চন্দ্রপুলিধনঞ্জয় বাজার থেকে এনেছে গোটা দশেক নারকেল। কিলোটাক খোয়া ক্ষীর। চিনি। ছোট এলাচ আনতে ভুলে গেছে। যত বয়েস বাড়ছে ধনঞ্জয়ের ভুল হচ্ছে ততো। এই নিয়ে সকালে ইন্দুবালার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। ছোট খাটো ঝগড়াও। পুজো এলেই ইন্দুবালার মন ভালো থাকে না। কেমন যেন খিটখিটে হয়ে যায়। পইপই করে ধনঞ্জয় বলেছিল মেয়ে ডাকছে এতো করে ঘুরে এসো। ইন্দুবালার ছোট মেয়ে থাকে ব্যাঙ্গালোরে। এবছরেই তাদের সেখানকার পাট উঠবে। জামাই চলে যাবে ইউক্রেনে। মেয়ে তার ছেলেপুলে নিয়ে এসে উঠবে দিল্লী। শ্বশুর বাড়িতে। তারপর সেখান থেক ... ...
বলেছিলাম আর পোস্ট করব না। কিন্তু পাঠকের দাবিতে শার্লককে অবধি ফিরতে হয়েছিল। আমি তো চুনোপুঁটি। তাই প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে পোস্ট করলাম। বই হলে জানাব সকলকে। সেখানে আরও কিছু সংযোজনের ইচ্ছা আছে। ... ...
খাওয়া-দাওয়া ছিল বটে স্বাধীনতার আগে। ভারতীয় খানার স্বর্ণযুগ বলতে মুঘল যুগ। শ্রীযুক্ত বাবর যখন ভারতের অধিপতি হয়েই পড়লেন, যে জিনিসটি তিনি সবথেকে বেশি আকাঙ্খা করতেন তা হল তার জন্মস্থানের খানা, বিশেষতঃ ফলমূল। মধ্য এশিয়ার খোবানি থেকে পারস্যের তরমুজের জন্যে তার প্রাণ কাঁদত। তাছাড়াও ভারতের মশলাদার খাবারও তাঁর বিশেষ পছন্দের ছিলনা। বাবর পছন্দ করতে মধ্য এশিয়ার ঝলসান মাংসর পদ। বাবরপুত্র হুমায়ুন কিন্তু ভক্ত ছিলে পারসিক পোলাও থেকে হালকা মশলাদার রান্নার। আকবরের সময়ে ভারতীয় রান্না, পারসিক রন্ধনপ্রণালী আর মধ্য এ ... ...
মালপোয়াভোর থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তার অনেক আগেই। অন্ধকার ঘরটায় শুয়ে বৃষ্টির আওয়াজ শুনছিলেন ইন্দুবালা। অল্প অল্প বাতাসে দুলছিল জানলার হালকা পর্দা গুলো। তার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছিল একটু একটু করে ফর্সা হতে থাকা আকাশটা। একতলায় ভাতের হোটেলের ওপরে তাঁর ঘরটা ছোট্ট হলেও বেশ খোলামেলা। অন্তত এই বাড়ির অন্য ঘর গুলোর থেকে। ঘরের চারিদিক বরাবর বেশ কয়েকটা জানলা। সামনের দিকে এগিয়ে গেলে ছেনু মিত্তর লেন। হরেক মানুষ, গাড়ি ঘোড়ার যাতায়াত। আর পেছন দিকটা শাশুড়ির আমলের ছোট্ট বাগান। সিড় ... ...
