এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  ঘুমক্কড়

  • ভারতের হৃদয়

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | ঘুমক্কড় | ১২ অক্টোবর ২০২৩ | ৪২০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • মধ‍্যপ্রদেশ ভৌগোলিক ভাবে Heart of India. কিন্তু ওখান‌কার মানুষের সহৃদয়‌তার পরিচয়‌ও আমি বারংবার পেয়েছি।
     
    ১৯৯১-৯২ সালে আমি যেখানে এক বছর কর্মসূত্রে ছিলাম, তখন তা ছিল মধ‍্যপ্রদেশের অন্তর্ভুক্ত। পরে ঐ এলাকা হয়েছে ছত্তিশগড়। বিলাসপুর আর রায়পুরের মাঝে মামূলী এক স্টেশন ভাটাপাড়া। সেখান থেকে কসডৌল দিশায় ২৫ কিমি দুরে বলোদা বাজার তখন এক ছোট্ট গঞ্জ। ওখান থেকে ১৫ কিমি দুরে সোনাডি নামে এক প্রত‍্যন্ত অঞ্চলে টাটা স্টিলের সিমেন্ট প্ল‍্যান্ট নির্মানের কাজ চলছিল তখন। 

    বলোদা বাজার জায়গাটা অত‍্যন্ত সাদামাটা। কিন্তু ওখানেই মধ‍্যপ্রদেশের মানুষের সহজ, আন্তরিক ব‍্যবহারের প্রথম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বাজারে শুক্লাজীর মূদীর দোকানে মাসকাবারী জিনিস কেনা ছাড়াও মাঝে মধ‍্যে যেতাম। প্রথম থেকেই ওনার হাসিখুশী, অমায়িক ব্যবহার খুব ভাল লেগেছিল। বৌমনিকে শুক্লাজী একটু বেশী‌ই খাতির করতেন। গেলে দোকানের সামনে রাখা টুল দেখি‌য়ে বলতেন, ভাবীজী বৈঠিয়ে। বৌমণি পান খেতে পছন্দ করে শুনে, গেলেই মিষ্টি পান আনাতেন। বছর পঁয়ত্রিশের ঘরোয়া মানুষটি যে সদ‍্যবিবাহিতা, মিষ্টভাষীনি এক সুশ্রী বঙ্গললনার সাথে সাময়িক বাক‍্যালাপে নির্দোষ আনন্দ পেতেন, সেটা আমি বুঝতাম। তবে আলাপচারিতাম কখনো ওনার মধ‍্যে কোন বিসদৃশ আচরণ লক্ষ‍্য করিনি। শুক্লাজী আমাদের সন্ধ‍্যা আটটার পর আসতে বলতেন। তখন স্থানীয়‌দের ভীড় কমে যায়। তাহলে উনি আমাদের সাথে একটু গল্প করতে পারেন। 
     
    তখন হাতে পয়সা কম। এসি তো দুর-অস্ত, একটা ডেসার্ট কুলার‌ও কেনা হয়ে ওঠেনি। মধ‍্যপ্রদেশের সাংঘাতিক গরমে বিদ‍্যুৎ চলে গেলে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যেতো। একবার কথায় কথায় শুক্লাজীকে বৌমণি এমনি‌ই বলেছিলো, ওখানে কোনো দোকানে হাতপাখা পাওয়া গেল না। পরের রবিবার সন্ধ‍্যায় দোকানে যেতেই শুক্লাজী বললেন, ভাবীজী, এ লিজিয়ে আপকা পাঙ্খা। 
    - ওমা, কোথায় পেলেন! - বৌমণি‌র মুখে খুশীয়াল হাসি। 
    - রায়পুর গ‍্যায়া থা কিরানা সামান লানে। ওঁহিসে লেকে আয়া আপকে লিয়ে। 
    - কিতনা কিমত ইসকা? বৌমণি জানতে চায়
    - কিমত!? নেহী, নেহী ভাবীজী, ইসকা কোই কিমত নেহী, সিরফ্ আপকে লিয়ে লে কে আয়া। শুক্লা‌জী হাত জোড় করে বলেন।
    - আপ বহুত অচ্ছে হ‍্যায় শুক্লাজী, ম‍্যায়নে তো এ্যা‌ইসেহী বাতো বাতো মে কাহা থা, ফির ভি  আপ ইয়াদ করকে লেকে আয়া! - বৌমণির মিষ্ট হাসিতে বিষ্ময়, কৃতজ্ঞতা, আনন্দ মাখামাখি হয়ে যায়। শুক্লাজীর মুখেও ফোটে চ‌ওড়া হাসি। বোঝা যায়, হাতপাখার পয়সা উসুল! অমন আন্তরিকতার মূল‍্য পয়সায় মেটানো যায়না, সে চেষ্টা‌ও করা উচিত‌ নয়।

