এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Subhankar Sengupta | ১১ মে ২০২২ ১৬:৩৩507513
  • রিট্রাইভার্সিভ পুরস্কারের ব্যাপারে ওনার বিস্তারিত মতামত কি সেখানে থাকছে না কি ওসব কেবল অসভ্যতা! যে শাসনকাঠামোয় উনি ওনার সংসার দুধ ভাত আনছেন, তাকে নিয়ে কি তিক্ত হলেন উনি, না কি সেসব কেবল বিড়ম্বনা? 
  • Debarshi Das | 2402:3a80:1960:9a0:178:5634:1232:5476 | ১৩ মে ২০২২ ১৮:২৪507578
  • জয় দগ্ধাতে দগ্ধাতে মমতাকে নিরলস সাধনার পুরস্কার দিয়ে দিলেন। ফুরফুরে মেজাজে থাকলে না জানি কি হতো। 
  • r2h | 134.238.8.208 | ১৭ মে ২০২২ ১২:৪৫507762
  • https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=24548 টই থেকে কিছু কপি পেস্ট করি। সহজলভ্য ও নিরাপদ টার্গেট দেখে গাল দেওয়া অতি বিরক্তিকর।
     
    • সর্বভুক পাঠক | 2409:4061:4e80:7855::5689:c810 | ১৭ মে ২০২২ ০৯:১৮
    • সবচেয়ে বড় হাসির ব্যাপার হল — একাডেমির সদস্যপদে থাকা লেখকরা ফেসবুকে খিস্তি খাচ্ছে, কবিরাও খাচ্ছে, কিন্তু দুই প্রকাশকের ব্যাপারে সবাই একদম চুপ।
       
      আসলে মেরুদণ্ড বিক্রি করে বই বিক্রি করতে হবে, তাই এই নীরবতা।
       
      প্রিয় সাহিত্যিক, বিখ্যাত পাঠক (যারা মাসে প্রচুর বই কিনে ফেসবুকে পোস্ট ঝাড়েন) এবং রিভিউয়ারদের আবার একবার চিনলাম।
     
    • r2h | 134.238.14.27 | ১৭ মে ২০২২ ১০:২০
    • প্রকাশক কে, দে'জ?

      এমনিতে, লাভজনক বাণিজ্যিক প্রকাশনা, ওদের যা ইচ্ছে তা ছেপেছে, কে কী বলবে। কিন্তু পারচেজের ব্যাপারগুলো তো খুব সুবিধের কিছু না, সহজও না। যে গুরুচণ্ডা৯ খসড়া বাবদ, দালালি বাবদ, চটিচাটা বাবদ, আরও কত রকম ভাবে কে জানে সিআইএ, এম আই সিক্স, মোসাদ, র, তৃণমূল সবার থেকে কোটি কোটি টাকা পেয়ে লাল নীল হলুদ সবুজ হয়ে গেল, সেই গুরুচণ্ডা৯ একটি পয়সা সরকারি বিক্রি করতে পারে নি। ত্রিপুরায় কুড়ি হাজার টাকার লাইব্রেরি পারচেজ হয়েছিল, তাও সিপিয়েমের আমলে, তার পয়সা আজ অবদি পাওয়া যায়নি।

      সে যাক, কবিতা বিতান ইত্যাদির প্রকাশনার কর্ণধাররা নিজেরা প্রভাবশালী জায়গায় বসে আছেন, কতগুলি অর্থহীন আবোল তাবোল স্কুলের বাচ্চাদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারি পারচেজ হচ্ছে, তো বাণিজ্যের উদ্যোগটা যাদের নামে হচ্ছে, তাদের নিয়ে কিছু প্রশ্ন তো ওঠাই উচিত ছিল। কিন্তু আমোদগেঁড়ে, প্রতিবাদী, বোদ্ধা ইত্যাদিরা দশ টাকা দামের দগ্ধ নিয়ে গুরুকে ধুয়ে দিলেন, এই কোটি, বা নিদেন লক্ষ লক্ষ টাকার ঘাপলা নিয়ে বলতে কইলজা শুকাইয়া যায়। এই তো ছোট বাংলা বাজার, এই মুহূর্তে কাদের লবি আর কাদের কথা চলে সেও গোপন কিছু না। কিন্তু সহজে গাল দেওয়া যায় জয় গোঁসাইকে, কারন তিনি কিছু উল্টো কথা বলেছেন, এবং তাঁর বাড়ির সামনে বহ্নুৎসব করার হুমকি দিলে সরকার কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখবে না। বিপ্লবী ও বোদ্ধাদের নরম লক্ষ্য দেখে কনুই মারার এই বেড়ালপনা একটা কুৎসিত জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

      জয় গোস্বামী কেমন করে কবিতা লিখবেন, গুরু কী বই ছাপবে (ও, প্রসঙ্গত, গুরু জয়ের আরেকটি বই ছেপেছে, নিজের বিরুদ্ধে, কালই বাজারে এসেছে। আশা করা যায় আরো কোটি কোটি টাকা রোজগার হবে খিল্লি ও খিস্তি শুরু কর যেতে পারে।)

      জয় কেমন করে কবিতা লিখবেন, গুরু কী বই ছাপবে, সেসব নিয়ে কী আম্বা। কিন্তু রাঘব বোয়ালদের সুনির্দিষ্ট টার্গেট করে একটা বিবৃতি নামানোর ধক কারো নেই, কোথায় বাধে কে জানে!