আমাদের যেতে হবে আরও দু’কোশ পথ। এর মধ্যে যত গাঁয়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছি সেখান থেকে ভিড় এসে মিছিলে পা মেলাচ্ছে। কেউ কেউ চালির উপরে ফুল ছড়িয়ে দিচ্ছে। কাল রাত্তিরে বৃষ্টি হয়ে রাস্তায় একটু কাদা। এখন মেঘলা আকাশের ফাঁক দিয়ে কড়া রোদ্দূর । আমাদের পিঠে কপালে চিট চিট করছে ঘাম। কিন্তু আমরা তোয়াক্কা করছি না । এখনও অনেক পথ বাকি। আমার চোখে জল নেই। আমি জানি যে রমেনের আর কিছু চাওয়ার ছিল না । ... ...
জানলার কাছে বসন্তের নরম রোদে সার দিয়ে সাজানো আছে কাঁচের বড় বড় বয়াম। মুখ গুলো ঢাকা আছে পরিষ্কার সাদা কাপড়ের ফেট্টিতে। বয়াম গুলোকে বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না তার মধ্যে কি রসদ লুকিয়ে আছে। কিন্তু যারা এই বাড়িতে রোজ ভাত খেতে আসে তারা ঠিক জানে। ভাতের পাতে লেবু, নু্ন, লঙ্কা দেওয়ার পাশাপাশি উড়ে বামুন ধনঞ্জয় একটু করে শালপাতায় ছুঁয়ে দিয়ে যায় বয়ামের সেই লুকোনো সম্পদ। কামরাঙা, কতবেল, জলপাই কিম্বা কোনদিন পাকা তেঁতুলের আচার। নতুন কাস্টমাররা অবাক হয়ে যায়। আর পুরোনো লোকেরা ভাবে আজ ... ...
রুথ বেডার গিন্সবার্গ - আদর করে যাঁকে ডাকা হয় 'The Notorious RBG'। সকলের সমান অধিকার নিয়ে সবচেয়ে জোর গলাটি তাঁর, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ থেকে একের পর এক ঐতিহাসিক রায় দিয়ে আমেরিকানদের নয়নের মণি তিনি। তাঁর হেঁসেল সামলাতেন পতিদেবতা মার্টি গিন্সবার্গ, যিনি নিজেকে গর্বের সঙ্গে বলতেন ফেমিনিস্ট। প্রতিবাদী রুথকে লড়াই করেই প্রতিটি ইঞ্চি এগোতে হয়েছে। কিন্তু ঘরে ফেরার পর তাঁর সবকিছু ভাগ করে নেওয়ার জন্যে একজন মার্টি গিন্সবার্গ অপেক্ষা করতেন। সার্থক হয়ে উঠতো সব সাফল্য, জুড়িয়ে যেত সব ব্যর্থতা। ক'টা মেয়ের এমন সৌভাগ্য হয়? রুথ আর মার্টির রূপকথা-সম প্রেম আর স্বপ্নের সংসারটি কলমে ঠিকঠাক ধরা খুব শক্ত। কতটা পারলাম সে বিচার পাঠকের। ... ...
সে ছিল এক অন্যরকম সময়। মুষ্টিবদ্ধ প্রতিবাদের , নিজেদের খুঁজে পাওয়ার, সৃষ্টির রক্তকরবী অঙ্কুরোদগ্মের ....। ★ মহাশ্বেতা দেবীর জন্মদিনে মানুষ আর অরণ্য যেন তাঁদের অধিকার ফিরে পায় । ... ...
দীর্ঘ শীতে আইওয়ার বিস্তীর্ণ চাষের জমির কালো মাটি জমে বরফ। গ্রীষ্ম এলে রোদের তাপে মাটি আস্তে আস্তে নরম হবে, তবেই বীজ বোনা, ফসল ফলানো। কিন্তু মনের মধ্যে যখন বরফ জমে? আইওয়ার বংশানুক্রমিক চাষের কারবারী জর্জ মিলার কুড়িয়ে নিলেন ভালোবাসার উত্তাপ, বরফ গলে ধুয়ে গেল সাদা-কালোর বিভেদ। পনেরোই জানুয়ারি মার্টিন লুথার কিংএর জন্মদিন। তাঁর লড়াই ‘সিভিল রাইটস মুভমেন্ট’এর পথ ধরেই আমেরিকায় কালো মানুষের সমান অধিকার এসেছিল। এ লেখা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। ... ...