    কর্মজীবনে  কিছু পারিবারিক ভ্রমণে এবং অবসর জীবনে একাকী ভ্রমণে মধ‍্যপ্রদেশের অনেক জায়গায় গেছি। তার বেশ কিছু প্রচলিত ট‍্যূরিস্ট সার্কিটের বাইরে। সেইসব জায়গায় ভ্রমণকালে যা অভিজ্ঞতা হয়েছে তার ভিত্তি‌তে বলতে পারি মধ‍্যপ্রদেশের সাধারণ মানুষ সহজ, অতিথিপরায়ন, হাসিখুশী, বিনয়ী, আন্তরিক। ঠকানোর মনোভাব, ওপ‍রচালাকি, দূর্বিনীত আচরণ এখনো অবধি চোখে পড়েনি। এমন সামুদায়িক আচরণ থেকেই কোনো প্রদেশের মানুষের সমষ্টিগত স্বভাববৈশিষ্ঠ‍্য বোঝা যায়। 
     
    যেমন কোচিনে গিয়ে আমার মনে হয়েছে কেরালার মানুষজন বহিরাগতদের সাথে মোটেই স্বচ্ছন্দ নয়। নিজ প্রদেশের মানুষের মধ‍্যে মিলেজুলে থাকাই তাদের পছন্দ। ভিনদেশী মানুষকে তারা এড়িয়ে চলতে চায়। ট্রেনে আসার সময় খোলামেলা আলাপচারিতা‌ হোলো এক কেরালিয়ান ভদ্রলোকের সাথে। তাঁর গোয়াতে রেস্টুরেন্ট আছে। আড়াই দশক ধরে বেশীর ভাগ সময় ওখানেই থাকেন। তিনি মুদ্রা‌র দুপিঠ‌ই দেখেছেন। গোয়ায় বসবাসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, নিজে মালায়ালী হয়েও, তিনি আমার পর্যবেক্ষণ, অভিমত অকুণ্ঠচিত্তে সমর্থন করলেন।

    মুম্বাইয়ের এক ট্রেকিং গ্ৰুপের সাথে ২০১২র ডিসেম্বরে গেছিলাম পশ্চিমঘাট প‍র্বতমালার সহ‍্যাদ্রী রেঞ্জে তিনদিনের এক অনন‍্যসুন্দর ট্রেকে। আলাং-মাদান-কুলাং। সুউচ্চ, দূর্গম, তিনটি পাহাড়ী কেল্লায় প্রায় পনেরো কিমির ট্রেক। অসাধারন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে ওদের পরিচালনগত দক্ষতা ও সঙ্গ ভালো লেগেছিল। তাই পরে ওদের‌ আমন্ত্রনে ২০১৪র ডিসেম্বরে গেলাম তিনদিনের বুরহানপুর সফরে। বোহরা বা বুরহানি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান তীর্থক্ষেত্র বুরহানপুর। তার থেকেই জায়গার নাম। শাহজাহানের শ্বশুরবাড়ীও বুরহানপুরে। মৃত‍্যুর পর ওখানেই প্রথম কবর দেওয়া হয় মমতাজকে, পরে তা স্থানান্তরিত হয় আগ্ৰার তাজমহলে। বাইশ কিমি দুরে পাহাড়ের টঙে বিশাল আসেরিগড় কেল্লা রহস‍্যময় সুন্দর। 
     
    এছাড়াও বুরহানপুরের বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ। দলনেতা সমীর প‍্যাটলের এক অফিস কলিগের বাড়ী ওখানে। খবর পেয়ে তার ভাই একদিন দুপুরে আমাদের বারো জনের গোটা দলকে নিমন্ত্রন করলো মধ‍্যাহ্নভোজনে। আজকাল অনেকের‌ই আর ভূতের বেগার খাটতে ভালো লাগেনা। বারোজনের বিরাট দলকে খাওয়ানো চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু ভাই, তার নবপরিনীতা স্ত্রী, বাবা, মা, ঠাকুমা, মিলিয়ে বাড়ীর সকলের আন্তরিক আপ‍্যায়ন সহকারে সেদিনের মধ‍্যাহ্নভোজন, আলাপচারিতার অভিজ্ঞতা, আমার কাছে লেগেছিল সেই ভ্রমনের এক অনন‍্য প্রাপ্তি।
     
    আমার এক প্রাক্তন অফিস কলিগ‌ সমীর গুপ্তাও মধ‍্যপ্রদেশের দেওয়াসের মানুষ। ২০০৫এ আলাপ। সমীর আর ওর স্ত্রী অনুমতির আন্তরিক ব‍্যবহার আর ওদের বাড়ী গেলে যেরকম আদর যত্ন পেয়েছি তা তুলনাহীন। অনেক নিকট আত্মীয়ের থেকেও উষ্ণতায় ভরা। জামনগরে থাকতে ওদের সাথে গাড়ীতে গেছি চোটিলা, ভূজ, দ্বারকা, গির অরণ‍্যের মাঝে তূলশীশ‍্যাম, পোরবন্দরের কাছে ওসাম হিল। নভী মুম্বাইয়ের খারঘরে থাকতে ওরা এসেছি‌ল আমাদের কাছে। একসাথে আমার গাড়িতে গেছি শিরডি, শনি সিংগনাপুর। সেসব ভ্রমনের স্মৃতি অত‍্যন্ত সুখকর।

    সময়ের আড়াই বছর আগে চাকরি জীবনে ইস্তফা দিয়ে ২০১৭ জানুয়ারিতে মাইক টেস্টিং করতে একাকী ভ্রমণে গেছি দু হপ্তা‌র জন‍্য। একাকী ভ্রমণের মধুর চসকা লেগে এখন তার মেয়াদ বেড়ে হয়েছে দু মাস। মনে হয় যেন তার কমে পোষায় না। সেবার শুরু  করেছি‌লাম উত্তরপ্রদেশের  ঝাঁসি থেকে। বাকি‌টা সময় কেটেছে মধ‍্যপ্রদেশে। স্টেশন থেকে হোটেল তিন কিমি দুরে।  সকালে শেয়ার অটোয় দশ টাকায় গেছিলাম। শহরের রাস্তায় দেখলাম বিভিন্ন রুটে শেয়ার অটো চলছে। দু কিমি মতো দূরত্বের ভাড়া পাঁচ, তার বেশী হলে দশ। এমন সুবিধা পেলে ব‍্যাকপ‍্যাকার শৈলী‌তে কমখরচের একাকী ভ্রমণে অটো রিজার্ভ করে ঘোরার কোনো মানে‌ই হয়না। ঝাঁসী বাসস্ট‍্যান্ড থেকে ওরছা ২০ কিমি। ওই রুটেও নিয়মিত শেয়ার অটো চলছে। ভাড়া মাত্র ২০ টাকা! 

    ওরছা নেচার রিজার্ভের বোর্ডে লেখা আছে, গোসদন গেট থেকে বেতয়া ও যামিনী নদীর (বেতয়ার ভিন্ন একটি ধারা) সঙ্গম পাঁচমারিয়া দু কিমি। চারটেয় ঢুকলাম। ফরেষ্ট গার্ড অনন্ত জানতে চায়, বাবুজী, আপ ক‍্যায়সে জায়েঙ্গে? বলি, প‍্যায়দল, কিঁউ? সে বলে, লেকিন, আভি তো বহুত দের হো গ‍্যয়া। পাঁচ বাজে তো গেট বন্ধ করকে ম‍্যায় চলা যায়ুঙ্গা, আপ বাহার ক‍্যায়সে নিকলেঙ্গে? আমি বলি, চার কিমি আনে যানে মে লাগে গা পৌনে ঘন্টা, পন্দরো মিনট উধার রুকেঙ্গে, তো আ যায়েঙ্গে পাঁচ কে অন্দর। অনন্ত বলে, বাবুজী, সঙ্গম ইঁহা সে লগভগ ঢাই কিমি, আনে যানে মে হী আপকো ঘন্টা ভর লাগ যায়েগা। বলি, তো ফির? বহুত দুর সে আয়া, ফির কভি আয়েঙ্গে কি নেহী, ক‍্যয়া পতা? নেহী দেখ পায়ুঙ্গা সঙ্গ‌ম? 
     
    অনন্ত একটু ভেবে বলে, বাবুজী, আপকো সাইকল চালানা আতা হ‍্যায়? বলি, হাঁ, কিঁউ? ও বলে, তো আপ মেরা সাইকল লেকে যাইয়ে, নেহী তো আপ পাঁচ বজেকা পহলে নেহী আ পায়েঙ্গে। অনন্ত ওর সাইকেলটা এগিয়ে দেয়। হাতে যেন চাঁদ পাই। সকাল থেকে ওরছাতে প্রায় পাঁচ কিমি হেঁটেছি, কিন্তু তা ছিল আয়েস করে রয়ে সয়ে ঘোরাঘুরি। এমন ঘড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে হুরুমতাল হাঁটাহাঁটি পোষায় না। নির্জন জঙ্গলের বুক চিরে কাঁকুড়ে পথে সাইকেলে‌ও গন্তব‍্যে পৌঁছতে মিনিট পনেরো  লাগলো। ঠিক‌ই বলেছিল অনন্ত, আড়াই কিমিই হবে। 

    পড়ন্ত বিকেল, যাতায়াতের অসুবিধা হেতু জায়গাটা জনমানবহীন। ওখানে দেখা হল আর এক ফরেষ্ট গার্ড শ‍্যামের সাথে। অনন্তের মতোই বছর একুশের সদ‍্য তরুণ। সে বলে, বাবুজী, উধার পত্থরকে উপর এক মগরমছ বৈঠা হ‍্যায়, দেখিয়েগা? জরুর, বলে, সাইকেলটা গাছে হেলান দিয়ে, হাঁটা দি‌ই ওর সাথে। সুন্দর জঙ্গুলে পথে বাসায় ফেরা পাখির ডাক আর যামিনী নদীর পাথরে নেচে নেচে চলার কলকলানি ছাড়া আর কোন আওয়াজ নেই। লালচে পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে নীলচে সবুজ স্বচ্ছ জলধারা। মাঝে মাঝে সাদা ফেনা। নয়ন মনোহর দৃশ‍্য। প্রায় পঞ্চাশ ফুট দুরে পাথরের ওপর নিশ্চুপে শুয়ে আছে একটা ছোট কুমীর। নদীর কিনারে একটা ছোট প্রাচীন বাড়ী। শ‍্যাম জানালো, ওটা বুন্দেলা রাজাদের শিকারগাহ্ বা শিকারের সময় বিশ্রামস্থল। 
    শ‍্যাম না বললে হয়তো ওদিকটায় যেতাম‌ই না। আসার আগে হাত তুলে নমস্কার করে বিদায় জানায় শ‍্যাম। কুড়িটা টাকা বখশিশ দি‌ই। লাজুক মুখে নেয়। 
     
    পাঁচটার আগেই পৌঁছে যাই গেটে। অনন্তকে অনেক ধন‍্যবাদ জানি‌য়ে, ওকেও কুড়িটা টাকা বখশিশ দি‌ই। প্রথমে না না করে সেও লাজুক হেসে কপালে হাত ঠেকিয়ে নেয়। ওর জন‍্যে অনেকটা হাঁটা বেঁচে গেল। সন্ধ‍্যে হয়ে আসছে। টিকমগড় ঝাঁসি হাইওয়ে ধরে হাঁটা দি‌ই ওরছার দিকে। বেতয়া নদীর সেতু পেরিয়ে সোয়া কিমি গেলে পাবো ঝাঁসি‌ যাওয়ার অটো স্ট‍্যান্ড। ওরছায় দিনের শেষটা অনন্ত আর শ‍্যাম -  দুই সহজ সরল স্থানীয় তরুণ ফরেস্ট গার্ডের  বদান্যতায় ভালোই কাটলো।
     
    পরদিন ঝাঁসী থেকে বিদিশা যাওয়ার ট্রেন ছিল সকাল সাড়ে পাঁচটায়। জানুয়ারি‌তে ঝাঁসির বিখ্যাত কনকনে ঠান্ডায় পৌনে পাঁচটায় হোটেল থেকে রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম। তখন‌ও রাতের অন্ধকার। চারপাশ শুনশান। একটা খালি অটো আসছিল। হাত দেখিয়ে দাঁড় করিয়ে বলি - স্টেশন যায়েঙ্গে? সে বলে - রিজার্ভমে যায়েঙ্গে? আমি বলি - ভা‌ই, হম তো একেলে হ‍্যায়, সামান ভি ইয়ে  দো স‍্যাক্, হো সকে তো শেয়ার মে চলো। রাস্তেমে লে লেনা কোই মিলে তো।
     
    ঐ পথে সকালে শেয়ার অটোয় এসেছি দশ টাকায়। তখন জনা ছয়েক যাত্রী গাঁতিয়ে তোলে ওরা। নির্জন রাস্তায় তখন অন‍্য কোনো অটো নেই। ভোরের ট্রেন ধরার তাগিদ। সেই সব বুঝে ও যদি তখন একশো টাকাও চাইতো, দিতে হোতো। ও কিন্তু চাইলো মাত্র কুড়ি টাকা, রেগুলার ভাড়া‌র ওপর দশটি টাকা বেশী। কিছুটা গিয়ে আর দুজনকে পেল। স্টেশনে এসে আমি স্বেচ্ছায় তিরিশ টাকা দিলাম। ও খুশী হয়ে হাত তুলে নমস্কার করে। বহুবার এইসব দেখেশুনে মনে হয়েছে, অল্পেই সন্তুষ্ট মধ‍্যপ্রদেশের মানুষ। ভিনদেশী বুঝে লুটে নেওয়ার প্রবণতা এখনো অবধি চোখে পড়েনি আমার।
     
    বিদিশাতে এসে প্রথম দিন লোকাল বাসে সাঁচী ঘুরে পরের দিন গেছিলাম উদয়গিরি। বিদিশা থেকে প্রায় আট কিমি দুরে। যাওয়া আসা এবং ওয়েটিং নিয়ে অটো চাইলো চারশো টাকা। অন‍্যায‌্যও কিছু নয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে ওকে উদয়গিরিতে। কিন্তু আমি তো গেছি কম খরচে একাকী ভ্রমণে। অটো রিজার্ভ করে ঘোরা আমার উদ্দেশ্য নয়। তাই গঞ্জ বসোদার বাসে দশ টাকায় চলে গেলাম পাঁচ কিমি দুরে, বেতয়া নদীর পারে উদয়গিরি মোড়ে। ওখান থেকে তিন কিমি দুরে উদয়গিরি হেঁটেই চলে গেলাম। 

    এজেন্সি‌র মাধ্যমে দৈনিক মজুরীতে নিযুক্ত ASI গার্ড মাখন সিং রাজপুতের সাথে খানিক গল্প হলো। ও আমায় তালা খুলে পাথর কেটে তৈরী একটা গুহার মধ‍্যে কিছু আকর্ষণীয় ভাস্কর্য দেখালো। তারপর আমার সাথে চললো পাহাড়ের ওপরে। এককালে ওখানে একটা পাথরের খাদান ছিল। ও আমায় পাথরে খোদাই করা একটা সৌরঘড়ি দেখালো। খাদানের সুপারভাইজার সময় দেখার জন‍্য বানিয়েছিল। মাখন একটা কাঠি ধরে কিভাবে সময় দেখতে হয় দেখালো। ছায়া দেখে প্রায় নিঁখুত সময় বললো। ও না বললে জানতেও পারতাম না।
     
    ওকে কুড়িটা টাকা বখশিশ দিতে গেলাম, হাত জোড় করে বলে, নেহী বাবুজী, আপ বঙ্গাল সে ইতনা দুর হমারা ধরোহর দেখনে কে লিয়ে আয়া, আপসে বাতচিত হুয়া, আপসে কুছ জানকারি ভি মিলা, হমে আচ্ছা লাগা। ইসি লিয়ে ইধর কে বারেমে থোড়া বহুত যো হমে মালুম থা, আপকো বতায়া। লেকিন এ মত সমঝিয়ে বাবুজী কি ম‍্যায়নে আপসে কুছ বখশিশ মিলনেকা উমিদসে ইয়ে সব বতায়া। বলি, আমি‌ তা ভাবিনি মাখন। আমি খুশী হয়ে দিচ্ছি। তখন ও নিল। বলে, আপনি যখন ফিরবেন, নীচে থেকে আওয়াজ দেবেন, আমি গ্ৰামের কোন চেনা লোককে আপনাকে মেন রোডে ছেড়ে দিতে বলবো। বললাম তার দরকার হবেনা, হেঁটে যখন এসেছি, হেঁটেই চলে যাবো।  
     
    ফেরার পথে রামলীলা ময়দানের কাছে একটা চায়ের দোকানে চা খেয়ে বিদিশার বাসে উঠলাম। ভাড়া দিতে গেলে কন্ডাকটর নিতে চাইলো না। বললো এত কম দূরত্বে কোনো ভাড়া লাগে না। সে আবার কি! ওখান থেকে বিদিশা বাসস্ট‍্যান্ড প্রায় চার কিমি। বাসে উঠলে একটা নূন‍্যতম ভাড়া তো নেওয়াই উচিত। রামলীলা ময়দান থেকে বিদিশা বাসস্ট্যান্ড অটোতে তিরিশ টাকা চাইছিল। জোর করে দশ টাকা দিলাম কন্ডাক্টর‌কে।

    পর দিন আবার গেছিলাম বেতয়া নদীর মাঝে দ্বীপে চরণতীর্থ দেখতে। শেষ বিকেলে রামলীলা ময়দানের কাছে গতকালের সেই দোকানে চা খেয়ে আগের দিনের মত‌ই একটা বাসে উঠে বাস স্ট‍্যান্ডে এলাম। এদিন‌ দু তিন বার বলতেও কন্ডাকটর ভাড়া নিলো না। স্ট‍্যান্ডে বাস থামতে নেমে চলে গেলো। অল্পবয়সী ড্রাইভার ছেলেটি জানালো এটাই এখানকার দস্তুর। ওকেই দশটা টাকা দিয়ে বলি, তাহলে তুমিই চা খেয়ো। 
     
    কিছুতেই নেবে না। জোর করে হাতে ধরিয়ে দিলাম।  সারাদিন বাস চালনার ক্লান্তি মাখা মুখে ফোটে অমলিন হাসি। আবার আভাস পাই ভারতের হৃদয়ের মানুষের সহৃদয় উষ্ণতা‌র। সেই ২০১৭ থেকে হালে ২০২৩ অবধি - মধ‍্যপ্রদের বেশ কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণে গিয়ে এমন আভাস বারংবার পেয়েছি। তাই একাকী ভ্রমণের ক্ষেত্রে মধ‍্যপ্রদেশ আমার সবথেকে প্রিয় জায়গা। আরো কিছু জায়গায় যাওয়া বাকি।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ১২ অক্টোবর ২০২৩ | ৪২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপাঞ্জন | 106.202.97.94 | ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:০৯524489
  • এখন ঝাঁসী বাসস্ট‍্যান্ড থেকে ওরছা শেয়ার অটো চল্লিশ টাকা ভাড়া। 
     
