ, অনেক মাত্রা যেনো মিশে যাবে একসাথে কারোর খেয়ালের ... ...
টেবিলের ওদিকে সুগত সেন আর প্রিয়নাথ রায় ছাড়া টেকনিক্যাল এক্জিকিউটিভ অদ্রিজা বাসুও বসেছেন ।সি ভি-র ফাইল উল্টে পাল্টে দেখে সুগত সেন বললেন , ' হুমম্ ... ভেরি গুড । ইংলিশে মাস্টার্স করেছেন ... ' তিনি ফাইলটা পি এন আর -এর দিকে এগিয়ে দিলেন । তিনি একটু দেখে নিয়ে কোন কথা না বলে ফাইলটা অদ্রিজা বাসুর হাতে দিলেন ।সুগতবাবু বললেন , ' আপনার পক্ষে তো টিচিং প্রফেশান মোস্ট সুটেবল ছিল । আপনি ওটা ছেড়ে আমাদের লাইনে আসতে চাইছেন কেন ? জানেন তো ... অ্যাড রিলেটেড জব খুব কমপ্লিকেটেড এবং হাইলি ডিমানডিং । তাছাড়া বায়োডাটায় যা দেখছি অ্যাড জবে আপনার কোন পাস্ট ... ...
গত শতকের সাতের দশকের শুরুর বছরগুলি। গ্রাম বাংলা দাপিয়ে হইহই করে চলেছে যাত্রা সম্রাট শান্তিগোপালের কালজয়ী পালা 'লেনিন'। কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সংগীতের পাশাপাশি এই যাত্রায় ছিল আরও ১০ টি গান। গ্রামীণ বাংলার আমজনতার মুখে মুখে ঘুরছে এই গানগুলি। স্বচ্ছল গৃহস্থ কিনে নিয়ে যাচ্ছে এলপি রেকর্ড। 'লেনিনের' এই তুমুল জনপ্রিয়তার খবর পৌঁছে গেল মস্কোতে। 'লেনিনে'র গান ছড়িয়ে পড়ল খোদ 'লেনিনে'র দেশে সোভিয়েত প্রশাসন 'লেনিনে'র হাজার হাজার এলপি রেকর্ড ভারত থেকে রাশিয়া নিয়ে গেল। শান্তিগোপালের লেনিনে'র গান ছড়িয়ে পড়ল খোদ 'লেনিনে'র দেশে। একই সঙ্গে উত্তর কলকাতার প্রশান্ত ভট্টাচার্যের সুর বাংলার সীমা ছাড়িয়ে পড়ল রুশ দেশের কমিউনে। সত্তরের দশকের সেই উত্তাল দিনগুলোতে তরুণ প্রশান্তই শান্তিগোপালের 'লেনিনে'র ... ...
পাঞ্জাবি সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না পূর্ব বঙ্গের মানুষ। খাদ্যাভ্যাস, উচ্চকিত সংস্কৃতি, হুকুমদারি আওয়াজ, এবং লুন্ঠন। কিছু বাঙালি কাঙালি হয়েছিলেন। হন রাজাকার। আমরাও কি উত্তরভারতের মনুবাদী ফ্যাসিবাদ মানতে পারছি।জোর করে নিরামিষাশী করাপাড়ার দোকানে ডিম পর্যন্ত বেচতে বাধা দেওয়াআমাদের মছলিখোর বলে অন্য রাজ্যে বাড়িভাড়া দিতে না চাওয়াধর্মের নামে রাজনৈতিক দলের মদতে অন্য রাজ্য থেকে হাজার হাজার পুরোহিত আমদানি, করতে আমাদের বংলার পুরোহিতরা কী করবেন তাহলে, এখনই দেখবেন কলকাতায় ভিনপ্রদেশী পুরোহিত বেশ বেড়ে গেছে। আর গঙ্গারতি তো কাদের নিয়ন্ত্রণে কে জানে?আমাদের উপাস্য ছিলেন শান্ত ভোলেভালা ভালো মানুষ ভালোবাসর শিব, তাঁর ত্রিশূল অভয় দিত।বরোদার মত ভয় জাগানো নয়।হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ সব সম্প্রদায়ের ... ...
আমি ভেবে ভেবে অবাক / কবি হলো না কেন কাক? / ওর রঙতো কালো, / কোকিল হয়তো গান গায় ভালো।
সে দিন সন্ধ্যায় ( ৩ নভেম্বর) আমার ছোট খালা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ এলিজা সিরাজী (ডাক নাম মঞ্জু), দীর্ঘ রোগে শোকে ভুগে সিরাজগঞ্জে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। খালার বড় বোন, আমার মা সৈয়দা আজগারী সিরাজী (৭৭) বছর পাঁচেক ধরে গুরুতর এলঝেইমারে ভুগে স্মৃতিভ্রষ্ট। একদিক থেকে ভালই হয়েছে, শেষ বয়সে এসে এই গুরু শোকভার তাকে বহন করতে হচ্ছে না। আমার মঞ্জু খালা, একজন প্রকৃত মানুষ ছিলেন, ১৯৭১ এর রণাংগনের সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। ... ...
বিয়ের পর আমার ঠিকানা অন্য রাজ্যে, মহারাষ্ট্রে হয়ে গেলে সেই প্রথম নববর্ষের দিনের শুরু বড্ড মন কেমন করা দিয়ে হল। প্রচণ্ড গরম। লু চলে বছরের ঐ সময়ে। ঘরের দরজা, জানলা বন্ধ। কোনোও লোকজন দেখা যায় না । বাড়ির লোকজন, আত্মীয় স্বজনের আকর্ষণ যে কি সেই প্রথম অনুভব করলাম। চোখের জলে ভেসে দুই বাড়ির বাবা, মা ও বাকি আত্মীয়দেরকে চিঠির মাধ্যমে প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। তবে প্রবাসে বঙ্গ সমাজ কিন্তু মন ভরিয়ে দিয়েছিল শেষেমেশ। গুটিকয়েক বাঙালি পরিবার একজোট হয়ে খাওয়াদাওয়া, হাসি, গান খুব আনন্দের হয়েছিল। ... ...