"লাভ জিহাদ এর মানে আমি জানি না। এই শব্দগুলো পাশাপাশি বসতে পারে বলে মনে হয় না। আর প্রেম.... আগুনের মতো প্রেম ও সর্বগ্রাসী। ছাইয়ের কোন অহংকার থাকে না, থাকতে পারে না। যারা ভালোবাসতে জানে, তারা জানে প্রেম ঈশ্বরের প্রতি হোক বা মানুষের প্রতি, সে নিজে দাহ্য, অন্যকে জ্বালায় না"। ... ...
রাজধানীতে প্রতিবাদী কৃষক ও সরকারের মধ্যে অষ্টম দফার বৈঠকও ( শুক্রবার ৮,জানুরারি,২০২১) ব্যর্থ। এই আইন নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করে সরব হয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। চলছে তর্ক-বিতর্ক। এসবের মধ্যেই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এবার পথে নামছে শ্রীরামপুরের নাগরিক সমাজ। আগামী ১৩ জানুয়ারি শ্রীরামপুর শহরে বিভিন্ন বাজারে প্রচারপত্র বিলি করা হবে। ২০ জানুয়ারি পথে নামবে সাধারণ মানুষ। ... ...
‘চরকসংহিতা’ অনুসারে ‘বলি’ শব্দের অর্থ ‘গুদাঙ্কুর’ বা ‘পায়ুদ্বারের (পিড়াদায়ক) অঙ্কুরাকার মাংসপিণ্ড’। ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অনুসারে ‘গুদ্’ শব্দের অর্থ ‘ক্রীড়া’ (স্মর্তব্য: ‘কাতুকুতু’ অর্থে হিন্দি ‘গুদগুদি’ শব্দটি) ও ‘গুদ’ শব্দের অর্থ ‘যা কুঞ্চনাকুঞ্চন (সংকোচন-প্রসারণ) দ্বারা ক্রীড়া করে’ বা ‘মল নির্গমনের পথ’, এককথায় ‘পায়ু’। শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল কাব্যে একটি পংক্তি আছে, ‘উলটি পালটি গুদ দেখাইয়া যায়’। আর বাংলা অপভাষায় যে নারীদেহের যৌনাঙ্গ বোঝাতে ‘গুদ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়, -তা আভিধানিক নয়, লাক্ষণিক অর্থ।একই কথা ... ...
বাংলা ভাষা একটি মিশ্র ভাষা। তার মধ্যে বৈদিক বা সংস্কৃত ভাষার অবদান যেমন আছে, তেমনি আছে খেরওয়াল বা সাঁওতালী সহ বেশ কিছু মুণ্ডা ভাষার অতি গুরূত্বপূর্ণ অবদান। বাংলা ভাষার জননী হিসেবে কেবল সংস্কৃত আর্য ভাষার দাবি সম্বলিত যে মিথটি গড়ে উঠেছিল – সেই দাবিকে নস্যাৎ করার কাজটা আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে শুরু করেছিলেন ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং। ১৯১৮ সালে ভাষাচার্য সুনীতিকুমার নদীয়া সাহিত্য পরিষদের সভায় একটি বক্তৃতা দেন। সেটি তারপর ছাপা হয় সবুজপত্র পত্রিকায়। “বাঙলা ভাষার কুলজী” নামক সেই অতি গ ... ...
নিকোলাস পাড়া। নাফাখুম থেকে প্রায় চার পাঁচ ঘন্টা ঝিরি পথ দিয়ে হেঁটে পাহাড় টপকে এক অদ্ভুত জায়গায় পৌছালাম।এই পাড়া প্রতিষ্ঠা করেছে নিকোলাস ত্রিপুরা। পদ্মা নদীর মাঝির হোসেন মিয়ার মত নতুন এক নতুন ঠিকানা তৈরি করেছে নিকোলাস। তার গল্প পুরোপুরি আমি জানি না, আমি যা এখন পর্যন্ত জানি তা হচ্ছে এ এক অদ্ভুত জায়গা। আমরা এসে পৌছাতে পৌছাতে সন্ধা নেমে এসেছিল। তারপর থেকেই জাদুবাস্তবতার জগতে চলে গেছি যেন। এখানে পাহাড়ের কোলে কুসুম গরম সুর্য টুপ করে ঢলে গেল। কয়েক বাড়ি আদিবাসিদের সন্ধ্যা আসল সরল পথে। যে সমাজ আমরা দেখে অভ্যস্ত তার সাথে তুলনা কই? শিশুরা অবাক দৃষ্টিতে আমাদের দেখছে। আমরা আমাদের নিয়ে ব্যস্ত। খাড়া পাহাড় উঠে আমরা ক্লান্ত, তারচেয়ে আসলে আমরা ব্যস্ত নতুন জায়গার চারপাশ দেখতে। এরপরই যেন শুরু হল জাদুর খেলা। শা করে তারা চলে আসল আমাদের কোলে। ঝকঝকে লাখ লাখ তারা যেন আমাদের ঘিরে নেচে চলছে। আমাদের সাথে মজা নেওয়ার জন্যই যেন দুই একটা তারা দৌড়াচ্ছে এদিক ওদিক। হুট করেই খেয়াল করলাম আমাদের সকল কাজের সমাপ্তি হয়েছে। আগামীকাল ভোরে নতুন পথে রউনা হওয়ার আগে আমাদের ঘুম আর খাওয়া ছাড়া কোন কাজ নাই। এই গ্রামের মানুষ অন্য সময়ে কী করে এই সময়ে? সন্ধ্যায় চা নাস্তা খাওয়া মানুষ আমরা। এরপর নানা অকাজে ব্যস্ত থাকা আমরা বুঝেই উঠতে পারছি না এদের জীবন। এই গ্রামে পানির ব্যবস্থা নাই। পানি নিয়ে আসে ওরা অনেক নিচে থেকে। নেই কোন পয়নিস্কাশনের সুস্থ কোন ব্যবস্থা। নেই মানে নেই। বন হচ্ছে এদের ভরসা স্থল। এই সমাজ কীভাবে আমাদের বুঝে আসবে? আসার কোন সম্ভাবনা আছে? আমার মনে হয় না। ছনের ঘর। ঘর উঁচু করেছে বাঁশ দিয়ে খুটি দিয়ে। তাড়াই বাঁশের বেড়া হচ্ছে মেঝে। আমরা যা দেখি তাই মুগ্ধ হই, বা মুগ্ধ হওয়ার ভান করি। কৃত্রিমতায় পূর্ণ জীবন কি জানে সত্যিকার মুগ্ধ হওয়া কাকে বলে? ... ...
কামিং আউট ব্যাপারটি কুইয়ার জনগোষ্ঠীর আন্দোলনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, কামিং আউট এবং এর পরিণাম যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক স্তরে একেক রকমের সে বিষয়টি কতটুকু ভেবে দেখা হয়েছে? খোদ কুইয়ার সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই যখন আমরা এই বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্য দেখতে পাই, সেখানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কামিং আউটের যে অনেকরকম অর্থ দাঁড়াতে পারে সেগুলো ঠিক কী কী? বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক আবহাওয়ায় কামিং আউট করাই কি আমাদের আকাঙ্খিত লক্ষ্য? এই আর্টিকেলটিতে প্রাথমিক কতগুলো ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন লিঙ্গ ও যৌন, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থানের কুইয়ার জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে ফোনে এবং ইমেইলে মোট ২৩ জন ব্যক্তির ইন্টারভিউ নিয়ে কামিং আউটের রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাদের চিন্তাভাবনা ঠিক কী সেটি বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। কোন মানুষটির কাম আউট করা উচিত আর কার নয় এ বিষয়ে আমরা কোন পরামর্শ বা মতামত দেয়ার জায়গায় নেই; আমরা কেবল একটি বিষয়ই স্পষ্ট করতে চাই যে, কামিং আউট ফলস্বরূপ কুইয়ার কোন মানুষের প্রতি সামাজিক যে বিদ্বেষ, লাঞ্ছনা আর বৈষম্যের আবির্ভাব ঘটে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে নেই। ... ...
ঝিরঝিরে বৃষ্টি, ভোরের আকাশ ঘোলাটে মেঘে ছেয়ে আছে; যেরকম হয়ে থাকে সচরাচর লন্ডনের আবহাওয়া। রাস্তার পাশে পার্ক-করা গাড়িগুলোর বনেট বিন্দু বিন্দু জলে ভরে যাচ্ছে। ছোটো ছোটো ফোঁটা জুড়ে বড়ো হয়ে গড়িয়ে পড়ছে। শহর এখনও পুরোপুরি জাগেনি। রাস্তা, রাস্তার পাশে পেভমেন্ট, বন্ধ ক্যাফে বা পাবের বাইরে বসার জায়গাগুলো — সব আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে বৃষ্টির ধূসরতায়। ... ...
বেশী বেড়ালেও বিপদ, আবার কম বেড়ালেও। অন্তত ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু মিথ বা অতিকথন বা ভ্রান্ত ধারণা গড়ে তুলতে। বেশী বেড়ানো মানেই বেশী জানা নয়, আর পুরোপুরি ঠিক জানা তো নয়ই। কিন্তু হয় কি বেশী বেড়ালে আমাদের মধ্যে অনেকসময় একটা ভ্রান্ত ধারনা চেপে বসে যে আমি যেটা জানি বা যার মুখোমুখি হয়েছি, সেটাই চরম সত্যি! এর বাইরে আর কিছুই হতে পারে না। আমার অভিজ্ঞতার বাইরেও যে অন্য কেউ অন্য ভাবে সমগ্র জিনিসটা দেখতে বা অনুভব করতে পারে, সেটা মানতেই চাই না আমরা – এতটাই সঙ্কীর্ণমনা এবং অধৈর্য্য হয়ে উঠি অনেক সময়। আর এই ব্যাপারগুলোই বেশীর ভাগ সময় জন্ম দেয় ‘মিথ’ এবং ভ্রান্ত ধরণার। এর কিছু কিছু ব্যাপার হয়ত ক্ষেত্র বিশেষে সত্যি, কিন্তু সেগুলোই একমাত্র সত্যি নয় বা চিরন্তন সত্য নয়। তেমন কিছু বিষয় নিয়েই ভাবলাম আজকে কিছু লিখি ... ...
মৃণাল সেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য ... ...
...অথচ শুরু থেকেই এটি অপহরণের ঘটনা হিসেবে আমলে নিয়ে তদন্ত করলে হয়তো কিশোরী পাহাড়ি মেয়ে লাকিংমের সন্ধান পাওয়া যেত, অপহরণের পর ১১ মাস ধরে মেয়েটিকে কিভাবে কোথায় কোথায় রাখা হয়েছে, কিভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে তার ধর্ম, ভূয়া জন্ম সনদে কিভাবে বাল্যবিবাহে বাধ্য করা হয়েছে সবই বেরিয়ে আসতো। হতভাগ্য মেয়েটিকেও হয়তো এভাবে জীবন দিতে হতো না। সবচেয়ে বড়কথা, ১২ দিন আগে সন্তানের জন্ম দিয়েই একটি মেয়ে তুচ্ছ পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে আত্মহত্যা করবে, বিষয়টি মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়! ... ... ...