      সরকার খারাপ, আপামর জনতা ছাগল। কিন্তু প্রতিবাদীদের যা ফর্মা, তা দেখে একটা তূরীয় ট্রিপ অনিত্যদর্শন ধরনের ব্যাপার হয়।

      ভাট থেকে এটা থাকঃ
       
      • :-) | 223.29.193.92 | ১১ মে ২০২২ ১১:৫২
      • প্রকাশনার ব্যপারটা সোজা। তবু বলে রাখি। মোটের ওপর ৫০০ কপি মত ছাপার ক্ষেত্রে, বইছাপার যা খরচ মোটামুটি তার ৩ থেকে ৪ গুণ থাকে বইয়ের মুদ্রিত মূল্য। কিছু কিছু পাবলিশার আরও বেশি রাখে, (গুরু-র চটি মডেল হিসেবে ধরছি না) সে যাক। এবার বইয়ের দামের ১০% হওয়ার কথা রয়ালটি। মূল চ্যালেঞ্জ বই বিক্রি করা। টাকা ঘরে এলে তবেই তা থেকে লাভ বা রয়ালটি। পাবলিশারকে বইয়ের দোকানে বিক্রি করতে হলে আবার ৩০-৪০% ডিসকাউন্ট দিতে হয়।
        মমব্যানের বই পাবলিশারের ঘর থেকে সোজাসুজি কেনা হয় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল লাইব্রেরির জন্য। সরকার নিজেই কেনে। এছাড়া সমস্ত সরকারি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়ার জন্যেও সে বই পাবলিশারের ঘর থেকে সরকার নিজেই কেনে। সাধারণ পাঠক একটিও বই না কিনলেও তাই প্রকাশকের ঘর থেকেই (বইয়ের দোকানকে একটুও ডিসকাউন্ট না দিয়েই) প্রতিটি বই হাজার হাজার কপি বিক্রি হয়ে যায়। মানে সরকারই কিনে নিয়ে স্কুলের লাইব্রেরি আর পুরস্কার প্রাপক ছাত্র ছাত্রীদের হাতে ধরিয়ে দেয় রাজ্যব্যাপী। সরকার কেনে মানে আমাদেরই ট্যাক্সের টাকায় কেনা হয় আরকি, শিক্ষাখাতে যা বাজেট ধরা আছে তার অংশ হিসেবে।
        এর থেকে রয়ালটি বাবদ প্রকাশক যদি ১০% এর জায়গায় ২০ বা ৩০% ও লেখিকাকে দেন তাতে এই সরকারের প্রদেয় বইয়ের বিক্রয়মূল্যের থেকেই কাটমানির মতই ১০ বা ২০ বা ৩০% রয়ালটি হিসেবে প্রকাশকের হাত ঘুরে লেখিকার অ্যাকাউন্টে ঢোকে।
        এবার প্রতিবছর এরকম বিক্রির নিশ্চয়তার কারণে সোল-পাবলিশার হিসেবে দে'জ যদি এক একটি বই ৫,০০০ বা ১০,০০০ কপি করেও ছাপে (যেরকম ছাত্রবন্ধু বা কোশ্চেন ব্যাঙ্ক ছাপার রেওয়াজ সারা রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের ডিমান্ড মেনে) তাহলে প্রতি বই ছাপার খরচ আরও কমে আসে, প্রকাশকের লাভ বাড়ে। 
        বেশি কপি ছাপার লাভের হিসেব বুঝতে ছোট্ট পরিসংখ্যান, পারুল তার বইয়ের বুকসেলার্স ডিসকাউন্ট দেয় ৪০% (চল্লিশ)। আর তার ছাত্রবন্ধুর বুকসেলার্স ডিসকাউন্ট দেয় ৬৫% (পঁয়ষট্টি)। 
     
    • এলেবেলে | 202.142.80.80 | ১৭ মে ২০২২ ১১:০৫
    • প্রকাশক দে'জ-এর সিস্টার কনসার্ন বুকটুক। 
       
      রাজ্যে সরকার পোষিত সাধারণ গ্রন্থাগারের সংখ্যা ২,৪৮০। কবিতাবিতানের মুদ্রিত মূল্য ১২০০ টাকা। গ্রন্থাগারগুলো সাধারণত পুরস্কারপ্রাপ্ত বই ১০ কপি করে কিনে থাকে। সেক্ষেত্রে মোট বিক্রি ২৪৮০০ কপি। লেখক বই পিছু রয়্যালটি পাবেন ১২০ টাকা। সুতরাং কেবল সরকারি গ্রন্থাগার থেকেই তাঁর প্রাপ্তি ২৪৮০০ x ১২০ টাকা  = ২৯,৭৬,০০০ টাকা মানে ৩০ লাখ টাকা। 
       
      এ ছাড়া স্কুল ও কলেজ লাইব্রেরিগুলোতে এই বই কেনা হবে, ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার হিসেবে এ বই দেওয়া হবে। তার মানে আরও ২০ লাখ টাকার ধাক্কা। একটি কবিতার বই থেকেই তাঁর রয়্যালটির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ লাখ। আর প্রকাশকের তো পোয়া বারো। 
       
      এই সুধাংশু দে আর ত্রিদিব চাটুজ্যে বাম আমলেও বইমেলার দুই প্রধান হর্তাকর্তা ছিলেন। কাজেই তাঁদের টিকি ছোঁবে কে?
       
      বাহবা সময় তোর সার্কাসের খেলা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন