বুশ বক্তৃতা দিলেই সবাই হাঁ করে দেখত। ওঁর সাধারণ জ্ঞান অসাধারণ ছিল, তাই। একবার স্প্যানিশ ভাষাকে মেক্সিকান ভাষা বলেছিলেন, টেনাসিকে বলেছিলেন টেক্সাসে, আর আমেরিকাকে পিসমেকার বলতে গিয়ে পেসমেকার আখ্যা দিয়েছিলেন, এইসব টুকটাক। শেষেরটা অবশ্য ঠিকঠাকই ছিল, একেই বোধহয় ফ্রয়েডিয়ান স্লিপ বলে। ট্রাম্প টুইট করলেই মিডিয়ায় হইচই পড়ে যেত। কারণ, তাঁর আইকিউ অত্যন্ত বেশি ছিল, নিজেই টুইটে সেটা দাবী করেছিলেন, বুদ্ধি খুব বেশি না থাকলে অমন টুইট করা অসম্ভব। তিনি একবার দাবী করেছিলেন, খুঁটিয়ে বারাক ওবামার বার্থ সার্টিফিকেট দেখে আবিষ্কার করেছেন, যে, ওবামা ভদ্রলোক আসলে কেনিয়ায় জন্মেছিলেন। আর একবার ঘোষণা করেছিলেন, উইন্ডমিলই হল আমেরিকান (ইগল)দের সব চেয়ে বড় শত্রু। দন কিহোতের মতো ... ...
এবারের নির্বাচনে মোদী তথা বিজেপি যে ২৪০ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলো, তার জন্য দায়ী কি কংগ্রেস নয়? ইন্ডিয়া জোটের মুম্বাইয়ে শেষ বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী জোর দিয়েছিলেন অবিলম্বে আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু করতে। চেয়েছিলেন জোটের কনভেনর নিযুক্ত হোক। তিনি খার্গেজীর নামও উত্থাপন করেছিলেন এবং এও বলেছিলেন যে, তিনি একজন দলিত নেতা হবার কারণেই তাঁর নাম আমরা ভবিষ্যতে পিএম মুখ হিসেবেও সবাই বিবেচনা ... ...
মাণিকলাল ঘুম থেকে ওঠেন সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ। তিনি ঘুম থেকে উঠে প্রথমে বসার ঘরের মধ্যে দিয়ে সৌদামিনীর ঘরের দিকে যান মা ঠিকঠাক আছেন কিনা দেখে নেবার জন্য। বহু বছর ধরে এই নির্ঘন্ট বজায় আছে। আজও তিনি নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে বসার ঘরে ঢুকলেন এবং কাঁচের আলমারির সামনে চোখ পড়তে চমকে উঠলেন। তার হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেল। মাণিকলালবাবু দেখলেন ... ...
ঘরে আসবে না আর এমন কথা ছিলো? বাতাস লাগা মর্মমূলে, সন্ধ্যা গাঢ় হলেছায়ার রঙে রঙ মিশিয়ে, দরজা খুলে ধরেনা ডিঙিয়ে আসবে না আর, তেমন অগোচরেঅতর্কিত নৌকা পাবে, এমন কথা ছিলো? থামবে না আর আটপৌরে, নোঙর ফেলা জলেকথার ছবি দেখবে না আর, যে কথা কেউ দিলোবাসার ভালো বাসার কথা, নিয়ত নীরবতাদেয়াল জোড়া মেঝে, কুলায় শিকড়ঘন টানউঠোন থেকে উঠোন, শুধু সব্জিবাগান অবশ করে রাখার মত চাহনিসঞ্জাতসম্মোহনে বাঁধবে না আর, এমন কথা ছিলো? ... ...