    অল্পেই সন্তুষ্ট মধ‍্যপ্রদেশের মানুষ - এই কথাটার সঙ্গে আমি একমত। রাজস্থানের থেকে মধ্যপ্রদেশের লোকেরা টুরিস্টদের সঙ্গে অনেক বেশি ভদ্র ব্যবহার করে। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৩৩524490
  • একটা কথা লিখতে ভুলেছি। বলোদাবাজারের শুক্লাজী বৌমণি‌কে একটা নয়, দুটো হাতপাখা উপহার দিয়ে‌ছিলেন। দ্বিতীয়‌টা ভাইসাবের জন‍্য। একটা পাখা যে পক্ষপাত‌দুষ্ট দেখায়, হয়তো সে সৌজন্য‌বোধ ওনার ছিল। 
    তাছাড়া সদ‍্য বিবাহিত দম্পতি একটি লেপের তলায় ঢুকে কঠিন শীতের কামড় থেকে বাঁচতে পারলেও প্রখর গরম থেকে বাঁচতে যে দুটি পাখা‌ই বাঞ্চনীয় - এই স্বাভাবিক বোধ‌ও হয়তো জাগ্ৰত ছিল শুক্লাজী‌র।
  • সমরেশ মুখার্জী | ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৪১524491
  • জানু ২০১৭ থেকে এখন, প্রায় আট বছর পরে, ডিজেলের অনেক মূল‍্যবৃদ্ধি‌র ফলে, ২০ কিমি দূরত্বের জন‍্য শেয়ার অটোর ৪০ টাকা ভাড়া … ঠিকই আছে।
  • হীরেন সিংহরায় | ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:০৫524496
  • বিলাসপুর থেকে ট্রেন বদল করে শাহডোল যাবার অনেক স্মৃতি আছে । দাদা কাজ করতেন বুরহার কলিয়ারিতে । কত কথা মনে পড়ে অমরকণ্টক যাওয়া 
  • s | 100.36.114.105 | ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:০১524505
  • খুব ভাল লাগল মধ্যপ্রদেশের  কথা। আমিও পুরোপুরি একমত যে মধ্যপ্রদেশের মানুষেরা সহজ সরল, অল্পে সন্তুষ্ট। অনেক বার গেছি মধ্যপ্রদেশে । আমার পিসি  থাকতেন পান্নাতে। সেখানে হীরের খনি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। ছোটোবেলায় ভাবতাম যেখানে হীরের খনি আছে সেই জায়গার নাম পান্না কেন। পান্না, সাতনা, রেওয়া ঘুরে তারপর পিসিরা  বিলাসপুরে সেটল করেন । সেখানেও গেছি দু এক বার। অমরকন্টক থেকে বিলাসপুর ফেরার পথে অচানকমার জঙ্গলের কাছে সন্ধ্যে হয়ে আসল। গাড়ির ড্রাইভার বলেছিল এখানে নাকি বাঘ বের হয়। সেই শুনে গাড়ির বড়রা ভয় পেলেও আমি আশা করে বসে ছিলাম কখন বাঘের দেখা পাব।
    জব্বালপুরের মার্বেল রকস, ভেড়াঘাট, খাজুরাহো , অমরকন্টক, রেওয়ার চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ - আমার ছোটোবেলার অনেকটা জুড়ে আছে মধ্যপ্রদেশ।
  • হীরেন সিংহরায় | ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৫৫524506
  • সরি বুরহার লিখতে গিয়ে বুধবার লিখে ফেলেছি 
  • সমরেশ মুখার্জী | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৪524513
  • পান্না রাজ‍্যের স্থাপনা করেন বুন্দেলা রাজ ছত্রশাল (১৬৪৯-১৭৩১)। অত‍্যন্ত প্রজাবৎহল এবং সাহসী রাজা ছিলেন তিনি। মোগলদের বিরুদ্ধে আজীবন লড়েছেন। এখনও বুন্দেলখণ্ডের মানুষের মুখে ফেরে - "বুন্দেলখণ্ড কী লাল - ঘর ঘর ছত্রশাল"। তাঁর স্মৃতি‌তেই বর্তমান ছত্তরপুর জেলা, শহর, রেল স্টেশনের নামকরণ হয়েছে। ছত্তরপুর শহরের অদূরেই আছে বিশ্বখ্যাত খাজুরাহো। অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমার ১৪ বছর বয়স থেকে পেহল‌ওয়ানি অভ‍্যাসের জন‍্য খ‍্যাত উত্তর দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে কুস্তির প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। ২০২০ তে  একাকী ভ্রমণ কালে পান্না শহরে মহারাজা ছত্রশাল রাজপরিবারের একজনের সাথে তাঁদের প‍্যালেসে‌র অঙ্গনে বসে কিছুক্ষণ আলাপচারিতা হয়েছিল। যদি কখনো লিখতে পারি হয়তো সেসব সুন্দর ভ্রমণস্মৃতি আসবে কোনো লেখায়। এসব পান্না‌কে নিয়ে নিছক কিছু ট্রিভিয়া।

