রাজনীতি অনেক সময়ই ধর্মকে প্রভাবিত করে। তাই কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি বাঙালি এবং অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্যের চিত্রটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তখন চিন্তা হল সত্যি কি দেবদেবীদের মধ্যেও "ওদের-আমাদের" হতে পারে। আমি বারবার বলতে চেষ্টা করি ধর্ম একটা সমাজ বিজ্ঞান। তাই বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির পার্থক্য যেমন থাকবে, তেমন পূজিত দেবদেবীর চরিত্রের পার্থক্য হতে পারে। যেমন, বাঙালি মাত্রই মাতৃশক্তির আরাধনাতে বিশ্বাসী। বাঙালির লৌকিক দেবদেবীর প্রতি বিশ্বাস বেশি। তবে বাঙালির দেবদেবীরা পরে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের দ্বারা স্বীকৃতি পেয়ে গেছে। ... ...
সমকামিতা একটা সময় কার্যত নিষিদ্ধ ছিল। জেল-জরিমানা হত। ঠিক সত্তর বছর আগে, ১৯৫২ সালে বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী অ্যালান টুরিং বিলেতের আদালতে সমকামিতার অপরাধে 'অপরাধী' প্রমাণিত হন। তাঁকে কারাবাস এবং হরমোন-'চিকিৎসা'র মধ্যে, যেটা খুশি বেছে নিতে বলা হয়। টুরিং হরমোন চিকিৎসা বেছে নেন। এবং তারপর এই অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে বছর দুয়েকের মধ্যে টুক করে আত্মহত্যা সেরে নেন।এর পরে অবস্থা বদলায়, জেল-জরিমানা না হলেও, সমকামিতা অসুস্থতা হিসেবে চিহ্নিত থাকে বহুদিন। মানসিক অসুস্থতা বা ডিজঅর্ডারের তালিকায় দীর্ঘদিন ঢুকেছিল সমকামিতা। ... ...
“অধিবাসের কুলো মাথায় আমাদের পুত্রবধূ নেহা-র প্রবেশ যখন মন্দিরে দেবীর আমন্ত্রণের জন্য পূজারীর দ্বারা, উপলব্ধি করতে পারছিলাম - আমার দাদুভাই, ঠাম্মা, বাবা, মা, কাকুমণির আশীর্বাদ ঝরে পড়ছে ওনাদের বংশের নববধূর উপর অকাতরে।“ - লিখছেন সুপ্রিয় দেবরায়
ফাস্ট পিরিয়ড শেষ হল। সেকেন্ড পিরিয়ড শেষ হল। এক এক করে বাকি দুটো পিরিয়ড হয়ে টিফিন হল। এখনও পর্যন্ত আজকের সকালে বিষয়টা নিয়ে কেউ আলোচনা করে নি। যেন কিছুই হয়নি। চার চারজন স্যার ক্লাস নিলেন কিন্তু এ ব্যাপারে কেউই কিছু বললেন না—ভালো-মন্দ কোন কিছুই নয়। এমনকি ছাত্ররাও একে অপরের সাথে কেউ কোন আলোচনা করে নি। টিফিনে সবাই টিফিন খাচ্ছে কিন্তু সবই যেন স্বাদহীন! টিফিনে তেমন কেউ বাইরেও যায় নি, ওই ছোট বাইরে বা বড় বাইরে বাদে—এক্ষেত্রে বলা প্রয়োজন সেযুগে বেঙ্গলী মিডিয়ামে ছাত্রছাত্রীরা ইউরিনালকে ছোটবাইরে আর ল্যাটিরিনকে বড়বাইরে বলত। টিফিনের সময সবাই যখন এক জায়গায় বসে টিফিন খাচ্ছে, তখন স্বর্ণেন্দুই ... ...
জানালাটার সাথে শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক হলো আমার, এবং সেটা গড়ালো ভালোবাসা অবধিঅথচ মানুষ আমাকে বুঝেনি, যেমন আমি বুঝিনি মানুষকে, অথবা বুঝে ওঠার জন্য যে অম্লমধুর মিথস্ক্রিয়া প্রয়োজন, অথবা মনোদৈহিক জৈবিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন, অথবা আত্মিক অথবা আধ্যাত্মিক রসায়ন প্রয়োজন, তারা সব আকার গ্রহণ করার চেয়ে নিরাকারের প্রতি অনুরক্ত থাকাকে শ্রেয় মনে করেছে যে সমস্ত সম্ভাবনার সূত্র ধরে সৃষ্টি হয় মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের অঙ্কুর, উদ্গমিত হবার আগেই তারা বিনষ্ট হয়েছে অসচেতন আশঙ্কায় শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এ ধরনের প্রায় দুর্বোধ্য এবং বিচিত্র এবং বিবর্ণ সাতপাঁচ কারণে অথবা অকারণে মানুষের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি আমারসুতরাং সম্পর্কের বিপ্রতীপ একটা নাছোড় বলয়ে ... ...
বুল্টির সাথে আমার প্রেম তখন যাকে বলে রীতিমতো জমে উঠেছে। একে বারে জমে ক্ষীর। নদী নিজের খাত এমন নির্দিষ্ট করে ফেলেছে যে অন্য কোনও দিকে বয়ে যাওয়ার আর কোনো উপায়ই নেই! তা বলে কি এঁকেবেঁকে যাওয়া নেই? উচ্চ-নীচ নেই? জলের কম-বেশি; ত্বরিৎ-তিরতির, স্রোতের এদিক-সেদিক নেই? নিশ্চয়ই আছে। তবে অভিমুখ ততদিনে একেবারে নিশ্চিত। যাকে বলে ষোলো আনার ওপর আঠেরো আনা। একশো শতাংশের ওপর একশো সাড়ে বারো শতাংশ নিশ্চিত। ... ...
আজকাল গ্রুপে অনেকে ইংরেজি বইয়ের রেকামেন্ডেশন দিচ্ছে দেখে এই বইটা সাজেস্ট করার ইচ্ছে হল। অসম্ভব জনপ্রিয় বই, অনেকেই পড়ে থাকতে পারেন। না'হলে পড়ে দেখতে পারেন। টাইমলাইনে বছরখানেক আগে লিখেছিলাম, সেটাই কপি পেস্ট করে দিলাম।অ্যামাজন বেস্টসেলারের তালিকায় থাকা কোন বই হাতে পেলে আমি ভয়ে ভয়ে থাকি। কয়েকবার রাম ঠকান ঠকেছি, মাঝখানে বই ছেড়ে দেওয়া আমার নীতিবিরুদ্ধ, ফলে বইটা শেষ করতে গিয়ে রীতিমত নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে। এই বইটা নিয়েও আমার দ্বিধা কম ছিল না। আমাজন বেস্ট সেলার লিস্টে এক নম্বরে বিরাজ করছে, কিন্তু তেমন কোনও আলোচনা নেই কেন? ভয়ে ভয়ে বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম। আমার ইংরেজি ভাষাজ্ঞান খুবই সীমিত, লিটারারি স্টাইল নিয়ে ... ...
( দশম ও শেষ পর্ব ) দুশো মিটার শুরু হবার আগে স্পন্দন অনেকক্ষণ ধরে কথা বলল শুভর সঙ্গে। নতুন কোন পরামর্শ দিল না অবশ্য। টাইমিংটা যাতে ঠিক থাকে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে বলল। একশ মিটারের পর থেকে স্পীড তোলার কথা বলল।
প্রতিবিম্ব রাজবল্লভ পাড়ার কাছে বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরীর মেম্বার হয়েছে মাস ছয়েক হল। ওদিকে তেমন ভাল লাইব্রেরী নেই। লাইব্রেরীটা তাকে চিনিয়েছে অবশ্য সুশোভন, নলিন সরকার স্ট্রীটে যার বাড়িতে মাঝে মাঝে গ্রামাফোনে নতুন গান শুনতে যায় প্রতিবিম্ব। লাইব্রেরী রুমের বাইরে একটা বিরাট টেবিল। টেবিল ঘিরে অনেক চেয়ার পাতা। সেখানে বসে অনেক লোক টেবিলে কনুই রেখে পাতা ভাগাভাগি করে মন দিয়ে খবরের কাগজ পড়ে যতক্ষণ না রাত ... ...
সুমনা তার মাকে যে কথাটা দিয়েছিল সেটা রাখল। মানে, প্রতিবিম্বকে বগলদাবা করে বাড়িতে ঢুকল আজ বিকেলবেলায়। বাসন্তীদেবী তখন সবে দিবানিদ্রা থেকে উঠেছেন। ঘুমের মৌতাত চোখে মুখে মেখে তিনি খাটে বসেছিলেন। বোধহয় রেডিওটা খুলবেন কিনা ভাবছিলেন, এই সময়ে
এখনকার শ্রম কোড , নতুন অপরাধের জন্ম দেবে: যা জানতে পারা গেছেঃ মৃত ভাদু সেখ রামপুরহাট এর অন্ধকার জগতের বাদশা হয়ে ওঠার আগে সরকারি কাজে লাগা ভাড়া গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন আর কংগ্রেস করতেন আর তখনকার মস্তান আঙুর সেখের সংগে থাকতেন। আপাতত পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন আনারুল , তিনি নাকি বগটুই হত্যাকান্ডের মূল পান্ডা, আগে ছিলেন মুর্গির মাংসের দোকানের কর্মচারী। এখন দুজনেই নাকি ঘটনার সময় সেখানকার বড়শোল পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা। এর আগেও নানা ভয়ানক অপরাধ সেই গ্রামেই ঘটেছে। ... ...
১সন্দেশ আর দরবেশ যদি শোকেস যুদ্ধ করে নিশ্চিত জেনো আবার নদীতে কুমীর মুদ্রা খাচ্ছে;পুরনো ঝাপসা চশমা নিয়ে বেচারা কেঁদে মরে প্রিয় বন্দারা মুদ্রাদোষে ভুলছে নয়তো উড়ছে!২এত যে ঈশ্বর-ঈশ্বর করো, তোমার থেকে বেশি -কে আর জানে, যে তিনি থাকলে তুমি থাকতে না ! তবু তুমি পারো, কোটি কোটি স্বপ্ন ভেঙে, রাশি রাশি-মিথ্যা ধর্মে জারিত করে ছিঁড়ে খেতে, যেন হায়েনা!! ... ...
তুমি চলে যাবার / ঠিক একশো বছর পর / একদিন / শবালয় থেকে উঠে আসবে / যেসব অতৃপ্ত আত্মা, কিংবা
রুকসানা কাজলের লেখাগুলো পড়লাম।বেশ ভালো লাগল। ওনার বিশ্লেষণ অনেক হোম ওয়ার্কের ফল। উনি লিখেছেন পূর্ববঙ্গেরমুসলীমেরা পিছিয়ে পড়েছিলেন। উনি নিশ্চয় জানেন ভারতে বৃটিশ আসবার পর যখন পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু করে তখন ভারতের মুসলমানেরা সেই শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় কিন্তু হিন্দুরা তার সুযোগ নেন। আমরা পড়েছি বৃটিশ যখন নূতন এনফিল্ড রাইফেল ( যদি ও এটা রাইফেল ছিল না)।চালু করে তখন এক গুজব রটে এই বন্দুকের টোটায় গোরু আর শুকরের চর্বি মেশান ছিলতাই বিদ্রোহ আরাম্ভ হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই মিথ্যা পড়ে এসেছি। কেন তা পরে লিখব।সিপাহীরা চেয়েছিল আবার সেই মধ্যযুগের শাসন আরাম্ভ হবে আর আরবী ফারসী মাদ্রাসার রমরমা হবে। তিতুমীর কে নিয়ে অনেক ননস্টালজিক লেখা ... ...
পঞ্চম শতকের ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্টের সূত্রাবলী বা সপ্তম শতকের ব্রহ্ম গুপ্তের ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত এসবের প্রভাব ইসলামি আরব জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ওপর ভালোই ছিল। আর ছিল গ্ৰীক-রোমান বা হেলেনীয় ও পারসিক প্রভাব। সমস্ত বইই আরবীয় ভাষায় অনুবাদ হয়। এছাড়াও মরুচারী বেদুইনদের পর্যবেক্ষণ আরব্ধ জ্যোতির্জ্ঞানমালাও তাঁরা নথিভুক্ত করেন। ইসলামে নামাজ পাঠের সময় মক্কার দিক নির্ধারণের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ হতো। চাঁদের গতির সাপেক্ষে রমজানের সময় গোনা তো এখনো সুবিদিত। এসবের জন্য জ্যোতির্নিরীক্ষার যন্ত্রপাতির উন্নতি, নিরীক্ষা পদ্ধতির উন্নতি, ক্যালেন্ডার বানানোর কাজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে মহাজাগতিক চাঁদ-তারা-সূর্যের প্রভাব পৃথিবীর জীবজগত আর নানা ঘটনাকে কীভাবে ভড়কাচ্ছে এসব জানা রাজা-বাদশাহ বা প্রজার কাছেও জরুরি হয়ে পড়ছে মধ্যযুগে, চর্চা চলছে জ্যোতিষের। কিছু ... ...
মেন্টু সবে চাড্ডি ফ্যাসিবাদের গুষ্টি উদ্ধার করে ফিরল। রকে জেন্টু বসেছিল। চা অর্ডার হয়। জমে ওঠে রক। কেঁপে ওঠে। জেন্টু— কী বলেন ফ্যাসিবাদ ?মেন্টু— দেখচেন না ?জেন্টু— কই ?মেন্টু— সারা গা চেপেচে। ব্যথা ধরেচে। জেন্টু— কই মহায়, আমি বেশ হাল্কা বোধ কচ্চি। মেন্টু— মহায়, হাল্কা না হল্কা। দেশে আগুন লেগেছে ল্যাজের আগুন। জেন্টু— প্যাঁজ রসুন কম খান। সব্বক্ষণ মুসলমানি কাবাব খেয়ে আগুন ছাড়া মাথায় কিচু ... ...
একটানা কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পরে মেঘমুক্ত নীল আকাশে আজ সূর্যদেব স্বমহিমায় বিরাজ করছেন। রোদ্দুরের দেখা পেয়ে প্রকৃতিতে কেমন একটা ব্যস্ততার ভাব। গাছেদের পরণে ঝকঝকে নতুন পোশাক। বুলবুলি, পাপিয়া, কুব, কোকিল, হলুদ বসন্তবৌড়ী ছাড়াও অচেনা পাখিদের প্রাত্যহিক আনাগোনা আমার ঘরের প্রায় লাগোয়া জঙ্গলে। বেশ কয়েকদিন পরে আজ তাদের কর্মব্যস্ত দিনের শুরু হল। প্রজাপতিরা তাদের রঙবেরঙের ডানায় রোদ্দুর লাগিয়ে এ গাছ থেকে সে গাছে উড়ে বেড়াচ্ছে। ... ...
আপনারা অনেকেই মধুমন্তী সেনগুপ্ত লিখিত "বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স" বইটির ব্যাপারে বারে বারে অনুরোধ করেছিলেন, বইটি এখন আমাদের সংগ্রহে এসেছে।
অর্ণব গোঁসাইকে গ্রেফতার (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যদিও আটক / detain লিখছে) করা হয়েছে। রিপাবলিক টিভিকে কার্টুন চ্যানেল ও অর্ণবকে রোগ - (বাংলা ও ইংরেজিতে) মনে করি। কিন্তু ২০১৮ সালে যে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের মামলায় অর্ণবকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তা আদালতে ক্লোজড হয়ে গিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, সেই মামলা নতুন করে শুরু করে অর্ণবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের সরকার অর্ণবের পক্ষের ছিল বা ভাইস ভার্সা। ২০১৯ সালে সরকার বদলায়। অর্ণবকে মুক্ত রাখা পূর্বতন সরকারের পক্ষে জরুরি ছিল এবং এই সরকারের সঙ্গে অর্ণবের মনোমালিন্য বেশ কিছুদিন ধরেই স্পষ্ট। স্পষ্ট যে সরকারের অঙ্গুলিহেলন দুবারই বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে। পুলিশের উপর সরকারের প্রভাব সুবিদিত। কিন্তু বিচারব্যবস্থার উপর ... ...
আম-আদাতে খাচ্ছে বীমা, সঞ্চয় কিনারেলাভ কি বলো প্রতি বছর রাবণকে মেরে?