পনেরোশো চৌষট্টিতে আকবর সেপাইসালার আসফ খানকে পাঠিয়েছিলেন স্বাধীন গোন্ড রাজ্য গারহা-মান্ডলা দখল করতে। কত বড় ছিল এই রাজ্য? এখনকার জব্বলপুর, দামোহ, সৌগের, নরসিংপুর ছাড়াও ভূপাল এস্টেট, হোসাঙ্গাবাদ আর বেতুলের একাংশ, চিন্দবাড়া, সোনি, মান্দালা, বালাঘাট জেলার পুরোটা, সম্ভবত ভান্ডারা আর চান্দা জেলাও এই বিশাল রাজ্যের মধ্যে পড়ত। আসফ খান রাজধানী চৌরাগড় থেকে শেষ স্বাধীন গোন্ড রাজা বীর নারায়ণকে হটিয়েদেন। পরে উনি নিজেই রাজা বনতে চান। তাঁকে কব্জা করতে সেপাইসালার মেহেদি কাশিমকে পাঠানো হল। আসফ খান কেল্লা ছেড়ে কেটে পড়লেন, পরে আবার বাদশাহ আকবরের কাছেই শির নোয়ালেন। মেহেদি কাশিম গোন্ডদের প্রাচীন রাজ্যকে মালওয়া সুবার অধীন এক সরকারে পরিণত করেছিলেন। মোঘলরা গোন্ড রাজাদের ... ...
শিয়ালদায় নেতাজী সুভাষ ইনস্টিটিউট হলে বহুরূপী আবার একবার নবান্ন নাটক মঞ্চস্থ করবে বিজন ভট্টাচার্যের পরিচালনায়। শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র তো আছেনই। বিজনবাবুও প্লে করবেন। বিভূতিবাবু বেশ উত্তেজিতভাবে নিতাইবাবুকে খবরটা দিলেন, যদিও নিতাইবাবুর কোন তাপ উত্তাপ দেখা গেল না। বললেন, ' আবার ... কি দরকার ওসব কাঁদুনে জিনিস দেখানোর ... লোকে এখন এসব ... ...
“Love One Another” এই একটি কথাই হয়তো আজ গোটা বিশ্ব-বিভীষিকার মোড় ফেরাতে পারে। এই একটি কথার নীল-প্রয়োজনীয়তা এখন ভেসে বেড়াচ্ছে প্যালেস্তাইনের অলিতে গলিতে। এই একটি বাক্যের বাকরুদ্ধ ধুসর জীবন আলেখ্য ইউক্রেনের রাস্তায় রাস্তায়। এই তিনটি শব্দের যথাযথ মর্মার্থবোধ মণিপুরের ঘরে ঘরে কালো বিষাদে
উমা আর নীলেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কলতানের মনে হল ওরা কোন কারণে খুব আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে । ওদের চোখমুখ দেখে তাই মনে হচ্ছে । সেটা অবশ্য খুব অস্বাভাবিক কিছু নয় । আবাসনের চৌহদ্দির মধ্যে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণতঃ এইসব প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে টানাহ্যাচড়া চলে । ফলে কোন কিছু ঘটলে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে এরা। কলতানের মনে হল ওরা কমপ্লেক্সের মধ্যেই কোথাও থাকে ... ...
টিফিনের সময় অন্যান্য সহপাঠী সুনীল, সুবীর, তাপস, প্রণব'দের সাথে একসঙ্গে ক্যাম্পাসে ঘুরতাম। কোনো কোনো দিন আমরা গাছপালা ঘেরা প্রিন্সিপালের বাড়িতে যেতাম। ওখানে গেলেই খুব ভয় লাগত। এত গাছ এবং অন্ধকার, সূর্যের আলো গাছ ভেদ করে ভিতরে ঢোকার সুযোগই পেত না। আমাদের ক্লাসে প্রায় জনা-আটেক মেয়ে পড়ত। আমার তিনজনের নাম মনে আছে। কবিতা, সুপর্ণা ছাড়া আরেকজন মীনাক্ষী ছিল। মীনাক্ষীর নাম মনে আছে কারণ ও আমাদের সাথে ঘুরতে, টিফিন শেয়ার করতে, খেলতে পছন্দ করত। এমনকি, পিটি স্যারকে জোরাজুরি করে আমাদের সাথে ক্রিকেট পর্যন্ত খেলত। বেশ ডানপিটে টাইপের ছিল। বেশ লম্বা এবং সবল চেহারার ছিল। কবিতার সাথে আমাদের জমতো না বলে, ও আরও ... ...
ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি Covid-19 Wave: Urgent StepsThe Lancet Covid-19 Commission, India Task Force ভারতের বর্তমান (১০’ই এপ্রিল, ২০২১) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বিখ্যাত ল্যান্সেট পত্রিকার তত্ত্বত্তাবধানে সদ্য একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে পাব্লিক পলিসি নির্ধারণের জন্য সামগ্রিক ভাবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কয়েকটি গাইডলাইন স্থির করা। আজ আমি এই পোস্টের মাধ্যমে রিপোর্টে প্রকাশিত প্রায় সব তথ্য এবং প্রস্তাবিত গাউডলাইন গুলোকে খুব সংক্ষেপে এবং পয়েন্ট আকারে লিখবার চেষ্টা করলাম - ভারতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে কিছু নতুন তথ্য ঃ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ’র সাথে প্রথম ঢেউ’র কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য পাওয়া গেছে। প্রথম পার্থক্য হচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যা এবার অনেক বেশি। ... ...
দেখেছি সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ড একই নিয়ম মেনে চলেছে। একই ভাবে প্রতিদিন সূর্য ওঠে পূবে আবার সারাদিন প্রাণের স্পন্দন বাঁচিয়ে রেখে টুক করে ঢলে পড়ে পশ্চিমে। প্রতিদিন তার একই কাজ আর তার সাথে তাল মিলিয়ে চলে আমাদের জীবন। বনের প্রাণী বা গাছের পাখি অথবা এই যে বিশ্বব্যাপী জীবনচক্র তার সবটাই নিয়ন্ত্রিত হয় একটা বিশেষ ছন্দ অনুসরণ করে। কোথাও কোন ব্যতিক্রম নেই ... ...
শুনিয়াছি লুচি শব্দটি নাকি চৈনিক। অবগত নই, বেঁটে খাটো চক্ষু পিট পিট করা মানব সম্প্রদায় লুচির মর্ম কি বুঝিয়াছিল ! আমি যাহা বুঝি লুচি হইল আদ্যোপান্ত ভারতীয় খাদ্য বস্তু। হিন্দিতে পুরি। বাঙ্গালাতে লুচি। দেশী ঘৃত অথবা বনস্পতি কিংবা তৈল সহযোগে ভাজিয়া উষ্ণ পরিবেশিত দ্রব্যের কি যে মহিমা, তাহা সে জানেনা যে না ভক্ষণ করিয়াছে। লুচির সহিত আলুরদম ব্যঞ্জন ... ...
২২শে আগস্ট ছিল ওয়ার্ল্ড ফোকলোর ডে। লোকসংস্কৃতির ছাত্র হওয়ার সুবাদে দিনটির মাহাত্ম্য আমার অজানা নয়। প্রতিবছর এদিনে লম্ফঝম্প কিছু কম হয় না, কিন্তু এবছর সবই ডিজিটালি, ফিজিক্যালি হওয়ার নো চান্স!
অরন্ধন উৎসব বাঙালির একটা ঐতিহ্য।যদিও পশ্চিমবঙ্গে বছরে দু'বার 'অরন্ধন' উৎসব পালিত হয়। একবার মাঘ মাসে শ্রীপঞ্চমী তথা সরস্বতী পূজার পরের দিন শীতলষষ্ঠীতে। কোথাও কোথাও শিলনোড়া পূজা বলে। তবে রান্না পূজা বলতে আমরা ভাদ্র সংক্রান্তিতে মনসা পূজার দিনকে বুঝি ।মনসা পূজার অবিচ্ছেদ্য অংশই হল - 'অরন্ধন' উৎসব বা রান্না পূজা। তবে পশ্চিমবঙ্গের স্থানভেদে বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসব্যাপী যে কোন শনিবার বা মঙ্গলবারে এবং নাগপঞ্চমী হতে প্রতি পঞ্চমী তিথিতে মনসাদেবীর পূজা শুরু হয় এবং ভাদ্র সংক্রান্তিতে মনসাদেবী ও অষ্টনাগপূজা সমাপন ও ভাসান হয়। সেই উপলক্ষে সংক্রান্তি দিন পালিত হয় 'অরন্ধন'। যেহেতু ভাদ্র মাসের শেষ দিনে রান্না করা হয়তাই অরন্ধন উৎসবকে ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে ... ...
নন্দি ভিঙ্গি রা বাড়ি পালিয়েছে। কৌলাশে তাই বাসন মেজে রান্না করে দিন কাটাচ্ছেন শিব । মা দূর্গার কতোগুলো হাত , হাত ধুতে স্যানেটাইজার করতেই সারাদিন চলে যায়। গনেশ বিপদে পড়েছে, তার জন্য কোন মাক্স নেই, নাক ঢাকছে না। কার্তিক সব ছুটি বাতিল, অক্সিজেন ঘাটতি মেটাতে তাকেে তার সেনাবাহিনী নিয়ে তৈরি থাকতে হয়েছে। মা দূর্গার কতো দুঃখ মেয়েদের অনেক দিন দেখতে পারছে না।লক্ষ্মী শুনালাম একটু মোটা হয়েছে। নারায়ণ বলেছেন করোনা সময় ঘুমিয়ে কাটাবেন। তাই একার জন্য লক্ষী রান্না বান্না করেছেন না। হোম ডেলিভারি তে খাচ্ছেন , জং ফুড খেয়েই তিনি তাই মোটা হয়েছেন নিন্দুকেরা বলছেন।নারদ মনমরা হয়েই বসে আছে, খাওয়া দাওয়া ... ...
কুলচা রাত সাড়ে আটটার সময় এল হন্তদন্ত হয়ে । ----- ' আরে ..... এ ক'দিন এত প্রিঅকুপায়েড ছিলাম যে তোমার সঙ্গে একদম কানেক্ট করার সময় পাইনি ..... প্রোজেক্টের কাজ চলছে । তারপর ..... দীপ্সিতার ম্যাটারটার আউটকাম কি হল ? ' ---- ' এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে ..... আউটকাম ইজ কোয়াইট প্রমিসিং ... ...
বিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ'র পিগম্যালিয়ন নামে একটা নাটক আছে । সেখানে এক গ্রীক ভাস্কর নারীদের নানা ছলনা দেখে বিরূপ হয়ে চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু নিজ মনের গহীন কোণে লুকিয়ে থাকা কাঙ্ক্ষিত নারীটির অবয়ব সে একটা মূর্তিতে ফুটিয়ে তোলে। কাজটি এতই সুন্দর হয়
লোয়ার কোর্টে পরাণ বাগ্দীর যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষিত হল প্রায় তিন বছর ধরে মামলাটা চলার পর। সাক্ষ্যপ্রমাণ সব পরাণের বিরুদ্ধে গেল। মানে, পরাণের পক্ষে দেবার মতো সাক্ষী পাওয়া গেল না। দেবমাল্য সরকার উকিল হিসেবে পরাণের জন্য প্রচুর লড়েছিল। কিন্তু উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে পরাণকে নির্দোষ প্রমাণ করা গেল না। সেসান জজ সুহৃৎ মিত্র নিজেও বোধহয় জানেন যে পরাণ পুরোপুরি নিরপরাধ। কিন্তু তার কিছু করার ছিল না ... ...