    হীরার খনি থাকলেও পান্না নাম কেন হোলো? কারণ পান্নার তমান্না ছিল হীরা মিল যায়ে - তাই। এটা নিছক একটু মজা করলুম তবে এই মজাটা হয়তো হীরেনবাবু বেশী উপভোগ করবেন, কারণ এতে ওনার আইকন আছেন যে।


     
  • Kishore Ghosal | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪৩524526
  • ৮৬ বা ৮৭ সালে প্রথম বিলাসপুর, কোরবা, রায়পুর গিয়েছিলাম কর্মসূত্রে। সেই সময় স্থানীয় মানুষদের আশ্চর্য ব্যবহারে রীতিমত লজ্জিত হতাম। বাসে উঠলেই সিট ছেড়ে দিয়ে বাসের মেঝেয় বসতেন বয়স্ক স্থানীয় মানুষ। নিষেধ করলেও জোড়হাতে আমাকে "মহারাজ" সম্বোধনে এমনই বিনীত থাকতেন - আজও মনে পড়লে লজ্জিত হই। 
     
    পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম অধ্যুষিত গ্রামজীবনের ঔদ্ধত্য দেখতে অভ্যস্ত আমি, মধ্যপ্রদেশে গিয়ে উপলব্ধি করেছিলাম ভারতীয়  চিরন্তন ঐতিহ্যের মর্ম - শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছিলাম। 
     
    কোরবা, রায়পুর, বিলাসপুর শেষ গেছি  এই  বছর তিনেক আগে - এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে, তবুও সেই আতিথেয়তার বিনীত স্বভাব টের পাওয়া যায় ওখানকার মানুষদের অন্তরে।     
  • Sara Man | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪২524530
  • ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আজ পঁচিশ বছর ধরে ভূগোলের ফিল্ড সার্ভে করতে ঘুরছি। বিশাল দেশের কত প্রান্তেই গেলাম। মধ‍্যপ্রদেশের মানুষ সত‍্যিই অসাধারণ। কোন কথা হবে না। বিনীত এবং সৎ। রাজস্থান, দক্ষিণ ভারত, উড়িষ্যা প্রভৃতি জায়গায় অনেক তিক্ত স্মৃতি আছে। 
  • s | 100.36.114.105 | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:২৫524532
  • সমরেশবাবু,
    পান্নার ইতিহাস জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। ছত্রশালের নাম শুনেছিলাম কিন্তু খুব বেশি কিছু জানি না। আর মধ্যপ্রদেশের খন্ডের ব্যাপারটা একটু কনফিউসিং। এই যেমন পান্না বুন্দেলখন্ডে  কিন্তু পাশেই রেওয়া হল বাঘেলখন্ডে। এই দুই খন্ডের পার্থক্য কি তাও জানি না। আবার ঝাঁসি উত্তরপ্রদেশে হলেও তা বুন্দেলখন্ড। বুন্দেলখন্ডের আর এক হিরো হলেন ঝাঁসির রানী লক্ষীবাই। কত লোকগাথা, গান ইত্যাদি আছে ওনাকে নিয়ে।

    হীরা পান্নার উত্তরটা বেশ পছন্দ হল। আমার বাবার প্রিয় অভিনেতা ছিলেন দেব আনন্দ। দেব আনন্দের সিনেমার গান, বিশেষ করে সাদা কালো সিনেমার গান শুনে বড় হয়েছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন